× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
High blood pressure Concerns over hope for free drugs
google_news print-icon

উচ্চ রক্তচাপ: ফ্রি ওষুধে আশা, জোগান নিয়ে শঙ্কা

উচ্চ-রক্তচাপ-ফ্রি-ওষুধে-আশা-জোগান-নিয়ে-শঙ্কা
সিলেট, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন মেলে উচ্চ রক্তচাপের ফ্রি ওষুধ। এর পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে সিলেট জেলার চারটি উপজেলার আটটি কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপের বিনা মূল্যের ওষুধ দেয়া শুরু হয়েছে। তবে রয়েছে ওষুধের সংকট।

দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার রানাপিংয়ের আফিয়া খাতুন। মাসছয়েক আগে এক প্রতিবেশীর কাছে জানতে পারেন, বিনা মূল্যে রোগের ওষুধ মিলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এরপর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নাম নিবন্ধন করিয়ে টাকা ছাড়াই ওষুধ পান আফিয়া।

তিনি বলেন, ‘প্রথম দুই মাস স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওষুধ পেয়েছি। এরপর বলা হলো বাড়ির পাশের কায়স্থরাইল কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধ নিতে। সেখান থেকে দুই মাস ফ্রি ওষুধ আনি।’

নিবন্ধনের পর প্রথম কয়েক মাস বিনা মূল্যে ওষুধ পেলেও এখন তা পাচ্ছেন না বলে জানান আফিয়া। তার ভাষ্য, হাসপাতালে গেলেই বলা হয় ওষুধ নেই।

ভিন্ন অভিজ্ঞতা জেলার বিশ্বনাথের রামপাশার দিনমজুর কয়েস আহমদের। তার ভাষ্য, ‘আমি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছি। এসব ওষুধ প্রতিদিন খেতে হয়, কিন্তু নিজের টাকায় উচ্চমূল্যের এসব ওষুধ কেনা সম্ভব নয়। ফলে আগে ওষুধ খেতে পারতাম না। ‘এ কারণে শারীরিক সমস্যা লেগেই থাকত, তবে গত চার মাস ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বিনা মূল্যে প্রেশার ও ডায়াবেটিসের ওষুধ দেয়া হচ্ছে। এতে অনেক উপকার পাচ্ছি।’

উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ‘উচ্চ রক্তচাপ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা এবং ফলোআপ’ কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৮ সালের অক্টোবরে। এতে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা রিজলভ টু সেইভ লাইভস (আরটিএসএল)।

সিলেট, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ (এনসিডি) কর্নারে মেলে এ সেবা। এর পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে সিলেট জেলার চারটি উপজেলার আটটি কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপের বিনা মূল্যের ওষুধ দেয়া শুরু হয়েছে।

গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুদর্শন সেন বলেন, ‘আমাদের এখানে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিকস ও হৃদরোগের ফ্রি ওষুধের জন্য প্রায় ১০ হাজার রোগী নিবন্ধন করেছেন। প্রতিদিনই পাঁচ-ছয়জন করে রোগী বাড়ছে।

‘নিবন্ধন করা রোগীদের আমরা নিয়মিত খোঁজখবর নিই। কোনো রোগী এক মাস পর আর ওষুধ নিতে না এলে আমরা নিজেরাই যোগাযোগ করে তাকে আবার আসতে বলি।’

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের সংকট রয়েছে জানিয়ে এ চিকিৎসক বলেন, ‘আগে আমরা প্রত্যেক রোগীকে এক মাসের ওষুধ একবারে দিতাম। এখন তা পারছি না। কম করে দিই, ওষুধ নেই। সবাইকে সব দেয়া সম্ভবও হচ্ছে না।’

এর কারণ হিসেবে টার্গেটের চেয়ে বেশি রোগীর কথা জানিয়ে ডা. সুদর্শন বলেন, ‘এতে ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এখন ওষুধের সরবরাহও নেই। ফলে সব রোগীকে এখন ওষুধ দেয়া যাচ্ছে না।’

মাস দুয়েক ধরে এমন সংকট চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী বছর থেকে আশা করছি সংকট দূর হয়ে যাবে।’

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ৭ হাজার ৩০০ রোগী নিবন্ধন করেছেন জানিয়ে এ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা এই প্রকল্পে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। রোগী বেশি হওয়ায় কিছু ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এনজিলক ও কোলেস্টেরলের একটি ওষুধ প্রায় দেড় মাস ধরে নেই। এ কারণে রোগীদের এসব ওষুধ দিতে পারছি না।’

প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী ফেঞ্চুগঞ্জে এই সেবা নিচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকেও অনেকে এই সেবা নিতে আসেন। ফলে আগেই ওষুধ শেষ হয়ে যায়। বছরে একবার আমাদের ওষুধ দেয়া হয়। সংকটে পড়লে আবার দেয়া হয়, তবে এ ক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগে।’

