× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
Apheresis a major life saver in dengue epidemics
google_news print-icon
এফেরেসিস সচেতনতা দিবস-২০২৩ পালিত

এফেরেসিস: ডেঙ্গু মহামারিতে জীবন রক্ষায় বড় সহায়

এফেরেসিস-ডেঙ্গু-মহামারিতে-জীবন-রক্ষায়-বড়-সহায়
এফেরেসিস প্রযুক্তির মাধ্যমে ডোনার থেকে রক্তের প্লাটিলেট সংগ্রহ। ছবি: সংগৃহীত
এফেরেসিস বা প্লাটিলেট মেশিন দিয়ে একজন ডোনারের শরীর থেকে ২৫০ মিলিলিটারের মতো রক্ত টেনে নিয়ে যন্ত্রের মাধ্যমে প্রসেসিং করে প্লাটিলেট বের করে নেয়া হয়। আর টেনে নেয়া রক্তের বাকি অংশটুকু পুনরায় ডোনারের শরীরে পুশ করে দেয়া হয়।

বেসরকারি চাকুরে হাসান সাহেবের স্ত্রী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর মগবাজারের কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি। জ্বর কমে যাওয়ার পর রোগীর রক্তের প্লাটিলেট কমতে কমতে এক পর্যায়ে মাত্র ১০ হাজারে নেমে আসে।

জরুরিভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন। অথচ কোনো ডোনারের তথ্য জানা নেই। কারণ স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এবি-নেগেটিভ। নানামুখী তৎপরতায় একজন ডোনার পাওয়া যায়।

ওদিকে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়ে দিয়েছেন, চারজন ডোনার থেকে এক ব্যাগ করে চার ব্যাগ রক্ত যোগাড় করে তা থেকে এক ব্যাগ প্লাটিলেট বের করে রোগীর শরীরে দ্রুত পুশ করতে হবে।

নেগেটিভ গ্রুপের এই রক্তের একজন ডোনারই যোগাড় হয় না, সেখানে চারজন কোথা থেকে মিলবে? এমন দিশেহারা অবস্থায় তাকে ওই ডোনার জানান, তিনি একটাই প্রয়োজনীয় প্লাটিলেট দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন এফেরেসিস মেশিন। ওই মেশিনের মাধ্যমে একজন ডোনার থেকেই এক ব্যাগ প্লাটিলেট নেয়া যাবে।

শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে থাকা এফেরেসিস মেশিন বা প্লাটিলেট মেশিন দিয়ে ওই ডোনার থেকেই প্রয়োজনীয় প্লাটিলেট সংগ্রহ করা হয়।

এফেরেসিস কী?

বর্তমানে এফেরেসিস প্লাটিলেট ডেঙ্গু রোগীদের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিশেষ করে যেসব ডেঙ্গু রোগীর এফেরেসিস প্লাটিলেট প্রয়োজন হয় তাদের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই প্রযুক্তি।

এফেরেসিস বা প্লাটিলেট মেশিন দিয়ে একজন ডোনারের শরীর থেকে ২৫০ মিলিলিটারের মতো রক্ত টেনে নিয়ে যন্ত্রের মাধ্যমে প্রসেসিং করে প্লাটিলেট বের করে নেয়া হয়। আর টেনে নেয়া রক্তের বাকি অংশটুকু পুনরায় ডোনারের শরীরে পুশ করে দেয়া হয়।

অবশ্য ব্যয়টা একটু বেশি, একজন ডোনার থেকে প্রয়োজনীয় প্লাটিলেট বের করে নিতে ২০/২২ হাজার টাকা লাগে। আর খোদ রাজধানীতেই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মিলে হাতেগোনো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এই অত্যাধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তির সুবিধা রয়েছে।

এফেরেসিস: ডেঙ্গু মহামারিতে জীবন রক্ষায় বড় সহায়
‘বিশ্ব এফেরেসিস সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিএসএমএমইউ-তে শোভাযাত্রা বের করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা

এফেরেসিস দিবস পালন

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপ চলছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তিন হাজারেরও বেশি রোগী। মৃত্যুর সংখ্যাও থাকছে প্রায় ২০-এর ঘরে। মুমূর্ষু রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় রক্তের সন্ধানে হাসপাতালগুলোতে রোগী রেখে স্বজনরা ছুটছেন বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংকে। হয়রানির চূড়ান্ত হয়ে সময়মতো রক্তের যোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

ডেঙ্গু মহামারির এমন বাস্তবতায় বিশ্বের অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও মঙ্গলবার পালন করা হয়েছে ‘বিশ্ব এফেরেসিস সচেতনতা দিবস’।

আমেরিকান সোসাইটি ফর এফেরেসিস প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার বিশ্ব এফেরেসিস সচেনতা দিবস পালনের নির্দেশনা দিয়ে থাকে। এফেরেসিস ডোনার এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও অন্যদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনই দিবসটি পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে উক্ত দিবসটি পালিত হয়েছে।

এদিন সকাল ৯টায় বিএসএমএমইউতে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা। বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।

বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। পরে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের ক্লাস রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘প্রতিটি দিবসের উদ্দেশ্য থাকে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৮ অক্টোবর ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ উদ্বোধন করেছিলেন।

‘বঙ্গবন্ধু জনসাধারণকে রক্তদানে এগিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। একই ভাবনা থেকে তিনি রক্ত নিয়ে গবেষণায় জোর দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিএসএসএমইউ’র শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রক্ত নিয়ে অনেক গবেষণা করে চলেছেন। ফলে রক্তের মাধ্যমে বর্তমানে অনেক জটিল রোগের সেবা বাংলাদেশেই দেয়া সম্ভব হচ্ছে।’

মানুষকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘রক্তদানে কোনো ক্ষতি নেই। বরং রক্ত দিলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তবে রক্তদানের ক্ষেত্রে নিরাপদ রক্ত সঞ্চালনের বিষয়টিও মনে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ রক্তদানের আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে।’

অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে বিভাগে আরও অত্যাধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা যোগ করা হচ্ছে। সে সুবাদে রক্তরোগে আক্রান্ত কোনো রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আর দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।’

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক ডা. আয়েশা খাতুন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আতিয়ার রহমান, সহকারী অধ্যাপক ডা. সোনিয়া শারমিন, গবেষণা সহকারী ডা. খান আনিসুল ইসলাম, মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফিরোজা বেগম, ডা. সুর্বণা সাহা, ব্লাড প্রোগ্রাম অফিসার ডা. নাদিয়া শারমিন তৃষা, কাউন্সিলর ও মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক সুব্রত বিশ্বাস, চিফ রেসিডেন্ট ডা. খাদিজাতুল কোবরা, সিনিয়র রেসিডেন্ট ডা. মেহেদী হাসান, ডা. রনি রায় প্রমুখ।

এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রী, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের এফেরেসিস ইউনিটে ১০ বছর ধরে এফেরেসিস প্লাটিলেট সেবা দেয়া হচ্ছে। এই বিভাগ থেকে করোনা মহামারির সময়ে কনভালেসেন্ট প্লাজমা সংগ্রহ করে তা কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া বন্ধ্যাত্বসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের জন্য স্টেম সেল সংগ্রহ এবং চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
‘ঢাকা দক্ষিণে ডেঙ্গু রোগী দৈনিক ৫০-৫৪ জনে সীমাবদ্ধ’
ডেঙ্গুতে আরও ১৪ প্রাণহানি, হাসপাতালে ২৫৯৮
ডেঙ্গুতে প্রাণ নিল আরও ১২ জনের
দক্ষিণ সিটির দুই ওয়ার্ড ডেঙ্গুর ‘রেড জোন’
ডেঙ্গুতে আরও ১১ মৃত্যু, হাসপাতালে ২৬৬৩

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
10 people died in the country due to dengue in one day 996 in the hospital

ডেঙ্গুতে দেশে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯৬

ডেঙ্গুতে দেশে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯৬ ফাইল ছবি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৬৩ হাজার ১৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩১০ জনের।

