× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
Suffering from rumors of tickers without SMS
google_news print-icon

এসএমএস ছাড়াই টিকার গুজবে ভোগান্তি

এসএমএস-ছাড়াই-টিকার-গুজবে-ভোগান্তি
রাজধানীর একটি কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের টিকা নিচ্ছেন এক ব্যক্তি। ছবি: সাইফুল ইসলাম/নিউজবাংলা
এসএমএস ছাড়াই টিকা নিতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে এতজন অহেতুক ঘোরাফেরা করে। তারা যদি একবার করে এসে বলে যে কারা নিতে পারবে, কারা না তাইলে এতক্ষণ দাঁড়ায় থাকা লাগে না। প্রথমে বলল, এসএমএস নাই টিকা দিব না। এখন বলতেছে টিকাই নাই।’

‘আড়াইশ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে আইছি। সকাল ১০টা থেকে আইসা লাইনে দাঁড়াইছি। এখন কয় টিকা শেষ। টিভিতে দেখায় কত টিকা আইছে। এরা কয় টিকা নাই। কয়, এসএমএস আসলে আসেন। এসএমএস ছাড়াই তো সবাই দিতাছে। এরা টিকা কী করছে?’

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এভাবেই রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা ডেন্টাল কলেজে টিকা সমন্বয়কারীর সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যায় টিকা নিতে আসা রফিকুল ইসলামকে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিতে নিবন্ধনের টিকা নেয়ার তারিখ জানিয়ে ফিরতি একটি এসএমএস পাঠানো হয় নিবন্ধনকারীর ফোনে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওই এসএমএস আসতে ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় লাগছে এমনকি মাসও পেরিয়ে যাচ্ছে।

এসএমএস ছাড়াই শুধু নিবন্ধন কপি নিয়ে গিয়ে টিকা পাওয়া যাবে এমন তথ্যে টিকা কেন্দ্রে গিয়ে টিকা না পেয়ে হতাশ রফিকুল ইসলাম।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বাসার কেউ বাইরে বের হয় না। বাচ্চা দুইটা জেলখানার মতোই বন্দি দুইটা বছর ধরে। আমিই একমাত্র বাইরে বের হই। আমার টিকা নেয়াটা জরুরি। রেজিস্ট্রেশন করছি এক মাস হয়ে গেছে। পরে এলাকায় অনেকে বলল, এখন আর মেসেজ লাগেনা। নিবন্ধন কপি নিয়া গেলেই পাওয়া যায় টিকা। তারাও নাকি এভাবেই দিছে।

‘সেটা শুনেই আমি আসছি। আগারগাঁও থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে। যেতে আবার ২৫০ টাকা বা তার চেয়ে বেশিই লাগবে। এর উপর এই গরমে এতক্ষণ ধরে দাঁড়ায় আছি। এখানে এতজন অহেতুক ঘোরাফেরা করে। তারা যদি একবার করে এসে বলে যে কারা নিতে পারবে, কারা না তাইলে এতক্ষণ দাঁড়ায় থাকা লাগে না। প্রথমে বলল, এসএমএস নাই টিকা দিব না। এখন বলতেছে টিকাই নাই।’

রফিকুল ইসলামের মতোই আরও অনেকেই এসএমএস ছাড়াই এসেছেন। ভিড় করে হট্টগোল করে টিকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

এ বিষয়ে কেন্দ্রের টিকা সমন্বয়কারী আবু বকর সিদ্দীকি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এসএমএস ছাড়া কাউকেই টিকা দেয়া হচ্ছেনা। এটা গুজব। প্রতিদিনই এমন অনেকে আসতেছেন। তাদেরকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। অনেকেই না জেনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে গিয়ে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন। অনেকে অনুরোধ করছেন।

‘এমন কোনো নির্দেশনা থাকলে আমরা তো দিতাম। আমাদের তো কিছু করার নেই।’

শুধু ডেন্টাল কলেজে নয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিতে নিবন্ধনের পর এসএমএস আসার আগেই টিকা নেয়া যাবে এমন বিশ্বাসে বিভিন্ন টিকা কেন্দ্রে গিয়ে ফেরত আসছেন সাধারণ মানুষ।

এমনকি ‘এসএমএস লাগবে না, নিবন্ধন করে কপি প্রিন্ট করে নিয়ে গেলে টিকা মিলবে’ এমন বিশ্বাসে আগের দিন রেজিস্ট্রেশন করে পরের দিনই টিকা কেন্দ্রে হাজির হচ্ছেন অনেকে।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে শেষে টিকা না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন তারা। কেউ কেউ বাগ-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন কেন্দ্রের টিকা সমন্বয়কারীদের সঙ্গে।

