× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
The density of Aedes mosquitoes is higher than the previous epidemic
google_news print-icon

এডিস মশার ঘনত্ব গত মহামারির চেয়ে বেশি

এডিস-মশার-ঘনত্ব-গত-মহামারির-চেয়ে-বেশি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে মশানিধন অভিযান। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকায় এডিস মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি মগবাজার, নিউ ইস্কাটন, বাসাবো, গোড়ান, এলিফ্যান্ট রোড ও সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। এ ছাড়া ঢাকা উত্তরের চেয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মশার উপস্থিতি বেশি।

২০১৯ সালে ডেঙ্গু মহামারির সময়ে এডিস মশার যে ঘনত্ব ছিল, এ বছর ঘনত্ব তার চেয়েও বেশি। রাজধানীর মগবাজার, নিউ ইস্কাটন, বাসাবো, গোড়ান, এলিফ্যান্ট রোড ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি।

এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে দক্ষিণ সিটিতে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি।

মশার ঘনত্ব ও বিস্তারসংক্রান্ত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপটি পরিচালনা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি।

তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ বছর ডেঙ্গু মহামারির আশঙ্কা করছে না, কারণ এডিস মশার ঘনত্ব বাড়লেও রাজধানীতে এডিসবাহী মশার বিস্তৃতি কমেছে বলে তারা মনে করে।

চলতি বছর জানুয়ারিতে ৩২ জনের দেহে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বছর শুরু হয়েছিল। জুনে এটা ১৭২ জনে ওঠে। জুলাই মাসে সেটিই হয়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ২৮৬ জনে। তাতে সব মিলিয়ে এ বছরের প্রথম সাত মাসে ডেঙ্গুতে মোট শনাক্ত দাঁড়ায় ২ হাজার ৬৫৮ জন। তবে আগস্টের ২২ দিনেই শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৩৮৩ জন। মারা গেছে ৩৬ জন।

জুলাই মাসের ২৯ তারিখ থেকে আগস্ট মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী এডিস মশাসংক্রান্ত জরিপটি করা হয়। অধিদপ্তরের ২০টি টিম ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯৮টি এলাকার ১০০টি স্থানে এই জরিপ পরিচালনা করে।

এই জরিপ মূলত ব্রুটো ইনডেক্স ও হাউস ইনডেক্সের মাধ্যমে করা হয়। ব্রুটো ইনডেক্সে এক শ প্রজনন উৎসের মধ্যে ২০টি বা তার বেশিতে যদি এডিস মশার লার্ভা ও পূর্ণবয়স্ক মশা পাওয়া যায়, তাহলে সেটাকে ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বলা যায়। সেখান থেকে এডিস মশাজনিত রোগ হতে পারে। লার্ভা ও মশা ১০ থেকে ২০-এর মধ্যে থাকলে সেখানে মশার মোটামুটি উপস্থিতি আছে বলে ধরে নেয়া যায়। একইভাবে হাউস ইনডেক্সে মূলত আক্রান্ত বাড়ির সংখ্যাকে ১০০ দিয়ে গুণ করে ওই এলাকার মোট বাড়ি দিয়ে ভাগ করা হয়। সে ক্ষেত্রে তা ১০-এর বেশি হলে মশার ঘনত্ব বেশি হবে।

কী উঠে এসেছে জরিপে

জরিপে দেখা যায়, ৪১টি এলাকার মধ্যে ২০১৯ সালে উত্তরের ২৪টি এলাকায় মশার ঘনত্ব ব্রুটো ইনডেক্সে ২০-এর উপরে ছিল, যা এবার ২৬টি এলাকায় পাওয়া গেছে। এ সময় হাউস ইনডেক্সে ২০১৯ সালে ৩০টি এলাকা থাকলেও এবার তা ৩৯টি এলাকায় উন্নীত হয়েছে। এই দুটি ইনডেক্স ২০২০ সালে যথারীতি ৯টি ও ২৯টি এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল।

এডিস মশার ঘনত্ব গত মহামারির চেয়ে বেশি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে ৫৯ এলাকার মধ্যে ২০১৯ সালে ব্রুটো ইনডেক্সে ৩৭টিতে মশার ঘনত্ব বেশি ছিল, যা এবার ৩০টি এলাকায় রয়েছে। তবে হাউস ইনডেক্সে ২০১৯ সালে ৪৭টি এলাকা থাকলেও এবার তা ৪৯টিতে উন্নীত হয়েছে। এই দুই ইনডেক্সে ২০২০ সালে যথাক্রমে ১৭টি ও ৩৭টি এলাকা ছিল।

