দেশীয় কোম্পানি গ্লোব বায়োটেক উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দিতে সরকারের কয়েকটি দপ্তরকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অনুমতির বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া না হলে হাইকোর্টে রিট করা হবে।
সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব, স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের পরিচালক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশ ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে গত বছরের ১৫ অক্টোবর সারা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। সারা বিশ্বের মিডিয়ায় সেই অর্জনের কথা ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ সারা বিশ্ববাসীকে মহামারি থেকে রক্ষা করতে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে।
এতে আরও বলা হয়, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর গ্লোব বায়োটেক উদ্ভাবিত বঙ্গভ্যাক্সকে অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এরপর মানবদেহে পরীক্ষামূলক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্ব ১ এবং ২-এর জন্য বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের কাছে নৈতিক অনুমোদনের জন্য ১৭ জানুয়ারি আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটি।
বিএমআরসি ৯ ফেব্রুয়ারি কিছু সংশোধন-বিয়োজন করার জন্য চিঠি দিলে গ্লোব বায়োটেক ১৭ ফেব্রুয়ারি পুনরায় সংশোধিত রিসার্চ ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দেয়। কিন্তু এরপরে দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে বিএমআরসি সম্পূর্ণ নীরব থেকেছে এবং বাংলাদেশি টিকাটির পরীক্ষার জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
নোটিশে আরও বলা হয়, সর্বশেষ বিএমআরসি ২২ জুন একটি চিঠি দিয়ে গ্লোব বায়োটেককে জানায় যে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগে বানর বা শিম্পাঞ্জির ট্রায়াল করতে হবে, তবেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নৈতিক অনুমোদনের বিষয়ে চিন্তা করবেন তারা।
নোটিশে বলা হয়, বানর বা শিম্পাঞ্জির শরীরে পরীক্ষা চালাতে হলে থার্ড পার্টি রিসার্চ ল্যাবের প্রয়োজন কিন্তু বাংলাদেশে এই ধরনের কোনো গবেষণা ল্যাব নেই। গ্লোব বায়োটেক বানর এবং শিম্পাঞ্জির শরীরে পরীক্ষা চালানোর জন্য ইন্ডিয়া এবং চীনের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা বলেছে এই মুহূর্তে তাদের হাতে সময় নেই এবং দরখাস্ত সরকারের মাধ্যমে করতে হবে। এটি সময়সাপেক্ষ এবং এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ফাইজার ও মডার্নার টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার এবং কর্তৃপক্ষ একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে ভ্যাকসিন তৈরি ও সেটি প্রয়োগের উপযোগী করে তুলেছে। বঙ্গভ্যাক্স একটি নিউ জেনারেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে আমেরিকা এবং জার্মানির ফাইজার ও মডার্না টিকা।
নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে, এটি স্পষ্ট যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন না দিয়ে বানরের শরীরে ট্রায়ালের জন্য শর্ত জুড়ে দেয়ার অর্থ হচ্ছে টিকাটি উৎপাদন করতে বা অনুমোদন পেতে আরও অনেক সময় অতিবাহিত হয় এবং এটি যাতে আলোর মুখ না দেখে। যদি বানরের শরীরে প্রয়োগের প্রয়োজন হতো তবে বিএমআরসি আরও পাঁচ মাস আগে গ্লোব বায়োটেককে কেন এই শর্ত বলে দেয়নি।
গ্লোব বায়োটেকের বিজ্ঞানীরা গত বছরের ২ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে আসার কথা প্রথম জানান।
তারা প্রাথমিকভাবে ইঁদুরের শরীরে ওই টিকা প্রয়োগে সাফল্যের কথাও জানান। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্ভাব্য টিকার তালিকায় নাম ওঠে বঙ্গভ্যাক্সের। ৬ জানুয়ারি টিকাটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
এ বছরের ৫ জুলাই টিকার ট্রায়ালের জন্য গাজীপুরের শ্রীপুরে বানর ধরতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী। করোনা প্রতিরোধে বঙ্গভ্যাক্সের টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য তারা বানর ধরতে গিয়েছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, তারা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বানর ধরেন। এ কারণে তাদের বাধা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পারিবারিক কলহ ও কোরবানির মাংস কাটাকাটি নিয়ে বাগবিতাণ্ডার জেরে বড় ভাই দুলাল মিয়াকে (৫০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুই ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
