× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
The countrys first super specialized hospital started its journey
google_news print-icon

সব চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু

সব-চিকিৎসাসেবা-নিয়ে-সুপার-স্পেশালাইজড-হাসপাতাল-চালু
দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ভবন। ছবি: ফোকাস বাংলা
অত্যাধুনিক চিকিৎসেবা দিতে হাসপাতালটিকে ৫টি স্পেশালাইজড সেন্টারে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো ইমার্জেন্সি ও ট্রমা সেন্টার, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি অ্যান্ড প্যানক্রিয়েটিক ডিজিজ, হেপাটোলজি অ্যান্ড লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার, কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। এতে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে পারবে তিন হাজার রোগী।

সব জটিল রোগের চিকিৎসা এক ছাদের নিচ থেকে দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করল দেশের প্রথম বিশ্বমানের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল।

এর মধ্য দিয়ে চিকিৎসাসেবায় ভোগান্তি কমার পাশাপাশি বিদেশমুখী রোগীর সংখ্যা কমে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রাজধানীর শাহবাগে বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।

দক্ষিণ কোরিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় নির্মিত হাসপাতালটির শয্যাসংখ্যা ৭৫০। এর মধ্যে আছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ ১০০টি আইসিইউ ও ১০০টি ইমার্জেন্সি বেড।

হাসপাতালটিতে রয়েছে ৯টি ফ্লোর ও তিনটি বেজমেন্ট। হাসপাতালে থাকছে আইটি বেইজড, মাল্টিডিসিপ্লিনারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস।

অত্যাধুনিক চিকিৎসেবা দিতে এই হাসপাতালকে ৫টি স্পেশালাইজড সেন্টারে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো ইমার্জেন্সি ও ট্রমা সেন্টার, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি অ্যান্ড প্যানক্রিয়েটিক ডিজিজ, হেপাটোলজি অ্যান্ড লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার, কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। এতে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে পারবে তিন হাজার রোগী।

এই হাসপাতালে আন্তর্জাতিক মানের মডিউলার অপারেশন থিয়েটার রয়েছে ১১টি। সেখানে উন্নত মানের সার্জারিসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হবে। সুবিস্তৃত লবি, রিসেপশনের সঙ্গে আরও রয়েছে সম্মেলন কক্ষ।

এই হাসপাতালের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে কোনো রোগী চিকিৎসা নিতে এলে তাকে অন্য কোথাও যেতে হবে না। কারণ হাসপাতালের ভেতরে রয়েছে একটি কনভেনিয়েন্স শপ, ব্যাংকিং সুবিধা, ফার্মেসি, ৩৫০ সিটের উন্নত কিচেনের আওতায় তিনটি ক্যাফেটেরিয়া।

উন্নত লন্ড্রি হাউসসহ কার পার্কিংয়ের সুবিধাও রাখা হয়েছে। এতে একটি ভিআইপিসহ ১৬টি এলিভেটর, একটি এস্কেলেটর, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাপনা, হিটিং, ভ্যান্টিলেশন, এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম, সিসিটিভি ক্যামেরাও রয়েছে, যা কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

হাসপাতালটিতে আরও রাখা হচ্ছে ‘মেগা হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেম’, যার আওতায় রোগীদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।

বিশ্বমানের এই হাসপাতালটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই অর্থের এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। সরকার দিয়েছে ৩৩০ কোটি টাকা। আর অবশিষ্ট ১৭০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে বিএসএমএমইউ।’