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একদিনে দেশে দশজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে শনিবার সন্ধ্যায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৪ জন ও উত্তর সিটিতে একজন রয়েছেন। এছাড়া বরিশাল বিভাগে তিনজন এবং খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭১, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৯, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৭২, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৮০ এবং খুলনা বিভাগে ৮১ জন রয়েছেন।

এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ২১, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০, রংপুর বিভাগে ২ ও সিলেট বিভাগে ৫ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৭৯১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৭২৯ জন ডেঙ্গু রোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৬৩ হাজার ১৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩১০ জনের। প্রসঙ্গত, গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান এক হাজার ৭০৫ জন।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে চলতি বছরের দশ মাসে ৩০০ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও সাত মৃত্যু, হাসপাতালে ১২৪৩
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ছয়জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৩১২
দেশে ডেঙ্গুতে আরও তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৯৭
আরও ছয়জনসহ ডেঙ্গুতে চলতি বছরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭৭

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Dengue has killed 300 people in ten months of this year

ডেঙ্গুতে চলতি বছরের দশ মাসে ৩০০ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গুতে চলতি বছরের দশ মাসে ৩০০ জনের মৃত্যু ফাইল ছবি।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬২ হাজার ১৯৯ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিনশ’।

শুক্রবার (১ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৮২ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১১ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১৭১ জন রোগী।

চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬২ হাজার ১৯৯ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে আরও সাত মৃত্যু, হাসপাতালে ১২৪৩
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ছয়জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৩১২
দেশে ডেঙ্গুতে আরও তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৯৭
আরও ছয়জনসহ ডেঙ্গুতে চলতি বছরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭৭
দেশে ডেঙ্গুতে আরও দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৬১

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Seven more deaths in dengue hospital 1243

ডেঙ্গুতে আরও সাত মৃত্যু, হাসপাতালে ১২৪৩

ডেঙ্গুতে আরও সাত মৃত্যু, হাসপাতালে ১২৪৩ ফাইল ছবি।
দেশে এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ২৯৭ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ হাজার ৮১৭ জন।

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মারা যাওয়া সাতজনই পুরুষ। তাদের মধ্যে একজন বরিশাল বিভাগের, দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের, একজন খুলনা বিভাগের, দুজন ময়মনসিংহ বিভাগের এবং একজন রংপুর বিভাগের।

দেশে এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ২৯৭ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ হাজার ৮১৭ জন।

আরও পড়ুন:
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ছয়জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৩১২
দেশে ডেঙ্গুতে আরও তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৯৭
আরও ছয়জনসহ ডেঙ্গুতে চলতি বছরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭৭
দেশে ডেঙ্গুতে আরও দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৬১
ডেঙ্গুতে আরও ৭ মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৩৮

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Renowned liver specialist Mobin Khan passed away

চলে গেলেন প্রখ্যাত লিভার বিশেষজ্ঞ মবিন খান

চলে গেলেন প্রখ্যাত লিভার বিশেষজ্ঞ মবিন খান প্রখ্যাত লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মবিন খান। ছবি: সংগৃহীত
দেশের প্রখ্যাত লিভার বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশে হেপাটোলজির জনক হিসেবে খ্যাত অধ্যাপক ডা. মবিন খান বার্ধক্যজনিত রোগ ছাড়াও ডায়াবেটিস ও পারকিনসন রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

দেশের প্রখ্যাত লিভার বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশে হেপাটোলজির জনক হিসেবে খ্যাত অধ্যাপক ডা. মবিন খান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও হেপাটোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মবিন খান লিভার সেন্টার কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, অধ্যাপক ডা. মবিন খান শারীরিক নানা অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বার্ধক্যজনিত রোগ ছাড়াও ডায়াবেটিস ও পারকিনসন রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।

হেপাটোলজি সোসাইটির ওয়েবসাইটে ডা. মবিন খানকে ‘ফাদার অফ হেপাটোলজি ইন বাংলাদেশ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

অধ্যাপক ডা. মবিন খানের জন্ম ১৯৪৯ সালে। লিভার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ হেপাটোলজি সোসাইটির সভাপতি তিনি। দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লিভার রোগ গবেষণায় তার বিশেষ অবদান রয়েছে।

