× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
Half of the worlds population is at risk of obesity by 2035
google_news print-icon

২০৩৫ সাল নাগাদ স্থূলতার ঝুঁকিতে বিশ্বের অর্ধেক মানুষ

২০৩৫-সাল-নাগাদ-স্থূলতার-ঝুঁকিতে-বিশ্বের-অর্ধেক-মানুষ
প্রতীকী ছবি
গবেষণায় শিশু ও কিশোরদের মধ্যে দ্রুত স্থূল হওয়ার প্রবণতা তুলে ধরে বলা হয়, ২০২০ সালের তুলনায় ২০৩৫ সালে স্থূল ছেলেমেয়ের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।

কোনো ব্যবস্থা না নিলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষ স্থূল বা মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশনের এক গবেষণার বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনটি আগামী সোমবার জাতিসংঘে উপস্থাপন করা হবে।

এতে বলা হয়, ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ৪০০ কোটির বেশি মানুষ অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগতে পারে। শিশুদের মধ্যে এই প্রবণতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই ঝুঁকি অনেক বেশি।

অতিরিক্ত ওজনের কারণে আর্থিক ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বে স্থূলতার কারণে প্রতিবছর ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি অতিরিক্ত খরচ হবে।

ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক লুইস বাওর বলেন, প্রতিবেদনের এই ফলাফল দেশগুলোর জন্য এক সতর্কবার্তা দিচ্ছে। ভবিষ্যতের এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি না হতে চাইলে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।

গবেষণায় শিশু ও কিশোরদের মধ্যে দ্রুত স্থূল হওয়ার প্রবণতা তুলে ধরে বলা হয়, ২০২০ সালের তুলনায় ২০৩৫ সালে স্থূল ছেলেমেয়ের সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।

বিশ্বের নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে স্থূলতার প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে ওবিসিটি ফেডারেশনের প্রতিবেদনে। গবেষণায় দেখা গেছে, শারীরিক স্থুলতার ঝুঁকিতে থাকা ১০টি দেশের মধ্যে নয়টি দেশই আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের। আর এসবগুলোই হয় এশিয়ার, না হয় আফ্রিকা মহাদেশের।

স্থূলতা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে গবেষণায় বলা হয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত শুয়ে-বসে সময় কাটানো, খাদ্য সরবরাহ ও বিপণন নিয়ন্ত্রণের দুর্বল নীতি এবং ওজন ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য শিক্ষার অনুন্নত ব্যবস্থা।

শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমে ওজন বেড়ে গেলে তাকে স্থূলকায় বলা হয়। বৈজ্ঞানিকভাবে শরীরের ওজন ও উচ্চতার একটা আনুপাতিক হিসাব করে স্থূলতা নির্ণয় করা হয়।

আরও পড়ুন:
ওজন কমানোর উপায়, যা জানা জরুরি
স্থূলতা সবচেয়ে বেশি রংপুরে
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস স্থূলতা বাড়াচ্ছে
দেহের ওজন কমাবে মুখ বন্ধ রাখার ডিভাইস!

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Anemia in women causes symptoms and treatment

নারীদের রক্তশূন্যতা: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

নারীদের রক্তশূন্যতা: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার নারীদের দেহে রক্তশূন্যতার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে নারীদের গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতার হার সবচেয়ে বেশি। এই রক্তশূন্যতার কারণে গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হতে পারে।

রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে রক্তশূন্যতা ধরা হয়। চিকিৎসা শাস্ত্রে একে বলা হয় অ্যানিমিয়া। হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করা। হিমোগ্লোবিন রক্তের লোহিত কণিকায় থাকে।

পুরুষদের ক্ষেত্রে রক্তে স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ১৪ থেকে ১৭ গ্রাম। নারীদের ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৫ গ্রাম। এ মাত্রা কমে নারী ও পুরুষ উভয়ের রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

রক্তশূন্যতা কেন হয়, বিশেষত নারীরা কেন এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন, সে বিষয়ে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও হেমাটোলজিস্ট মনিরুল ইসলাম।

রক্তশূন্যতা কেন হয়

বিভিন্ন কারণেই রক্তশূন্যতা হতে পারে। রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরির অন্যতম প্রধান উপাদান হলো আয়রন। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া হতে পারে। একে বলে ‘আয়রন ডেফিসিয়েন্সি এনিমিয়া’। এ ছাড়া ভিটামিন-বি ও ফলিক অ্যাসিডের অভাব, দীর্ঘমেয়াদি বিশেষ কিছু রোগ, যেমন: কিডনি বিকল হয়ে যাওয়া, যক্ষা, ব্লাড ক্যানসার, থ্যালাসেমিয়া, রক্তক্ষরণ ইত্যাদি কারণে রক্তশূন্যতা হতে পারে।

আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতার হারই সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে। নারীদের মধ্যে এর হার বেশি।

বাংলাদেশে নারীদের গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতার হার সবচেয়ে বেশি। এই রক্তশূন্যতার কারণে গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হতে পারে।

আয়রনের ঘাটতির কারণ

সাধারণত অপুষ্টির কারণে আয়রনের ঘাটতি হয়। খাদ্যে পর্যাপ্ত আয়রন না থাকলে এ অভাব দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় নারীদের বাড়তি আয়রনের প্রয়োজন, কিন্তু দেখা যায় আমাদের দেশে গর্ভবতী মায়েরা অনেক ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের সুযোগ পান না।

আরও একটি কারণে নারীরা আয়রনের ঘাটতিতে ভোগেন। সেটি হলো ঋতুস্রাবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ। আবার দীর্ঘমেয়াদি রক্তক্ষরণ হলেও আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। পেপটিক আলসার, পাইলসের মতো জটিলতার কারণেও আয়রনের ঘাটতি হয়ে রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

