× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
Why did I do everything but still not lose weight?
google_news print-icon

সব করেছি তবুও ওজন কমেনি কেন

সব-করেছি-তবুও-ওজন-কমেনি-কেন
ভুল খাবার নির্বাচনে ওজন কমানোর সাধনায় মেলে না ফল। ছবি: সংগৃহীত
‘হরমোন মিসফায়ারিং’ থেকে উত্তরণের বেশ কিছু কার্যকর উপায়ের একটা হলো সঠিক নিয়মে শারীরিক ব্যায়াম। ব্যায়াম শরীরের সঙ্গে মনকে যুক্ত করে, যে ছন্দ হারিয়ে যায় বার বার তাকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। যারা আগে কখনও ব্যায়াম করেন নাই তারা হাঁটা শুরু করতে পারেন।

ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। খাবার কমিয়ে দিয়ে কিংবা সামান্য ব্যায়াম করেও ওজন কমছে না বরং আগের অবস্থাতেই আছে।

ওজন বাড়া নিয়ে যারা এমন সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ইশরাত জাহান স্বর্ণা। তার ভাষায় সেগুলো তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের সামনে।

মদিনা সদ্য বিবাহিতা, আনত সলজ্জ মুখ। মুখে অনেকটা মেদ জমে মুখের স্বাভাবিক আকৃতি কিছুটা পরিবর্তিত। নতুন সংসারে নতুন অতিথি আসবে এমন চাওয়া শ্বশুরবাড়ি, বাবার বাড়ি দুজায়গাতেই। এদিকে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, মেয়েটা ভীতসন্ত্রস্ত, মা ছাড়া কাউকে বলতে সাহস পায়না। স্বামী জানলেও এ বিষয়ে মাথা ঘামায়নি। মেয়েটার মা ভাবে, মাসিক মাসে মাসে না হলে সন্তান আসবে কি?

এ ভাবনা থেকেই চিকিৎসকের কাছে আসা। দীর্ঘ ইতিহাস ও পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দেখা গেল মেয়েটা প্রায়ই রাত জাগে, ওজন বাড়ছে বিধায় সারাদিন তেমন কিছু খায় না, বিশেষ করে দুধ, ডিম এড়িয়ে চলে, সবজি মুখে রুচে না, সকালে একটা লেবু, মধু ও কুসুম গরম পানি খেয়ে নেয়। ক্ষুধা লাগলে লেক্সাস বিস্কুট। সকালের নাস্তায় পাউরুটি খাওয়া হয় বেশি।

শরীরের মাপ নিয়ে দেখা গেল ওয়েস্ট হিপ রেসিও বেশি, যা নির্দেশ করে ইনসুলিন রেসিসটেন্স অর্থাৎ ইনসুলিন হরমোন শরীরে থাকার পরেও কাজ করতে পারছে না। পরীক্ষায় এলো ভিট ডি লেভেল আশঙ্কাজনকভাবে কম।

মদিনাকে দেয়া হলো খাবার সম্পর্কে ধারণা, ঘুম, পানি ও কায়িকশ্রমের দিকনির্দেশনার সঙ্গে মাইন্ডফুলনেসের চর্চা।

মদিনা নিয়মিত ফলোআপে আসছে এবং ধীরে ধীরে সমস্যাগুলো ঠিক হয়ে আসছে।

আজ তাই একটা নতুন টার্ম, ‘হরমোন মিসফায়ারিং’ বলছি।

ধরুন আপনি খুব উদ্দীপনা নিয়ে ডায়েট এক্সারসাইজ শুরু করলেন, মাস দুয়েক পরে দেখলেন আপনার ওজন দুই কেজি বেড়ে গেছে। অথচ আপনি ক্লিন ইটিং এ ছিলেন, জাঙ্ক ফুড খাননি, সফ্ট ড্রিঙ্কস খাননি, পানি, ঘুম সবই ঠিক ছিল তাহলে হলোটা কী? বা মদিনার মতো নিজের বুদ্ধিতে করেছেন, প্রচণ্ড মানসিক চাপ নিয়েছেন।

