তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর যেখানে কোনো দিন ৬০ জেলায়, কোনো দিন ৬২ জেলায় করেনার রোগী পাওয়া যাচ্ছিল না, সেখানে এখন ২৪ ঘণ্টায় রোগী মিলল ৪৮ জেলায়।
ভাইরাসটির চতুর্থ ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার পর এই চিত্র দেখা গেল।
স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের অনীহা, মাস্ক একেবারেই না পরার প্রবণতা এবং মানুষের জটলা ও ভিড়ের কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে কোরবানি পশুর হার ও ঈদ যাত্রা নিয়ে উদ্বেগের কথা বলা হচ্ছে।
এরই মধ্যে সরকার ‘নো মাস্ক-নো সার্ভিস’ নীতি পুনঃপ্রবর্তন করেছে। সেই সঙ্গে নিজের কর্মীদেরকে মাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। কিন্তু দুই নির্দেশনার কোনোটির প্রয়োগ নেই বললেই চলে। সাধারণের মতোই সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যেও মাস্ক পরার প্রবণতা কম।
করোনার প্রতিটি ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক পরায় জোর দিয়ে প্রশাসনিক অভিযান চলেছে। তবে এবার ভ্রাম্যমাণ আদালত এখন পর্যন্ত নামানো হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ জেলার মধ্যে ১৬টি জেলায় করোনা রোগী শূন্যে ছিল। তবে এর ৮০ শতাংশ রোগীই ঢাকা বিভাগের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ২৪৬ টি পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯০২ জন। নতুন শনাক্তের মধ্যে ১ হাজার ১৪৪ জন ঢাকা জেলার। এই নিয়ে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ৬ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৯ হাজার ১৬২ জন। মৃতদের ১ জন ঢাকা বিভাগের, অন্য জন চট্টগ্রামের। ১ জন পুরুষ ও ১ জন নারী। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। টানা ১৭ দিন ৫ শতাংশের বেশি শনাক্তের হার পাওয়া যাওয়ার পর দেশে চতুর্থ ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩০৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮ হাজার ২৯৭ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর। গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ।
টানা দুই সপ্তাহ পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ হার ৫ শতাংশের বেশি হওয়ার পর গত ২৯ জুন করোনার চতুর্থ ঢেউ ছড়িয়ে পরার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এর পর আরও চার দিন শনাক্তের হার ১৩ শতাংশের বেশি দেখা গেছে।
সংক্রমণ বাড়লেও করোনার যে ধরনটি এবার ছড়াচ্ছে, সেটির কারণে মানুষের মধ্যে জটিলতা হচ্ছে কম, হাসপাতালে সেভাবে ভিড় নেই, অক্সিজেনের অভাবও দেখা যাচ্ছে না, আইসিইউএর চাহিদাও এবার তুঙ্গে নয়।
প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুর হার ছিল তুলমামূলক কম। তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় যখন চতুর্থ ঢেউ আসতে শুরু করছিল, সে সময় মৃত্যুর সংখ্যাটি কিছূটা বাড়লেও এখন পর্যন্ত উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
গত তিন মাসে করোয় এক দিনে সর্বোচ্চ ৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দ্বিতীয় ঢেউয়ে ২৪ ঘণ্টায় দুই শ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য এসেছিল একাধিকদিন।
আরও পড়ুন:করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে এখনও প্রথম, দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু কিছুদিন পর আর দ্বিতীয় ডোজও পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজের জন্য আমাদের কাছে যে পরিমাণ টিকা সংরক্ষিত আছে, সেগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তাই যারা এখনও টিকা নেননি, তারা দ্রুত টিকা নিয়ে নিন।’
নিপসম অডিটোরিয়ামে রোববার বেলা ১২টায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাদেশে সফলভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। যার ফলে আমরা করোনা সংক্রমণকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। কিন্তু এখনও অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়নি। তাদের জন্য বলতে চাই যে, দ্বিতীয় ডোজ না নিলে কিন্তু তারা বুস্টার ডোজও পাবে না। তাই যারা এখনও প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ নেননি, দ্রুততম সময়ে তাদের টিকা নেয়ার অনুরোধ করছি। না নিলে কিন্তু পরে আর খুঁজেও পাবেন না।’
৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেয়া শুরু ১১ আগস্ট থেকে
করোনা থেকে সুরক্ষায় প্রাপ্তবয়স্ক ও মাধ্যমিকের শিশুদের টিকাদানের পাশাপাশি এবার প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের তথা ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১১ আগস্ট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এসব শিশুকে করোনার টিকা দেয়া শুরু হবে বলে জানান জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ১১ আগস্ট পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কিছুদিন পর আগামী ২৬ আগস্ট পুরোদমে এসব শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। এর আগে শিশুদের এই টিকা নিতে অভিভাবকদের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করার আহ্বান জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে আগামী ১১ আগস্টে পরীক্ষামূলকভাবে শিশুদের টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর পর্যবেক্ষণের জন্য কিছু সময় নেব। কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৬ আগস্ট থেকে এই টিকা কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে।
আরও পড়ুন:গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়ে দুজন মারা গেছেন। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২৫৩ জন।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ হাজার ৯৭০টি। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ হাজার ২টি। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭৫৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর শনাক্ত হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৬ হাজার ৮৯৯ জন।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩০২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৩৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মৃতদের দুজনই পুরুষ। তারা জামালপুর ও পাবনার।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ।
