জমজমাট নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে দেশে যে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়, সেই স্মৃতি যেন ফিরিয়ে আনল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শুরু হওয়া গণটিকাদান কর্মসূচি।
প্রথম দিন শনিবার দেশের বেশিরভাগ টিকাকেন্দ্রে দেখা গেছে আগ্রহীদের দীর্ঘ সারি। দেখে মনে হতেই পারে সেখানে ভোট চলছে। একেক করে প্রত্যেককে প্রবেশ করানো হচ্ছে কক্ষে; দেয়া হচ্ছে টিকা।
সারা দেশে একযোগে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে শনিবার সকাল ৯টা থেকে; চলবে বেলা ৩টা পর্যন্ত।
প্রতিটি কেন্দ্রেই পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে নিবন্ধন করা হচ্ছে। এরপর দেয়া হচ্ছে টিকার প্রথম ডোজ।
‘প্রথমে ডরাইছিলাম এখন আর নাই’
টাঙ্গাইলের বাসাইলের নথখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকালে টিকা নিতে আসেন ৬২ বছর বয়সী আবুল কাশেম।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বাবারে প্রথমে খুব ডরাইছিলাম। তাই টিকা নেই নাই। মেলাজনেই মেলা কথা কইছে। তারপরও টিকা নেই নাই। ভাবছিলাম কী না কী হয়। তয় আজকে দেখলাম বেক্কেই নিবার আইলো। তাই আমিও তাগো পিছে পিছে আইছি আইডি কার্ড নিয়া।
‘আওয়ার নগে নগেই দেহি ডাক দিলো আমারে। ভিতরে ঢুকলাম। আইডি কার্ড নিল, কাগজে কী জানি লেখল আর মোবাইল নাম্বার জিগাইল...তারপরই সিরিঞ্জ বাইর কইরা ভিতরে ওষুধ ডুকাইয়া আমার ডাইন হাতের ডেনায় ডুকাইয়া দিল। এট্টুও দুক্কু পাই নাই। এহন আর ডর নাই।’
কাশেমের মতো সকাল থেকেই এ কেন্দ্রে টিকা নিতে আগ্রহীরা ভিড় করেছেন। জেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভায় চলছে গণটিকাদান। সবগুলো কেন্দ্রেই কম-বেশি ভিড়। মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়নি কোথাও।
জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে কেন্দ্রে নিবন্ধন করে টিকা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
সিলেটে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
বিপুল উৎসাহে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিতে দেখা গেছে সিলেটের গ্রহীতাদের। জেলা ও মহানগরী এলাকায় প্রায় ৪ শতাধিক বুথে শুরু হয় গণটিকাদান। প্রতিবন্ধী ও চলাচলে অক্ষমদের টিকা দেয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থায়।
সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৭টি ওয়ার্ডে ৮১টি বুথে শনিবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২৪ হাজার ৩০০ জন পাবে টিকা।
সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, দেশব্যাপী এক দিন ক্যাম্পেইন চললেও সিলেট মহানগরীতে রোববার ও সোমবারও চলবে এই কার্যক্রম।
জেলার প্রতি ইউনিয়নে তিনটি করে মোট ৩০০টি বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। প্রতিটি বুথে সর্বোচ্চ ২০০ জন করে মোট ৬০ হাজার জনকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
নগরীতে মডার্না এবং উপজেলা ও জেলায় দেয়া হচ্ছে সিনোফার্মের টিকা।
নগরের রেড ক্রিসেন্ট মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে সিলেট সিটি করপোরেশন শনিবার সকাল ৯টায় টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন। তাতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
মেহেরপুরে টিকা না পাওয়ার অভিযোগ বৃদ্ধদের
মেহেরপুরের ১৮টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় চলছে গণটিকাদান। বয়স্কদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
টিকা নিতে এসে ফিরে যাওয়া সদরের ৪ নম্বর বামন্দী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ষাটোর্দ্ধ হাজী আজীরন খাতুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বয়স ষাট বছর হই গিছে। আমার নাম নাই। মেম্বার আমার নাম দেইনি। এ জন্য আমি টিকা পাইছিনি। তাই বাড়ি চইলি যাইছি।’
আরেক বৃদ্ধা জমেলা বেগম জানান, তার বয়স ৫৯। ৬০ বছর না হওয়ায় তিনি টিকা পাননি।
তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ মানুষ। তাই ইউনিয়ন পরিষদে টিকা নিতে আসছি। কিন্তু আমার বয়স ষাট বছর না হওয়ায় টিকা দিল না। অথচ ত্রিশ বছরের একজনকে টিকা দিল।’
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন বলেন, ‘গতকাল রাতে চেয়ারম্যান সাহেব ফোন দিয়ে বলল, আগামীকাল পরিষদে টিকা প্রদান করা হবে। ষাটোর্ধ্ব ৬৫ জনের নাম দিতে হবে। আমি পইড়ি গিছি বিপদে। সত্তর, আশি বছরের যা মানুষ আছে তা ১০০ জনের উপরে হবে। তাই আমি মানুষের অত্যাচারে ফোন বন্ধ রাইখিছি।’
তবে সিভিল সার্জন নাসির উদ্দিন বলছেন, বৃদ্ধ ও অসুস্থরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন। তিনি জানান, আঠারো ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় প্রথম দিন ১২ হাজার ৬০০ জনকে টিকা দেয়া হবে।