হতে পারে স্ট্রেস হরমোনের আধিক্য, ইনসুলিন আর ল্যাপ্টিন রেসিসটেন্স এস্ট্রোজেন বেশি, আবার টেস্টোস্টেরন কম, হরমোন এক্সিসও ঠিকমতো চলছে না। এ রকমটাকে বলে হরমোন মিসফায়ারিং, যা কিনা মেয়েদের ওজন বাড়ার পিছনে মূল কারণ।

স্ট্রেস হরমোন বেশি নাই এমন মেয়ে এ যুগে আছে নাকি, সংসার, চাকুরি, সন্তানের পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের ক্রমশ ভাঁজ পড়া ত্বক, পাতলা হয়ে আসা চুল, একাকিত্ব অথবা অনেক বেশি ভিড়, ট্রাফিকের ক্যাকোফোনি।

এর মাঝে ভালোবেসে মানুষে জানতে চায়, ‘এত মুটিয়েছ কেন? খালি বসে বসে খাও?’

‘হরমোন মিসফায়ারিং’ থেকে উত্তরণের বেশ কিছু কার্যকর উপায়ের একটা হলো সঠিক নিয়মে শারীরিক ব্যায়াম। ব্যায়াম শরীরের সঙ্গে মনকে যুক্ত করে, যে ছন্দ হারিয়ে যায় বার বার তাকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। যারা আগে কখনও ব্যায়াম করেন নাই তারা হাঁটা শুরু করতে পারেন।

হাঁটার মাধ্যমে উপকারগুলো পেতে কিছু টিপস

দুই গ্লাস পানি পান করুন হাঁটতে যাওয়ার আগে, ব্ল্যাক কফি খেয়ে গেলে ভালো এনার্জি পাবেন, এ সময় সেরে নিতে পারেন জরুরি ফোনালাপ, হাঁটার সময় হাত একটু ভাঁজ করে সামনে পিছনে নিয়ে হাঁটবেন, স্টেপস কাউন্ট করলে মোটিভেশন পাওয়া যায়। তাই মোবাইল অ্যাপ বা স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করতে পারেন, হাঁটার সময় হার্ট রেট অন্তত ১২০ এর ওপরে না ওঠলে বডি ফ্যাট বার্নিং মোডে যাবেনা, হাঁটার শুরুতে ওয়ার্ম আপ এবং শেষে কুলিং ডাউন অবশ্য জরুরি। শীত, কুয়াশা, ঝড়-বৃষ্টি ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা যাদের হাঁটার জায়গার অভাব তারা ইউটিউব দেখে পাওয়ার ওয়ার্ক করতে পারেন।

এ পর্যন্ত পড়ে অনেকেই ভাবছেন, ‘আমারতো ওজন ঠিকই আছে, আমি আর হেঁটে কী করবো?’ অথবা ভাবছেন সারাদিন সংসার, অফিস, বাজার মিলিয়ে এতো দৌড়াই আমি, এরপরে আর হাঁটতে হবে কেন? বা হাঁটলেই কি আমার ওজন কমে যাবে?

হাঁটার সময়, সুযোগ, স্থান মেলানো বর্তমানে কর্মজীবী মায়েদের জন্য এক ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ বটে। তবে যখন আপনি জানতে পারেন শুধু সপ্তাহে পাঁচদিন ত্রিশ মিনিট হেঁটে আপনি আপনার শরীরে বিপ্লব ঘটাতে পারেন, তখন কিন্তু সর্বান্তকরণে হাঁটার সুযোগ খুঁজবেন আপনি।

হাঁটার নানা উপকারিতা রয়েছে।

প্রথমত

হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য। এ এমন এক অঙ্গ যার বিশ্রাম হবে কেবল আপনার মৃত্যু হলে। দেহের প্রতিটা কোণে কোণে যে রক্ত সরবরাহ করে তারও রয়েছে নিজস্ব রক্তের চাহিদা, সেটা সরবরাহ করে থাকে করোনারি ধমনী। বিভিন্ন কারণে এ ধমনীতে ব্লক হতে পারে। তখন রক্ত চলাচল কম বা একেবারে বন্ধও হয়ে যেতে পারে। এতে বুকে তীব্র ব্যথা যেমন হতে পারে, তেমনি হতে পারে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বা হার্ট অ্যাটাক।

