× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
Health benefits of fasting that occur in the body
google_news print-icon

রোজার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা, যা ঘটে শরীরে

রোজার-স্বাস্থ্যগত-উপকারিতা-যা-ঘটে-শরীরে
রোজায় নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় শরীর। ছবি: সংগৃহীত
‘বিজ্ঞানীরা বলছেন, আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে রোজা রাখতে পারেন, তাহলে অবশ্যই আপনার বাড়তি ওজন কমবে। বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলে আপনি একজন স্লিম, স্মার্ট মানুষে রূপান্তরিত হবেন। আর যদি রোজার পরেও আপনার বাড়তি ওজন থেকে যায়, এইটুকু পরিষ্কারভাবে বলা যায়, যে পদ্ধতিতে রোজা রাখার কথা ছিল, সেই পদ্ধতিতে রোজা রাখতে পারেন নাই; রোজা রাখা হয় নাই। ফলে আপনি আপনার ওজন কমাতে ব্যর্থ হয়েছেন।’

সিয়াম সাধনার মাস রমজানে ভোররাতে সেহরি খেয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার বর্জন করেন মুসলিমরা। এ সময়ে পাকস্থলীসহ শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিশ্রাম পায়। এতে করে শরীরে নানাবিধ ইতিবাচক প্রভাব পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

রোজার স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন উপকারিতার কথা এক ভিডিওতে তুলে ধরেছেন মনোদৈহিক ও জীবনযাপনবিষয়ক রোগের থেরাপিস্ট এবং কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাবের কোঅর্ডিনেটর ডা. মনিরুজ্জামান। পরামর্শগুলো তার ভাষায় উপস্থাপন করা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের সামনে।

শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বিশ্রাম

রমজান আসল, রমজান চলে গেল। ৩০টি রোজা আমি রাখলামও। ৩০টি রোজার পরেও আমার ওজনের একটুও কম-বেশি হলো না। এইটুকু খোলা চোখে বলে দেয়া যায়, রোজা থেকে আমি কোনো কিছু ফায়দা নিতে পারলাম না। আমি ব্যর্থ হয়েছি রোজার মূল উদ্দেশ্য অর্জন করতে। বিজ্ঞান কী বলে?

সর্বপ্রথম ১৯৯৪ সালে মরক্কোর ক্যাসাব্লাঙ্কা শহরে সারা বিশ্ব থেকে বিজ্ঞানীরা একত্রিত হয়ে ৫০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র তারা উপস্থাপন করেন। সেই সম্মেলনের নাম ছিল হেলথ অ্যান্ড রামাদান; সুস্থতা এবং রমজান। সেই সেমিনারে বক্তারা বলেন, রমজানের ৩০টি রোজা আমাদের শরীরের জন্য একটা বিশাল অপরচুনিটি; একটা বিশাল সুযোগ। তারা এভাবে তুলনা করে বলছেন, একটা জটিল মেশিন থেকে যদি সারা বছর পূর্ণ সার্ভিস চান, তাহলে অবশ্যই মাঝে মাঝে তাকে কিছু সময়ের জন্য হলেও তাকে বিশ্রামে রাখতে হবে। তো আমাদের শরীরটাও একটা মেশিন। এর মধ্যে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র রয়েছে; হার্ট, লাং, লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক, পরিপাকতন্ত্র…কত ধরনের হার্ড ডিস্ক। এইসব মেশিনপত্র থেকে যদি আপনি সারা বছর পুরো সার্ভিস চান, তাহলে তাকে বছরের একটি মাস বিশ্রাম দিতে হবে। তাহলে বাকি ১১টা মাস সে পূর্ণোদ্যমে কাজ করে আপনাকে পূর্ণ সাপোর্ট দিতে পারবে। আপনি তার থেকে পুরো আউটপুট পাবেন।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে রোজা রাখতে পারেন, তাহলে অবশ্যই আপনার বাড়তি ওজন কমবে। বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলে আপনি একজন স্লিম, স্মার্ট মানুষে রূপান্তরিত হবেন। আর যদি রোজার পরেও আপনার বাড়তি ওজন থেকে যায়, এইটুকু পরিষ্কারভাবে বলা যায়, যে পদ্ধতিতে রোজা রাখার কথা ছিল, সেই পদ্ধতিতে রোজা রাখতে পারেন নাই; রোজা রাখা হয় নাই। ফলে আপনি আপনার ওজন কমাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

