× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
Vaccination cannot be forced Supreme Court of India
google_news print-icon

টিকা নিতে বাধ্য করা যাবে না: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

টিকা-নিতে-বাধ্য-করা-যাবে-না-ভারতের-সুপ্রিম-কোর্ট
টিকা নিতে বাধ্য করা যাবে না বলে জানিয়েছে ভারতের আদালত। ছবি: সংগৃহীত
কোভিড সংক্রমণ কম হলে টিকাবিহীন ব্যক্তিদের সব জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে আদালত।

ভারতে কোনো ব্যক্তিকে টিকা নিতে বাধ্য করা যাবে না বলে জানিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল কে নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।

ভারতের কোভিড ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে এই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে টিকা নেয়ার বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে।

আদালত বলেছে, শারীরিক অখণ্ডতা আইনের অধীনে কাউকে টিকা নিতে বাধ্য করা যাবে না।

কোভিড সংক্রমণ কম হলে টিকাবিহীন ব্যক্তিদের সব জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রেও কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে আদালত।

তবে আদালত বলেছে, সবার স্বাস্থ্যের স্বার্থে ব্যক্তিগত অধিকারে কিছু সীমাবদ্ধতা আরোপ করা যেতে পারে।

ভারতের তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশে সবার টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশনের সাবেক সদস্য ড. জ্যাকব পুলিয়েল সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন করেন। এতে বলা হয়, টিকা বাধ্যতামূলক করা নাগরিকদের অধিকারের লংঘন।

পিটিশনে কোভিড ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ডেটা প্রকাশ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা বা কার্যকারিতার জন্য পর্যাপ্তভাবে পরীক্ষা করা হয়নি এবং জনসাধারণের কাছে পরীক্ষার ডেটা প্রকাশ না করে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের অধীনে লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।’

সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং ভারত বায়োটেকের মতো ভ্যাকসিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আদালতকে বলেছে, ‘সমস্ত ট্রায়াল ডেটা ইতোমধ্যেই পাবলিক ডোমেনে রয়েছে।

আরও পড়ুন:
নীলফামারী সদরে টিকা পাচ্ছে ৩৪০১ শিক্ষার্থী
কোভিড ভ্যাকসিন: আমরা কোথায়?

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Corona infection is increasing 61 people have been identified

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, ৬১ জনের দেহে শনাক্ত

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, ৬১ জনের দেহে শনাক্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে ৫৭ জনই ঢাকার বাসিন্দা, চারজন সিলেটের।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের নিম্নগতি ছিল, দৈনিক শনাক্তের হার ছিল এক শতাংশেরও নিচে। কিন্তু ফের ভাইরাসটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় ৬১ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২৬ মে সকাল ৮টা থেকে ২৭ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত ৯২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

এর আগে সর্বশেষ গত ২৮ মার্চ একজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল অধিদপ্তর। সে হিসেবে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪৬ জনের এবং ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৯৮ জনের দেহে।

গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে ৫৭ জনই ঢাকার বাসিন্দা, চারজন সিলেটের।

এদিকে শুক্রবার শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। বৃহস্পতিবার ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ আর তার আগের দিন ছিল ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ।

দেশে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে মোট রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন রোগী শনাক্ত হবার কথা জানায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ( আইইডিসিআর)। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়।

করোনার বিভিন্ন ধরণের মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে দেশে একদিনে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়।

২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট একদিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন:
১০ দিন পর করোনায় আবার মৃত্যু
করোনা শনাক্ত কমে ৪৮
মৃত্যুহীন দিনে করোনায় শনাক্ত ১৮৩
একদিনে করোনায় শনাক্ত ৯৪, মৃত্যু ১
করোনায় এক দিনে ৪ মৃত্যু

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Travelers returning from abroad in China will not need quarantine

চীনে প্রবেশে লাগবে না কোয়ারেন্টিন

চীনে প্রবেশে লাগবে না কোয়ারেন্টিন কোয়ারেন্টিনের বিধান তুলে নেয়ায় বেইজিং বিমানবন্দরে উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা। ছবি: সংগৃহীত
২০২০ সালের মার্চ থেকে চীনে পৌঁছানোর পর দেশটির সরকারের অধীনে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হতো বিদেশিদের। প্রথম দিকে এ কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ ছিল তিন সপ্তাহ। গত গ্রীষ্মে সে সময় কমিয়ে এক সপ্তাহে আনা হয়। পরে নভেম্বরে তা আরও কমিয়ে পাঁচ দিন করা হয়।

করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি শুরুর প্রায় তিন বছর পর চীনে প্রবেশের পর কোয়ারেন্টিনের বিধিনিষেধ তুলে নিল দেশটির সরকার।

স্থানীয় সময় রোববার থেকে দেশটিতে ঢোকার পর আর কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

বিক্ষোভের মুখে গত মাসে কঠোর করোনা বিধি থেকে সরে আসে চীন। এর পর থেকেই দেশটিতে ভাইরাসটির সংক্রমণ বড় পরিসরে বাড়তে থাকে।

রয়টার্স জানায়, ২০২০ সালের মার্চ থেকে চীনে পৌঁছানোর পর দেশটির সরকারের অধীনে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হতো বিদেশিদের। প্রথম দিকে এ কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ ছিল তিন সপ্তাহ। গত গ্রীষ্মে সে সময় কমিয়ে এক সপ্তাহে আনা হয়। পরে নভেম্বরে তা আরও কমিয়ে পাঁচ দিন করা হয়।

করোনার কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পরই চীনের জনগণ জনপ্রিয় ভ্রমণ ওয়েবসাইটগুলোতে বিদেশে ভ্রমণ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন, তবে এক ডজনেরও বেশি দেশ চীন থেকে আসা যাত্রীদের ওপর বাধ্যতামূলক কোভিড পরীক্ষাসহ নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। এ পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছে বেইজিং।

চান্দ্র নববর্ষের ছুটিতে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন:
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চীনা নাগ‌রি‌কের মৃত্যু
চীনে করোনার দৈনিক হিসাব প্রকাশ বন্ধ
করোনা সংক্রমণ বাড়লেও চীনের সঙ্গে চালু থাকছে ফ্লাইট
সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো তথ্যে চীনে ‘করোনা আক্রান্ত ২৫ কোটি’
করোনা: চীনের সমাধিতে দুই ঘণ্টায় ৪০ মরদেহ

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
New strain of corona BF Dotseven in Bangladesh

করোনার নতুন উপধরন বিএফ ডটসেভেন বাংলাদেশে

করোনার নতুন উপধরন বিএফ ডটসেভেন বাংলাদেশে
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একজন চীনা নাগরিকের শরীরে ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ ডটসেভেন শনাক্ত হয়েছে। তবে তিনি ভালো আছেন।’

চীন থেকে বাংলাদেশে আসা দেশটির এক নাগরিকের শরীরে করোনাভাইরাসের নতুন উপধরন বিএফ ডটসেভেন শনাক্ত হয়েছে।

রোববার দুপুরে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, ওই চারজনের করোনা পরীক্ষার পর একজনের শরীরে উপধরনটি শনাক্ত হয়েছে।

বিএফ ডটসেভেন করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের নতুন উপধরন।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একজন চীনা নাগরিকের শরীরে ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ ডটসেভেন শনাক্ত হয়েছে। তবে তিনি ভালো আছেন।’

এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর চীন থেকে আসা দেশটির চার নাগরিকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। চীন থেকে তারা কোভিড নেগেটিভ সনদ সঙ্গে এনেছিলেন। তবে বাংলাদেশে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।

সম্প্রতি চীনে আবার করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের মধ্যে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবার চীনসহ কয়েকটি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন:
করোনায় এক দিনে ৪ মৃত্যু
মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ১৯৬
একদিনে করোনা শনাক্ত ১৮৫, মৃত্যু ১
করোনায় আরও ৬ মৃত্যু, শনাক্ত হার ৬.৯৭
একদিনে করোনা শনাক্ত ৪৫৬, মৃত্যু ২

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The publication of the daily account of Corona is stopped in China

চীনে করোনার দৈনিক হিসাব প্রকাশ বন্ধ

চীনে করোনার দৈনিক হিসাব প্রকাশ বন্ধ চীনের হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। ছবি: এপি
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন গত তিন বছর ধরেই প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের হিসাব প্রকাশ করে আসছিল, তবে রোববার থেকে এ তথ্য আর প্রকাশ হবে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিক্ষোভের মুখে বিধিনিষেধ শিথিলের পর চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে বলে খবর প্রকাশ করছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। এর মধ্যেই দেশটিতে দৈনিক করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ বন্ধ করা হলো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন (এনএইচএস) গত তিন বছর ধরেই প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের হিসাব প্রকাশ করে আসছিল, তবে রোববার থেকে এ তথ্য আর প্রকাশ হবে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিবৃতিতে এনএইচএসের পক্ষ থেকে বলা হয়, রেফারেন্স ও গবেষণার জন্য করোনাসংশ্লিষ্ট তথ্য চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টার প্রকাশ করবে।

