× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
শাটডাউনেও লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু শনাক্ত শতকরা হার
google_news print-icon

শাটডাউনেও লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু, শনাক্ত, শতকরা হার

শাটডাউনেও-লাফিয়ে-বাড়ছে-মৃত্যু-শনাক্ত-শতকরা-হার
শয্যা আর আইসিইউর মতোই অক্সিজেনের সরবরাহও বড় শহরকেন্দ্রিক। মফস্বলের হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি। আর গ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকার সমস্যারও যেন কোনো সমাধান নেই।

করোনার বিস্তার ঠেকাতে গত এপ্রিলে যখন লকডাউন দেয়া হয়, সে সময় পরিস্থিতির দৃশ্যমান অগ্রগতি ছিল দুই সপ্তাহে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন।

শাটডাউন নামে পরিচিতি পাওয়া বিধিনিষেধে এবার অন্যান্য বারের তুলনায় মানুষের চলাচল সীমিত। কিন্তু ভাইরাস ছড়াচ্ছে ব্যাপকভাবে। শনাক্তের সংখ্যা, শতকরা হার প্রতিদিন যেমন বেড়েই চলেছে, তেমনি বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।

করোনার ইতালীয় ধরনের পর যুক্তরাজ্য ও সাউথ আফ্রিকান ধরনের তুলনায় ভীতি জাগানিয়া ভারতীয় ধরন বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যেমন ছড়াচ্ছে বেশি, তেমনি মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের মধ্যে অনীহা স্পষ্ট।

আর করোনার প্রথম ঢেউ বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রথম দিকে বড় শহর এলাকায় রোগীর সংখ্যা বেশি হলেও এবার আক্রান্ত হচ্ছে মফস্বল বা গ্রামের মানুষ।

পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউন বা বিধিনিষেধ অমান্য করার কারণে রোগীর সংখ্যা যদি অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, তাহলে আমরা আবারও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাব।’

গত বছর দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর দেশের হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার অপ্রতুলতা, শয্যা, বিশেষ করে অক্সিজেন সরবরাহে অবকাঠামোর ঘাটতি আর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউর অভাবের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

এই এক বছরে শয্যা বা আইসিইউ যত বাড়ানো হয়েছে, তার বেশির ভাগ প্রধান শহরগুলোতে। মফস্বলে শয্যা পাঠালেও বিশেষজ্ঞের অভাব বা টেকনিশিয়ান না থাকায় আইসিইউ ইউনিটগুলো চালু করা যায়নি। সেই সঙ্গে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়নি।

এরই মধ্যে সাতক্ষীরা, বগুড়া, কুষ্টিয়ায় পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর খবর এসেছে গণমাধ্যমে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অক্সিজেনের চাহিদা মেটানোর মতো সক্ষমতা এখনও আছে। তবে সরবরাহ নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে।

শয্যা আর আইসিইউর মতোই অক্সিজেনের সরবরাহও বড় শহরকেন্দ্রিক। মফস্বলের হাসপাতালে সেন্টাল অক্সিজেনব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়নি। আর গ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকার সমস্যারও যেন কোনো সমাধান নেই।

শাটডাউনেও লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু, শনাক্ত, শতকরা হার
ক্রমেই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে কমছে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা। ছবি: নিউজবাংলা

এই পরিস্থিতিতে তোপের মুখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টাতে তার মন্ত্রণালয়ের দৃশ্যমান তৎপরতা নেই।

আর যে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে, সেটিও সেভাবে কার্যকর হচ্ছে না বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেলিন চৌধুরী। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে গেলে লকডাউন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। অর্ধেক লকডাউন অর্ধেক খোলা রেখে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। সবকিছু খোলা রেখে লকডাউন দেয়া মানে লকডাউনের সঙ্গে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নেই।’

বিজ্ঞানসম্মতভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন হয়নি দাবি করে তিনি মানুষের মধ্যে উদাসীনতার বিষয়টি তুলে ধরেও আক্ষেপ করেন। সেই সঙ্গে সরকারের পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেই বলেও মনে করেন তিনি।

এই চিকিৎসক বলেন, ‘মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ও মাস্ক পরানোর জন্য প্রশাসনের কর্মসূচি দেখেছি। তবে বিনা মূল্যে মাস্ক দেয়ার কোনো কর্মসূচি দেখিনি। একই সঙ্গে জনগণ কেন মাস্ক পরে না, সে কারণ খোঁজার চেষ্টাও করি না। আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রচুর কথা বলেছি। তবে অনেক কম কাজ করেছি। গত দেড় বছর জেলা শহরে আইসিইউ তৈরি করতে পারলাম না। অথচ জেলা শহরগুলো এখন করোনা রোগী বেশি বেড়েছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতিরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, এটা আমাদের মানতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘রোগীর সংখ্যা যদি আমরা না কমাতে পারি, যতই প্রস্তুত থাকুন না কেন, ১৬ কোটি মানুষের দেশে আমরা কত বিছানা দেব? বিছানা দিয়েও সামাল দেয়া যাবে না। আপনারা দেখছেন, কঠোর লকডাউনের মধ্যে মানুষ কীভাবে বের হচ্ছে। লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। এমন হতে থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হবে।’

