দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে টানা ২৫ দিন মৃত্যুশূন্য দেশ। এ সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩৩ জন।
রোববার বিকেলে বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর আগে সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল এক জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন করে এক দিনে কোনো মৃত্যু না থাকায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৭ জনে রয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১২। নতুন করে করোনা শনাক্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২৮ জন।
রোববার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৮১৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের নতুন হার শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৬৯ জন। এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৪১৯ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।
আরও পড়ুন:সাড়ে চার মাস পর চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ৩৬৩ জনে। এদের মধ্যে ৭৩৪ জন মহানগর ও ৬২৯ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে শুক্রবার এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ জন। চট্টগ্রামের ১১টি ল্যাবে ৪৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ফল পাওয়া গেছে। সে হিসাবে আক্রান্তের হার ১১ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
‘এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ২৫৮ জন। তাদের মধ্যে ৯২ হাজার ৬৫০ জন মহানগর ও বাকি ৩৪ হাজার ৬০৮ জন উপজেলার বাসিন্দা।’
নতুন আক্রান্ত ৫২ জনের মধ্যে মহানগরের বাসিন্দা ৪৪ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার আটজন।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন:দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আবারও ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি গ্রহণ করেছে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মঙ্গলবার সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে এ সংক্রান্ত ৬ দফা আদেশ বাস্তবায়ন করতে চিঠি দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সারা দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ও জনগণের মধ্যে মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে যথেষ্ট শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনা হচ্ছে। কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ১৪ জুন অনুষ্ঠিত সভায় নেয়া সুপারিশ প্রতিপালনের জন্য এবং কোভিড প্রতিরোধে নিচের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হলো।
নির্দেশনাগুলো হলো:
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে সব গণমাধ্যমে অনুরোধ জানাতে হবে।
সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম যথাসম্ভব বর্জন করা।
এ ছাড়া নির্দেশে আছে, ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানসমূহে (যেমন-মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, জ্বর, সর্দি, কাশি বা কোভিড-১৯-এর উপসর্গ দেখা দিলে কোভিড টেস্ট করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে, দোকান, শপিংমল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল-রেস্টুরেন্ট সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে।
মাস্ক না পরলে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন করা এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, মাস্ক পরিধানের বিষয়ে মসজিদে জুমার নামাজে খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে কাজ করা।
গত কিছু দিন থেকেই দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। যা এখন ১৫ শতাংশের ওপরে। যেভাবে সক্রমণ হার বাড়ছে তাতে আর কয়েকদিন হলেও দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনের করোনায় আসে দ্বিতীয় ঢেউ। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। এক পর্যায়ে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর দেশে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আসে করোনার আরেক ধরন ওমিক্রন। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।
তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত বেশি হলেও মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ দ্রুত নিয়ন্ত্রণেও আসে। গত ১১ মার্চ তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মাস্ক পরা ছাড়া করোনাসংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হয়। তবে জনগণের মধ্যে মাস্ক পরা নিয়ে অনীহার বিষয়টি আবার দেখা যায়। করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বাড়তে থাকলেও এ বিষয়ে সচেতনতার অভাবের বিষয়টি এখনও স্পষ্ট।
আরও পড়ুন:
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৪৮৯টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ২ হাজার ৮৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় রোগী শনাক্তের ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এ নিয়ে টানা ১৩ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকল।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আগের দিনও শনাক্ত ছিল ২ হাজার ৬৮০ জন। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ১৫.২০ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে কেবল আর এক দিন পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি হলে ভাইরাসটির চতুর্থ ঢেউ নিশ্চিত হয়ে যাবে।
নতুন শনাক্তের মধ্যে ১ হাজার ৭৯৫ জন ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৬১ জন।
করোনার রোগী ক্রমেই বাড়তে থাকলেও মৃত্যুর হার এখন পর্যন্ত অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৩ মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সরকারি হিসাবে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ২৯ হাজার ১৪৫ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ২০০ জন রোগী। আক্রান্ত হয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৭ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনের করোনায় আসে দ্বিতীয় ঢেউ। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। এক পর্যায়ে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর দেশে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আসে করোনার আরেক ধরন ওমিক্রন। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।
তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত বেশি হলেও মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ দ্রুত নিয়ন্ত্রণেও আসে। গত ১১ মার্চ তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মাস্ক পরা ছাড়া করোনাসংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হয়। তবে জনগণের মধ্যে মাস্ক পরা নিয়ে অনীহার বিষয়টি আবার দেখা যায়। করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বাড়তে থাকলেও এ বিষয়ে সচেতনতার অভাবের বিষয়টি এখনও স্পষ্ট।
করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে সব সরকারি চাকরিজীবীর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে নির্দেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন:দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৫ থেকে ১২ বছরের বয়সী শিশুদের টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। খুব শিগগিরই কার্যক্রমটি উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শিশুদের টিকা পেতে অভিভাবকদের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ পেডিয়াট্রিক নিউরোডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজম (ইপনা) কর্তৃক পরিচালিত ‘সার্টিফিকেট কোর্স অন নিউরোডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার্স’ শীর্ষক কোর্সের উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৫ থেকে ১২ বছরের বয়সী শিশুদের টিকা আওতায় হবে। ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন দিয়েছে। জন্ম সনদ দিয়ে সুরক্ষা অ্যাপে টিকার নিবন্ধন করতে হবে। যারা নিবন্ধন করেননি, তারা যেন দ্রুত নিবন্ধন করে নেয়।’
