× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
Risk of brain shrinkage in mild covid
google_news print-icon

মৃদু কোভিডে মস্তিষ্ক সংকোচনের ঝুঁকি

মৃদু-কোভিডে-মস্তিষ্ক-সংকোচনের-ঝুঁকি-
করোনাভাইরাসে আক্রান্তরা ভুগছেন কগনিটিভ ইমপায়ারম্যান্ট সমস্যায়। ছবি: সংগৃহীত
মোটামুটি ৮ কোটি আমেরিকান, যারা এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে বেঁচে যাওয়া প্রতি চারজনের একজন ‘কগনিটিভ ইমপায়ারম্যান্ট’ সমস্যায় ভুগছেন। এই সমস্যাকেই বলা হচ্ছে ‘ব্রেইন ফগ’। যদিও ‘ব্রেইন ফগ’ এখন পর্যন্ত মেডিক্যাল টার্ম হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি।

লেখক ও শিক্ষক অ্যালেনা কাটজাপ, লস অ্যাঞ্জেলসের বাসিন্দা। ৩ দিনের বেশি সময় ধরে জ্বর ও কাশিতে শয্যাশায়ী থাকার পর তিনি বুঝতে পারেন, এর জন্য হয়তো করোনাভাইরাসই দায়ী। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এর পরও তিনি খুব একটা চিন্তিত ছিলেন না, কারণ তার আক্রান্তের লক্ষণগুলো ছিল মৃদু। তার শ্বাসকষ্টজনিত কোনো সমস্যা হয়নি, এমনকি হাসপাতালেও যেতে হয়নি। তিনি কয়েক দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যান।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাটজাগ বলছিলেন, আমার মনে আছে। ঈশ্বর, আবার সুস্থ হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। তারপর হটাৎ করে পরের দিনই আমি ধাক্কাটা খাই। বমি আসতে থাকে, পেটের পীড়ায় ভুগছিলাম আমি ও বিরক্তিকরভাবে স্মৃতিভ্রষ্টতায় আক্রান্ত হই।

মোটামুটি ৮ কোটি আমেরিকান, যারা এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে বেঁচে যাওয়া প্রতি চারজনের একজন ‘কগনিটিভ ইমপায়ারম্যান্ট’ সমস্যায় ভুগছেন। সাধারণত এ ধরনের সমস্যায় একজন ব্যক্তি নতুন কোনো কিছু শেখার ক্ষেত্রে, বোঝার ক্ষেত্রে, কোনো কিছু মনে করতে গেলেও সমস্যার সম্মুখীন হন। এই সমস্যাকেই বলা হচ্ছে ‘ব্রেইন ফগ’।

যদিও ‘ব্রেইন ফগ’ এখন পর্যন্ত মেডিক্যাল টার্ম হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যার অধ্যাপক এডওয়ার্ড শার্টার ‘ব্রেইন ফগের’ ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘এটি মূলত বিভ্রান্তি তৈরি, শব্দ খুঁজে পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হওয়া, স্বল্পমেয়াদি স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, মাথা ঘোরানো এবং মনোনিবেশ করতে অক্ষমতা এসব কিছু বোঝানোর ক্ষেত্রে একটি প্রতীকী শব্দ হয়ে উঠছে।’

কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের থেকেও প্রায় তিনগুণ বেশি রোগী কোভিড-পরবর্তী ‘কগনিটিভ ইমপায়ারম্যান্ট’ সমস্যায় ভুগছেন।

মস্তিষ্কের স্ক্যানগুলোতে দেখা যাচ্ছে, কোভিডের মৃদু সংক্রমণেও মস্তিষ্কের অংশ সংকুচিত হতে পারে। যার ফলে প্রায় ১০ বছর বয়সের সমান শারীরিক পরিবর্তন হতে পারে।

মস্তিষ্ক সাধারণত সংকুচিত হতে শুরু করে যখন একজন ব্যক্তির বয়স ৩০ ছাড়িয়ে যায় এবং ৬০-এর পর তা সংকুচিত হওয়ার গতি বৃদ্ধি পায়। তবে মস্তিষ্কের সংকোচন, তার সব অংশে একই রকমভাবে হয় না। এখন দেখা যাচ্ছে, করোনাভাইরাসে মৃদু সংক্রমণে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে হুট করেই মস্তিষ্ক সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে।

