× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
The density of Aedes mosquitoes is higher than the previous epidemic
google_news print-icon

এডিস মশার ঘনত্ব গত মহামারির চেয়ে বেশি

এডিস-মশার-ঘনত্ব-গত-মহামারির-চেয়ে-বেশি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে মশানিধন অভিযান। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে দেখা গেছে, ঢাকায় এডিস মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি মগবাজার, নিউ ইস্কাটন, বাসাবো, গোড়ান, এলিফ্যান্ট রোড ও সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। এ ছাড়া ঢাকা উত্তরের চেয়ে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মশার উপস্থিতি বেশি।

২০১৯ সালে ডেঙ্গু মহামারির সময়ে এডিস মশার যে ঘনত্ব ছিল, এ বছর ঘনত্ব তার চেয়েও বেশি। রাজধানীর মগবাজার, নিউ ইস্কাটন, বাসাবো, গোড়ান, এলিফ্যান্ট রোড ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি।

এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে দক্ষিণ সিটিতে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি।

মশার ঘনত্ব ও বিস্তারসংক্রান্ত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপটি পরিচালনা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি।

তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ বছর ডেঙ্গু মহামারির আশঙ্কা করছে না, কারণ এডিস মশার ঘনত্ব বাড়লেও রাজধানীতে এডিসবাহী মশার বিস্তৃতি কমেছে বলে তারা মনে করে।

চলতি বছর জানুয়ারিতে ৩২ জনের দেহে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বছর শুরু হয়েছিল। জুনে এটা ১৭২ জনে ওঠে। জুলাই মাসে সেটিই হয়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ২৮৬ জনে। তাতে সব মিলিয়ে এ বছরের প্রথম সাত মাসে ডেঙ্গুতে মোট শনাক্ত দাঁড়ায় ২ হাজার ৬৫৮ জন। তবে আগস্টের ২২ দিনেই শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৩৮৩ জন। মারা গেছে ৩৬ জন।

জুলাই মাসের ২৯ তারিখ থেকে আগস্ট মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী এডিস মশাসংক্রান্ত জরিপটি করা হয়। অধিদপ্তরের ২০টি টিম ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯৮টি এলাকার ১০০টি স্থানে এই জরিপ পরিচালনা করে।

এই জরিপ মূলত ব্রুটো ইনডেক্স ও হাউস ইনডেক্সের মাধ্যমে করা হয়। ব্রুটো ইনডেক্সে এক শ প্রজনন উৎসের মধ্যে ২০টি বা তার বেশিতে যদি এডিস মশার লার্ভা ও পূর্ণবয়স্ক মশা পাওয়া যায়, তাহলে সেটাকে ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বলা যায়। সেখান থেকে এডিস মশাজনিত রোগ হতে পারে। লার্ভা ও মশা ১০ থেকে ২০-এর মধ্যে থাকলে সেখানে মশার মোটামুটি উপস্থিতি আছে বলে ধরে নেয়া যায়। একইভাবে হাউস ইনডেক্সে মূলত আক্রান্ত বাড়ির সংখ্যাকে ১০০ দিয়ে গুণ করে ওই এলাকার মোট বাড়ি দিয়ে ভাগ করা হয়। সে ক্ষেত্রে তা ১০-এর বেশি হলে মশার ঘনত্ব বেশি হবে।

কী উঠে এসেছে জরিপে

জরিপে দেখা যায়, ৪১টি এলাকার মধ্যে ২০১৯ সালে উত্তরের ২৪টি এলাকায় মশার ঘনত্ব ব্রুটো ইনডেক্সে ২০-এর উপরে ছিল, যা এবার ২৬টি এলাকায় পাওয়া গেছে। এ সময় হাউস ইনডেক্সে ২০১৯ সালে ৩০টি এলাকা থাকলেও এবার তা ৩৯টি এলাকায় উন্নীত হয়েছে। এই দুটি ইনডেক্স ২০২০ সালে যথারীতি ৯টি ও ২৯টি এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল।