মস্তিষ্ককে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা

আমেরিকার সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের (এনআইএইচ) একটি শাখা হচ্ছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অন এজিং। সেখানকার প্রখ্যাত নিউরোসায়েন্টিস্ট ড. মার্ক ম্যাটসন এবং তার সহযোগীরা দীর্ঘ গবেষণা করেন ফাস্টিং নিয়ে। এরপর তারা পাবলিশ করেন এর ফলাফল। সেখানে তারা পরিষ্কার করে বলছেন যে, একজন মানুষ যদি মাঝে মাঝেই ফাস্টিং থাকে, নিজেকে সকল ধরনের খাবার এবং পানীয় থেকে বিরত রাখে, তবে তিনি তার ব্রেনের যে এজিং, সে এজিংটাকে প্রতিরোধ করতে পারবে। ব্রেনকে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারবে এবং বৃদ্ধ বয়সে এখন যে রোগগুলো খুব দেখা যাচ্ছে, বৃদ্ধ বয়সে এসে আমাদের স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং যেসব রোগগুলোতে স্মৃতি হারিয়ে যাচ্ছে, সেই রোগগুলোকে বলা হয় আলঝেইমারস, ডিমেনশিয়া, হান্টিংটন, পারকিনসনের মতো রোগগুলো আপনি প্রতিরোধ করতে পারবেন।

রক্ত পরিশোধন

বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমাদের রক্তে নানা রকম বর্জ্য পদার্থ এবং ক্ষতিকর পদার্থ ঘুরে বেড়ায়। এই রক্তকে পরিশোধন করার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে রোজা।

কোষ পরিষ্কার

আমাদের শরীরে ৩০ ট্রিলিয়ন সেল বা কোষ আছে। এই কোষের ভিতরে প্রতিনিয়ত নানা রকম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তৈরি হচ্ছে বিপাকক্রিয়ার ফলে এবং নানা ক্রিয়া-বিক্রিয়ার ফলে। শক্তি তৈরি হচ্ছে, হরমোন তৈরি হচ্ছে, এনজাইম তৈরি হচ্ছে। এগুলো তৈরির পাশাপাশি কিছু বর্জ্য পদার্থ বা টক্সিন তৈরি হচ্ছে। এইসব বর্জ্য পদার্থ বা টক্সিন দূর করার অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে ফাস্টিং বা রোজা। এটা নিয়ে গবেষণা করে ‍যিনি নোবেল প্রাইজ পান, তিনি হচ্ছেন ড. ইয়োশিনোরি ওহসুমি। তিনিসহ অন্য বিজ্ঞানীরা এটার নাম দিয়েছেন অটোফেজি। এটি (অটোফেজি) যখন ১২ ঘণ্টা থেকে ১৬ ঘণ্টা হবে, এটি চমৎকার কাজ করবে। এটি যখন ১৮ ঘণ্টা, ২০ ঘণ্টা, ২২ ঘণ্টা, ২৪ ঘণ্টা হবে এক্সিলেন্ট।

টাইপ টু ডায়াবেটিস রোধে সহায়ক

আমরা জানি টাইপ টু ডায়াবেটিসের মূল কারণ হচ্ছে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। সম্প্রতি দুটো গবেষণা বলছে, টাইপ টু ডায়াবেটিস রিভার্স করতে চাইলে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ২৪ ঘণ্টার ফাস্টিং করতে হবে। ২৪ ঘণ্টার ফাস্টিং কেউ যদি সপ্তাহে তিন দিন করেন, তবে তিনি টাইপ টু ডায়াবেটিস নিরাময় করতে সক্ষম হবেন। সেই সময় তার স্থূলতাও তার শরীর থেকে চলে যাবে।