যা বলছেন গবেষকরা

নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ফেইনবার্গ স্কুল অফ মেডিসিনের স্নায়ু বিশেষজ্ঞ আয়ুশ বাত্রা বলেন, কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পরে স্নায়ুতে স্থায়ী ইনজুরি হওয়ার জৈব ও জৈব রাসায়নিক প্রমাণ রয়েছে। রোগীরা তাদের উপসর্গের বিষয়টি জানাচ্ছে। এটি তাদের জীবনযাত্রার মান এবং দৈনন্দিন কাজকর্মকে প্রভাবিত করছে।

কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আগে এবং পরে মানুষের মস্তিষ্কের পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করছিলেন যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক। তারাও মৃদু সংক্রমণে স্নায়বিক ক্ষতির প্রমাণ পেয়েছেন।

৫১ থেকে ৮১ বছর বয়সী ৭৮৫ জন এই গবেষণা জরিপে অংশগ্রহণ করেছেন। মহামারি শুরুর আগে যাদের মস্তিষ্ক স্ক্যান করা হয়েছিল। ইউকে বায়োব্যাংক প্রকল্পের অংশ হিসেবে তিন বছর পর তাদের মস্তিষ্ককে পুনরায় স্ক্যান করা হয়েছিল। এদিকে মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ৪০১ জন কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হয়েছিল। এর বেশির ভাগই হালকা সংক্রমণ, ৪০১ জনের মধ্যে মাত্র ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

স্ক্যানের ফলাফলগুলো দেখায়, কোভিডে সংক্রমণের প্রায় সাড়ে চার মাস পরে আক্রান্ত ব্যক্তিরা গড়ে ০.২ থেকে ২ শতাংশ মস্তিষ্কের আকার হারিয়েছে। যেখানে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতিবছর গড়ে মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাস এলাকার ০.২ থেকে ০.৩ শতাংশ হারায়, যা স্মৃতির সঙ্গে যুক্ত।

এ ছাড়া গন্ধের সঙ্গে যুক্ত মস্তিষ্কের অঞ্চলে, সুস্থ লোকের তুলনায় কোভিড-১৯ আক্রান্তের ০.৭ শতাংশ বেশি টিস্যুর ক্ষতি হয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের ‘কগনিটিভ টেস্ট’ যেমন মনোযোগ, ভিজ্যুয়াল স্ক্রীনিং ক্ষমতা এবং প্রক্রিয়াকরণের গতি পরিমাপ করা দুটি পরীক্ষায় তারা ৮ থেকে ১২ শতাংশ বেশি সময় নিয়েছে। তবে প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে খুব একটা প্রভাব পড়েনি।

এদিকে ইউনিভার্সিটি অফ প্যারিসের ল্যারিবোইসিয়া হাসপাতালের স্নায়ু বিশেষজ্ঞ জ্যাক হুগন বলেন, ‘আমরা ঠিক জানি না মস্তিষ্কে কী ঘটছে, তবে এটি একটি ঝুঁকি। আমাদের আগামী বছরেও কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’

শুধু মস্তিষ্কের ক্ষতিই নয়, কোভিড-১৯ ছয় মাস পর্যন্ত রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায়, যা স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। এ ছাড়া ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ বলছে, ফুসফুসের বাইরে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে ফেলতেও ভূমিকা রাখতে পারে।

আরও পড়ুন:
এক সপ্তাহ পর করোনায় দুই মৃত্যু
করোনায় নতুন রোগী কেবল ৩ জেলায়
করোনায় শনাক্ত বেড়েছে
ছয় জেলায় শনাক্ত ২৭, ঢাকাতেই ১৬
টানা ২০ দিন শনাক্ত এক শর নিচে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
In the country 5 more infected in the country are 5 deaths this year

দেশে করোনায় আরও ১৯ জন আক্রান্ত, চলতি বছরে ১৯ মৃত্যু

দেশে করোনায় আরও ১৯ জন আক্রান্ত, চলতি বছরে ১৯ মৃত্যু

করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের মধ্যে দেশে নতুন করে কারো মৃত্যু হয়নি। বুধবার (২৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৯ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।

দেশে এখন পর্যন্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৯ জন। আর দেশে ভাইরাসটিতে মোট ২৯ হাজার ৫১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
In the last 24 hours the death of dengue is 5 deaths this week

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩৯৪, চলতি সপ্তাহে মৃত্যু ৩

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩৯৪, চলতি সপ্তাহে মৃত্যু ৩

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে। সোমবার (২৩ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। আর এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৯৪ জন। আর চলতি সপ্তাহের এই কয়েকদিনে রোগটিতে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।

সোমবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটে। এ সময়ের মধ্যে বিভাগটিতে আক্রান্ত হয় সর্বোচ্চ ১৫৭ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৯৪ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩০২ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পুরুষ এবং ৫০ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮ হাজার ৫৪৪ জন। এর মধ্যে ৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Chittagong Mother and Children Hospital are ready to provide corona treatment
করোনা ওয়ার্ড পরিদর্শনে মেয়র শাহাদাত

