× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
৪ জেলায় ৬৪ মৃত্যু
google_news print-icon
করোনা

৫ জেলায় ৭৯ মৃত্যু

৫-জেলায়-৭৯-মৃত্যু
ফাইল ছবি
খুলনা ৪ হাসপাতালে এক দিনে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝিনাইদহে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে সব রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৭৮ জন। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত ১৪ জনের মধ্যে ৬ জন করোনা শনাক্ত হয়ে ও বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

করোনা ও উপসর্গ নিয়ে খুলনায় ২৭, ময়মনসিংহে ১৪, ঝিনাইদহে ১৩, চট্টগ্রামে ১০ ও বগুরায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।

খুলনা

জেলায় ৪ হাসপাতালে এক দিনে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১১, জেলা জেনারেল হাসপাতালে ৫, গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০ ও আবু নাসের হাসপাতালে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পারসন সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, এ হাসপাতালে মৃতদের মধ্যে করোনায় ৭ ও উপসর্গ নিয়ে ৪ জন মারা গেছেন।

এ ছাড়া এ হাসপাতালে ১৮৫ রোগী ভর্তি রয়েছেন। যার মধ্যে রেড জোনে ১২৬, ইয়েলো জোনে ৩১, এইচডিইউতে ১৯ ও আইসিইউতে ১৯ জন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ৪৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৯ জন।

গাজী মেডিক্যালের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, এই হাসপাতালে মৃত ১০ জনের মধ্য খুলনার ৭ ও যশোরের ৩ জন। হাসপাতালে ১২৯ জন ভর্তি রয়েছেন। এক দিনে নতুন ৩৬ রোগী ভর্তি হয়েছেন । সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ জন।

জেলা জেনারেল হাসপাতালের মুখপাত্র আবু রাশেদ জানান, এ হাসপাতালে মৃত ৫ জনের মধ্যে খুলনার ৪ ও নড়াইলের ১ জন। এ হাসপাতালে মোট রোগী রয়েছেন ৭১ জন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন; বাড়ি ফিরেছেন ১৬ জন।

আবু নাসের হাসপাতালের মুখপাত্র প্রকাশ দেবনাথ জানান, এ হাসপাতালে মৃত ১ জনের বাড়ি বাগেরহাটে। ৪৫ জন রোগী ভর্তি যার মধ্যে আইসিইউতে ১০ জন। এখানে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৫ জন; বাড়ি ফিরেছেন ৩ জন।

ঝিনাইদ

গত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাইদহ করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৬২ জন।

সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম জানান, জেলা সদর হাসপাতালে ৯ জন ও শৈলকুপায় মারা গেছেন ১ জন। এ ছাড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ৩ জন।

এদিকে জেলায় নতুন করে ১৬২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ৪৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ ফলাফল এসেছে। আক্রান্তের হার ৩৬ দশমিক ৬৫ ভাগ।

এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ হাজার ৪৮২। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৮৬ জন। বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন ১২৩ জন।

চট্টগ্রাম

সব রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৭৭৮ জন। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।

সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ২৮ শতাংশ।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি জানান, নতুন ১০ জনসহ এই নিয়ে জেলায় করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৫৪। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ৬৯৬।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত ১৪ জনের মধ্যে ৬ জন করোনা শনাক্ত হয়ে ও বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।

হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন মহিউদ্দিন খান মুন জানান, বর্তমানে করোনা ইউনিটে ৩৮৬ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছেন ২০ জন। নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫১ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৪ জন।

জেলা সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম জানান, এক দিনে নতুন করে ৬৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় আক্রান্তের হার ২৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

বগুড়া

বগুড়ায় তিন হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৯ জন ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরও ৬ জন।

করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৯ জনই বগুড়ার বাসিন্দা।

বগুড়ার সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার সাজ্জাদ-উল-হক শুক্রবার সকালে এ সব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫১২টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ১৭০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ২০ শতাংশ। বর্তমানে ১ হাজার ৬২৭ জন চিকিৎসাধীন।

জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৫ হাজার ৪২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৪৫ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৪৫৫ জনের।

আরও পড়ুন:
১ দিনে সর্বোচ্চ, শনাক্ত ছাড়াল ২ হাজার
ছেলেকে আটকাল পুলিশ, অক্সিজেনের অভাবে বাবার মৃত্যু
রাজশাহীতে টানা ২ দিন ১৮ মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ২৪ মৃত্যু
সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধা পেল রাণীনগর উপজেলাবাসী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Mobile trader for alleged looting of goods from the shop in Mymensingh

