কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মাঙ্কিপক্সের সন্দেহ করা হয়েছিল যাদের, তাদের সোরিয়াসিস (psoriasis) হয়েছে।
বিশদ স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান তুহিন।
তিনি বলেন, ‘দৌলতপুরের ওই নারী তার দুই সন্তান নিয়ে সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। আমরা তার শরীরে ছড়িয়ে পড়া ক্ষত ও ফোঁড়া পর্যবেক্ষণ করেছি। ডায়াগনসিসও করা হয়েছে। তা ছাড়া তার চিকিৎসক বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ তুষার শিকদারের ব্যবস্থাপত্রও দেখেছি। তার যে রোগ হয়েছে তার নাম সোরিয়াসিস। এটি এক ধরনের চর্মরোগ। চিকিৎসায় ভালো হবে। তার দুই ছেলেরও এ রোগ হয়েছে। তারা ভালো হওয়ার পথে।’
এর আগে ওই নারী ও তার দুই সন্তানের মাঙ্কিপক্স হয়েছে কি না তা নিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা রোববার বাড়িতে গিয়ে তাদের দেখেও আসেন। বিশদ পরীক্ষার জন্য সোমবার সকালে ওই নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে বলা হয়।
ওই নারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বয়স ২৯ বছর। শরীরে গোল গোল চাকা চাকা হয়েছে ছয়-সাত মাস হলো। এটা বেড়েই যাচ্ছে। পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। ১২ ও ৫ বছরের আমার দুই ছেলেরও একই রোগ হয়েছে। বড় ছেলের মুখে ও পায়ে হয়েছিল। শুকিয়ে গেছে। আর ছোট ছেলের পায়ে হয়েছে। চিকিৎসা চলছে। মনে হচ্ছে ভালো হয়ে যাবে। তবে আমারটা ভালো হচ্ছে না। শুধু বাড়ছেই।’
তিনি বলেন, ‘একটি বিদেশি অন্তর্বাস পরার পর এটা হয়েছে। বিদেশি ওই অন্তর্বাস দেশে থেকেই কেনা। ছয়-সাত মাস আগের কথা। এটা পরার পরপরই সারা শরীরে চুলকানি শুরু হয়। কয়েক দিন ধরে আশপাশের সবাই সন্দেহ করছিল মাঙ্কিপক্স। আমারও ভয় হচ্ছিল। এখন তা কেটে গেল।’
দিনে তীব্র দাবদাহ, রাতে ভ্যাপসা গরম। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে দুর্বিষহ মাত্রায় বেড়েছে লোডশেডিং। সব মিলিয়ে নওগাঁর গ্রাম ও শহরের জনজীবন অতিষ্ঠ।
লোডশেডিংয়ের কারণে আউশ ও রোপা আমনের খেতে সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে কলকারখানায়।
লোডশেডিংয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নওগাঁর কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, গ্যাস স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদার তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছেন। এ কারণে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে।
গত এক সপ্তাহে নওগাঁর গ্রাম ও শহর লোডশেডিং বেড়েছে। দিনরাত প্রায় সাত থেকে আট ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে গ্রাম এলাকায়। এসব এলাকার শতভাগ গ্রাহকই পল্লী বিদ্যুতের।
নওগাঁ পল্লী সমিতি-১ ও সমিতি-২ এর কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে নওগাঁয় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ৭ লাখ ৮৫ হাজার। এই পরিমাণ গ্রাহকের প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ১৫২ মেগাওয়াট। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশ লিমিডেট চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ পাচ্ছে।
বর্তমানে নওগাঁর বিভিন্ন এলাকার ফসলি মাঠজুড়ে আউশ ধান রোপনের চলছে। কৃষকরা রোপা আমন রোপনের জন্য বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। বৃষ্টি না থাকায় কৃষকেরা গভীর-নলকূপ থেকে জমিতে সেচ দিয়ে জমি প্রস্তুত করছেন। এ ছাড়া নওগাঁয় চালকলসহ ছোটবড় প্রায় ২ হাজার কলকারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় বিদ্যুতের ব্যাপক চাহিদা থাকে। পাশাপাশি প্রচণ্ড গরমের কারণেও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
যা বলছেন গ্রাহকরা
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলা গ্রামের বাসিন্দা রবিন হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক সপ্তাহ ধরে শুধু রাতেই পাঁচ-ছয় ঘণ্টা ধরে লোডশেডিং হচ্ছে। গরমের কারণে ঠিকমতো ঘুমাতে পারি না।’
আত্রাই উপজেলার নওদুলি গ্রামের বাসিন্দা তৌফিক হাসান বলেন, ‘শহরের চেয়ে গ্রামে আরও বেশি সমস্যা। গ্রামে কারেন্ট গেলেই মনে হয় আর আসার খবর নাই। এত গরম হচ্ছে তার মধ্যে দিন ও রাতের বেশির ভাগ সময় লোডশেডিং হচ্ছে।’