যেসব এলাকায় এডিস মশা সবচেয়ে বেশি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে উত্তর ও দক্ষিণের যথাক্রমে পাঁচটি করে ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ এডিস মশার ঘনত্বের কথা বলা হয়।

ঢাকা উত্তরের পাঁচটি ওয়ার্ড হলো: মগবাজার, নিউ ইস্কাটনে মশার ঘনত্ব শতকরা ৫৬.৭ ভাগ, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, নিকুঞ্জে ৪৮.৪ ভাগ, কল্যাণপুর, দারুস সালামে ৪৬.৭ ভাগ, মিরপুর-১০, কাজীপাড়ায় ৪৩.৩ ভাগ, মহাখালী, নিকেতনে ৪০ ভাগ।

এডিস মশার ঘনত্ব গত মহামারির চেয়ে বেশি

ঢাকা দক্ষিণের বাসাবো, গোড়ানে ৭৩.৩ ভাগ, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ৬৬.৭ ভাগ, আর কে মিশন রোড, টিকাটুলীতে ৫০ ভাগ, বনশ্রীতে ৪০ ভাগ, মিন্টো রোড, বেইলি রোডে ৪০ ভাগ এডিস মশার ঘনত্ব পাওয়া গেছে।

ব্রুটো ইনডেক্স অনুযায়ী এটি ২০-এর নিচে থাকলে স্বাভাবিক বলা হয়।

তবে দুই সিটির দুটি ওয়ার্ডে ঘনত্ব ব্রুটো ইনডেক্স শূন্য পাওয়া গেছে। এটি দুটি এলাকা হলো উত্তরে আবতাফনগর ও মেরুল বাড্ডা এবং দক্ষিণে বংশাল।

মশার ঘনত্ব বেশি কোথায়

জরিপে মেঝেতে জমানো পানিতে সর্বোচ্চ শতকরা ১৮ দশমিক ৫ ভাগ, প্লাস্টিক ড্রামে ১২ দশমিক ১ ভাগ, প্লাস্টিক বালতিতে শূন্য ৯ দশমিক ৪ ভাগ, ফুলের টব এবং ট্রেতে শূন্য ৭ দশমিক ৫ ভাগ, পরিত্যক্ত গড়ির টায়ারে ৬ দশমিক ৯ ভাগ এবং রঙের কৌটায় ৩ দশমিক ২ ভাগ এডিস মশার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

এডিস মশার ঘনত্ব গত মহামারির চেয়ে বেশি

জরিপে এডিস মশার পজিটিভ প্রজনন স্থানের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে পজিটিভ বাড়ির শতকরা হার বহুতল ভবনে ৪৪ দশমিক ২ ভাগ, একক ভবনসমূহে ২৪ দশমিক ৫ ভাগ, নির্মাণাধীন ভবনে ১৯ দশমিক ১ ভাগ, বস্তি এলাকায় ৯ দশমিক ৭ ভাগ এবং পরিত্যক্ত জমিসমূহে ২ দশমিক ৬ ভাগ।

জরিপে এডিস মশার পজিটিভ কনটেইনারের (পানিতে লার্ভা ও পিউপার উপস্থিতি) শতকরা হার (পজিটিভ প্রজনন স্থান অনুযায়ী) বহুতল ভবনে ৪৪.২ ভাগ, একক ভবনসমূহে ২৫ ভাগ, নির্মাণাধীন ভবনে ১৮ দশমিক ২ ভাগ, বস্তি এলাকায় ৯ দশমিক ৭ ভাগ ও খালি জমিসমূহে ৩ ভাগ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দায় নাগরিকদেরও

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই জরিপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন আমরা মশা নিয়ে যে রেজাল্ট পাচ্ছি, তা এ মাসের শুরুর দিকের। হয়তো এখন একটু কমতে পারে, তবে ঘনত্ব প্রায় একই রকম থাকবে। যে জায়গাগুলোতে ঘনত্ব ২০-এর ওপরে আছে, সেগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।’

মশার ওষুধে কোনো ঘাটতি আছে কি না, জানতে চাইলে এই কীটতত্ত্ববিদ বলেন, ‘এখানে সমস্যা ওষুধের না। কীটনাশকের খুব একটা ভূমিকা নেই। এখানে মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে। যে যার বাড়িতে যদি এটা ঠিক রাখে যে, এডিস মশা জন্মাবে না, তাহলে এটা অনেক কমে যেত।’

