× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
Things to keep in mind for pregnant mothers while fasting
google_news print-icon

গর্ভবতী মায়েরা রোজার ক্ষেত্রে যেগুলো বিবেচনায় রাখবেন

গর্ভবতী-মায়েরা-রোজার-ক্ষেত্রে-যেগুলো-বিবেচনায়-রাখবেন
রোজা রাখার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল করতে হয় গর্ভবতী মায়ের। ছবি: সংগৃহীত
‘প্রথম তিন মাসের পর দ্বিতীয় তিন মাস, অর্থাৎ চার থেকে সাত মাস। এই সময়টায় একটা গর্ভের সন্তান আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। কাজেই এই সময়ে মায়ের পুষ্টি বাচ্চার গ্রোথের জন্য খুবই জরুরি। যদি কোনো মায়ের আল্ট্রাসাউন্ডে দেখা যায়, বাচ্চার গ্রোথ তুলনামূলক কম হচ্ছে কিংবা মায়ের ওজন পরপর দুই মাসের চেকআপে এতটুকু বাড়েনি কিংবা তার খাবারের রুচি একেবারেই নেই, এ ধরনের মায়ের ক্ষেত্রে রোজা রাখাটা জরুরি নয়।’

সিয়াম সাধনার মাস রমজানে অন্য অনেকের মতো রোজা রাখতে চান গর্ভবতী নারীরা। এ ক্ষেত্রে তাদের করণীয়গুলো এক ভিডিওতে তুলে ধরেছেন গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার, যেটি তার ভাষায় পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করা হলো।

১. এটা অত্যন্ত কমন একটি প্রশ্ন যে, একজন মা যিনি গর্ভবতী বা প্রেগন্যান্ট, সে রমজানে রোজা রাখবে কি না। সবার প্রথমে আমি যে কথাটি বলতে চাই, তা হলো প্রেগন্যান্সি কোনো রোগ না। প্রেগন্যান্সি কোনো অসুস্থতা না। আমি এ কথাটা সবসময় বলি, সবাইকে বলি। একটা মেয়ে যেমন স্বাভাবিকভাবে বড় হবে, তেমনই কিন্তু সে তার লাইফের একটা স্টেজে এসে প্রেগন্যান্ট হবে, এটাই স্বাভাবিক। একজন অসুস্থ ব্যক্তির জন্যই শুধু রোজার মাফ আছে। তাহলে প্রেগন্যান্সিতে রোজা রাখা যাবে। তার মানে যদি অসুস্থতা হতো প্রেগন্যান্সি, তাহলে সে রোজার মাফ পেত। আদারওয়াইজ রোজার মাফ কিন্তু সে পাবে না।

২. এখন এ কথাটা তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাদের প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডটা একদমই স্বাভাবিক কাটছে, কিন্তু কিছু কিছু কন্ডিশনে রোজা রাখাটা বিবেচনা সাপেক্ষ। যেমন: কোনো মায়ের হয়তো বা প্রথম তিন মাসের মধ্যে রমজান মাস এলো। তার প্রচণ্ড বমি পাচ্ছে এবং দিনে সে কয়েকবার বমি করছে। বমি করার কারণে সে পেটে কিছুই রাখতে পারছে না। এমনকি তার ওজন তুলনামূলক কমেও গেছে। তার শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে। এ ধরনের কন্ডিশনে তার রোজা রাখা জরুরি নয়।

৩. প্রথম তিন মাসের পর দ্বিতীয় তিন মাস, অর্থাৎ চার থেকে সাত মাস। এই সময়টায় একটা গর্ভের সন্তান আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। কাজেই এই সময়ে মায়ের পুষ্টি বাচ্চার গ্রোথের জন্য খুবই জরুরি। যদি কোনো মায়ের আল্ট্রাসাউন্ডে দেখা যায়, বাচ্চার গ্রোথ তুলনামূলক কম হচ্ছে কিংবা মায়ের ওজন পরপর দুই মাসের চেকআপে এতটুকু বাড়েনি কিংবা তার খাবারের রুচি একেবারেই নেই, এ ধরনের মায়ের ক্ষেত্রে রোজা রাখাটা জরুরি নয়।