কীভাবে চিকিৎসা নেওয়া যায়
এ সেবা নিতে নাম নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানান ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. কামরুজ্জামান। তিনি জানান, যে কেউ ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে এসে এনসিডি কর্নারে নাম নিবন্ধন করাতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলে প্রথমে ডাক্তাররা দেখবেন। এরপর প্রেসার, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগ থাকলে রোগীর নাম নিবন্ধন করা হয়।

ডা. কামরুজ্জামান জানান, এনসিডি কর্নার থেকে রোগীকে একসঙ্গে এক মাসের ওষুধ দেয়া হয়। এক মাস পরে এসে আবার ওষুধ নিতে পারেন তিনি।

রোগী কমিউনিটি ক্লিনিক থেকেও ওষুধ নিতে পারেন, তবে প্রথমে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে নাম নিবন্ধন করাতে হয়। পরে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ওষুধ সংগ্রহ করা যায়।

৩১ ধরনের ওষুধ ফ্রি দেয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন কিছু ওষুধ না থাকার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ওষুধ এলে সবাই আবার নিতে পারবেন।’

সিলেটের চারটি উপজেলা বিশ্বনাথ, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাইলট প্রকল্পের আওতায় ২০১৯ সাল থেকে এ সেবা চালু আছে বলে জানান সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যাদের বাড়ি দূরে তাদের অনেকে ওষুধ নিতে নিয়মিত আসতে পারেন না। তাই এখন প্রতি উপজেলার দুটি করে কমিউনিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই সেবা চালু করা হয়েছে। এখন কমিউনিটি হাসপাতাল থেকেই ওষুধ নিতে পারছেন নিবন্ধন করা রোগীরা।

তিনি বলেন, ‘আগামী বছর থেকে সিলেটের সব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সব কমিউনিটি ক্লিনিকে এই সেবা শুরু করার লক্ষ্য আমাদের।’

ওষুধ সংকট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ওষুধ ঢাকা থেকে পুরো এক বছরের জন্য কিনে পাঠানো হয়, কিন্তু যে পরিমাণ ওষুধ দেয়া হয় তার থেকে বেশি রোগী হয়ে গেছে। ফলে এক-দুই মাসের একটা গ্যাপ হয়ে যায়। এরপর সংকট দেখা দিলে আবার ওষুধ আসতে দেরি হয়ে যায়।

‘এখন আমরা চাচ্ছি ওষুধের যে সংকট তৈরি হবে, সেগুলো যাতে সিলেট থেকেই কেনা যায়, এই ব্যবস্থা করতে। আশা করছি, আগামী বছর থেকে তা সম্ভব হবে।’

সিলেট জেলায় এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৪০৪ জন নিবন্ধিত রোগী এই সেবা নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

দরকার বাজেট বাড়ানো
উচ্চ রক্তচাপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশব্যাপী এ বিষয়ে গণসচেতনতা তৈরি এবং সব কমিউনিটি ক্লিনিকে রক্তচাপ পরীক্ষা ও উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে এ খাতে সরকারের বাজেট বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

তারা বলছেন, এ কর্মসূচি দেশব্যাপী সম্প্রসারণের মাধ্যমে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির প্রধান কারণ উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মাসুদ রেজা কবির বলেন, ‘ইতোমধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসাসেবা শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিকে এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাইমারি হেলথ কেয়ার অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড থানা হেলথ কমপ্লেক্সের পরিচালক ডা. তাহমিনা সুলতানা জানান, সীমিত পর্যায়ে কিছু কিছু কমিউনিটি ক্লিনিকে উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে, যা পর্যায়ক্রমে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে। প্রকল্পটি সম্প্রসারণ করা হলে অল্প ব্যয়ে অনেক জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।

উচ্চ রক্তচাপ কী
রক্তচাপ যদি স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক বেড়ে যায়, তাহলেই তা উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০ মিলিমিটার পারদচাপ। রক্তচাপের মাত্রা দুটি ভিন্ন দিনে ১৪০/৯০ মিলিমিটার পারদচাপ বা তার বেশি হলে বুঝতে হবে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তবে বয়সভেদে রক্তচাপ কিছুটা কম বা বেশি হতে পারে।

গবেষণা কী বলছে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে ১২৮ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে, যার দুই-তৃতীয়াংশ বাস করে বাংলাদেশসহ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে।

২০১৮ সালে করা বাংলাদেশ এনসিডি স্টেপস সার্ভের তথ্য বলছে, দেশে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি পাঁচজনের একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে জনগোষ্ঠীর ২১ শতাংশই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। এদের মধ্যে ওষুধ খেয়ে রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছেন প্রতি সাতজনে একজনেরও কম।