লক্ষণ

  • চোখ-মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া
  • দুর্বল লাগা
  • মাথা ঘোরা
  • বুক ধড়ফড় করা
  • মাথাব্যথা
  • বমি বমি ভাব
  • চোখে ঝাপসা দেখা, মুখে ঘা
  • রক্তশূন্যতার মাত্রা তীব্র হলে শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ লাগা। এমনকি হার্ট ফেইলিউরও হতে পারে।

সিবিসি (কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট) পরীক্ষা করলেই রক্তশূন্যতা আছে কি না বোঝা যায়।

প্রতিকার

অ্যানিমিয়া প্রতিকারের মুলমন্ত্র খাবারে নিহিত। আপনি যদি রক্তশূন্যতায় ভোগেন, তাহলে সবার আগে নজর দেবেন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। আর চেষ্টা করতে হবে অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রতিকার না খুঁজে আগেই প্রতিরোধ করার। কারণ একবার কোনো রোগ হয়ে গেলে তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কষ্টকর। আর গর্ভবতী মায়েদের সঠিক নিয়মে খাওয়া-দাওয়া আরও বেশি জরুরি। তা না হলে তিনি ও তার অনাগত সন্তান উভয়ের ওপরই প্রভাব পড়বে।

রক্তশূন্যতায় কী কারণে আয়রনের ঘাটতি হলো তা আগে জানতে হবে।

সাপ্লিমেন্ট হিসেবে আয়রন ট্যাবলেট খেতে হবে। এ ছাড়া আয়রনসমৃদ্ধ খাবার, যেমন: কচুশাক, ডাঁটাশাক, পালং শাক, শিম ও শিমের বিচি, কাঁচা কলা, সামুদ্রিক মাছ, কলিজা, গরু-খাসির মাংসে প্রচুর আয়রন থাকে।

বাংলাদেশের নারীদের বিশেষ করে গর্ভকালীন একটা বড় সমস্যা রক্তশূন্যতা। একটু সচেতন হলেই এর সমাধান সম্ভব।

আরও পড়ুন:
উচ্চ রক্তচাপের মূল বটিকা সচেতনতা
সংকটে ব্যাহত নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন
সাড়ে ৯ লাখ ব্যাগ রক্ত সরবরাহ করেছে ‘বাঁধন’
দেশে ৫ জনের ১ জন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত
স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন ‘কণিকার’ নতুন কমিটি

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Things to keep in mind for pregnant mothers while fasting

গর্ভবতী মায়েরা রোজার ক্ষেত্রে যেগুলো বিবেচনায় রাখবেন

গর্ভবতী মায়েরা রোজার ক্ষেত্রে যেগুলো বিবেচনায় রাখবেন রোজা রাখার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল করতে হয় গর্ভবতী মায়ের। ছবি: সংগৃহীত
‘প্রথম তিন মাসের পর দ্বিতীয় তিন মাস, অর্থাৎ চার থেকে সাত মাস। এই সময়টায় একটা গর্ভের সন্তান আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। কাজেই এই সময়ে মায়ের পুষ্টি বাচ্চার গ্রোথের জন্য খুবই জরুরি। যদি কোনো মায়ের আল্ট্রাসাউন্ডে দেখা যায়, বাচ্চার গ্রোথ তুলনামূলক কম হচ্ছে কিংবা মায়ের ওজন পরপর দুই মাসের চেকআপে এতটুকু বাড়েনি কিংবা তার খাবারের রুচি একেবারেই নেই, এ ধরনের মায়ের ক্ষেত্রে রোজা রাখাটা জরুরি নয়।’

সিয়াম সাধনার মাস রমজানে অন্য অনেকের মতো রোজা রাখতে চান গর্ভবতী নারীরা। এ ক্ষেত্রে তাদের করণীয়গুলো এক ভিডিওতে তুলে ধরেছেন গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডা. কাজী ফয়েজা আক্তার, যেটি তার ভাষায় পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করা হলো।

১. এটা অত্যন্ত কমন একটি প্রশ্ন যে, একজন মা যিনি গর্ভবতী বা প্রেগন্যান্ট, সে রমজানে রোজা রাখবে কি না। সবার প্রথমে আমি যে কথাটি বলতে চাই, তা হলো প্রেগন্যান্সি কোনো রোগ না। প্রেগন্যান্সি কোনো অসুস্থতা না। আমি এ কথাটা সবসময় বলি, সবাইকে বলি। একটা মেয়ে যেমন স্বাভাবিকভাবে বড় হবে, তেমনই কিন্তু সে তার লাইফের একটা স্টেজে এসে প্রেগন্যান্ট হবে, এটাই স্বাভাবিক। একজন অসুস্থ ব্যক্তির জন্যই শুধু রোজার মাফ আছে। তাহলে প্রেগন্যান্সিতে রোজা রাখা যাবে। তার মানে যদি অসুস্থতা হতো প্রেগন্যান্সি, তাহলে সে রোজার মাফ পেত। আদারওয়াইজ রোজার মাফ কিন্তু সে পাবে না।

২. এখন এ কথাটা তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাদের প্রেগন্যান্সি পিরিয়ডটা একদমই স্বাভাবিক কাটছে, কিন্তু কিছু কিছু কন্ডিশনে রোজা রাখাটা বিবেচনা সাপেক্ষ। যেমন: কোনো মায়ের হয়তো বা প্রথম তিন মাসের মধ্যে রমজান মাস এলো। তার প্রচণ্ড বমি পাচ্ছে এবং দিনে সে কয়েকবার বমি করছে। বমি করার কারণে সে পেটে কিছুই রাখতে পারছে না। এমনকি তার ওজন তুলনামূলক কমেও গেছে। তার শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছে। এ ধরনের কন্ডিশনে তার রোজা রাখা জরুরি নয়।

