× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
Voting line at the vaccination center
google_news print-icon

টিকা কেন্দ্রে ‘ভোটের লাইন’

টিকা-কেন্দ্রে-ভোটের-লাইন
শরীয়তপুরের একটি টিকাদান কেন্দ্রে এমন ভিড় শনিবার সকাল থেকে। ছবি: নিউজবাংলা
টাঙ্গাইলের বাসাইলের নথখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকালে টিকা নিতে আসা আবুল কাশেম বলেন, ‘বাবারে প্রথমে খুব ডরাইছিলাম। তাই টিকা নেই নাই। মেলাজনেই মেলা কথা কইছে। তারপরও টিকা নেই নাই। ভাবছিলাম কী না কী হয়। তয় আজকে দেখলাম বেক্কেই নিবার আইলো। তাই আমিও তাগো পিছে পিছে আইছি আইডি কার্ড নিয়া।’

জমজমাট নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে দেশে যে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়, সেই স্মৃতি যেন ফিরিয়ে আনল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শুরু হওয়া গণটিকাদান কর্মসূচি।

প্রথম দিন শনিবার দেশের বেশিরভাগ টিকাকেন্দ্রে দেখা গেছে আগ্রহীদের দীর্ঘ সারি। দেখে মনে হতেই পারে সেখানে ভোট চলছে। একেক করে প্রত্যেককে প্রবেশ করানো হচ্ছে কক্ষে; দেয়া হচ্ছে টিকা।

সারা দেশে একযোগে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে শনিবার সকাল ৯টা থেকে; চলবে বেলা ৩টা পর্যন্ত।

প্রতিটি কেন্দ্রেই পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে নিবন্ধন করা হচ্ছে। এরপর দেয়া হচ্ছে টিকার প্রথম ডোজ।

‘প্রথমে ডরাইছিলাম এখন আর নাই’

টাঙ্গাইলের বাসাইলের নথখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকালে টিকা নিতে আসেন ৬২ বছর বয়সী আবুল কাশেম।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বাবারে প্রথমে খুব ডরাইছিলাম। তাই টিকা নেই নাই। মেলাজনেই মেলা কথা কইছে। তারপরও টিকা নেই নাই। ভাবছিলাম কী না কী হয়। তয় আজকে দেখলাম বেক্কেই নিবার আইলো। তাই আমিও তাগো পিছে পিছে আইছি আইডি কার্ড নিয়া।

‘আওয়ার নগে নগেই দেহি ডাক দিলো আমারে। ভিতরে ঢুকলাম। আইডি কার্ড নিল, কাগজে কী জানি লেখল আর মোবাইল নাম্বার জিগাইল...তারপরই সিরিঞ্জ বাইর কইরা ভিতরে ওষুধ ডুকাইয়া আমার ডাইন হাতের ডেনায় ডুকাইয়া দিল। এট্টুও দুক্কু পাই নাই। এহন আর ডর নাই।’

টিকা কেন্দ্রে ‘ভোটের লাইন’

কাশেমের মতো সকাল থেকেই এ কেন্দ্রে টিকা নিতে আগ্রহীরা ভিড় করেছেন। জেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভায় চলছে গণটিকাদান। সবগুলো কেন্দ্রেই কম-বেশি ভিড়। মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যায়নি কোথাও।

জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে কেন্দ্রে নিবন্ধন করে টিকা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

সিলেটে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

বিপুল উৎসাহে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিতে দেখা গেছে সিলেটের গ্রহীতাদের। জেলা ও মহানগরী এলাকায় প্রায় ৪ শতাধিক বুথে শুরু হয় গণটিকাদান। প্রতিবন্ধী ও চলাচলে অক্ষমদের টিকা দেয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থায়।

সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৭টি ওয়ার্ডে ৮১টি বুথে শনিবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২৪ হাজার ৩০০ জন পাবে টিকা।

সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, দেশব্যাপী এক দিন ক্যাম্পেইন চললেও সিলেট মহানগরীতে রোববার ও সোমবারও চলবে এই কার্যক্রম।

জেলার প্রতি ইউনিয়নে তিনটি করে মোট ৩০০টি বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। প্রতিটি বুথে সর্বোচ্চ ২০০ জন করে মোট ৬০ হাজার জনকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