এডিস মশার ঘনত্ব গত মহামারির চেয়ে বেশি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে ৫৯ এলাকার মধ্যে ২০১৯ সালে ব্রুটো ইনডেক্সে ৩৭টিতে মশার ঘনত্ব বেশি ছিল, যা এবার ৩০টি এলাকায় রয়েছে। তবে হাউস ইনডেক্সে ২০১৯ সালে ৪৭টি এলাকা থাকলেও এবার তা ৪৯টিতে উন্নীত হয়েছে। এই দুই ইনডেক্সে ২০২০ সালে যথাক্রমে ১৭টি ও ৩৭টি এলাকা ছিল।

যেসব এলাকায় এডিস মশা সবচেয়ে বেশি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে উত্তর ও দক্ষিণের যথাক্রমে পাঁচটি করে ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ এডিস মশার ঘনত্বের কথা বলা হয়।

ঢাকা উত্তরের পাঁচটি ওয়ার্ড হলো: মগবাজার, নিউ ইস্কাটনে মশার ঘনত্ব শতকরা ৫৬.৭ ভাগ, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, নিকুঞ্জে ৪৮.৪ ভাগ, কল্যাণপুর, দারুস সালামে ৪৬.৭ ভাগ, মিরপুর-১০, কাজীপাড়ায় ৪৩.৩ ভাগ, মহাখালী, নিকেতনে ৪০ ভাগ।

এডিস মশার ঘনত্ব গত মহামারির চেয়ে বেশি

ঢাকা দক্ষিণের বাসাবো, গোড়ানে ৭৩.৩ ভাগ, এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ৬৬.৭ ভাগ, আর কে মিশন রোড, টিকাটুলীতে ৫০ ভাগ, বনশ্রীতে ৪০ ভাগ, মিন্টো রোড, বেইলি রোডে ৪০ ভাগ এডিস মশার ঘনত্ব পাওয়া গেছে।

ব্রুটো ইনডেক্স অনুযায়ী এটি ২০-এর নিচে থাকলে স্বাভাবিক বলা হয়।

তবে দুই সিটির দুটি ওয়ার্ডে ঘনত্ব ব্রুটো ইনডেক্স শূন্য পাওয়া গেছে। এটি দুটি এলাকা হলো উত্তরে আবতাফনগর ও মেরুল বাড্ডা এবং দক্ষিণে বংশাল।

মশার ঘনত্ব বেশি কোথায়

জরিপে মেঝেতে জমানো পানিতে সর্বোচ্চ শতকরা ১৮ দশমিক ৫ ভাগ, প্লাস্টিক ড্রামে ১২ দশমিক ১ ভাগ, প্লাস্টিক বালতিতে শূন্য ৯ দশমিক ৪ ভাগ, ফুলের টব এবং ট্রেতে শূন্য ৭ দশমিক ৫ ভাগ, পরিত্যক্ত গড়ির টায়ারে ৬ দশমিক ৯ ভাগ এবং রঙের কৌটায় ৩ দশমিক ২ ভাগ এডিস মশার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

এডিস মশার ঘনত্ব গত মহামারির চেয়ে বেশি

জরিপে এডিস মশার পজিটিভ প্রজনন স্থানের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে পজিটিভ বাড়ির শতকরা হার বহুতল ভবনে ৪৪ দশমিক ২ ভাগ, একক ভবনসমূহে ২৪ দশমিক ৫ ভাগ, নির্মাণাধীন ভবনে ১৯ দশমিক ১ ভাগ, বস্তি এলাকায় ৯ দশমিক ৭ ভাগ এবং পরিত্যক্ত জমিসমূহে ২ দশমিক ৬ ভাগ।

জরিপে এডিস মশার পজিটিভ কনটেইনারের (পানিতে লার্ভা ও পিউপার উপস্থিতি) শতকরা হার (পজিটিভ প্রজনন স্থান অনুযায়ী) বহুতল ভবনে ৪৪.২ ভাগ, একক ভবনসমূহে ২৫ ভাগ, নির্মাণাধীন ভবনে ১৮ দশমিক ২ ভাগ, বস্তি এলাকায় ৯ দশমিক ৭ ভাগ ও খালি জমিসমূহে ৩ ভাগ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দায় নাগরিকদেরও