এটা এড়ানো যায় যদি মূল রাস্তার পাশে বাইপাস রাস্তা থাকে রক্ত চলাচলের জন্য, মেডিক্যালের ভাষায় বলা হয় কোল্যাটারাল ধমনী। সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই বাইপাস রাস্তাগুলো প্রাকৃতিক নিয়মে তৈরি হতে থাকে। আর একে বুস্ট করার চমৎকার একটা উপায় আছে তা হলো নিয়মিত হাঁটা। হাঁটলে অল্প বয়স থেকেই কোল্যাটারাল বা বাইপাস রাস্তাগুলো তৈরি হতে থাকে। যদি কোনো ধমনীতে ব্লক হয়েও যায় বাইপাস রাস্তা দিয়ে রক্ত চলাচল অব্যাহত থাকে এবং আকস্মিক হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো যায়।

দ্বিতীয়ত

আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ এবং প্রতিদিনের বেঁচে থাকার অপরিহার্য ক্ষমতা হলো স্মৃতিশক্তি। যা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে। যাকে বলা হয় সিন্যাল অ্যাট্রোফি। মেডিক্যাল সায়েন্স বলে লিভারের মতো ব্রেইন সেলের পুনরায় তৈরি হওয়ার ক্ষমতা (রিজেনারেটিভ ক্যাপাসিটি) নেই। সাইকোলজির বহুল পঠিত টেক্সটবুক গ্যানং- এ বলা আছে হাঁটলে আমাদের ব্রেইন এর অ্যামিগডালা অংশে নিউ ব্রেইন সেল তৈরি হয়, যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সক্ষম। এবার একটু ভাবুন তো ওজন কমানোই কি সবকিছু? মূলকথা হলো সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকা, আত্মনির্ভরশীল থাকা।

তৃতীয়ত

হাঁটলে ইনসুলিন রেসিসটেন্সের উন্নতি হয়। আমাদের শরীরের কোষে ইনসুলিনের সাহায্য ছাড়া গ্লুকোজ প্রবেশ করতে পারে এতে রক্তে চিনির মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে আসে। নিয়মিত হাঁটুন। একটু ওয়ার্ম আপ করে নিয়েই এতটা জোরে হাঁটবেন যাতে হাঁটার সময় কথা বলতে কষ্ট হয় আপনার। হাঁটার সময় জিকির করুন, এটা বেস্ট। যদিও অনেকে গান শোনা পছন্দ করে। মনে করে করে নিশ্বাস নিবেন তখন।

সুন্দর রাস্তায় হাঁটলে আপনার প্রতিদিনের জমে থাকা অবসাদ একটু একটু করে ঝরে যাবে। দেখবেন অকারণেই মনটা খুশি খুশি লাগছে। একে বলে মুড এলিভেশন।

চতুর্থত

বাড়তি পাওনা হিসেবে থাকছে কোষ্ঠ পরিষ্কার। হাঁটার সময় শরীরের প্রতিটি জয়েন্ট এর গ্লিডিং মুভমেন্ট হওয়ার কারণে জয়েন্ট ফ্লেক্সিবিলিটি মেইনটেইন হয় যা অস্টিওআর্থারাইটিস নামক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:
হেঁটে বাংলাদেশ ভ্রমণে নেপালি যুবক
১৫০ কিলোমিটার হেঁটে হাতীবান্ধার দিকে বাবা-ছেলে
মেদ ঝরাতে জ্যাম্পিং জ্যাক
কুকুরের যোগব্যায়াম

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
The snake bitten farmer is in the hospital

দংশনে আহত কৃষক সাপ নিয়েই হাসপাতালে

দংশনে আহত কৃষক সাপ নিয়েই হাসপাতালে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিলন আলী বলেন, ‘সাপের ধরন চিহ্নিত করতে ও সঠিক চিকিৎসার জন্য সাপটি ধরে আমার ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে আসতে বলেছিলাম। তাই সে সাপটি ব্যাগে করে নিয়ে আসে। চিকিৎসকরা সাপটি দেখে রাসেল ভাইপার বলে নিশ্চিত করেছেন।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ধানক্ষেতে কাজ করার সময় সাপের দংশনে আহত হয়েছেন মিলন আলী নামে এক কৃষক। পরে অন্য কৃষকরা তাকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ সময় মিলন আলী সাপটিও হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