দীর্ঘায়ু হওয়ায় সহায়তা

বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাঝে মাঝে রোজা, উপবাস বা ফাস্টিং একজন মানুষের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি করে তাকে দীর্ঘজীবী করে। এই যে দেখেন না, হজরত শাহজালাল (র.) ১৫০ বছর বেঁচে ছিলেন। তিনি স্বল্পাহারি ছিলেন এবং প্রায়ই রোজা রাখতেন। তিনি এক বেলা খেতেন। এই যে ঢাকা থেকে কাছে সোনারগাঁয়ে ছিলেন বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী। ১৬০ বছর বেঁচে ছিলেন। তিনিও স্বল্পাহারি ছিলেন। প্রায়ই উপবাস করতেন।

আমাদের প্রিয় মহানবী (সা.) সপ্তাহে দুই দিন রোজা রাখতেন; সোমবার এবং বৃহস্পতিবার। এ ছাড়াও তিনি প্রতি চান্দ্র মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে রোজা রাখতেন।

রোজা রাখলে কী ঘটে শরীরে

রোজায় দীর্ঘ সময় পাকস্থলী খালি থাকায় নানা ধরনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় শরীর। ধাপে ধাপে সেটি কীভাবে হয়, তা প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে সুস্থতা নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট মাইন্ডবডিগ্রিন ডটকম।

প্রথম চার ঘণ্টা

খাওয়ার পর প্রথম চার ঘণ্টায় অভ্যন্তরীণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সচল রাখার পাশাপাশি কোষ ও টিস্যুর বিকাশ ঘটায় শরীর। এ সময়ে দরকারি হরমোন ইনসুলিন উৎপন্ন করে অগ্ন্যাশয়। এর মধ্য দিয়ে রক্তে নিঃসৃত গ্লুকোজ ব্যবহারের পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে ব্যবহারের জন্য কোষে বাড়তি শক্তিও মজুত করা যায়।

চার থেকে ১৬ ঘণ্টা

দেশভেদে সেহরি থেকে ইফতারের মধ্যকার সময়ে তারতম্য হয়। কোনো কোনো দেশে ১৬ ঘণ্টার বেশি সময় উপবাস থাকতে হয় রোজাদারদের।

১৬ ঘণ্টার মতো যারা রোজা রাখবেন, তাদের শারীরিক ক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে চতুর্থ ঘণ্টা থেকে। এ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাতে সঞ্চিত অতিরিক্ত পুষ্টি ব্যবহার করা শুরু করে শরীর।

কোষে থাকা শক্তি ফুরিয়ে গেলে শরীর নজর দেয় সঞ্চিত চর্বি বা ফ্যাটে। শরীর থেকে চর্বি নির্গমন এবং শক্তি জোগাতে এগুলো পুড়িয়ে ফেলার প্রক্রিয়াকে বলা হয় ‘কিটন বডিজ ফর এনার্জি’। এটি সাধারণত ঘটে ১৬তম ঘণ্টার কাছাকাছি সময়ে।

শরীর সঞ্চিত চর্বি পোড়ানোর পর্যায়ে কখন যাবে, সেটি নির্ভর করে রোজা বা উপবাস শুরুর আগে গ্রহণ করা খাদ্যের ধরনের ওপর। কেউ প্রচুর পরিমাণে শর্করা ও শ্বেতসার খাবার খেলে এ পর্যায় দেরিতে শুরু হবে। বিপরীতে কেউ চর্বি ও প্রোটিনজাতীয় খাবার খেলে আগেই সে পর্যায়ে পৌঁছাবে।

রোজা বা উপবাসের সবচেয়ে শক্তিশালী বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি অটোফেজি। ১৬ ঘণ্টার আশপাশের সময়ে এটি শুরু হয়।

অটোফেজি হলো এমন এক প্রক্রিয়া যার মধ্য দিয়ে কোষে থাকা মৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত বস্তুগুলো সরিয়ে দেয় শরীর। এসব বস্তু বার্ধক্য, ক্যানসার ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের কারণ হতে পারে।

১৬ থেকে ২৪ ঘণ্টা

রোজার সময় ১৬ ঘণ্টার বেশি হলে কোষে থাকা গ্লুকোজ ও লিভারে থাকা গ্লাইকোজেন এবং পেশিগুলো দ্রুত ক্ষীণ হতে থাকে। ফলে শক্তি জোগাতে জমানো চর্বি গলাতে হয় শরীরকে।