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই জরিপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন আমরা মশা নিয়ে যে রেজাল্ট পাচ্ছি, তা এ মাসের শুরুর দিকের। হয়তো এখন একটু কমতে পারে, তবে ঘনত্ব প্রায় একই রকম থাকবে। যে জায়গাগুলোতে ঘনত্ব ২০-এর ওপরে আছে, সেগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।’

মশার ওষুধে কোনো ঘাটতি আছে কি না, জানতে চাইলে এই কীটতত্ত্ববিদ বলেন, ‘এখানে সমস্যা ওষুধের না। কীটনাশকের খুব একটা ভূমিকা নেই। এখানে মানুষের সম্পৃক্ততা রয়েছে। যে যার বাড়িতে যদি এটা ঠিক রাখে যে, এডিস মশা জন্মাবে না, তাহলে এটা অনেক কমে যেত।’

তিনি বলেন, কিউলেক্স ও এডিস মশার মধ্যে পার্থ্যক্য আছে। এডিস বাসাবাড়ি বা নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে জন্ম নেয়। মেঝেতে জমে থাকা পানিতে এটি বেশি পাওয়া গেছে। সিটি করপোরেশনের যেমন এডিস মশা দমনের দায় আছে, তেমনই বাসাবাড়িতে যেন মশা না হয়, সেটির দায় নাগরিকদের নিতে হবে।

তবে তিনি বলেন, এ বছর ডেঙ্গু অনেক বেশি, যা পুরোপুরি রিপোর্ট হচ্ছে না। রোগী ২০১৯ সালের মতো না হলেও কাছাকাছি বলে ধারণা করেন তিনি।

কী বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফসানা আলমগীর খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সিটি করপোরেশনকে এরই মধ্যে বার্তা দিয়েছি। এমনকি কোন কোন এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব বেশি, সেটাও উল্লেখ করে দেখিয়ে দিয়েছি।’

২০১৯ সাল থেকে ঢাকায় এবার এডিস মশার ঘনত্ব বেশি দেখা যাচ্ছে। এবার ডেঙ্গু ২০১৯ সালের চেয়ে ভয়াবহ হবে কি না, জানতে চাইলে আফসানা আলমগীর বলেন, ‘এবার ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নেবে না। আপনি যদি আমাদের কেস স্টাডি দেখেন, ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর মহামারি ছিল। ওই বছর এক মাসে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৫২ হাজারের বেশি। সেবার এই এডিস মশার ঘনত্ব অনেক এলাকাজুড়ে ছিল।’

এবার এলাকা কমলেও মশার ঘনত্ব বেশি, এটি স্বীকার করে এই কর্মকর্তা বলেন, ২০২১ সালে এলাকার সংখ্যা কমে এসেছে। তবে যে জায়গায় এডিস মশা আছে, সেখানে মশার ঘনত্ব অনেক বেশি। এ কারণে এডিস মশার সার্বিক ঘনত্ব বেশি দেখা যাচ্ছে। আস্তে আস্তে জায়গাগুলো কমে আসছে।

উত্তর সিটি থেকে দক্ষিণ সিটিতে এডিস মশার ঘনত্ব বেশি কেন, জানতে চাইলে আফসানা আলমগীর বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নগরায়ণ পরিকল্পনা অনুযায়ী করা। ঢাকা দক্ষিণের নগরায়ণ পরিকল্পিত নয়। অফিস-আদলত, কলোনি, কারখানা, আড়ত- এগুলো পুরান ঢাকায় বেশি।

‘এ ছাড়া উত্তরের চেয়ে দক্ষিণ সিটির জনসংখ্যা দ্বিগুণ। সে কারণে দক্ষিণে এডিস মশার বিস্তর বেশি।’

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ডেঙ্গু নিধনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গত মার্চ মাসে সিটি করপোরেশনগুলোতে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাতে মশার উৎপত্তিস্থলগুলো ধ্বংস করে দিতে বলা হয়েছিল। তবে তাতে কোনো কাজ হয়নি।

ডেঙ্গু যেন না হয়, তার ব্যবস্থা নিতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘ডেঙ্গু হলে নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগ সেবা দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। তবে ডেঙ্গু যেন না হয়, সে জন্য সিটি করপোরেশনকে কাজ করতে হবে।’