সোমবার দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের বোগলাউড়ি এলাকার একটি ধানক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে। আহত মিলন আলী ওই এলাকার তোবজুল হকের ছেলে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিলন আলী বলেন, ‘সাপের ধরন চিহ্নিত করতে ও সঠিক চিকিৎসার জন্য সাপটি ধরে আমার ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে আসতে বলেছিলাম। তাই সে সাপটি ব্যাগে করে নিয়ে আসে। চিকিৎসকরা সাপটি দেখে রাসেল ভাইপার বলে নিশ্চিত করেছেন।’

শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মামুন কবির জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি একটি সাপের বাচ্চাসহ হাসপাতালে আসেন। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তিনিশঙ্কামুক্ত। তারপরও আমরা ২৪ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’

আরও পড়ুন:
হাতিয়া সৈকতে ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’
গজারিয়ায় চায়না দুয়ারী জালে চার ফুট লম্বা অজগর
চবির উদ্ভিদ উদ্যানে ৮ ফুট লম্বা অজগর
সাপের ছোবলে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রীর
নিষিদ্ধ জালে আটকা বিলুপ্তপ্রায় রাসেল ভাইপার

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Three people were bitten by snakes in Shivchar and one was sent to Dhaka

শিবচরে তিনজনকে সাপের দংশন, একজনকে ঢাকায় প্রেরণ

শিবচরে তিনজনকে সাপের দংশন, একজনকে ঢাকায় প্রেরণ শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: নিউজবাংলা
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফারজানা সুলতানা বলেন, সাপের দংশনে আহত তিনজন রোগী হাসপাতালে এসেছেন। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি দুজনকে বিষধর সাপে কাটেনি। তাই তাদেরকে এন্টিভেনম দেয়ার প্রয়োজন হয়নি। অপরজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মাদারীপুরের শিবচরে একই দিনে তিনজনকে সাপে দংশন করেছে। তাদের মধ্যে দুজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। অপরজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে শিবচর উপজেলার চর বাচামারা গ্রামের লোকমান খান বাড়ির পাশে বাদাম ক্ষেতে রাখা ঝাকার নিচ থেকে হাতে কাঁচি তুলছিলেন। এ সময় একটি সাপ তার হাতে দংশন করে। পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন যে তাকে বিষধর সাপে দংশন করেছে। চিকিৎসকরা তাকে এন্টিভেনম দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বজনদের অনুমতিপত্রে স্বাক্ষর করতে বললে তারা অস্বীকার করেন। এজন্য স্বজনদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোগীকে ঢাকায় রেফার করা হয়।

অপরদিকে একই দিন দুপুরে উপজেলার মাদবরচর ইউনিয়নের আলেপখাঁর খাঁড়াকান্দি গ্রামের শাহাবুদ্দিন হাওলাদার বাড়িতে পালা থেকে গরুর জন্য খড় বের করার সময় একটি সাপ তাকে দংশন করে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

একই দিন সকালে উপজেলার সন্নাসীরচর ইউনিয়নের খাসচর বাচামারা গ্রামের মোসলেম কাজী বাড়ি সংলগ্ন খালের পানিতে পাট জাগ দিচ্ছিলেন। এসময় তাকে একটি সাপে দংশন করে। তার চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ফারজানা সুলতানা বলেন, সাপের দংশনে আহত তিনজন রোগী হাসপাতালে এসেছেন। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি দুজনকে বিষধর সাপে কাটেনি। তাই তাদেরকে এন্টিভেনম দেয়ার প্রয়োজন হয়নি। তবে তাদেরকে আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছি। অপরজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
রাসেল’স ভাইপার নিয়ে পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার আ.লীগ নেতার
রাসেল ভাইপার নিয়ে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাসেল ভাইপার নিয়ে গুজব
হাতিয়া সৈকতে ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
There are preparations to deal with dengue Health Minister