কী কারণে করোনার দৈনিক হিসাব প্রকাশ বন্ধ করা হলো, তা নিয়ে এনএইচএসের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

ব্লুমবার্গ ও ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে চীনে ২৫ কোটি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

ওই প্রতিবেদন সঠিক হলে চীনের ১৪০ কোটি জনগণের প্রায় ১৮ শতাংশই চলতি মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, তবে সিএনএন এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

আরও পড়ুন:
করোনা: চীনা ভ্যারিয়েন্টে সতর্ক ভারত
অরুণাচল সীমান্তে ভারত- চীন সেনাদের সংঘর্ষ, কয়েকজন আহত
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাপান-চীনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
কোট পরলেই হ্যারি পটারের মতো অদৃশ্য
করোনায় ১ মৃত্যু, শনাক্ত ৩২

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Corona 40 dead bodies in two hours in Chinese tombs

করোনা: চীনের সমাধিতে দুই ঘণ্টায় ৪০ মরদেহ

করোনা: চীনের সমাধিতে দুই ঘণ্টায় ৪০ মরদেহ চীনের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। ছবি: এএফপি
চীন সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, করোনায় মৃত্যুর তালিকায় তাদেরই অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যারা করোনা পজিটিভ ছিলেন এবং শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন।

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চংকিংয়ের পিপল হাসপাতাল। চীনে করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের খবরের মধ্যে শুক্রবার স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটিতে যান এএফপির এক প্রতিবেদক। সেখানে রোগীর চাপে বারান্দাকে বানানো হয়েছে অস্থায়ী করোনা ওয়ার্ড।

হাসপাতালটিতে প্রতিরক্ষামূলক গিয়ারে থাকা এক কর্মী ‘মৃত, মৃত’ বলে চিল্লাতে চিল্লাতে এক নার্সের হাতে ডেথ সার্টিফিকেট বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন।

একটি কক্ষে প্রায় ৪০ জন বৃদ্ধ ও মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি হাতে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় ছিলেন, যাদের মধ্যে কেউ কেউ দিচ্ছিলেন কাশি।

হাসপাতালের এক নার্স এএফপিকে জানান, ওয়ার্ডের সবাই করোনা রোগী।

ওই কক্ষটির পাশেই নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) বিছানায় শুয়ে ছিলেন তিন রোগী।

হাসপাতালটির জরুরি বিভাগেও ৫০ জনের সারি দেখা যায়, যাদের মধ্যে অনেকে করোনা রোগী। সেখানে থাকা একজন জানান, তারা এক ঘণ্টার বেশি ধরে অপেক্ষা করছেন।

চংকিংয়ের আরেকটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগেও একই চিত্র দেখা যায়। সেখানে ৩০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে হাতে স্যালাইন লাগানো অবস্থায় দেখা গেছে। তাদের মধ্যে অনেকেই কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস নিচ্ছিলেন, অনেকের হাতে পালস অক্সিমিটার লাগানো ছিল।

হাসপাতালটির এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও এক নার্স এএফপিকে জানান, সরকার করোনার বিধিনিষেধ শিথিলের পর প্রতিদিন বেশ কয়েকজন মারা যাচ্ছেন।

মৃত ব্যক্তিরা সবাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি হাসপাতালটির কর্মীরা।

এএফপির প্রতিবেদকের চোখে করোনাভাইরাসের যে চিত্র ধরা পড়েছে, তার সঙ্গে মিলছে না দেশটির সরকারের দেয়া মৃত্যুর হিসাব।

করোনাভাইরাসে মৃত্যুকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছে চীন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, করোনায় মৃত্যুর তালিকায় তাদেরই অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যারা কোভিড পজিটিভ ছিলেন এবং শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন।

‘বেশির ভাগের মৃত্যু করোনায়’

এএফপির টিম বৃহস্পতিবার একটি সমাধি পরিদর্শন করে, যেখানে দুই ঘণ্টায় ৪০টি মরদেহ নামানো হয়। মৃত ব্যক্তিদের স্বজনরা জানান, তাদের বেশির ভাগের মৃত্যু হয় করোনায়।

এক নারী জানান, তার বৃদ্ধ আত্মীয় ঠান্ডাজনিত উপসর্গে ভুগছিলেন। তার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে, কিন্তু অবস্থা খারাপ হওয়ার পর সময়মতো অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় মৃত্যু হয়।

২০ বছর বয়সী আরেক নারীর শঙ্কা, তার বাবাও করোনায় মারা গেছেন, যদিও পরীক্ষা করানো হয়নি।

