গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ২২৫টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৬২ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনা রোগী শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এই হার গত সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি এর চেয়ে বেশি শনাক্তের হারের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। এতে করোনায় মৃত্যু ২৯ হাজার ১৩১ জনে রয়ে গেল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হওয়া ১৬২ জনের মধ্যে ১৪৯ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। এর বাইরে চট্টগ্রামে চার জন; নারায়ণগঞ্জে দুই জন; গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার, বান্দরবান, কুমিল্লা, বগুড়া ও বরিশালে এক জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫ হাজার ৪১৬ জন। প্রতি ১০০ জন শনাক্তের বিপরীতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ১০ হাজার ৮২২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১ হাজার ৭৯০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এ নিয়ে টানা ২০ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে ১ হাজার ১২২ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯০ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ২৯ হাজার ১৮৮ জন।
নতুন মারা যাওয়া তিন জনের মধ্যে এক জন পুরুষ ও দুই জন নারী। মৃতদের মধ্যে এক জন ঢাকার, একজন কুমিল্লার এবং অপর জন মেহেরপুরের বাসিন্দা।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৭৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ১০ হাজার ৪৭৭ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর। গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ।
আরও পড়ুন:দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ১০ হাজার ২৩৩টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১ হাজার ৭২৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এ নিয়ে টানা ১৯ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে ১ হাজার ৭৪ জন ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭০০ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ২৯ হাজার ১৮৫ জন।
নতুন মারা যাওয়া চার জনের মধ্যে দুই জন পুরুষ ও দুই জন নারী। মৃতদের মধ্যে তিন জন ঢাকার বাসিন্দা। আর এক জন চট্টগ্রামের।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫২৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৯ হাজার ৭৯৯ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর। গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ।
আরও পড়ুন:দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ১১ হাজার ৯৩২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১ হাজার ৯৯৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এ নিয়ে টানা ১৮ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনা চতুর্থ ঢেউ চলছে।
নতুন শনাক্তের মধ্যে ১ হাজার ৩৬৩ জন ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৯৭২ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ২৯ হাজার ১৮১ জন।
নতুন মারা যাওয়া সাত জনের সবাই পুরুষ। মৃতদের পাঁচ জনই ঢাকার বাসিন্দা। এছাড়া রাজশাহী ও ময়মনসিংহে এক জন করে মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৯৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৯ হাজার ২৭৩ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর। গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ।
আরও পড়ুন:দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত চার মাসের মধ্যে এক দিনে এটাই সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা। সবশেষ গত ৫ মার্চ করোনায় এক দিনে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৮৫ জন। এর চেয়ে বেশি শনাক্ত হয় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেদিন ২ হাজার ৫৮৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
১৩ হাজার ৮৪২টি নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ২৮৫ জনের দেহে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৭৭ জনই ঢাকা জেলার।
এ নিয়ে ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ হাজার ১৭৪ জন। মৃতদের ৯ জন ঢাকা বিভাগের, একজন চট্টগ্রামের, একজন ময়মনসিংহের ও একজন খুলনার। মৃতদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও তিনজন নারী।
গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্ত হলো ১৯ লাখ ৮০ হাজার ৯৭৪ জনের।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। টানা ১৭ দিন ৫ শতাংশের বেশি শনাক্তের হার পাওয়া যাওয়ার পর দেশে চতুর্থ ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৮২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮ হাজার ৭৭৯ জন।
আরও পড়ুন:তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর যেখানে কোনো দিন ৬০ জেলায়, কোনো দিন ৬২ জেলায় করেনার রোগী পাওয়া যাচ্ছিল না, সেখানে এখন ২৪ ঘণ্টায় রোগী মিলল ৪৮ জেলায়।
ভাইরাসটির চতুর্থ ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার পর এই চিত্র দেখা গেল।