তিনি জানান, এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটিতে ভিভিআইপি ও ভিআইপি কেবিনসহ রাখা হয়েছে অন্যান্য আইসোলেটেড কেবিন। আছে সব ধরনের আইসিইউ ও সিসিইউ। হাসপাতালটি চালু হলে রোগীরা দেশেই বিশ্বমানের চিকিৎসেবা পাবেন। ফলে চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীদের দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ লাখ মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা করাতে যান। এতে ব্যয় প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। এই হাসপাতালটির মধ্য দিয়ে ভোগান্তি যেমন কমবে, তেমনি সাশ্রয় হবে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবায় আরেকটি মাইলফলক অর্জিত হলো। এই হাসপাতালটির মাধ্যমে দেশে আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত হবে। সব ধরনের জটিল চিকিৎসার ব্যবস্থা এই হাসপাতালে রয়েছে। বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Assault on doctors or medical negligence will not be tolerated Health Minister

চিকিৎসকের ওপর হামলা বা চিকিৎসায় অবহেলা কোনোটাই মেনে নেব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

চিকিৎসকের ওপর হামলা বা চিকিৎসায় অবহেলা কোনোটাই মেনে নেব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বুধবার কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। ছবি: নিউজবাংলা
চট্টগ্রামের পটিয়ায় চিকিৎসদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘চিকিৎসকদের যেমন সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব আমার, রোগীদের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্বও আমার। কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পেশাগত দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসকদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, ‘কোনো চিকিৎসকের ওপর হামলা যেমন মেনে নেব না, তেমনই চিকিৎসায় কোন ধরনের অবহেলা হলে সেটাও মেনে নিতে পারব না।’

বুধবার বিকেলে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে চিকিৎসদের নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রামের পটিয়ায় চিকিৎসদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে চিকিৎসা কাজে চিকিৎসকদের আরও বেশি মনোযোগী ও আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের যেমন সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব আমার, রোগীদের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্বও আমার। কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পেশাগত দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবা নিয়ে সম্প্রতি ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক ভূয়সী প্রশংসা করেন। ভুটান রাজার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার ভুটানে বার্ন হাসপাতাল করার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত করোনার টিকা নেয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে চর্ম রোগ দেখা দেয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে কোনো ড্রাগেই এলার্জি প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। তবে এ বিষয়টি আমি এখনও শুনিনি।’

এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনার প্রধান মুখপাত্র প্রফেসর ফলস-এর গবেষণায় এখনও এমন কোনো তথ্য উঠে আসেনি। তবে এমনও হতে পারে যে করোনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো এখন দেখা দিচ্ছে।’

এর আগে চান্দিনার মাধাইয়া ইউনিয়নের সোনাপুর কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একান্ত সচিব কমল কুমার ঘোষ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সারওয়ার হোসেন, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার, চান্দিনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন বক্সী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাবের মো. সোয়াইব, পৌর মেয়র শওকত হোসেন ভূইয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আরিফুর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
‘পশুপাখির মধ্যেও অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বিস্তার লাভ করেছে’
ঈদের দিন আকস্মিক তিন হাসপাতাল পরিদর্শনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে দুই হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ঈদের ছুটিতে কখন কোন হাসপাতালে যাব বলব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে আগ্রহী ইউনিসেফ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Two women died due to wrong treatment in Silgala Hospital in Pabna

পাবনায় ভুল চিকিৎসায় দুই প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতাল সিলগালা

পাবনায় ভুল চিকিৎসায় দুই প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতাল সিলগালা
সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লা দেওয়ান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন বা ওষুধ সেবনের ফলে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চিকিৎসকসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যারা জড়িত রয়েছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

পাবনায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় দুই প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক তদন্ত করে হাসপাতালটি সিলগালা করে দিয়েছেন সিভিল সার্জন। একইসঙ্গে অভিযোগ তদন্তে ডেপুটি সিভিল সার্জনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গা-ঢাকা দিয়েছে।

সোমবার ঘটনাটি জানাজানি হলে জেলা সিভিল সার্জন সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টির প্রাথমিক তদন্ত করে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেন।

পাবনা সদর পৌর এলাকার শালগাড়িয়া হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত বেসরকারি আইডিয়াল হাসপাতালে রোববার (১৪ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে পৃথক চিকিৎসক দ্বারা সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। এর আগে দুপুরে রোগীদের সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়।

