করোনা ও উপসর্গ নিয়ে বগুড়ায় ২১, রাজশাহীতে ১৮, চট্টগ্রামে ১৭, খুলনায় ১২ ও ময়মনসিংহে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট বিভাগে ১৭ ও বরিশাল বিভাগে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার ৮টার মধ্যে সকালের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
বগুড়া
জেলায় করোনা শনাক্ত হয়ে ৮ জন ও উপসর্গ নিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃত্যু ৮ জনের মধ্যে ৬ জন বগুড়ার বাসিন্দা।
জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান তুহীন জানান, এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হলো ৫৫৭ জনের।
যদিও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসাব বলছে, বগুড়ায় এ পর্যন্ত ৫৩৯ জন মারা গেছেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে। হিসাবের এই ফারাকের কারণ হলো, বগুড়ায় করোনা হয়ে অন্য জেলার বাসিন্দা মারা গেলে সে হিসাব এই দপ্তর আলাদাভাবে সংরক্ষণ করে।
জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, জেলায় নতুন ৪৯৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১০৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জেলায় মোট ১৮ হাজার ৫০৫ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। নতুন করে ১৬৫ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থতার সংখ্যা ১৬ হাজার ১১১।
গত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে জেলার তিনটি হাসপাতালে ৫০৭ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন।
রাজশাহী
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা শনাক্ত হয়ে ৬ জন ও উপসর্গ নিয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, রামেক হাসপাতালে মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে রাজশাহীর ৬, পাবনার ৭, নাটোরের ৩, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরের ১ জন করে আছেন।
হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫০ রোগী। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪০৩ জন।
সিলেট
এক দিনে সিলেট বিভাগে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫৫ জনে। এর আগে করোনায় এক দিনে এত মৃত্যু দেখেনি সিলেট।
এ ছাড়া বিভাগে আরও ৭৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা বিভাগটিতে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) সুলতানা রাজিয়া জানান, নতুন শনাক্ত হওয়া ৭৩৬ জনকে নিয়ে সিলেট বিভাগে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৭ হাজার ৬৫৪ জনের।
এক দিনে সিলেট বিভাগে নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৭৩৬ জনের ২৮৮ জনই সিলেটের বাসিন্দা। এ ছাড়া সুনামগঞ্জের ১১৬ জন, হবিগঞ্জের ৫৪ ও মৌলভীবাজারের ২২৫ জন রয়েছেন।
এ দিকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫৩ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বিভাগে মারা যাওয়া ১৭ জন রোগীর মধ্যে ৯ জনই সিলেটের, ১ জন হবিগঞ্জ ও ২ জন সুনামগঞ্জের বাসিন্দা। এদিকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ জন করোনায় মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৭ জন। সব মিলিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৮৬ জন। এর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৬২ জন, সুনামগঞ্জে ৬৭ জন, হবিগঞ্জে ২৯ জন ও মৌলভীবাজারে ২৮ জন ভর্তি।
এ দিনে সিলেট বিভাগে নতুন করে আরও ৩৫৪ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যাদের মধ্যে ২৪০ জন সিলেটের বাসিন্দা। বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৫৭৪ জন।
চট্টগ্রাম
জেলায় এক দিনে করোনায় মারা গেছেন ১৭ জন। এর মধ্যে ৭ জন মহানগর ও বাকি ১০ জন উপজেলার বাসিন্দা।
যা এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামে করোনায় সর্বোচ্চ ১৮ জনের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রামে এ নিয়ে করোনায় মারা গেছেন ৯৩২ জন।
এ সময় জেলায় সুস্থ হয়েছেন ৩০৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট ৫৪ হাজার ৯২২ জন করোনা থেকে সেরে উঠেছেন।
বুধবার জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের ৯টি ল্যাবে ২ হাজার ৭৯২টি নমুনা ও অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে ৯১৫ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৬৪১ জন শহরের ও ২৭৪ জন উপজেলার বাসিন্দা।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৪৩৬ জন।
বরিশাল