নগরীতে মডার্না এবং উপজেলা ও জেলায় দেয়া হচ্ছে সিনোফার্মের টিকা।

টিকা কেন্দ্রে ‘ভোটের লাইন’

নগরের রেড ক্রিসেন্ট মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে সিলেট সিটি করপোরেশন শনিবার সকাল ৯টায় টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন। তাতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

মেহেরপুরে টিকা না পাওয়ার অভিযোগ বৃদ্ধদের

মেহেরপুরের ১৮টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় চলছে গণটিকাদান। বয়স্কদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

টিকা নিতে এসে ফিরে যাওয়া সদরের ৪ নম্বর বামন্দী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ষাটোর্দ্ধ হাজী আজীরন খাতুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বয়স ষাট বছর হই গিছে। আমার নাম নাই। মেম্বার আমার নাম দেইনি। এ জন‍্য আমি টিকা পাইছিনি। তাই বাড়ি চইলি যাইছি।’

আরেক বৃদ্ধা জমেলা বেগম জানান, তার বয়স ৫৯। ৬০ বছর না হওয়ায় তিনি টিকা পাননি।

তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ মানুষ। তাই ইউনিয়ন পরিষদে টিকা নিতে আসছি। কিন্তু আমার বয়স ষাট বছর না হওয়ায় টিকা দিল না। অথচ ত্রিশ বছরের একজনকে টিকা দিল।’

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন বলেন, ‘গতকাল রাতে চেয়ারম্যান সাহেব ফোন দিয়ে বলল, আগামীকাল পরিষদে টিকা প্রদান করা হবে। ষাটোর্ধ্ব ৬৫ জনের নাম দিতে হবে। আমি পইড়ি গিছি বিপদে। সত্তর, আশি বছরের যা মানুষ আছে তা ১০০ জনের উপরে হবে। তাই আমি মানুষের অত‍্যাচারে ফোন বন্ধ রাইখিছি।’

টিকা কেন্দ্রে ‘ভোটের লাইন’

তবে সিভিল সার্জন নাসির উদ্দিন বলছেন, বৃদ্ধ ও অসুস্থরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন। তিনি জানান, আঠারো ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় প্রথম দিন ১২ হাজার ৬০০ জনকে টিকা দেয়া হবে।

চট্টগ্রামে অগ্রাধিকারের তালিকায় দুর্গম এলাকার মানুষ

চট্টগ্রামে মহানগর ও উপজেলার মোট ৩২৬টি কেন্দ্রে গণটিকাদান চলছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলার ১৪টি উপজেলার ২০৩টি বুথে এবং মহানগরের ১২৩টি বুথে চলবে টিকাদান। পৌর এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে টিকা পাবেন।

জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বয়স্ক, নারী, প্রতিবন্ধী ও দুর্গম এলাকা থেকে আগতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি বুথে পাঁচ জনের একটি টিম টিকাদানে কাজ করছে৷ এর মধ্যে দুজন সরাসরি টিকা দান করছেন। অন্য তিনজন তাদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আছেন।’

অব্যবস্থাপনা লালমনিরহাটে

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, জেলার ৪৫টি ইউনিয়ন পরিষদ ও দুই পৌরসভায় টিকা দেয়ার জন্য খোলা হয়েছে ১৫০টি কেন্দ্র। প্রথম দিন টিকা পাওয়ার কথা ২৯ হাজার ৪০০ জনের।

লালমনিরহাট পৌরসভায় ২ নম্বর ওয়ার্ডের গিয়াস উদ্দিন বিদ্যালয়ে নারী-পুরুষদের একই বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন গ্রহীতারা। সেই সঙ্গে ভিড় সামলাতে প্রশাসনের লোকজন দেখা যায়নি বলে অভিযোগ তাদের।

টিকা কেন্দ্রে ‘ভোটের লাইন’

জেলা সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় নিউজবাংলাকে জানান, প্রথম দিন হওয়ায় উপচে পড়া ভিড় প্রায় সব কেন্দ্রে। আস্তে আস্তে প্রতিদিন ভিড় কমবে।

‘আমরা শেখ হাসিনার কাছে ঋনী’