তিনি বলেন, কিউলেক্স ও এডিস মশার মধ্যে পার্থ্যক্য আছে। এডিস বাসাবাড়ি বা নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে জন্ম নেয়। মেঝেতে জমে থাকা পানিতে এটি বেশি পাওয়া গেছে। সিটি করপোরেশনের যেমন এডিস মশা দমনের দায় আছে, তেমনই বাসাবাড়িতে যেন মশা না হয়, সেটির দায় নাগরিকদের নিতে হবে।

তবে তিনি বলেন, এ বছর ডেঙ্গু অনেক বেশি, যা পুরোপুরি রিপোর্ট হচ্ছে না। রোগী ২০১৯ সালের মতো না হলেও কাছাকাছি বলে ধারণা করেন তিনি।

কী বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফসানা আলমগীর খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সিটি করপোরেশনকে এরই মধ্যে বার্তা দিয়েছি। এমনকি কোন কোন এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব বেশি, সেটাও উল্লেখ করে দেখিয়ে দিয়েছি।’

২০১৯ সাল থেকে ঢাকায় এবার এডিস মশার ঘনত্ব বেশি দেখা যাচ্ছে। এবার ডেঙ্গু ২০১৯ সালের চেয়ে ভয়াবহ হবে কি না, জানতে চাইলে আফসানা আলমগীর বলেন, ‘এবার ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নেবে না। আপনি যদি আমাদের কেস স্টাডি দেখেন, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর মহামারি ছিল। ওই বছর এক মাসে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৫২ হাজারের বেশি। সেবার এই এডিস মশার ঘনত্ব অনেক এলাকাজুড়ে ছিল।’

এবার এলাকা কমলেও মশার ঘনত্ব বেশি, এটি স্বীকার করে এই কর্মকর্তা বলেন, ২০২১ সালে এলাকার সংখ্যা কমে এসেছে। তবে যে জায়গায় এডিস মশা আছে, সেখানে মশার ঘনত্ব অনেক বেশি। এ কারণে এডিস মশার সার্বিক ঘনত্ব বেশি দেখা যাচ্ছে। আস্তে আস্তে জায়গাগুলো কমে আসছে।

উত্তর সিটি থেকে দক্ষিণ সিটিতে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি কেন, জানতে চাইলে আফসানা আলমগীর বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নগরায়ণ পরিকল্পনা অনুযায়ী করা। ঢাকা দক্ষিণের নগরায়ণ পরিকল্পিত নয়। অফিস-আদলত, কলোনি, কারখানা, আড়ত- এগুলো পুরান ঢাকায় বেশি।

‘এ ছাড়া উত্তরের চেয়ে দক্ষিণ সিটির জনসংখ্যা দ্বিগুণ। সে কারণে দক্ষিণে এডিস মশার বিস্তর বেশি।’

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ডেঙ্গু নিধনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গত মার্চ মাসে সিটি করপোরেশনগুলোতে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাতে মশার উৎপত্তিস্থলগুলো ধ্বংস করে দিতে বলা হয়েছিল। তবে তাতে কোনো কাজ হয়নি।

ডেঙ্গু যেন না হয়, তার ব্যবস্থা নিতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘ডেঙ্গু হলে নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগ সেবা দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। তবে ডেঙ্গু যেন না হয়, সে জন্য সিটি করপোরেশনকে কাজ করতে হবে।’

আরও পড়ুন:
ফোন করলেই এডিস নিধনে আসবে ডিএসসিসি
ঢাকা দক্ষিণে এডিস বিরোধী অভিযানে তিন মামলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Chhatra League leader Shakil arrested in case of torture while detained in Libya

লিবিয়ায় আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

লিবিয়ায় আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার লিবিয়ায় নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতনের মামলায় আসামি শাকিলকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
থানার ওসি ফায়েজুর রহমান বলেন, ‘মুক্তিপণের দাবিতে লিবিয়ায় ভিকটিম শাকিলকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। এ ঘটনায় শাকিলের বাবা বৃহস্পতিবার মানবপাচার দমন আইনে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর শুক্রবার আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অনেক তথ্য দিয়েছেন।’