বরিশাল বিভাগে করোনায় ৫ জন ও শনাক্ত হয়ে ৮ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১০ জন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এই নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪৪২ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস জানান, বিভাগে নতুন করে ৮৫৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে বরিশাল জেলায় শনাক্তের সংখ্যা ২৮৮, পটুয়াখালীতে ১৬৮, ভোলায় ১৭৬, পিরোজপুরে ৬৯, বরগুনায় ৭২ ও ঝালকাঠিতে ৮১ জন।
বরিশাল বিভাগে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৪২৮ জন।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৫১ জন ভর্তি ছিলেন। যার মধ্যে ১২৩ জনের করোনা পজিটিভ। এ সময়ে ৫৮ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
খুলনা
খুলনার ৩ হাসপাতালে এক দিনে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৫ জন, গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন ও আবু নাসের হাসপাতালে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, এ হাসপাতালে করোনা নিয়ে ১ ও উপসর্গ নিয়ে ৪ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া এ হাসপাতালে ১২৭ জন রোগী ভর্তি; যার মধ্যে আইসিইউতে ২০ জন। নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ জন।
গাজী মেডিক্যালের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, এই হাসপাতালে মৃত ৪ জনের বাড়ি খুলনায়। হাসপাতালে ৭৩ জন রোগী ভর্তি; যার মধ্যে আইসিইউতে ৯ ও এইচডিইউতে ৯ জন।
এক দিনে নতুন ভর্তি হয়েছেন ১৫ রোগী। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ জন।
আবু নাসের হাসপাতালের মুখপাত্র প্রকাশ দেব নাথ জানান, এ হাসপাতালে মৃত ৩ জনের বাড়ি খুলনায়। ৪০ জন রোগী ভর্তি যার মধ্যে আইসিইউতে ১০ জন। এখানে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫ জন; বাড়ি ফিরেছেন ১ জন।
জেলা জেনারেল হাসপাতালের মুখপাত্র আবু রাশেদ জানান, এ হাসপাতালে মোট রোগী রয়েছে ৪০ জন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ১২ জন; বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন। তবে এ হাসপাতালে কোনো মৃত্যু নেই।
সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ম্যানেজার জানান, এ হাসপাতালে মৃত্যু নেই । তবে ৬৪ রোগী ভর্তি যার মধ্যে আইসিইউতে ১০ ও এইচডিইউতে ২ জন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ৮ জন, বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৫ জন করোনা শনাক্ত হয়ে ও ৭ জন উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন মহিউদ্দিন খান মুন জানান, বর্তমানে করোনা ইউনিটে ৪৪৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। ভর্তি হওয়া রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৯৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২১ জন। নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৬৭ জন। এক দিনে ৬৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
জেলা সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম জানান, নতুন করে ১ হাজার ৩৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৪০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
আরও পড়ুন:পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর মোহনায় জেলের জালে এবার ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ২৫০ গ্রাম ওজনের একটি কোরাল মাছ।
পরে সেই মাছটি কুয়াকাটা পৌর মাছ বাজারে বিক্রি করা হয়েছে ৩২ হাজার ৭৫০ টাকায়।
কুয়াকাটা পৌর মাছ বাজারের ‘কুয়াকাটা ফিস পয়েন্টের’ পরিচালক নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে মাছটি কেনেন।
তিনি বলেন, ‘সাগর মোহনায় সচরাচর এত বড় মাছ পাওয়া যায় না। আজ দুপুরে মাছটি মার্কেটে আসার পর এক হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে কিনে নেই।’
স্থানীয় জেলেরা জানান, গত মঙ্গলবার কুয়াকাটার বাবলাতলা এলাকার জেলে রাসেল ‘মায়ের দোয়া’ নামের তার ট্রলারটি নিয়ে গভীর সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরতে রওনা হন। পরবর্তীতে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় রাত ২টার দিকে রাসেলের জালে এ বিশাল কোরাল মাছটি ধরা পড়ে।
রাসেল বলেন, ‘তীব্র তাপদাহ শুরুর পর থেকে সাগরে মাছ পড়ে না। ভাগ্য সহায় বলে এত বড় মাছ আল্লাহ দিয়েছেন। মাছটি তীরে নিয়ে আসলে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা মাছটি ক্রয় করতে চেয়েছেন। পরে কুয়াকাটা মাছ বাজারে এক হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে মাছটি বিক্রি করেছি।’
জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, নদ-নদী এবং সাগরে বিভিন্ন মাছ পাওয়া যায়। সব সময় বড় মাছ ধরা পড়ছে না। সামুদ্রিক কোরাল এর চেয়েও অনেক বড় হয়।