নাটোর সদরের দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের শিবদূর গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে টিকা নিতে আগ্রহীদের ভিড়। সেখানে চেয়ার নিয়ে বসে ডাক পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন বৃদ্ধ শামসুল হক।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদের বাড়ির কাছে টিকা লেওয়ার সুযোগ করে দিছে। আমরা শেখ হাসিনার কাছে ঋনী হয়ে থাকনু।’

এই কেন্দ্রেই হুইলচেয়ারে করে এসেছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী মানিক সরকার।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাইত্যে টিক্যা লিতে আসিছি। গ্রেরামেত টিক্যা দেয়ার ব্যবস্থা করাত টিকা লেওয়া অনেক সহজ হছে।’

এই জেলার ৬ উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও নাটোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে একযোগে চলছে গণটিকাদান।

টিকা কেন্দ্রে ‘ভোটের লাইন’

সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান জানান, শনিবার মোট ৩১ হাজার ২০০ জনকে টিকা দেয়া হবে।

টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনের লোকজন নজরদারিতে আছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

রংপুরে অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকা পাচ্ছে না আগে থেকে নিবন্ধনকারীরা

রংপুরে অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় সকাল থেকেই। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে সেখানে নিবন্ধন করে টিকা নিচ্ছেন আগ্রহীরা। তবে আগে থেকে যারা নিবন্ধন করেছিলেন, তাদের সেখানে টিকা দেয়া হচ্ছে না বলে জানালেন অনেকে।

নগরীর সাতমাথা খাশবাগ এলাকার মুনিরা বেগম বলেন, ‘খাশবাগ স্কুলে সাড়ে দশটার দিকে গেছিলাম। আমাকে বলেছে যেহেতু রেজিস্ট্রেশন করেছেন আগে, তাই মেডিক্যালের কেন্দ্রে যান। আমি মেডিক্যালের কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছি।’

নগরীর বাবু খাঁ এলাকার জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমি আগে রেজিস্ট্রেশন করেছি। তাই ওয়ার্ডের টিকাদান কেন্দ্রে টিকা দেয়নি। এখন মেডিক্যালে যাচ্ছি।’

নগরীর লালকুটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে দেখা যায়, সেখানে ২০০ জনকে টিকা দেয়ার কথা। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এই কেন্দ্রে ১৬০ জনের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে বলে সেখানকার পরিদর্শক রায়হানুল ইসলাম জানিয়েছেন।

টিকা কেন্দ্রে ‘ভোটের লাইন’

তিনি বলেন, অতিরিক্ত মানুষ হওয়ায় এই কেন্দ্রে ২০৯ জনকে টিকা দেয়া যাবে। এর বেশি হলে মজুত নেই।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে, সিটি করপোরেশন ও জেলার আট উপজেলায় ৬৫ হাজার ৪০০ জনকে টিকার আওতায় আনা হবে। এ জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে টিকাদান কেন্দ্রে তিনটি করে বুথ রয়েছে। আর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডে একটি করে টিকাদান কেন্দ্রে তিনটি বুথ রয়েছে।

জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়েও টিকা না পাওয়ার অভিযোগ

কুদ্দুস ব্যাপারির বয়স আশি, থাকেন রাজবাড়ী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে। শনিবার সকালেই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে টিকার জন্য তিনি যান ওয়ার্ডের কাজী হেদায়েত হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকে, পরিচয়পত্র দেখিয়েও তিনি টিকা পাননি।

এই অভিযোগ সেখানকার অনেকেরই। আবার অনেক কেন্দ্রে আগে থেকে নিবন্ধন করা লোকজন গেলে তাদের টিকা দেয়া হচ্ছে না।

৮ নম্বর ওর্য়াডের মো. সালাম জানান, রেজিস্ট্রেশন করে টিকা কার্ড আনার পরও বলা হয়েছে পরিচয়পত্র দেখাতে। তাই টিকা না নিয়ে ফেরত যান।

টিকা কেন্দ্রে ‘ভোটের লাইন’

নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ওয়ার্ডে টিকা পাওয়ার কথা ২০০ জনের।