চট্টগ্রামে অগ্রাধিকারের তালিকায় দুর্গম এলাকার মানুষ
চট্টগ্রামে মহানগর ও উপজেলার মোট ৩২৬টি কেন্দ্রে গণটিকাদান চলছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ১৪টি উপজেলার ২০৩টি বুথে এবং মহানগরের ১২৩টি বুথে চলবে টিকাদান। পৌর এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে টিকা পাবেন।
জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বয়স্ক, নারী, প্রতিবন্ধী ও দুর্গম এলাকা থেকে আগতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি বুথে পাঁচ জনের একটি টিম টিকাদানে কাজ করছে৷ এর মধ্যে দুজন সরাসরি টিকা দান করছেন। অন্য তিনজন তাদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আছেন।’
অব্যবস্থাপনা লালমনিরহাটে
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, জেলার ৪৫টি ইউনিয়ন পরিষদ ও দুই পৌরসভায় টিকা দেয়ার জন্য খোলা হয়েছে ১৫০টি কেন্দ্র। প্রথম দিন টিকা পাওয়ার কথা ২৯ হাজার ৪০০ জনের।
লালমনিরহাট পৌরসভায় ২ নম্বর ওয়ার্ডের গিয়াস উদ্দিন বিদ্যালয়ে নারী-পুরুষদের একই বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন গ্রহীতারা। সেই সঙ্গে ভিড় সামলাতে প্রশাসনের লোকজন দেখা যায়নি বলে অভিযোগ তাদের।
জেলা সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় নিউজবাংলাকে জানান, প্রথম দিন হওয়ায় উপচে পড়া ভিড় প্রায় সব কেন্দ্রে। আস্তে আস্তে প্রতিদিন ভিড় কমবে।
‘আমরা শেখ হাসিনার কাছে ঋনী’
নাটোর সদরের দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের শিবদূর গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে টিকা নিতে আগ্রহীদের ভিড়। সেখানে চেয়ার নিয়ে বসে ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন বৃদ্ধ শামসুল হক।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদের বাড়ির কাছে টিকা লেওয়ার সুযোগ করে দিছে। আমরা শেখ হাসিনার কাছে ঋনী হয়ে থাকনু।’
এই কেন্দ্রেই হুইলচেয়ারে করে এসেছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী মানিক সরকার।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাইত্যে টিক্যা লিতে আসিছি। গ্রেরামেত টিক্যা দেয়ার ব্যবস্থা করাত টিকা লেওয়া অনেক সহজ হছে।’
এই জেলার ৬ উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও নাটোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে একযোগে চলছে গণটিকাদান।
সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান জানান, শনিবার মোট ৩১ হাজার ২০০ জনকে টিকা দেয়া হবে।
টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনের লোকজন নজরদারিতে আছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
রংপুরে অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকা পাচ্ছে না আগে থেকে নিবন্ধনকারীরা
রংপুরে অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় সকাল থেকেই। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে সেখানে নিবন্ধন করে টিকা নিচ্ছেন আগ্রহীরা। তবে আগে থেকে যারা নিবন্ধন করেছিলেন, তাদের সেখানে টিকা দেয়া হচ্ছে না বলে জানালেন অনেকে।
নগরীর সাতমাথা খাশবাগ এলাকার মুনিরা বেগম বলেন, ‘খাশবাগ স্কুলে সাড়ে দশটার দিকে গেছিলাম। আমাকে বলেছে যেহেতু রেজিস্ট্রেশন করেছেন আগে, তাই মেডিক্যালের কেন্দ্রে যান। আমি মেডিক্যালের কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছি।’
নগরীর বাবু খাঁ এলাকার জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমি আগে রেজিস্ট্রেশন করেছি। তাই ওয়ার্ডের টিকাদান কেন্দ্রে টিকা দেয়নি। এখন মেডিক্যালে যাচ্ছি।’
নগরীর লালকুটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে দেখা যায়, সেখানে ২০০ জনকে টিকা দেয়ার কথা। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এই কেন্দ্রে ১৬০ জনের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে বলে সেখানকার পরিদর্শক রায়হানুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত মানুষ হওয়ায় এই কেন্দ্রে ২০৯ জনকে টিকা দেয়া যাবে। এর বেশি হলে মজুত নেই।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, সিটি করপোরেশন ও জেলার আট উপজেলায় ৬৫ হাজার ৪০০ জনকে টিকার আওতায় আনা হবে। এ জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে টিকাদান কেন্দ্রে তিনটি করে বুথ রয়েছে। আর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে একটি করে টিকাদান কেন্দ্রে তিনটি বুথ রয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়েও টিকা না পাওয়ার অভিযোগ
কুদ্দুস ব্যাপারির বয়স আশি, থাকেন রাজবাড়ী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে। শনিবার সকালেই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে টিকার জন্য তিনি যান ওয়ার্ডের কাজী হেদায়েত হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকে, পরিচয়পত্র দেখিয়েও তিনি টিকা পাননি।
