করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হলো। পরপর আট দিন পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার কেবল ৫ শতাংশের বেশি নয়, এবার তা ছাড়াল ১৪ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। আগের দিন তা ছিল ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এরপর প্রতিদিনই তা আগের দিনের হারকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
আর ছয় দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি হলেই করোনার চতুর্থ ঢেউ ছড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের এই হার গত প্রায় চার মাসের সর্বোচ্চ। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের হারের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন এই হার ছিল ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ।
শনাক্তের হারের পাশাপাশি বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ২১৪টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১ হাজার ৩১৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন ৮ হাজার ৫৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ১৩৫ জন করোনা নতুন রোগী পাওয়া যায়।
এ নিয়ে এক দিন ছাড়া টানা ২৩ দিন নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বাড়ল।
নতুন শনাক্তের মধ্যে ১ হাজার ১৬৩ জন ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৫২৮ জন।
গত এক দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চার দিন একজন করে মৃত্যুর সংবাদ দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে সরকারি হিসাবে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ২৯ হাজার ১৩১ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ১২৭ জন রোগী। আক্রান্ত হয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ২৩২ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনের করোনায় আসে দ্বিতীয় ঢেউ। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। একপর্যায়ে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর দেশে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আসে করোনার আরেক ধরন ওমিক্রন। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত বেশি হলেও মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ দ্রুত নিয়ন্ত্রণেও আসে। গত ১১ মার্চ তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মাস্ক পরা ছাড়া করোনাসংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হয়। তবে জনগণের মধ্যে মাস্ক পরা নিয়ে অনীহার বিষয়টি আবার দেখা যায়। করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বাড়তে থাকলেও এ বিষয়ে সচেতনতার অভাবের বিষয়টি এখনও স্পষ্ট।
করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে সব সরকারি চাকরিজীবীর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে নির্দেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন:প্রশাসনের উপ সচিব পদ মর্যাদার ৮২ কর্মকর্তাকে পদন্নতি দিয়ে যুগ্মসচিব পদে উন্নিত করেছে সরকার। এ নিয়ে প্রশাসনে এই পদ মর্যাদার কর্মকর্তার সংখ্যা হলো ৭৩২ জন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পদন্নতি পাওয়া এ কর্মকর্তাদের আপাতত কোথাও পদায়ন করা হয়নি। তারা বিশেষ ভারপ্রাপ্তে কর্মকর্তা (ওএমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
মূলত বিসিএস প্রশাসনের ২১ তম ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্তরাই এ পদন্নতি পেয়েছেন। এদের মধ্যে ৭৮ জন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে কর্মরত আছেন। ৪ জন বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে কাজ করছেন।
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের তাদের যোগদানপত্র ই-মেইলে ([email protected]) পাঠাতে বলেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বিদেশে থাকা কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৪ সালের ২৪ মার্চের আদেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার প্রেষণ পদের বেতনস্কেল উন্নীত করে আদেশ জারি করবে। আদেশ জারির পর পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উন্নীত পদে যোগ দিয়ে যোগদানপত্র নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পাঠাবেন।
পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তা উন্নীত পদে যোগদানের তারিখ থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত পদের বেতন-ভাতা পাবেন। তবে বৈদেশিক ভাতা এবং এন্টারটেইনমেন্ট অ্যালাউন্সের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস বা মিশনের নির্ধারিত হার প্রযোজ্য হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বদলি বা অন্য কোনো কারণে পদ শূন্য হওয়ার আগ পর্যন্ত উন্নীত বেতনস্কেল বহাল থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেথ করা হয়েছে।