আরও পড়ুন:
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী সুজেয় শ্যামের মৃত্যু
চলে গেলেন মতিয়া চৌধুরী
অভিনেতা জামালউদ্দিন হোসেনের মৃত্যু

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
6 Name of medical college except Bangabandhu Sheikh Hasina

৬ মেডিক্যাল কলেজের নাম পরিবর্তন, বাদ বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার নাম

৬ মেডিক্যাল কলেজের নাম পরিবর্তন, বাদ বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো। ফাইল ছবি
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখা) এক প্রজ্ঞাপনে বুধবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।

দেশের ছয়টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

এর মধ্যে একটি থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং দুইটি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখা) এক প্রজ্ঞাপনে বুধবার রাতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ থেকে কর্নেল মালেকের নাম বাদ দিয়ে ‘মানিকগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ’ নামকরণ করা হয়েছে।

একইভাবে আবদুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ নোয়াখালীর বর্তমান নাম ‘নোয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ’।

শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ, জামালপুরের বর্তমান নাম ‘জামালপুর মেডিক্যাল কলেজ’।

শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ, টাঙ্গাইলের বর্তমান নাম ‘টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ’।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ, ফরিদপুরের বর্তমান নাম ‘ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ’।

এম. আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ, দিনাজপুরের বর্তমান নাম ‘দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ’।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সারোয়ার বারী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

আরও পড়ুন:
কাস্টমস কমিশনার এনামুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
তাজউদ্দীন হাসপাতালে সাংবাদিক প্রবেশ ছবি তোলায় ‘লাগবে অনুমতি’
সিলেটসহ তিন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা
সুনামগঞ্জে আট লাখ মানুষ পানিবন্দি
আশ্রয়কেন্দ্রে খাদ্য সংকটে সুনামগঞ্জের বানভাসী মানুষ

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Saima Wazed Inactive Govts letter to WHO to act directly

সায়মা ওয়াজেদ ‘নিষ্ক্রিয়’, সরাসরি কাজ করতে ডব্লিউএইচও-কে সরকারের চিঠি

সায়মা ওয়াজেদ ‘নিষ্ক্রিয়’, সরাসরি কাজ করতে ডব্লিউএইচও-কে সরকারের চিঠি বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে অকার্যকর। এছাড়া তিনি পতিত স্বৈরাচার সরকারের পরিবারের সদস্য। পাশাপাশি একাধিক ফৌজদারি মামলা এবং আর্থিক অপরাধে অভিযুক্ত থাকায় সরকার এই চিঠি পাঠিয়েছে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ বর্তমানে ‘নিষ্ক্রিয়’ থাকায় তাকে ছাড়াই সরাসরি কাজ করার জন্য সংস্থাটিকে চিঠি পাঠিয়েছে সরকার।

বুধবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর একথা জানান।

তিনি বলেন, ‘ডব্লিউএইচও-র আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে অকার্যকর। এছাড়া তিনি পতিত স্বৈরাচার সরকারের পরিবারের সদস্য। পাশাপাশি একাধিক ফৌজদারি মামলা এবং আর্থিক অপরাধে অভিযুক্ত থাকায় সরকার এই চিঠি পাঠিয়েছে।’

উপ-প্রেস সচিব বলেন, ‘সরকার চিঠির মাধ্যমে ডব্লিউএইচও-কে জানিয়েছে যে বাংলাদেশ যেন সায়মা ওয়াজেদের মাধ্যম ছাড়াই সরাসরি সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে এবং এ বিষয়ে ডব্লিউএইচও-কে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যেহেতু ডব্লিউএইচও তাদের আঞ্চলিক পরিচালক নিয়োগ করে, তাই বাংলাদেশকে আঞ্চলিক পরিচালকের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে ডব্লিউএইচওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘সায়মা ওয়াজেদ পতিত স্বৈরাচারীর পরিবারের সদস্য এবং তিনি দেশের জন্য তার সর্বোত্তম চেষ্টা করবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘এটি একটি নৈতিক বিষয়। কারণ সায়মা ওয়াজেদ আর্থিক অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত এবং তার ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দ করা হয়েছে।

‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তার অপরাধ তদন্ত করছে। তাই তার সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়।’