৩. প্রথম তিন মাসের পর দ্বিতীয় তিন মাস, অর্থাৎ চার থেকে সাত মাস। এই সময়টায় একটা গর্ভের সন্তান আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। কাজেই এই সময়ে মায়ের পুষ্টি বাচ্চার গ্রোথের জন্য খুবই জরুরি। যদি কোনো মায়ের আল্ট্রাসাউন্ডে দেখা যায়, বাচ্চার গ্রোথ তুলনামূলক কম হচ্ছে কিংবা মায়ের ওজন পরপর দুই মাসের চেকআপে এতটুকু বাড়েনি কিংবা তার খাবারের রুচি একেবারেই নেই, এ ধরনের মায়ের ক্ষেত্রে রোজা রাখাটা জরুরি নয়।

৪. কিছু কিছু কন্ডিশন আছে, যা প্রেগন্যান্সিতে কোনো কোনো মা ডেভেলপ করেন, যেমন: আনকন্ট্রোলড ডায়াবেটিস, আনকন্ট্রোলড হাইপারটেনশন, রক্তশূন্যতা। যদি এমন হয় তার ডায়াবেটিস ইনসুলিন নিয়েও কোনোভাবে কন্ট্রোল করা যাবে না, তার হাই ব্লাড প্রেশার, তিন-চার বেলা করে ওষুধ খেয়েও কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না, তার রক্তশূন্যতা এত বেশি যে, তাকে তিন বেলা আয়রনজাতীয় খাবার বেশি খেতে হচ্ছে, সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই রোজা রাখাটা বিবেচনাসাপেক্ষ। এ ধরনের কন্ডিশন যদি কারও থাকে, অবশ্যই তার রেগুলার ডক্টরের সাথে কথা বলে নেবে যে, তার জন্য রোজাটা কতটা জরুরি।

৫. রোজা রাখার পর যদি কোনো মা এমন বোধ করেন, হঠাৎ তার প্রচণ্ড বমি হচ্ছে, হঠাৎ সে চারদিকে অন্ধকার দেখে বসে পড়ল কিংবা তার ব্লাড সুগার ফল করেছে, এ ধরনের বিভিন্ন কন্ডিশনে তিনি চাইলে রোজা ভেঙেও ফেলতে পারেন।

সারকথা

রোজা একজন মুসলিম নারী রাখবেন কি রাখবেন না, সেটা বলার আমি কেউই না। আমার কাছে অনেকেই জানতে চায় যে, আপনি বলেন রাখব কি রাখব না। সত্যি কথা বলতে তোমাদের রোজা তোমার রাখবে কি রাখবে না, এই ডিসিশনটা দেয়ার আমি কেউই না, তবে এতটুকু আমি বুঝি যে, আল্লাহতায়ালা যারা অসুস্থ, তাদের রোজার ব্যাপারে শিথিলতা দিয়েছেন এবং আল্লাহ আমাদেরকে কখনোই যতটুকু আমরা পারব, তার চেয়ে বেশি লোড দেন না। কাজেই আমরা যতটুকু কাজ করতে পারব বা যতটুকু রোজা রাখলে আমার বা আমার গর্ভের সন্তানের কোনো ক্ষতি হবে না, ততটুকুই আমার জন্য জরুরি।

আরও পড়ুন:
১৭ ঘণ্টা রোজা রাখতে হবে যেসব দেশে
রমজানে ১০ টাকা লিটারে দুধ বিক্রি করছেন এরশাদ
রোজা ভঙ্গের কারণ
ফেসবুকে পণ্যের দাম কমিয়ে বিজ্ঞাপন, রোজায় স্বস্তি ক্রেতাদের
বিভিন্ন ভাষায় রমজানের শুভেচ্ছা

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
7 ways to avoid dehydration during fasting

রোজায় পানিশূন্যতা এড়ানোর ৭টি উপায়

রোজায় পানিশূন্যতা এড়ানোর ৭টি উপায় রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে ইফতার ও সেহরির মধ্যবর্তী সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান করতে হবে। ছবি: সংগৃহীত
‘ইফতারে উচ্চ মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এ ধরনের খাবার শরীরে পানির চাহিদা বাড়ায়। এ ছাড়া সালাদ ও তরকারিতে লবণ কম দেয়া উচিত। বেশি পরিমাণে লবণ খেলে বাড়তে পারে তৃষ্ণা।’

সিয়াম সাধনার মাস রমজানে ভোররাত থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাবারের পাশাপাশি পানি পান থেকে বিরত থাকেন মুসলিমরা। রোজা শীতকালে হলে তৃষ্ণার অনভূতি কম হয়, তবে গ্রীষ্মকালে রোজায় দেহে পানিশূন্যতার ঝুঁকি তৈরি হয়, যা থেকে হতে পারে অবসাদ ও বমি বমি ভাব।

কাতারের প্রধান অলাভজনক স্বাস্থ্যসেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হামাদ মেডিক্যাল করপোরেশন জানিয়েছে, সাধারণত শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক, ডায়াবেটিস, কিডনি বা অন্যান্য দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত কিংবা সূর্যের নিচে শারীরিক ব্যায়াম করা লোকজন পানিশূন্যতার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন।

রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে করণীয়

হামাদ মেডিক্যাল করপোরেশন পানিশূন্যতা এড়াতে সাতটি পরামর্শ দিয়েছে।

১. ইফতার ও সেহরির মধ্যবর্তী সময়ে আট থেকে ১২ কাপ পানি পান করুন। ঠান্ডা পানির তুলনায় দ্রুত শোষণ হয় বলে কুসুম গরম পানি পান করা যেতে পারে।

২. রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে প্রতিদিন স্যুপ খেতে পারেন। শরীরে তরলের চাহিদা পূরণের ভালো উৎস হতে পারে খাবারটি।

