পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি এলাকার সাত হাজারেরও বেশি মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়েছেন। ঢাকাস্থ শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে রোববার সকাল থেকে দিনব্যাপী শ্রীবরদীর হাসধরা হালিমা আহসান টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
সমিতির সভাপতি ও সাবেক সিনিয়র সচিব সমুদ্র বিজয়ের নায়ক খোরশেদ আলম কালা বিনামূল্যের চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন। এ সময় জাতীয় সংসদের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির একান্ত সচিব ও সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আশরাফ আলী, ইবনে সিনা হসপিটালের চিফ কার্ডিয়াক সার্জন ডা. জাকির হোসেন, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শরিফুল ইসলাম ও লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাসানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়ে খুশি স্থানীয়রা।
চিকিৎসা সেবা নেয়ার পর স্থানীয় রহিমা বেগম বলেন, ‘আমরা টেহার অভাবে বালা ডাক্তার দেহাবার পাইনে। আজ দেহাইলাম। ওষুধও নিলাম। টেহা নাগে নাই। খুব খুশি অইছি।’
আরেক সেবাগ্রহীতা সাহেদা খাতুন বলেন, ‘অনেকদিন দইরে শরিরডা খারাপ। বালা ডাক্তার শ্রীবরদী নাই। আজ আমি বাড়ির কাছে বড় ডাক্তার বিনা টেহায় দেহাইলাম।’
শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অবহেলিত এলাকায় বড় বড় ২৮ জন ডাক্তার আইসা বিনামূল্যে চিকিৎসা দিলো, ঔষধ দিলো। এতে আমরা খুব খুশি।’
ড. আশরাফ আলী বলেন, ‘আমরা অবহেলিত মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। আমরা বিনামূল্যের চিকিৎসা সেবা জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌঁছাবো।’
খোরশেদ আলম কালা বলেন, ‘আমাদের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি এলাকার মানুষ অবহেলিত। তাই আমরা আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে এ অঞ্চলের ২৮ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিলাম। আমাদের এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৭৯৯ জন রোগী।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৮২ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১১৭ জন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ১৯৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে দুই হাজার ৯৪০ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ২৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত দুই লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৫ হাজার ১৪০ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন এক লাখ ২৬ হাজার ৫৪৩ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই লাখ এক হাজার ৪৫৫ জন। ঢাকায় ৮১ হাজার ৬৮৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯১৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চলতি বছর দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল এক হাজার ৩০ জনে।
আরও পড়ুন:বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯ লাখ ২২ হাজার ৩৭২।
এদিকে সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৪৬ জন। খবর ইউএনবির
বিশ্বব্যাপী করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৬ কোটি ৮০ লাখ ৬৬ হাজার ৫১৪ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্তের সংখ্যা ১০ কোটি ৮৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬০৫। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছে মোট ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৯৩ জন। মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে দেশটি।
ভারতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার ৮৭৪। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৯৩০ জনে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, দেশে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। ওই সময় নতুন করে সাত জনের শরীরে এ ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ও শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৭৪১ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ৫৯৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬০৭ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯৮৯ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৯ হাজার ২৮৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ১২০ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ১৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৮ হাজার ৮৮৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৪ হাজার ৪৫৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৪২৬ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮৪ জন। ঢাকায় ৮০ হাজার ৬৮৩ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯০১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১০১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নারী ৫৭৭ জন ও পুরুষ ৪৪০ জন।
আরও পড়ুন:দৈনন্দিন বিভিন্ন বিষয়ের খোঁজ-খবর রাখতে পত্রিকা পড়া মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। খবর পড়ার পরও পত্রিকার রয়েছে বহুমুখী ব্যবহার। বিশেষ করে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার বিক্রিতে খবরের কাগজের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি।
ঝালমুড়ি হোক বা সিঙ্গাড়া, লুচি থেকে পুরি বা রোল, পত্রিকায় পেঁচিয়ে খাবার দেয়ার চল আমাদের উপমহাদেশে বেশ পুরনো। আগে কলাপাতা কিংবা পদ্মপাতায় এসব খাবার বিক্রি করা হলেও কালের আবর্তে সেই স্থানটি দখল করেছে পুরনো খবরের কাগজ।
রাস্তার পাশে তৈরিকৃত খাবার খেলেও অনেকেই দোকানের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বাছবিচার করেন। কিন্তু কোনোরকম চিন্তা ছাড়াই কাগজে মোড়ানো খাবার খেতে শুরু করে দেন। তেলে ভাজা খাবার থেকে তেল কমাতেও অনেকে এই কাগজগুলো ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এগুলো করতে গিয়ে খাবারের স্বাস্থ্যগত মান কোথায় যাচ্ছে, তা খেয়াল করেন না কেউ।
গবেষণা থেকে জানা যায়, বছরের পর বছর ধরে খবরের কাগজের মোড়কে খাবার খাওয়ার এই চল একেবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এতে প্রতিনিয়ত শরীরে ঢুকছে বিষ।
আসলে পত্রিকা ছাপতে যে কালি ব্যবহার করা হয়, মূলত তাতেই সমস্যা। এ কালিতে থাকে ন্যাফথাইলামাইন, অ্যারোম্যাটিক হাইড্রোজেন ও কার্বন যৌগের মতো বায়ো-অ্যাকটিভ পদার্থ। খবরের কাগজে পেঁচিয়ে রাখা খাবারে এসব যৌগ সহজেই মিশে যায়। আর দীর্ঘদিন এগুলো শরীরে ঢুকলে দেখা দিতে পারে বিষক্রিয়া বা বিষক্রিয়ার প্রভাবে সৃষ্ট বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা।
তাই গবেষণা বলছে, ভাজাপোড়া থেকে যে তেল বের হয়, তা কালির সঙ্গে মিশে গিয়ে মারাত্মক বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।
ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম কারণ এই পত্রিকায় ব্যবহৃত কালি। অন্তত এমনই দাবি বিজ্ঞানীদের। এক্ষেত্রে, কালিতে থাকা কার্বন যৌগ বেঞ্জোপাইরিনকে দায়ী করেন তারা।
এছাড়া খবরের কাগজে ব্যবহৃত কালি মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি করে। কালিতে থাকা অ্যামিনোবিফিনাইল, বেনজিডিন ও ন্যাফথাইলামাইন মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান উপাদান।
শুধু ক্যান্সার নয়, এ কালি শরীরে ঢুকে একাধিক রোগের কারণ হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে- খবরের কাগজে ব্যবহৃত রং, পিগমেন্ট, প্রিজারভেটিভ, রাসায়নিক, প্যাথজেনিক মাইক্রো অরগ্যানিজম পেটে গেলে হজমের সমস্যা হয়। এছাড়া হার্টের অসুখ, কিডনির অসুখ, লিভার-ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, হাড় দুর্বল হওয়ার মতো একাধিক সমস্যার কারণও এই কালি। কালিতে থাকা ন্যাফথাইলামাইন যৌগ শরীরে প্রবেশ করলে যৌনজীবনের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ন্যাফথাইলামাইনের কারণে সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা কমে যায় বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
তবে শুধু কালিই ক্ষতিকর নয়, সংবাদপত্র প্রিন্ট থেকে শুরু করে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার প্রক্রিয়ায় অনেকভাবে সেগুলো দূষিত ও ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয়। ফলে খবরের কাগজে পেঁচানো খাবার খেলে শরীরে বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
তাই নিজে সুস্থ থাকতে চাইলে কাগজে মোড়ানো খাবার খাওয়া বন্ধ করতে চেষ্টা করুন। একটু সচেতন হলে সুস্থ থাকার প্রক্রিয়ায় অনেকটা এগিয়ে থাকবেন আপনি।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী এমআরএনএ টিকা উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখা গবেষণার জন্য চিকিৎসায় এ বছরের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দুই গবেষক।
নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, নিউক্লিওসাইড বেজ মডিফিকেশন সংক্রান্ত আবিষ্কারের জন্য চিকিৎসায় ২০২৩ সালের নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে কাতালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইজম্যানকে। তাদের এ আবিষ্কারের ওপর ভর করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর এমআরএনএ টিকা উদ্ভাবন করা হয়।
চিকিৎসায় যৌথভাবে নোবেলজয়ী কাতালিন কারিকোর জন্ম ১৯৫৫ সালে হাঙ্গেরির সয়নক এলাকায়। তিনি হাঙ্গেরির সিইজড’স ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৮২ সালে পিএইচডি ডিগ্রি নেন।
১৯৮৫ সালে সিইজডের হাঙ্গেরিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস থেকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার টেম্পল ইউনিভার্সিটি এবং বেথেসডার ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন এ ব্যক্তি।
১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক নিযুক্ত হন কাতালিন কারিকো। ২০১৩ সাল নাগাদ সেখানে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বায়োএনটেক আরএনএ ফার্মাসিউটিক্যালসের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০২১ সাল থেকে সিইজড ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করছেন কাতালিন। একই সঙ্গে তিনি পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের অ্যাডজাঙ্কট প্রফেসর হিসেবেও কাজ করছেন।
এবার চিকিৎসায় আরেক নোবেলজয়ী ড্রু ওয়েইজম্যান যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের লেক্সিংটনে ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে বোস্টন ইউনিভার্সিটি থেকে এমডি ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের বেথ ইসরায়েল ডিকনেস মেডিক্যাল সেন্টার থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রেনিং এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথ থেকে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা চালান তিনি।
১৯৯৭ সালে পেনসিলভ্যানিয়া ইউনিভার্সিটির পেরেলম্যান স্কুল অফ মেডিসিনে গবেষণা দল গড়েন ওয়েইজম্যান। তিনি ভ্যাকসিন রিসার্চ সেন্টারের রবার্টস ফ্যামিলি প্রফেসর এবং পেন ইনস্টিটিউট ফর আরএনএ ইনোভেশনসের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৯০১ সাল থেকে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। এ যাবত ১২ জন নারী চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছেন।
চিকিৎসায় সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হরেন ফ্রেডরিক জি. ব্যান্টিং। তিনি ইনসুলিন আবিষ্কারের জন্য ১৯২৩ সালে নোবেল পেয়েছিলেন। চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি বয়সী নোবেলজয়ীর নাম পেটন রৌস। তিনি ৮৭ বছর বয়সে এ পুরস্কার পান।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে দেয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার। ১৮৯৫ সালে এক উইলে ‘মানবজাতির সর্বোচ্চ সেবায় অবদান রাখা’ ব্যক্তিদের জন্য এই পুরস্কার নিবেদিত করেছেন তিনি।
নোবেল পুরস্কারের মধ্যে চিকিৎসাশাস্ত্রের পুরস্কারটি সোমবার সুইডেনের স্টকহোমে ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে পদার্থবিজ্ঞানের পুরস্কার। বুধবার রসায়ন ও বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে সাহিত্যের পুরস্কার।
আগামী শুক্রবার অসলো থেকে ঘোষণা করা হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত নোবেল শান্তি পুরস্কার। আর অর্থনীতির পুরস্কারটি ঘোষণা করা হবে ৯ অক্টোবর।
আরও পড়ুন:চিকিৎসা শাস্ত্রে এবারের নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেলে।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রতি বছরের মতো এবারও অক্টোবরের প্রথম সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। ছয়টি বিভাগে ছয় দিন নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে দেয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার। ১৮৯৫ সালে এক উইলে ‘মানবজাতির সর্বোচ্চ সেবায় অবদান রাখা’ ব্যক্তিদের জন্য এই পুরস্কার নিবেদিত করেছেন তিনি।