ইতালি নেয়ার কথা বলে লিবিয়ায় আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির আলোচিত ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা। মামলার পর মানবপাচার দলের প্রধান মুকুল ঠাকুরের মেয়ে-জামাতা ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এসএম শাকিল হোসাইনকে গ্রেপ্তার করেছে সালথা থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া এসএম শাকিল হোসাইন উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের বিভাগদী গ্রামের মৃত নওফেল মাতুব্বরের ছেলে। বর্তমানে তিনি সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। কয়েক মাস আগে তিনি বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের মুকুল ঠাকুর নামক এক ব্যক্তির মেয়েকে।

শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সালথা থানার ওসি মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিপণের দাবিতে লিবিয়ায় ভিকটিম শাকিলকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। এ ঘটনায় শাকিলের বাবা টিটুল মিয়া প্রথমে মামলা করতে চাননি। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে মানবপাচার দমন আইনে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।’

ওসি বলেন, ‘মামলার পর শুক্রবার সকালে আসামি শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মামলার প্রধান আসামি মুকুল ঠাকুরের মেয়ে-জামাতা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল অনেক তথ্য দিয়েছেন।’

ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল নগরকান্দা) মো. আছাদুজ্জামান বলেন, ‘লিবিয়ায় শাকিলের ওপর নির্মম নির্যাতন ও মুক্তিপণের বিষয়টি প্রথম থেকেই আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছি। এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি ভিকটিমকে উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

প্রসঙ্গত, অভাবের সংসারে পরিবারের মুখে একটু হাসি ফোটাতে লেখাপড়া বাদ দিয়ে চার মাস আগে প্রতিবেশী মুকুল ঠাকুর নামের এক দালালের মাধ্যমে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে ইতালির উদ্দেশ্য রওয়ানা হন শাকিল মিয়া। কিন্তু দালালরা তাকে ইতালির বদলে লিবিয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে আটকে রেখে দালালরা আরও ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একইসঙ্গে শাকিলের ওপর চলতে থাকে নির্মম নির্যাতন।

আরও পড়ুন:
ধর্ষণ-মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
মানব পাচার মামলায় দম্পতির ফাঁসি
ভারতে পাচারের জন্য চুরি করা হয় শিশুটিকে
সৌদি পাঠানোর কথা বলে ‘ধর্ষণ’, গ্রেপ্তার ৪
মালয়েশিয়ার কথা বলে সেন্টমার্টিনে ‘পাচার’, গ্রেপ্তার ৫

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Nations liberation only if Awami League boycotts Indian products party Gayeshwar

আওয়ামী লীগ ভারতীয় পণ্য, দলটিকে বর্জন করলেই জাতির মুক্তি: গয়েশ্বর

আওয়ামী লীগ ভারতীয় পণ্য, দলটিকে বর্জন করলেই জাতির মুক্তি: গয়েশ্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে শুক্রবার আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আজকে সবাই পণ্য বর্জনের কথা বলছে। ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতি মুক্ত হয়, সব পণ্য বর্জনের প্রয়োজন হয় না।’

আওয়ামী লীগকে ভারতীয় পণ্য উল্লেখ করে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘এই দলকে বর্জন করলেই জাতির মুক্তি মিলবে। সব পণ্য বর্জনের প্রয়োজন হয় না।’

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে ‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’ নামের একটি সংগঠন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আপনি তো ভেজাল লাগালেন! বললেন, সারা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশের লোক আমাদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। ভারত পাশে না থাকলে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারতাম না।

‘এখানে কী বুঝব? আজকে সবাই পণ্য বর্জনের কথা বলছে। তাহলে ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগ (সরকার), শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী)। এই সরকারকে বর্জন তো করছেই, এটা ফেলে দিলেই শেষ। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতি মুক্ত হয়, সব পণ্য বর্জনের প্রয়োজন হয় না।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘চিকিৎসাসহ নানা কারণে প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দশ হাজার মানুষ পাসপোর্ট জমা দেন। গড়ে ৮’শ টাকা করে হলেও প্রতিদিন ৮০ কোটি টাকা লাগে এ জন্য। একটা মানুষের সীমান্ত অতিক্রম করতে প্রতিদিন খরচ গড়ে ৫ হাজার টাকা। আসার সময় আবার ৫০ হাজার টাকার বাজার করেও আনে।’

প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘তাহলে পণ্য বর্জন কিসের? বাংলাদেশের মানুষ যদি বলে যে কাল থেকে ভারতে যাব না, তাহলে দিল্লি বলবে- শেখ হাসিনা তোমাকে রাখতে গেলে আমরা বাঁচতে পারব না।’

গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও থিংকট্যাংক আগামী এক’শ বছর পর দেশের কী হবে তা নিয়ে হিসাব কষে। তারা দেশের মধ্যে মাতব্বরি করে না। আর আমাদের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের (বিরোধী দল) পেছনে লেগে আছে। তারা দেশের জন্য কাজ করতে পারে না।’

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
বিদেশিদের স্বার্থ দেখা ছাড়া সরকারের বিকল্প পথ নেই: গয়েশ্বর
‘জনগণ ভোট দিতে পারলে সেলফির ভরসায় বাঁচতে পারবেন না’
ডিএজির যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাওয়া নিয়ে নিন্দার কিছু নেই: গয়েশ্বর
পুলিশ হামলা চালালে বলি, দরকার হলে আমাকে গুলি করো: গয়েশ্বর
‘এ যুদ্ধ জয় করলে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিতে হবে’

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
4 lanes open on Hatikumrul Banpara highway to facilitate Eid journey

ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে ৪ লেন চালু

ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে ৪ লেন চালু ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত চার লেন চালু করা হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াতে যেন বিঘ্ন না ঘটে, এ জন্য হাটিকুমরুল মোড়ে এক মাস আগেই কংক্রিটের রাস্তা মেরামত করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ চারটি লেনের মেরামত কাজ শুরু করেছে।

ঈদযাত্রায় মানুষের ভোগান্তি ও গলার কাঁটা ছিল উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক, কিন্তু এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে মহাসড়কে পুরোদমে চলছে চার লেন প্রকল্পের কাজ।

সড়কে গাড়ির চাপ সামাল দিতে ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত চার লেন চালু করা হয়েছে। ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের স্বস্তি ফেরাতে দ্রুতই কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন যাত্রী ও চালকেরা।

সংশ্লিষ্টরাও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ওই সব স্থানে রাত-দিন কাজ করছে।

তারা জানান, বছরের দুইটি ঈদের সময় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়ক পারাপারে যাত্রী ও চালকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। প্রতিদিন উত্তরের ২২ জেলার প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদযাত্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে যায়। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট, কিন্তু এবার সে চিত্র হবে অন্যরকম।

সাসেক-২ প্রকল্পের সুফল পাবে এ অঞ্চলের মানুষ। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে বগুড়ার মির্জাপুর পর্যন্ত দুই লেনের মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮০৫ কোটি টাকা।

চালক ও যাত্রীরা জানান, ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে রাস্তা উন্নীতকরণ ও ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ অধিকাংশ জায়গায় শেষ হলেও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণকাজের অনেক জায়গায় চার লেনের কাজ চলমান রয়েছে। এর ফলে কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা সরু হয়ে গেছে।

এসআই এন্টারপ্রাইজ বাসের চালক হাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বিগত দিনের চেয়ে এ বছর মহাসড়কের অবস্থা অনেক ভালো। বগুড়া পর্যন্ত চার লেনের কাজ শেষের দিকে। কিন্তু এখনও অনেক জায়গায় খানাখন্দ রয়েছে। ঈদের আগে মেরামত করা হলে যানজট হবে না।

শ্যামলী পরিবহনের চালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের ভূঁইয়াগাতী থেকে ঘুড়কা বেলতলা পর্যন্ত ঈদযাত্রায় সমস্যা হতে পারে। দ্রুত এ স্থান সংস্কার ও মহাসড়কে পুলিশ মোতায়েন থাকলে যানজট থাকবে না।

সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াতে যেন বিঘ্ন না ঘটে, এ জন্য হাটিকুমরুল মোড়ে এক মাস আগেই কংক্রিটের রাস্তা মেরামত করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ চারটি লেনের মেরামত কাজ শুরু করেছে।

তিনি বলেন, বিশেষ করে কড্ডার মোড় ও নলকার মোড়ে প্রতি বছর যানজট বেশি দেখা গেলেও, এবার এ জায়গাগুলোতে আন্ডারপাস খুলে দেয়ায় দূরপাল্লার গাড়িগুলো ওপর দিয়ে চলে যাবে। আর অন্য গাড়িগুলো আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে চলাচল করলে আশা করা যাচ্ছে, এ বছর যানজট হবে না। এবারের ঈদযাত্রা হবে অনেকটা স্বস্তিদায়ক।

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, এ বছর মহাসড়কের অবস্থা খুবই ভালো। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে সব তথ্য সড়ক বিভাগের কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সেগুলো ৩১ মার্চের মধ্যে সংস্কার করে দেয়ার কথা দিয়েছেন।