৩. তরমুজ, টমেটো, শসা, আঙুরের মতো ফল ও সবজিতে অনেক পানি থাকে, যা তৃষ্ণা কমাতে সাহায্য করে।

৪. ইফতারে উচ্চ মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এ ধরনের খাবার শরীরে পানির চাহিদা বাড়ায়। এ ছাড়া সালাদ ও তরকারিতে লবণ কম দেয়া উচিত। বেশি পরিমাণে লবণ খেলে বাড়তে পারে তৃষ্ণা।

৫. গবেষণায় দেখা যায়, প্রচুর চিনি থাকায় মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে তৃষ্ণা বাড়ে। এর পরিবর্তে ফল খেতে পারেন, যা দেহে তরলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি তৃষ্ণাও মেটায়।

৬. ক্যাফেইন শরীরের তরল শুষে নিয়ে তৃষ্ণা বাড়ায়। এ কারণে রমজানে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। এ ধরনের পানীয়র মধ্যে এনার্জি ও কার্বনযুক্ত পানীয়, চা ও কফি রয়েছে। ধূমপান মুখকে শুষ্ক করে তৃষ্ণা বাড়ায়। এ কারণে ধূমপানও এড়িয়ে চলুন।

৭. গরমের দিনে সূর্যতাপে ব্যায়াম করলে প্রচুর পরিমাণে পানি পানের চাহিদা তৈরি হয়। এ কারণে রোজায় ব্যায়ামের সবচেয়ে ভালো সময় হলো ইফতারের পর। কারণ ইফতারের মধ্য দিয়ে শরীর পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানীয়র মাধ্যমে শক্তি পায়। রোজা ভেঙে ব্যায়াম করলে শরীর থেকে ঝরে যাওয়া তরলের চাহিদা পূরণের জন্যও পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:
রমজানে ১০ টাকা লিটারে দুধ বিক্রি করছেন এরশাদ
রোজা ভঙ্গের কারণ
ফেসবুকে পণ্যের দাম কমিয়ে বিজ্ঞাপন, রোজায় স্বস্তি ক্রেতাদের
বিভিন্ন ভাষায় রমজানের শুভেচ্ছা
রোজার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা, যা ঘটে শরীরে

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Quick Recipe of Lachir for Diabetics on Fasting

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের লাচ্ছির কুইক রেসিপি

রোজায় ডায়াবেটিস রোগীদের লাচ্ছির কুইক রেসিপি রোজায় টক দই দিয়ে সহজেই লাচ্ছি তৈরি করা যায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। ছবি: সংগৃহীত
রোজায় লাচ্ছি খেতে ইচ্ছুক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব সহজেই পানীয়টি তৈরি করা যায়।

সিয়াম সাধনার মাস রমজানে অন্য অনেকের মতো রোজা রাখেন ডায়াবেটিস রোগীরা। এ ক্ষেত্রে মাসজুড়ে খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ে তাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। সতর্কতার সঙ্গে খাদ্যগ্রহণ কিংবা চলাচল করলে তারা অনেক বিপদের ঝুঁকি কমাতে পারেন।

রোজায় লাচ্ছি খেতে ইচ্ছুক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কীভাবে পানীয়টি তৈরি করতে হয়, তা তুলে ধরা হয়েছে বিটিভির এক অনুষ্ঠানে। এ প্রক্রিয়ায় খুব সহজেই লাচ্ছি বানানো যাবে।

উপকরণ

তিনটি খেজুর ও দুই টেবিল চামচ টক দই।

প্রস্তুত প্রণালি

খেজুর কুচি ও টক দই একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ডারে নিয়ে তাতে কিছু বরফকুচি ও অল্প পরিমাণ পানি দিন। এবার ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পরিবেশন করুন।

আরও পড়ুন:
রোজা ভঙ্গের কারণ
ফেসবুকে পণ্যের দাম কমিয়ে বিজ্ঞাপন, রোজায় স্বস্তি ক্রেতাদের
বিভিন্ন ভাষায় রমজানের শুভেচ্ছা
রোজার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা, যা ঘটে শরীরে
রমজানে বেশি দাম নিলে দোকান বন্ধের হুঁশিয়ারি মেয়র আতিকের

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Air pollution accounts for 20 percent of premature deaths in Bangladesh

বাংলাদেশে অকাল মৃত্যুর ২০ শতাংশই বায়ুদূষণে

বাংলাদেশে অকাল মৃত্যুর ২০ শতাংশই বায়ুদূষণে ‘স্ট্রিভিং ফর ক্লিন এয়ার: এয়ার পল্যুশন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার ঢাকায় উপস্থাপন করা হয়।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের ১০টি সর্বাধিক বায়ুদূষণ শহরের ৯টিই দক্ষিণ এশিয়ার। এর মধ্যে ঢাকা অন্যতম। বায়ুদূষণ রোধে বাংলাদেশের জরুরি পদক্ষেপ দরকার। বিশুদ্ধ বায়ু নিশ্চিত করার জন্য সাশ্রয়ী সমাধান রয়েছে। তবে এর জন্য দেশগুলোর মধ্যে নীতিমালা ও বিনিয়োগের সমন্বয় প্রয়োজন।

বিশ্বের ১০টি সর্বাধিক বায়ু দূষণ শহরের মধ্যে নয়টিই দক্ষিণ এশিয়াতে এবং ঢাকা এদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে মোট অকাল মৃত্যুর ২০ শতাংশের জন্যই দায়ী এই বায়ু দূষণ।

বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিশুদ্ধ বায়ু নিশ্চিত করার জন্য অর্থনৈতিকভাবে সম্ভব এবং সাশ্রয়ী সমাধান রয়েছে। তবে এর জন্য দেশগুলোর মধ্যে নীতিমালা ও বিনিয়োগের সমন্বয় প্রয়োজন।