৪. কিছু কিছু কন্ডিশন আছে, যা প্রেগন্যান্সিতে কোনো কোনো মা ডেভেলপ করেন, যেমন: আনকন্ট্রোলড ডায়াবেটিস, আনকন্ট্রোলড হাইপারটেনশন, রক্তশূন্যতা। যদি এমন হয় তার ডায়াবেটিস ইনসুলিন নিয়েও কোনোভাবে কন্ট্রোল করা যাবে না, তার হাই ব্লাড প্রেশার, তিন-চার বেলা করে ওষুধ খেয়েও কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না, তার রক্তশূন্যতা এত বেশি যে, তাকে তিন বেলা আয়রনজাতীয় খাবার বেশি খেতে হচ্ছে, সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই রোজা রাখাটা বিবেচনাসাপেক্ষ। এ ধরনের কন্ডিশন যদি কারও থাকে, অবশ্যই তার রেগুলার ডক্টরের সাথে কথা বলে নেবে যে, তার জন্য রোজাটা কতটা জরুরি।

৫. রোজা রাখার পর যদি কোনো মা এমন বোধ করেন, হঠাৎ তার প্রচণ্ড বমি হচ্ছে, হঠাৎ সে চারদিকে অন্ধকার দেখে বসে পড়ল কিংবা তার ব্লাড সুগার ফল করেছে, এ ধরনের বিভিন্ন কন্ডিশনে তিনি চাইলে রোজা ভেঙেও ফেলতে পারেন।

সারকথা

রোজা একজন মুসলিম নারী রাখবেন কি রাখবেন না, সেটা বলার আমি কেউই না। আমার কাছে অনেকেই জানতে চায় যে, আপনি বলেন রাখব কি রাখব না। সত্যি কথা বলতে তোমাদের রোজা তোমার রাখবে কি রাখবে না, এই ডিসিশনটা দেয়ার আমি কেউই না, তবে এতটুকু আমি বুঝি যে, আল্লাহতায়ালা যারা অসুস্থ, তাদের রোজার ব্যাপারে শিথিলতা দিয়েছেন এবং আল্লাহ আমাদেরকে কখনোই যতটুকু আমরা পারব, তার চেয়ে বেশি লোড দেন না। কাজেই আমরা যতটুকু কাজ করতে পারব বা যতটুকু রোজা রাখলে আমার বা আমার গর্ভের সন্তানের কোনো ক্ষতি হবে না, ততটুকুই আমার জন্য জরুরি।

আরও পড়ুন:
১৭ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে যেসব দেশে
রমজানে ১০ টাকা লিটারে দুধ বিক্রি করছেন এরশাদ
রোজা ভঙ্গের কারণ
ফেসবুকে পণ্যের দাম কমিয়ে বিজ্ঞাপন, রোজায় স্বস্তি ক্রেতাদের
বিভিন্ন ভাষায় রমজানের শুভেচ্ছা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Probable date of Qurbani Eid announced in Saudi

সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরবের পরের দিন কোরবানির ঈদ পালন করা হয়। সে হিসাবে এখানে কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে জুন মাসের ১৭ তারিখ। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

সৌদি আরবে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী এবার (২০২৪ সালে) ১০ জিলহজ বা কোরবানির ঈদ হতে পারে জুন মাসের ১৬ তারিখ।

বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরবের পরের দিন কোরবানির ঈদ পালন করা হয়। সে হিসাবে এখানে কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে জুন মাসের ১৭ তারিখ। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।

ধর্মমতে, মহান আল্লাহ মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানির নির্দেশ দেন। আদেশের পর তিনি সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানির সিদ্ধান্ত নেন। এতে আল্লাহ খুশি হন এবং হযরত ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়ে যায়। এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসাবে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত পশু কোরবানি করে থাকেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The long vacation is over but the mood is not over in the capital

ঈদ ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষ, তবু আমেজ কাটেনি

ঈদ ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষ, তবু আমেজ কাটেনি দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে রাজধানীতে ফিরছেন নগরবাসী। কমলাপুর রেল স্টেশন (বাঁয়ে), ফাঁকা ঢাকা ও সদরঘাট লঞ্চঘাটের সোমবারের চিত্র। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি অফিসসহ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সোমবার খুললেও কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি ছিল কম। নগরীর রাস্তাঘাটও ছিল অনেকটাই ফাঁকা। ভিড় কেবল বাস, লঞ্চ ও রেল স্টেশনে।

ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ মিলিয়ে লম্বা ছুটি শেষ হয়েছে রোববার। সোমবার ছিল ছুটি শেষের প্রথম কর্মদিবস। রাজধানীর বাস ও রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে নগরে ফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে। তবে অফিস-আদালত এখনও স্বাভাবিক সময়ের চিত্র ফিরে পায়নি।

