× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
What is important to know about healthy food for Iftar
google_news print-icon

ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, যা জানা জরুরি

ইফতারে-স্বাস্থ্যসম্মত-খাবার-যা-জানা-জরুরি
ইফতারে অনেকের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে পানি ও খেজুর। ছবি: সংগৃহীত
‘দুই থেকে তিনটা খেজুর নিন এবং এক থেকে দুই গ্লাস পানি নিন। পান করুন। ব্যস, ফাইন। ফার্স্ট ক্লাস একটা ইফতার হয়ে গেল। এটিই হচ্ছে ইফতার। খেজুর আপনাকে পূর্ণ এনার্জি সাপ্লাই দেবে। কীভাবে?’

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বাংলাদেশে ২৪ মার্চ শুরু হতে পারে সিয়াম সাধনার মাস রমজান। এ মাসে সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে অনেকেই গোগ্রাসে গিলতে থাকেন একের পর এক খাবার। এসবের বেশির ভাগই তৈলাক্ত কিংবা অস্বাস্থ্যকর। এগুলো খাওয়ার ফলে একদিকে যেমন রোজার সংযম নষ্ট হয়, তেমনই বড় ক্ষতি হয় শরীরের।

ইফতারে কোন ধরনের খাবার বর্জন এবং কোনগুলো গ্রহণ করা উচিত, তা এক ভিডিওতে তুলে ধরেছেন মনোদৈহিক ও জীবনযাপনবিষয়ক রোগের থেরাপিস্ট এবং কোয়ান্টাম হার্ট ক্লাবের কোঅর্ডিনেটর ডা. মনিরুজ্জামান। পরামর্শগুলো তার ভাষায় উপস্থাপন করা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের সামনে।

ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকা

ইফতারের কথা মনে হলে আমাদের মনটা আনন্দে ভরে ওঠে। আহ, কী চমৎকার প্লেটভর্তি খাবার! মুড়ি, চানাচুর, ছোলা, ভাজা, বেগুনি, পেঁয়াজু, চপ, চিকেন ফ্রাই, জিলাপি। অল দিজ আর ডেড ফুড (এর সবগুলোই মৃত খাবার)। অল দিজ আর নট ফুড (এগুলো আদতে কোনো খাবারই নয়)। এসব মৃত খাবার, তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত, ট্রান্সফ্যাটযুক্ত খাবার আপনার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

আপনি ১২ ঘণ্টা, ১৪ ঘণ্টা, ১৬ ঘণ্টা স্টোমাককে খাবার থেকে বিরত রেখেছেন। সে নিজেকে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করেছে, নিজেকে তৈরি করছে, যেন সে সারা বছর আপনাকে ভালো সার্ভিস দেয়। ১২ ঘণ্টা, ১৪ ঘণ্টা অভুক্ত থেকে আপনি এ রকম অবৈজ্ঞানিক এবং চর্বিযুক্ত, ভাজাপোড়া খাবার দিলেন। তাকে এই রকম ভাজা পোড়া খাবার; তাকে দিলেন এই রকম হালিম। স্টোমাকের আপনি বারোটা বাজায়া দিলেন।

আপনার পরিপাকতন্ত্রের বিশ্রাম হলো না। পরিপাকতন্ত্র রমজানের পূর্বেও যে রকম ছিল, রমজানের মধ্যেও একই অবস্থায় থাকবে। ফলে সে আপনার জন্য কোনো সার্ভিস দিতে পারবে না। অতএব রমজানে হালিম, ফাস্ট ফুড এই জাতীয় খাবার থেকে আপনি বিরত থাকুন।

ইফতার উৎসব নয়

আর কী করবেন? ইফতার উৎসবে মত্ত হবেন না। রমজানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আত্মশুদ্ধি। আপনি যদি ইফতার পার্টিতে আনলিমিটেড ইফতার খান, এইটুকু বলে দিতে পারি যে, রমজানের মধ্যেই আপনি আগে থেকে অসুস্থ হবেন, এমনকি আপনার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে, স্ট্রোক হয়ে যেতে পারে। ওজন আরও বাড়বে। এসব তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত খাবারে প্রচুর ক্যালোরি থাকে।