স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের অনীহা, মাস্ক একেবারেই না পরার প্রবণতা এবং মানুষের জটলা ও ভিড়ের কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে কোরবানি পশুর হার ও ঈদ যাত্রা নিয়ে উদ্বেগের কথা বলা হচ্ছে।
এরই মধ্যে সরকার ‘নো মাস্ক-নো সার্ভিস’ নীতি পুনঃপ্রবর্তন করেছে। সেই সঙ্গে নিজের কর্মীদেরকে মাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। কিন্তু দুই নির্দেশনার কোনোটির প্রয়োগ নেই বললেই চলে। সাধারণের মতোই সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যেও মাস্ক পরার প্রবণতা কম।
করোনার প্রতিটি ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক পরায় জোর দিয়ে প্রশাসনিক অভিযান চলেছে। তবে এবার ভ্রাম্যমাণ আদালত এখন পর্যন্ত নামানো হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪ জেলার মধ্যে ১৬টি জেলায় করোনা রোগী শূন্যে ছিল। তবে এর ৮০ শতাংশ রোগীই ঢাকা বিভাগের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ২৪৬ টি পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯০২ জন। নতুন শনাক্তের মধ্যে ১ হাজার ১৪৪ জন ঢাকা জেলার। এই নিয়ে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ৬ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৯ হাজার ১৬২ জন। মৃতদের ১ জন ঢাকা বিভাগের, অন্য জন চট্টগ্রামের। ১ জন পুরুষ ও ১ জন নারী। গত একদিনে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। টানা ১৭ দিন ৫ শতাংশের বেশি শনাক্তের হার পাওয়া যাওয়ার পর দেশে চতুর্থ ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩০৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮ হাজার ২৯৭ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর। গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ।
টানা দুই সপ্তাহ পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ হার ৫ শতাংশের বেশি হওয়ার পর গত ২৯ জুন করোনার চতুর্থ ঢেউ ছড়িয়ে পরার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এর পর আরও চার দিন শনাক্তের হার ১৩ শতাংশের বেশি দেখা গেছে।
সংক্রমণ বাড়লেও করোনার যে ধরনটি এবার ছড়াচ্ছে, সেটির কারণে মানুষের মধ্যে জটিলতা হচ্ছে কম, হাসপাতালে সেভাবে ভিড় নেই, অক্সিজেনের অভাবও দেখা যাচ্ছে না, আইসিইউএর চাহিদাও এবার তুঙ্গে নয়।
প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুর হার ছিল তুলমামূলক কম। তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় যখন চতুর্থ ঢেউ আসতে শুরু করছিল, সে সময় মৃত্যুর সংখ্যাটি কিছূটা বাড়লেও এখন পর্যন্ত উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
গত তিন মাসে করোয় এক দিনে সর্বোচ্চ ৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দ্বিতীয় ঢেউয়ে ২৪ ঘণ্টায় দুই শ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর তথ্য এসেছিল একাধিকদিন।
আরও পড়ুন:দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত কিছুটা বেড়েছে। ১২ হাজার ২৪৬টি নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৯০২ জনের দেহে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১৪৪ জনই ঢাকা জেলার। গতকাল শনিবার ১ হাজার ১০৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
অবশ্য ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কিছুটা বাড়লেও কমেছে মৃত্যু। এই সময় আরও দুইজনের মৃত্যু সংবাদ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনিবার ছয়জনের মৃত্যু সংবাদ দিয়েছিল অধিদপ্তর।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ নিয়ে ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৯ হাজার ১৬২ জন। মৃতদের ১ জন ঢাকা বিভাগের, অন্য জন চট্টগ্রামের, যাদের মধ্যে একজন পুরুষ ও আরেকজন নারী।
গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্ত হলো ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৯ জনের।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। টানা ১৭ দিন ৫ শতাংশের বেশি শনাক্তের হার পাওয়া যাওয়ার পর দেশে চতুর্থ ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩০৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮ হাজার ২৯৭ জন।
আরও পড়ুন:দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৬ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত কয়েকদিন থেকেই মৃত্যুর এই সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ৪, শুক্রবার ৫ আর গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেলেন ৬ জন।
দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার পর এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে চলতি বছরের ৮ মার্চ এর চেয়ে বেশি ৭ জনের মৃত্যু দেখেছিল দেশ।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত কিছুটা কমেছে। কমেছে শনাক্তের হারও। এ সময় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ১০৫ জনের দেহে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, নতুন ছয়জনসহ দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৭ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ১৭৭টি নমুনা সংগ্রহ এবং ৮ হাজার ৩৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ৩১ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৩৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ৯৯০ জন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য