চিরচেনা রূপে ফেরেনি ঢাকা শহরও। রাস্তার পাশের বেশিরভাগ দোকান, শপিং মল বন্ধ। সোমবার রাজধানীর রাস্তায় খুবই কমসংখ্যক যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। যানজট তো দূরের কথা, নগরীর অধিকাংশ রাস্তাই ছিল ফাঁকা।

সোমবার সরকারি, আধা-সরকারি ও বেসরকারি অফিসসহ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুললেও কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি ছিল কম। একইভাবে সেবাগ্রহীতার সংখ্যাও ছিল হাতেগোনা।

ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোলাকুলির মাধ্যমে একে অপরকে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়।

সকালে মালিবাগ, শান্তিনগর, গুলশান, ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মিরপুর ও শাহবাগ এলাকায় স্বল্পসংখ্যক বাস ও ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও যানবাহনের জটলা দেখা গেছে কেবল বাস, লঞ্চ ও রেল স্টেশন ঘিরে।

ঈদ ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষ, তবু আমেজ কাটেনি
দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে নগরে ফিরছে মানুষ। সোমবার কমলাপুর রেল স্টেশনের চিত্র। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস

বেসিরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে আবু রায়হান বললেন, ‘রাজধানীতে এখনও ঈদের আমেজ পুরো মাত্রায়। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। রাস্তায় কোনো যানজট বা বিশৃঙ্খলা নেই। রাজারবাগ এলাকা থেকে গুলশানে পৌঁছতে মাত্র ৬ মিনিট সময় লেগেছে। অথচ অন্য সময় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট লাগে।’

সদরঘাটে নগরে ফেরা মানুষের ভিড়

রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে সোমবার ঢাকামুখী মানুষের ভিড় দেখা যায়। লম্বা ছুটি শেষে কর্মমুখী মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করায় এদিন যাত্রীর চাপ ছিল লক্ষণীয়। তবে উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়নি।

সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের সবলঞ্চ ডেকে পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে ঘাটে ভেড়ে। ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়েও কিছু লঞ্চ ঢাকার এসে পৌঁছায়। চাঁদপুর, ভোলা, ইলিশা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোও ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সদরঘাট টার্মিনাল থেকে দেশের ৩১টি নৌপথে নিয়মিত ৭০টি লঞ্চ চলাচল করে। তবে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তা দ্বিগুণের বেশি করা হয়েছে। ঈদের আগে-পরের প্রায় ১৫ দিন ছোট-বড় মিলিয়ে ১৭৫টিরও বেশি লঞ্চ যাতায়াত করেছে।

আগে ঢাকা থেকে ৪১টি নৌপথে লঞ্চসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন নৌযান চলত। নদী খনন ও ড্রেজিংয়ে অনিয়মের কারণে ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলগামী ১০টি নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে।

সোমবার দুপুরের পর থেকে গ্রিন লাইন-৩ ও সন্ধ্যার পর পারাবত-৯, ১০, ১২ ও ১৮; মানামী, কুয়াকাটা-২, কীর্তনখোলা-২ ও ১০; সুরভী-৮ ও ৯; অ্যাডভেঞ্চার-১ ও ৯; সুন্দরবন-১২ লঞ্চসহ মোট ১৫টি লঞ্চ বরিশাল নদীবন্দর থেকে সদরঘাটে এসে পৌঁছায়।

মানামি লঞ্চের চালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘এবার ঈদের আগে যেমন যাত্রীর চাপ ছিলো পরে তেমন হচ্ছে না। সরকারি ছুটি শেষ হওয়ায় অনেকেই এখন ঢাকা ফিরছে। তবে একসঙ্গে সবাই আসছে না। এজন্য উপচেপড়া ভিড় নেই।’

ঈদ ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষ, তবু আমেজ কাটেনি
স্বজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। সোমবার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকার চিত্র। ছবি: মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ

রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী আকবর পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী থেকে ফিরেছেন ঢাকায়। তিনি বলেন, ‘এমভি টিপু-১৩ লঞ্চের টিকিট পেয়েছিলাম। তবে লঞ্চে অনেক মানুষের ভিড় ছিলো। ঠিকভাবে ঢাকায় আসতে পেরেছি এটাই অনেক।’