যা খাবেন

তাহলে আমরা ইফতারে কী খাব? ভেরি সিম্পল। রোজা রাখার কারণে ১২/১৪/১৬ ঘণ্টা আপনার স্টোমাক রেস্টে থাকে। খুবই সফট, খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার খেয়ে আমাদের প্রিয় নবী (সা.) রোজা ভাঙতেন। সেটি হলো খেজুর।

দুই থেকে তিনটা খেজুর নিন এবং এক থেকে দুই গ্লাস পানি নিন। পান করুন। ব্যস, ফাইন। ফার্স্ট ক্লাস একটা ইফতার হয়ে গেল। এটিই হচ্ছে ইফতার। খেজুর আপনাকে পূর্ণ এনার্জি সাপ্লাই দেবে। কীভাবে?

খেজুরের মূল উপাদান হচ্ছে সুক্রোজ। এই খেজুর ভালো করে চিবাবেন, সময় নিয়ে চিবাবেন। চিবিয়ে গিলে নেবেন। স্টোমাকে গিয়ে এই খেজুর থেকে সুক্রোজ ভেঙে তৈরি হবে গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ। ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে এই গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ রক্তে প্রবেশ করবে। এর ফলে আপনার যে ব্লাড সুগার কমে গিয়েছিল, আপনার সেই ব্লাড সুগারকে রিপেয়ার করে ফেলবে; মুহূর্তের মধ্যে আপনি চাঙা হয়ে যাবেন; যে চাঙা হওয়ার জন্য আপনারা গুড়ের শরবত, চিনির শরবত, এই শরবত, ওই শরবত খেতেন। কোনো শরবত খাওয়ার প্রয়োজন নাই।

দুই থেকে তিনটি খেজুর। সাথে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। নামাজে চলে যান। এরপর নামাজ থেকে ফিরে এসে রাতের খাবার খেয়ে ফেলুন।

রাতের খাবারে কী থাকতে পারে

রাতের খাবারে কী থাকতে পারে? আমরা সারা বছর দুপুরে যে খাবার খাই, সেটাই হবে রমজানে আপনার রাতের খাবার। কী রকম? একটা বড় প্লেট নেন। ভাত নেবেন এক কাপ। এনাফ।

এক কাপের বেশি ভাত নেবেন না এবং অবশ্যই নিতে হবে লাল চালের ভাত। সাথে পর্যাপ্ত সবজি, ভর্তা, শাক, সালাদ, ডাল, এক টুকরো মাছ অথবা মুরগি হলে এক টুকরো মুরগি। গরু এবং খাসি পুরো রমজানজুড়ে আপনি অ্যাভয়েড করুন।

আর কী করবেন? এর সাথে কয়েক রকম ফল রাখুন। একটা ডিম খেতে পারেন। একটু ভেজানো ছোলা আদা দিয়ে খেয়ে ফেলেন। কিছু টকদই খেতে পারেন, কিছু বাদাম খেতে পারেন, কিছু বীজ খেতে পারেন। অল্প অল্প করে খেতে পারেন। ব্যস।

আমরা বলতে পারি এইভাবে যদি আমরা ইফতার করি ৩০টা রমজানে, ৩০ দিন পর আপনার বাড়তি ওজন কমে যাবে। আপনার টাইপ টু ডায়াবেটিস রিভার্স হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আপনি অনেকগুলো ক্রনিক রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবেন। আপনার ব্রেনের আয়ু বেড়ে যাবে।

আরও পড়ুন:
বিএনপির ইফতারে আমন্ত্রিত হিন্দুদেরও গরুর মাংস পরিবেশন
ইফতার পার্টি ও ইসলামের বিধি-বিধান
জবিতে সম্প্রীতির ইফতার
৩০ হাজার অসহায়ের দুয়ারে আ.লীগ নেতার সেহরি-ইফতার
ইফতারি খেয়ে বিচারকসহ অসুস্থ ৩০, কারাগারে ৩

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Government allocation for Puja celebration is four crore rupees