তিনি জানান, ঈদযাত্রায় মানুষের নিরাপদে ঘরে ফেরা ও নিশ্চিন্তে যাতায়াতে মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৭৫০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হবে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে, সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম থাকবে।

আরও পড়ুন:
‘চোরাই পণ্যবাহী’ গাড়ির কারণে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক এখন মরণফাঁদ
ঈদযাত্রায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলবে বিশেষ ট্রেন
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট শুধুই অনলাইনে, বিক্রি শুরু ২৪ মার্চ
কাদের সিদ্দিকীর মধ্যস্থতায় লতিফের ৪ সমর্থকের মুক্তি, অবরোধ প্রত্যাহার
ধামরাইয়ে পোশাক শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Suicide of second wife in Nilphamari husband arrested

স্বামীর আরেক স্ত্রী থাকার খবর শুনে নারীর আত্মহত্যা, ধারণা পুলিশের

স্বামীর আরেক স্ত্রী থাকার খবর শুনে নারীর আত্মহত্যা, ধারণা পুলিশের প্রতীকী ছবি
নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম জানান, দীপুর প্রথম বিয়ের বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে শোভা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী দীপুকে আটক করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে শোভার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

নীলফামারী সদরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সদরের সোনারায় ইউনিয়নের আরাজি কুখাপাড়া বাবুরহাট গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় শোভা রাণী রায় নামের ওই নারীর স্বামী দীপু রায়কে পুলিশ আটক করেছে।

প্রাণ হারানো শোভা রানী রায় সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের মহববত বাজিতপাড়া এলাকার হরিপদ রায়ের মেয়ে। তার স্বামী দীপুর বাড়ি দিনাজপুরের চিরির বন্দরের ফেরসাডাঙ্গা এলাকায়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পাঁচ বছর আগে শোভার স্বামীর মৃত্যু হয়। শোভা ও দীপু উভয়েই নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে চাকরি করতেন। ইপিজেডে চাকরির সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পুলিশ আরও জানায়, দীপু রায় তার প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে গত ৪ মার্চ শোভা রায়কে বিয়ে করেন। ঘটনার আগে নীলফামারী সদরের নারায়ণ মাস্টারের ভাড়া বাসায় প্রথম স্ত্রী নমিতা রাণী রায় দীপুর খোঁজ নিতে এলে প্রথম বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হন শোভা। এর পর থেকে এ নিয়ে দীপুর সঙ্গে তার বিবাদ সৃষ্টি হয়।

নীলফামারী সদর থানার ওসি তানভীরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দীপু রায় বাসায় এসে তার দ্বিতীয় স্ত্রী শোভাকে ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। তখন পাশের জানালা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় শোভাকে দেখতে পান। পরে অন্য ভাড়াটিয়ারা দীপুকে ধরে পুলিশে খবর দিলে বাহিনীর সদস্যরা এ ব্যক্তিকে আটকের পাশাপাশি মরদেহটি উদ্ধার করেন।

ওসি আরও জানান, দীপুর প্রথম বিয়ের বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে শোভা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী দীপুকে আটক করা হয়।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে শোভার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশর এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
‘ওষুধ কিনতে না পেরে’ পেটে ছুরি ঢুকিয়ে রিকশাচালকের আত্মহত্যা
আইপিএলে বাজি হেরে কোটি টাকার ঋণ, স্ত্রীর আত্মহত্যা
অবন্তিকার বাসায় জবির তদন্ত দল
অবন্তিকার আত্মহনন: জবি প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের লালকার্ড
জবি ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা: সহপাঠী, সহকারী প্রক্টর রিমান্ডে

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Awami League does not enslave foreigners who

আওয়ামী লীগ বিদেশির দাসত্ব করে না: কাদের

আওয়ামী লীগ বিদেশির দাসত্ব করে না: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
দিল্লির শাসন মেনে নিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়নি—বিএনপির এক নেতার এমন বক্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আসলে বিএনপি পাকিস্তানের সাথে কখনও সম্পর্ক ছিন্ন করে নাই। বিএনপির হৃদয়ে পাকিস্তান, চেতনায় পাকিস্তান। আর আওয়ামী লীগ কোনো বিদেশি শাসন, কোনো বিদেশির দাসত্ব করে না।’

