ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ভোগান্তি বেড়েছে রোগী ও স্বজনদের। বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ বেড়েছে। তাদের মধ্যে দূর-দূরান্ত থেকে আসা অনেক রোগী নিয়ে জরুরি বিভাগে ভিড় করছেন স্বজনরা।
সোমবার ঢামেক হাসাপাতালের বহির্বিভাগ ঘুরে দেখা যায় রোগীর উপচেপড়া ভিড়। ব্রেইন স্ট্রোক, হৃদরোগ, মূত্র সমস্যা, পেটব্যথা, ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত, এজমাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় জরুরি বিভাগের সামনে।
দেশের সবচেয়ে বড় এই চিকিৎসা কেন্দ্রে এসে বহির্বিভাগ বন্ধ দেখে রোগীদের স্বজনরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনা, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হচ্ছেন। হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ কেন জানতে চাচ্ছেন তারা।
জবাবে আইন-শৃঙ্খলা দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা নিজেদের অপারগতা জানিয়ে বলছেন- আপনারা এই সমস্যা নিয়ে হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন।
মুন্নি হাসান নামে এক নারী রাজধানীর সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ইউরোলজি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আসেন ঢামেকে। পরে তাকে চিকিৎসা না পেয়েই ফিরে যেতে।
পিত্তে পাথর সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে ঢাকা মেডিক্যালের ১০৯ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন বংশালের শারমিন আক্তার। সোমবার তার অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এনেসথেশিয়া চিকিৎসক না আসায় তার অপারেশন হয়নি। এমন প্রায় ১০ জন অপারেশনের রোগীকে সোমবার হাসপাতাল থেকে চলে যেতে হয়েছে।
কামরাঙ্গীরচর থেকে অন্তরা আক্তার এসেছেন তার তিন বছর বয়সী সন্তান ইয়ামিনকে নিয়ে। শিশুটি শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছে। তিনি জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য বহির্বিভাগ গিয়ে দেখেন সেখানে সেবা বন্ধ। সেখান থেকে শিশুটিকে জরুরি বিভাগে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
ঢামেক বহির্বিভাগের নিরাপত্তায় দায়িত্বরত সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) ফজলুর রহমান বলেন, আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত কমপক্ষে সাড়ে পাঁচশ’ রোগীকে বহির্বিভাগ থেকে ফেরত দেয়া হয়েছে।
যেসব রোগী জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়ার মতো শুধু তাদেরকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রোগী ও সঙ্গে আসা স্বজনদের বহু বকাঝকা ও গালমন্দ খেতে হয়েছে আমাদেরকে।’
জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার থেকে আজ সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৯০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন টিকিট কাউন্টার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম।
ঢামেক হাসপাতালে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা বহির্বিবিভাগসহ বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়ে তদারকি করছেন।
হাসপাতালের গার্ড ও বিভিন্ন দায়িত্বরত কর্মচারীরা জরুরি বিভাগের প্রবেশপথে অবস্থান নিয়ে প্রবেশকারীদের চেক করে ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন। জরুরি বিভাগের ভেতরে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সামনেও সেনা সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। সেখানে বরাবরের মতোই লাইন দিয়ে টিকিট কেটে চিকিৎসক দেখাতে পারছেন রোগীরা।
কর্মবিরতি নিয়ে যা বললেন চিকিৎসক
এদিকে আজ বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকে ইন্টার্ন চিকিৎসক মো. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আয়তায় আনা হোক। এই সন্ত্রাসীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে।
‘আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আমরা ঢাকা মেডিক্যালে অবস্থান কর্মসূচি। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সমপরিসরে বহির্বিভাগে রোগীদের সেবা দেয়া হবে। তবে রুটিন সেবা বন্ধ থাকবে। ইমার্জেন্সি ইনডোর খোলা থাকবে।’
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোহাম্মদ ছিদ্দিক নামে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে।
চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে শিশুটির স্বজনরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করেছেন হাসপাতালে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা কর্মচারীদের ওপর হামলা ও ভাংচুরের এ ঘটনায় দুই সহকারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ-বিজিবিসহ স্থানীয় প্রশাসন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় রুদ্র বলেন, ‘হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। কিন্তু স্বজনরা শিশুটিকে ঘরে নিয়ে গেলে সেখানে মারা যায়। পরে স্বজনরা এসে হাসপাতালে হামলা চালায়।’
মারা যাওয়া শিশুটি টেকনাফের গোদারবিলের আবদুল জব্বারের ছেলে। শিশুটির বাবা বলেন, ‘টমটম দুর্ঘটনায় আমার ছেলেটা আহত হলে চিকিৎসার জন্য ওকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু এখানে ভুল চিকিৎসার কারণে আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তাররা আমাদের অন্য হাসপাতালে রেফার করার কথা বলেননি।’
তবে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার শাখাওয়াত হোসেন মিন্টু বলেন, ‘আহত শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিকেলে কক্সবাজারে রেফার করা হয়। কিন্তু রোগীর স্বজনরা আড়াই ঘণ্টা পর এসে শিশুটি মারা যাওয়ার কথা বলে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা হাসপাতালেও ভাংচুর করে।’
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত ৯টার দিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে শিশুটির স্বজনদের নিয়ে বৈঠকে বসেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে উপস্থিত ছিলেন- টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় রুদ্র, মেডিক্যাল অফিসার ডা. এনামুল হক, টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন ও টেকনাফ সদরের চেয়ারম্যান জিয়ার রহমান জিহাদ।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, শিশুটির মৃত্যুর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের কোনো অবহেলা ছিল না। আর স্বজনরা হাসপাতালে যে হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছেন তা-ও তারা আবেগের বশবর্তী হয়ে করেছেন। বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে। এ নিয়ে কাউকেই সুনির্দিষ্টভাবে দায়ী করা হয়নি।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর পাশাপাশ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে বুধবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৭৬, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫০, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৬, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২২৫, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৬৬ ও খুলনা বিভাগে ৯২ জন রয়েছেন।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৩৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৪, রংপুর বিভাগে ৩১ ও সিলেট বিভাগে ৪ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৩৩ হাজার ৯৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৭৪ জনের।
প্রসঙ্গত, গত ২০২৩ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান এক হাজার ৭০৫ জন।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যুর পাশাপাশি এই সময়কালে হাসপাতালে ১ হাজার ১৪৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ১৬৬ জনের মৃত্যু হলো। আর সারা দেশে মোট ৩২ হাজার ৮২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ হাজার ১১৩ জন ঢাকার বাইরে। বাকিরা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তিন হাজার ৪৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন, যাদের মধ্যে এক হাজার ৭৩৬ জন ঢাকার বাইরের।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই সময়কালে নতুন করে চারজনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যু হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন একজন।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৫২ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ডেঙ্গুতে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৫৮ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৯৪ জন রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩০ হাজার ৯৩৮ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ শতাংশ নারী।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের মো. মোস্তফা ও গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নাসিমা।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন মহিউদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মোস্তফা। রোববার রাত ২টার দিকে মারা যান তিনি। অপরদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার ভর্তি হয়েছিলেন নাসিমা। তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে মারা যান।’
মহিউদ্দিন খান জানান, ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৫ জন ভর্তি হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট ভর্তি রয়েছেন ৩২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৬ জন, মহিলা পাঁচজন ও একটি শিশু রয়েছে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২২১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম রোববার নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৮ জন। তাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
ডেঙ্গুতে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭০১ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫২০ জন রোগী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৯ হাজার ৭৮৬ জন। তোদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
মন্তব্য