ময়মনসিংহে দোকান থেকে মালামাল লুটের অভিযোগে মামলা মোবাইল ব্যবসায়ীর

ময়মনসিংহে দোকান থেকে মালামাল লুটের অভিযোগে মামলা মোবাইল ব্যবসায়ীর

ময়মনসিংহ শহরের একটি মোবাইলের দোকান থেকে সম্প্রতি মালামাল লুটের ঘটনায় মামলা করেছেন একজন ব্যবসায়ী।

কোতোয়ালি মডেল থানা মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে মামলাটি গ্রহণ করে।

গত ২০ জুন মালামাল লুটের ঘটনার পর মামলা করতে গেলেও শুরুতে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন আতিকুর রহমান খান।

এ ব্যবসায়ীর ভাষ্য, হারুন টাওয়ার নামের যে মার্কেটে তার দোকান, সেখানকার মালিক গোলাম আম্বিয়া হারুনের প্রভাবে এতদিন মামলা নেয়নি কোতোয়ালি মডেল থানা।

কী আছে মামলার এজাহারে

আতিকুর রহমান খান কোতোয়ালি মডেল থানায় মার্কেট মালিক হারুনসহ ১০ থেকে ১২ জনের নামে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আতিকুর ২০০৬ সালের এপ্রিল থেকে ময়মনসিংহ শহরের ৭ নম্বর সি কে ঘোষ রোডে হারুন টাওয়ারের নিচ তলায় ‘সাঈম টেলিকম’ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। তিনি আট লাখ টাকায় ৫ নম্বর দোকানটির পজেশন কেনেন। এ ছাড়া চুক্তির শর্ত অনুযায়ী নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করেন।

এতে বলা হয়, ১৮ জুন মার্কেট মালিক হারুন জানান, ১৯ জুন হারুন টাওয়ারের নিচতলার সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সে কথা অনুযায়ী তিনি দোকানটি বন্ধ রাখেন। পরবর্তী সময়ে ১৯ জুন তিনি জানতে পারেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ দিয়ে মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। এ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি মার্কেটে গিয়ে হারুনের দেখানো মতে ১৩টি দোকানের উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু দেখেন।

ব্যবসায়ীর এজাহারে উল্লেখ করা হয়, উচ্ছেদের বিষয়ে হারুনের সঙ্গে কথা বললে তাকে জানানো হয়, যারা নিয়মিত ভাড়া দিচ্ছেন, তাদের দোকান উচ্ছেদ করা হবে না এবং তিনি যেন বাড়িতে চলে যান। সে কথা অনুযায়ী তিনি বাড়িতে চলে যান, কিন্তু পরের দিন ২০ জুন মাগরিবের নামাজের পর তিনি খবর পান, হারুনসহ অভিযুক্তরা তার দোকানের সব মালামাল নিয়ে যাচ্ছেন। এ খবরের ভিত্তিতে তিনি মার্কেটের সামনে গিয়ে মালামাল নিয়ে যেতে দেখেন।

তার অভিযোগ, মার্কেটের সামনের কলাপসিবল গেটের তালা বন্ধ করে মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও কর্ণপাত করেননি অভিযুক্তরা। তারা গেটও খোলেননি। এ ছাড়া অভিযুক্তরা দোকান মালিককে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চলে যেতে বলেন।

আতিকুর রহমান খান উল্লেখ করেন, ২০ জুন বিকাল ৩টা থেকে তার দোকানের শাটার, সাইনবোর্ড ও আসবাবপত্র ভাঙচুর শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রকাশ্যে মালামাল নিয়ে যান অভিযুক্তরা। এসব পরিস্থিতি দেখে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েন।

দোকান থেকে মোবাইল, এক্সেসরিজ, আসবাবপত্রসহ মোট ৮৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৩ টাকার মালামাল চুরির অভিযোগ করেন স্বত্বাধিকারী আতিকুর রহমান খান।

এ ছাড়া হারুনসহ অন্যরা দোকান ভাড়া পরিশোধের রসিদ, তিনটি ব্যাংকের চেকবই, বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তিপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন এ ব্যবাসয়ী।