অভিযোগে জানা যায়, কুষ্টিয়ার শিলাইদহ এলাকার মাহবুব বিশ্বাসের স্ত্রী ইনসানা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে রোববার দুপুরে তাকে পাবনা আইডিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় জাহিদা জহুরা লীজা নামক এক চিকিৎসক অপারেশন করতে গেলে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়।

অপর ঘটনায় একই সময়ে পাবনার আটঘরিয়ার স্বপ্না খাতুন নামক এক রোগী কাজী নাহিদা আক্তার লিপির কাছে সিজারিয়ান অপারেশন করতে আসেন। ভুল চিকিৎসায় তারও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঘটনা ধামাচাপা দিতে কর্তৃপক্ষ রাতেই রোগীসহ স্বজনদের হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। পরে রোগী মারা যাওয়ার ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে তা ধামাচাপা দিতে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মরদেহসহ স্বজনদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

এ ঘটনায় সঠিক তদন্ত শেষে হাসপাতাল-সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করার সময়ে যেসব উপকরণ ও মেডিসিন ব্যবহার হয়েছে সেগুলোর নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লা দেওয়ান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন বা ওষুধ সেবনের ফলে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চিকিৎসকসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যারা জড়িত রয়েছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি ক্লিনিকটি যেহেতু স্বাস্থ্য বিভাগের রেজিস্ট্রেশনভুক্ত, তাই নিয়ম মেনে সব কার্যক্রম চলছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’

পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, ‘ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় এখনও কোনো পরিবার থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’

আরও পড়ুন:
মাগুরায় চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Johnnys Free Ambulance Service remembering grandmothers suffering

দাদির কষ্ট মনে রেখে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জনির

দাদির কষ্ট মনে রেখে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জনির করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শনিবার বিকেলে বিনা মূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের এমপি ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চুন্নু। ছবি: নিউজবাংলা
জনি জানান, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থাপনায় থাকবে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। দাতা হিসেবে তিনিও ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকবেন।

‘দাদির মৃত্যুর সময় গ্রামের বাড়িতে আপনজন কেউ ছিলেন না। এ অবস্থায় তাকে অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস পাননি তিনি।

‘এই মনঃকষ্ট থেকেই করিমগঞ্জবাসীর জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করার চিন্তা করে আমাদের পরিবার। ভবিষ্যতে বেকারদের চাকরির সংস্থান করার ক্ষেত্রেও আমাদের পরিবার ভূমিকা রাখবে।’

কথাগুলো বলছিলেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের ব্যবসায়ী শফিউল আলম জনি। উপজেলার বাসিন্দাদের জন্য বিনা মূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করেছেন ঢাকাকেন্দ্রিক এ ব্যবসায়ী।

শফিউল আলম জনির বাড়ি করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের হাইধনখালী গ্রামে। জনসেবামূলক উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয়দের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শনিবার বিকেলে বিনা মূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস উদ্বোধন করেন কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চুন্নু।

করিমগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মুসলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন ও তার ছেলে অ্যাম্বুলেন্সদাতা শফিউল আলম জনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রিয়াদ শাহেদ রনি ও ব্যবসায়ী রফিকুর রহমান।

এতে জনি জানান, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থাপনায় থাকবে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। দাতা হিসেবে তিনিও ব্যবস্থাপনা কমিটিতে থাকবেন।

জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান। তাই দল-মত নির্বিশেষে এখানে উপস্থিত হয়েছি। জনির মতো সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসলে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ।’

আরও পড়ুন:
ভৈরবে গর্ভের শিশুর মৃত্যু: তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ
ভৈরবে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে যাত্রী নিহত
আট মাস ধরে পলিথিনবন্দি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স
চাঁদাবাজে অতিষ্ঠ সিলেটের সবজি ব্যবসায়ীরা
পরিত্যক্ত অ্যাম্বুলেন্সই রুমার ঠিকানা

