কিছু চিকিৎসকের দ্বৈত ভূমিকার কারণে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানিয়েছে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনটি বলছে, এমন পরিস্থিতিতে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে বন্দরনগরী।
চট্টগ্রামে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবার দৈন্যদশা নিয়ে শনিবার সংবাদমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠিয়েছে ক্যাব। এতে চিকিৎসাসেবাবঞ্চিত হয়ে করোনা রোগীদের মৃত্যুর সংবাদে উদ্বেগ জানিয়েছে সংগঠনটি।
ক্যাব বলছে, চট্টগ্রামে কিছু চিকিৎসকের দ্বৈত ভূমিকার কারণে সরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা পান না সাধারণ মানুষ। আবার এসব চিকিৎসক বেসরকারি ক্লিনিকের মালিক হওয়ায় সেখানে গিয়েও জিম্মি রোগীরা। এই পরিস্থিতিতে করোনায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম।
সংগঠনটি জানায়, কয়েক দিন ধরেই দেশের সর্বোচ্চ মৃত্যুর খবর আসছে এই নগরী থেকেই। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত আইসিএইউ-এইচডিইউ সুবিধা গড়ে ওঠেনি। অক্সিজেন সরবরাহ ও শয্যাসংকট প্রকট। ফলে চিকিৎসা না পেয়ে মরছেন সাধারণ মানুষ।
চট্টগ্রামের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে করোনাসহ সব ধরনের চিকিৎসায় শয্যা বাড়ানোরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
ক্যাব বলছে, চিকিৎসাসেবা সব নাগরিকের ‘মৌলিক অধিকার, কারো দয়া নয়’। অথচ চট্টগ্রামজুড়ে করোনা রোগীদের বাঁচার হাহাকার। এই হাহাকার শুধু জীবন বাঁচানোর, চিকিৎসাসেবা পাওয়ার অধিকারের হাহাকার। চট্টগ্রাম দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী ও বৃহত্তম শিল্প-বন্দরনগরী হলেও আধুনিক সরকারি-বেসরকারি কোনো চিকিৎসাসেবা গড়ে ওঠেনি।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, স্বাস্থ্য বিভাগসহ কারও কাছে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের খালি শয্যার কোনো প্রকৃত তথ্য না থাকায় চিকিৎসাব্যবস্থায় চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। আবার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভোগান্তি নিরসনে বিভাগীয় কমিশনার অফিস কর্তৃক গঠিত তদারকি কমিটিও কার্যকর নেই।
ক্যাবের নেতাদের অভিযোগ, প্রতিদিন করোনায় মৃত্যুতে সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম বিভাগ। তারপরও সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে শয্যা ও আনুষঙ্গিক সুবিধা না বাড়িয়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। আবার বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের ওপর নির্ভরশীল। অনেক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক একদিকে সরকারি চিকিৎসক, অন্যদিকে বেসরকারি ক্লিনিকের মালিক। কিছু চিকিৎসকের দ্বৈত ভূমিকার কারণে মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পান না। আবার বেসরকারি ক্লিনিকে গেলে সেখানেও জিম্মি হতে হয়।
সংগঠনটি বলছে, প্রধানমন্ত্রী সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে রোগীদের সেবা নিশ্চিতের নির্দেশনা দিলেও স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও বেসরকারি ক্লিনিকের মালিকরা তা আমলে নেননি।
ক্যাবের নেতারা আরও বলেন, রোগীদের ভোগান্তি, হয়রানি, সেবা না পাওয়া, লাগামহীন ও গলাকাটা সেবামূল্য আদায়, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে নজরদারির অভাব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোর প্রতিদিনের চিত্র হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কার্যত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
অবিলম্বে করোনা ও সাধারণ রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকারি-বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে শয্যাসংখ্যা বাড়ানোসহ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে ক্যাব। সেই সঙ্গে ভোগান্তি নিরসন কমিটিকে মাঠপর্যায়ে তদারকি করে তার ফলাফল নগরবাসীকে দৈনিক অবহিতকরণ; স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণমূলক স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
পাশাপাশি সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে মন্ত্রী, এমপি ও সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দেশীয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর রয়েছে ক্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (চট্টগ্রাম) এস এম নাজের হোসাইন, বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক ডা. মেজবাহ উদ্দীন তুহিন, তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এন এম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাসের।