এ বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন ইব্রাহিম টিটন জানান, বয়স্কদের ক্ষেত্রে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই টিকা দেয়া হবে। সরেজমিনে তা মানা হচ্ছে না, এমন অভিযোগ তিনি খতিয়ে দেখবেন।

তিনি জানান, রাজবাড়ী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড, পাংশা পৌরসভার ১টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে মোট ৫২টি কেন্দ্রে ২৭ হাজার ৩০০ জন শনিবার টিকা পাবেন।

এছাড়া, গণটিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিন ব্যাপক সাড়া মিলেছে বরিশাল, ভোলা, চাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, কক্সবাজার, গোপালগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, নেত্রকোণা, নীলফামারী, পাবনা, পঞ্চগড়, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা ও শেরপুরেও।

প্রায় সব কেন্দ্রেই দুপুর ১২টা নাগাদ টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের বেশি মানুষের নিবন্ধন করে টিকা নিয়ে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন নিউজবাংলার প্রতিবেদকরা।

আরও পড়ুন:
করোনা থেকে সুস্থ হয়ে নেয়া টিকায় দ্বিগুণ সুরক্ষা
শেরপুরে ১ দিনে টিকা পাবে ৩৩ হাজার ৬০০ জন
ঝুঁকিতে থাকা আমেরিকানদের তৃতীয় ডোজ যেকোনো সময়
বুস্টার স্থগিত করুন, দরিদ্রদের টিকা দিন: ডব্লিউএইচও
নিউইয়র্কে বাড়ির বাইরে গেলে থাকতে হবে টিকা সনদ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Another wild elephant died in Sherpur

শেরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ গেল আরও একটি বন্যহাতির

শেরপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণ গেল আরও একটি বন্যহাতির

শেরপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাটাবাড়ী সীমান্তের বিদ্যুতায়িত হয়ে আরও একটি একটি বন্যহাতি নিহত হয়েছে। বনবিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে শনিবার (৫ জুলাই) সকালে বনবিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করে।

খাদ্যের সন্ধানে পাহাড় থেকে নেমে আসা হাতিটি বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বনবিভাগ।

মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার দেওয়ান আলী ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, হাতিটির শুড়ে পোড়া ক্ষতের দাগ রয়েছে। এটির বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর হবে। এটি একটি মাদি হাতি। এ ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাম্প্রতিককালে মধুটিলা রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় খাদ্যের সন্ধানে বন্যহাতি লোকালয়ে নেমে আসার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। খেতে ফসল না থাকায় হাতির দল বাড়িঘরেও হানা দিচ্ছে। এতে স্থানীয়ভাবে অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। যেখানে বন্যহাতির দেহটি পড়ে ছিল, সেখানে কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম না থাকলেও হাতিপাগাড় ক্যাম্পের আশপাশে অনেক বসতি ও বাড়িঘর রয়েছে।

এ নিয়ে চার মাসের কম সময়ের ব্যবধানে মধুটিলা রেঞ্জ এলাকায় তিনটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করল বনবিভাগ।

এর আগে গত ২০ মার্চ পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামের লালনেংগড় এলাকায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারপর গত ২৯ মে দাওধারা পাহাড় থেকে সদ্যোজাত একটি হাতিশাবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘন ঘন হাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।

নিধারঞ্জন কোচ নামে এক অধিকারকর্মী নিজের ফেসবুক ওয়ালে শনিবার নিহত হাতির মরদেহের ছবি পোস্ট করে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘আবারো বন্যহাতির মৃত্যু। এর শেষ কোথায়? হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিসনে সরকারি উদ্যোগ কী? ক্ষতিপূরণ প্রদানই কি যথেষ্ট? হাতি-মানুষের সহাবস্থানের পথ খুঁজতে খুঁজতে এশিয়ান হাতি নাই হয়ে যাবে!’