নোবেল পুরস্কারের মধ্যে চিকিৎসাশাস্ত্রের পুরস্কারটি সোমবার সুইডেনের স্টকহোমের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় ঘোষণা করা হবে। এরপর মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে পদার্থবিজ্ঞানের পুরস্কার। বুধবার রসায়ন ও বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে সাহিত্যের পুরস্কার।
আগামী শুক্রবার অসলো থেকে ঘোষণা করা হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত নোবেল শান্তি পুরস্কার। আর অর্থনীতির পুরস্কারটি ঘোষণা করা হবে ৯ অক্টোবর।
এক্স-রে, পেনিসিলিন, ইনসুলিন ও ডিএনএর মতো যুগান্তকারী আবিষ্কারের জন্য বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল দেয়া হয়েছে।
নোবেল পুরস্কার পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এবারের চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন নারকোলেপসি ও ওরেক্সিন নিয়ে কাজ করা গবেষকরা। মূলত মানুষের ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করার বিষয় নিয়ে এ গবেষণাগুলো করা হয়।
এ ছাড়া চিকিৎসাশাস্ত্রে পুরস্কারটি পেতে পারেন হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভূত কাতালিয়ান কারিকো এবং যুক্তষ্ট্রের ড্রিউ ওয়েসম্যান। কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফাইজার ও মডার্নার তৈরি টিকার এমআরএনএ নিয়ে গবেষণায় তাদের অবদান অবিস্মরণীয়।
আরও পড়ুন:ফিজিওথেরাপি চিকিৎসককে নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. হাবিবুল আহসান তালুকদারের ‘আপত্তিকর ও অপমানজনক’ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সভাপতি ডা. প্রদীপ কুমার সাহা।
তিনি অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিকালে রাজধানীর ডিপিআরসি হাসপাতালে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের হয়রানির উদ্দেশে ডা. সফিউল্লাহ প্রধানকে ডাক্তার পদবি ব্যবহার নিয়ে অসম্মানজনক মন্তব্য করেন, যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার হয়। এতে ফিজিওথেরাপি পেশাজীবীদের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকরা সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ডাক্তার পদবি ব্যবহার করছেন। পরিচালকের বক্তব্যে হাইকোর্ট বিভাগকে অবমাননা করা হয়েছে।
ডা. প্রদীপ কুমার সাহা উল্লেখ করেন, ২০০৮ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অস্থায়ী ফিজিওথেরাপিস্ট নিবন্ধন কার্যালয় থেকে স্বীকৃত ফিজিওথেরাপিস্টদের ‘ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পেশাদার’ হিসেবে অস্থায়ী রেজিস্ট্রেশন সনদ প্রদান করে।
২০১১ সালের ২৭ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে পরিচালক প্রশাসন থেকে বাংলাদেশের সব সিভিল সার্জনকে চিঠি দেয়া হয়, যাতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের পেশাগত কাজে হয়রানি করা না হয়, যা সব জেলা প্রশাসককে অবহিত করতে বলা হয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০১২ সালের ৪ জানুয়ারি বিএমডিসি আইন ২০১০-এর বিরুদ্ধে রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট বিভাগ স্বীকৃত ফিজিওথেরাপিস্টদের নামের আগে ডাক্তার পদবি লিখে পেশাগত দায়িত্ব পালনে যাতে যেকোনো আইনগত সংস্থা থেকে হয়রানি করা না হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকসহ সব রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনারদের নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮ নামে একটি আইন পাস হয়।
প্রদীপ কুমার সাহা জানান, জাতীয় সংসদে পাসকৃত ফিজিওথেরাপিস্টসহ অন্যান্য রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনার ও রিহ্যাবিলিটেশন পেশাজীবীদের জন্য গঠিত বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮ অনুযায়ী পরিচালিত হবে, বিএমডিসি অ্যাক্ট-২০১০ দিয়ে নয়। অথচ প্রায় সময়ই বিএমডিসি অ্যাক্ট-২০১০ এর ক্ষমতাবলে ফিজিওথেরাপিস্টদের হয়রানি করা হয়।
তিনি রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনার ও ফিজিওথেরাপিস্টদের হয়রানি করা যেন না হয়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিপিএর মহাসচিব ডা. তৌহিদুজ্জামান লিটু, সহসভাপতি ডা. আরিফ জোবায়ের, সহসভাপতি ডা. মহসীন কবির লিমন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওথেরাপিস্ট ডা. মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এবং বিপিএর সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আলাউদ্দিন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য