মনপুরা, হাতিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকায় এসেছে এমভি তাসরিফ-৮। লঞ্চটির কর্মী আনোয়ার মিয়া বলেন, ‘লঞ্চে পাঁচ-ছয়শ’ মানুষ এসেছে। ছুটি শেষ হওয়ায় মানুষ ঢাকায় ফিরঠে। আরামের যাত্রা লঞ্চ। এজন্য অনেকেই লঞ্চে করে আসেন।’

ভোলার চরফ্যাশন ও বেতুয়া থেকে ঢাকা এসেছে এমভি টিপু-১৩। লঞ্চটি ঘাটে ভিড়তেই দেখা যায় ডেকভর্তি মানুষ। অনেকে দাঁড়িয়েও এসেছেন।

ভোলা থেকে আসা যাত্রী মাকসুদুর রহমান বলেন, ‘কাপড়ের দোকানে কাজ করি। ঈদের আগের দিনও খোলা ছিল। চাঁদ রাতে ঈদ করতে ঢাকা থেকে বাড়িতে গিয়েছিলাম। ছুটি শেষ, মার্কেট খুলবে। এজন্য চলে আসলাম।’

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বরিশাল অঞ্চলগামী লঞ্চগুলোতে যাত্রী কমায় ঢাকার সদরঘাটের চেনা রূপ অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছিল। ঈদের ছুটির সঙ্গে ফিরেছে চেনা সেই ভিড়। তবে ঈদের পরে ঢাকার সদরঘাটে ভিড় বাড়লেও আগের মতো নেই বলে জানিয়েছেন লঞ্চ-সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে সদরঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় থাকলেও ফিরতি যাত্রীর ভিড় ছিলো না। বরিশাল, ভোলার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা লঞ্চগুলোর কর্মীরা যাত্রীদের ডাকাডাকি করছিলেন। অল্পসংখ্যক যাত্রীই লঞ্চে উঠেছেন। বেশ কয়েকটি লঞ্চের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ডেকের সিট অধিকাংশই ফাঁকা। ভেতরে কিছু মানুষ বসে আছে। কেউ আবার কেবিন নিয়ে দরদাম করছেন।’

ডলার কোম্পানির ২৪টি লঞ্চের মালিক ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম বলেন, ‘আমাদের লঞ্চ আছে অনেক। কিন্তু সেই অনুপাতে যাত্রী নেই। তাই লঞ্চ কম ছাড়ছে। যেগুলো ছাড়ছে সেগুলোতে ভরেই যাচ্ছে। ঈদের পরও আমরা যাত্রীর চাপ আশা করেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি।’

লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘ঈদের আগে যাত্রীর চাপ বাড়ায় আশা পেয়েছিলাম। তবে ঈদের ছুটি শেষে যাত্রীর ভিড় নেই।’

সদরঘাটের দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘ঈদের পর যাত্রীর চাপ স্বাভাবিক রয়েছে। নিয়মিত লঞ্চগুলোই চলাচল করছে। অতিরিক্ত কোনো লঞ্চের প্রয়োজন পড়ছে না।’

টার্মিনাল এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সদরঘাট নৌ-থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, ‘আজ যাত্রীর চাপ আগের থেকে বেড়েছে। পুলিশ, র‍্যাবসহ আনসার সদস্যরা কাজ করছে। সন্দেহজনক কিছু দেখলে তল্লাশিও করা হচ্ছে।’

ঈদ ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষ, তবু আমেজ কাটেনি
ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে সোমবার ঢাকার মতিঝিলের সড়ক ছিল অনেকটাই ফাঁকা। ছবি: নিউজবাংলা

প্রসঙ্গত, ঈদ উপলক্ষে ১০, ১১, ১২ এপ্রিল ছিল সরকারি ছুটি। ১৩ এপ্রিল শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল রোববার ছিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বাংলা নববর্ষের ছুটি।

তবে ঈদে ঢাকার বাইরে যাওয়া সরকারি-বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের অনেকেই ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন। ফলে অফিস-আদালত, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।

স্কুল-কলেজও খুলবে আগামী সপ্তাহে। তারপরই চিরচেনা রূপে ফিরবে রাজধানী ঢাকা।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Baisabi festival of life in the hills begins

পাহাড়ে প্রাণের ‘বৈসাবি’ উৎসব শুরু

পাহাড়ে প্রাণের ‘বৈসাবি’ উৎসব শুরু দেশের পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে বৈসাবি। ছবি: নিউজবাংলা
১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামে এ উসব পালিত হয়ে আসছে। ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব নামে যথাক্রমে ‘বৈসু’, ‘সাংগ্রাই’ এবং ‘বিজু’ নামে এ উৎসব পালন করে থাকেন। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়।