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল করোনা চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল করোনা চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত

করোনা রোগীদের চিকিৎসায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ৫০ শয্যার ডেডিকেটেড করোনা ওয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। হাসপাতালের পুরাতন ভবনে এই ওয়ার্ডটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ সেবা দিতে প্রস্তুত হবে বলে আশা করছে হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষ।

এর আগে মেয়র শাহাদাতের নেতৃত্বে এক সভার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালও করোনা রোগীদের সেবায় বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। গতকাল মঙ্গলবার পরিদর্শনকালে মেয়র হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষকে এই উদ্যোগ নেয়ায় ধন্যবাদ জানান এবং সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। এরপর মেয়র মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২০২৫ (২০ তম ব্যাচ) শিক্ষাবর্ষের এম.বি.বি.এস কোর্সের অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. অসীম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এস, এম, মোরশেদ হোসাইন, ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল। মান্নান রানা, ট্রাস্টি বোর্ডের ট্রেজারার অধ্যক্ষ লায়ন ড. মোঃ সান্না উল্লাহ, ট্রাস্টি বোর্ডের মেম্বার জনাব তারিকুল ইসলাম তানভীর, ইঞ্জিঃ মো. জাবেদ আবছার চৌধুরী এবং ডা. মোহাম্মদ সারোয়ার আলম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কলেজের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এ.এস.এম. মোস্তাক আহমেদ, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. নূরুল হক এবং পরিচালক (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) ডা. এ.কে.এম. আশরাফুল করিম।

অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ফেজ-১ এর কো-অর্ডিনেটর (ভারপ্রাপ্ত) এবং বায়েকেমিষ্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. জেসমীন আবেদীন, ফেইজ-২ এর কো-অর্ডিনেটর এবং ফার্মাকোলজি ও থেরাপিউটিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. রোজিনা হক, ফেইজ-৩ এর কো-অর্ডিনেটর (নতুন কারিকুলাম) ও কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মোঃ জালাল উদ্দিন এবং ফেজ-৪ এর কো-অর্ডিনেটর এবং নাক, কান ও গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। অত্র মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ডা. অনুপম বড়ুয়া মেডিকেল কলেজের ইতিহাস, অবকাঠামো সুযোগ সুবিধা, শিক্ষার্থীদের পেশাগত পরীক্ষার ফলাফল, শিক্ষক/শিক্ষিকাদের পরিচিতি এবং ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এম.বি.বি.এস কোর্স কারিকুলাম-২০২১ এর উপর সংক্ষিপ্তভাবে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানে বক্তব্য তুলে ধরেন। গ্রাজুয়েটদের মধ্যে থেকে পারফরমেন্স বিবেচনা করে ‘বেস্ট ডাক্তার’ হিসাবে নির্বাচিত ডা. অরুনিমা বড়ুয়াকে ‘এস এন্ড এফ করিম ট্রাস্ট’ এর পক্ষ থেকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন যে, বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোর মধ্যে এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটির কার্যক্রম শীর্ষে রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের আওয়তায় ‘চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ক্যান্সার হাসপাতাল এবং রিচার্স সেন্টার’ রয়েছে, যা এক অনন্য উদ্যোগ।

কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বিধায় সম্মিলিতভাবে স্বাস্থ্য সচেতনতার মাধ্যমে করোনার নতুন অ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের হার কমানো এবং প্রতিরোধের উপরেও তিনি গুরুত্বারোপ করেন। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া থেকে বাঁচতে সবার সচেতনতা প্রয়োজন বলেও তিনি মনে করেন। আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার পাশাপাশি মানবিক চিকিৎসক হওয়ার জন্য তিনি ভর্তিকৃত নতুন শিক্ষার্থীদের পরামর্শ প্রদান করেন।

অত্র মেডিকেল কলেজ এর বায়েকিমিস্ট্র বিভাগের প্রভাষক ডা. জেরিন তাসনিম এবং এনাটমি বিভাগের প্রভাষক ডা. মো. সাদ উল্লাহ চৌধুরীর প্রাণবন্ধ উপস্থাপনায় ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ প্রতিষ্ঠানের প্রি-ক্লিনিক্যাল, প্যারা-ক্লিনিক্যাল এবং ক্লিনিক্যাল বিভাগ সমূহের অধ্যাপকসহ বিভাগীয় প্রধানরা।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Corona has reduced the average life expectancy by one and a half years