রবিবার (৮ জুন) জেলার বিজয়নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুলাল মিয়া উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পুইতারা উত্তরহাটি এলাকার মৃত ওমর আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, কোরবানির মাংস কাটার সময় মাংসের আকার ছোট বড় করা নিয়ে দুলাল মিয়ার সঙ্গে তার ভাইদের তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে রুবেল ও আলমগীর দুলাল মিয়াকে মারধর করেন।
মারধরের এক পর্যায় দুলাল মিয়ার মুখে বিষ ঢেলে দেন তার ভাইয়েরা। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম বলে, ‘এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ঘটনাটির তদন্ত চলছে। ঘটনার পর থেকে দুই ভাই রুবেল ও আলমগীর পলাতক রয়েছেন।’
পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
খুলনা নগরীতে ট্রাক ও ইজিবাইকের মুখোমখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আর চারজন।
সোমবার (৯ জুন) সকাল ৬টার দিকে নগরীর খানজাহান আলী সেতুর (রূপসা সেতু) পশ্চিম প্রান্তে দারোগার লীজ নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ইজিবাইক চালক রফিকুল ইসলাম (৫৬) ও যাত্রী তানজিল (১২)।
লবণচরা থানার লবনচরা ক্যাম্প ইনচার্জ (আইসি) উপপরিদর্শক মো. আব্দুর রহিম জানান, সোমবার ভোরে চাঁদপুর থেকে কয়েকজন খুলনায় আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। বাস থেকে নেমে তারা ইজিবাইকে করে রং সাইডে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে বাগেরহাট থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইক চালক রফিকুল ও যাত্রী তানজিল নিহত হন। আহত হন আরও চার যাত্রী।
আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাছাড়া, নিহতদের লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান আব্দুর রহিম।
চার দিনের সরকারি সফরে আজ সোমবার যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সফরকালে বাকিংহাম প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’।
এছাড়া বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্যের নীতিগবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত এক সংলাপে অংশ নেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানিয়েছে, তাঁর এ সফরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এর পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিতে প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশ।
আগামী ১৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
রোববার গভীর রাতে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে সোহান মোল্যা (২৬) নামে এক শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে উন্নত মানের স্নাইপার নাইট্রো রাইফেল উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। সোহান মোল্যা ওই গ্রামের আবুল কালাম মোল্যার ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,সে খুলনার একটি কলেজে লেখাপড়া করে।
সেনাবাহিনী জানায়,টেলিস্কোপিক সাইট ও সাইলেন্সার যুক্ত ৪.৫ ক্যালিবারের স্নাইপার নাইট্রো রাইফেলটি দিয়ে অবৈধভাবে ব্যবহার করে স্থানীয় বাসিন্দাদের হুমকীর মুখে ফেলছিল অভিযুক্ত সোহান মোল্যা। সূত্র আরো জানায় গোয়েন্দা তৎপরতা এবং পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে নড়াইল ও কালিয়ার সেনাক্যাম্প যৌথভাবে রোবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে।
জানাযায়,সেনা সদস্যরা প্রথমে আবুল কালাম মোল্যার বাড়িটি ঘিরে ফেলে। চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে সোহান মোল্যার বিছানার নিচে গোপনে রাখা রাইফেলটি উদ্ধার করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে আগেই পালিয়ে যান সোহান ও তার বাবা।পরে উদ্ধারকৃত রাইফেলটি কালিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিণয়টি আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে থানা পুলিশ জানান।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এলাকাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বলে জানা যায়। সন্তাস দমন এবং অস্ত্রচক্র নির্মূলে এ ধরণের যৌথ অভিযান আগামিতেও চলমান থাকবে বলে সেনাবাহিনী আশাবাদব্যক্ত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে খুবই আন্তরিক।