আরও পড়ুন:
ফোন করলেই এডিস নিধনে আসবে ডিএসসিসি
ঢাকা দক্ষিণে এডিস বিরোধী অভিযানে তিন মামলা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Government is working on the production of vaccine in the country Fisheries Advisor

দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনে কাজ করছে সরকার: মৎস্য উপদেষ্টা

দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনে কাজ করছে সরকার: মৎস্য উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, প্রাণি থেকে মানুষের দেহে রোগ ছড়ানো মারাত্মক হতে পারে। তাই প্রাণির রোগ নিয়ন্ত্রণ করা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আমরা বিশেষ কোন রোগ জানা মাত্রই তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। সকল প্রাণিকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে সরকার ভ্যাকসিন উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করবে। আমরা প্রাণি থেকে মানুষের দেহে রোগ ছড়ানোর চান্স দিতে চাই না।

রোববার দুপুরে রংপুর আরডিআরএস বেগম রোকেয়ার মিলনায়তনে লাইভস্টক এন্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আয়োজনে প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

উপদেষ্টা বলেন, নিরাপদ মাংস, দুধ, ডিম পেতে হলে প্রাণিকে নিরাপদ ও রোগমুক্ত করতে হবে। আমরা যেহেতু ভ্যাকসিন আমদানি করি, তাই দাম বেশি হওয়ায় খামারিরা প্রাণিদের ঠিকমত ভ্যাকসিন দিতে পারে না। আমরা সকল প্রাণিকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়ান হেলথ কনসেপ্টের আওতায় মানুষ ও প্রাণি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, যুগ্ম সচিব মোসাম্মৎ জোহরা খাতুন, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পরিচালক ডা. আব্দুল হাই সরকারসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি প্রদর্শন নিয়ে উত্তেজনা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে কর্মশালায় শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি প্রদর্শিত হওয়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়। রোববার দুপুর রংপুর আরডিআরএস বেগম রোকেয়ার মিলনায়তনে লাইভস্টক এন্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আয়োজনে প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বিভাগীয় কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেন্টেশন দেন, প্রকল্প সমন্বয়কারী গোলাম রব্বানী।

প্রকল্পের তথ্য-চিত্র প্রদর্শনের সময় একটি স্লাইডে প্রশিক্ষণ কর্মশালার ছবিতে হলরুমে অতিথিদের মাথার উপর শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি দেখা যায়। চব্বিশের গণঅভ্যূত্থান পরবর্তী পতিত সরকার প্রধানের ছবি প্রদর্শন নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করতে থাকে। বিষয়টি জানাজানি হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবী করেন।

এ নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে হতে পারে না। যদি ইচ্ছাকৃতভাবে হয় তবে সেটি চরম অবমাননাকর। এত মানুষের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আমলে এটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে যিনি মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপন করেছেন, তিনি বলেছেন এটি ভুলক্রমে হয়েছে। তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা মনে করছি ফ্যাসিবাদ জাস্ট চলে গেছে। ফ্যাসিবাদ অনেক রকম রূপে রয়েছে, তার প্রতিফলন নানাভাবে ঘটছে। আমরা যখন বিষয়গুলো জানতে পারছি, তাক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Thousands of people in the absence of a bridge

একটি সেতুর অভাবে চরম ভোগান্তিতে হাজারও মানুষ

একটি সেতুর অভাবে চরম ভোগান্তিতে হাজারও মানুষ

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও পঞ্চগড় সদর উপজেলার ৮নং ধাক্কামারা ইউনিয়নের করতোয়া নদীর ওপর স্থায়ী সেতু হয়নি। ফলে নদীর দুই তীরে থাকা অন্তত কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ আজও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জীবন-যাপন করছে। ভরসা কেবল একটি কাঠের সাঁকো। এতে ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে স্থানীয়দের।

গ্রামের শত শত মানুষ প্রতিদিন কাঠের সাঁকো পেরিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি কার্যক্রমে পড়ছে বড় ধরনের বাধা। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, তেমনি জরুরি মুহূর্তে রোগী বা গর্ভবতী নারীকে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও ঘটছে দুর্ঘটনা। বর্ষার সময় ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