আরও পড়ুন:
কোট পরলেই হ্যারি পটারের মতো অদৃশ্য
করোনায় ১ মৃত্যু, শনাক্ত ৩২
বিক্ষোভের মুখে কঠোর করোনাবিধি থেকে সরল চীন
সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র দূরত্বের মধ্যে রিয়াদ যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট
রাশিয়া-ইউক্রেনের মতো বিপর্যয় এড়িয়ে চলা উচিত: চীনের রাষ্ট্রদূত

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Chinas hospitals apparently overflowing WHO

চীনের হাসপাতালগুলো দৃশ্যত ভরে যাচ্ছে: ডব্লিউএইচও

চীনের হাসপাতালগুলো দৃশ্যত ভরে যাচ্ছে: ডব্লিউএইচও চীনের বেইজিংয়ে একটি ক্লিনিকে পিপিই পরে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করছেন একদল কর্মী। ছবি: এএফপি
ডব্লিউএইচওর স্বাস্থ্যগত জরুরি কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রায়ান বলেন, চীনের কর্মকর্তারা করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ‘তুলনামূলক কম’ বললেও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটগুলো (আইসিইউ) ব্যস্ত রয়েছে।

করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে চীনের হাসপাতালগুলো দৃশ্যত রোগীতে ভরে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সংস্থাটির স্বাস্থ্যগত জরুরি কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক মাইকেল রায়ান বলেন, চীনের কর্মকর্তারা করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ‘তুলনামূলক কম’ বললেও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটগুলো (আইসিইউ) ব্যস্ত রয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীন প্রকাশিত ডেটা অনুযায়ী, বুধবার করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। যদিও রোগটির প্রকৃত বিস্তার নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।

করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সম্প্রতি বেইজিংসহ অনেক শহরের হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় বাড়তে থাকে।

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ২০২০ সাল থেকে জিরো কোভিড পলিসির অংশ হিসেবে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে চীন, তবে কড়াকড়ির বিরুদ্ধে কয়েকটি শহরে ব্যাপক বিক্ষোভের পর দুই সপ্তাহ আগে বিধিনিষেধ শিথিল করে বেইজিং।

কড়াকড়ি থেকে সরে আসার পর চীনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, যাতে বিশেষভাবে ঝুঁকিতে থাকা বৃদ্ধদের মৃত্যুহার বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সংক্রমণ বাড়লেও চীনের সরকারি ডেটা অনুযায়ী, করোনায় সোমবার দুজন এবং মঙ্গলবার পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

এমন পরিস্থিতিতে ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তা মাইকেল রায়ান ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বিশদ তথ্য দিতে চীনকে তাগিদ দেন।

তিনি বলেন, ‘চীনে আইসিইউগুলোতে তুলনামূলক কম রোগী থাকার খবর বেরিয়েছে, তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আইসিইউগুলো ভরে যাচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
বিক্ষোভের মুখে কঠোর করোনাবিধি থেকে সরল চীন
সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র দূরত্বের মধ্যে রিয়াদ যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট
রাশিয়া-ইউক্রেনের মতো বিপর্যয় এড়িয়ে চলা উচিত: চীনের রাষ্ট্রদূত
ছয় মাস মহাকাশে কাটিয়ে চীনে নামলেন ৩ নভোচারী
ভারতের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় চীনকে চুপ থাকার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Corona detection is hovering around zero

করোনা শনাক্ত ঘুরছে শূন্যের কোঠায়

করোনা শনাক্ত ঘুরছে শূন্যের কোঠায় সারা দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমেছে। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ১২ জন ঢাকার বাসিন্দা।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে এসেছে। সারাদেশে ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত হয়েছে ১৫ জন রোগী। এসময় করোনা শনাক্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, সারা দেশে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে ১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ১২ জন ঢাকার বাসিন্দা।

দেশে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৩৬ হাজার ৬৩৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৩৪ জনের।

গত ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৫৬ জন। সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৬ হাজার ১০৭ জন।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ার পর মোট পাঁচটি ঢেউ মোকাবিলা করতে হয়েছে দেশকে। পঞ্চম ঢেউয়ে শনাক্ত ও মৃত্যু তুলনামূলক কম। বর্তমানে করোনা নিয়ন্ত্রণের পথে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আরও পড়ুন:
করোনায় শনাক্ত ২৩
করোনা: শনাক্ত কমে ২০
করোনা শনাক্ত শূন্যের কোঠায়
করোনা শনাক্ত ঘুরছে শূন্যের কোঠায়

মন্তব্য

p
উপরে