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Two bus collision helpers killed in Sylhet

সিলেটে দুই বাসের সংঘর্ষ, হেলপার নিহত

সিলেটে দুই বাসের সংঘর্ষ, হেলপার নিহত

সিলেটের ওসমানীনগরে এনা ও ইউনিক পরিবহনের দুটি বাসের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

শনিবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুরুয়া বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রাজু মিয়ার (২৬) বাড়ি ফরিদপুর জেলার তারাকান্দা থানায়। তিনি ইউনিক বাসের হেলপার ছিলেন।

দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে অন্তত দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ইউনিক পরিবহনের বাসের সঙ্গে ঢাকা থেকে আসা এনা পরিবহনের বাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইউনিকের হেলপার রাজু মিয়ার নিহত হন। বেপরোয়া গতিতে ভুল পাশ থেকে এসে এনা পরিবহনের ওই কোচটি এ দুর্ঘটনা ঘটায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়াস সার্ভিস, ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ এসে হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

দুর্ঘটনার পর কুরুয়া বাজারের দুই পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার যানজট দেখা দেয়। পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে যানজট নিরসন করে পুলিশ।

শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, দুই গাড়ির সংঘর্ষ হলে বিকট শব্দে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে প্রাথমিক উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাতে যোগ দেন।

তিনি আরও জানান, হাইওয়ে পুলিশ রাজুর লাশ উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। বাস দুটিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Black Hanuman leaving the area in search of food

খাদ্যের সন্ধানে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখো হনুমান

খাদ্যের সন্ধানে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখো হনুমান

কেশবপুরের ঐতিহ্য কালোমুখো হনুমান খাদ্য সংকট ও বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাবার না পেয়ে মারাও যাচ্ছে। কালোমুখো হনুমান রক্ষার দাবি উঠেছে।

জানা গেছে, একসময় কেশবপুরে ছিল কালোমুখো হনুমানের অভয়ারণ্য। বন উজাড় হয়ে যাওয়ায় এবং খাদ্য সংকটে সময়ের গতির সঙ্গে কমে যাচ্ছে হনুমান। বর্তমানে ১৮০ থেকে ২০০টি হনুমান কেশবপুরে রয়েছে বলে স্থানীয় বন বিভাগ জানায়। এখান থেকে ৪/৫ বছর আগে ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশ বিভক্তির আগে ভারতের মাড়োয়াররা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য যশোরের কেশবপুরে বসবাসের পাশাপাশি আসা-যাওয়া করত। এ সময় তাদের যানবাহনে করে দুটি কালোমুখো হনুমান ভারত থেকে কেশবপুরে আসে। সেই থেকে হনুমানের এখানে পত্তন শুরু হয়। ওই এক জোড়া হনুমান থেকে এখানে শত শত হনুমানের কালের আবর্তনে ওরা আজ বিলুপ্তির পথে। একসময় কেশবপুর অঞ্চলে ঘন বনজঙ্গল ছিল। এসব বনের ফল ও লতাপাতা খেয়ে ওরা জীবিকা নির্বাহ করত। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বন উজাড়সহ ঘনবসতি এবং এলাকায় অবৈধ ইটভাটায় গিলে খাচ্ছে এসব বনের কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বন। এদিকে কেশবপুর উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের তারে কভার সিস্টেম না থাকায় প্রায়ই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওরা মারা যাচ্ছে। খাদ্য সংকটের কারণে কেশবপুরের হনুমান দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে।

উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, কেশবপুর এলাকায় বনজঙ্গল কমে যাওয়ার কারণে হনুমানের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। ওদের রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, হনুমান রক্ষায় সরকারিভাবে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও ব্যক্তি গত ভাবেও অনেকেই খাদ্য দেয়, যার কারণে ওরা গ্রামাঞ্চল ছেড়ে বর্তমানে শহরে বেশি বিচরণ করছে।

মন্তব্য

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত জেবল হক (৮০) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।

ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The terrorist attack on journalists at Satkhira Press Club and injured

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।

সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।

এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Daudkandi Municipality announces a budget of Tk 12 crore

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।

এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Shot in Rupganj protesting drunkenness 2 young men

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদ করায় ইয়াছিন (৩৮) ও সিপন( ৩২) নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া টঙ্গীরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন মুড়াপাড়ার হাউলিপাড়া এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে এবং সিপন টঙ্গীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় সোহরাব নামের এক যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করলে ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি খালাতো ভাই সিপনকে নিয়ে স্থানীয় অহিদুল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। সেখানেই সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াছিনের মাথায় ও সিপনের পায়ে গুলি লাগে।

তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইয়াছিনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

p
উপরে