জানতে চাইলে হারুন টাওয়ারের মালিক গোলাম আম্বিয়া হারুন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তোলা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ঘটনার কথা শুনেছি। একটি মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

মন্তব্য

ভারতীয় নাগরিককে জুলাই যোদ্ধা বানিয়ে অপপ্রচার

ভারতীয় নাগরিককে জুলাই যোদ্ধা বানিয়ে অপপ্রচার

ভারতীয় নাগরিককে জুলাই যোদ্ধা বানিয়ে অপপ্রচার শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)’র ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।

বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধানে শনাক্ত হয় যে, ভারতীয় নাগরিককে জুলাই যোদ্ধা বানিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে।

ফ্যাক্টচেক করে দেখা যায় যে, বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওটিতে হুইল চেয়ারে বসা এই ব্যক্তি কোনো জুলাই যোদ্ধা নন। রোগীর ছদ্মবেশে থাকা ওই ব্যক্তি একজন ভারতীয় নাগরিক। তার নাম নজরুল হক।

গত ১৭ মার্চ ভারতের কলকাতা থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন রোগীর ছদ্মবেশে থাকা নজরুল হক নামের এক ভারতীয় নাগরিক। সে সময় তার কাছ থেকে মদ ও কসমেটিকস উদ্ধার করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে ওই ঘটনার ভিডিওকে আহত জুলাই যোদ্ধার কাছ থেকে এয়ারপোর্টে মদ উদ্ধারের ঘটনার ভিডিও দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।

বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ ও জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The suffering is not the end of Satkhira Medical College Hospital

ভোগান্তির শেষ নেই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে

সঠিক চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে বিপাকে রোগীরা
ভোগান্তির শেষ নেই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের যেন ভোগান্তির শেষ নেই। টাকা দিয়ে হাসপাতালের সরকারি ওষুধ নেওয়া, পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠানো, কমিশন বাণিজ্য, হুইলচেয়ার বাণিজ্য ও প্রথমে সাপ্লাই নেই বলে রোগীকে ওষুধ না দেওয়াসহ নানা অনিয়মের চিত্র দেখা গেছে। এসব কারণে সঠিক চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে বিপাকে রয়েছেন রোগীরা।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে এসব অভিযোগ পাওয়া যায় অহরহ।

এদিকে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনীর একটি দল। এ সময় তারা সরকারি ওষুধ বিক্রি এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রোগীকে দেওয়ার অভিযোগে মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ড বয় হরষিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

হরষিতের কাছ থেকে সরকারি ওষুধ কিনে বিপাকে পড়া সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া এলাকার মোহাম্মদ আলী বলেন, ঈদের পরদিন আমার স্ত্রীকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করালে ডাক্তার প্রেসক্রিপশন করে দিয়ে বলেন, এ ওষুধ সাপ্লাই নেই, বাহিরে থেকে নিয়ে আসেন। আমি প্রথম থেকেই সব ওষুধ বাহির থেকেই নিয়ে আসছিলাম, হঠাৎ এক ওয়ার্ড বয় বলল চাচা ওই ওষুধটা বাহিরের থেকে কত টাকা করে কিনছেন? আমি বললাম ৮৫০ টাকা। পরে সে ওষুধ ৫০০ টাকায় ওয়ার্ড বয় আমাকে।

মোহাম্মদ আলী বলেন, চারটা ওষুধ আমার স্ত্রীর শরীরে পুশ করলে জ্বালা যন্ত্রণার অনুভব করে এবং তার জ্বর আসে। পরে জানা যায় ওষুধগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ।

এদিকে, সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে ওষুধ বিক্রির কথা স্বীকার করে মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ড বয় হরষিত বলেন, আমি ছয়-সাত মাস আগে হাসপাতালে ডাস্টবিন থেকে কয়েকটি ওষুধ কুড়িয়ে পাই। সুযোগ বুঝে এখন ওষুধগুলো বিক্রি করেছি।

এদিকে হরষিতের কাছ থেকে কেনা ছয়টি ওষুধের অবশিষ্ট দুটি ওষুধে দেখা গেছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মেয়াদ শেষ।