এ পর্যায়ে এসে শরীরে শক্তির চাহিদার অনেক বেশি পরিবর্তন দেখা যায় না। রোজাদার বা উপবাসে থাকা ব্যক্তি তখনও জেগে থাকা, দৈনন্দিন কাজ করা, লোকজনের সঙ্গে লেনদেন করা কিংবা ব্যায়াম করতে পারেন। এ কারণে উল্লেখযোগ্য মাত্রার শক্তির দরকার হতে পারে।

১৬ ঘণ্টার পরে শরীরে এএমপিকে নামের আরেকটি রাসায়নিক উৎপন্ন হয়। এটি শরীরজুড়ে অটোফেজি আরও বাড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন:
সৌদির সঙ্গে ৯৫ বছর ধরে রোজা হচ্ছে চাঁদপুরে: পির আরিফ
সেহরির দোয়া
রোজায় ত্বকের যত্নে কী করবেন
সৌদির সঙ্গে রোজা পালন শুরু শরীয়তপুরের ২০ গ্রামে
রমজানজুড়ে সুস্থ থাকতে করণীয়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
47374 Hajj pilgrims arrived in Saudi Arabia

৪৭,৩৭৪ জন হজযাত্রী সৌদিতে পৌঁছেছেন

৪৭,৩৭৪ জন হজযাত্রী সৌদিতে পৌঁছেছেন
ঢাকায় হজ অফিসের এক বুলেটিনে শনিবার জানানো হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮ হাজার ৬৭৫জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৮ হাজার ৬৯৯ জন হজযাত্রী বিভিন্ন হজ ফ্লাইটে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

পবিত্র হজ পালনের জন্য শনিবার পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৭ হাজার ৩৭৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। তাদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২২ হাজার ৬৫০ জন ও সৌদি এয়ারলাইন্স ১৫ হাজার ৫৪১ জন হজযাত্রী পরিবহন করেছে। এছাড়া ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৮ হাজার ৫৪১ জন হজযাত্রী।

ঢাকায় হজ অফিসের এক বুলেটিনে শনিবার জানানো হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮ হাজার ৬৭৫জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৮ হাজার ৬৯৯ জন হজযাত্রী বিভিন্ন হজ ফ্লাইটে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

২১ মে হজ ফ্লাইট শুরু হয়। বিমানের হজ ফ্লাইট শেষ হবে ২২ জুন।

এবার মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন।

পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে ২৭ জুন (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে)।

হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২ জুলাই। শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২ আগস্ট।

এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে মক্কায় একজন নারীসহ ২ জন হজযাত্রী ইন্তেকাল করেছেন।

আরও পড়ুন:
হজযাত্রীদের যেসব নির্দেশনা দিল সৌদি
ফ্লাইট মিস ১৪০ হজযাত্রীর, গুনতে হবে বাড়তি ৬০ লাখ টাকা
৪১৫ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বিমানের প্রথম ফ্লাইট
হজযাত্রীদের উটের কাছে যেতে মানা
হজযাত্রীদের করোনা টিকা নেয়ার সময়সীমা জানাল সৌদি

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Socialists block burial of hanged bodies

ফাঁসির মরদেহ দাফনে সমাজপতিদের বাধা

ফাঁসির মরদেহ দাফনে সমাজপতিদের বাধা প্রতীকী ছবি।
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ বলেন, ‘ঘটনাটি শুনে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আমরা ওই গ্রামে গিয়েছিলাম। মরদেহ দাফনের ব্যাপারে গড়াকাটা দক্ষিণপাড়া গ্রামবাসীকে বুঝিয়েছি। কিন্তু তারা ওই এলাকার সামাজিক কবরস্থানে ইসলাম উদ্দিনের মরদেহ দাফন করতে দেয়নি।’