স্থানীয়রা আরও জানান, একদিকে নেই গাড়ি যাতায়াতের সেতু অপরদিকে নেই রাস্তাঘাট। এ কারণে এই এলাকায় কেউ আত্মীয়তা করতে চায় না। তাই এই নদীর ওপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থী, কৃষক, নারী-পুরুষ সবার জীবনযাত্রায় আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন। শুধু তাই নয়, এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সেতুটি হবে মাইলফলক।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি বারবার দাবি জানিয়েছি, এখানে একটা স্থায়ী সেতু খুবই দরকার। জনগণের ভোগান্তি নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা হওয়া উচিত।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ‘আমি উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কথা বলব। এখানে যাতে স্থায়ী সমাধান হয়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

একটি সেতু শুধু যোগাযোগের পথ নয়, বদলে দিতে পারে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির চিত্র। নদীর ওপর একটি স্থায়ী সেতুই বদলে দিতে পুরো এলাকার ভাগ্যচিত্র।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপির) আওতায় ব্রিজ নির্মাণের জন্য যাবতীয় কাগজপত্র কয়েকদিনের মধ্যে পাঠাব।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Penalty for a lifetime of expulsion of three leaders and activists of the banned Chhatra League in Mabhaviprabi

মাভাবিপ্রবিতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ১৯ নেতা-কর্মীকে আজীবন বহিষ্কারসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি

মাভাবিপ্রবিতে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ১৯ নেতা-কর্মীকে আজীবন বহিষ্কারসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) সামগ্রিক শৃঙ্খলা অবনতি, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় পাঠদান পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটানো এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে শাস্তি পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধঘোষিত) ১৯ জন নেতা-কর্মী।

এদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও। অভিযুক্তদের মধ্যে ৪ জনকে আজীবন, ১ জনকে ৫ সেমিস্টার, ৭ জনকে ৪ সেমিস্টার ও ৭ জনকে ৩ সেমিস্টার পর্যন্ত বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহা. তৌহিদুল ইসলাম রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় এই শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রিজেন্ট বোর্ডের ৪নং আলোচ্যসূচিতে ছিল বিষয়টি ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় ৪ জন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।

বাকি ১৫ জনকে তাদের অপরাধের ধরন ও গুরুত্ব বিবেচনায় বিভিন্ন মেয়াদে শান্তি এবং বহিষ্কার আদেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র আরও জানায়, একটি বিশেষ ছাত্রসংগঠনের প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাখিলকৃত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪৭তম (জরুরি) রিজেন্ট বোর্ড সভায় ১৯ জন শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের ২৪৮তম সভায় পুনর্গঠিত অধিকতর তদন্ত কমিটি কর্তৃক দাখিলকৃত চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ এবং অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপাত্ত এবং সুপারিশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে সাময়িক বহিষ্কার আদেশপ্রাপ্ত ১৯ জন শিক্ষার্থী দোষী প্রমাণিত হয়। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা সবাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

আজীবনের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি মানিক শীল (ইএসআরএম), সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির (অর্থনীতি), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাওন ঘোষ (অর্থনীতি) ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাদিক ইকবাল (পদার্থবিজ্ঞান)। সহসভাপতি রায়হান আহমেদ শান্তকে (পদার্থ বিজ্ঞানকে) ৫ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

এছাড়া চার সেমিস্টারে জন্য ৭ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতরা হলেন- খালেকুজ্জামান নোমান (অর্থনীতি), সাখাওয়াত আহমেদ শুভ্র (গণিত), মো. আব্দুল্লাহ সরকার উৎস (গণিত বিভাগ), মো. আবিদ হাসান মারুফ (গণিত), রানা বাপ্পি (রসায়ন বিভাগ), মো. যোবায়ের দৌলা রিয়ন (রসায়ন), নাহিদ হাসান (ব্যবস্থাপনা)।