সরকারের দেয়া ৬৫ দিন সাগরে সব ধরনের মাছ ধরার সফল কার্যক্রমের কারণেই এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখার ভোল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ।
অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদের সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আটক তিনজন হলেন অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম ও ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী। তাদের তিনজনেরই বাড়ি পাবনা জেলায়।
পুলিশের ভাষ্য, টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী।
আরও আসছে…
আরও পড়ুন:
সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পাথরবাহী ট্রাকের ধাক্কায় ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৪ আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গৌরীনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সিলেটগামী পাথরবাহী একটি ট্রাক সিএনজিচালিত অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিলে ৬ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
হাসপাতাল সূত্রে নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার লুবিয়া গ্রামের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী নয়ন মিয়া।
এ ঘটনায় নয়ন মিয়ার ভাই ৪০ বছর বয়সী হারুন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নয়াগাঙ্গের পাড় গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী শাহ আলম, নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রঞ্জিত সাহার ছেলে ২৩ বছর বয়সী পার্থ সাহাসহ অজ্ঞাতনামা আরও একজন আহত হয়েছেন।
মেট্রোরেলের চলমান প্রকল্পটি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় নাগরিক সমাজ।
বৃহস্পতিবার সকালে সাভার উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মেট্রোরেলের এমআরাটি-৫ ও এমআরটি-৬-এর চলমান প্রকল্পটি হেমায়েতপুর থেকে নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ অথবা দিয়াবাড়ি থেকে সাভারের রেডিও কলোনি পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই প্রকল্পে সরকার যদি কোনোরকম জটিলতা মনে করে তাহলে এমআরটি-৬ প্রকল্প উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে বিরুলিয়া হয়ে সাভার রেডিও কলোনি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। পর্যায়ক্রমে তা নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবিও জানান তারা।
কর্মসূচিতে সড়কের উপর দিয়ে সম্ভব না হলে মাটির নিচ দিয়ে মেট্রোরেলের যে প্রকল্প রয়েছে, সেই প্রকল্পে সাভারকে যুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন সাভার নাগরিক কমিটির সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি কামরুজামান খান।
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের প্রকল্প সাভার পৌর এলাকার শেষ সীমানা পর্যন্ত সম্প্রসারণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবকে এ ব্যাপারে অবগতপত্র দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে রেলমন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালকে পত্র দিয়ে এবং সরাসরি সবকিছু অবগত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত সাভারবাসী রেলসেবা পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছে। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাভারের লাখ লাখ মানুষ মেট্রেরেলের সুবিধা প্রত্যাশা করেন। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া হক, সাভার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষানুরাগী সালাহউদ্দিন খান নঈম, সাভার পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মিজানুর রহমান মাসুদ, সংস্কৃতিকর্মী স্বরণ সাহা, প্রভাত ডি রোজারিও, বন্ধুরহাট যুব সংগঠনের আলোকুর রহমান, জাগরণী থিয়েটারের সভাপতি আজিম উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরের পশ্চিমে মেঘনা নদীতে এমভি মৌমনি নামে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাসানচরের পশ্চিমে ইসলাম চরের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে পণ্য নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল।
সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জেলেদের সহযোগিতায় জাহাজের ১১ নাবিককে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। তবে জাহাজের মাস্টার নিখোঁজ রয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপরই নাবিকরা জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে সহযোগিতা চান। পরে ৯৯৯-থেকে হাতিয়া নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে সহযোগিতার জন্য বলা হয়।
