দুর্বৃত্তদের গুলিতে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা ও আইনজীবী মণীশ শুক্লার হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসই এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, দলীয় কোন্দলের শিকার মণীশ।
তৃণমূল নেতা নির্মল মাঝি বলেন, ‘অযথা আমাদের দোষী করা হচ্ছে। সবই বদনাম করার অঙ্গ। মণীশ খুন হয়েছেন বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে।’
সোমবার সকাল থেকে মণীশ হত্যার প্রতিবাদে কলকাতার অদূরে ব্যারাকপুর মহকুমাজুড়ে চলছে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট।
গত রোববার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন সাবেক কাউন্সিলর ও স্থানীয় সংসদ সদস্য অর্জুন সিংয়ের ডান হাত বলে পরিচিত মণীশ শুক্লা। বিজেপির দলীয় কার্যালয় ও থানার কাছেই তাকে হত্যা করা হয়।
এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি পুলিশ। তাদের ভাষ্য, তদন্ত শেষ না হলে কিছু বলা যাবে না।
সামনের বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই মণীশ হত্যা রাজ্য রাজনীতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।
খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সোমবার সকালে ডেকে পাঠান রাজ্য পুলিশ প্রধান ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে। এর আগে টুইটবার্তায় তিনি মণীশ হত্যার নিন্দা জানান।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘শুক্লার নৃশংস হত্যা খুবই নিন্দনীয়। এটি পশ্চিমবঙ্গের রক্ত রঞ্জিত রাজনীতির নমুনা। রাজ্য সরকারের কাছে কি সুবিচার আশা করতে পারি ?’
খবর পেয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতারা ছুটে যান মণীশ শুক্লার বাড়িতে। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় ও সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় প্রয়াত মণীশের পরিবারকে সান্ত্বনা জানান।
নিহত মণীশের বাড়িতে শোক জানাচ্ছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়
মুকুল রায় বলেন, ‘গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্ত জরুরি। তাহলেই প্রকৃত সত্য জানা যাবে।’
সাংসদ অর্জুন সিংয়ের হুমকি, ‘মণীশ ছিল আমার ভাই। ভাইয়ের হত্যাকারীদের ছাড়ব না।’
বছর দেড়েক আগে অর্জুন সিং ছিলেন তৃণমূলের ডাকসাইটে নেতা। এখন তিনি বিজেপির সাংসদ।
শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস। তাকে সেখানে কয়েক দিন থাকতে হবে।
স্থানীয় সময় বুধবার ভ্যাটিকানের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতির বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮৬ বছর বয়সী পোপ কিছুদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, তবে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি।
বিবৃতিতে বলা হয়, হাসপাতালে কয়েক দিন তাকে উপযুক্ত মেডিক্যাল থেরাপি নিতে হবে।
এতে উল্লেখ করা হয়, রোগমুক্তি কামনা করে অনেকের বার্তা পেয়েছেন পোপ। তিনি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বিবিসিকে জানায়, ইতালির রোমের গেমেলি হাসপাতালে পোপের সঙ্গে রাত্রিযাপন করার কথা রয়েছে তার ঘনিষ্ঠতম কর্মীদের।
বছরের ব্যস্ততম সময়ে অসুস্থ হয়েছেন পোপ। ইস্টারের ছুটির আগে তাকে বেশ কিছু অনুষ্ঠান ও সার্ভিসে অংশ নিতে হবে।
এ সপ্তাহান্তে পাম সানডে ম্যাস রয়েছে। এ ছাড়া আগামী সপ্তাহে রয়েছে হলি উইক ও ইস্টার উদযাপন।
চলতি বছরের এপ্রিলের শেষের দিকে হাঙ্গেরি সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে পোপ ফ্রান্সিসের।
আরও পড়ুন:স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসেফ।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার স্কটিশ পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
দীর্ঘ পাঁচ সপ্তাহের লড়াই শেষে ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা নির্বাচিত হয়েছেন হামজা ইউসেফ। তিনি নিকোলা স্টার্জেনের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন।
এডিনবরায় দেয়া আবেগঘন বিজয়ী ভাষণে স্কটল্যান্ডের জন্য তার প্রবল আবেগ রয়েছে জানিয়ে স্বাধীনতাপন্থী দলটির নতুন এ নেতা বলেন, স্কটল্যান্ডের জনগণের স্বাধীনতা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন।
নিকোলা স্টার্জেনের উত্তরসূরি হিসেবে এসএনপির নেতৃত্ব দেবেন ইউসেফ। আট বছর দল এবং স্কটল্যান্ডের আধা-স্বায়ত্তশাসিত সরকারের নেতৃত্ব দেয়ার পর গত মাসে আকস্মিক পদত্যাগ করেন নিকোলা স্টার্জেন।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে একটি ইসলামিক সেন্টারে ছুরি হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা বলেন, সবকিছুই ইঙ্গিত করছে যে, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
এ ঘটনার পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, ইসমাইলি মুসলিম সেন্টার নামের ওই ইসলামিক সেন্টারের বাইরে সশস্ত্র অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা দাঁড়িয়ে আছেন।
এক বিবৃতিতে পর্তুগাল পুলিশে পক্ষ থেকে বলা হয়, হামলায় দুজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানায়, স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে তারা হামলার খবর পায়।
ইসমাইলি মতবাদ শিয়া মতবাদের একটি শাখা। বিশ্বের ২৫টি দেশে এই মতবাদের অনুসারীরা বাস করেন। পর্তুগালে এক কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৭ হাজার ইসমাইলি মতবাদের মানুষ রয়েছে।
আরও পড়ুন:মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর সিউদাদ জুয়ারেজের একটি অভিবাসন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৩৯ মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাতে অভিবাসন কেন্দ্রে আগুন লাগে বলে স্থানীয় সরকারি একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস এ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।