আরও পড়ুন:সব সময় বিভ্রান্তিকর রাজনীতি করা একটি দল এখন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।
তিনি শুক্রবার (১৮ জুলাই) এক সমাবেশে বলেন, ‘তারা একসময় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল, পরে জনগণ বা তাদের অনুভূতির বিরুদ্ধে গিয়েছিল। তারা এখন গোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। আমি তাদের নাম বলব না- আপনারা বুঝতেই পারছেন আমি কাদের কথা বলছি।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এক পদযাত্রার বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমেদ এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দেশের সংসদ নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি করা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার উপর জোর দেওয়া দলগুলোর কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের একটি খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি তুলছেন - তাদের একটি খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে।’
চরমোনাইর পীরের প্রতিষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নাম উচ্চারণ না করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে দলটি ১৬ বছর ধরে হাতপাখা (আইএবির নির্বাচনী প্রতীক) দিয়ে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছিল, তারা এখন দাবি করছে যে পিআর ব্যবস্থা ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়।’
জামায়াতের নাম না নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবসময় বিভ্রান্তিকর রাজনীতিতে লিপ্ত থাকা আরেকটি দল তাদের (আইএবি) সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এই পিআর ব্যবস্থা বোঝে না।
তিনি বলেন, একজন প্রার্থী একটি নির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত হয় এবং সংসদ সদস্য (এমপি) হয়—জনগণ এমন একটি ব্যবস্থাকে বোঝে। সেই সংসদ সদস্য জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কাজ করেন এবং আইন প্রণয়নে অংশগ্রহণ করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কিন্তু পিআর ব্যবস্থায়, আপনি মিরপুরে আমিনুলকে ভোট দিতে পারেন এবং সন্দ্বীপের বাবুলকে আপনার এমপি হিসেবে পেতে পারেন। এই দেশের মানুষ এই ব্যবস্থা সম্পর্কে জানে না এবং চায়ও না।’
সালাউদ্দিন বলেন, আদালতের রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করা হয়েছে এবং তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক ক্ষমতা তাদের রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী প্রশাসনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে বিবেচনা করি। আপনাদের একমাত্র দায়িত্ব হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করা। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের কোনো কর্তৃত্ব আপনাদের নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সুতরাং, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে অনুষ্ঠিত করার জন্য চাপ দিচ্ছেন, তারাই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছেন।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে মাছ শিকারের সময় চোরাকারবারি সন্দেহে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) মধ্য রাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক বিওপির হরিপুর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে বিএসএফ।
আটককৃতরা হলেন, সোহাগ মিয়া (২৩), মাসুক আলী মন্টুরি (২০) ও সিপার আহমদ (২২। তারা সবাই উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আটককৃতদের পরিবার সুত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে সোহাগ, মাসুক ও সিপার মাছ শিকার করছিলো বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতর শরীফপুর ইউনিয়নের হরিপুর এলাকায় এসময় বিএসএফ এসে তাদেরকে চোরাকারবারি সন্দেহে আটক করে নিয়ে যায়।
বিএসএফের হাতে আটক মাসুক আলীর ভাই ময়নুল মিয়া বলেন, রাতে তারা বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে মাছ শিকার করার সময় ১৫-২০ জন বিএসএফ এসে তাদেরকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে ভারত থেকে আমার ভাই জানায় যে, তাদের সেখানের থানায় রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি বিজিবির শরিফপুর ক্যাম্পকে জানিয়েছি তারা বলেছেন, বিষয়টি দেখতেছেন।
এ বিষয়ে শরীফপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হারুন মিয়া বলেন, আমি শুনেছি রাতে তারা মাছ শিকার করতে গিয়েছিলো। পরে তাদেরকে বিএসএফ এসে ধরে নিয়ে গেছে।
৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া বলেন, এই ধরণের ঘটনা শুনেছি তবে আজ সারাদিন ধরে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। পরিবারের কেউই আসেনি বা ভারতের বিএসএফও কোন কিছু জানায়নি।