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Health Minister suddenly visited three hospitals on the day of Eid

ঈদের দিন আকস্মিক তিন হাসপাতাল পরিদর্শনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঈদের দিন আকস্মিক তিন হাসপাতাল পরিদর্শনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছবি: বাসস
মন্ত্রী বলেন, ‘রোগীদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। সকালে দেশের সকল হাসপাতালের পরিচালকদের মেসেজ পাঠিয়েছি৷ আমি এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, সব জায়গায় চিকিৎসা চলছে। কোথাও ব্যত্যয় ঘটেনি।’

ঈদের দিন আকস্মিকভাবে রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালগুলোতে পরিদর্শনে যান। ঈদ ছুটিতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেই মূলত তিনি হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করেছেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রী হিসেবে এটা আমার প্রথম ঈদ। আশা করছি, দেশের মানুষ খুব সুন্দরভাবে ঈদ পালন করছেন। ঈদে লম্বা ছুটি। এর মধ্যেও দেশের কোনো হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার ব্যাঘাত ঘটেনি।”

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমি বুধবার কয়েকটা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আজকে আরও কয়েকটি হাসপাতালে যাব। গতকাল দুটি হাসপাতালে গিয়েছি, দুই জায়গায়ই আমি পর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স পেয়েছি। আমি সন্তুষ্ট।’

তিনি বলেন, ‘রোগীদের সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। সকালে দেশের সকল হাসপাতালের পরিচালকদের মেসেজ পাঠিয়েছি৷ আমি এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, সব জায়গায় চিকিৎসা চলছে। কোথাও ব্যত্যয় ঘটেনি।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এই আকস্মিক পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
ঈদের ছুটিতে দুই হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ঈদের ছুটিতে কখন কোন হাসপাতালে যাব বলব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
BSMMUs external department will be closed for 4 days and the emergency department will be open

বিএসএমএমইউয়ের বহির্বিভাগ ৪ দিন বন্ধ, খোলা থাকবে জরুরি বিভাগ

বিএসএমএমইউয়ের বহির্বিভাগ ৪ দিন বন্ধ, খোলা থাকবে জরুরি বিভাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: উইকিমিডিয়া
রোগীদের সুবিধার্থে ১৩ এপ্রিল শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিএসএমএমইউয়ের বহির্বিভাগ খোলা থাকবে। তাছাড়া প্রতিদিনই হাসপাতালের ইনডোর  ও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে। হাসপাতালের জরুরি ল্যাব সেবাও চালু থাকবে। 

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বহির্বিভাগ বন্ধ থাকবে ।

তবে রোগীদের সুবিধার্থে ১৩ এপ্রিল শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিএসএমএমইউয়ের বহির্বিভাগ খোলা থাকবে। তাছাড়া প্রতিদিনই হাসপাতালের ইনডোর ও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে। হাসপাতালের জরুরি ল্যাব সেবাও চালু থাকবে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, অফিস, বৈকালিক স্পেশালাইজড কনসালটেশন সার্ভিস, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনসালটেশন সার্ভিস, পিসিআর ল্যাব, কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম বুধবার থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারী এবং শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির দিনগুলোতে যাতে চিকিৎসা ব্যবস্থার কোনো ঘাটতি না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য। রোগীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Health Minister visits two hospitals during Eid holidays

ঈদের ছুটিতে দুই হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

ঈদের ছুটিতে দুই হাসপাতাল পরিদর্শন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি সেবা বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কিচেন এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) পরিদর্শন করেন। ছবি: সংগৃহীত
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি ঈদের ছুটিতে এই অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়, হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স থাকেন না। সেবা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসা পায় না। এবার এটা হতে দেয়া যাবে না।’

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা হচ্ছে কি না, তা দেখতে বুধবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট আকস্মিক পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার নিজ দপ্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘যাদের ডিউটি থাকবে, সেটা যাতে ব্যাহত না হয়, সেটা আমি নিজে মনিটর করব। আমি কখন, কোথায়, কোন হাসপাতালে যাব, সেটা বলব না।’