অভিবাসন কেন্দ্রটিতে আটক স্বামীর খোঁজ নিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভেনিজুয়েলার নাগরিক ভিয়াংলি। তিনি বলেন, আমার স্বামীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা কিছুই বলছে না।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ কিংবা নিহতরা কোন দেশের নাগরিক তা এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
সিউদাদ জুয়ারেজে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার একটি অন্যতম ক্রসিং পয়েন্ট। প্রতি মাসে প্রায় দুই লাখ মানুষ মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করে। এদের বেশিরভাগই মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার নাগরিক। তারা উন্নত জীবনযাপনের আশায় যুক্তরাষ্ট্র যেতে চায়।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যে একটি স্কুলে ঢুকে গুলি চালিয়ে তিন শিশুসহ ছয়জনকে হত্যা করেছে এক বন্দুকধারী।
অঙ্গরাজ্যের নাশভিল শহরে স্থানীয় সময় সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
হামলাকারী হিসেবে যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে ২৮ বছরের ওই তরুণী এই স্কুলেরই সাবেক শিক্ষার্থী। পুলিশের গুলিতে তারও মৃত্যু হয়েছে।
স্কুলে নিহত তিনজনের বয়স ৯ বছরের মতো। বাকি তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক।
নাশভিল পুলিশের মুখপাত্র ডন অ্যারন জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে পুলিশ খবর পায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্কুল ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যায়। হামলাকারীর কাছে অন্তত দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।
স্থানীয় মনরো ক্যারেল জুনিয়র চিলড্রেন হাসপাতালের মুখপাত্র জন হোসের ছয়জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণা করা হয়। নিহত বাকি তিনজন স্কুলের কর্মী।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মিসিসিপি শহরে এক বাড়িতে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন ছয়জন।
আরও পড়ুন:সৌদি আরবে বাস উল্টে আগুন ধরে অন্তত ২০ ওমরাহ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার দেশটির আসির প্রদেশের এ দুর্ঘটনায় আরও ২৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আরব নিউজ।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল-খাবারিয়া বলছে, আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় বিকেল ৪টার দিকে একটি সেতুর ওপর বাসটি উল্টে আগুন ধরে যায়। বাসের যাত্রীরা ওমরাহ পালনের উদ্দেশে মক্কায় যাচ্ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রেক কাজ না করায় সেতুর এক পাশে গিয়ে ধাক্কা খায় বাসটি। এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
সৌদি প্রেসের তথ্যানুযায়ী, ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আকাবা শারের সড়কটি প্রায় ৪০ বছর আগে পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন:
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু চাপের মুখে পড়েছেন। বিচারবিভাগে সংস্কারের এক বিতর্কিত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে গিয়ে এই চাপে পড়েছেন তিনি।
নেতানিয়াহু এবং তার ডানপন্থি সরকার এ চাপ সামাল দিতে পারবে কি না- সে প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে প্রতিবেদেন জানিয়েছে বিবিসি।
দেশটিতে প্রায় সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ করছেন, সারা দেশ জুড়ে ডাকা ধর্মঘটের কারণে বিমান ও সমুদ্র বন্দর অচল হয়ে পড়েছে, ব্যাংক ও দোকানপাটও বন্ধ। ডাক্তার ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছে।
এর আগে সংস্কারের উদ্যোগ বন্ধ করার ডাক দিয়ে বরখাস্ত হনসরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দেশটির শক্তিশালী সামরিক বাহিনীও এর বিরোধিতা করছে, এমনকি ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই পরিকল্পনা পরিত্যাগ করার জন্য।
এই বিরোধিতাকারীরা বলছেন, বিচার বিভাগে যেসব পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে- তা ইসরায়েলের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেবে।
সূত্র বলছে, তীব্র বিক্ষোভের মুখে নেতানিয়াহু শিগগিরই এ পরিকল্পনা কয়েক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করার করার কথা ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। তবে এ খবর নিশ্চিত করা যায়নি।
সোমবার সকালের দিকে, এক টুইটারে এক বার্তা পোস্ট করে নেতানিয়াহু সব পক্ষের প্রতিবাদকারীদের দায়িত্বশীল আচরণ করা এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকার ডাক দিয়েছেন।
এমন এক সময় তার এই আহ্বানের কথা জানা গেল যখন ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাতে বলেছে, খুব শিগগিরই তারা উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা আছে, কারণ উগ্র দক্ষিণপন্থি কর্মীরাও সোমবার কেনেসেটে বিক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা করেছে।
নেতানিয়াহুর বিতর্কিত পরিকল্পনায় সরকারকে বিচারক নিয়োগকারী কমিটির উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।এ ছাড়া আইনপ্রণেতাদের কেউ দায়িত্ব পালনের জন্য অযোগ্য হলে, তাকে অপসারণ করাটা আদালতের জন্য আগের চাইতে কঠিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছে। তারা মনে করেন, এ বিধানটি ক্ষমতাসীন নেতা নেতানিয়াহুর স্বার্থ বিবেচনা করে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য