একই চিত্র কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে

টিকা নিতে আসা আসমা বেগম বুধবার টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। পাশের বাসার ভাবি এসএমএস ছাড়াই টিকা নিতে পেরেছেন এমন তথ্যে নিজেও এসেছেন টিকা নিতে।

দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে টিকা না পেয়ে হাসপাতালের সিঁড়িতে বসে একা একাই কথা বলছেন।

আসমা বেগম বলেন, ‘আমার শ্বাসকষ্টের সমস্যা। প্রতিদিন কত মানুষ মরে। সরকার বলে সবার টিকা দিছে। তাইলে আমারটা কই।’

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এসএমএস ছাড়া টিকা দিতাছেনা। আবার দিতাছেও। যাদের লাইনঘাট আছে তারা এসএমএস ছাড়াই দিতাছে। নার্সের দূর সম্পর্কের খালতো ভাই, তালতো ভাই তারাও পাইতেছে।’

অভিযোগের বিষয়ে কেন্দ্রের টিকা সমন্বয়কারী আকবর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টিকা না দিলে মানুষ বের হইতে পারবে না। প্রতিদিনের মৃত্যুর সংখ্যা এগুলো মানুষকে খুব নাড়া দিচ্ছে। তারা তথ্যকে নিজেদের মতো করে নিয়ে ভাবছে। আমরা আমাদের মতো করে বোঝানোর চেষ্টা করছি। টিকা সবাই পাবে। একটা কেন্দ্রে একদিনে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকা দেয়ার সুযোগ থাকে।’

একই চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর আরও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএসের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টিকা নিবন্ধনের বয়স কমিয়ে আনার পর থেকেই ব্যাপকহারে টিকার নিবন্ধন হচ্ছে। নিবন্ধনের তালিকা অনেক লম্বা হয়ে আসছে।

‘এক কেন্দ্রে দৈনিক ২০০ জনের টিকা দেয়ার সক্ষমতা থাকলেও নিবন্ধন হচ্ছে অনেক বেশি। সে ক্ষেত্রে এসএমএস আসতে একটু দেরি হচ্ছে।’

উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মিজানুর বলেন, ‘যারা নিবন্ধন করেছেন, তারা সবাই টিকা পাবেন। টুডে অর টুমরো (আজ বা কাল) এসএমএস আসবে। এতে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।’

আরও পড়ুন:
বুস্টার স্থগিত করুন, দরিদ্রদের টিকা দিন: ডব্লিউএইচও
৭ আগস্ট ৫০ লাখ মানুষকে টিকা
সরকারের সিদ্ধান্ত বদলে বক্তব্য প্রত্যাহার মোজাম্মেলের
টিকা ছাড়া বাইরে আসা নিয়ে বক্তব্য প্রত্যাহার মন্ত্রীর
নিউইয়র্কে বাড়ির বাইরে গেলে থাকতে হবে টিকা সনদ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

লালবাগে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু 

লালবাগে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু 

রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।

রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
DMPs 24 cases in violation of traffic laws in the capital

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,২৪৬ মামলা

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপি’র ২,২৪৬ মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে গত দুই দিনে ২ হাজার ২৪৬টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৩২২টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৯৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সোমবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
TCBs fair priced products in the capital started selling

রাজধানীতে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু

রাজধানীতে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা মহানগরীতে দরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকে।

ঢাকার সচিবালয়ের সামনে থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, ধোলাইপাড়, ধোলাইখাল, রামপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন নির্বাচিত ডিলাররা।

প্রতিটি ট্রাক থেকে দরিদ্র একটি পরিবার ২ কেজি ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল ন্যায্য মূল্যে কিনতে পারছেন।

টিসিবির উপ পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উদ্যোগে রোববার থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ভর্তুকি মূল্যে রাজধানীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। পণ্যগুলো হল ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল।

জানা যায়, ঢাকা মহানগরীতে আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।

এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ৬টি, কুমিল্লা মহানগরীতে ৩টি এবং ঢাকা জেলায় ৮টি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় ৪টি, পটুয়াখালী জেলায় ৫টি ও বাগেরহাট জেলায় ৫টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) পণ্য বিক্রি করা হবে।

দৈনিক প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫শ’ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। একজন ভোক্তা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ২ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি ও ২ কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন। ভোজ্যতেল ২ লিটার ২৩০ টাকা, চিনি ১ কেজি ৮০ টাকা এবং মসুর ডাল ২ কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি এসব পণ্য বিক্রি করা হবে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Two women members of the Dhakkamara Chakra in the capital