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করায় সামাজিক কবরস্থানে এক যুবকের মরদেহ দাফনে বাধা দিয়েছেন গ্রামের সমাজপতিরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের দুলাশিয়া আমলীতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার ভোরে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন দুলাশিয়া আমলীতলা গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে ইসলাম উদ্দিন। ওইদিন দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার ওই এলাকার সামাজিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করতে চাইলে বাধা হয়ে দাঁড়ান গড়াকাটা দক্ষিণপাড়া গ্রামের সমাজপতিরা। পরে দুলাশিয়া আমলীতলা গ্রামের পেছনে নদীর পারে মরদেহ দাফন করেন দুলাশিয়া আমলীতলা গ্রামবাসী।

বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ বলেন, ‘ঘটনাটি শুনে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আমরা ওই গ্রামে গিয়েছিলাম। মরদেহ দাফনের ব্যাপারে গড়াকাটা দক্ষিণপাড়া গ্রামবাসীকে বুঝিয়েছি। কিন্তু তারা ওই এলাকার সামাজিক কবরস্থানে ইসলাম উদ্দিনের মরদেহ দাফন করতে দেয়নি।’

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The unity of Arif and Anwaruzzaman in the demand of declaring Qadianis as non Muslims

কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে একাত্মতা আরিফ ও আনোয়ারুজ্জামানের

কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে একাত্মতা আরিফ ও আনোয়ারুজ্জামানের শনিবার সিলেট শহরের রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ছবি: নিউজবাংলা
সমাবেশে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘হযরত মোহাম্মদ (স.) ইসলামের শেষ নবী। এর পর যারা নিজেদের নবী দাবি করে তারা ইসলামের শত্রু। আমি আজকের এই সমাবেশের উলামা মাশায়েখদের দাবির প্র্রতি একাত্মতা পোষণ করছি।’

কাদিয়ানিদের ‘ঈমানবিধ্বংসী অপতৎপরতা’ বন্ধ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে সিলেটে সমাবেশ করেছে উলামা পরিষদ বাংলাদেশ। এতে ধর্মীয় নেতাদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

শনিবার দুপুরে সিলেট শহরের রেজিস্ট্রারি মাঠে ‘বিভাগীয় খমতে নবুয়ত মহাসমাবেশ’ নামে ওই কর্মসূচিতে লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেয়।

সমাবেশে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘হযরত মোহাম্মদ (স.) ইসলামের শেষ নবী। এর পর যারা নিজেদের নবী দাবি করে তারা ইসলামের শত্রু। আমি আজকের এই সমাবেশের উলামা মাশায়েখদের দাবির প্র্রতি একাত্মতা পোষণ করছি।’

রেজিস্ট্রারি মাঠে বেলা ১২টা থেকে সমাবেশ শুরু হয়। তার আগে সকাল থেকে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে বাস ও ট্রাকযোগে সমাবেশে লোকজন আসতে থাকেন। নগর থেকে মিছিল নিয়েও আসেন অনেকে। বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলের বেশিরভাগ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এই সমাবেশে যোগ দেন।

দুপুরের পর রেজিস্ট্রারি মাঠ ছাপিয়ে আশপাশের সড়কেও ছড়িয়ে পড়ে জনতা। এতে আশপাশের কয়েকটি সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় উপস্থিত জনতা স্লোগান দেয় ‘নবীর পরে নবী নাই, সংসদে আইন চাই’, ‘কাদিয়ানিদের কাফের ঘোষণা করতে হবে’ ইত্যাদি। অনেকে এসব দাবি লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়েও হাজির হন সমাবেশে।

আযাদ দ্বীনি এদারায়ে তা’লীম বাংলাদেশের সভাপতি ও উলামা পরিষদ বাংলাদেশের উপদেষ্টা মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিভাগীয় খমতে নবুয়ত মহাসমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উলামা পরিষদ বাংলাদেশের উপদেষ্টা ও পূর্ব সিলেট আযাদ দ্বীনি আরবী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সভাপতি মাওলানা শায়খ আলিম উদ্দিন দুর্লভপুরী, বেফাকুল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ও উলামা পরিষদ বাংলাদেশের উপদেষ্টা মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক বরুণা, উলামা পরিষদ বাংলাদেশের মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী ও মাওলানা শায়খ নুরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী প্রমুখ।

বিকাল ৫টায় মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সমাবেশ।

প্রসঙ্গত, সুন্নি মুসলিমদের অনেকে আহমদিয়া মুসলিম জামাতের অনুসারীদের অমুসলিম বলে মনে করেন। আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিও দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন তারা।