বিএনপি পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও সম্পর্ক ছিন্ন করেনি অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলটি কোনো বিদেশির দাসত্ব করে না।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে শুক্রবার ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে কাদের এ কথা বলেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে দিল্লির শাসন মেনে নিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়নি—বিএনপির এক নেতার এমন বক্তব্যের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আসলে বিএনপি পাকিস্তানের সাথে কখনও সম্পর্ক ছিন্ন করে নাই। বিএনপির হৃদয়ে পাকিস্তান, চেতনায় পাকিস্তান। আর আওয়ামী লীগ কোনো বিদেশি শাসন, কোনো বিদেশির দাসত্ব করে না।

‘আমাদের হৃদয়ে বাংলাদেশ, চেতনায়ও বাংলাদেশ। সেটাই আমরা মনে প্রাণে ধারণ করি।’
বিএনপির সমালোচনা করে করে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন মানবতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপির রাজনীতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি এ অন্ধকার থেকে আর বের হতে পারছে না।

নির্বাচনের আগে বিএনপি বিদেশি শক্তির তাবেদারি করেছে অভিযোগ করে কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বিএনপি কীভাবে বিদেশি শক্তির তাবেদারি করেছে? কীভাবে বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া ও নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করেছে?’

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘সুসময় আসতে সময় লাগে। সারা বিশ্বে সংকটের যে প্রতিক্রিয়া, আমাদের এখানেও ধাক্কা লেগেছে, তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মতো দক্ষ, বিচক্ষণ নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশের মানুষ মোটামুটি ভালো আছে। তুলনামূলকভাবে অনেক দেশের চেয়ে ভালো।’

বিএনপির ৮০ শতাংশ নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিগৃহীত ও নির্যাতিত হচ্ছে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার বক্তব্যের সমালোচনা করেন কাদের।

তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলকে বলব, এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকুন। প্রকাশ্যে এসে তালিকাটা হাজির করুন। ৮০ ভাগ নেতা-কর্মী এরা কারা? মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু সবাই তো একে একে জেল থেকে বের হয়ে গেলেন।’

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।

আরও পড়ুন:
বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: কাদের
ফ্যাসিস্ট নয়, বাংলাদেশ বর্ণবাদীদের কবলে পড়েছে: ফখরুল
বিএনপি গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নে প্রধান প্রতিবন্ধক: কাদের 
পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না: কাদের
সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না: মঈন খান

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Chhatra Leagues counter press conference in Sonaimuri

নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন 

নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন  ছাত্রলীগের লোগো। ফাইল ছবি
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, ‘সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের গত বছরের ১৫ মে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। চাঁদাবাজি মামলার আসামি, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিএনপি জামাতের লোক, সরকারি জায়গা দখলকারী, অটোরিকশার চাঁদাবাজরা এখন ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিচ্ছে।’

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বর্তমান কমিটির উপজেলা ছাত্রলীগের এবং ছাত্রলীগের একাংশের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

পৌরসভার হলরুমে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সংবাদ সম্মেলন উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্যরা।

এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ী বাজারে রাজমহল রেস্তোরায় দেলোয়ার হোসেন সুজন ও শ্যামল উদ্দিনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশ উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অছাত্র, চাঁদাবাজি, দখলবাজ, অছাত্র, বিভিন্ন মামলার আসামি, টেন্ডারবাজি, নানা বিষয়ে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়দানকারী বিবাহিতসহ নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বর্তমান কমিটির উপজেলা ছাত্রলীগ নানা অভিযোগ ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, ‘সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের গত বছরের ১৫ মে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। চাঁদাবাজি মামলার আসামি, পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিএনপি জামাতের লোক, সরকারি জায়গা দখলকারী, অটোরিকশার চাঁদাবাজরা এখন ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিচ্ছে। গত বুধবার ছাত্রলীগের কিছু নেতা পরিচয়দানকারী সংবাদ সম্মেলন করেছে।’

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ আরও বলেন, ‘এ সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে তারা বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, কাল্পনিক তথ্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন অভিযোগ উপস্থাপন করেছে। এ ধরনের ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করে তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। বুধবার তাদের করা সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন। এ সংগঠনের বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ ওঠা সুখকর নয়। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন।’

আরও পড়ুন:
নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে সহোদর দুই শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫
প্রায় ১১ বছর পর শাবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি
রাজধানীতে সেহরি বিতরণ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের
মাসব্যাপী ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে ছাত্রলীগ