তীব্র গরম ও লোডশেডিং বিড়ম্বনায় শহরবাসী
নওগাঁর উকিলপাড়া মহল্লার গৃহিনী শান্তা বেগম বলেন, ‘বিদ্যুৎ যায় আর আসে। এক ঘণ্টা থাকলে আবার দেড় থেকে দুই ঘণ্টা থাকছে না। এদিকে আবার রোদ-গরম। খুব অশান্তি অনুভব করছি। বাচ্চার ঠিকমতো পড়াশোনাও হচ্ছে না। দ্রুত সমস্যার সমাধান না করা হলে অসুস্থ্য হয়ে যাবো আমরা।’
শহরের তাজের মোড়ের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মতো বয়স্ক মানুষকে গরমে খুবই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। একে তো গরম, তার মধ্যে আবার লোডশেডিং, খুবই সমস্যা হচ্ছে।
‘শারীরিকভাবে আমি খুবই অসুস্থবোধ করছি। এমন লোডশেডিং বন্ধে সরকারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করছি।’
লোডশেডিংয়ে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা কৃষকদের
লোডশেডিংয়ের কারণে জমিতে সেচ দিতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা। বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় সেচ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছেন বলে অভিযোগ তাদের।
জেলার রাণীনগর উপজেলার মালশন গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘ডিপ টিউবওয়েলের মাধ্যমে ঠিক সময় পানি সেচ করা যাচ্ছে না। জমিতে সময়মতো পানি দিতে না পারলে ফসলের ক্ষতি হবে। দিন ও রাতে বেশিরভাগ সময় ঠিকমতো বিদ্যুৎ থাকছে না।’
ইমদাদুল হক নামের স্থানীয় আরেক কৃষক বলেন, ‘এখন আমন মৌসুম চলছে। জমিতে ঠিকমতো পানি না দিলে ধান রোপন ব্যাহত হবে। বিদ্যুৎ তো ঠিকমতো থাকছেই না। কৃষকরা যাতে ঠিকমতো বিদ্যুৎ পায়, সেদিকে সরকারের বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন।’
ছোট-বড় কারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত
লোডশেডিংয়ের কারণে নওগাঁ বিসিক শিল্প নগরীসহ ছোট-বড় কারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন কারখানাগুলোতে কর্মঘণ্টা অপচয় হচ্ছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে মালিকদের।
জেলা শহরের ফিরোজপুর মোড় এলাকায় অবস্থিত জাহেরা রাইস মিলের স্বত্ত্বাধিকারী এনামুল হক বলেন, ‘বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে এবং মিলের গুদামে ধানের মজুত থাকলে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ মণ চাল উৎপাদন হয়। লোডশেডিংয়ের কারণে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন চাল উৎপাদন এখন ১৫০ মণের নিচে নেমে এসেছে।
‘শ্রমিকদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। এতে ক্রমেই লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে।’
মহাদেবপুর উপজেলা সদরের জামান রাইস মিলের মালিক জামান দেওয়ান বলেন, ‘বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছি না আমরা। আমাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে এমন সমস্যা চলছে। এমনটা চলতে থাকলে বড় ধরনের লোকশানের মুখে পড়তে হবে আমাদের। তাই দ্রুত বিদ্যুৎ লোডশেডিং বন্ধ করতে বিদ্যুৎ বিভাগের দৃষ্টি কামনা করছি।’
কী বলছেন বিদ্যুৎবিভাগের কর্মকর্তারা
মুঠোফোনে কথা হয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশের লিমিটেডের রাজশাহী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গ্যাসের চাপ কম থাকায় জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কয়েক দিন আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিষয়টির ব্যাখ্যা করেছেন।
‘আমরা রাজশাহী থেকে শুধু অপারেশনাল কাজটা দেখে থাকি। জাতীয় নির্দেশনা অনুযায়ী, স্থানীয় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র থেকেই লোডশেডিং করা হচ্ছে। তবে আশা করা হচ্ছে আগামী দুই দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
নওগাঁ পল্লী সমিতি-১ এর উপমহাব্যবস্থাপক (কারিগরি) প্রকৌশলী লুৎফুল হাসান সরকার বলেন, ‘নওগাঁ পল্লী সমিতি-১- এর গ্রাহক সংখ্যা ৪ লাখ ৬০ হাজার। এই পরিমাণ গ্রাহকের প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে ৯০ মেগাওয়াট। তবে বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ মেগাওয়াট করে।
