গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত) সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ১২ জন। এই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৬৮১ জন। শনাক্ত ও সংক্রমণের দিক দিয়ে যা নতুন রেকর্ড।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সিলেটে এক দিনে কখনোই এতসংখ্যক রোগীর মৃত্যু ও শনাক্ত হয়নি।
রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে সিলেট বিভাগে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৫ জনের। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৮ হাজার ৬১৫, সুনামগঞ্জে ৩ হাজার ৬৫৪, হবিগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার ৭৬৪ ও মৌলভীবাজারে ৪ হাজার ৩০২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে শনাক্ত হওয়া ৬৮১ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ২২৫ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এ ছাড়া সুনামগঞ্জ জেলার ৯৮ জন, হবিগঞ্জের ১০৫ জন ও মৌলভীবাজার জেলার ১৮৮ জন রয়েছেন।
এদিকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬৫ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হয়েছে।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ জন। তাদের ১১ জনই সিলেট জেলার, একজন মৌলভীবাজারের বাসিন্দা। এ নিয়ে বিভাগে মোট ৫৭০ জন করোনায় মারা গেলেন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ৪৫৮ জন, সুনামগঞ্জের ৪২ জন, হবিগঞ্জে ২৬ জন, মৌলভীবাজারের ৪৩ জন ও সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১২ জন। এর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৫ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ১৮ জন, মৌলভীবাজারে ৪ জন ও ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন। সব মিলিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪৩১ জন। এর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৯৮ জন, সুনামগঞ্জে ৪৩ জন, হবিগঞ্জে ৬৫ জন ও মৌলভীবাজারের ২৫ জন।
একই দিনে সিলেট বিভাগে নতুন করে আরও ২২৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যাদের মধ্যে ১৪১ জন সিলেট জেলার বাসিন্দা। এ ছাড়া ১৪ জন সুনামগঞ্জের, ১৫ জন হবিগঞ্জের, ৯ জন মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা।
এদিকে সিলেটের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আরও ৪৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৪৭৩ জন। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৮ হাজার ১৭৪ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৯৫০ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ২ হাজার ২৬০ জন, মৌলভীবাজারে ৩ হাজার ২০ জন ও ওসমানী হাসপাতালে ৬৯ জন।
সিলেটের চার জেলায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে ৯২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে সিলেট ৬, সুনামগঞ্জ ৩৪, হবিগঞ্জ ৩৬ ও মৌলভীবাজার জেলায় ১৬ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ১২৯ জনকে নতুন করে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর পাশাপাশ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে বুধবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৭৬, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫০, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৬, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২২৫, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৬৬ ও খুলনা বিভাগে ৯২ জন রয়েছেন।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৩৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৪, রংপুর বিভাগে ৩১ ও সিলেট বিভাগে ৪ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৩৩ হাজার ৯৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৭৪ জনের।
প্রসঙ্গত, গত ২০২৩ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান এক হাজার ৭০৫ জন।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যুর পাশাপাশি এই সময়কালে হাসপাতালে ১ হাজার ১৪৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ১৬৬ জনের মৃত্যু হলো। আর সারা দেশে মোট ৩২ হাজার ৮২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ হাজার ১১৩ জন ঢাকার বাইরে। বাকিরা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তিন হাজার ৪৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন, যাদের মধ্যে এক হাজার ৭৩৬ জন ঢাকার বাইরের।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই সময়কালে নতুন করে চারজনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যু হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন একজন।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৫২ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ডেঙ্গুতে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৫৮ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৯৪ জন রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩০ হাজার ৯৩৮ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ শতাংশ নারী।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের মো. মোস্তফা ও গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নাসিমা।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন মহিউদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মোস্তফা। রোববার রাত ২টার দিকে মারা যান তিনি। অপরদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার ভর্তি হয়েছিলেন নাসিমা। তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে মারা যান।’
মহিউদ্দিন খান জানান, ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৫ জন ভর্তি হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট ভর্তি রয়েছেন ৩২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৬ জন, মহিলা পাঁচজন ও একটি শিশু রয়েছে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২২১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম রোববার নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৮ জন। তাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
ডেঙ্গুতে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭০১ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫২০ জন রোগী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৯ হাজার ৭৮৬ জন। তোদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৮৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সাতজনের মৃত্যুর পাশাপাশি এই সময়কালে নতুন করে ৮৬০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৮৫ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৭৫ জন রোগী।
চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫০ জনের, যাদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ পুরুষ ও ৫২ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৮ হাজার ৫৬৫ জন। তাদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
মন্তব্য