যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় সাত দশক পর প্রথম একজন নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে যাচ্ছে।
দেশটির বিচার বিভাগ শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০০৪ সালের একটি হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত লিসা মন্টগোমারিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার জন্য তারা আগামী ৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে।
মিজৌরি অঙ্গরাজ্যে এক জন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে তাকে এই দণ্ড দেয়া হচ্ছে। ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের পেনিটেনশিয়ারি টেরে হাউতে প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে বিচার বিভাগ জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সর্বশেষ নারী হলেন বনি হেডি। ১৯৫৩ সালে মিজৌরিতে একটি গ্যাস চেম্বারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৭ সালে লিসার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিলেন মিজৌরির একটি আদালত।
তবে তার আইনজীবী কেলি হেনরির দাবি, লিসা ছোটবেলায় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং বর্তমানে মানসিকভাবে অসুস্থ। এ কারণে তিনি রেহাই পেতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ব্র্যানডন বার্নার্ড নামে আরেক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তারিখ ১০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে। ১৯৯৯ সালে ২ জন মন্ত্রীকে হত্যার জন্য তাকে এই দণ্ড দেয়া হবে।
আইভরি কোস্টের পশ্চিমাঞ্চলে শুক্রবার দুটি মিনিবাসের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২৬ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হয়েছেন।
পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি এ খবর জানায়।
সড়ক পরিবহনের মহাপরিচালক ওমর সাকো এক বিবৃতিতে বলেন, ডালোয়া-ইসিয়া সড়কে দুটি মিনিবাসের সংঘর্ষে ২৬ জন নিহত ও ২৮ জন আহত হন। নিহত যাত্রীদের মধ্যে ১০ জন দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান।
বিবৃতিতে আর বলা হয়, ‘দুর্ঘটনাস্থলে মন্ত্রণালয়ের একটি দলকে তদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।’
কিছু রাস্তা ও যানবাহনের খারাপ অবস্থার কারণে এবং চালকরা ড্রাইভিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় আইভরি কোস্টে প্রায়ই মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ৷
গত মাসে গাগনোয়া শহরের কাছে দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়। গত সেপ্টেম্বরে আইভরি কোস্টের উত্তরে একটি গাড়ি ও একটি ট্যাংকারের সংঘর্ষে ১৩ জন দগ্ধ হন।
পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মতে, আইভরি কোস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর গড়ে ১ থেকে দেড় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকার চালকদের লাইসেন্সের পয়েন্ট, পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো গাড়ি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা, রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ এবং ভিডিও ক্যামেরা স্থাপনসহ মারাত্মক দুর্ঘটনা কমাতে একাধিক ব্যবস্থা চালু করেছে।
আরও পড়ুন:দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেছেন, সামরিক আইন জারি ও সেনাবাহিনী দিয়ে পার্লামেন্ট ভবন অবরুদ্ধ করে রাখার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও অনুতপ্ত।
এ কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
জাতির উদ্দেশে শনিবার দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউন আরও বলেন, দ্বিতীয়বার তিনি আর কখনও সামরিক আইন জারি করবেন না।
তিনি বলেন, ‘চারদিকে গুজব চলছে, সামরিক আইন আবার জারি করা হবে। আমি অপনাদের পরিষ্কার ভাষায় বলছি, সামরিক শাসন জারির মতো আর কখনও কিছু ঘটবে না।’
স্কাই নিউজ ও এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে আকস্মিক এক ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন জারি করেন।
সামরিক শাসন জারির পর ইউন প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েন। তার বিরুদ্ধে দলগুলো অভিশংসনের দাবি তোলে।
পরে প্রধান বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরাসহ সাধারণ মানুষ পার্লামেন্ট ভবনের মূল প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করলে স্পিকারের নেতৃত্বে দ্রুত পার্লামেন্টে ভোটাভুটির ব্যবস্থা করে সামরিক আইন রহিত করা হয়। এরপর মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে তা অনুমোদন দিলে সামরিক আইন বাতিল হয়ে যায়।
পার্লামেন্টের ৩০০ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন সংসদ সদস্য সামরিক আইনের বিরুদ্ধে ভোট দেন।
ইউন তার সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং সামরিক আইন জারির ঘটনায় আন্তরিকভাবে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি।’
