সিয়াম সাধনার মাস রমজানে অন্য অনেকের মতো রোজা রাখেন ডায়াবেটিস রোগীরা। এ ক্ষেত্রে মাসজুড়ে তাদের বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
রোজার মাসে ডায়াবেটিস রোগীরা কী করবেন, সে বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়েছে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ সম্পর্কে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ ডায়াবেটিস প্রিভেনশন থ্রো রিলিজিয়াস লিডারস তথা ডিপিআরএল।
এটি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের যৌথ প্রয়াস। এতে আর্থিক সহযোগিতা করেছে ওয়ার্ল্ড ডায়াবেটিস ফাউন্ডেশন।
ডিপিআরএলের নির্দেশনা
ডিপিআরএল বলেছে, শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় ডায়াবেটিস রোগী রোজা রাখতে পারবেন কি না, সুস্বাস্থ্যকর খাবার কীভাবে খেতে হবে, দৈনন্দিন কায়িক পরিশ্রম কীভাবে করতে হবে, কীভাবে ঘরে বসে নিজের রক্ত পরীক্ষা করতে হবে, খাবার বড়ি বা ইনসুলিনের মাত্রা কী হবে, শর্করা কমে গেলে ও অন্যান্য অসুস্থতা হলে কী করণীয়, এই বিষয়গুলো চিকিৎসকের কাছ থেকে বিশদভাবে জেনে নিতে হবে। এর বাইরেও ১০টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ডিপিআরএলের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে ডায়াবেটিসের ওষুধ ও রোজা ভেঙে ফেলার প্রস্তুতিতে বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে।
১. সারা দিন রোজা রাখার পর এমন খাবার খেতে হবে, যাতে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২. ইফতারের সময় চিনিজাতীয় খাবার খাবেন না। চিনিুমক্ত পানীয় বেছে নিন। পানীয়র সঙ্গে চিনি মেশাবেন না। যদি মিষ্টি পানীয় পছন্দ করে থাকেন, তবে আর্টিফিশিয়াল (ডায়াবেটিসের চিনি) সু্ইটনার, যেমন: ক্যানডেরেল বা সুইটেক্স ব্যবহার করতে পারেন।
৩. ভাজা খাবার পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। যেমন: পরোটা, সমুচা, কাবাব ইত্যাদি।
৪. খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ফলমূল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার রাখুন।
৫. সেহরির খাবার শেষ সময়ের অল্প কিছু আগে খাওয়া বাঞ্ছনীয়। সেহরির সময় নামমাত্র পরিমাণে খাবার খেয়ে রোজা রাখা উচিত নয়। এমনটি করলে আপনার গ্লুকোজের সঠিক ভারসাম্য বজায় থাকবে না।
৬. রোজার দিনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অতিরিক্ত ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই, তবে দৈনন্দিন কাজকর্ম করা উচিত। রোজার সময় তারাবিহর নামাজে যে শারীরিক শ্রম হয়, নিয়মিত হাঁটার সমান হওয়ায় রোজার মধ্যে আলাদা করে হাঁটার প্রয়োজন নেই।
৭. রোজার দিনে বিকেলে দৈহিক পরিশ্রমের কাজ না করে বিশ্রাম নেয়া ভালো।
৮. রোজা রেখে ইনসুলিন নেয়া যাবে।
৯. ডায়াবেটিস রোগীর সকালের ওষুধ ইফতারের সময় খেতে হবে। রাতের ওষুধ খেতে হবে সেহরির সময় (রাতের ওষুধের ৫০ শতাংশ বা অর্ধেক কমিয়ে সেহরির সময় খেতে হবে)। মুখে খাবার ওষুধ ও ইনসুলিনের মাত্রা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঠিক করে নিতে হবে এবং তা অবশ্যই রোজার আগেই করতে হবে।
১০. নিম্নের বিশেষ অবস্থায় রোজা ভেঙে ফেলতে হতে পারে।
(ক) রক্তের গ্লুকোজ ৭০ মিগ্রা/ডিএল (৩.৯ মিমো/লি)-এর কম হলে
(খ) রক্তের গ্লুকোজ ৩০০ মিগ্রা/ডিএল (১৬.৭ মিমো/লি.)-এর বেশি হলে
(গ) যেকোনো অসুস্থতায়
আরও পড়ুন:জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের তাবলিগি মারকাজে সহাবস্থান বজায় রাখতে মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের ও মাওলানা সাদের অনুসারীদের অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।
এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি বৃহস্পতিবার জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে এক পক্ষকে অন্য পক্ষের মারকাজে কোনো ধরনের বাধা কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের ক্ষেত্রে এর আগে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, সেটি অনুসরণ করতে হবে।
গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখল নিয়ে গেল ১৭ ডিসেম্বর রাতে তাবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত চারজনের প্রাণহানি হয়েছে।
পরে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ইজতেমা ময়দান খালি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে পুলিশ।
ইজতেমা ময়দান ঘিরে জারি করা সে নিষেধাজ্ঞা বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাজীপুর মহানগর পুলিশ আইনের ক্ষমতাবলে গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুর দুইটা থেকে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের তিন কিলোমিটারের মধ্যে জারি করা আদেশগুলো বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা থেকে প্রত্যাহার করা হলো।
আরও পড়ুন:খুলনা মহানগরীর নিরালার তাবলীগ (মারকাজ) মসজিদে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী মুসল্লিদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বর্তমানে সেই বিরোধ আরও জোরালো হয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ওই তাবলীগ মসজিদে পাহারায় ছিলেন পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাদপন্থীরা ঘোষণা দিয়েছেন যে আগামী দশ দিন জুবায়েরপন্থীর কোনো মুসল্লি তাবলীগ মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবেন না। অপরদিকে জুবায়েরপন্থীরা পাল্টা ঘোষণা দেন তারা জুমার নামাজ নিরালা তাবলীগ মসজিদেই আদায় করবেন। এই পরিস্থিতিতে মুসল্লিদের ভেতরে যাতে সংঘর্ষ না বাধে সেজন্য শুক্রবার ফজরের নামাজের পর থেকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা দেয়া শুরু করে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, ‘এই দুই গ্রুপের মধ্যে যেন কোনো সংঘর্ষ না হয় সেজন্য পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে পাহারায় থাকবে।’
দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যৌথবাহিনী এলাকার সাধারণ মুসল্লি বাদে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী কাউকে মসজিদে ঢুকতে দিচ্ছে না। এক পর্যায়ে মুসল্লিদের চাপ বাড়লে তাবলীগ মসজিদের মেইন গেটে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। ফলে স্থানীয় সাধারণ মুসল্লিরাও ওই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে পারেননি।