বেলা ২টার দিকে হাতিয়া কোস্টগার্ড ও নলচিরা নৌ-পুলিশের দুটি টিম উদ্ধার করার জন্য হাতিয়ার নলচিরা ঘাট থেকে রওনা হয়।
হাতিয়া কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট হারুনর রশিদ বলেন, ‘ঘটনাটি ঘটেছে ভাসানচরের পশ্চিমে ইসলাম চরের কাছে সাগর মোহনায়। খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের একটি দল ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলেদের সহযোগিতায় ১১ নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জাহাজের মাস্টারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
মোহাম্মদ ওহায়েদুল ইসলাম নামে জাহাজের মালিক পক্ষের একজন জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তবে ডুবে যাওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। জাহাজে থাকা লোকজনের সঙ্গে প্রথমে কথা বলা গেলেও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় পরে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে মালামাল নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। জাহাজে ১২ জন নাবিক ছিল।
আরও পড়ুন:ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এমপির প্রচেষ্টায় বিদ্যুতের লোডশেডিং থেকে অনেকটাই রক্ষা পেয়েছে চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলার প্রায় ৮ লাখ মানুষ। চালু হয়েছে বন্ধ থাকা ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। বিষয়টি এক ভিডিও বার্তায় নিশ্চিত করেছেন তিনি।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ নসরতপুরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র সম্প্রতি চালু হয়েছে। এতে করে ব্যারিস্টার সুমন এমপির সংসদীয় এলাকায় আগের তুলনায় লোডশেডিং কমেছে। আগে এখানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫-১৬ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকতো না। বর্তমানে দিন-রাত মিলে ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ। প্রচণ্ড গরমের এই সময়ে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং কমে আসায় জনজীবনে ফিরেছে স্বস্তি।
পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অতীষ্ঠ হয়ে এমপি সুমনের কাছে এর সমাধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হন চুনারুঘাট-মাধবপুরবাসী। তিনি নিজ সংসদীয় এলাকার জনগণের বিদ্যুৎ-ভোগান্তির খবর শুনে ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় লোডশেডিং কমানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সমাধান না হলে তিনি মহাসমাবেশের ডাক দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
পরবর্তীতে ব্যারিস্টার সুমনের ঐকান্তিক চেষ্টায় ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র চালুর মাধ্যমে লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে আসে।
ভিডিও বার্তায় এই খবর দিতে গিয়ে এমপি সুমন বলেন, ‘গ্যাস সংযোগ না থাকায় নসরতপুর ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এতোদিন বন্ধ ছিল। গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে কেন্দ্রটি চালু হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আর আগের মতো অতটা লোডশেডিং হবে না।
‘যদি আবারও অসহনীয় লোডশেডিং হয়, তবে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে হবে জনগণের কাছে।’
পরিশেষে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন:নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় সৈকতে ভেসে এসেছে বিরল প্রজাতির ‘ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক’।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মাহবুব মোর্শেদ লিটন। আগের দিন বুধবার বিকেলে উপজেলার কমলার দিঘি সমুদ্র সৈকতে সাপটি দেখা যায়।
মাহবুব মোর্শেদ লিটন বলেন, ‘বুধবার বিকেলের দিকে তানিম নামে এক যুবক ঘুরতে যান উপজেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়নের কাজির বাজারের কমলার দিঘি সমুদ্র সৈকতে। ওই সময় তিনি সাপটি দেখতে পান। এরপর স্থানীয় কিছু লোকজনও সেখানে গিয়ে সাপটি দেখতে পান। আমি বিষয়টি স্থানীয় বনবিভাগকে জানিয়েছি। এরপর ওই সাপের কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।’
উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। এটি একটি বিষধর সাপ। উভচর প্রাণী হিসেবে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ জলে ও স্থলে প্রায় সময় দেখা যায়। তবে এই প্রজাতির সাপ বিরল। এগুলো এই অঞ্চলে তেমন একটা দেখা যায় না। সাপটি সন্ধ্যার দিকে উপকূলে উঠে মানুষের আনাগোনা দেখে আবার সাগরে চলে যায়।’
মন্তব্য