সরকার ডব্লিউএইচওর সঙ্গে সরাসরি কাজ করতে আগ্রহী এবং সংস্থাটি এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে সে সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করার অনুরোধ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শফিকুল আলম।

‘ডিসি নিয়োগে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ সত্য নয়’

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘দৈনিক কালবেলার একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সরকার জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ তদন্তে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে, যেখানে দেখা গেছে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সত্য নয়।’

তিনি বলেন, ‘এখন সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ- দৈনিক কালবেলা প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে যেন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’

আরও পড়ুন:
ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্ব নিলেন সায়মা ওয়াজেদ

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
HPV vaccination is not associated with infertility

‘এইচপিভি টিকার সঙ্গে বন্ধ্যত্বের সম্পর্ক নেই’

‘এইচপিভি টিকার সঙ্গে বন্ধ্যত্বের সম্পর্ক নেই’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, ‘গতকাল একটি কেন্দ্রে টিকা নেয়ার পর দুজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তা দেখে আরও কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে প্রাথমিকভাবে রোগটি ম্যাস সাইকোজেনিক ইলনেস ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে।’

এইচপিভি টিকার সঙ্গে বন্ধ্যত্বের কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া টিকা কার্যক্রমের সঙ্গে ধর্মীয় অনুশাসনেরও কোনো নেতিবাচক সম্পর্ক নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এমন তথ্য জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের গুজব ও প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতনভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে চলমান এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪ নিয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. মো. আবু জাফর বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) একটি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম চলাকালে হঠাৎ টিকা নেয়ার পর দুজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের অসুস্থ হওয়া দেখে পরবর্তীতে আরও কয়েকজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

‘বর্তমানে এদের সবাই সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। আর পাঁচজন ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি হলেও তারা কোনো টিকা নেননি। প্রাথমিকভাবে রোগটি ম্যাস সাইকোজেনিক ইলনেস ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘সাধারণত যে কোনো টিকা দেয়ার পর খুবই নগণ্যসংখ্যক টিকাগ্রহণকারীর শরীরে সাময়িক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তখন টিকা গ্রহণকারী শুয়ে বিশ্রাম নিলে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ভালো বোধ করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর ৬২ লাভ ১২ হাজার ৫৩২ জনকে এইচপিভি টিকাদানের টার্গেট রয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৮ লাখ ১৭ হাজার ৩২৬ জনকে টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে, যা মোট টার্গেটের ৩১ শতাংশ। এর মধ্যে সাতটি বিভাগে মাত্র ২৭১ জনের শরীরে জ্বর, ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে, যেটা সংখ্যার বিচারে খুবই নগণ্য।

ডা. মো. আবু জাফর আরেকটি বিষয়ের উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে এই টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা- cervarix (GSK, Belgium) বেলজিয়ামে উৎপাদিত হয়। সারা পৃথিবীতে ১৪০টি দেশে এই টিকা ব্যবহৃত হচ্ছে। তার মধ্যে ১৪টি মুসলিম দেশ (সৌদি আরব, কাতার, ইউএই, মালয়েশিয়া, মরোক্ক, কুয়েত, মালদ্বীপ উল্লেখযোগ্য) অন্তর্ভুক্ত।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিএএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের অন্যতম সফল কার্যক্রম-ইপিআই এর মাধ্যমে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে ২০২৩ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ঢাকা বিভাগের ১৩টি জেলা ও চারটি সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রথম পর্যায়ে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৩ অত্যন্ত সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায়, অবশিষ্ট অন্য সাতটি বিভাগ এবং আটটি সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাসরত ১০-১৪ বছর বয়সী সব কিশোরীর মাঝে অত্যন্ত কার্যকর ও নিরাপদ এইচপিভি টিকা প্রদানের লক্ষ্যে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪ কার্যক্রম ২৪ অক্টোবর শুরু হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ডা. মো শিব্বির আহমেদ ওসমানী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মো. রিজওয়ানুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ডা. এ বি এম আবু হানিফসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
দেশে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী টিকা দেয়া শুরু

মন্তব্য

p
উপরে