এই অভিযোগ সেখানকার অনেকেরই। আবার অনেক কেন্দ্রে আগে থেকে নিবন্ধন করা লোকজন গেলে তাদের টিকা দেয়া হচ্ছে না।
৮ নম্বর ওর্য়াডের মো. সালাম জানান, রেজিস্ট্রেশন করে টিকা কার্ড আনার পরও বলা হয়েছে পরিচয়পত্র দেখাতে। তাই টিকা না নিয়ে ফেরত যান।
নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ওয়ার্ডে টিকা পাওয়ার কথা ২০০ জনের।
এ বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন ইব্রাহিম টিটন জানান, বয়স্কদের ক্ষেত্রে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই টিকা দেয়া হবে। সরেজমিনে তা মানা হচ্ছে না, এমন অভিযোগ তিনি খতিয়ে দেখবেন।
তিনি জানান, রাজবাড়ী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড, পাংশা পৌরসভার ১টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মোট ৫২টি কেন্দ্রে ২৭ হাজার ৩০০ জন শনিবার টিকা পাবেন।
এছাড়া, গণটিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিন ব্যাপক সাড়া মিলেছে বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, কক্সবাজার, গোপালগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, নেত্রকোণা, নীলফামারী, পাবনা, পঞ্চগড়, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা ও শেরপুরেও।
প্রায় সব কেন্দ্রেই দুপুর ১২টা নাগাদ টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের বেশি মানুষের নিবন্ধন করে টিকা নিয়ে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন নিউজবাংলার প্রতিবেদকরা।
আরও পড়ুন:কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মঙ্গলবার সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে কটিয়াদী উপজেলার মধ্যপাড়া এলাকায় সকাল পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আলী আকবর (১৩) মধ্যপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। সে মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. ফারুকের ছেলে। অন্যদিকে নিহত জুনায়েদ (১২) একই এলাকার ফেরদৌসের ছেলে। সে মধ্যপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয়দের ভাষ্য, বিদ্যালয়ের ক্রীড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য তারা একটি মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিল। মধ্যপাড়া সড়কে একটি বাস তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আলী আকবর নিহত ও জুনায়েদ আহত হয়। জুনায়েদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
সড়ক অবরোধ ও ভাঙচুর
ঘটনার পর শিক্ষার্থী ও উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ঘটনার পর থেকে দীর্ঘক্ষণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ইউএনওসহ তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
আরও পড়ুন:পর্যটন নগর কক্সবাজারের দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভ ধরে আগামী ২০ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আলট্রা ম্যারাথন ‘কোস্টাল আলট্রা-২০২৫’।
পরিচ্ছন্ন উপকূলের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন ও সামুদ্রিক ইকোসিস্টেম সংরক্ষণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পর্যটন চর্চার বার্তা ছড়াতে এ ম্যারাথনের আয়োজন করা হচ্ছে।
‘সমুদ্র বাঁচাও, পৃথিবী বাঁচাও’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ইভেন্টটি আয়োজন করছে অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কোস্টাল আল্ট্রা বাংলাদেশ’।
আয়োজকদের ভাষ্য, দেশে প্রথমবারের মতো ২০০ কিলোমিটার দূরত্বের আলট্রা ম্যারথন আয়োজন হতে চলেছে।
কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দীর্ঘ দূরত্বের দৌড় বা আলট্রা ম্যারাথন আয়োজনের মাধ্যমে দেশে স্পোর্টস ট্যুরিজমের প্রসার, ভ্রমণপিপাসু মানুষকে পরিবেশবান্ধব ভ্রমণে উদ্বুদ্ধকরণ এবং সেই সাথে উপকূলের পরিবেশগত ভারসাম্য ও সমুদ্র তলদেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এই আলট্রা ম্যারাথনের আয়োজন করছে ‘কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশ’। এ ধরনের ইভেন্টের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করাই সংগঠনটির অন্যতম উদ্দেশ্য।”
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আলট্রা ম্যারাথন বা আলট্রা রান হচ্ছে এক ধরনের দীর্ঘ দূরত্বের দৌড় প্রতিযোগিতা, যেখানে সাধারণত ৪২ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি দৈর্ঘ্যের দৌড়ের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে ছোট দূরত্বের আলট্রা ম্যারাথন হচ্ছে ৫০ কিলোমিটার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এ আলট্রা ম্যারাথনের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।
