গত ২০ বছরে মাতৃ মৃত্যুহার এক-তৃতীয়াংশ কমলেও গর্ভকালীন বা সন্তান প্রসবকালীন জটিলতায় প্রতি দুই মিনিটে একজন নারীর মৃত্যু হয় বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আন্তর্জাতিক সংস্থাটি জানায়, ২০০০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মাতৃ মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, তবে ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ হার মোটাদাগে একই রকম ছিল। কিছু কিছু অঞ্চলে মাতৃ মৃত্যুহার বেড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পাশাপাশি জাতিসংঘের অন্য কিছু অঙ্গ সংস্থার সমন্বয়ে তৈরি প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ বছর মেয়াদে সার্বিক মাতৃ মৃত্যুহার ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। ২০০০ সালে প্রতি লাখে ৩৩৯ জন নারীর মৃত্যু হতো গর্ভকালীন বা প্রসবকালীন জটিলতায়। ২০২০ সালে প্রতি লাখে এ সংখ্যা কমে হয় ২২৩।
এর অর্থ হলো ২০২০ সালে দৈনিক মৃত্যু হয় সন্তানসম্ভবা প্রায় ৮০০ নারীর। অর্থাৎ প্রতি দুই মিনিটে গড়ে একজন নারীর মৃত্যু হয়।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, মাতৃ মৃত্যুহার কমার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। ২০ বছরে দেশটিতে মাতৃ মৃত্যুহার কমে ৯৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এ হারার বাড়ায় শীর্ষে লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা।
২০০০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মাতৃ মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি বাড়ে যুক্তরাষ্ট্রে।
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা অভিযান চালিয়ে ১৬২ অভিবাসী নির্মাণশ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে ১১৮ বাংলাদেশি রয়েছেন।
দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের জালান বুকিট কিয়ারা এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া অন্যদের মধ্যে মিয়ানমারের ২৩ জন, ইন্দোনেশিয়ার ১১ জন ও পাকিস্তানের ১০ জন শ্রমিক রয়েছেন।
দেশটির আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ‘ডিবিকেএল’ শুক্রবার তাদের ফেসবুক পেজে দেয়া এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অভিযানে রয়্যাল মালয়েশীয় পুলিশ, নির্মাণশিল্প উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থা অংশ নেয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলবে।
আরও পড়ুন:ইরানের নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের উদ্বেগের জবাব দিয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্রটি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে নিজ অ্যাকাউন্টে শুক্রবার এক পোস্টে ইরানের অবস্থান তুলে ধরেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি।
ইরানভিত্তিক সংবাদ সংস্থা তাসনিমের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার ইরান ‘খাইবার’ তথা ‘খোরামশহর ৪’ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচন করে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে পশ্চিমা রাষ্ট্র দুটি।
কানানি তার পোস্টে বলেন, ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বাধীন সরকার ইরানের বিভিন্ন শহর ও নিরীহ মানুষের ওপর যে ‘সামরিক আগ্রাসন’ ও বোমা হামলা চালিয়েছিল, তাতে উসকানি ও অস্ত্রের জোগান দেয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের। দেশ দুটি মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্রের শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারক। তারাই এখন ইরানের উন্নতি ও প্রতিরক্ষা শক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
কানানির ভাষ্য, পশ্চিমা সরকারগুলো ইরানকে শক্তিশালী অবস্থায় দেখতে চায় না।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর খোররামশহর মুক্ত হওয়ার ৪১তম বার্ষিকীতে ইরান খাইবার নামের মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচন করে। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানি।
খাইবার তরল জ্বালানিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র, যেটি ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এটি দেড় হাজার কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম।
ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচনের দিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও সংখ্যাবৃদ্ধি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি।
ফ্রান্সের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইরানের এমন তৎপরতা জাতিসংঘের প্রস্তাবের লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন:তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রোববার অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে কমেছে নির্বাচনী উত্তাপ।