জুলাই আগস্ট এর গণঅভ্যুত্থানে নিহত ছাত্র জনতার স্মরণে নীলফামারীতে মৌন মিছিল ও দোয়া মাহফিল করেছে বিএনপি । শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে। এরপর দলীয় কার্যালয়ে ফিরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জেলা বিএনপির নবাগত আহ্বায়ক মীর সেলিম ফারুকের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা প্রধান হক বাচ্চু, সদস্য সচিব এ এইচ এম সাইফুল্লাহ রুবেল, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আখতারুজ্জামান জুয়েল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ দেওয়া ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ এ দেশের গণতন্ত্রের আন্দোলনে অনন্য দৃষ্টান্ত। শহীদদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।
এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সেফাউল জাহাঙ্গীর শেপু, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ানুল হক বাবু, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান খান রিনো, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মগনি মাসুদুল আলম দুলাল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোরশেদ আযম, সদস্য সচিব শিহাবুজ্জামান শিহাব চৌধুরী, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রাশেদ রেজাউদ্দৌলা রাশেদ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নুর আলম, জামিয়ার রহমান সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাপ্তাই হ্রদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে—এমন আহ্বান জানিয়ে রাঙামাটিতে মতবিনিময় করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
শুক্রবার বিকেলে বার্গী লেক ভ্যালী থেকে শুভলং ঝর্ণা, শুভলং বাজার ঘুরে স্পিডবোটযোগে স্টেডিয়াম ঘাট পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্য ঘুরে দেখেন তাঁরা। এসময় দুই উপদেষ্টার সহধর্মিণী, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের সৌন্দর্যের মূল উৎস কাপ্তাই হ্রদ ও পাহাড়। এই লেককে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করে মৎস্য উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা গেলে স্থানীয় জনগণ সরাসরি উপকৃত হবে।”
অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণে এ অঞ্চলের মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছিল, কিন্তু এখন সময় এসেছে এই লেকের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনের। এটি এক ধরনের স্বর্ণখনি—যা সঠিকভাবে ব্যবহারে পাহাড়ের উন্নয়ন সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার সকল সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে । পাহাড়ি-বাঙালি সব সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করেই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও জানান, “কৃষি খাতসহ নানা দিক দিয়ে পাহাড়ি জনগণ এখনও পিছিয়ে। বর্তমান সরকার এই পিছিয়ে পড়া জনগণের জন্য সকল পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আমরা আর পিছিয়ে থাকতে চাই না, মূলধারার সঙ্গে যুক্ত হতে চাই।” এই মতবিনিময় কাপ্তাই হ্রদকে ঘিরে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অপহৃত এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে র্যাবের একটি দল। এতে আহতও হয় র্যাবের ৫-৭ জন সদস্য। এসময় র্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট ছুড়ে এবং অভিযান শেষে প্রধান অপহরণকারী লিয়ন বাবুসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম।
এরআগে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে এই উত্তেজনাকর ঘটনা ঘটে।
অপহরণকারী লিয়ন বাবু (২২) উপজেলার চাঁদপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামের মো. নান্নু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ, র্যাব ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে লিয়ন উপজেলার গুমানিগঞ্জ ইউনিয়নের কুড়ি পাইকা গ্রামের শাহীন মিয়ার স্কুল পড়ুয়া ১৩ বছরের কিশোরী মেয়ে শারিয়া মোসতারিনকে অপহরণ করে সে। এ ঘটনায় মোসতারিনের পরিবারের পক্ষ থেকে ওইদিন রাতেই গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়।
ওই মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃতত কিশোরীকে উদ্ধারে যায়