ওই বক্তব্যের এক দিন পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি সেবা বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কিচেন এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) পরিদর্শন করেন।

দুটি হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। কোনো অভিযোগ থাকলে নিঃসংকোচে জানাতে বলেন তাদের।

হাসপাতাল দুটি পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেখানকার চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।

ওই সময় মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি ঈদের ছুটিতে এই অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়, হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স থাকেন না। সেবা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসা পায় না। এবার এটা হতে দেয়া যাবে না।’

আরও পড়ুন:
ঈদের বার্তায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বন্ধে জোর সৌদি বাদশাহর
বঙ্গবন্ধু সেতুতে এক দিনে ৯ হাজার ৩২৪ মোটরসাইকেল পার
কখন কোথায় ঈদের জামাত
দেশের যেসব জায়গায় ঈদ হচ্ছে আজ
চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ উদযাপিত হচ্ছে আজ

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
I will not say when I will go to any hospital during the Eid holidays Health Minister

ঈদের ছুটিতে কখন কোন হাসপাতালে যাব বলব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঈদের ছুটিতে কখন কোন হাসপাতালে যাব বলব না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। ফাইল ছবি
ঈদের ছুটির সময় ঢাকা ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে সশরীরে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেই এ কয়দিন হাসপাতালগুলো মনিটর করব। শুধু ঢাকায় না, ঢাকার বাইরেও।’

ঈদের ছুটিতে স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতি দেখতে আকস্মিক বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে ইউএনবি।

মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যাদের ডিউটি থাকবে সেটা যাতে ব্যাহত না হয়, সেটা আমি নিজে মনিটর করব। আমি কখন, কোথায়, কোন হাসপাতালে যাব, সেটা বলব না।’

ঈদের ছুটির সময় ঢাকা ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে সশরীরে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেই এ কয়দিন হাসপাতালগুলো মনিটর করব। শুধু ঢাকায় না, ঢাকার বাইরেও।’

হাসপাতালগুলোতে রোগী ও চিকিৎসকদের উন্নত খাবার দেয়ার আশ্বাস দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘সামনে ঈদুল ফিতর। এর পরপরই নববর্ষ। এ সময় অনেক বড় একটা ছুটি। ছুটিতে অনেকেই বাড়ি যান।

‘ঈদের সময় রোগীদের যেমন উন্নত খাবার দেয়া হবে, এবার আমি অফিশিয়ালি প্রত্যেক হাসপাতালের পরিচালক, ইনস্টিটিউট, উপজেলার সবাইকে বলে দিয়েছি, বন্ধের সময় যাতে চিকিৎসকদের উন্নত খাবার দেয়া হয়। সব দোকানপাট বন্ধ থাকে, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে পারেন না তারা।’

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু এমন একটা রোগ, এখানে সচেতনতাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় জিনিস। সঠিক সময়ে হাসপাতালে ভর্তি না হতে পারলে ডেঙ্গুতে অনেক সময় মানুষ মারাও যায়। প্রথম বিষয় হলো আমাদের সচেতন হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা হলো পরের কথা। চিকিৎসা করার জন্য যা যা দরকার, সেটা নিয়ে আমরা অলরেডি একটা মিটিং করেছি। ঈদের পরে আবার বসব যেন চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি না হয়।’

আরও পড়ুন:
প্রতিকূল আবহাওয়া মাথায় রেখেই ঈদের প্রধান জামাতের প্রস্তুতি: মেয়র তাপস
কেমন থাকতে পারে ঈদের দিনের আবহাওয়া
মহাসড়কে মানুষের ঢল, বাড়তি ভাড়ায় ভোগান্তি
পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ‘চায়ের রাজধানী’
বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ হাজার বাহন পার, টোল উঠেছে সোয়া ৩ কোটি

মন্তব্য

p
উপরে