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের কিছু অংশে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর ফলে সুনামি সতর্কতা জারি করেছে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা (এনডব্লিউএস)।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪৪ মিনিটে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার হামবোল্ট কাউন্টির ফার্নডেল শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে উপকূলীয় অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
প্রাথমিকভাবে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হিসেবে জানালেও পরে এটিকে ৭.০ মাত্রায় উন্নীত করে ইউএসজিএস। সমূদ্রপৃষ্ঠের ৬০০ মিটার গভীরে কম্পনের উৎসস্থল চিহ্নিত করা হয়।
ভূমিকম্প আঘাত হানার কয়েক মিনিট পর এনডব্লিউএসের সুনামি সতর্কতার আওতায় পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার অন্তত ৫৩ লাখ মানুষ। এরপর ওই এলাকা ও সানফ্রান্সিসকো উপকূল থেকে স্থানীয়দের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ডেল নর্টে, হামবোল্ট ও মেন্ডোসিনো কাউন্টিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম।
উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্বল্প মাত্রার আফটারশক হয়েছে।
হামবোল্ট কাউন্টির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর ওই অঞ্চলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:রাশিয়া যে কোনো উপায়ে নিজ দেশকে রক্ষা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন সের্গেই ল্যাভরভ। একইসঙ্গে তিনি ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদেরকে ‘ওরেসনিক’ হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভাবতে বলেছেন।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক টাকার কার্লসনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের উদ্ধৃতি দিয়ে ল্যাভরভ বলেন, সম্প্রতি ইউক্রেনে আঘাত হানা হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে দশগুণ বেশি গতিতে ধাবিত হয়।
ফক্স নিউজের সাবেক সাংবাদিক টাকার কার্লসনকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বুঝতে হবে যে ইউক্রেন যুদ্ধে তাদেরকে জিততে না দিতে রাশিয়া সব উপায় অবলম্বন করবে।
তিন বছরের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া দু’সপ্তাহ আগে দিনিপ্রতে ওরেসনিক হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করে। ইউক্রেনের জন্য আমেরিকার এটিএসিএমএস অস্ত্র পদ্ধতি কার্যকর হওয়ার পর মস্কো এমন পদক্ষেপ নেয়।
সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেন যে রাশিয়া ও তার মিত্রদের ভয় দেখাতে চাচ্ছে আমেরিকা।
ইউক্রেনে সংঘাত বৃদ্ধিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে দায়ী করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে ল্যাভরভ বলেন, ‘ট্রাম্প দ্রুত ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে বদ্ধপরিকর। যদিও কোন প্রক্রিয়ায় তা শেষ হবে সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প হচ্ছেন এমন মানুষ যিনি ফলাফল দেখতে চান।’
আরও পড়ুন:আলেপ্পোর পর এবার সিরিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর হামা দখল করে নিয়েছে দেশটির বিদ্রোহীরা। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজধানী দামাস্কাস যাওয়ার পথে এই শহর কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০১১ সালে আরব বসন্তের মধ্যদিয়ে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম হামা দখল করলো প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরোধীরা।
এদিকে সরকারি সেনাদের পিছু হটাকে রণকৌশল হিসেবে উল্লেখ করেছে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় সেনারা আপাতত শহরের বাইরে অবস্থান নিয়েছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, বিমান ঘাঁটিতে যুদ্ধবিমান ও সাজোয়া যান ফেলে সেনা সরিয়ে নেয়ায় প্রমাণ হয় যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে সুবিধা করতে পারছে না বাশারপন্থীরা।
রোববার সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো দখলের পর দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রাসাদ দখল করে নেয় বিদ্রোহীরা। আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এর ভিডিও প্রচার করা হয়। এরপর পাল্টা আঘাত হানে সরকারি সেনারা। শুরু হয় উভয় পক্ষে তুমুল লড়াই।
রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের সহায়তায় আসাদপন্থী সেনারা আগ্রাসী হয়ে ওঠার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে যে খুব একটা সফলতা পাওয়া যায়নি তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিদ্রোহীদের হামা শহর দখলের মধ্যদিয়ে।
হামা সিরিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম শহর এবং কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে বিমান ও সেনা ঘাঁটি রয়েছে। ইতোমধ্যে সারি সারি যুদ্ধবিমান এবং সাঁজোয়া যান বিদ্রোহীদের দখলে এসে গেছে।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম হামা দখল করলো বিদ্রোহীরা। ১৩ বছর ধরে রাখা একটি শহরের পতনে বড় ধরনের ধাক্কা খেল সরকারি বাহিনী। তাছাড়া আসাদের মূল ঘাঁটি রাজধানী দামাস্কাস যেতে হলে এই পথ দিয়েই অগ্রসর হতে হবে।