‘স্ট্রিভিং ফর ক্লিন এয়ার: এয়ার পল্যুশন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি মঙ্গলবার ঢাকায় উপস্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশে অকাল মৃত্যুর ২০ শতাংশই বায়ুদূষণে
ধুলায় আচ্ছন্ন সড়ক ধরে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। ছবি: গ্রিন ল্যাব

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এই অঞ্চলের কিছু অতি ঘনবসতিপূর্ণ ও দরিদ্র এলাকার বায়ূকণা যেমন ঝুল এবং ধূলিকণা (পিএম২.৫) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত নিরাপদ মানদণ্ডের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। দক্ষিণ এশিয়ায় এই বায়ুদূষণ প্রতি বছর আনুমানিক দুই মিলিয়ন লোকের অকাল মৃত্যু ঘটায়। এর কারণে অর্থনৈতিক ব্যয়ও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।

‘মারাত্মক বায়ুদূষণের ফলে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ দেখা দেয় এবং এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগে মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে। এটি একটি দেশের স্বাস্থ্যসেবার খরচ বাড়ায় এবং উৎপাদন ক্ষমতা ও কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেয়।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলায়ে সেক বলেন, ‘বায়ুদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। এমন অনেক নজির রয়েছে যে অঙ্গীকার, সঠিক পদক্ষেপ ও নীতিমালা গৃহীত হলে এই বায়ুদূষণ মোকাবিলা করা সম্ভব।

‘বাতাসের গুণমান ব্যবস্থাপনা বাড়াতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বায়ূদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইনসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে এই শক্তিশালী পদক্ষেপের পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত সমাধান এই বায়ুদূষণ কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি বড় এয়ারশেড চিহ্নিত করা হয়েছে- যেখানে স্থানিক বাতাসের গুণমানে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বেশি। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান- ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে বিস্তৃত একটি সাধারণ এয়ারশেডের আওতাভুক্ত। প্রতিটি এয়ারশেডের বায়ূকণা বিভিন্ন উৎস ও অবস্থান থেকে আসে। উদাহরণস্বরূপ- ঢাকা, কাঠমান্ডু ও কলম্বোর মতো শহরে শুধু সংশ্লিষ্ট শহরের মধ্যে থেকেই এক-তৃতীয়াংশ বায়ুদূষণ সৃষ্টি হয়। এই বায়ুদূষণের আন্তঃসীমান্ত প্রকৃতি বিবেচনায় নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার এই চারটি দেশ ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয় পাদদেশের বাতাসের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে কাঠমাণ্ডু রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে।

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক সমন্বয় পরিচালক সিসিল ফ্রুম্যান বলেন, ‘বায়ুদূষণ একটি শহর, রাজ্য বা জাতীয় সীমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অল্প কিছুসংখ্যক দেশ বাতাসের মান উন্নয়নে নীতি গ্রহণ করেছে। কিন্তু জেলা ও গ্রাম পর্যায়ে পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে পদক্ষেপ গ্রহণ করাটা অতিজরুরি।’

প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে পাওয়ার প্ল্যান্ট, বড় কারখানা ও পরিবহনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে চলমান নীতিগত পদক্ষেপগুলো যদি দক্ষিণ এশিয়াজুড়েও সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলেও শুধু পিএম২.৫ হ্রাসের মতো আংশিক সাফল্য আসবে।

বৃহত্তর অর্জনের লক্ষ্যে অন্যান্য খাত বিশেষ করে ছোট উৎপাদন, কৃষি, আবাসিক রান্না এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপরও নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি দিতে হবে।

আরও পড়ুন:
দিল্লির বাতাস ‘বিপজ্জনক’, ঢাকার বায়ু ‘অস্বাস্থ্যকর’
‘অস্বাস্থ্যকর বাতাস’ নিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ পাঁচে ঢাকা
ঢাকার বাতাসের মানের আরও উন্নতি
বায়ুদূষণে জিডিপির ক্ষতি অন্তত সাড়ে ৪ শতাংশ
বায়ুদূষণ: দিল্লির মানুষের আয়ু কমছে ১০ বছর

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Types of headache causes and remedies

মাথাব্যথার ধরন, কারণ ও দূর করার উপায়

মাথাব্যথার ধরন, কারণ ও দূর করার উপায় মাথাব্যথার রয়েছে অনেক ধরন। ছবি: সংগৃহীত
“মাইগ্রেনে হেডেকটা হয় মাথার এক দিকে। রোগীরা সাধারণত বলে ‘ধব ধব’ করে এবং ব্যথা ‍শুরুর আগে পেশেন্ট বুঝতে পারেন। কারণ অনেক সময় তিনি আলোকচ্ছ্বটা দেখতে পান চোখে এবং যখন ব্যথাটা ওঠে, তখন সাধারণত পেশেন্ট প্রেফার করে কোনো অন্ধকার, কাম অ্যান্ড নয়েজ ফ্রি একটা এনভায়রনমেন্টে থাকার জন্য।”

জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে আমরা মাথাব্যথার শিকার হই। কেউ কেউ প্রায়ই এ সমস্যায় ভোগেন। এক ভিডিওতে এ সমস্যার ধরন, কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে কথা বলেছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. নওসাবাহ্ নূর। পরামর্শগুলো তার ভাষায় তুলে ধরা হলো পাঠকদের সামনে।

ধরন

আমাদের মধ্যে এমন কেউ হয়তো নেই, যার জীবনে কখনও মাথাব্যথা হয়নি। আবার এমন অনেকে আছেন, যাদের মাথাব্যথা থেকে জীবন আজ হুমকির পথে। এ জন্য আমাদের সবার মাথাব্যথা সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারণা থাকা প্রয়োজন।