পূজা উদযাপনে সরকারি বরাদ্দ চার কোটি টাকা

পূজা উদযাপনে সরকারি বরাদ্দ চার কোটি টাকা বুধবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস ছাত্রদের বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার এবার স্বাচ্ছন্দ্যে পূজা উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ বছর আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারিভাবে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। পাশাপাশি পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সরকার এবার স্বাচ্ছন্দ্যে পূজা উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ বছর আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারিভাবে চার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। বিগত সরকারের সময় বরাদ্দ ছিল মাত্র দুই কোটি টাকা। পাশাপাশি পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে একটি চক্র ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে, যাতে সত্য বিন্দুমাত্র ছিল না। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কোনো কোনো জায়গায় কিছু ঘটনা ঘটেছে; তবে তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’

বুধবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রদের এক বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা উপদেষ্টারা চেয়ার দখল করে বসে থাকার জন্য ক্ষমতায় আসিনি। রাষ্ট্র, নির্বাচন কমিশন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে সংস্কারপূর্বক মেরামত করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসার পর সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে আমরা সরে যাব। এ জন্য সব রাজনৈতিক দলসহ দেশের প্রতিটি মহলকে সহযোগিতা করা দরকার।’

হেফাজত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছে তার তালিকাসহ দায়িত্বশীলদের কাছে জানালে এসব মামলা থেকে বা তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রত্যাহার করা হবে।’

হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক আল্লামা শেখ আহমদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দেন মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা খলিল আহমেদ কুরাইশ কাসেমী।

উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক বোরহান উদ্দীন মো. আবু আহসান, মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক আল্লামা মুফতি জসিম উদ্দিন, আল্লামা দিদার কাসেম, আল্লামা সোয়েব জমিরী, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ, নাজিরহাট মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমী ও হাটহাজারী মডেল থানার ওসি হাবিবুর রহমান।

এদিকে হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন শ্রী শ্রী শীতাকালি মন্দির পরিদর্শন করেন ধর্ম উপদেষ্ঠা। এসময় উপস্থিত মন্দির পরিচালনা কমিটি ও ভক্তদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মুন্সি বিজয় কুমার বণিক। মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উদয় সেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। মন্দির পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষক শিমুল কান্তি মহাজন, চবি শিক্ষক শিপক কৃষ্ণ দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এরপর উপদেষ্টা হাটহাজারী পৌরসভার একটি মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Biman reduced ticket prices for Umrah passengers

ওমরাহ যাত্রীদের টিকিটের দাম কমিয়েছে বিমান

ওমরাহ যাত্রীদের টিকিটের দাম কমিয়েছে বিমান
এখন থেকে ওমরাহ যাত্রীরা সাধারণ যাত্রীদের মতো যে কোনো আরবিডিতে ওমরাহ টিকিট কিনতে পারবেন। আগে টিকিট কিনলে মিলবে সর্বনিম্ন ভাড়ার সুবিধা। আর যেসব যাত্রী পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে প্রথমে মদিনায় যাবেন তাদের জন্য রয়েছে মূল্যছাড়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ থেকে জেদ্দা ও মদিনা রুটে টিকিটের দাম কমিয়েছে।

পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য আগে দু’টি নির্দিষ্ট ফেয়ার ক্লাস বা রিজার্ভেশন বুকিং ডেজিগনেটর (আরবিডি) ব্যবহার করা হতো। এবার ওমরাহ যাত্রীদের টিকিট পাওয়া সহজ করতে চলমান দুটি বুকিং ক্লাসের পরিবর্তে সব বুকিং ক্লাস বা আরবিডি উন্মুক্ত করা হয়েছে। তা সব ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলে উন্মুক্ত রয়েছে।

বিমান কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের সুবাদে এখন ওমরাহ যাত্রীরা সাধারণ যাত্রীদের মতো যে কোনো আরবিডিতে ওমরাহ টিকিট কিনতে পারবেন। আর যেসব ওমরাহ যাত্রী আগে টিকিট কিনবেন তারা সর্বনিম্ন ভাড়ার সুবিধা পাবেন।

এছাড়াও যেসব যাত্রী ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে মদিনায় যাবেন তাদের জন্য আকর্ষণীয় মূল্যছাড় দেয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
চেয়ারম্যান হিসেবে বিমানে ফিরছেন মুয়ীদ

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Holy Eid Miladunnabi 16 September

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ১৬ সেপ্টেম্বর

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ১৬ সেপ্টেম্বর
বাংলাদেশের আকাশে বুধবার আরবি ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার।

পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা করা হবে ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে। কারণ বুধবার বাংলাদেশের আকাশে আরবি ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসাবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার।

বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করা হয়। তাতে দেখা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

এ অবস্থায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হবে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মুন্সী জালাল উদ্দিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আ. রহমান খান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Temple Attackers Are Animals Religion Advisor

উপাসনালয়ে হামলাকারীরা পশু: ধর্ম উপদেষ্টা

উপাসনালয়ে হামলাকারীরা পশু: ধর্ম উপদেষ্টা রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গণে শুক্রবার বিকেলে জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন। ছবি: ধর্ম মন্ত্রণালয়
উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, ‘উপাসনালয়ে যারা হামলা করে, এরা মানুষ নয়; এরা পশু। এদের প্রচলিত আইনে কঠোর শাস্তির বিধান করা হবে।’

ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলাকারীদের পশু আখ্যা দিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘সরকারকে বিব্রত করার জন্য এক শ্রেণির মতলবি মানুষ মাঠে নেমেছে। এদের প্রতিহত করতে হবে।

‘উপাসনালয়ে যারা হামলা করে, এরা মানুষ নয়; এরা পশু। এদের প্রচলিত আইনে কঠোর শাস্তির বিধান করা হবে।’

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গণে শুক্রবার বিকেলে জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন বলে ইউএনবির প্রতিবেদনে জানানো হয়।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আবহমানকাল থেকেই এ দেশে অসাম্প্রদায়িক আবহ বিরাজমান। এটাকে কোনোক্রমেই নষ্ট করতে দেয়া যাবে না। আমাদের দেশের নানা ধর্মের বৈচিত্র্য রয়েছে। এটা আমাদের ঐতিহ্য।

‘এই ঐতিহ্যকে আমরা লালন করতে চাই, ধারণ করতে চাই এবং বিশ্ববাসীকে আমরা দেখিয়ে দিতে চাই।’

ড. খালিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে স্পষ্ট দলিল আছে, এমন কোনো দেবোত্তর সম্পত্তি যদি কেউ দখল করে থাকে, তাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় উচ্ছেদ করা হবে। এ ছাড়া কোনো দেবোত্তর সম্পত্তি নিয়ে আদালতে মামলা থাকলে সেটাও দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হবে।’

তিনি মন্দিরের নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করার পরামর্শ দেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘সুন্দর কথা বলা সহজ, কিন্তু সুন্দর কাজ করা কঠিন। সুন্দর কথাকে অবশ্যই কাজে পরিণত করতে হবে। আমরা সুন্দর কথা যেমন বলব, তেমনই সুন্দর কাজও করে যাব।

‘আমরা সুন্দর, শান্তিময়, সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে চাই। এ ক্ষেত্রে প্রত্যেকের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

আরও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে: রাষ্ট্রদূত
সরকারে দপ্তর পুনর্বণ্টন, বাড়তি দায়িত্বে চার উপদেষ্টা
সরকার প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করবে: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ জনগণের হাতে: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Khatib was not appointed in Baitul Mukarram
ইফার বিজ্ঞপ্তি

বায়তুল মোকাররমে খতিব নিয়োগ দেয়া হয়নি

বায়তুল মোকাররমে খতিব নিয়োগ দেয়া হয়নি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজে মুসল্লিরা। ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘প্রকৃত বিষয়টি হলো বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন কিছুদিন যাবত মসজিদে না আসায় তার স্থলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও মুহাদ্দিস ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খানকে নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’ 

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে খতিব নিয়োগ সংক্রান্ত খবরটি সঠিক নয় জানিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) শুক্রবার বলেছে, কাউকে এখনও খতিব নিয়োগ দেয়া হয়নি।

ইফার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইন পোর্টালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব বা ভারপ্রাপ্ত খতিব নিয়োগ সংক্রান্ত একটি সংবাদ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গোচরীভূত হয়েছে। এরূপ সংবাদটি ভিত্তিহীন ও অসত্য।