ভারতের পাঞ্জাবের কাদিয়ান থেকে এই দর্শনের জন্ম বলে অনেকে এই সম্প্রদায়ের লোকজনকে কাদিয়ানি বলে থাকেন। এই সম্প্রদায়কে নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশেই বিরোধ রয়েছে।

আহমদিয়া মুসলিম জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম আহমদ নিজেকে ইসলামের একজন নবী ঈসা ও ইমাম মাহদি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার দাবি থেকে এই বিরোধের সূত্রপাত।

পাকিস্তানে আহমদিয়াদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Saudi gave the instructions to the pilgrims

হজযাত্রীদের যেসব নির্দেশনা দিল সৌদি

হজযাত্রীদের যেসব নির্দেশনা দিল সৌদি ভারতের কেরালার কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হজযাত্রীরা। ছবি: গালফ নিউজ
হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হজব্রত পালনকে নির্বিঘ্ন করতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সৌদি আরবে পৌঁছানোর আগে ও পরে করণীয় বিষয়ে হজযাত্রীদের বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

গালফ নিউজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে।

হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হজব্রত পালনকে নির্বিঘ্ন করতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নিজ দেশের বিমানবন্দরে করণীয়

১. ভ্রমণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সব নথিপত্র নিয়ে বিমানবন্দরে যেতে হবে।

২. যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস লাগেজ বা নির্ধারিত ব্যাগে রাখতে হবে।

৩. প্রতিটি লাগেজ নির্ধারিত আকারের হতে হবে। উড়োজাহাজে তোলার আগে প্রতিটি লাগেজ আলাদাভাবে শনাক্ত করার চিহ্ন থাকতে হবে।

যেসব সামগ্রী বহন করা যাবে না

১. প্লাস্টিক ব্যাগ, পানির বোতল, তরল বস্তু এবং মোড়ানো বা বাঁধা নয় এমন লাগেজ বা ব্যাগ বহন করা যাবে না।

২. কাপড়ে মোড়ানো ও ঢাকা বাক্স বহন করা যাবে না।

সৌদিতে আগমনের পর

১. সৌদিতে পৌঁছার পর কোনো হজযাত্রীর কাছে ৬০ হাজার রিয়ালের বেশি নগদ অর্থ কিংবা এর চেয়ে বেশি মূল্যের সামগ্রী থাকলে, সেটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশি মুদ্রা, উপহারসামগ্রী, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, অলংকার ও মূল্যবান ধাতু।

২. সৌদি আরবে প্রবেশ কিংবা দেশটি থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে শুল্ক ঘোষণাপত্র পূরণের ওপর জোর দিয়েছে হজ মন্ত্রণালয়। যেসব হজযাত্রী ৬০ হাজার রিয়ালের বেশি বিদেশি মুদ্রা কিংবা এর চেয়ে বেশি মূল্যের সামগ্রী বহন করবেন, তাদের ক্ষেত্রে শুল্ক ঘোষণা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

৩. হজ মন্ত্রণালয় কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, যেসব হজযাত্রী শুল্ক ঘোষণাপত্র পূরণে ব্যর্থ হবে, তাদের জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হবে।

আরও পড়ুন:
হজ ক্যাম্পে ম্যাট্রেস উপহার দিলো সোনালী ব্যাংক
হজের বিমান ভাড়া কমাতে হাইকোর্টে আবেদন
হজযাত্রীদের উটের কাছে যেতে মানা
বাংলাদেশিদের জন্য ই-ভিসা চালু করল সৌদি
সৌদিতে ২ হাজার বছর পুরোনো রোমান সেনা শিবির আবিষ্কার

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Flight miss 140 pilgrims will have to pay an additional 56 thousand dollars

ফ্লাইট মিস ১৪০ হজযাত্রীর, গুনতে হবে বাড়তি ৬০ লাখ টাকা

ফ্লাইট মিস ১৪০ হজযাত্রীর, গুনতে হবে বাড়তি ৬০ লাখ টাকা
হজক্যাম্পের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘হজযাত্রীরা ইতোমধ্যে সব খরচ পরিশোধ করেছেন। সময়মতো ভিসা দিতে না পারায় ওইসব যাত্রী ফ্লাইট মিস করেছেন। সেক্ষেত্রে এই সমস্যার দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির। ফলে অতিরিক্ত যে ডলার বিমানকে দিতে হবে তা এজেন্সিকেই বহন করতে হবে।’