মাথাব্যথা অনেক রকমের হয়ে থাকে। আজকে আমি ভিডিওতে অনেক ধরনের মাথাব্যথা সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারণা দেব এবং সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ যেটা সেটা হলো মাথাব্যথার সাথে কী কী উপসর্গ বা ওয়ার্নিং সাইন থাকলে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে চলে যাবেন। প্রথমেই আসি আমরা ডাক্তাররা মাথাব্যথাকে কীভাবে ক্লাসিফাই বা শ্রেণিবিভাগ করি।

যখনই কোনো রোগী আমাদের কাছে আসেন, তখন আমরা মাথাব্যথার সব হিস্ট্রি নিয়ে আসেন, আমরা দুই ভাগে সাধারণত ভাগ করার চেষ্টা করি। এক হলো প্রাইমারি হেডেক, আরেক হলো সেকেন্ডারি হেডেক। এই ক্লাসিফিকেশন (শ্রেণিকরণ) কেন জরুরি? কারণ প্রাইমারি হেডেকে কোনো ইনভেস্টিগেশন, যেমন: সিটি স্ক্যান বা এমআরআই করার কোনো প্রয়োজন নেই এবং সেকেন্ডোরি হেডেকে এই ইনভেস্টিগেশন করাটা খুবই আর্জেন্ট।

প্রাইমারি হেডেক বা মাথাব্যথার প্রাথমিক ধরন

প্রাইমারি হেডেক অনেক রকমের হয়ে থাকে। আমি মূলত তিন রকমের হেডেক নিয়ে কথা বলব, যেগুলো সবচেয়ে কমন।

১. টেনশন হেডেক

২. মাইগ্রেন

৩. ক্লাস্টার হেডেক

টেনশন হেডেক

প্রথমে আসি টেনশন হেডেক নিয়ে। আমরা যে বলেছিলাম, আমাদের সবার কখনও না কখনও মাথাব্যথা হয়েছে, টেনশন হেডেক মোস্ট লাইকলি (খুব সম্ভবত) আপনি সাফার করেছেন কখনও না কখনও। কারণ এটা হচ্ছে সবচেয়ে কমন টাইপ অব হেডেক।

এ মাথাব্যথাটা কেমন হয়? এ মাথাব্যথাটা ব্যান্ডের মতো সারা মাথাজুড়ে হয় এবং চাপ ধরা একটা ব্যথা থাকে। সাধারণত কাজের শেষে, দিনের শেষে আমাদের এ ব্যথাটা হয়ে থাকে। কিছু রিস্ক ফ্যাক্টরস (কারণ) আছে এ মাথাব্যথার। যেমন: আপনার ঘুম যখন কম হয়, আপনি যখন স্ট্রেসড থাকেন অথবা খাবার কোনো কারণে মিস হয়ে গেছে অথবা ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন, তখনই হেডেকটা হয়ে থাকে। আমরা সাধারণত এটা কমানোর জন্য পেইন কিলার এবং মাসল রিলাক্সেন্ট দিয়ে থাকি।

মাইগ্রেন হেডেক

এরপর আসি মাইগ্রেন হেডেক নিয়ে। মাইগ্রেনে হেডেকটা হয় মাথার এক দিকে। রোগীরা সাধারণত বলে ‘ধব ধব’ করে এবং ব্যথা ‍শুরুর আগে পেশেন্ট বুঝতে পারেন। কারণ অনেক সময় তিনি আলোকচ্ছ্বটা দেখতে পান চোখে এবং যখন ব্যথাটা ওঠে, তখন সাধারণত পেশেন্ট প্রেফার করে কোনো অন্ধকার, কাম অ্যান্ড নয়েজ ফ্রি একটা এনভায়রনমেন্টে থাকার জন্য। এই মাথাব্যথার সাথে বমি বমি ভাব, এমনকি বমিও হতে পারে।

কিছু খাবার আছে, যেগুলো থেকে মাইগ্রেন অ্যাটাক ফ্রিকোয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন: চকলেট, কফি অথবা যারা জন্মবিরতিকরণ পিল খাচ্ছেন, তাদের মাইগ্রেন হেডেক হয়ে থাকে এবং এটা কন্ট্রোল করার জন্য আমরা কী ট্রিটমেন্ট দিই?

মেইনলি দিই পেইন কিলার অথবা বমির জন্য আমরা কোনো অ্যান্টি ভমিটিং দিয়ে থাকি এবং যাদের মাসে দুইবারের বেশি অ্যাটাক হয়ে থাকে, তাদের আমরা ফারদার কিছু ট্রিটমেন্ট দিই টু প্রিভেন্ট মাইগ্রেন ফারদার অ্যাটাকস (পরবর্তী সময়ে মাইগ্রেনের ব্যথা যাতে না হয়, সে জন্য ওষুধ)।

মাইগ্রেনের ব্যথাটা যাতে ফেরত না আসে, আমরা ছয় মাসের মতো একটা চিকিৎসা দিয়ে থাকি।

ক্লাস্টার হেডেক

এরপর আসি থার্ড হেডেক, যেটা হচ্ছে ক্লাস্টার হেডেক নিয়ে। ক্লাস্টার হেডেক খুবই রেয়ার (অতি বিরল)। এটা খুব পেইনফুল একটা সিচুয়েশন। কোনো একটা চোখের চারপাশে অথবা মাথার এক পাশে হয়। খুব স্ট্যাবিং টাইপের শার্প (ছুরিকাঘাতের মতো তীক্ষ্ণ) একটা পেইন হয় এবং যখন পেইনটা হয়, তখন দিনে বেশ কয়েকটা অ্যাটাক হয়ে থাকে।