এ খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এর সকল অংশীজন এবং সহযোগী সংস্থাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের একটি বৃহৎ অংশ এসএমই খাত থেকে আসে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসএমই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, ক্রেতা ও ভোক্তার পরিবর্তনশীল চাহিদা এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রয়োজন সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ।’
তিনি বলেন, ‘অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার সরবরাহ ব্যবস্থার সকল পর্যায়ে গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষ কারিগরি জনবল সৃষ্টি, বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএবি এ লক্ষ্যে কাজ করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা এবং পরিদর্শন সংস্থাসহ মোট ১৫৫টি সরকারি, বেসরকারি এবং বহুজাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে।’
মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ও এক সময়ের জনপ্রিয় খেলা হা-ডু-ডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার (৮ জুন) বিকেলে উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের খালইপুড়া দাখিল মাদরাসা মাঠে সূর্য তরুণ যুব সংঘের বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিলুপ্তপ্রায় এ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।
খোরশেদ আলম আকন্দ এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোমেনশাহী ল কলেজের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এড. রেজাউল করিম চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গ্রামগঞ্জের একসময়কার জনপ্রিয় পুরনো এ খেলাটি গ্রামের কাঁচা রাস্তায়, মাঠ, বাগানে বা খোলা স্থানে জমজমাট ও উৎসবমুখর পরিবেশে হতো। কালের বিবর্তনে এই খেলা এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। তাই জনপ্রিয় এ খেলাটি টিকিয়ে রাখা এবং নতুন প্রজন্মকে খেলাধূলায় উজ্জীবিত করায় তিনি সূর্য তরুণ যুব সংঘকে অভিনন্দন জানান।
এ খেলায় ঢাকা একাদশকে হারিয়ে গ্রাম একাদশ বিজয় লাভ করেন। পরে বিজয়ীদলকে পুরস্কার হিসেবে একটি খাসি উপহার দেওয়া হয়। এসময় অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক সমিতি ফুলবাড়িয়া শাখার সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান বিএসসি, এডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন, ডা. রফিকুল ইসলাম, মো. আবুল কালাম প্রমুখ।
নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটি উপভোগ করতে খালইপুড়া দাখিল মাদরাসা মাঠে বিপুলসংখ্যক দর্শক ও ক্রীড়া প্রেমী জড়ো হয়।
ঝিনাইগাতীতে ঈদ-উল-আজহার পরদিন, ৮ জুন রবিবার, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো: মোখতার আহমদে এর মহতী উদ্যোগে এবং ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব আশরাফুল আলম রাসেলের সরাসরি তত্ত্বাবধানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অসহায় ও দরিদ্র ১৫০টি পরিবারের মাঝে কুরবানির মাংস বিতরণ করা হয়।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝিনাইগাতী উপজেলার হলদীগ্রাম, নয়া রাংটিয়া, ভারুয়া, পূর্ব গজারীকুড়া আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রামের ১২০টি পরিবার এবং উপজেলার অন্যান্য এলাকার আরও ৩০টি পরিবার এই সহায়তা পান। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল—প্রত্যেকটি পরিবারের দরজায় গিয়ে ইউএনও নিজ হাতে কুরবানির মাংস তুলে দেন এবং প্রত্যেকের সাথে আন্তরিকভাবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুচ্ছগ্রামের এক মহিলা বলেন, “আমি তো ভাবছিলাম, আমাগো কথা কে ভাবে? কিন্তু স্যার যেইভাবে সামনে আইস্যা ডাক দিল আর মাংসের প্যাকেট হাতে দিয়ে ঈদ মোবারক কইলো, মনডারে বইলা বোঝানো যাইবো না। দোয়া করি, আল্লাহ যেন ইউএনও স্যারকে সব সময় গরিব-দুখির লগে থাকার তৌফিক দান করেন।”
ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “ঈদের আনন্দ যেন প্রান্তিক ও অসহায় মানুষদের মাঝেও পৌঁছে যায়, সেটাই ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা চাইনি কেউ এই উৎসব থেকে বাদ পড়ে থাকুক।”
এই ব্যতিক্রমধর্মী ও মানবিক উদ্যোগে কেবল খাবার নয়, পৌঁছে গেছে ভালোবাসা, সম্মান ও রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী একজন কর্মকর্তার সরাসরি উপস্থিতি—যা ওইসব মানুষের জন্য ছিল এক অনন্য অনুভূতি।
স্থানীয় বাসিন্দারা ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল মহোদয়ের এ আন্তরিক প্রচেষ্টাকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন, এমন মানবিক প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড মানুষকে রাষ্ট্রের প্রতি আস্থাশীল করে তোলে।
মন্তব্য