আব্দুল গফুর নামে একজন বলেন, টাকা ছাড়া এখানে কোনো কাজই হয় না। রোগীর যদি কোনো পরীক্ষা করতেই হয় টাকা দিতে হয়। এরপর হুইল চেয়ারে যদি টয়লেটে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে ১০০ টাকা করে দিতে হয়। টাকা নিয়েই সব কাজ করে তাহলে এটি সরকারি হাসপাতাল হলো কিভাবে।

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন বেলাল বলেন, আমরা এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মেডিকেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিটিং করেছি। হাসপাতালে ডাক্তাররা ঠিকমতো ডিউটি না করা, গাড়ির গ্যারেজে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করেছি। ওষুধ থাকবে হাসপাতালের স্টোরে। যেখান থেকে সুষ্ঠুভাবে রোগীর হাতে পৌঁছাবে। সেই ওষুধ কীভাবে ওয়ার্ড বয়ের মাধ্যমে বিক্রি হলো এটার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. কুদরতে খোদা বলেন, ওষুধ বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনারা রোগীর লোককে একটু বলেন, আমার কাছে একটা অভিযোগ দিতে। তাহলে যে এ কাজ করেছে তাকে আউট করে দেব।

মন্তব্য

মাসে আয় অর্ধ লাখ

কালো সৈনিক পোকা থেকে মাছের খাবার উৎপাদন

কালো সৈনিক পোকা থেকে মাছের খাবার উৎপাদন

ইউটিউবে ভিডিও দেখে নওগাঁয় কালো সৈনিক পোকা বা ব্ল্যাক সোলজারস ফ্লাই নামের একটি পোকা থেকে লার্ভা উৎপাদন করে সাফল্য পেয়েছেন আহসান হাবিব নামে উদ্যোক্তা। এ পোকার লার্ভা মাছের বিকল্প খাবার হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি বিক্রি করে প্রতি মাসে আয় করছেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। মাছের খাবারের বিপল্প হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় এই পোকা চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয়দের। উদ্যোক্তা আহসান হাবিব সদর উপজেলার তিলেকপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত উলিপুর গ্রামের বাসিন্দা।

জানা যায়, আহসান হাবিব পেশায় একজন কৃষক। কৃষি কাজের পাশাপাশি তিনি পুকুরে মাছ চাষ করতেন। বাজারে যখন মাছের খাবারের মূল্য বৃদ্ধি তখন খরচ কমাতে বিকল্প পথ খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালে ইউটিউব ভিডিও দেখে কালো সৈনিক পোকা বা ব্ল্যাক সোলজার চাষের আগ্রহ হয়। পরিকল্পনা করেন এই পোকা চাষের। ২০২৪ সালে খামার সম্প্রসারণে পিকেএসএফ এর কারিগরি সহযোগিতায় মৌসুমি আরএমটিপি প্রকল্প তাকে সহায়তা দেন। এরপর কালো সৈনিক পোকা বা ব্ল্যাক সোলজারস ফ্লাই বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে সাফল্য পান। মাসে এখন তার খামারে ২৫০ থেকে ২৬০ কেজি লার্ভা উৎপাদন হয়। নিজের পুকুরে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি বিক্রি করে থাকেন। এলাকায় তিনি পোকা চাষি হাবিব নামে পরিচিত।
কালো সৈনিক পোকা বা ব্ল্যাক সোলজারস ফ্লাই মূল পোকাগুলো একটি জালের মধ্যে, দিনের বেলায় আলো-বাতাস আসে এমন জায়গায় রাখা হয়। পোকাগুলো প্রজনন সম্পন্ন করার পর সেখানে কাঠের স্তরের মধ্যে ডিম পাড়ে। সেই ডিমগুলো হ্যাচিং করে ফোটানোর কিছুদিন পর আলাদা করে অন্য জায়গায় রাখা হয়। এরপর সেখান থেকে তৈরি হয় লার্ভা। এসব লার্ভা উৎপাদন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বাসা বাড়ি, হোটেল-রেস্তোরাঁ উচ্ছিষ্ট খাবার, পচনশীল ফলমূল অথবা শাকসবজি। এসব পচনশীল আবর্জনা সংরক্ষণ করে সেটির প্রক্রিয়াজাত করা হয়। তারপরও সেখানে জন্ম নয় এসব লার্ভা। এসব পোকা মাছের জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। ব্যাপক প্রোটিনসমৃদ্ধ হওয়ায় মাছের বিকল্প খাবার হিসেবে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটি ব্যবহারে যেমন উৎপাদন বাড়বে তেমন কমবে খরচে উৎপাদনে। শুধু লার্ভা উৎপাদনে নয় আবর্জনা ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে দূষণ কমাতে সহায়ক ভৃমিকা রাখছে এমন উদ্যোগ।