ডেঙ্গু মোকাবিলার প্রস্তুতি রয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডেঙ্গু মোকাবিলার প্রস্তুতি রয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সামন্ত লাল সেন বলেন, সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি যথেষ্ট। ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর এবং সিটি কর্পোরেশনের সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করা উচিত। শিগগিরই এ বিষয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা হবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ওষুধপত্র, স্যালাইনসহ হাসপাতালে সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হলে এ বিষয়ে আরও উদ্যোগ নেয়া হবে।

রোববার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। খবর বাসসের

সামন্ত লাল সেন বলেন, সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি যথেষ্ট। ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর এবং সিটি কর্পোরেশনের সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করা উচিত। শিগগিরই এ বিষয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা হবে।

যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার বন্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারণা জোরদার করা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করা উচিত।

জেনেভা সফর নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে ফাইলেরিয়া নির্মূল এবং বিশ্বে প্রথম কালাজ্বর নির্মূল করায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ৭৭তম সাধারণ সভায় তার বক্তব্যে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। মহাপরিচালক বলেছেন, অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ হতে পারে একটি যথাযথ রোল মডেল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আর্থিক ব্যাবস্থাপনা ও অডিট অনুবিভাগ) মো. আব্দুস সামাদ প্রমুখ।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
22 people were diagnosed with corona in 24 hours

২৪ ঘণ্টায় ২২ জনের করোনা শনাক্ত

২৪ ঘণ্টায় ২২ জনের করোনা শনাক্ত ফাইল ছবি
এই সময়ের মধ্যে ৪৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ

২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হিসাবে এই তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এই সময়ের মধ্যে ৪৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৮৮০ জন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Will not tolerate patient neglect Health Minister

রোগীর প্রতি অবহেলা সহ্য করব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

রোগীর প্রতি অবহেলা সহ্য করব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সামন্ত লাল সেন বলেন, মন্ত্রী হিসেবে আমার বয়স মাত্র সাড়ে ৩ মাস। এই অল্প সময়ে আমি যেখানে গিয়েছি একটা কথাই বলেছি, আমি যেমন চিকিৎসকেরও মন্ত্রী, ঠিক তেমনি আমি রোগীদেরও মন্ত্রী। মন্ত্রী হিসেবে শুধু একটা প্রতিশ্রুতিই আমি দিতে পারি, তোমরা তোমাদের সর্বোচ্চ সেবাটুকু দিয়ে যাও, তোমাদের বিষয়গুলোও আমি দেখব।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, চিকিৎসকের ওপর কোনো আক্রমণ যেমন আমি সহ্য করব না, তেমন রোগীর প্রতি কোনো চিকিৎসকের অবহেলাও বরদাস্ত করা হবে না।

রোববার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত ৪১তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ও বিসিএস (পরিবার পরিকল্পনা) ক্যাডারে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের

সামন্ত লাল সেন বলেন, মন্ত্রী হিসেবে আমার বয়স মাত্র সাড়ে ৩ মাস। এই অল্প সময়ে আমি যেখানে গিয়েছি একটা কথাই বলেছি, আমি যেমন চিকিৎসকেরও মন্ত্রী, ঠিক তেমনি আমি রোগীদেরও মন্ত্রী। মন্ত্রী হিসেবে শুধু একটা প্রতিশ্রুতিই আমি দিতে পারি, তোমরা তোমাদের সর্বোচ্চ সেবাটুকু দিয়ে যাও, তোমাদের বিষয়গুলোও আমি দেখব।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এর সভাপতিত্বে ওরিয়েন্টেশনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আর বানু প্রমুখ।

নবনিযুক্ত চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মানুষ অতি সাধারণ। তাদের চাওয়া-পাওয়াও সীমিত। ডাক্তারের কাছে এলে তারা প্রথমে চায় একটু ভালো ব্যবহার। একটু ভালো করে তাদের সাথে কথা বলা, একটু মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনা। এটুকু পেলেই তারা সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতেন, তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়া। আমি মনে করি সে স্বপ্ন পূরণ করার কারিগর হচ্ছো তোমরা। যারা আজকে চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করতে যাচ্ছো। আমার বিশ্বাস, তোমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে।