দেশটির ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানিয়েছে আল জাজিরা।
তুরস্কের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট দ্বিতীয় দফায় গড়িয়েছে। এর আগে অনেক ভোটারই প্রথম দফার মতো আগ্রহ পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।
তুরস্কের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রবিন্দু ইস্তাম্বুলের টোফেন এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে চা পানের সময় ৪৯ বছর বয়সী সোনার উগুরলু আল জাজিরাকে বলেন, ‘এটা অদ্ভুত অনুভূতি। আমার মনে হচ্ছে নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে। অথচ আমি জানি আরেক দফা আছে রোববার।’
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি আবার ভোট দেব, তবে বিষয়টি অদ্ভুত লাগছে। কারণ দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় সবকিছু অনেক শান্ত লাগছে।’
তুরস্কের ভোটারদের অনেকে মনে করছেন, দ্বিতীয় দফায় জয়ী হবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এর মধ্য দিয়ে তার ২০ বছরের শাসনকাল আরও ৫ বছর বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
প্রথম দফার ভোটে এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোলু পান প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোট। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রথম রাউন্ডেই জিতেছিলেন এরদোয়ান।
ইস্তাম্বুলের চিহানগির এলাকার একটি কাপড়ের দোকানের স্বত্বাধিকারী ওলজাই বলেন, ‘১৪ মের (প্রথম দফা ভোটের দিন) আগে আমি খুবই আশাবাদী ছিলাম। মনে হচ্ছিল আমরা তার (রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান) হাত থেকে অবশেষে মুক্তি পাব, তবে এখন মনে হচ্ছে তাকে হারানো যাবে না।’
৩৪ বছর বয়সী এ ব্যক্তি বলেন, ‘ফের আগের মতো উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দেয়া কঠিন। কারণ মনে হচ্ছে বিষয়টির সুরাহা হয়ে গেছে, তবে অবশ্যই আমি (ভোট) দেব। কারণ এটা আমার দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন:দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার সিয়াম রিপ এলাকায় শুক্রবার এক খামারিকে হত্যা করে দেহ ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে ৪০টি কুমির।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
সিয়াম রিপ পুলিশের প্রধান মে স্যাভরির বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক সিটিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কুমিরগুলো হামলে পড়ে লুয়ান ন্যামের ওপর।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, পারিবারিক ঘেরে ডিম পাড়া কুমিরকে লাঠি দিয়ে একটি খাঁচা থেকে সরানোর চেষ্টা করছিলেন ৭২ বছর বয়সী ন্যাম। হঠাৎ সেই লাঠিতে কুমির কামড় দিলে পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যায়।
পুলিশ কর্মকর্তা স্যাভরি জানান, হাতে থাকা লাঠিতে কুমিরের কামড়ের কারণে ন্যাম পড়ে যান ঘেরে। এর পরই একের পর এক কুমির এসে ঘিরে ধরে খামারিকে। সরীসৃপগুলো ন্যামের দেহ টেনে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। খামারির রক্তে সয়লাব হয়ে যায় ঘের।
বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, ন্যামের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রক্তের ওপর বিচরণ করছে কুমিরগুলো।
ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ন্যামের দেহাবশেষ সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
সিয়াম রিপ পুলিশের প্রধান জানান, ন্যামের মরদেহে অসংখ্য কামড়ের চিহ্ন ছিল। তার দুই হাত ও এক পা কুমির খেয়ে ফেলে।
নিউ ইয়র্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিবিএসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, কুমিরের হামলায় প্রাণ হারানো ন্যাম স্থানীয় কুমির খামারি সমিতির সভাপতি ছিলেন। কয়েক বছর ধরে তাকে এ ব্যবসা ছাড়ার তাগিদ দেয়া হচ্ছিল।
আরও পড়ুন:জাপানে বৃহস্পতিবার ছুরিকাঘাত ও গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজনকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যিনি একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, জাপানের নাগানো অঞ্চলের নাকানো শহরের কাছ থেকে গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিনে চালানো এ হামলায় গভীর রাতে প্রাপ্তবয়স্ক এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ওই নারীকে ঘটনাস্থলে আহত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল।