খাগড়াছড়িতে ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চেঙ্গী, ফেনী ও মাইনী নদীতে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে ফুল উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক ও প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’। ফুল বিঝুকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকে নদীর পাড়গুলো হাজারো তরুণ-তরুণীর মিলনমেলায় পরিণত হয়।

পাহাড়ি সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরী, ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা হল্লা করে ফুল তুলে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে নদী-খালে ফুল উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে নতুন বছরের শুভ কামনায় নিজেদের পবিত্রতা কামনা করে। এছাড়া ফুল দিয়ে ঘরের প্রতিটি দরজার মাঝখানে মালা গেঁথে সাজানো হয়।

শুক্রবার চাকমা সম্প্রদায় ফুল বিজু পালন করছেন। শনিবার মূল বিজু আর পরেরদিন রোববার পহেলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা পালন করবেন তারা। এ সময় ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন। একইসঙ্গে শনিবার ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের হারিবৈসু, বিযুমা ও বিচিকাতাল পার্বন পালিত হবে ফুল বিজু, মূলবিজু ও বিচিকাতাল নামের নিজস্ব বৈশিষ্টে।

রোববার খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাইং উৎসবে ঐতিহ্যবাহী জলকেলি ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হবে বর্ষবরণের র‌্যালী। এসব উৎসবে আনন্দের আমেজ ছড়ায়।

পাহাড়ে প্রাণের ‘বৈসাবি’ উৎসব শুরু

চেঙ্গী নদীতে চাকমা সম্প্রদায়ের সঙ্গে ফুল উৎসর্গে সামিল হয়েছেন অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ। বৈসাবি উৎসব দেখতে এসেছেন অনেক পর্যটকও।

১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামে এ উসব পালিত হয়ে আসছে। সময়ের ব্যবধানে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে ‘বৈসাবি’ শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব নামে যথাক্রমে ‘বৈসু’, ‘সাংগ্রাই’ এবং ‘বিজু’ নামে এ উৎসব পালন করে থাকেন। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়।

চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমা সম্প্রদায়ের পাশাপাশি তঞ্চঙ্গ্যা, বম, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া, ম্রো, খুমি, আসাম, চাক ও রাখাইনসহ ১৩ ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী তাদের ভাষা-সংস্কৃতি ও অবস্থানকে বৈচিত্র্যময় করে করে তুলতে প্রতি বছর চৈত্রের শেষ দিন থেকে বৈসাবি উৎসব পালন করে থাকে।

বৈসাবি উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি-বাঙ্গালির মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি ও ঐক্য আরও সুদৃঢ় হোক এই প্রত্যাশা সকলের।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The largest Eid congregation in memory was held in Sholakia

শোলাকিয়ায় ‘স্মরণকালের বৃহত্তম’ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত

শোলাকিয়ায় ‘স্মরণকালের বৃহত্তম’ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত শোলাকিয়ায় এবার অন্তত চার লাখ মুসল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। ছবি: নিউজবাংলা
চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে শোলাকিয়া ঈদগাহে। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই শোলাকিয়া ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এরপরও দলে দলে মুসল্লি আসতে থাকেন। ময়দানে জায়গা না পেয়ে অসংখ্য মুসল্লি পাশের সড়ক, সেতু, বহুতল ভবনের ছাদসহ অলি-গলিতে নামাজ আদায় করেন।

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় স্মরণকালের বৃহত্তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ও প্রাচীন এ ঈদগাহে এবার অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭তম ঈদুল ফিতরের জামাত।

চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে শোলাকিয়া ঈদগাহে। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে ইমামতি করেন কিশোরগঞ্জ আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ।

শোলাকিয়া ঈদগাহের রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরু হওয়ার আগে শটগানের গুলি ফুটিয়ে জামাত শুরু করা হয়। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ শটগান চালিয়ে জামাত শুরুর ঘোষণা দেন।

সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই শোলাকিয়া ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এরপরও দলে দলে মুসল্লি আসতে থাকেন। ময়দানে জায়গা না পেয়ে অসংখ্য মুসল্লি পাশের সড়ক, সেতু, বহুতল ভবনের ছাদসহ অলি-গলিতে নামাজ আদায় করেন।

ধারণা করা হচ্ছে, এবার শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন প্রায় চার লাখ মুসল্লি।