সময়মতো ভিসা না হওয়ায় রোববার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ধরতে পারেননি ১৪০ জন হজযাত্রী। ভিসা জটিলতা সমাধানের পর তাদেরকে বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে সোমবারের মধ্যে সৌদি আরবে পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হজ ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ।

বিমান বাংলাদেশ জানিয়েছে, এই ফ্লাইট মিস করার কারণে প্রত্যেক যাত্রীকে ৪০০ ডলার করে অতিরিক্ত দিতে হবে। সে হিসাবে ১৪০ জন হজযাত্রীকে বাড়তি ৫৬ হাজার ডলার গুনতে হবে, টাকার অংকে যা ৬০ লাখের বেশি।

প্রশ্ন উঠেছে, এই অতিরিক্ত অর্থ সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের দিতে হবে, নাকি সময়মতো ভিসা দিতে না পারা এজেন্সিকে তা বহন করতে হবে।

হজক্যাম্পের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘হজযাত্রীরা ইতোমধ্যে সব খরচ পরিশোধ করেছেন। সময়মতো ভিসা দিতে না পারলে এই সমস্যার দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির। ফলে অতিরিক্ত যে ডলার বিমানকে দিতে হবে তা এজেন্সিকেই বহন করতে হবে।’

রোববার সন্ধ্যায় হজক্যাম্পের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সাইফুল ইসলাম জানান, ভিসা না হওয়া ১৪০ জনের মধ্যে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে ১৩৬ জনের ভিসা হয়ে গেছে। বাকিদেরও ভিসা হয়ে যাবে।

ফ্লাইট মিস করা প্রতি যাত্রীর জন্য ৪০০ ডলার করে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘রোববার ১৪০টি আসন ফাঁকা রেখে বিমানের নির্ধারিত ফ্লাইটটি সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে গেছে। এখন যেসব যাত্রী ফ্লাইট মিস করেছেন তাদের সবাইকে একটি ফ্লাইটের মাধ্যমে সৌদি আরবে পাঠানো সম্ভব নয়।

‘বিমানের সিডিউল ফ্লাইটে মদিনা পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ আছে। তবে সবাইকে একসঙ্গে পাঠানো যাবে না। এজন্য যাত্রীপ্রতি অতিরিক্ত চারশ’ ডলার করে খরচ দিতে হবে।’

রোববার বিকেলে রাজধানীর আশকোনায় হজ ক্যাম্প ঘুরে দেখা গেছে, বেলা ২টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওই ১৪০ হজযাত্রীর সৌদি আরবের জেদ্দা যাওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে এসে তারা জানতে পারেন, তাদের ভিসা হয়নি। এ অবস্থায় তাদের না নিয়েই বিমানের নির্ধারিত ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

ফ্লাইট মিস হওয়া হজযাত্রীদের একজন গাজিউর রহমান বলেন, ‘হজ এজেন্সি জান্নাত ট্রাভেলসের মাধ্যমে তাদের সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ছিল। এজেন্সির পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়েছে, কারিগরি ত্রুটির কারণে সময়মতো ভিসা হয়নি।’

এ বিষয়ে হজ এজেন্সি জান্নাত ট্রাভেলসের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:
হজযাত্রীদের উটের কাছে যেতে মানা
হজযাত্রীদের করোনা টিকা নেয়ার সময়সীমা জানাল সৌদি
সাড়ে ৩ হাজার কোটা খালি, হজযাত্রার প্রথম ফ্লাইট ২১ মে
মাকে কাঁধে নিয়ে ওমরাহ পালন
হজ নিবন্ধন: কোটা পূরণ না হওয়ায় রোববার পর্যন্ত সুযোগ

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The first flight of Biman left Dhaka with 415 pilgrims