মানসম্মত সেবা দিতে না পারার কথা জানিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
যদিও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি দাবি করেছে, তাদের সেবা বিশ্বমানের চেয়ে এগিয়ে। নিষেধাজ্ঞাকে অপ্রত্যাশিত উল্লেখ করে পরিস্থিতি মূল্যায়নের কথাও জানিয়েছে তারা।
বুধবার দুপুরে বিষয়টির অনুমোদনের পরে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা গ্রামীণফোনে পাঠায় বিটিআরসি।
সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, ‘গ্রামীণফোন কোয়ালিটি সার্ভিস দিতে পারছে না। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অপারেটরটি (গ্রামীণফোন) সিম বিক্রি করতে পারবে না।’
মানসম্মত সেবা দিতে পারছে না বলতে কী বুঝাচ্ছেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত অভিযোগ পাচ্ছি। কল করলে কেটে যায়, ইন্টারনেট সেবাও ধীরগতির।’
এই বিষয়টি নিয়ে কোম্পানিটির সঙ্গে বারবার যোগাযোগ হলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি বলেও জানান বিটিআরসি কর্মকর্তা। বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত মিটিং করি, ড্রাইভ টেস্ট হয়। কিন্তু তাদের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।’
মোবাইল ফোন সেবার মান নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তোষ স্পষ্ট। কল ড্রপ, ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ করে আসছেন ভোক্তারা। তবে এ নিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটররা কিছু বলছেন না।
বিটিআরসি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত মে পর্যন্ত গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার।
গ্রামীণের বক্তব্য
যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন অপারেটরটি নিউজবাংলাকে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠায়
তারা বলেছে, ‘দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিকম ব্র্যান্ড গ্রামীণফোন বিটিআরসি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা আইটিইউর সেবার মানদণ্ড অনুসরণ করার পাশাপাশি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মানদণ্ড থেকেও এগিয়ে আছে।’
ধারাবাহিকভাবে নেটওয়ার্ক ও সেবার মানোন্নয়নে আমরা বিটিআরসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে জানিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরটি বলেম ‘নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া নিলামেও গ্রামীণফোন সর্বোচ্চ অনুমোদিত তরঙ্গ অধিগ্রহণ করেছে জানিয়ে সংস্থাটি এও বলেছে, ‘এমতাবস্থায়, অপ্রত্যাশিত এ চিঠি ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ আমরা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছি। আমরা মনে করি, আমাদের সম্ভাব্য গ্রাহকদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে গঠনমূলক আলোচনাই হবে এ সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম উপায়।’
আরও পড়ুন:নড়াইলে শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে গলায় জুতার মালা দিয়ে অপদস্থ করার সময় পুলিশের নির্লিপ্ততা ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করেছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১। পুলিশের উপস্থিতিতে এই কাজ আতঙ্কজনক বলে মন্তব্য করেছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠনটি।
বুধবার সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-এর যুগ্ম প্রচার সম্পাদক মুঈদ হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বলা হয়, ‘সাভারে একজন শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা ও নড়াইলে আরেক শিক্ষককে পরিকল্পিতভাবে নিগ্রহ করার ঘটনায় চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ’৭১। সংগঠনের পক্ষ থেকে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানানো হচ্ছে।’
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এই দুই দুঃখজনক ঘটনা এবং সাম্প্রতিকালের আরও কিছু উদ্বেগজনক উগ্র সাম্প্রদায়িক ঘটনা প্রমাণ করে, যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেই রাষ্ট্রের নীতি-নৈতিকতা আজ কতটা বিপন্নের মুখোমুখি। এসব ঘটনা আরও প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশকে কোনো মহল পরিকল্পিতভাবে অন্ধকারের দিকে ধাবিত করছে।