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
High Court stay on open lease of two Kheyaghats in Jhalkathi

ঝালকাঠির দুই খেয়াঘাটের উন্মুক্ত ইজারায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

ঝালকাঠির দুই খেয়াঘাটের উন্মুক্ত ইজারায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উন্মুক্ত ইজারা স্থগিত করায় মাঝিমাল্লা সম্প্রদায়ের ইজারা পেতে আর কোনো বাধা নেই। ছবি: নিউজবাংলা
রিটকারী আইনজীবী তরিকুল ইসলাম জানান, এখন থেকে প্রথমে মাঝিমাল্লা সমিতি ইজারা নেবে। যদি কোনো কারণে সমিতির পক্ষ থেকে ইজারা নিতে অস্বীকার বা অপারগতা প্রকাশ করে তাহলে উন্মুক্ত ইজারা আহ্বান করতে পারবে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের মাধ্যমে মাঝিমাল্লা সম্প্রদায় তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেয়েছে।

ঝালকাঠি পৌর এলাকার পুরাতন কলেজ ও পৌরসভা খেয়াঘাটের উন্মুক্ত ইজারায় উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী তরিকুল ইসলাম শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

উন্মুক্ত ইজারা স্থগিত করায় মাঝিমাল্লা সম্প্রদায়ের ইজারা পেতে আর কোনো বাধা থাকল না।

মাঝিমাল্লা বহুমুখী সমবায় সমিতি সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর শতকরা ১০ ভাগ মূল্য বৃদ্ধিতে এ সমিতি ইজারা নিয়ে ঘাট পরিচালনা করে আসছে। এ বছর উন্মুক্ত ইজারা আহ্বান করায় উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করে মাঝিমাল্লা বহুমুখী সমবায় সমিতি। পিটিশনের প্রেক্ষিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।

উচ্চ আদালতের আদেশের অ্যাডভোকেট প্রত্যয়ন কপিসহ ইজারাদার কর্তৃপক্ষ ঝালকাঠি পৌর মেয়র বরাবরে আবেদন করেন মাঝিমাল্লা সমিতির নেতারা। পরে নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার।

রিটকারী আইনজীবী তরিকুল ইসলাম জানান, ঝালকাঠির খেয়াঘাট সমূহের জন্য ঝালকাঠি পৌরসভা একটি উন্মুক্ত ইজারা আহ্বান করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী মাঝিমাল্লা (পাটনি) সম্প্রদায়ের পাওয়ার কথা। উন্মুক্ত ইজারাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হয়। পিটিশনের শুনানি শেষে আদালত উন্মুক্ত ইজারা স্থগিত করেছে।

তিনি আরও জানান, এখন থেকে প্রথমে মাঝিমাল্লা সমিতি ইজারা নেবে। যদি কোনো কারণে সমিতির পক্ষ থেকে ইজারা নিতে অস্বীকার বা অপারগতা প্রকাশ করে তাহলে উন্মুক্ত ইজারা আহ্বান করতে পারবে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের মাধ্যমে মাঝিমাল্লা সম্প্রদায় তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেয়েছে।

পৌর সচিব শাহিন সুলতানা বলেন, ‘আমরা শুধু আবেদিত দরপত্রসমূহ উন্মুক্ত করে প্রকাশ করছি। বাছাই করে গুছিয়ে রাখছি। আমরা এর বেশি কিছুই করতে পারব না।’

নির্বাহী প্রকৌশলী অলোক সমদ্দার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঝালকাঠির পুরাতন কলেজ ও পৌর খেয়াঘাটের ইজারা বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আছে। এ মুহূর্তে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। দরপত্র আহ্বানের পরে টেক কমিটি আছে তারাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’

পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী অলোক সমদ্দার, পৌর সচিব শাহিন সুলতানাসহ পৌর কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ দুপুরে এসব ঘাট ইজারার দরপত্র বাক্স উন্মুক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন:
রমজানে বন্ধ থাকছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল
সাজা শেষ হওয়া ১৫৭ বিদেশিকে মুক্তি দিয়ে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরভাতা ৬ মাসের মধ্যেই: হাইকোর্ট
খতনা করাতে গিয়ে আয়ানের মৃত্যুর কারণ নিয়ে নতুন কমিটি
রেজিস্ট্রেশনযোগ্য জিআই পণ্যের তালিকা দাখিলে হাইকোর্টের নির্দেশ

মন্তব্য

p
উপরে