নিরালা তাবলীগ মসজিদ সংলগ্ন নাজিরঘাট এলাকার বাসিন্দা নুর ইসলাম বলেন, ‘মুসল্লিদের ভেতরে বিভাজনের কারণে আমরা আজ জুমার নামাজ পড়তে পারিনি। আমরা মুসলিম হিসাবে মুসলিমদের ভেতরে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী চাই না। সাধারণ মানুষের একটাই চাওয়া- মুসলমানদের ভেতরে সব ভেদাভেদ বাদ দিয়ে সবাই একসঙ্গে নামাজ পড়বে।’
আরও পড়ুন:তাবলীগ জামাতের বিবদমান দু’পক্ষকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের-এর অনুসারীদের শুক্রবার থেকে কাকরাইল মসজিদের আশপাশে কোনো রকমের বড় জমায়েত থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে মাওলানা সাদ গ্রুপের অনুসারীদেরকেও শবগুজারিসহ (রাত্তযাপন) তাবলীগ জামাতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-৬ শাখার উপসচিব ইসরাত জাহান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
যিশু খ্রিস্টের জন্মকে স্মরণ করে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বুধবার বড়দিন উদযাপন করছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন।
সম্প্রদায়টির সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন হলো পুনর্জন্ম, নতুন যাত্রা, ক্ষমা ও শান্তি এবং ঈশ্বর ও মানুষের সম্পর্ক নবায়নের উৎসব।
ক্রিসমাস ট্রি রঙিন বাতিতে সজ্জিত করা, বিশেষ প্রার্থনা, শিশুদের মধ্যে উপহার বিতরণ এবং কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে বড়দিন উদযাপন করা হয়।
গির্জায় প্রার্থনা অধিবেশনের আগে এবং পরে ক্রিসমাস ক্যারল এবং প্রার্থনামূলক গান গাওয়া হবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একদল গায়ক ক্রিসমাস ক্যারল পরিবেশন করবেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
বড়দিন উপলক্ষে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ওই সময় তিনি সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরুর পরিচয় উপেক্ষা করে দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
বড়দিন ও নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানাতে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান মঙ্গলবার কাকরাইলে আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ ক্রুজের বাসভবনে যান।
সফরকালে সেনাবাহিনীর প্রধান খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে বড়দিনের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান।
এদিকে বড়দিন উদযাপন নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের আতশবাজি, পটকাবাজি ও আকাশে ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন:বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও মজবুত করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনে বঙ্গভবনে বুধবার রাষ্ট্রপতি আয়োজিত সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে খ্রিষ্টান নেতা ও দেশবাসীর উদ্দেশে দেয়া শুভেচ্ছা ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।
মানবসেবা ও কল্যাণ সব ধর্মের মূল কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে সকল ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে ও আনন্দঘন পরিবেশে আবহমানকাল থেকেই পালন করে আসছে।’
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, যিশু খ্রিষ্ট ছিলেন সত্যান্বেষী এবং আলোর দিশারী। তিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আহ্বান করেছেন।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, যিশু খ্রিষ্ট সর্বদা মানুষকে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষা দিয়েছেন।
যিশু খ্রিষ্টের শিক্ষা সবার জীবনে প্রতিফলিত হলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন:প্রত্যেক ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষ একই। আমাদের মানুষ পরিচয় আগে। তারপর ধর্ম। প্রত্যেক ধর্মে শান্তির বাণী আছে। সেই শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। তাহলেই বিভেদ দূর হবে।’
বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
অতিথিদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকের দিনে আপনাদের সঙ্গে দেখা হলো। এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমরা ধর্মীয় সংহতি চাই। সংখ্যালঘু, সংখ্যাগরিষ্ঠ–এই শব্দগুলো আমরা চাই না।
‘এ দেশে আমরা সবাই এক পরিবার। সবাই মিলে একত্রে থাকব। এটি আমাদের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সবার এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নিজ নিজ ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মনের মধ্যে স্থাপন করা গেলে অন্য ধর্মের মধ্যেও তা খুঁজে পাবেন। তখন আর অন্য ধর্মের সঙ্গে বিভেদ হবে না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা সুন্দর শৈশব পাবে।’
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, দ্য ন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ফেলোশিপ অফ বাংলাদেশের সভাপতি বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী, বাংলাদেশ ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইগ্লাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া ও বাংলাদেশ খ্রিস্টান মহাজোটের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নির্মল ডি’ কস্তা।
নিজেদের বক্তব্যে তারা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উদারতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন:খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান বড়দিনে সব ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, ‘২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান বড়দিন অনুষ্ঠান উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-৩/৭৬)-এর ২৮ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ২৪ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ২৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর এলাকায় সকল প্রকার আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হলো।’
বিজ্ঞপ্তিতে বড়দিনের অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও নিরাপদে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছে।
মন্তব্য