‘আরও উদ্বেগজনক যে, নড়াইলে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানোর চরম অমানবিক ঘটনাটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যের উপস্থিতিতে ঘটেছে। অন্যদিকে একজন ছাত্রের বর্বরতায় প্রাণ হারিয়েছেন আরেক শিক্ষক।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘পালাক্রমিক এসব ঘটনা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির সুচতুর ও পরিকল্পিত অপচেষ্টা। অনেক ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্লিপ্ততা ও দায়িত্বে অবহেলা আরও বেশি আতঙ্কজনক, যা উগ্র সাম্প্রদায়িক ও অনৈতিক শক্তিকে উৎসাহিত করবে। ‘সব ধর্মের সহাবস্থান ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
‘আশুলিয়ায় শিক্ষক হত্যা ও নড়াইলে কলেজ অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনার দ্রুত সরকারি পদক্ষেপ দাবি করছি। একইসঙ্গে দোষীদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা
সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের নির্বাহী সভাপতি মো. নুরুল আলম, সহ-সভাপতি ম. হামিদ ও অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন, মহাসচিব হারুন হাবীব, যুগ্ম-মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, আব্দুল মাবুদ ও শাহজাহান মুখ্য বেনু, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী সিকদার (অব.), কোষাধ্যক্ষ ডা. মনসুর আহমদ, কেন্দ্রীয় নারী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক লায়লা হাসান ও ইফফাত আরা নার্গীস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস লাকি, বরিশাল বিভাগীয় সভাপতি প্রদীপ কুমার ঘোষ, খুলনার বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক খয়রাত হোসেন, রাজশাহীর বিভাগীয় সভাপতি আবুল হাসান খন্দকার এবং কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদস্য সচিব বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের হাতে পরিচয়পত্র তুলে দিয়েছেন ঢাকায় অস্ট্রিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত কাথারিনা ভাইসার এবং লিবিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবদুল মুতালেব সুলিমান মোহাম্মেদ সুলিমান।
দুই রাষ্ট্রদূত বুধবার বিকেলে বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদেরকে গার্ড অফ অনার দেয়।
প্রথমে পরিচয়পত্র পেশ করেন অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রদূত। তাকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রিয়া অন্যতম।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বছর দুই দেশ কুটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। দুই দেশের বিরাজমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশাপ্রকাশ করে বলেন, আগামীতে এ সম্পর্ক বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও সম্প্রসারিত হবে।
এ লক্ষ্যে দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ ও সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। স্বল্পোন্নত দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পরও অস্ট্রিয়ার বাণিজ্য সহযোগিতা ও সার্বিক সমর্থন প্রত্যাশা করেন আবদুল হামিদ।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহযোগিতায় অস্ট্রিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে ভবিষ্যতেও তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং এ ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিয়ে সহযোগিতার জন্য অস্ট্রিয়া সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপ্রধান।
এরপর পরিচয়পত্র পেশ করেন লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত। নতুন দূতকে স্বাগত জানিয়ে মো. আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ও লিবিয়ার মধ্যে বহুমাত্রিক ও চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, এ সম্পর্ককে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তাই সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ওষুধ, পাট ও চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রীসহ বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করে থাকে। লিবিয়া এসব পণ্য আমদানির মাধ্যমে লাভবান হতে পারে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, লিবিয়ার সংকটময় সময়েও সেখানে কর্মরত বাংলাদেশিরা নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দিয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষ কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে লিবিয়া জনশক্তির চাহিদা পূরণ করতে পারে বলেও মনে করেন রাষ্ট্রপ্রধান। লিবিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নতুন দূতের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির আশা, দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের নতুন দূত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের প্রতিটি ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে আন্তরিক চেষ্টা করবেন।
