ভিটামিন ‘ডি’ এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা আমরা খাবার হিসেবে যেমন গ্রহণ করি, তেমনি হরমোন হিসেবেও আমাদের শরীরে আপনা-আপনি তৈরি হয়। সূর্যের আলো গ্রহণ করে হরমোনোর মাধ্যমে শরীরে তৈরি হয় ভিটামিন ‘ডি’। এ কারণে এর আরেক নাম ‘দ্য সানশাইন ভিটামিন’।
ভিটামিন ‘এ’র মতো এই ভিটামিনটিও চর্বিতে দ্রবণীয় যা খাবার থেকে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ করে শরীরের পুষ্টির প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে। এটি আমাদের হাড়, দাঁত ও শরীরের পেশী গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সহায়ক।
মানব শরীর যখন সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসে, আলোর প্রতিক্রিয়ায় আমাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবেই হরমোন হিসেবে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি হয়।
প্রাকৃতিক খুব কম খাবারেই ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তাই খাবারের পাশাপাশি যদি শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র চাহিদা পূরণ করতে হয় তবে নির্দিষ্ট কিছু খাবার বা ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লি্মেন্ট গ্রহণ করা জরুরি।
যাদের ভিটামিন ‘ডি’র অভাব বেশি হয়
সাধারণত মার্চের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত পর্যাপ্ত সূর্যের আলো শরীরে লাগানোর মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র উৎপাদন বেশি হয়। তবে সারা বছরই সকালের মিষ্টি রোদে অন্তত ৩০ মিনিট ঘোরাঘুরি করেও দৈনন্দিন ভিটামিন ‘ডি’র চাহিদা মেটাতে পারেন।
যারা বাইরে ঘোরাঘুরি কম করেন, তাদের শরীরে এ ভিটামিনটির অভাব বেশি দেখা যায়। আবার সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে যারা বাইরে বের হন, তাদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তবে বাড়ির মধ্যে থেকে সকালের রোদ গায়ে লাগালে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।
অন্যদের তুলনায় শিশু, গর্ভবতী ও বুকের দুধ পান করান এমন মায়েদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র প্রয়োজনীয়তা বেশি। তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট খাবার ও ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে এ ভিটামিনের ভারসাম্য আনতে হবে।
শরীর নিজে থেকেই এই ভিটামিনটি তৈরি করলেও আরও কয়েকটি বিষয় রয়েছে যাতে শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি হতে পারে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-
ভিটামিন ‘ডি’র অভাবজনিত লক্ষণ
হাইপোক্যালসেমিয়া, ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ ও হাইপার প্যারাথাইরয়েডিজমের কারণ হতে পারে ভিটামিন ‘ডি’র দীর্ঘস্থায়ী ঘাটতি।
চলুন জেনে নেই কোন কোন লক্ষণ দেখে বোঝা যাবে আপনার শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র অভাব রয়েছে-
বেশি ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণের ফল
শরীরের জন্য অবশ্যই ভিটামিন ভিটামিন ‘ডি’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে অতিরিক্ত ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
অতিরিক্ত ভিটামিন ‘ডি’র ফলে শরীরে তৈরি হতে পারে বিষক্রিয়া। এর ফলে দেখা দিতে পারে ক্ষুধামন্দা, ওজন হ্রাস, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, শরীরে রক্তনালীর সমস্যার মতো শারীরিক জটিলতা।
আবার অনেকদিন ধরে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে। এতে হাড়, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
একজন সাধারণ মানুষের শরীরে প্রতিদিন ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ‘ডি’ই যথেষ্ট। তবে এর অন্যথা হলে চিকিৎকের পরমর্শ না নিয়ে কোনোভাবেই ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিৎ নয়।
তবে বলে রাখা ভালো, বেশি সূর্যের আলো শরীরে লাগলেও শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন হয় না। তাই যারা রোদে কাজ করেন, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
যেসব খাবারে পাবেন ভিটামিন ‘ডি’
প্রকৃতিতে খুব কম খাবারেই ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তবে তেলযুক্ত মাছ, লাল মাংস, কলিজা, ডিমের কুসুম, কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন: সিরিয়াল জাতীয় খাবার, কমলার জুস ও টুনা মাছে সল্প পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। স্বাস্থ্য সেক্টরে আমরা নানা রকম যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি, এইসব যন্ত্রপাতিও জলবায়ুবান্ধব হওয়া উচিত। তা না হলে চিকিৎসা সেবায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।’