আলট্রা ম্যারাথনে আয়োজক সংগঠনের বেঁধে দেওয়া যোগ্যতার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ সাপেক্ষে বাছাইকৃত দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০০ জন দৌড়বিদ অংশ নেবেন। তাদের সহায়তার জন্য ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।
অংশগ্রহণকারীরা ৫০ কিলোমিটার, ১০০ কিলোমিটার, ১০০ মাইল ও ২০০ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে দৌড়ে অংশ নেবেন।
ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন ফি লাগবে না। সব সেবা বিনা মূল্যে পাবেন অংশগ্রহণকারীরা।
আরও পড়ুন:অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তরুণরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ করে দিয়েছে, সেটি গ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির আয়োজনে বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে রবিবার শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের তরুণেরা, ছাত্ররা যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিল, সে সুযোগ আমাদের শুধু রাজনীতির ক্ষেত্রে নয়, আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, আমাদের জীবন, সামাজিক জীবন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, রাজনীতিসহ সব ক্ষেত্রে গ্রহণ করি।’
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দেশে একটা ভয়ংকর সময় আমরা পার করেছি। প্রায় ১৫ বছর একটা পাথর আমাদের বুকের মধ্যে চেপে ছিল। সেই পাথর সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
‘আমাদের তরুণেরা, ছাত্ররা যে একটি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত করল, নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের সুযোগ করে দিল, তা যেন আমরা গ্রহণ করি। এ ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই।’
গণতন্ত্রে নির্বাচনের গুরুত্বের কথা বলতে গিয়ে ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনই একমাত্র পথ যার মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্রে পৌঁছাতে পারি। সেটাই আমাদের ক্রীড়াঙ্গনকে বলুন, শিক্ষা ক্ষেত্রে, সাংস্কৃতি ক্ষেত্রে বলুন, সুশাসনের ক্ষেত্রে বলুন, নির্বাচনই একমাত্র পথ, যার মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।’
আরও পড়ুন:দুর্ঘটনার ১০ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়।
উদ্ধারকাজ শেষে ১০ ঘণ্টা পর রবিবার সকাল সাড়ে আটটার পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের ওয়াগনটি শনিবার রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার পারাইরচকের মোগলবাজার রেলগেট এলাকায় লাইনচ্যুত হয়। এতে ওই রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি বা অন্য কোনো গন্তব্য থেকে সিলেটে ট্রেন প্রবেশ করেনি।
এদিকে রাতভর ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী যাত্রীরা দীর্ঘসময় স্টেশনে অপেক্ষা করতে বাধ্য হন।
রেলওয়ে সূত্র আরও জানায়, উপবন এক্সপ্রেস রাতেই ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা আটকে ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। বেশির ভাগ যাত্রী স্টেশনে রাত কাটান।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম জানান, ওয়াগন লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে উপবন ট্রেনটি যাত্রা করতে পারেনি। সেটির যাত্রা বাতিল করা হয়। বাতিল হওয়া ট্রেনের যাত্রীদের টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সকালে ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেট স্টেশনে এসে পৌঁছেছে।
রেলওয়ের এ কর্মকর্তা আরও জানান, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও সারা দিন শিডিউল বিপর্যয় অব্যাহত থাকতে পারে।
দুর্ঘটনার পর রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এর মেরামতকাজ এখনও চলছে। রিলিফ ট্রেনের মাধ্যমে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
তদন্ত কমিটি
ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন স্টেশন ব্যবস্থাপক।
তিনি জানান, ১৪টি তেলবাহী ওয়াগনের মধ্যে একটি লাইনচ্যুত হওয়ায় রেলপথের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ ঘটনার পেছনের কারণ ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় বৈদ্যুতিক মোটর চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক স্কুলশিক্ষক ও তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের সেলদিয়া গ্রামে শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় কাপাসিয়া থানা পুলিশ।
প্রাণ হারানো দুজন হলেন কাপাসিয়ার কির্তুনীয়া ইছব আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া (৫৫)। তাকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রী ফেরদৌসি আক্তারেরও (৪০) মৃত্যু হয়।