৪১৫ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বিমানের প্রথম ফ্লাইট

৪১৫ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল বিমানের প্রথম ফ্লাইট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের মোনাজাত। ফাইল ছবি
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিমানের আরও ৪টি ফ্লাইট আজ দিনের বিভিন্ন সময়ে জেদ্দার উদ্দেশে হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা ছাড়বে।

৪১৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছে চলতি বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩০০১ ।

শনিবার গভীর রাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়। ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২০ মিনিটে জেদ্দায় পৌঁছায়।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিমানের আরও ৪টি ফ্লাইট আজ দিনের বিভিন্ন সময়ে জেদ্দার উদ্দেশে হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা ছাড়বে।

ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য হাবিব হাসান, বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিমসহ অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে হজযাত্রীদের বিদায় জানান।

ওই সময় বিমান প্রতিমন্ত্রী হজযাত্রীদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি অব্যাহত থাকার জন্য দোয়া কামনা করেন।

এর আগে হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও পবিত্র হজের গুরুত্ব ও ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সুষ্ঠু হজ পরিবহন কার্যক্রম পরিচালনার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লিট আধুনিকায়নের ফলে সক্ষমতা বাড়ায় ২০১৯ সাল থেকে বিমান তাদের নিজস্ব উড়োজাহাজ দিয়ে হজ পরিবহন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

‘এ বছরও হজযাত্রী পরিবহনে বিমান তাদের ৪টি অত্যাধুনিক ও সুপরিসর বোয়িং-৭৭৭ ইআর এবং ১টি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারসহ মোট ৫টি উড়োজাহাজ ব্যবহার করবে।’

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টার কারণেই ২০১৯ সাল থেকে ‘রোড টু মক্কা ইনেশিয়েটিভ’- এর আওতায় হজযাত্রীদের সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন ঢাকায় বিমানবন্দরে সম্পন্ন হয়ে যাচ্ছে। এমনকি সৌদি আরবে পৌঁছার পর তাদের লাগেজও নির্ধারিত আবাসনে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এতে হজযাত্রীদের পরিশ্রম, সময় ও কষ্ট লাঘব হয়েছে। হজযাত্রা হয়েছে সহজ ও আরামদায়ক।

“প্রধানমন্ত্রীর এই সফল ও জনবান্ধব কূটনৈতিক উদ্যোগের সম্পূর্ণ সুবিধা যাতে হজযাত্রীগণ পান, সেই ব্যাপারে আমরা সবসময় সচেষ্ট থেকেছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।”

এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে মোট যাত্রীর অর্ধেক ৬১ হাজার ১১১ জনকে পরিবহন করবে বিমান। বাকি হজযাত্রী পরিবহন করবে সাউদিয়া এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই নাস।

আরও পড়ুন:
হজযাত্রীদের করোনা টিকা নেয়ার সময়সীমা জানাল সৌদি
সাড়ে ৩ হাজার কোটা খালি, হজযাত্রার প্রথম ফ্লাইট ২১ মে
মাকে কাঁধে নিয়ে ওমরাহ পালন
হজ নিবন্ধন: কোটা পূরণ না হওয়ায় রোববার পর্যন্ত সুযোগ
আগামীতে হজের খরচ আরও বাড়বে: ধর্ম মন্ত্রণালয়

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Counting of the month of Zilkad begins on Monday

জিলকদ মাস গণনা শুরু সোমবার

জিলকদ মাস গণনা শুরু সোমবার প্রতীকী ছবি।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভার সিদ্ধান্তে জানানো হয়, বাংলাদেশের আকাশে শনিবার জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সে হিসাবে রোববার শাওয়াল মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আর পরদিন শুরু হবে জিলকদ মাস।

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও শনিবার ১৪৪৪ হিজরি সনের জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সে হিসাবে রোববার শাওয়াল মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। আর পবিত্র জিলকদ মাস গণনা শুরু হবে পরদিন সোমবার থেকে।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের সভাকক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

সভায় ১৪৪৪ হিজরি সনের জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আ. কাদের শেখ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ঢাকা) ইরতিজা হাসান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল হক ভূঞা, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ এবং চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শনিবার
চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসছে সন্ধ্যায়

মন্তব্য

p
উপরে