মঙ্গলবার দুপুরে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন-২০২৩ (কপ ২৮)-এর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এটিএসিএইচ কর্তৃক আয়োজিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ: সাপ্লাই চেইন’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
বিগত দশকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন এবং জলবায়ুবান্ধব যন্ত্রপাতি কেনা, সাপ্লাই এবং ব্যবহারের কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ব স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিনির্মাণে বিজ্ঞানসম্মত এবং যেসব যন্ত্রপাতি জলবায়ুর ক্ষতি করে না সেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি ডব্লিউএইচও এবং এটিএসিএইচকে জলবায়ুবান্ধব যন্ত্রপাতি সাপ্লাই এবং হাসপাতাল বিনির্মাণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
এরপর তিনি বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘স্যালিনিটি কিউসড বাই ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ইটস ইম্প্যাক্ট অন এনসিডিএস অ্যান্ড এসআরএইচআর’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির। তিনি তার উপস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তন, বিশেষ করে, উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা এবং এর প্রভাবে এসব এলাকায় অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া এর প্রভাবে গর্ভবতী মায়েদের নানা রকম সমস্যা হয়, যার কারণে উপকূলীয় এলাকায় মাতৃমৃত্যু বেড়ে যায় বলে জানান।
মন্ত্রী বলেন ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পরিবর্তন, বিশেষ করে, লবণাক্ততা বেড়ে যায়। এর ফলে নানা ধরনের রোগ বৃদ্ধি পায়। এতে বিশেষ করে অসংক্রামক রোগ এবং মহিলা ও নারীদের নানা স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে। তার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ নিয়েছে।’
এক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। মন্ত্রী উন্নয়ন সহযোগীদের জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিনির্মাণে আর্থিক সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
এ সময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যখাতের অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব কমাতে হবে।’
সে সময় এবং এসব রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সচিব স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মামুনুর রশিদ এবং আরও অনেকে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সুইডেন অ্যাম্বাসি, ঢাকা ফার্স্ট সেক্রেটারি ডেনিয়েল নোভাক। অনুষ্ঠানে প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন মিস খুশবু পাওডেল, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর, আইপাস, নেপাল এবং ডা. হুসাইন রশিদ, আঞ্চলিক উপদেষ্টা, ওয়াশ, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
উল্লেখ্য, ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত দুবাইয়ে জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩ (কপ-২৮) অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন:সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬৬৯ জন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি হয়েছে এক হাজার ৬৩৯ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে মঙ্গলবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সােমবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬৬৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১২৪ এবং ঢাকার বাইরের ৫৪৫ জন।
চলতি বছরের ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন লাখ ১৫ হাজার ৫৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ আট হাজার ৫২৮ জন। ঢাকার বাইরে আরও দুই লাখ ছয় হাজার ৫২৯ জন আক্রান্ত হন।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন তিন লাখ ১০ হাজার ৭৫১ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৬ হাজার ৮২৫ আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ তিন হাজার ৯২৬ জন রয়েছেন।
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬৮২ জন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি হয়েছে এক হাজার ৬৩৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে সোমবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬৮২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৩৫ এবং ঢাকার বাইরের ৫৪৭ জন।