এই অ্যাটাকটা কয়েক দিন থাকার পর আবার রোগী একদম ভালো হয়ে যায়। হেডেকটা হলেও আমরা সাধারণত কিছু ট্রিটমেন্ট দিয়ে থাকি টু প্রিভেন্ট, যাতে আর কোনো অ্যাটাক ফেরত না আসে।

সেকেন্ডোরি হেডেক

এবার আসি সেকেন্ডারি হেডেক নিয়ে। আপনার মাথায় যদি কোনো টিউমার অথবা রক্তক্ষরণ অথবা ব্লাড ভেসেলসে প্রদাহজনিত কারণ অথবা মাথায় কোনো কারণে প্রেশার বেড়ে যায়, সে ক্ষেত্রে এই হেডেকটি হয়ে থাকে। এই হেডেকটি সাধারণত দেখা যায় দিনের প্রথমাংশে বেশি হয় এবং পারসিস্টেন্ট একটা হেডেক (দীর্ঘসময় ধরে মাথাব্যথা) থাকে। পেশেন্ট বমি অথবা চোখে দেখতে সমস্যা অথবা চোখে ঘোলাও দেখতে পারেন।

অন্যান্য ধরন

১. এ ছাড়া আরও কিছু হেডেক সম্পর্কে আমি বলতে চাই। যেমন: কিছু ড্রাগস আছে, বিশেষ করে ব্লাড প্রেশারের ওষুধ অথবা হার্টের ওষুধ, যেটা থেকে আমাদের এই হেডেক হতে পারে। আমাদের মধ্যে যারা গর্ভবতী মা আছেন, তাদের ক্ষেত্রে হেডেকটা খুবই ইম্পরট্যান্ট; একটা গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্নিং সাইন। যখন একজন প্রেগন্যান্ট মার হেডেক থাকে, তখন এটাকে প্রোপারলি ইভালুয়েট করি যে, তারা কোনো এক্লাম্পশিয়া বা প্রিএক্লাম্পশিয়ার (গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ বাড়া ও খিঁচুনি হওয়া) দিকে যাচ্ছি কি না।

২. রাতে যারা ঘুমানোর সময় নাক ডাকেন, আমরা মেডিক্যালের ভাষায় বলে থাকি যে, তার অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে, তাদেরও দিনের প্রথম অংশে, সকালের দিকে একটা চাপা হেডেক থাকতে পারে।

৩. কোভিড টাইমে অনেকেই আছে, যারা অনেকটা সময় বাইরে থাকার জন্য মাস্ক পরে থাকতে হয়। এই জন্য দিনের শেষে কিছুটা মাথাব্যথা হয়ে থাকে।

৪. এ ছাড়া আরেক ধরনের হেডেক আছে, যেটা হচ্ছে অ্যানালজেসিক ওভারইউজিং হেডেক, যেটা হচ্ছে আপনি যদি মাসে ১৫ দিনের বেশি মাথাব্যথার জন্য ওষুধ খেয়ে থাকেন, তখন এই অতিরিক্ত ওষুধ, পেইন কিলার থেকেও মাথাব্যথা হয়ে থাকে। এটাকে আমরা বলি অ্যানালজেসিক ওভারইউজ হেডেক।

এটার চিকিৎসা হলো সব ধরনের ব্যথার ওষুধ বন্ধ করে দিতে হবে।

কোন কোন উপসর্গে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে

এবার আসি আপনার কোন কোন ওয়ার্নিং সাইন বা উপসর্গ থাকলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যাবেন।

১. প্রথমত, আপনার যদি ব্যথাটা হঠাৎ করে শুরু হয় এবং খুব তীব্র ব্যথা হয়, রোগীরা বলে থাকে আমার এ রকম হেডেক জীবনে আগে কখনও হয়নি।

২. আপনার যদি হেডেকটা থাকে এবং পারসিস্ট্যান্ট, কোনোভাবেই কমছে না এবং দিনে দিনে ব্যথাটা বাড়ছে,

৩. চেঞ্জিং প্যাটার্ন অব হেডেক। আপনার আগে এক রকম ব্যথা ছিল। এখন অন্য রকমের ব্যথাটা হচ্ছে এবং ব্যথার প্যাটার্নটা চেঞ্জ হয়ে গেছে।

৪. আপনার বয়স যদি ৬০ বছরের ওপরে হয় এবং তখন নতুন করে ব্যথাটা শুরু হয়।

৫. আপনার যদি মাথাব্যথার সাথে অতিরিক্ত ওজন কমে যায় কোনো কারণ ছাড়া, সেটাও একটা ইম্পরট্যান্ট সাইন।

৬. মাথাব্যথার সাথে যদি আপনার জ্বর অথবা বমি এ ধরনের যদি সমস্যা থেকে থাকে।

৭. আপনার যদি প্যারালাইসিস, অর্থাৎ কোনো এক দিক অবশ অথবা অনুভূতি কম বুঝতে পারছেন অথবা কথা জড়িয়ে আসছে, চোখে দেখতে সমস্যা হচ্ছে, এগুলা আমাদের ইম্পরট্যান্ট একটা ওয়ার্নিং সাইন।

৮. লাস্টল আরেকটি হলো বয়স্ক যারা আছেন, তাদের যদি মাথাব্যতার সাথে চোয়ালে ব্যথা, বিশেষ করে খাবার সময় যদি ব্যথা হয়ে থাকে চোয়ালে, সেটাও একটা ইম্পরট্যান্ট সাইন।

এই উপসর্গগুলো দেখলে আপনি অবশ্যই দেরি না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। হয়তো আপনার সিভিয়ার কিছু নেই। তারপরও চেক করে নেওয়া অবশ্যই জরুরি।

আরও পড়ুন:
পায়ের পেশির ব্যায়াম
সকালে খালি পায়ে হাঁটার উপকারিতা
অ্যালার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় যা জানা জরুরী
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ ও প্রতিকার
ইন্টারনেট ব্রাউজারের গতি বাড়ানোর উপায়