স্থানীয় মাছ চাষি রফিকুল ও রাজা বলেন, আমাদের নিজেদেরই পুকুর আছে। বাজার থেকে খাবার কিনে মাছে চাষে খরচ বেশি হয়। লাভবান হওয়া যায় না। কিন্তু কম খরচে উচ্ছিষ্ট খাবার থেকে কালো সৈনিক পোকা বা ব্ল্যাক সোলজারস থেকে লার্ভ তৈরি করে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করলে লাভবান হওয়া যাবে। চিন্তাভাবনা করেছি আহসান হাবিরের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে এরকম একটি উদ্যোগ নিবো।

মৌসুমি আরএমটিপি প্রকল্পের মনিটরিং কর্মকর্তা আব্দুর রউফ পাভেল বলেন, উন্নয়ন সংস্থা মৌসুমির মাধ্যমে জেলায় এই প্রথম আগ্রহী মাছ চাষিদের মাধ্যমে কালো সৈনিক পোকা চাষের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চাষিদের মাছ চাষে অধিক লাভবান করতে ও ভোক্তাদের মাঝে বিষমুক্ত মাছ পৌছে দিতেই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীতে এই প্রকল্পটি আরো বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

নওগাঁ সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো: বায়েজিদ আলম বলেন, এই পোকার খাবার হচ্ছে ফেলে দেওয়া বাড়ির উচ্ছিষ্ট, ময়লা আর আবর্জনা। ফেলে দেয়া এই ডাস্টগুলো রিসাইকেল হতে যে ক্ষতিকর গ্রীণ হাউজ গ্যাস নি:সরণ ঘটে সেই গ্যাসও এই পোকা শোষণ করে। মাছ চাষি ও ভোক্তাদের মাঝে এই পোকার উপকারি দিক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সরকারি ভাবেও এই পোকা চাষের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় গবেষণার মাধ্যমে ফিডের মতো করে এই পোকার পাউডার তৈরি করে বাজারজাত করতে পারলে চাষিদের মাছ চাষে খরচ কমার পাশাপাশি দেশের ভোক্তাদের কাছে বিষমুক্ত মাছ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হতো। এছাড়াও আবর্জনা ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে দূষণ কমাতে সহায়ক ভৃমিকা রাখবে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Biodiversity in Kushtia is lost in Kushtia

কুষ্টিয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে পাখি, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য

কুষ্টিয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে পাখি, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য

মানুষের আগ্রাসন অপরিকল্পিত নগরায়নে প্রতিনিয়ত উজাড় হচ্ছে গাছ। বনাঞ্চলের সঙ্গে কমছে প্রাণীর সংখ্যাও। খাদ্য ও বাসস্থানের সংকট, অবৈধ শিকার, পাচার, কীটনাশকের অতি ব্যবহারের মতো নানা কারণে প্রতি বছরই পৃথিবী থেকে কোনো না কোনো প্রাণী বিলুপ্ত হয়। কুষ্টিয়াতে প্রায় বিলুপ্তির পথে জীববৈ চিত্র্য। গাছ-পালা নিধন দ্রুত শহরায়নের ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে পাখি।

কৃষিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার, মিল কল কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য ও কারেন্ট জালের ব্যবহারের ফলে মারা পড়ছে কৃষিবান্ধব পাখি। রাস্তার দুপাশে গাছ, ক্যানাল এর দুপাশেরসহ বিভিন্ন ফসলের মাঠের ধারের বড় বড় গাছ, কলকারখানা, ইটভাটা, প্লাইউড কারখানা ও আবাসস্থল তৈরির জন্য গাছ ও বনজঙ্গল নির্বিচারে কেটে ধ্বংস করে জলবায়ু পরিবর্তন ও পাখিদের হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এক সময় বিল ও জলাশয়ের ধারে দল বেধে নামত দেশি সাদা বক। কৃষকের লাঙ্গল দিয়ে জমি কর্ষণ ও ফসল কাটার সময় পাখির দল কৃষককে ঘিরে ধরত। ওই পাখির দল ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে পেট ভরত। জীববৈচিত্র্যে আদরমাখা এই দেশি পাখি এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। শুধু গ্রামগঞ্জে ফসলের জমিতে ও শহরের কিছু জলাশয়ে শীতের মৌসুমে দেখা মেলে স্বল্পসংখ্যক পাখির।