চলতি বছরের ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন লাখ ১৪ হাজার ৩৮৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ আট হাজার ৪০৪ জন। ঢাকার বাইরে আরও দুই লাখ ৫ হাজার ৯৮৪ জন আক্রান্ত হন।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন তিন লাখ ১০ হাজার ৬৫ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৬ হাজার ৬৭১ আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ তিন হাজার ৩৯৪ জন রয়েছেন।
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৭৪২ জন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি হয়েছে এক হাজার ৬৩২ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে রোববার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয় ৭৪২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৫৬ এবং ঢাকার বাইরের ৫৮৬ জন।
চলতি বছরের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন লাখ ১৩ হাজার ৭০৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ আট হাজার ২৬৯ জন। ঢাকার বাইরে আরও দুই লাখ ৫ হাজার ৪৩৭ জন আক্রান্ত হন।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন তিন লাখ ৯ হাজার ১০৪ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৬ হাজার ৪৭০ আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ দুই হাজার ৬৩৪ জন রয়েছেন।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬২৮ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৬৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে শুক্রবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৩ হাজার ৩৫৮ জন ডেঙ্গুরোগী।
এতে আরও বলা, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ লাখ ১২ হাজার ৩৫৯ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৭ হাজার ৯৭৪ জন ও ঢাকার বাইরে ২ লাখ ৪ হাজার ৩৮৫ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৬২২ জন। এর মধ্যে বাসিন্দা ঢাকার ৯৩৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৮৫ জন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৭৭ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটির ১৪৪ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরে ৭৩৩ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ হাজার ৪৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ লাখ ১১ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৭ হাজার ৮৩৬। ঢাকার বাইরে ২ লাখ ৪ হাজার ৫৫ জন।
সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ লাখ ৫ হাজার ৯৯১ ও ঢাকার বাইরে ২ লাখ ৭৯৯ জন।
গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৮১ জন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শিশু স্নায়ুরোগের সেবায় ইএমজি সেবা ও নিউরো-মাসকুলার ডিজঅর্ডার ক্লিনিক উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা) ও শিশু নিউরোলজী বিভাগে প্রধান অতিথি হিসেবে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এর উদ্বোধন করেন।
এসব চালু করার মাধ্যমে শিশু স্নায়ু রোগীদের চিকিৎসা ও গবেষণার জন্য নতুন একটু দ্বার উন্মোচিত হলো। নার্ভ কনডাকশন স্টাডি (এনসিএস) ও ইলেকেট্রোমায়োগ্রাম (ইএমজি) পরীক্ষার মাধ্যমে শিশুদের স্নায়ুরোগ ও মাংসপেশির রোগ সনাক্ত করনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক বলেন, ‘আজ ইনিস্টিটিউট-অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিসঅর্ডার এন্ড অটিজম (ইপনা) ও শিশু নিউরোলজি বিভাগের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। ইপনায় সেবা নিতে আসা বিশেষ শিশুরা বেশ সংবেদনশীল। তাদের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। চিকিৎসকরা যেমন বিশেষ শিশুদের যত্ন দেবেন, তার চেয়ে বেশী সেবা পরিজনদের মাধ্যমে দিতে হবে। এতে বিশেষ শিশুরা দেশের সম্পদে পরিণত হবে। বিশেষ শিশুদের মেধার বিকাশে কাজ করছে ইপনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিশু স্নায়ুরোগীসহ সকল বিভাগে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা প্রদানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন বেশ মনোযোগী। শিশুদের ¯স্নায়ুরোগীদের সেবার জন্য বিশ্বে যে ধরনের সেবা দেয়া হয় সেটিও এখানে দেয়া হচ্ছে। সামনে আরও উন্নতমানের সেবা দেবার লক্ষে আমরা কাজ করছি।’
এ সময় ইপনার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আক্তার, শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা, অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, অধ্যাপক ডা. সাঈদা তাবাস্সুম আলম, সহকারী অধ্যাপক ডা. বিকাশ চন্দ্র পাল, সহকারী অধ্যাপক ডা. সানজিদা আহমেদ, অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ প্রমখসহ বিভাগের সকল ফ্যাকালটি ও চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য