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
What to do for diabetic patients wishing to perform Hajj

হজ পালনে ইচ্ছুক ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয়

হজ পালনে ইচ্ছুক ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয় পবিত্র কাবা ঘিরে নামাজরত মুসল্লিরা। ছবি: হারামাইন শরিফাইন
হজ পালনে ইচ্ছুক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ডায়াবেটিস প্রিভেনশন থ্রো রিলিজিয়াস লিডার্স (ডিপিআরএল) নামের উদ্যোগ। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ প্রোগ্রামের যৌথ এ প্রয়াসে সহযোগিতা করেছে ওয়ার্ল্ড ডায়াবেটিস ফাউন্ডেশন।

ইসলামের মূল পাঁচ স্তম্ভের একটি হজ। প্রতি বছর সারা বিশ্বের মুসলিমরা হজ পালন করেন। ব্যতিক্রম নন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরাও। এ ক্ষেত্রে তাদের অবলম্বন করতে হয় বেশ কিছু সতর্কতা।

নির্দেশনা

হজ পালনে ইচ্ছুক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ডায়াবেটিস প্রিভেনশন থ্রো রিলিজিয়াস লিডার্স (ডিপিআরএল) নামের উদ্যোগ। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ প্রোগ্রামের যৌথ এ প্রয়াসে সহযোগিতা করেছে ওয়ার্ল্ড ডায়াবেটিস ফাউন্ডেশন।

হজ পালনে ইচ্ছুক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডিপিআরএলের পরামর্শগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।

১. হজযাত্রার দুই মাস আগেই ডায়াবেটিস চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

২. প্রয়োজনীয় টিকা তথা ভ্যাকসিন নিতে হবে।

৩. চিকিৎসকের কাছ থেকে পরিপূর্ণ ব্যবস্থাপত্র বা প্রেসক্রিপশন নিয়ে নিতে হবে।

৪. জরুরি অবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা করে নিতে হবে। (কমপক্ষে ৪৫ দিনের ওষুধ)

৫. অসুস্থতার দিনে (যেমন: ডায়রিয়া, বমি, সর্দি, কাশি, জ্বর ইত্যাদি) আপনার করণীয় সম্পর্কে চিকিৎসক অথবা হেলথ এডুকেটরের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক, প্যারাসিটামল ও ওআরএসের মতো ওষুধ সঙ্গে নিতে হবে।

৬. একটি ভালো গ্লুকোমিটার, স্ট্রিপ, লেনসেট ও অ্যালকোহল সোয়াব সঙ্গে নিতে হবে।

৭. ইনসুলিন ব্যবহার করলে ইনসুলিন ভায়াল, পেন, সিরিঞ্জ ও নিডল সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। যদি ঠান্ডা জায়গায় রাখার ব্যবস্থা না থাকে মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাতে, সে ক্ষেত্রে আলাদাভাবে প্রয়োজনমতো ইনসুলিন নিয়ে যাবেন। বাকি ইনসুলিন মক্কায় আপনার ফ্রিজে রেখে যাবেন।

৮. হাইপোগ্লাইসেমিয়া চিকিৎসার জন্য দ্রব্যাদি, যেমন: গ্লুকোজের ট্যাবলেট, চকলেট, জেল বা জেলি, জুস, মিষ্টি বিস্কুট বা কেক সঙ্গে রাখতে হবে।

৯. খাবার খেতে বা পেতে দেরি হলে তা মোকাবিলার জন্য শর্করাজাতীয় পানীয় সঙ্গে রাখুন, তবে অত্যধিক শর্করাজাতীয় পানীয়, ফ্রুট জুস ও খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

১০. আরামদায়ক ও সঠিক মাপের জুতা সঙ্গে নিতে হবে।

পায়ের যত্নে করণীয়

১. সবসময় নরম, বদ্ধ ও আরামদায়ক স্যান্ডেল বা কাপড়ের জুতা ব্যবহার করা উচিত।

২. নতুন জুতা না পরা ভালো। অভ্যস্ত হতে সময় লাগে এমনকি পায়ে ফোসকা পড়তে পারে। হজের দুই-তিন মাস আগে কেনা জুতা, যা পায়ে ফিট হয়ে গেছে, তাই পরা ভালো।

৩. পা ধোয়া, অজু বা গোসল করার পরে খেয়াল রাখতে হবে যাতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে ভেজা না থাকে। টিস্যু পেপার দিয়ে পা শুকিয়ে নিন। পায়ে আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকলে তাওয়াফ ও সা’ঈ করার সময় নরম মোজা ব্যবহার করতে পারেন।

৪. যেকোনো ভিড়ের সময় পা সাবধানে রাখা উচিত।

৫. পা পরিষ্কার ও নখ কেটে ছোট করা উচিত।

৬. প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার পায়ে ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগানো উচিত।

৭. প্রতিদিন পা পর্যবেক্ষণ করুন। বিশেষ করে ওপরের দিক, পায়ের আঙুলের ফাঁকে, পায়ের তলা এবং গোড়ালি ভালোভাবে পরীক্ষা করা জরুরি।

৮. যদি কখনও পায়ে আঘাত লাগে বা ক্ষত সৃষ্টি হয়, তবে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসাকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে।

আরও পড়ুন:
বিমানের হজ ফ্লাইট শুরু ২১ মে
হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আবার বাড়ল
হজ প্যাকেজের দাম বাড়ার কারণ জানাল ধর্ম মন্ত্রণালয়
পৌনে ৭ লাখ টাকার হজ প্যাকেজ অমানবিক: হাইকোর্ট
কীভাবে কোমরে ব্যথা পেলেন, জানালেন মেহজাবীন

মন্তব্য

p
উপরে