এক সময় কুষ্টিয়া জেলার গ্রামের মাঠে ধানের ক্ষেতে চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করার সময় দেখা গেল শত শত সাদা বক ও বিভিন্ন দেশী পাখি। এইসব বক ও পাখি উড়ে এসে কৃষক ও লাঙ্গলের ফলার চার পাশে ঘিরে কিচিরমিচির শব্দে উড়ে উড়ে পোকা খেত। কখনো ঝাঁক ধরে উড়ে যেত আকাশে। কখনো আবার এক জমি থেকে অন্য জমিতে উড়ে গিয়ে বসতো। এরই মাঝে ধরে ধরে জমি থেকে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় খেতে। অপূর্ব এই কোলাহল দেখে মুগ্ধ হত পথচারীরা। কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন কৃষকরা জানান, এই সাদা বক ও পাখি আমাদের অনেক উপকার করে। চারা ধানের জমিতে মাজরা পোকা ও ফড়িংসহ ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ফসল রক্ষা করে পাখিরা। এছাড়া ক্ষেতে পানি দেওয়ার পর যেসব পোকা ভাসতে থাকে তারা তা খেয়ে সাবাড় করে। এতে ফসলের উপকার হয়। কিন্তু এখন সৌন্দর্যের প্রতীক এই সাদাবক ও পাখি আগের মতো আর দেখা যায় না।

বিভিন্ন কলকারখানার বর্জ্য, নির্বাচারে বৃক্ষনিধন ও পাখি শিকারিদের ফাঁদে পড়ে প্রায় বিলুপ্তির পথে এই সব উপকারী পাখি।

পাখি সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ জীব ও বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশন (বিবিসিএফ) এর সহসভাপতি শাহাবউদ্দিন মিলন বলেন, পাখি প্রকৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেমন তাদের আবাসস্থল ঠিক রাখা উচিত তেমনি তাদের খাদ্যের উৎস রক্ষা করা জরুরি। পাখি শুধু পরিবেশের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না বরং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, কৃষি ও কৃষকের বন্ধু হিসেবে কাজ করে এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই পাখি সুরক্ষার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আবাসস্থল সংরক্ষণ, শিকার ও পাচার বন্ধ করতে হবে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Thousands of people from mustard were released from suffering
দীর্ঘদিন পর রাস্তা সংস্কার

ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেলো সরিষাবাড়ীর ৮ হাজার মানুষ

ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেলো সরিষাবাড়ীর ৮ হাজার মানুষ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চরাঞ্চলের কাঁদাময় ও ভাঙ্গাচোরা রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া ব্রিজপাড়সংলগ্ন গাছ বয়ড়া মানু মেম্বারের বাড়ি হতে বিন্নাফৈর মোড় হয়ে টাকুরিয়া পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘ ১০ বছর পর কাদাযুক্ত ও ভাঙ্গাচোরা কাঁচা সড়কটি সংস্কার করা হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামিম এর নির্দেশে পোগলদিঘা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান ফরহাদের নিজস্ব অর্থায়নে এ রাস্তাটি সংস্কার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই রাস্তাটি একাধিকবার দাবি জানালেও কোনো চেয়ারম্যান বা মেম্বার মেরামত, সংস্কার করেনি। একটু বৃষ্টি হলেই পানি উঠে যায়, বিভিন্ন স্থানে কাঁদা হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। স্কুল-কলেজে যাওয়ার মতো অবস্থা থাকে না। বয়ড়া ব্রিজ ও মাদারগঞ্জ-ধনবাড়ী মহাসড়কের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ এই মাটির কাঁচা রাস্তাটি পাকা করা হয়নি। এর ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের।