আরও ৭ জনকে তিন সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন- সুজন মিয়া (অর্থনীতি বিভাগ), জাহিদ হাসান (হিসাববিজ্ঞান), মো. নাঈম রেজা (অর্থনীতি), ইমতিয়াজ আহমেদ রাজু (সিপিএস), মো. রিফাত হোসেন (হিসাববিজ্ঞান) বিভাগ, ইমরানুল ইসলাম (সিপিএস), মো. আনোয়ার হোসেন অন্তর (পদার্থবিজ্ঞান)।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন বলেন, নিয়মতান্ত্রিক তদন্ত কমিটির সুপারিশ নিয়ে ঊর্ধ্বতন পর্যদগুলোর অনুমোদনক্রমে ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Salika Champion in Magura Interpresscab Football Tournament

মাগুরা আন্তঃপ্রেসক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে শালিখা চ্যাম্পিয়ন

মাগুরা আন্তঃপ্রেসক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে শালিখা চ্যাম্পিয়ন

মাগুরা আন্তঃপ্রেসক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টে মাগুরা প্রেসক্লাবকে ১-০ গোলে পরাজিত করে শালিখা প্রেসক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

মাগুরা প্রেসক্লাব আয়োজিত সকল উপজেলার প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের নিয়ে এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কৃষিবিদ গ্রুপ ও ইম্পেরিয়াল রিয়েল স্টেট লিমিটেডের সহযোগিতায় ও মাগুরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে গত শনিবার মাগুরা স্টেডিয়ামে এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করেন কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মাগুরা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল।

মাগুরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা একটি ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। দিনব্যাপী এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে চার উপজেলার সাংবাদিকদের মধ্যে আনন্দঘন পরিবেশে যেন এক মিলনমেলা বসে ছিল স্টেডিয়াম।

এ খেলায় অংশ নেন ছোট-বড় নির্বিশেষে সকল বয়সের সাংবাদিকরা। প্রতি উপজেলা থেকে ২০ জন করে সাংবাদিক এ আয়োজনে অংশ নেন।

মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম ও টুর্নামেন্টের উদ্বোধক ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক কৃষিবিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল। এছাড়া মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাগুরা প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক শাহিন আলম তুহিন, শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ড. মুসাফির নজরুল, মহম্মদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান টুটুল ও শালিখা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রব মিয়া।

প্রথম সেমিফাইনালে মাগুরা প্রেসক্লাব ৪-০ গোলে শ্রীপুর প্রেসক্লাবকে পরাজিত করে। অপরদিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শালিখা প্রেসক্লাব ১-০ গোলে মহম্মদপুর প্রেসক্লাবকে পরাজিত করে। খেলা শেষে সাংবাদিকদের এই ব্যতিক্রমী আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন , মাগুরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের এমন আয়োজন সত্যিই খুবই প্রশংসনীয়। সাংবাদিকরা যে শুধু কলমের মাধ্যমেই দেশকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে তাই নয় তারা খেলাধুলার মাধ্যমে যুব সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে । আর এটা দেখে বাংলাদেশের সব জেলার সাংবাদিকদের এ ধরনের আয়োজনে অনুপ্রাণিত করবে। ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের জন্য অতিথিরা মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিককে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স আপের পাশাপাশি চার উপজেলার প্রেসক্লাবের মাঝে শুভেচ্ছা ট্রফি তুলে দেন অতিথিরা। এছাড়া ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে সেরা প্রতিবেদনের জন্য মাগুরা প্রেসক্লাবের ৪ সাংবাদিককে সেরা সাংবাদিক হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।

সেরা সাংবাদিক চারজন হলেন, এনটিভির মাগুরা স্টাফ করোসপন্ডেন্ট শফিকুল ইসলাম শফিক, নাগরিক টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মতিন রহমান, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শাহিন আলম তুহিন এবং ডেইলি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের জেলা প্রতিনিধি লিটন ঘোষ।

এছাড়া জুলাই-আগস্টের শহীদ ও প্রয়াত সাংবাদিকদের মাগফিরাত কামনায় মাগুরা প্রেসক্লাবে বাদ জোহর দোয়া মাহফিল ও মধ্যাহ্ন ভোজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় দুই শতাধিক সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Floods in the north issued alert