প্রতিবারের ন্যায় এবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা শোলাকিয়ায় এসেছেন। দূরের মুসল্লিরা ঈদের দুয়েকদিন আগেই এসে অবস্থান নেন শোলাকিয়া ঈদগাহের মিম্বর, আশপাশের বিভিন্ন মসজিদ, হোটেল এবং আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে।

দূরের যারা ঈদগাহের মিম্বরে এসে অবস্থান নেন, তাদেরকে ঈদের আগের দিন ইফতার ও রাতের খাবারের ব্যবস্থা করে কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।

শোলাকিয়ায় ‘স্মরণকালের বৃহত্তম’ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত

নামাজ শেষে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করা হয়। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহর দয়া কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ জামাত অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগে থেকেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন। নির্বিঘ্নে ঈদ জামাত সম্পন্ন করতে শোলাকিয়া ঈদগাহে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। ড্রোন ক্যামেরা, বাইনোকুলারসহ পাঁচ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাব, দেড় হাজার পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়াও মাঠে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার এবং সিসি ক্যামেরা দ্বারা পুরো মাঠ মনিটরিং করা হয়। প্রতিটি মুসল্লিকে তল্লাশি করে মাঠে প্রবেশ করানো হয়।

ঈদগাহে অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিক্যাল টিম এবং ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটও মোতায়েন ছিল। এছাড়া বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমও প্রস্তুত রাখা হয়। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন স্কাউটস সদস্যরা।

দূরের মুসল্লিদের সুবিধার্থে ঈদের দিন ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং মুসল্লিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এবার স্মরণকালের বৃহত্তম ঈদজা মাত অনুষ্ঠিত হয়েছে শোলাকিয়ায়।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের চেকপোস্টে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের দুজন কনস্টেবল আনসারুল হক ও জহিরুল ইসলাম, স্থানীয় গৃহবধূ ঝর্ণা রাণী ভৌমিক ও আবির রহমান নামে এক জঙ্গি নিহত হন।

ওই হামলার পর থেকেই প্রতি বছর ঈদের দিন শোলাকিয়ায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকার।

আরও পড়ুন:
জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The whole country is celebrating Eid

দেশজুড়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন

দেশজুড়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের কোলাকুলি করছে দুই শিশু। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু করে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় শুরু করেন।

মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ৩০ দিন সিয়াম সাধনার পর সারা দেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ, আনন্দ ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বৃহত্তম এ ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করছে বৃহস্পতিবার।

ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু করে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় শুরু করেন। খবর বাসসের

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সব শ্রেণি পেশার মানুষ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়।

ঈদের প্রধান জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ঈদের প্রধান জামাতে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়। ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে এক সাথে এবার ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, জাতীয় ঈদগাহসহ রাজধানীতে নির্বিঘ্নে চলাচল ও সুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়।

রাষ্ট্রপতি, বিচারপতি,মন্ত্রিপরিষদের সদস্যব, মুসলিম বিশ্বের কূটনীতিকরা জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার থেকে ৩ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। সরকারি, আধা-সরকারি ভবন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সকল স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় পতাকা ও ‘ঈদ মোবারক’ খচিত ব্যানার মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ড ও লাইট পোষ্টে প্রদর্শন করা হয়। ঈদুল ফিতরের আগের রাতে সরকারি ভবনসমূহসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে আলোকসজ্জা সজ্জিত করা হয়।

সারা দেশে বিভাগ বা জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং বেসরকারি সংস্থাসমূহের প্রধানরাজাতীয় কর্মসূচির আলোকে নিজ নিজ কর্মসূচি প্রণয়ন করে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি গণমাধ্যমগুলো যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে।

ঈদ উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, আশ্রয় কেন্দ্র, সেইফ হোমস, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র, দুঃস্থ কল্যাণ ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ঈদের দিন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকেটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সকল শিশু পার্কে প্রবেশ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সারাদেশে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ঈদের দিন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের বিনাটিকেটে যাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, লালবাগের কেল্লা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান প্রবেশ এবং তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়, এরপর পর্যায়ক্রমে ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় শেষ ঈদ জামাত।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির ছিলেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

জাতীয় সংসদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতর এর জামায়াত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ, হুইপবৃন্দ,মন্ত্রিপরিষদের সদস্য,সংসদ-সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মুসল্লিরা এই জামায়াতে অংশ নেন। জামায়াত সবার জন্য উন্মুক্ত। জামায়াতে আগ্রহী মুসল্লিদেরকে অংশগ্রহণের জন্য সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে আগেই অনুরোধ জানানো হয়।

এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামি’আয় পবিত্র ঈদুল ফিতরের দু’টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায়।

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ১৮২৮ সালে প্রথম অনুষ্ঠিত জামাতের হিসাবে এটি হবে ঈদুল ফিতরের ১৯৭তম জামাত। জামাত নির্বিঘœ করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

মুসল্লিদের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ঈদের জামাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। মাঠে একসঙ্গে তিন লাখেরও বেশি মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করেন।

রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে বন্দুকের গুলির শব্দে নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার সংকেত দেয়া হয়। বিকল্প ইমাম হিসেবে ছিলেন বড় বাজার মসজিদের খতিব মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ।

আরও পড়ুন:
জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
ঈদে মুক্তি পাচ্ছে না ‘পটু’ ও ‘ডেডবডি’
উৎকণ্ঠায় ঈদের আনন্দ নেই জিম্মি ক্রুদের পরিবারে

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The main congregation of the holy Eid ul Fitr was held at the National Eidgah

জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাতে মুসল্লিরা। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায় এ জামাত শুরু হয়। মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় প্রথম জামাত। এতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও মানুষের সুস্থতা কামনা করা হয়।

জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় এ জামাত শুরু হয়। মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় প্রথম জামাত। এতে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও মানুষের সুস্থতা কামনা করা হয়।

ঈদের জামাতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক, রাজনৈতিক নেতারা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের হাজারো মুসল্লি জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Eid in different districts of the country in accordance with Saudi

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করলেন তারা

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করলেন তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে কুড়িগ্রামের একটি গ্রামে ঈদ উদযাপন। ছবি: নিউজবাংলা
বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার চাঁদ দেখা না যাওয়ায় ঈদ উদযাপন হবে বৃহস্পতিবার, তবে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এবারও ঈদ উদযাপন হয়েছে বিভিন্ন জেলায়।

মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা শেষে বুধবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা।

বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার চাঁদ দেখা না যাওয়ায় ঈদ উদযাপন হবে বৃহস্পতিবার, তবে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এবারও ঈদ উদযাপন হয়েছে বিভিন্ন জেলায়।

দেশের নানা প্রান্তে ঈদ উদযাপনের খবর জানিয়েছেন আমাদের প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা।

কুড়িগ্রাম

জেলার রৌমারী, রাজীবপুর ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার চারটি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। আলাদা আলাদা ঈদ জামাতে পাঁচ শতাধিক মুসল্লি অংশ নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

সকালে রৌমারী উপজেলার শৈলমারী ইউনিয়নের গয়টাপাড়া গ্রাম, রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব করাতিপাড়া গ্রাম ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের পাইকডাঙ্গা ও পাইকেরছড়া গ্রামে ঈদের এসব জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করলেন তারা

ঈদের জামাত আদায় করা রৌমারী উপজেলার শৈলমারী ইউনিয়নের গয়টাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মোত্তালেব বলেন, ‘আমরা প্রায় পাঁচ বছর ধরে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রমজানের রোজা রাখা, ঈদের নামাজ আদায় ও ঈদ উৎসব পালন করে আসছি।’

কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পুলিশের নিরাপত্তায় পূর্ণ উৎসবমুখর পরিবেশে কুড়িগ্রামের চারটি গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নাগরিক সেবায় জেলা পুলিশ সবসময় নিবেদিত।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

জেলা সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার তিন শতাধিক মানুষ বুধবার ঈদ উদযাপন করেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের মোমিন টোল ও বাগানপাড়া এলাকায় সকালে দুটি ঈদের জামাতে দুই শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন।

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করলেন তারা

অন্যদিকে শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের রাধানগর ও ছিয়াত্তর বিঘি এলাকার বিভিন্ন পরিবারের শতাধিক সদস্য সকালে ঈদের নামাজ আদায় করেন ছিয়াত্তর বিঘি আম বাগানে।
গত কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখার পাশাপাশি ঈদ উদযাপন করে আসছেন এসব গ্রামের লোকজন।

মৌলভীবাজার

জেলার শতাধিক পরিবারের মুসল্লিরা ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন।