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতেরা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ নিজ দেশের বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদারে সার্বিক প্রয়াস অব্যাহত রাখবেন।
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির পরও জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম না বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জ্বালানির দাম আবার বাড়তে পারে বলে আলোচনার মধ্যেই জাতীয় সংসদে স্বস্তির এই বার্তা দিলেন সরকারপ্রধান।
বুধবার রাতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে দিনে ১০০ কোটি টাকার বেশি লোকসান দিয়ে চলেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। ধারাবাহিক ভর্তুকির চাপে সরকার জ্বালানির দর সমন্বয়ের কথা ভাবছে বলে গত ১৪ জুন জানান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
সেদিন বিদ্যুৎ ভবনে এক সেমিনারে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপিসি প্রতিদিন শত কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে। গ্রাহকেরা চাপে পড়ুক এটাও সরকার চায় না। তবে এটা সবার জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার কাজ করছে।
‘বর্তমানে বিশ্ব যে অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের বর্তমান যে অবস্থা তাতে এই সময়ে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করব কি না, সেটা আগে ভাবতে হবে। এ নিয়ে কাজ করছে সরকার। তবে গ্রাহকের জন্য যেন দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে সে বিষয়টি আগে দেখা হবে।’
সবশেষ গত ৩ নভেম্বর ডিজেলের দর লিটারে ১৫ টাকা বাড়ায় সরকার। এর প্রভাবে পরিবহন ভাড়া বেড়ে গেছে অনেকটাই। এর প্রভাব আবার পড়েছে পণ্যমূল্যে।
ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতির যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, তার বাইরে নয় বাংলাদেশও। এর মধ্যে জ্বালানির দাম আবার বাড়লে পরিস্থিতি কী হয় তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আপাতত সেই শঙ্কা দূর করলেন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে জ্বালানি তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসে সরকারের যে ঘাটতি হবে তা আমরা মূল্য বাড়িয়ে ভোক্তা পর্যায়ে চাপিয়ে দেব না। যার কারণে ভর্তুকি ব্যয় বাড়বে। ভর্তুকি ব্যয় সহনশীল রাখা এবং আমদানির ওপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা সরকার নেবে। জনগণকেও নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা পালন করতে হবে।’
দীর্ঘ বক্তব্যে সরকারপ্রধান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে জনগণকে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি বিলাস দ্রব্য পরিহার এমনকি দেশেই চিকিৎসা নেয়ার অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেককে তার নিজ নিজ জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে, ব্যক্তিগত সঞ্চয় করতে হবে। প্রত্যেকের নিজস্ব সঞ্চয় বাড়ানো এবং প্রত্যেককে মিতব্যয়ী হতে হবে।
‘দেশীয় পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে। কথায় কথায় দৌড়ায়ে বিদেশে যেয়ে চিকিৎসা নেয়া যাবে না। দেশেও ভালো চিকিৎসা হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একে তো করোনা মহামারির নেতিবাচক প্রভাব, তার ওপর মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এসব প্রতিকূলতা মোকাবলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন:পাচারের অর্থ-সম্পদ দেশে ফেরত আনতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে যেসব সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল তাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সে অনুযায়ী পাচারের সব ধরনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ দেশে আনার প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে। শুধু নির্ধারিত হারে কর দিয়ে নগদ টাকা দেশে আনা যাবে।
সংশোধনীতে নতুন করে একটি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। তা হলো, দেশের বাইরে কারও সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেলে সেই সম্পদ অর্জনের উৎস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। সন্তোষজনক জবাব পাওয়া না গেলে ওই সম্পদের মূল্যের সমপরিমাণ জরিমানা অথবা বাজেয়াপ্ত করা হবে।
নতুন বাজেটে এটিসহ আর কিছু কর প্রস্তাবে পরিবর্তন এনে অর্থবিল-২০২২ পাস হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর এসব সংশোধনী আনেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিদেশ থেকে পাচারের টাকা ফেরত আনতে গত ৯ জুন ঘোষিত বাজেটে বিশেষ সুযোগ দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়।