পোগলদিঘা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান ফরহাদ বলেন, এই ইউনিয়নের সব থেকে পিছিয়ে আছে এই গ্রামটি৷ কারন এই কয়েকটি গ্রামে বিএনপির সমর্থক বেশি। তাই ইচ্ছে করেই কোন চেয়ারম্যান এ রাস্তার উন্নয়ন করেনি। অনেক সময় কাঁদায় গাড়ি আটকে বিকল হয়ে গেলে গাড়ি আটকা পড়লে অন্য কোন গাড়ি আর যেতে পারে না। যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানের রাস্তাটির করুন অবস্থা আমাদের জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম ভাইকে জানালে তার নির্দেশে আমি আমার নিজস্ব অর্থায়নে অবহেলিত এই গ্রামের মানুষের সঙ্গে নিয়ে পুরো রাস্তাটি সংস্কার কাজ করছি।

উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি চাঁন মিয়া চানু মন্ডল বলেন, এক যুগেও এক টুকরো মাটি দেওয়া হয়নি, উন্নয়ন বঞ্চিত এ রাস্তাটি পাকাকরণ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। বর্ষায় চলাচলের অযোগ্য এ রাস্তায় পানি জমে ভোগান্তি বাড়ে কয়েক গুন। বিভিন্ন স্থানের পানি রাস্তায় উঠে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি ছড়ায় পানিবাহিত রোগও। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে দ্রুত এই রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানান তিনি।

স্বাস্থ্য
People expect the rule of law to the government
রুহুল কবির রিজভী

জনগণ সরকারের কাছে আইনের শাসন প্রত্যাশা করে

জনগণ সরকারের কাছে আইনের শাসন প্রত্যাশা করে

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এই সরকারের কাছে মানুষ আইনের শাসন প্রত্যাশা করে। আপনারা দৃষ্টান্ত রেখে যাবেন, যাতে করে নির্বাচিত সরকার এলে আপনাদের ভালো দৃষ্টান্তগুলো চিহ্নিত করে আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা করে।’

তিনি বলেন, কেন এই সময়ে এসে এত খুন-জখম হবে, কেন এত ডাকাতি, চুরি হত্যাকাণ্ড ঘটবে, এসব বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। বলা হচ্ছে, পুলিশের মধ্যে এখনো আস্থা ফিরে আসেনি, কেন আস্থা ফিরবে না? গতকাল বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘আমরা বিএনপির পরিবার প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় জুলাই-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন,’ ২৪ জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পটভূমি রচনার প্রধান নায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আমরা দেখেছি যখন ছাত্র-জনতা বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তখন তিনি দলের সব নেতা-কর্মীকে নির্দেশ দিয়েছেন তাদের সঙ্গে আন্দোলনে সক্রিয় থাকার জন্য। কখনো তিনি লন্ডন থেকে বক্তব্যের মাধ্যমে কখনো আমাদের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এই আন্দোলনে আমাদের ছাত্রদলের অনেক নেতা-কর্মী, বিএনপির সমর্থক অনেকেই আত্মহুতি দিয়েছেন গণতন্ত্রকে ফেরানোর জন্য।’ বিডিআর হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে রিজভী বলেন, ‘আমরা বিডিআর হত্যাকাণ্ডের যে ঘটনাগুলো দেখেছি, সেখানে আমরা শুনতে পাচ্ছি, জানতে পারছি- যারা তদন্তে আছেন তারা নানা কারণেই গোপনীয়তা রক্ষা করছেন, যদিও তারা বলেছিলেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে হয়তো বিশেষ কারণে নামগুলো এখনো বলছেন না। কিন্তু রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতায় যা হয়েছে এইটা বলছেন তারা। তার মানে পরিকল্পিতভাবে পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল। হয়তো কারও স্বার্থে প্রভুদের স্বার্থে অথবা অন্য কোনো স্বার্থে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল তৎকালীন যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল।’ তিনি বলেন, ‘এমন দেশ তো এই দেশের মানুষ চায়নি। যে দেশ যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হতে এত মানুষের প্রাণহানি, এত ক্ষয়ক্ষতি, সেই দেশে নিজের দেশের সরকার জোর করে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে নানা ধরনের প্রকল্প তৈরি করেছিল এবং তারা যে বয়ান তৈরি করত সেই বয়ানগুলোও ছিল পরিকল্পিত। যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বিপক্ষের শক্তি এমন নানা ধরনের কথা বলে গোটা দেশটাকে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে প্রতি সেকেন্ডে ওরা বিভাজন করে রেখে গেছে।’

মন্তব্য

p
উপরে