একই পরিস্থিতি নওগাঁ বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর গ্রাহকদেরও। নওগাঁ বিদ্যুৎ সমিতির-২-এর জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সন্তোষ কুমার সাহা জানান, তাদের ৩ লাখ ২৫ গ্রাহকের প্রতিদিন গড়ে বিদ্যুতের চাহিদা ৬২ মেগাওয়াট। বর্তমানে মিলছে ৩০ থেকে ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
আরও পড়ুন:রংপুরে একটি অটোরিকশাকে বালুবাহী ট্রাক চাপা দেয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে এখন পাঁচ হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাকচালক ও তার সহকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
নগরীর মাহিগঞ্জে সরেয়ারতল এলাকায় মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন- অটোচালক রাজা মিয়া, পাঁচ বছরের শিশু জান্নাতুল মাওয়া, ফয়জার রহমান ও ধরণী পাল। তবে, একজনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাহিগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, বালুবাহী ট্রাক ও অটোরিকশা দুটোই রংপুর থেকে পীরগাছার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ট্রাকটি ওভারটেক করতে গিয়ে অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়।
ওসি বলেন, ‘এখনও দুজনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ট্রাকচালক ও সহকারীকে আমরা আটক করেছি। উদ্ধার হয়েছে অটোরিকশা ও ট্রাকটি।’
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মজা পুকুরের অল্প পানিতে ডুবে লাবিবা আকতার ও মো. আলিফ নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাইবোন।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের তিনচৌদিয়া গ্রামের পূর্বপাড়ার মুহাম্মদ ছৈয়দ মেম্বার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
লাবিবা বানিয়াখোলা গ্রামের প্রবাসী মাহাবুবুল আলমের ৫ বছর বয়সী কন্যা এবং ৪ বছর বয়সী আলিফ সৈয়দুল আলমের ছেলে। মাহাবুবুলের ভাই সৈয়দুলও প্রবাসী।
ইউপি সদস্য রফিক উদ্দিন তালুকদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাবিবা ও আলিফ বাড়ির কাছে পুকুরে খেলতে যায়। ওই মজা পুকুরে পানি অল্প, ৩ ফুটের মতো হবে। তাদের সঙ্গে সমবয়সী ৭ থেকে ৮ জন ছিল। একপর্যায়ে অন্য শিশুরা লাবিবাকে না দেখে চিৎকার করতে থাকে।
রফিক আরও জানান, এ সময় এক প্রতিবেশী পুকুরে নেমে লাবিবাকে খুঁজতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ডুবন্ত লাবিবাকে উদ্ধার করে ওঠার সময় আলিফ তার পায়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তখন তাকেও উদ্ধার করা হয়। দুজনকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিদিন শিশুরা ওই পুকুরে খেলত বলে জানান ইউপি সদস্য রফিক।
রাঙ্গুনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফাহিমা আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুপুর সোয়া ১টার দিকে দুই শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়। আমরা দুজনকেই মৃত অবস্থায় পেয়েছি। হাসাপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়।’
আরও পড়ুন:ঢাকার সাভারে মারধরে আহত এক কিশোর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
মৃত মো. লিখন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার ভয়ানগর থানার আব্দুল মজিদের ছেলে৷ সে পলাশবাড়ী এলাকায় থেকে কাঠ মিস্ত্রির কাজ করত বলে জানা গেছে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফ মফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এসআই শরিফ মফিজুর রহমান বলেন, সোমবার পলাশবাড়ীর ইস্টার্ন হাউজং এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটে বলে খবর পাই। মারামারিতে আহত হয়ে এক কিশোরকে এনাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আমি হাসপাতালে গিয়ে লিখন নামে ওই কিশোরকে দেখে আসি। আজ (মঙ্গলবার) শুনেছি ছেলেটি মারা গেছে।
এখনও নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি। সাভার মডেল থানা পুলিশ মরেদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৪৫৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দিয়েছে সিন্ডিকেট। গত অর্থবছরের তুলনায় এবার ২১ কোটি ২৩ লাখ টাকা বাড়িয়ে বাজেট পাশ করা হয়েছে।
সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক সিন্ডিকেটের ৫১৫ তম সভায় বাজেটটি পাশ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সিন্ডিকেট সভায় সভাপতিত্ব করেন। এর আগে ২ জুলাই অর্থায়ন কমিটির ৫৫৮ তম সভায় এই বাজেটের অনুমোদন দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে জানান, এবার ৪৫৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বাজেটের মধ্যে ৩৬৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা খরচ হবে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশনে। যা মোট বাজেটের ৮০ দশমিক ৬১ শতাংশ।
এবার গবেষণা খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ২.১৯ শতাংশ। গতবছর এই খাতে ৮ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল।
এবারই প্রথমবারের মতো প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ১ কোটি টাকার বাজেট রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা, প্রকাশনা, বই পত্র, গবেষণাগার সরঞ্জামাদি, স্মার্ট ক্লাসরুম, ফিল্ডওয়ার্ক/শিক্ষা সফর, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ, খেলাধুলা ও শিক্ষাবৃত্তিসহ ১০ খাত অগ্রাধিকার পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকাশনা খাতে ৫২ লাখ, ফিল্ড ওয়ার্ক/শিক্ষা সফর খাতে ৮০ লাখ, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বাবদ ৫২ লাখ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি খাতে ২০২১-২২ বছরে ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও এবার তা বাড়িয়ে এক কোটি টাকা করা হয়েছে। বইপত্র খাতে বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৬০ লাখ টাকা। গত বাজেটে বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরির জন্য বইপত্র খাতে বরাদ্দ ছিল ১৫ হাজার টাকা। এবার তা বাড়িয়ে ৪০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বই ক্রয় বাবদ ৩৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের অটোমেশন বাবদ ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:ভেজা কাপড় শুকাতে দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই ঘের কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে।
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সাতক্ষীরা সদরের মোফাজ্জল হোসেনের ঘেরের বাসায় মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ৩৫ বছরের শামীম বয়স, তিনি আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বৈকরঝটি গ্রামের বাসিন্দা। ২৫ বছরের আলম গাজী, তিনি আশাশুনি সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরের গোসল শেষে কাপড় শুকাতে গিয়ে পাশে ঝুলে থাকা বৈদ্যুতিক আউট লাইনের তারে হাত লাগলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন শামীম। তাকে ছাড়াতে যান ঘেরের বাসায় থাকা কর্মচারী আলম গাজী। শামীমের গায়ে হাত দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন।
ঘেরের বাসায় থাকা অন্য একজন কর্মচারী স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিউজ বাংলাকে নিশ্চিত করে জানান, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করেছে। পুলিশ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন:১০ বছর পর ময়মনসিংহের ত্রিশালের তাইজ উদ্দিন হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন, অহিদ মিয়া, মোবারক হোসেন ও মজনু মিয়া। তারা ত্রিশাল উপজেলার কোনাবাড়ী ও সাখুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিন জনের মধ্যে মোবারক পলাতক রয়েছেন।
নিউজবাংলাকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি মো. কবির উদ্দিন ভূইয়া।
তিনি জানান, ২০১২ সালের ১১ আগস্ট ত্রিশাল উপজেলার কোনাবাড়ী নদীরপাড় এলাকা থেকে তাইজ উদ্দিন নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে তাইজের বাবা নূরুল ইসলাম ত্রিশাল থানায় হত্যা মামলা করেন।
অ্যাডভোকেট কবির বলেন, ওই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা করে অর্থ দণ্ড দেয়। জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিচারকের নির্দেশে অহিদ মিয়া ও মজনু মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য