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখ।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘সংক্রমণ বাড়ছে, প্রাণহানি শূন্য থেকে এখন নিয়মিত ঘটছে। তাই টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। অফিস আদালতে যারা যান তাদের মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরতে অনুরোধ করছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে চিকিৎসা এগিয়ে থাকলেও আমরা গবেষণায় পিছিয়ে। চিকিৎসকদের সেবার পাশাপাশি এতেও গুরুত্ব দিতে হবে। আগের মতো এ বছরও ১০০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে এ খাতে। দেশেই বাইপাস, ট্রান্সপ্লান্ট সব হচ্ছে। পাশাপাশি ভ্যাকসিন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। গবেষণা আরও এগিয়ে যাক আমরা সেটাই চাই। ভালো মানের গবেষণা বিএসএমএমইউতে হোক এটাই আমাদের চাওয়া।’
উদ্বোধনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু অনুষদের ডিন ও ইপনার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন)।
আরও পড়ুন:দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৮২০টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ২ হাজার ১০১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, যা চার মাসের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এর চেয়ে বেশি রোগী শনাক্তের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন ২ হাজার ১৫০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এ নিয়ে দুই দিন ছাড়া টানা ২৫ দিন নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বাড়ল।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ। করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এ নিয়ে টানা ১২ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে।
নতুন শনাক্তের মধ্যে ১ হাজার ৮০৬ জন ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে দুজনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সরকারি হিসাবে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ২৯ হাজার ১৪২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ১৭৯ জন রোগী। আক্রান্ত হয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৮৬৭ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনের করোনায় আসে দ্বিতীয় ঢেউ। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। একপর্যায়ে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর দেশে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আসে করোনার আরেক ধরন ওমিক্রন। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত বেশি হলেও মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ দ্রুত নিয়ন্ত্রণেও আসে। গত ১১ মার্চ তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মাস্ক পরা ছাড়া করোনাসংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হয়। তবে জনগণের মধ্যে মাস্ক পরা নিয়ে অনীহার বিষয়টি আবার দেখা যায়। করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বাড়তে থাকলেও এ বিষয়ে সচেতনতার অভাবের বিষয়টি এখনও স্পষ্ট।
করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে সব সরকারি চাকরিজীবীর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে নির্দেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন:বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবারও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
শনিবার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
শায়রুল বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্যারের কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষায় পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তিনি ডাক্তার রায়হান রাব্বানী সাহেবের তত্ত্বাবধানে আছেন।’
ছয় মাসের মধ্যে মির্জা ফখরুল এ নিয়ে দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হলেন। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি তিনি একবার করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন।
মির্জা ফখরুলের করোনা প্রতিরোধী তিনটি টিকা নেয়া আছে।
দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে বলেও জানান বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির।
আগামীকাল রোববার বেলা ১১টায় জিয়াউর রহমানের কবরে নবগঠিত যুবদল কমিটির নেতাদের নিয়ে মির্জা ফখরুলের শ্রদ্ধা জানানোর কথা ছিল, সেটি স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:সাড়ে তিন মাস পর করোনাভাইরাসে এক দিনে তিনজনের মৃত্যুর তথ্য দিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত কয়েক দিনে এক দিনে সর্বোচ্চ একজনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছিল।
গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে শনাক্তের সংখ্যা ও পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার প্রতিদিনই আগের দিনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মধ্যে মৃত্যুর এ সংখ্যাটি জানানো হলো শনিবার।
শুক্রবার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর এই সংখ্যা গত ১১ মার্চের পর সর্বোচ্চ। সেদিন ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের চেয়ে পাঁচ হাজার নমুনা কম পরীক্ষা করা হয়েছে। যে কারণে নতুন রোগীর সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় কিছটা কমে এসেছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৪৯২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১ হাজার ২৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিবেচনায় রোগী শনাক্তের ১৫ দশমিক শূন্য ৭। গতদিন এই হার ছিল ১২ দশমিক ১৮ শতাংশ। বৃহস্পতিবার এই হার ছিল ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। আগের দিন বুধবার ছিল ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এ নিয়ে টানা ১০ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে।
এই হিসাবে আর চার দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি হলে দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা যাবে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনের করোনায় আসে দ্বিতীয় ঢেউ। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। একপর্যায়ে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর দেশে তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আসে করোনার আরেক ধরন ওমিক্রন। তৃতীয় ঢেউয়ের সময় ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত বেশি হলেও মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। এই ঢেউ দ্রুত নিয়ন্ত্রণেও আসে। গত ১১ মার্চ তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মাস্ক পরা ছাড়া করোনাসংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হয়। তবে জনগণের মধ্যে মাস্ক পরা নিয়ে অনীহার বিষয়টি আবার দেখা যায়। করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বাড়তে থাকলেও এ বিষয়ে সচেতনতার অভাবের বিষয়টি এখনও স্পষ্ট।
করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে সব সরকারি চাকরিজীবীর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে নির্দেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য