পুলিশের এক মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, সন্দেহভাজনকে শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জাপানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম কিয়োদো নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সন্দেহভাজন তার বাবার বাড়িতে কয়েক ঘণ্টা ধরে লুকিয়ে ছিলেন।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, হামলাকারী শুরুতে কয়েকজনকে বড় ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। পরে জরুরি কল পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে রাইফেল দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন তিনি।
জাপানের মফস্বল এলাকাটিতে হামলার শুরু বৃহস্পতিবার বিকেলে। এতে নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন ৪৬ বছর বয়সী ইয়োশিকি তামাই ও ৬১ বছর বয়সী তাকু ইকেউচি।
আরও পড়ুন:কৌশলগত কারণে ইউক্রেন যুদ্ধে বাখমুত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সে কারণে রাশিয়া যেমন বাখমুতের পূর্ণ দখল নিতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, ইউক্রেনও তেমনই শহরটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মরিয়া। ফলে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে বাখমুতেই সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি ও রক্তক্ষয়ী লড়াই চলছে।
গত ১০ মাস ধরে চলা লড়াইয়ের এক প্রকার কঙ্কালে পরিণত হয়েছে এক সময়ে লবণ-খনির জন্য বিখ্যাত শহরটি। রাশিয়ার একের এক হামলায় শহরের বেশিরভাগ স্কুল, বাড়ি ও দোকানপাট ধুলায় মিশে গেছে।
এর মধ্যে রাশিয়া বাখমুতের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দাবি করেছে। বিষয়টির উল্লেখ করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশটির সেনাবাহিনী ও ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন।
তবে ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাশিয়ার ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘বাখমুতে যুদ্ধের তীব্রতা কমলেও এর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ এখনও ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছরপূর্তিতে ২০২২ সালের মে থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত এক বছরে বাখমুতে ঘটা ধ্বংসযজ্ঞের স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সার টেকনোলজিস। সময়ের ধারাবাহিকতায় বাখমুতে ধ্বংসের মাত্রা বুঝতে সহযোগিতা করবে ছবিগুলো।
যুদ্ধের আগে বাখমুতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের বসবাস থাকলেও বর্তমানে তা কয়েক হাজারে নেমে এসেছে।
রেড ক্রসের তথ্য অনুসারে, ভয়াবহ পরিস্থিতি সত্ত্বেও বর্তমানে ১০ হাজারের মতো বেসামরিক, খুবই বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ইউক্রেনীয় নাগরিক সেখানে বসবাস করছেন।
কৌশলগত যুদ্ধের পরিবর্তে বর্তমানে বাখমুত যুদ্ধ প্রতীকী লড়াইয়ে রূপ নিচ্ছে। বছর পেরিয়ে চলা যুদ্ধে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সোলেদার শহর দখল ছিল প্রত্যক্ষভাবে রাশিয়ার প্রথম বড় অর্জন। সেই শহরটির দখল অবশ্য ক্রেমলিন বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি। এবার কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাখমুত শহর দখলে নিতে পারলে তা হবে রুশ বাহিনীর বড় অর্জন।
আরও পড়ুন:ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেছে কনটেন্ট ক্রিয়েটর জনপ্রিয় নাস ডেইলির বিখ্যাত নুসের ইয়াসির ও এলিনের। তবে বন্ধু হয়ে থাকতে চান তারা।
সম্প্রতি ১৩ মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে তারা এ খবর দিয়েছেন বলে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
প্রেমের সম্পর্কে থাকার এই ছয় বছরে এক সঙ্গে ৭০টি দেশ ঘুরেছেন ‘দুই বন্ধু’। বানিয়েছেন অসংখ্য ভিডিও। তাদের নাস ডেইলির এক মিনিটের ভিডিও দেখেননি এমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী পাওয়াই কঠিন।
ভিডিওতে ছয় বছরের সম্পর্কের সুখস্মৃতি রোমন্থন করেছেন নুসের ও এলিন। পাশাপাশি সম্পর্কে মরচে ধরার কারণও আলোচনা করেছেন কোনও রাখঢাক না রেখেই।
এলিন বলেছেন, নুসেরের জীবনে কাজ আর নাস ডেইলি ছাড়া অন্য কিছুই নেই। ওর জন্য অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। হাঁফিয়ে উঠেছিলাম।
বান্ধবীর অভিযোগ মেনে নিয়েছেন নুসেরও। তার যুক্তি, ‘তুমি তো দেখেছ, একটা সময় আমি নিজের ভালোমন্দও দেখিনি ‘অ্যালিনের যে মাত্রার প্রায়োরিটির প্রত্যাশা রয়েছে তা পূরণ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’
নুসের ভিডিওতে বলেন, এলিন এবং আমি ভাল বন্ধু থাকব। আমাদের কোনো অনুশোচনা নেই। হৃদয় কখনোই নষ্ট হয় না।
সবশেষে তাদের বক্তব্য, আমাদের সম্পর্ক শুরুর কথা প্রথমে ভক্তদেরই জানিয়েছিলাম। তাই তাদের কাছে বিচ্ছেদের খবর পৌঁছে দেয়ার দায় বর্তায়। পাশাপাশি এইভি়ডিও দেখে অন্যরা যাতে একই ভুল না করেন সে বিষয়েও সতর্ক করেছেন তারা।
২০১৬ সালের জুনে পরিচয় নুসের ও এলিনের। নাস ডেইলি শুরু করেছেন নুসের, আর সদ্যই বিবাবিচ্দে হওয়া এলিন তখন ঘুরছিলেন বিশ্ব। অনলাইনে যোগাযোগর পর দেখা হয় তাদের। এরপর সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে।
মন্তব্য