করোনায় গড় আয়ু দেড় বছর কমেছে

করোনায় গড় আয়ু দেড় বছর কমেছে কোভিড বিশ্বব্যাপী মানুষের আয়ু কমিয়েছে দেড় বছর। ফাইল ছবি
গবেষক অস্টিন শুমাখার বলেছেন, ২০২০ থেকে ২০২১ সময়কালে ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের বিশ্লেষণে ৮৪ শতাংশে আয়ু হ্রাস পেয়েছে। এই সময়ে ১৫ বছরের বেশি মানুষের মৃত্যুর হার পুরুষদের জন্য ২২ শতাংশ এবং মহিলাদের জন্য ১৭ শতাংশ বেড়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম দুই বছরে বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু ১ দশমিক ৬ বছর কমেছে।

একটি বড় গবেষণায় মঙ্গলবার এ কথা বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বাসস।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) তথ্য অনুসন্ধানকারী গবেষকদের মতে, এক দশক ধরে বিশ্বব্যাপী আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির পর এটি এখন উল্টো দিকে ঘুরছে।

আইএইচএমই গবেষক এবং দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার প্রধান লেখক অস্টিন শুমাখার বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, কোভিড-১৯ মহামারিটি অর্ধ শতাব্দীতে সংঘাত এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেখা যেকোনো ঘটনার চেয়ে আরও গভীর প্রভাব ফেলেছে।’

তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ২০২০ থেকে ২০২১ সময়কালে ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের বিশ্লেষণে ৮৪ শতাংশে আয়ু হ্রাস পেয়েছে, যা নতুন ভাইরাসগুলোর ‘বিধ্বংসী সম্ভাব্য প্রভাব প্রদর্শন করে।’

এই সময়ে ১৫ বছরের বেশি মানুষের মৃত্যুর হার পুরুষদের জন্য ২২ শতাংশ এবং মহিলাদের জন্য ১৭ শতাংশ বেড়েছে।

গবেষকরা অনুমান করেছেন, মেক্সিকো সিটি, পেরু এবং বলিভিয়ায় আয়ু সবচেয়ে বেশি কমেছে।

কিন্তু আইএইচএমইয়ের ল্যান্ডমার্ক গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ স্টাডির আপডেট করা হিসাবে কিছু ভালো খবর পাওয়া যায়।

২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় অর্ধ মিলিয়ন কম শিশু মারা গেছে, যা শিশু মৃত্যুহারের দীর্ঘমেয়াদি পতন অব্যাহত রেখেছে।

আইএইচএমই গবেষক এই ‘অবিশ্বাস্য অগ্রগতি’কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, বিশ্বকে এখন পরবর্তী মহামারি এবং বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যের বিশাল বৈষম্য মোকাবেলার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। গবেষকরা বলেছেন, ১৯৫০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গড় আয়ু ২৩ বছর বেড়ে ৪৯ থেকে ৭২ বছর হয়েছে।

কোভিড ২০২০ থেকে ২০২১ সময়কালে সরাসরি ভাইরাস থেকে বা পরোক্ষভাবে মহামারী-সম্পর্কিত কারণে অতিরিক্ত ১৫.৯ মিলিয়ন লোকের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন:
২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
করোনায় একজন মারা গেছেন
২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের করোনা শনাক্ত
২৪ ঘণ্টায় ২২ জনের করোনা শনাক্ত

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Coronavirus The death toll in the world stood at 69 lakh 22 thousand

করোনায় বিশ্বে মৃত্যু ৬৯ লাখ ২২ হাজার

করোনায় বিশ্বে মৃত্যু ৬৯ লাখ ২২ হাজার ছবি: সংগৃহীত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, দেশে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। ওই সময় নতুন করে সাত জনের শরীরে এ ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।

বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯ লাখ ২২ হাজার ৩৭২।

এদিকে সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৪৬ জন। খবর ইউএনবির

বিশ্বব্যাপী করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৬ কোটি ৮০ লাখ ৬৬ হাজার ৫১৪ জন।

করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্তের সংখ্যা ১০ কোটি ৮৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬০৫। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছে মোট ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৯৩ জন। মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে দেশটি।

ভারতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার ৮৭৪। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৯৩০ জনে।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, দেশে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। ওই সময় নতুন করে সাত জনের শরীরে এ ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।

এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে ও শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৫ হাজার ৭৪১ জনে পৌঁছেছে।