রাজধানীতে ধাক্কামারা চক্রের ২ নারী সদস্য গ্রেফতার

রাজধানীতে ধাক্কামারা চক্রের ২ নারী সদস্য গ্রেফতার

ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে ধাক্কামারা চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথী আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।

ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।

গত শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের সপ্তম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে। এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর ভুক্তভোগী ও তার স্বামী চিৎকার দিলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় ওই দুই নারীকে আটক করা হয়। তবে তাদের সঙ্গে থাকা অপর দু’জন কৌশলে পালিয়ে যান।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুই নারী ভুক্তভোগী জানান, তাদের যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং ১০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।

তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথী আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি হওয়া নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, যুথী আক্তার আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রয়েছে।

এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
212 cases in violation of traffic laws in the capital 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,১৭২টি মামলা 

রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,১৭২টি মামলা 

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ১৭২টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ২৮৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

আইসিডিডিআরবির গবেষণা

ঢাকায় বস্তির ৯৮ শতাংশের দেহে অতিমাত্রায় সিসা

ঢাকায় বস্তির ৯৮ শতাংশের দেহে অতিমাত্রায় সিসা

রাজধানী ঢাকার বস্তির শিশুদের দেহে নীরব ঘাতক সিসার বিপজ্জনক মাত্রার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের ৯৮ শতাংশের দেহে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসা শনাক্ত করা হয়েছে।

আইসিডিডিআরবির (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার আইসিডিডিআরবির সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, ‍যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) শিশুদের দেহে প্রতি লিটারে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের উপস্থিতিকে উদ্বেগজনক মাত্রা বলে বিবেচনা করে। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সিসার কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। সিসার যেকোনো মাত্রাই শিশুর জন্য ক্ষতিকর।

আইসিডিডিআরবি ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে থাকা বস্তির শিশুদের ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। ওই গবেষণায় ২ থেকে ৪ বছর বয়সী ৫০০ শিশুর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়।

আইসিডিডিআরবির অ্যাসিস্ট্যান্ট সায়েন্টিস্ট ডা. জেসমিন সুলতানা জানান, এসব শিশুর রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৬৭ মাইক্রোগ্রাম সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে অর্ধেকের শরীরের এই মাত্রা ছিল ৬৭ মাইক্রোগ্রামের বেশি। গবেষণায় দেখা যায়, সিসা পোড়ানো, গলানো বা রিসাইক্লিংয়ের (পুনঃচক্র) মতো কাজগুলো যেখানে হয়, সেসব এলাকার শিশুদের মধ্যে সিসায় আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।

উদাহরণ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, গবেষণায় চিহ্নিত সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বসবাসকারী শিশুদের রক্তে সিসার মাত্রা ছিল পাঁচ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে বসবাসকারী শিশুদের তুলনায় ৪৩% বেশি। সিসার অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে ঘরের ভেতর ধূমপান, দূষিত ধূলিকণা, সিসাযুক্ত প্রসাধনসামগ্রী ও রান্নার পাত্র।

এই আলোচনা সভা থেকে লেড-অ্যাসিড ব্যাটারি বানানো বা রিসাইক্লিং করার কারখানা বা স্থান, অথবা যেসব কারখানা বা স্থাপনায় সিসা গলানো বা পোড়ানো হয়, এমন সিসানির্ভর শিল্পস্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিলে বা দূষণ কমানোর ব্যবস্থা নিলে সেসব এলাকার শিশুদের সিসা দূষণ থেকে বাঁচানো সম্ভব।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিডিডিআরবির রিসার্চ ট্রেইনি ডা. সানজিদা তাপসি আদিবা। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির হেলথ সিস্টেম অ্যান্ড পপুলেশন স্টাডিজ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. সারাহ স্যালওয়ে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Arrested two drug dealers with a large amount of Yaba in the capital 

রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার 

রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা ও ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত বাসসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা-বিভাগ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. বাবু মিয়া (৩৬) ও মো. রাকিবুল হাসান (২৮)। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সোমবার ডিবি-মতিঝিল বিভাগ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় মাদক কারবারি একটি যাত্রীবাহী বাসে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ীর আসমা আলী সিএনজি রিওয়েলিং অ্যান্ড ওয়ার্কশপ লি. এর পূর্ব পাশে হামজা বডিবিল্ডারের সামনে অবস্থান করছে বলে জানতে পারে।

পরে দুপুর পৌনে ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ইয়াবা পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাসসহ বাবু ও রাকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের কাছে বিক্রি করত বলে স্বীকার করে।

মন্তব্য

p
উপরে