বলা হয়, স্থাবর সম্পদ দেশে আনার ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ এবং অস্থাবর সম্পদের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর দিয়ে ফেরত আনা যাবে। আর কেউ যদি নগদ টাকা দেশে আনতে চায় তাকে কর দিতে হবে ৭ শতাংশ।
এ নিয়ে দেশ জুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। মূলত এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাজেট প্রস্তাবে এই সংশোধন আনা হয়েছে।
সংশোধনীতে শুধু নগদ টাকা আনার সুযোগ রেখে বাকি দুটি অর্থাৎ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ আনার প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে।
কোম্পানির করপোরেট কর সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রেও সংশোধন আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, যেসব কোম্পানি বছরে ৩৬ লাখার টাকার বেশি ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করবে তারা কম হারে করপোরেট কর পরিশোধের সুবিধা পাবে। প্রস্তাবিত বাজেটে এই সীমা ছিল বছরে ১২ লাখ টাকা। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে কোম্পানিকে ছাড় দেয়া হয়েছে।
নতুন কোম্পানির বার্ষিক রিটার্ন জমার নিয়ম সহজ করা হয়েছে। যেসব কোম্পানির ব্যবসার বয়স এক কিংবা দুই বছর সেসব কোম্পানি শুধু টিআইএন সনদ দিলেই রিটার্ন গ্রহণ করা হবে। সঙ্গে অন্যান্য আনুষঙ্গিক দলিলপত্র জমা না দিলেও চলবে। তবে তৃতীয় বছর থেকে সব ডকুমেন্টসহ রিটার্ন জমা দিতে হবে।
শ্রমিকদের কল্যাণে সব প্রতিষ্ঠানে একটি তহবিল থাকার কথা। নিয়ম অনুযায়ী, মালিক পক্ষ ওই তহবিলে যে পরিমাণ টাকা দেয় তা কোম্পানির খরচ হিসেবে গণ্য করা হয়। এতে করে কোম্পানির ওপর করের চাপ কমে।
প্রস্তাবিত বাজেটে খরচের বিধান বাতিল করলেও সংশোধন করে তা ফের আগের অবস্থানে নেয়া হয়। তবে এই সুযোগ এক বছরের জন্য বহাল থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন:ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করতে চায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এ জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাবও পাঠিয়েছে তারা।
ঢাকায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সদরদপ্তরে একটি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন।
কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের পরিচালনায় এক্সপ্রেসওয়ের রক্ষণাবেক্ষণ, যানবাহন থেকে টোল সংগ্রহ এবং এক্সপ্রেসওয়েতে আইটিএস স্থাপনে চুক্তি সই করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
মনির হোসেন বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করার একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি।’
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার পর এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
শেষ পর্যন্ত এই প্রস্তাবটি পাস হলে মোটরসাইকেলচালক বা বাইকাররা এই মহাসড়ক ব্যবহার করে পদ্মা সেতুতে ওঠার অধিকার একেবারে হারাতে যাচ্ছেন।
এক্সপ্রেসওয়েতে যদি বাইক নিষিদ্ধ হয়েই যায়, তার পরেও মোটরসাইকেল চালিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দেয়ার সুযোগ রাখা হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মনির হোসেন জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে নিষিদ্ধ হলেও সার্ভিস লেনে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে।
এই মহাসড়ক ঘেঁষে ধীর গতির যান চলাচলে এবং স্থানীয়দের চলাচলের জন্য আলাদা লেন আছে। একে বলা হচ্ছে সার্ভিস লেন। এক্সপ্রেসওয়েতে যেমন বিনা বাধায় চলা যায়, এই লেনে সে সুযোগ নেই। সেখানে ক্রসিং আছে।
বহুল প্রতীক্ষার সেতুটি খুলে দেয়ার প্রথম দিনই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান দুই আরোহী। সেতুতে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতি নির্ধারণ করে দেয়ার পরও বাইকার অনিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক চালোনার অভিযোগ এসেছে। তাড়াহুড়ো করতে গিয়েও সমালোচিত হয়েছেন বাইকাররা।
এমন বাস্তবতায় ২৭ জুন সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সেতু কর্তৃপক্ষ।
পরে জানানো হয়, সেতুতে স্পিডগান ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসিয়ে বাইক পারাপারের আবার সুযোগ দেয়া হবে। তবে কবে সেই কাজ শেষ হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য কেউ দেননি।
এরই মধ্যে এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে টোল আরোপ করা হয়েছে। কোন বাহনকে কত টাকা দিতে হবে, সেটিও জানানো হয়েছে। এর মধ্যে আছে বাইকও। জানানো হয়েছে, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত চলাচলে একেকটি মোটরসাইকেল থেকে ৩০ টাকা আদায় করা হবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য