আরও পড়ুন:
ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক ভেঙে দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার
চলে গেলেন উকিল আবদুস সাত্তার
লক্ষীপুর-৩ আসনের এমপি শাহজাহান কামালের মৃত্যু
গুলশানে বাসের ধাক্কায় নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে
সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে স্পিডবোট ডুবে নারী ইউপি সদস্যের মৃত্যু

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Corona infection is increasing 61 people have been identified

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, ৬১ জনের দেহে শনাক্ত

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, ৬১ জনের দেহে শনাক্ত
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে ৫৭ জনই ঢাকার বাসিন্দা, চারজন সিলেটের।

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের নিম্নগতি ছিল, দৈনিক শনাক্তের হার ছিল এক শতাংশেরও নিচে। কিন্তু ফের ভাইরাসটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় ৬১ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২৬ মে সকাল ৮টা থেকে ২৭ মে সকাল ৮টা পর্যন্ত ৯২৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

এর আগে সর্বশেষ গত ২৮ মার্চ একজনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিল অধিদপ্তর। সে হিসেবে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪৬ জনের এবং ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৯৮ জনের দেহে।

গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে ৫৭ জনই ঢাকার বাসিন্দা, চারজন সিলেটের।

এদিকে শুক্রবার শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। বৃহস্পতিবার ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ আর তার আগের দিন ছিল ৪ দশমিক ১৪ শতাংশ।

দেশে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে মোট রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন রোগী শনাক্ত হবার কথা জানায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ( আইইডিসিআর)। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়।

করোনার বিভিন্ন ধরণের মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে দেশে একদিনে ২০২২ সালের ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়।

২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট একদিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন:
১০ দিন পর করোনায় আবার মৃত্যু
করোনা শনাক্ত কমে ৪৮
মৃত্যুহীন দিনে করোনায় শনাক্ত ১৮৩
একদিনে করোনায় শনাক্ত ৯৪, মৃত্যু ১
করোনায় এক দিনে ৪ মৃত্যু

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Travelers returning from abroad in China will not need quarantine

চীনে প্রবেশে লাগবে না কোয়ারেন্টিন

চীনে প্রবেশে লাগবে না কোয়ারেন্টিন কোয়ারেন্টিনের বিধান তুলে নেয়ায় বেইজিং বিমানবন্দরে উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা। ছবি: সংগৃহীত
২০২০ সালের মার্চ থেকে চীনে পৌঁছানোর পর দেশটির সরকারের অধীনে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হতো বিদেশিদের। প্রথম দিকে এ কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ ছিল তিন সপ্তাহ। গত গ্রীষ্মে সে সময় কমিয়ে এক সপ্তাহে আনা হয়। পরে নভেম্বরে তা আরও কমিয়ে পাঁচ দিন করা হয়।

করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি শুরুর প্রায় তিন বছর পর চীনে প্রবেশের পর কোয়ারেন্টিনের বিধিনিষেধ তুলে নিল দেশটির সরকার।

স্থানীয় সময় রোববার থেকে দেশটিতে ঢোকার পর আর কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

বিক্ষোভের মুখে গত মাসে কঠোর করোনা বিধি থেকে সরে আসে চীন। এর পর থেকেই দেশটিতে ভাইরাসটির সংক্রমণ বড় পরিসরে বাড়তে থাকে।

রয়টার্স জানায়, ২০২০ সালের মার্চ থেকে চীনে পৌঁছানোর পর দেশটির সরকারের অধীনে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হতো বিদেশিদের। প্রথম দিকে এ কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ ছিল তিন সপ্তাহ। গত গ্রীষ্মে সে সময় কমিয়ে এক সপ্তাহে আনা হয়। পরে নভেম্বরে তা আরও কমিয়ে পাঁচ দিন করা হয়।

করোনার কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পরই চীনের জনগণ জনপ্রিয় ভ্রমণ ওয়েবসাইটগুলোতে বিদেশে ভ্রমণ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন, তবে এক ডজনেরও বেশি দেশ চীন থেকে আসা যাত্রীদের ওপর বাধ্যতামূলক কোভিড পরীক্ষাসহ নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। এ পদক্ষেপকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছে বেইজিং।

চান্দ্র নববর্ষের ছুটিতে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন:
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চীনা নাগ‌রি‌কের মৃত্যু
চীনে করোনার দৈনিক হিসাব প্রকাশ বন্ধ
করোনা সংক্রমণ বাড়লেও চীনের সঙ্গে চালু থাকছে ফ্লাইট
সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো তথ্যে চীনে ‘করোনা আক্রান্ত ২৫ কোটি’
করোনা: চীনের সমাধিতে দুই ঘণ্টায় ৪০ মরদেহ

মন্তব্য

p
উপরে