আরও পড়ুন:করোনাভাইরাসের শনাক্তের হার ৫ বা এর নিচে নামলে তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলা যায়। সেই হিসেবে পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত বলা না গেলেও বোঝা যাচ্ছে অনেকটাই লাগাম টানা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্তের হার কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আর মৃত্যুর সংখ্যাও এক।
গত তিন দিন ধরে শনাক্ত ৬ থেকে ৭ শতাংশে ঘুরপাক খাচ্ছে। মঙ্গলবার আশা দেখিয়ে বুধবার শনাক্তের হার কিছুটা বেড়ে গেলেও বৃহস্পতিবার এসে আবারও নিম্নমুখী হয়েছে। তা অব্যাহত আছে শুক্রবারেও।
এদিন শনাক্তের হার আরও কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। বৃহস্পতিবারের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, কমেছে শূন্য দশমিক সাত আট। বৃহস্পতিবার শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুক্রবার দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ হাজার ৮৩টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৩৫৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে ৮৫ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৪ হাজার ৫৪৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ২৮৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যিনি মারা গেছেন তিনি পুরুষ। ঢাকার বাসিন্দা এই ব্যক্তি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৯৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৯ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ।
আরও পড়ুন:নিয়ন্ত্রণের পথে করোনাভাইরাসের চলমান চতুর্থ ঢেউ। তিন দিন ধরে শনাক্ত ৬ থেকে ৭ শতাংশে ঘুরপাক খাচ্ছে। মঙ্গলবার আশা দেখিয়ে বুধবার শনাক্তের হার কিছুটা বেড়ে গেলেও বৃহস্পতিবার এসে আবারও নিম্নমুখী হয়েছে।
অবশ্য গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন চারজন। শনাক্তের হার কিছুটা কমে হয়েছে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। বুধবারের সঙ্গে বিবেচনা করলে তা কমেছে দশমিক ২১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯ হাজার ৩৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৬১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে ৩০৬ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৪ হাজার ১৮৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ২৮৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও দুজন নারী। তাদের তিনজন সরকারি হাসপাতালে ও একজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন করে টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও কুমিল্লার বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৭২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৪০ হাজার ৮৩ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ।
আরও পড়ুন:ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের দিকে আসছে করোনাভাইরাসের চলমান চতুর্থ ঢেউ। অবশ্য মঙ্গলবার আশা দেখালেও বুধবার এসে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে, কিছুটা বেড়েছে শনাক্তের হারও।
গত কয়েকদিনে শনাক্তের হারে ওঠানামা থাকলেও বোঝা যাচ্ছে নিয়ন্ত্রণের দিকে আসছে ভাইরাসটির সংক্রমণ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। শনাক্তের হার কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯ হাজার ১৬২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৬২৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে ২৯১ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৩ হাজার ৫৭০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ২৮০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী। তাদের সবাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে তিনজন ঢাকার, একজন করে গাজীপুর ও ময়মনসিংহের বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৩৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ২১১ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়েতে শুরু করে সংক্রমণ।
আরও পড়ুন:ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের চলমান চতুর্থ ঢেউ। গত কয়েকদিনে শনাক্তের হারে ওঠানামা থাকলেও বোঝা যাচ্ছে নিয়ন্ত্রণের দিকে আসছে ভাইরাসটির সংক্রমণ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন চার জন। তবে সোমবার শনাক্তের হার কিছুটা বাড়লেও মঙ্গলবার তা কমে হয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ।
গতকালের তুলনায় শনাক্তের হার কমেছে ১ দশমিক ৭০ ভাগ। সোমবার শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আর রোববার এ হার ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০ হাজার ১১৯টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৬২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে ৩১৬ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ২ হাজার ৯৪৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ২৭৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও দুজন নারী। তাদের সবাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন করে মুন্সিগঞ্জ, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও সিলেটের বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৩২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭২ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ।
আরও পড়ুন:এক দিনে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। তবে রোববার শনাক্তের হার লাফিয়ে কমলেও সোমবার কিছুটা বেড়েছে। এদিন শনাক্তের হার হয়েছে ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ, যা গতকালের চেয়ে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ। রোববার শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সোমবার দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ হাজার ৯৮৭টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৫৪৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে ২৪৪ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ২ হাজার ৩২৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ২৭১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের সবাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন করে খাগড়াছড়ি, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর ও খুলনার বাসিন্দা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২৭৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৪০ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর।
গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য