স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেলে শহীদুল্লাহ বাড়ির পাশে ছোট একটি পুকুর থেকে মাছ ধরতে পানি সেচের জন্য বৈদ্যুতিক মোটর স্থাপন করেন। মোটরটি চালু করতে গিয়ে শহীদুল্লাহ প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা স্ত্রী ফেরদৌসি এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন। পরে গুরুতর অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তারা মিয়া নামে অপর একজন প্রতিবেশী আহত হন।
শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া স্থানীয় কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘদিন তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
কাপাসিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল হালিম বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর লাশ থানায় নিয়ে এসেছেন স্বজনরা। স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন নরসিংহপুর এলাকার একটি বাসায় শুক্রবার রাতে রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছে।
দগ্ধদের রাত পৌনে একটার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। তাদের মধ্যে ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকি দুজনকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
দগ্ধদের মধ্যে চার বছর বয়সী মমিনের দেহের ২০ শতাংশ, ৯ বছরের মাহাদীর ১০ শতাংশ, ১৫ বছরের শামীমের ১৪ শতাংশ, চার বছরের সোয়াইদের ২৭ শতাংশ, তিন মাস বয়সী সুমাইয়ার ৯ শতাংশ, ৫০ বছরের সূর্য বানুর ৭ শতাংশ, ৩২ বছরের শিউলি আক্তারের ৯৫ শতাংশ, ৩৫ বছরের মোছাম্মৎ শারমিনের ৪২ শতাংশ, ৩৮ বছরের মোহাম্মদ সোহেল রানার ১০ শতাংশ, ৩২ বছরের মোহাম্মদ সুমন মিয়ার ৯৯ শতাংশ এবং ৭০ বছর বয়সী জহুরা বেগমের দেহের পাঁচ শতাংশ পুড়ে যায়।
দগ্ধদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা আবু ইসহাক জানান, আশুলিয়ার নরসিংহপুরের গোমাইল এলাকার একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় শবে বরাত উপলক্ষে পিঠা তৈরির সময় হঠাৎ বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়। সেখান থেকে তাদের প্রথমে সাভারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে এলে তাদের ভর্তি রাখা হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, আশুলিয়া থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ১১ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুজনকে অবজারভেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের শ্বাসনালি দগ্ধ হয়েছে।
দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর পর টেকনাফের নাফ নদীতে জেলেদের মাছ ধরার অনুমতি মিলেছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার মিয়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার বন্ধের কারণ দেখিয়ে ২০১৮ সালে নাফ নদীতে স্থানীয় জেলেদের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। তখন থেকে প্রান্তিক জেলেরা আর্থিক সংকটের মুখে পড়েন।
এত বছর ধরে অনেক দেন-দরবারেও জেলেরা আর নামতে পারেননি নাফ নদীতে। বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জেলেদের মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ‘সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমানার অভ্যন্তরে নাফ নদীতে শাহপরীর দ্বীপ হতে টেকনাফ জেটিঘাট পর্যন্ত মাছ ধরতে পারবেন জেলেরা।
‘জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বিজিবির পাঁচটি নির্ধারিত পোস্টে টোকেন বা পরিচয়পত্র দেখাবেন এবং মাছ ধরা শেষে ফেরত আসার পর বিজিবির পোস্টে তল্লাশি করার ব্যাপারে বিজিবি সদস্যকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন। কোনো জেলে চেক পোস্টে না জানিয়ে মাছ ধরতে পারবেন না। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করা যাবে না।’
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘মৎস্য অধিদপ্তরের হালনাগাদকৃত নিবন্ধিত জেলেদের তালিকা বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে প্রদান করা হবে, যাতে কোনোক্রমেই নিবন্ধিত জেলে ব্যতীত কেউ নাফ নদীতে মাছ ধরতে না পারে।
‘এই অনুমোদন সম্পূর্ণ সাময়িক। আগামী তিন মাস পর সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ অনুমতি নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, জেলেদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
টেকনাফ মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ বলেন, ‘নাফ নদীতে মাছ ধরার জন্য প্রাথমিকভাবে অনুমতি মিলেছে। এতে জেলেরা খুশি।
‘রাতে মাছ ধরার অনুমতি না পেলে জেলেদের পোষাবে না। কারণ রাতে বেশি মাছ পাওয়া যায়।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য