২০১৯ সালে করা গ্লোবাল বারডেন অফ ডিজিজ স্টাডির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের প্রধান তিনটি কারণের একটি উচ্চ রক্তচাপ। এখানে বছরে ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগজনিত সমস্যায় মারা যান, যার অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ অসংক্রামক রোগে মারা যায়, যার অর্ধেক হৃদরোগজনিত।

আরও পড়ুন:
দেশে ৫ জনের ১ জন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত
‘জনসংখ্যার ২১ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে’
ওষুধ বন্ধ করে ঝুঁকিতে উচ্চ রক্তচাপের রোগী
লবণ কম খেলে ‘অর্ধেকে নামবে’ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গাজর খান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ দিন প্রতি ১০০ নমুনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু ২৯ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এছাড়া ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ১২৭ জন। এর মধ্যে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫৮২ জন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The number of people in the dengue is increasing

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

একদিনে রেকর্ড ৪২৯ জন শনাক্ত, চলতি বছর ১০ হাজার ছাড়াল
ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সারা দেশে মশা নিধন কার্যক্রমের দুর্বলতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মোড় নিয়েছে। চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরের শুরুর দিকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। জানুয়ারিতে ১,১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬ এবং এপ্রিলে ৭০১ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে মে মাস থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে এবং জুনে এসে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। আশঙ্কার বিষয় হলো, ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে, বিশেষ করে বরগুনায়, ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি।

এদিকে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ২৯৬ জনে পৌঁছেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে
অঞ্চলভেদে নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গু রোগীর তালিকা:

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে— বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪৯ জন; চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৭ জন; ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬১ জন; ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৪২ জন; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৪৫ জন; খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১ জন ও রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৫৮ জন রোগী। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৮৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং নারী ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৪২ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে একজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এডিস মশার বিস্তার এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। বিশেষ করে রাজধানীর বাইরের এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, 'মে মাসের তুলনায় জুনে আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে জুলাইয়ে এ সংখ্যা চার থেকে পাঁচগুণ এবং আগস্টে দশগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে।'

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৯৬ জনে। এর আগে ২০২৩ সালের পুরো বছরে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। ২০২৪ সালের পুরো বছরের (১ জানুয়ারি–৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) সর্বমোট হিসাব অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৫৭৫ জন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The body of 20 more people in the country

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের মধ্যে দেশে আরও ২১ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব শনাক্ত হয়েছে। তবে, নতুন করে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি এই সময়ের মধ্যে।

সোমবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২২ জন। আর দেশে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫২১ জনের।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Dengue death of 5 more people in a day

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন রোগী। এসব রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৬ জন আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ হাজার ৭২৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৯ হাজার ৮৬৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।

মন্তব্য

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সারাদেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পর সিলেট এ ভাইরাসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপরে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন করে করোনার আক্রমন শুরুর পর সিলেটে প্রথম এই কোন রোগী মারা গেলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনায় আক্রান্ত ৬৯ বছর বয়েসি পুরুষ ১৯ জুন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান তিনি। এছাড়া সিলেটে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ জন বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. মিজানুর রহমান জানান, নিহত ব‍্যক্তির বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়। তিনি করোনা ছাড়াও আরও অন‍্যান‍্য জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
One more death in Karona in Chittagong is the new identification

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে; গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ছয়জন। এ নিয়ে চলতি জুন মাসেই জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা সাতজনে দাঁড়াল।

২৮ জুন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলার মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা সালেহা বেগম (৪০) নামে এক নারী শুক্রবার নগরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই তিনি হৃদরোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

এদিকে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি নমুনা পরীক্ষা করে ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন নগরের এবং দুজন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে নগরের শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চারজন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে দুজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে চলতি জুন মাসে মোট ১৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ, ৬৩ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Two more deaths in Barisal Dengue

বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

নতুন আক্রান্ত ১০৫
বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

মশাবাহীত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের দুই জেলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় গোটা বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১০৫ জন আক্রান্ত রোগী। এ নিয়ে বর্তমানে বিভাগের ছয় জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন। মৃত্যুবরণ করা দুজন হলেন- বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আ. করিম (৫০) ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রাজপাড়া এলাকার মো. ইউসুফ খন্দকার (৭২)। এর মধ্যে আ. করিম বরিশাল শেরইবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ও বৃদ্ধ মো. ইউসুফ খন্দকার কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উদ্বেগ ও আশঙ্কাজনক। এ পরিস্থিতি থেকে বেরোতে হবে। চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি। তাই মশার বিস্তার রোধ করতে বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৩০৫ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন।

বরগুনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মৃত ১১ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বরগুনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। শুধু মৃত্যুই নয় এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি, বরগুনা জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৩২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মন্তব্য

p
উপরে