ইসলামী সংগঠন হায়াত তাহরির আল শামের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর এই অর্জনকে বেশ বড় করেই দেখছেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা-বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, একদিকে রাজধানীর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বিরোধীরা। আর এমন এক সংযোগস্থলে তারা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, এতে বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি সেনাদের রসদ সরবরাহ কঠিন হয়ে যাবে।
ওদিকে বেসামরিক লোকজন দামাস্কাসের পরিবর্তে ভূমধ্যসাগর উপকূলের দিকে ছুটছে। সেখানে গেলে লেবাননে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। রাজধানী এড়িয়ে যাওয়ার অর্থ, সেখানে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আগামীতে তীব্র লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। আর তাতে ব্যাপক জানমালের ক্ষয়-ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন:ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে অভিযোগ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এটি এখনই বন্ধ করতে হবে।
মানবাধিকার সংস্থাটি তাদের নতুন প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ‘জেগে ওঠার’ আহ্বান জানিয়েছে।
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, তাদের প্রতিবেদনটি ‘ইসরায়েলি সরকার ও সামরিক কর্মকর্তাদের অমানবিকতা এবং গণহত্যা’, গাজা থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত ধংসাত্মক ভয়াবহ তথ্য ও স্থল রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
অ্যামনেস্টির প্রধান অ্যাগনেস ক্যালামার্ড এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মাসের পর মাস ইসরায়েল গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর অমানবিক আচরণ, তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ইচ্ছাকৃতভাবে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রকাশিত তথ্য দেখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখনই জেগে ওঠা উচিত। কারণ এটা গণহত্যা। অবশ্যই এখনই এই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজায় প্রাণঘাতী অভিযান চালানো শুরু করে। দেশটি হামাসকে চিরতরে নির্মূলের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।
আরও পড়ুন:নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মদীকে সাময়িক মুক্তি দিয়েছে ইরান।
ক্যানসারের উদ্বেগের মধ্যে একটি জটিল অস্ত্রোপচারের পর তাকে তিন সপ্তাহের জন্য মুক্তি দেয়া হয়েছে।
ইরানের একটি কারাগার থেকে বুধবার নোবেলজয়ী নার্গিসকে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার সমর্থকরা।
তেহরানের ফুটেজে দেখা যায়, উন্মুক্ত কালো চুল এবং কাপড় দিয়ে ডান পা ঢাকা অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স থেকে বের হচ্ছেন মোহাম্মদী। রাস্তায় নেমে চিৎকার করে বলেন, ‘হ্যালো স্বাধীনতা! নারী, জীবন, স্বাধীনতা! স্বাধীনতা আমাদের অধিকার! স্বাধীনতা দীর্ঘজীবী হোক!’
মোহাম্মদীর সমর্থকদের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ২১ দিনের জন্য মুক্তি পেয়েছেন। পরে আবারও তাকে সাজা ভোগ করতে কারাগারে যেতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নার্গিসের সমর্থকরা তার স্থায়ী মুক্তির আহ্বান জানালেও ইরান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তার চিকিৎসা ছুটির কথা স্বীকার করেনি।
সমর্থকরা যুক্তি দিয়ে বলেছেন যে, ৫২ বছর বয়সী মোহাম্মদীর সঠিকভাবে নিরাময়ের জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে কমপক্ষে তিন মাস থাকা প্রয়োজন।
একই সঙ্গে তারা বলেছে, শান্তিপূর্ণ কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তাকে সাজা দেয়া অন্যায় ছিল।
মোহাম্মদী বর্তমানে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং মিথ্যা প্রচারণা ছড়ানোর অভিযোগে ১৩ বছর ৯ মাসের সম্মিলিত কারাদণ্ড ভোগ করছেন। বারবার গ্রেপ্তার ও দীর্ঘায়িত কারাবাস সত্ত্বেও তিনি মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ২০২২ সালের নারী নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভকে সমর্থন করেন। মানব ও নারী অধিকারের পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন তিনি। তার সময় অনেক নারী ইরানে হিজাবের বাধ্যবাধকতা অমান্য করেছিলেন।
কারাবাসের সময় নার্গিস মোহাম্মদীর স্বাস্থ্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালে একাধিক হার্ট অ্যাটাক ও জরুরি অস্ত্রোপচারের বিষয়টি জানিয়েছেন তার সমর্থকরা।
চলতি মাসের শুরুতে তার আইনজীবী জানান, ক্যানসার সন্দেহে একটি হাড়ের ক্ষতের কারণে তার সাম্প্রতিক অস্ত্রোপচার করা হয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য