র্যাব। এসময় অপহরণকারীর স্বজন ও সহযোগীরা হামলা চালিয়ে অপহরণকারীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে র্যাব সদস্যদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। হামলায় র্যাবের অন্তত ৫-৭ জন শারীরিকভাবে সদস্য আহত হয়। একপর্যায়ে র্যাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট ছুড়ে। অভিযান শেষে প্রধান অপহরণকারী লিয়ন বাবু ও তার প্রতিবেশী ওই গ্রামের জাহাঙীর আলমের ছেলে মুন্না মিয়া (২১) ও মৃত তোয়াফেলের ছেলে তাজুল ইসলামসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মো. নওশের আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা নয়াপাড়া গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালান। অভিযানে ১৩ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী শারিয়া মোসতারিনকে উদ্ধার করা হয়, যাকে গত ১১ জুলাই অপহরণ করে লিয়ন বাবু (২২) নামের এক যুবক। র্যাবের অভিযানের সময় লিয়নের স্বজন ও স্থানীয় সহযোগীরা একযোগে হামলা চালায়। তারা লিয়নকে ছিনিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে র্যাব সদস্যদের ওপর ইট-পাটকেল ছোঁড়ে ও সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণ চালায়। এতে বেশ কয়েকজন র্যাব সদস্য আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাব সদস্যরা ফাঁকা গুলি ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে লিয়নের দুই সহযোগীকেও গ্রেফতার করে।
তিনি আরও বলেন, আহত র্যাব সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “র্যাব অভিযান চালিয়ে ভিকটিম ও অভিযুক্তদের থানায় হস্তান্তর করেছে। আজ (শুক্রবার) সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, আজ শুক্রবার র্যার তাদের ওপর হামলা সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে ওই এলাকার ২৮ জন নামীয়য় এবং ৫০-৬০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। র্য্যাবের মামলায় ওই দুই আসামীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ২৫-৩০ জন যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে শামছুন্নাহার (৭০) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। নিহত বৃদ্ধা নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মৃত আজিজ মিয়ার স্ত্রী।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান জানান, আজ (শুক্রবার) সকালে স্বরসতীপুর থেকে ছাদযুক্ত একটি নৌকায় ২৫-৩০ জন যাত্রী নিয়ে মধ্যনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। নৌকাটি পিপড়াকান্দা ব্রিজের নিচে পৌঁছালে প্রবল স্রোতে নৌকাটি হঠাৎ করে ডুবে যায়। অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও শামছুন্নাহারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা তল্লাশি চালিয়ে নৌকার ছাদের ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে বৃদ্ধার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিছে পুলিশ।
মেহেরপুর জেলায় মাদ্রাসা শিক্ষা মান বেহাল অবস্থায় পরিণত হচ্ছে। দাখিল পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় এ বছর পাশের হার কমেছে ৪২ শতাংশ। ৩৩ পেয়ে পাশ করার মত ফলাফলও হয়নি ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষায়।
জেলায় ২৫টি মাদ্রাসা থেকে ৬৯০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ২২৭ জন। পাশের হার মাত্র ৩২.৮৯ শতাংশ। যেখানে পাশ মার্ক নির্ধারণ হয় ৩৩ এ।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১১টি মাদ্রাসা থেকে ৩২৬ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ১০৫ জন। জিপিএ ৫ পায়নি কেউ। এ উপজেলায় পাশের হার ৩২ শতাংশ।
গাংনী উপজেলার ১০ টি মাদ্রাসা থেকে ২৮০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৮৮ জন। এ উপজেলায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ জন। পাশের হার আর কম ৩১.৪২ শতাংশ। এ উপজেলায় শতভাগ ফেল করেছে এমন মাদ্রাসাও আছে একটি।
সে হিসেবে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে মুজিবনগর উপজেলা। এ উপজেলায় ৪টি মাদ্রাসা থেকে ৮৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৩৪ জন। জিপিএ ৫ না পেলে পাশের হার ৪০.৪৭ শতাংশ।
গত বছর ২০২৪ সালের দাখিল পরীক্ষায় জেলা থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলো ৬৫৩ জন। পাশ করেছিলো ৪৮৫ জন। পাশের হার ছিলো ৭৪.২৩ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছিলো ১১ জন।
মেহেরপুর জেলার ২০২৪ ও ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। ফলাফল বিপর্যয় ঠেকাতে শিক্ষার অনুকুল পরিবেশ, অভিভাবকদের সচেতনতা ও শিক্ষকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মাদ্রাসা ভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২৫ সালে সদর উপজেলার মেহেরপুর দারুল উলুম আহম্মদিয়া কালিম মাদ্রাসায় ৪৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৯ জন পাশ করেছে। পাশ এর হার ৪৪ শতাংশ। আমঝুপি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় ৪৫ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ২৭ জন। পাশের হার ৬০ শতাংশ। গোভীপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৮ জন। পাশের হার মাত্র ২৯ শতাংশ।