উত্তরে বন্যার পদধ্বনি, পাউবো ও কৃষি বিভাগের সতর্কতা জারি

উত্তরে বন্যার পদধ্বনি, পাউবো ও কৃষি বিভাগের সতর্কতা জারি

উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তরের নদনদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তিন দিন উজানের ভারী বর্ষণের পূর্বাভাসে নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নদীর তীরবর্তী মানুষের জানমাল ও কৃষি রক্ষায় সতর্ক করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রোববার উজানের পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিকেল ৩টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে রবিবার দিনভর ডালিয়া পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার ও কাউনিয়া পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

পাউবোর পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগে এবং এর উজান ভারতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। এতে রংপুর বিভাগের তিস্তা, দুধকুমার, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। সেই সাথে নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল, চর, দ্বীপ চর প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে বন্যার পূর্বাভাস জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি আবহাওয়া তথ্য ইউনিট সতর্কতা জারি করেছে। তিস্তা নদী বেষ্টিত লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শংঙ্কায় সেখানকার পরিপক্ক সবজি দ্রুত সংগ্রহ করা, জমি থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করা এবং জলাবদ্ধতা পরিহারের জন্য জমির চারপাশে নিষ্কাশন নালা তৈরি করা, আমন ধানের জমির

নিষ্কাশন নালা পরিস্কার রাখা, আমন ধানের জমির আইল উঁচু করা, সেচ, সার ও বালাইনাশাক প্রয়োগ বন্ধ রাখা, কলা ও দন্ডায়মান সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করা, আখের ঝাড় বেঁধে দেয়া, গবাদিপশু ও হাঁসমুরগি থাকার জায়গা পরিস্কার ও শুকনো রাখা, পুকুরের চারপাশে উঁচু করে দেয়া, অতিরিক্ত পানিতে মাছ রক্ষায় চারপাশে জাল বা বাঁশের চাটাই দিয়ে ঘিরে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

রংপুর গঙ্গাচড়া উপজেলার লহ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, আমার পুরো ইউনিয়নই তিস্তা নদী বেষ্টিত। তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। বিষয়টি আমি নদীর তীরবর্তী বসবাসকারীদের জানিয়ে দিয়েছি।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথেও যোগযোগ করা হয়েছে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী ৩ দিন তিস্তার পানি বৃদ্ধি পারে। এ তথ্য নদীর তীরবর্তী এলাকায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Balus business is running on the side of the road

সড়কের পাশে চলছে বালুর রমরমা ব্যবসা

সড়কের পাশে চলছে বালুর রমরমা ব্যবসা

মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নে জনবসতি এলাকায় সড়কের পাশে চলছে বালু বিক্রির রমরমা ব্যবসা। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটা থেকে শুরু করে বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেক পরিবার গৃহহীন হওয়ার উপক্রম। এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

পেয়ারপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বালু বিক্রি করছে। এর ফলে স্থানীয় আঞ্চলিক সড়কগুলো বালুর স্তূপে অধিকাংশ সময় অবরুদ্ধ থাকে, যা পথচারী ও যানবাহন চলাচলে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়, সড়কে বালুকাঁদা জমে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে হালকা যানবাহন, মটরসাইকেল, ইজিবাইক, মিনিট্রাক সহ ইঞ্জিনচালিত অন্যান্য যানবাহনেও ঘটে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে বর্ষাকালে এ সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করে। এহেন সমস্যার ব্যাপারে উক্ত এলাকার

ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল হক জমাদ্দার জানান, বালু স্তুপকৃত ঐ জমি নিয়ে আমাদের আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, বালু ব্যবসায়ীরা এলাকার প্রভাবশালী ও অর্থবিত্তের মালিক হওয়ায় আমাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বাড়ির সামনে বালুর স্তূপ করে রেখেছে। এ কারণে চলাফেরা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। বালুর স্তূপ করে চলাচলের রাস্তা টুকু বন্ধ করে দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বালুর সাথে পানি মিশে কাঁদামাটি হয়ে যায় এবং পানি সরাসরি আমাদের ঘরে ঢুকে যায়। পানির কারণে আমাদের বাড়ি-ঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