‘প্রকৃতপক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে কাউকে খতিব বা ভারপ্রাপ্ত খতিব হিসেবে নিয়োগ কিংবা দায়িত্ব দেয়া হয়নি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এরূপ কোনো পত্র বা অফিস আদেশ জারি করা হয়নি।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘প্রকৃত বিষয়টি হলো বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন কিছুদিন যাবত মসজিদে না আসায় তার স্থলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও মুহাদ্দিস ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খানকে নামাজ পড়ানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
ঈদে বায়তুল মোকাররমে ৫ জামাত, প্রথমটি সকাল ৭টায়

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Government shall protect the rights of every citizen Principal Adviser

সরকার প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করবে: প্রধান উপদেষ্টা

সরকার প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করবে: প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। ছবি: সংগৃহীত
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে কোনও মন্দির পাহারা দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ একটি বিশাল পরিবার। এখানে সরকারের দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করা। সেই দায়িত্ব পালনে সরকার বদ্ধপরিকর।

সোমবার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই যেখানে সবাই নির্ভয়ে তাদের ধর্ম চর্চা করতে পারবে এবং যেখানে কোনো মন্দির পাহারা দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না।’

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আগত হিন্দু নেতাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের কাজ হচ্ছে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।

‘আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকতে পারে না। আমরা সমান নাগরিক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর।’

হিন্দু নেতারা শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তারা দেশের সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ চেয়েছেন।

হিন্দু নেতারা জানান, তারা দেশের বন্যাকবলিত অংশে জন্মাষ্টমী উদযাপন স্থগিত করেছেন এবং এই অঞ্চলে খাদ্য ও ত্রাণ পাঠিয়েছেন।

পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রশংসা করে হিন্দু নেতারা বলেন, এটি দেশে একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠন এবং সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

মন্দিরের জমিসহ হিন্দুদের সম্পত্তি দখলের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তারা।

হিন্দু নেতাদের মধ্যে ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের কাজল দেবনাথ ও মনিন্দ্র কুমার নাথ, ইসকনের চারু চরণ ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বাসুদেব ধর ও সন্তোষ শর্মা এবং ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রীতি চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ জনগণের হাতে: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন
বন্যা মোকাবিলায় সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে অনুদান পাঠানোর আহ্বান
পাচারের অর্থ ফেরাতে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
A Hindu family set fire to a temple to trap a freedom fighter 2

মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসাতে মন্দিরে হিন্দু পরিবারের আগুন, গ্রেপ্তার ২

মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসাতে মন্দিরে হিন্দু পরিবারের আগুন, গ্রেপ্তার ২ নিজ বাড়ির মন্দিরে আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে জুড়ী থানা পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ বাড়ির মন্দিরে আগুন দিয়েছে এক হিন্দু পরিবার। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে তারা প্রচার করতে থাকে যে তাদের মন্দির পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁসাতে নিজ বাড়ির মন্দিরে আগুন দিয়েছে একটি হিন্দু পরিবার। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে তারা প্রচার করতে থাকে যে ওই মুক্তিযোদ্ধা তাদের মন্দির পুড়িয়ে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের অনুসন্ধানে সত্য ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর এ নিয়ে জুড়ী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জের ধরে বিনোদপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হাজী আলাউদ্দিনকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান প্রতিবেশী অসিত কুমারসহ তার লোকজন। অসিতের বাড়িতে নিয়ে একটি চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে রেখে বাড়ির উঠোনে থাকা পারিবারিক মন্দিরে খড় দিয়ে আগুন লাগায় অসিতের পরিবারের লোকজন। পরে ধর্মীয় উস্কানির লক্ষ্যে প্রচার করা হয় যে মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন মন্দির ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।

খবর পেয়ে টহলে থাকা ওয়ারেন্ট অফিসার ছায়েম আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর টিম ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করে। পরে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসে।

শুক্রবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে জুড়ী থানায় মামলা করেন। সন্ধ্যায় এজাহারভুক্ত আসামি বাড়ির মালিক অসিত রুদ্র পাল ও নাদিম আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জুড়ী থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান জানান, বর্তমান সময়ের কথা চিন্তা করে ধর্মীয় উস্কানির লক্ষ্যে এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আসামি পক্ষ মন্দির পোড়ানোর মতো একটি স্পর্শকাতর অপরাধ করেছে। মামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মন্তব্য

p
উপরে