নতুন দরবেশপুর দাখিল মাদ্রাসায় ৩৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৫ জন। পাশের হার মাত্র ১৩ শতাংশ। রাজনগর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৬ জন।
পাশের হার ১৭ শতাংশ। তাঁতীপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩ জন। পাশের হার ১৩ শতাংশ। ইসলামনগর হোসাইনিয়া দাখিল মাদ্রাসা ২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৩ জন। পাশের হার ৬৫ শতাংশ। কুলবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৩ জন। পাশের হার ১৪.২৯ শতাংশ।
কোলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৮ জনের মধ্যে পাস করেছে ২ জন। পাশের হার ১১ শতাংশ। পিরোজপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৩৩ জনের মধ্যে পাস করছে ১৪ জন। পাশের হার ৪২ শতাংশ। আশরাফপুর দারুল সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৫ জন। পাশের হার ২৪ শতাংশ।
মুজিবনগরের মানিকনগর ডিএসএ আলিম মাদ্রাসা থেকে ২৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ১৩ জন। পাশের হার ৪৪.৮২ শতাংশ। দারিয়াপুর গাওছিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ১৪ জন। পাশের হার ৫১.৮৫ শতাংশ। শিবপুর দারুল কুরআন দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৯ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৩ জন। পাশের হার ৩৩.৩৩ শতাংশ।
আয়েশা নগর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৪ জন। পাশের হার ২১.০৫ শতাংশ।
গাংনী উপজেলার কাজীপুর দাখিল মাদ্রাসায় ৩০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৬ জন। পাশের হার ২০ শতাংশ । সাহারবাটি কলোনিপাড়া আল মারকাজুল মাদ্রাসায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২১ জন। পাশের হার ৫৬.৭৫ শতাংশ ।
গাংনী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসায় ৪০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৫ জন। পাশের হার ৩৭.৫ শতাংশ । হাড়াভাংগা দারুল হাদি ফাজিল মাদ্রাসায় ৩১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬ জন। এ প্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ১ জন। পাসের হার ১৯.৩৫ শতাংশ। করমদি দারুস সুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ২১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১০ জন। পাশের হার ৪৭.৬১ শতাংশ। বাদিয়াপাড়া মহসিনা দাখিল মাদ্রাসায় ২১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬ জন। পাশের হার ২৮.৫৭ শতাংশ। মানিকদিয়া আগারপাড়া আলিম মাদ্রাসায় ৩২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৫ জন। পাশের হার ৪৬.৮৭ শতাংশ । পীরতলা দাখিল মাদ্রাসায় ১৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউ পাশ করে নি। আইদা কলিম দাখিল মাদ্রাসায় ৩০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৮ জন। পাশের হার ২৬.৬৬ শতাংশ। বামুন্দী দাখিল মাদ্রাসায় ২০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১ জন। পাশের হার ৫ শতাংশ।
শতভাগ ফেল করা গাংনীর পীরতলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী শরিফুল ইসলাম বলেন, কেন যে কেউ পাশ করলো না বুঝতে পারছি না। গতবছর ১৮ জন পরীক্ষা দিয়ে ৭ জন পাশ করেছিলো। আমাদের আশা ছিলো এবারও ৬/৭ জন পাশ করবে।
সদর উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আমঝুপি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মোহাম্মদ আলী লাল্টু বলেন, “সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত, দুর্বল সন্তানকে অভিভবাবকরা মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। মাদ্রাসা শিক্ষার বিষয়ে অভিভাবকরা অসচেতন। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার থেকে মাদ্রাসার শিক্ষার সিলেবাস বেশি।
ফলে একেতো দুর্বল শিক্ষার্থী তার উপরে সিলেবাসের চাপ যে কারণেই মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে থেকেও শিক্ষকরা দুর্বল শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিয়ে চেষ্টা করছেন তাদের লেখাপড়ার মান উন্নয়ন করার। তবে কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর রেজাল্ট বেশি খারাপ বলেও তিনি স্বীকার করেন।
মেহেরপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: হযরত আলী বলেন,“শুধু মাদ্রাসা না জেলাতেই এবার এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হয়েছে। আমি সকল মাদ্রাসা ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সুপারদের ডাকবো। কিভাবে আগামী বছর থেকে ভালো ফলাফল করা যায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
মন্তব্য