সকাল সাতটায় মৌলভীবাজার শহরের সার্কিট হাউস এলাকার আহমেদ শাবিস্তা নামক বাসায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নারী ও পুরুষ মুসল্লিরা অংশ নেন। এতে ইমামতি করেন উজান্ডির পির আলহাজ আব্দুল মাওফিক চৌধুরী।

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করলেন তারা

তিনি বলেন, ‘কোরআন ও হাদিস অনুসারে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় চাঁদ দেখা গেলে রোজা এবং ঈদ করতে হয়। সেই অনুসারে আমরা আজ ঈদের নামাজ আদায় করলাম।’

ময়মনসিংহ

জেলার গৌরীপুরের বাহাদুরপুর নূরমহল সুরেশ্বর দরবার শরিফে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে।

সকাল ৯টায় ঈদের জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা মো. ইব্রাহিম। এ জামাতে ময়মনসিংহ সদর, ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল, ফুলপুর, হালুয়াঘাট, শম্ভুগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক শ আশেকান, মুরিদ ও ভক্ত অংশ নেন। নারীদের জন্য আলাদা জামাতের ব্যবস্থা করা হয়।

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করলেন তারা

সুরেশ্বর দরবার শরিফের পীর সৈয়দ শাহ্ নূরে আফতাব পারভেজ নূরী বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে চাঁদের মিল রেখেই প্রতি বছর এখানে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়। তাই এবারও আমরা বাংলাদেশে এক দিন আগে থেকে রোজা রাখা শুরু করি এবং ঈদুল ফিতর উদযাপন করি।’

শেরপুর

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শেরপুরের ছয়টি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন হয়েছে।

গ্রামগুলো হলো সদর উপজেলার উত্তর চরখারচর ও দক্ষিণ চরখারচর, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয়আনি পাড়া, নকলা উপজেলার চরকৈয়া এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও চতল।

স্থানীয় লোকজন ছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকেও মুসল্লিরা ওইসব গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করতে যান।

প্রতি বছর সদর উপজেলার বামনেরচর গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলেও এবার সেখানকার বেশ কিছু মুসল্লি নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেন।

সকাল সাতটা থেকে ১০টার মধ্যে এসব গ্রামে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেকটি জামাতে ২০০ থেকে ২৫০ জন মুসল্লি অংশ নেন। এসব জামাতে পুরুষ মুসল্লিদের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নেন।

টাঙ্গাইল

জেলার দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি ইউনিয়নের শশীনাড়া গ্রামে সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে অর্ধশতাধিক পরিবার উদযাপন করছে ঈদুল ফিতর।

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করলেন তারা

সকাল আটটায় স্থানীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তাতে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নেন।

গত ১২ বছর ধরে ওই এলাকার লোকজন সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ ও রোজা পালন করে আসছেন।

ঝালকাঠি

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে জেলার রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের ডহরশংকর গ্রামে বুধবার ঈদ উদযাপন করেন স্থানীয়রা।

এ গ্রামের বসবাসরত বাসিন্দাদের একটি অংশ রোজাও রাখেন এক দিন আগে থেকে। তাদের মতে, যেকোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন করা যাবে।

ডহরশংকর গ্রামের প্রায় ৫০টি পরিবারের ২০০ মুসল্লি প্রতি বছর এভাবে ঈদ উদযাপন করে আসছেন। বেশ কয়েক বছর আগে এ নিয়ে এলাকার অন্য মুসল্লিদের সঙ্গে হট্টগোল হলেও বর্তমানে তারা নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করছেন।

সকাল আটটায় মঠবাড়ি ইউনিয়নের ডহরশংকর গ্রামের নাপিতের হাট এলাকায় দারুস সুন্নাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে ঈদের জামাত আদায় করা হয়। এতে পৃথক স্থানে নারীরা একই জামাতে অংশ নেন। জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম।

ঈদ উদযাপনকারী মুসল্লি মোনাসেফ মৃধা বলেন, ‘আমরা পূর্বপুরুষ থেকেই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করে আসছি। গ্রামের প্রায় অর্ধশত পরিবার এক যুগ যাবত মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজে উপস্থিত হচ্ছেন।’

আরও পড়ুন:
দেশের যেসব জায়গায় ঈদ হচ্ছে আজ
চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে আজ
ঈদযাত্রার শেষ দিনে চাপ নেই বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে
শেষ কর্মদিবসে সদরঘাট ছেড়েছে যাত্রীভর্তি লঞ্চ
ঈদ উপলক্ষে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা

মন্তব্য

p
উপরে