অনুষ্ঠানে ৪১তম বিসিএস স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ক্যাডারে সহকারী সার্জন পদে ১০৩ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ১৭১ জন এবং পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে ১৫৩ জন যোগদান করেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
14 more people have been diagnosed with corona

করোনা শনাক্ত আরও ১৪ জনের

করোনা শনাক্ত আরও ১৪ জনের ফাইল ছবি
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৪ জনের।

দেশে আরও ২৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টার এই হিসাব দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

এতে জানানো হয়, নতুন করে ১৪ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৫ জনে।

তবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৪ জনের।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সময় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৭ হাজার ৩৭৪ জনে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
UNICEF calls for extra caution for children in the wild

দাবদাহে শিশুদের প্রতি বাড়তি সতর্ক হওয়ার আহ্বান ইউনিসেফের

দাবদাহে শিশুদের প্রতি বাড়তি সতর্ক হওয়ার আহ্বান ইউনিসেফের ছবি: সংগৃহীত
ইউনিসেফের মতে, তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, শিশু এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য যারা তাপজনিত অসুস্থতা যেমন হিট স্ট্রোক এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে বিশেষভাবে ডায়রিয়া ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ ও উত্তপ্ত তাপমাত্রার কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে ইউনিসেফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।

বুধবার ইয়েট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আপনার প্রতিবেশিদের দিকে নজর রাখুন- দুর্বল পরিবার, প্রতিবন্ধী শিশু, গর্ভবতী নারী এবং বৃদ্ধরা তাপপ্রবাহের সময় অসুস্থতা বা মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। সময় নিয়ে প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নিন, বিশেষ করে যারা একা থাকেন।’

ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ‘অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে বাংলাদেশের শিশুরা।

ইউনিসেফের মতে, তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, শিশু এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য যারা তাপজনিত অসুস্থতা যেমন হিট স্ট্রোক এবং ডিহাইড্রেশনের কারণে বিশেষভাবে ডায়রিয়া ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।

ইয়েট বলেন, ‘যেহেতু শিশুদের ওপর ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার প্রভাবের উদ্বেগের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে, তাই ইউনিসেফ অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের হাইড্রেটেড ও নিরাপদ রাখতে অতিরিক্ত সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।’

এই তাপপ্রবাহের তীব্রতা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।

তাপমাত্রা নজিরহীনভাবে বাড়তে থাকায় অবশ্যই শিশু এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে জানান ইয়েট।

এই তাপপ্রবাহ থেকে ইউনিসেফ কর্মী, বাবা-মা, পরিবার, যত্নগ্রহণকারী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের রক্ষায় নিচের পদক্ষেপগুলো নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে-

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের বসার বা খেলার জন্য শীতল জায়গা তৈরি করুন।
  • গরমের দুপুর এবং বিকেলে বাইরে থাকা এড়িয়ে চলুন।
  • নিশ্চিত করুন যে শিশুরা হালকা, বাতাস প্রবেশ করে এমন পোশাক পরবে এবং সারা দিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবে।

প্রাথমিক চিকিৎসা

যদি কোনো শিশু বা গর্ভবতী নারীর হিটস্ট্রেসের লক্ষণগুলো দেখা যায়, যেমন- মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্তপাত, পেশি খিঁচুনি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি; ওই ব্যক্তিকে ভালো বায়ু চলাচলসহ শীতল, ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখুন এবং ভেজা তোয়ালে বা শীতল পানি দিয়ে শরীর মুছে দিন।

পানি বা ওরাল রিহাইড্রেশন লবণ (ওআরএস) গ্রহণ করুন।

হিটস্ট্রেসের গুরুতর লক্ষণগুলোতে (যেমন: বিভ্রান্তি বা প্রতিক্রিয়া জানাতে অক্ষমতা, অজ্ঞান হওয়া, শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, খিঁচুনি এবং চেতনা হ্রাস) হলে জরুরিভিত্তিতে হাসপাতালে নেয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

মন্তব্য

p
উপরে