ওই এলাকার আরেক ভূক্তভোগী আ. আজিজ জমাদ্দার বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা ঐ সমস্যার কারণে স্কুলে যেতে বিড়ম্বনার শিকার হয়, কেননা রাস্তা পুরোটাই পানি ও বালুতে ভরা থাকে। আমরা আমাদের সমস্যার কথা একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি, এরপর তারা উক্ত ব্যবসা সাময়িক বন্ধ রাখে, কিছুদিন পর তারা আবার তা পুণরায় চলমান করে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা আদালতের কাছে আইনি প্রতিকার চেয়েছি।’

এ ব্যাপারে ভূক্তভোগীরা জনদূর্ভোগ সৃষ্টকারী অবৈধ ওই বালু বিক্রির রমরমা ব্যবসা বন্ধের জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এলাকার মানুষের দাবি বালুর ব্যাবসা বন্ধ করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে দেয়া হোক। এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।

স্থানীয়রা এখন তাকিয়ে আছেন আদালতের দিকে, যেখানে তাদের রয়েছে ন্যায় বিচার প্রাপ্তির আস্থা, যা পেলে ভুক্তভোগীরা দুঃসহ উক্ত পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The sack of fertilizer seizure illegally stored from the house of women UP members in Amtali

আমতলীতে নারী ইউপি সদস্যের ঘর থেকে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৬৪ বস্তা সার জব্দ

আমতলীতে নারী ইউপি সদস্যের ঘর থেকে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৬৪ বস্তা সার জব্দ

বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের হেনা বুলবুলির ঘর থেকে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৬৪ বস্তা সার জব্দ করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে এ সার জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় আমতলী থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানা গেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলি গত ৩ বছর ধরে অবৈধভাবে সার মজুদ করে আসছেন। ওই সার তার স্বামী মজনু চৌকিদার ও ছেলে হাসান চৌকিদার এলাকার অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

গত বুধবার তিনি (নারী ইউপি সদস্য) আমতলী থেকে দের’শ বস্তা ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সার অবৈধভাবে ক্রয় করে উত্তর তক্তাবুনয়া গ্রামের বাড়ীতে মজুদ করেছেন। ওই সার থেকে তিনি গত তিন দিনে ৮৬ বস্তা সার অতিরিক্ত দামে বিক্রি করেছেন এমন অভিযোগ কৃষকদের। রোববার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী থানা পুলিশ ও উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান অভিযান চালিয়ে নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির ঘর থেকে ৬৪ বস্তা সার জব্দ করেছে। এর মধ্যে ৪১ বস্তা ইউরিয়া, ২৩ বস্তা টিএসপি ও এমওপি।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির স্বামী মজনু চৌকিদার ও তার ছেলে হাসান চৌকিদারের নামে সার বিক্রির লাইসেন্স নেই। তারা উপজেলা কৃষি অফিসের তালিকাভুক্ত ক্ষুদ্র ডিলার নয়।

অবৈধ সার মজুদকারী ও বিক্রেতা হাসান চৌকিদার তার বাড়ীতে সার মজুদ রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার কীটনাশক বিক্রির লাইসেন্স আছে। তাই কীটনাশক বিক্রির পাশাপাশি সার বিক্রি করছি।

নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলি বলেন, আমার ছেলে কীটনাশকের ব্যবসা করে। ওই সঙ্গে সারও বিক্রি করে। আমার ছেলের নামে সার বিক্রির ক্ষুদ্র লাইসেন্স আছে।

আমতলী উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ৬৪ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এক নারী সদস্যের ঘর থেকে মজুদ রাখা ৬৪ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত সার থানার আনা হচ্ছে।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. রাসেল বলেন, ৬৪ বস্তা মজুদ সার নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির ঘর থেকে জব্দ করা হয়েছে। অবৈধভাবে সার মজুদ ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, নারী ইউপি সদস্যের স্বামী ও তার ছেলের নামে সার মজুদ ও বিক্রির কোন ক্ষুদ্র লাইসেন্স দেয়া হয়নি। তারা অবৈধভাবে সার মজুদ ও বিক্রি করে থাকেন।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অবৈধভাবে সার বিক্রির সুযোগ নেই।

মন্তব্য

p
উপরে