তিনি বলেন, ‘উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আমরা শয্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করছি।’

শাটডাউনের ছয় দিনে রোগী, মৃত্যু বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে

গত ১ জুলাই থেকে শাটডাউন শুরুর পরদিন ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪৩ জন। এরপর তা বেড়ে ১৫৩ জন হয় গত ৪ জুলাই। ৫ জুলাই জানানো হয় ১৬৪ জনের মৃত্যুর তথ্য।

পরদিন মৃত্যু ছিল ১৬৩ জনের। আর বুধবার এক লাফে মৃত্যু ছাড়িয়ে যায় দুই শর ঘর। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২০১ জনের।

মৃত্যুর পাশাপাশি বাড়ছে শনাক্ত আর পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের শতকরা হার।

শাটডাউনেও লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু, শনাক্ত, শতকরা হার
শাটডাউন কার্যকরে পথে পথে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। ছবি: সাইফুল ইসলাম

১ জুলাই ৮ হাজার ৩০১ জন শনাক্তের কথা জানায় সরকার। আগের সেই ২৪ ঘণ্টায় যতজন পরীক্ষা করেছিলেন, তাদের মধ্যে শনাক্তের হার ২৫.৯০ শতাংশ।

৪ জুলাই সরকার জানায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে মোট ৮ হাজার ৬৬১ জন। আর নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮.৯৯ শতাংশ।

পরের দিন শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৯৬৪ জন। আর শনাক্তের হার আরেকটু বেড়ে হয় ২৯.৩০ শতাংশ।

৬ জুলাই শনাক্তের সংখ্যা প্রথমবারের মতো ছাড়ায় ১০ হাজার। সেদিন আগের ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৫২৫ জন শনাক্ত হয়। শতকরা হার ছিল ৩১.৪৬ শতাংশ।

আর ২০১ জনের মৃত্যুর দিন শনাক্ত হয় ১১ হাজার ১৬২ জন। শনাক্তের হার দাঁড়ায় ৩১.৩২ শতাংশ।

করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। উদ্বেগ থাকলেও প্রথম কয় মাসে ভাইরাসটি সেভাবে ছড়ায়নি।

তবে মে মাস থেকে ব্যাপকভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তখন আক্রান্তের হটস্পট ছিল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামের মতো জনবহুল শহরগুলো।

গত শীতে দ্বিতীয় ঢেউ আসার উদ্বেগ থাকলেও সংক্রমণ, মৃত্যু- দুটোই কমে আসে। একপর্যায়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে আসে, যেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ধরা যায়।

তবে গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে শনাক্তের হার আবার বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার পর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ভারতে করোনার নতুন ধরনের কথা জানা যায়।

সেই ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তদের দ্রুত অসুস্থ করে দেয়, তাদের অক্সিজেন লাগে বেশি। আর ছড়ায় দ্রুত, তাই মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।

বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয় ২৪ এপ্রিল। কিন্তু অবৈধ পথে যোগাযোগ, বৈধ পথে দেশে এসে সীমান্তে বিধিনিষেধ না মেনে লুকিয়ে বাড়ি ফেরার প্রবণতার কারণে ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকানো যায়নি।

প্রথমে ভারতীয় ধরন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রাজশাহী অঞ্চলে ব্যাপক মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরে তা ছড়ায় খুলনা বিভাগে। সেই সঙ্গে ঢাকা বিভাগের বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল আর টাঙ্গাইল এলাকাতেও সংক্রমণ ঘটে ভাইরাসটির।

পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় গত ২২ জুন থেকে ঢাকাকে ঘিরে রাখা সাত জেলায় যান চলাচল বন্ধ করে রাজধানীকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এতেও কাজ না হওয়ায় ১ জুলাই থেকে শুরু হয় শাটডাউন। সরকার জনগণের চলাচল রোধে এবার যে কঠোর, তার প্রমাণ মেলে সেনাবাহিনী মোতায়েনেই।

অকারণে বাড়ির বাইরে আসায় প্রতিদিনই বিপুল পরিমাণ জরিমানা আদায় করা হচ্ছে; কেবল ঢাকায় আটক করা হচ্ছে কয়েকশ মানুষকে। শাটডাউন প্রথমে সাত দিনের জন্য দেয়া হলেও পরে তা বাড়ানো হয়েছে আরও সাত দিন।

আরও পড়ুন:
স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা: খাদ্য বিলি স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতির
কুমিল্লায় এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত ৩৯৩, মৃত্যু ৭
সরকারি ব্যাংকের ২৮০০ পদে নিয়োগ আটকে
‘দেশের মানুষ কঠিন সময় পার করছে’
অসচেতনতার কারণেই এত মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
In the last 24 hours the death of dengue is 5 deaths this week

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩৯৪, চলতি সপ্তাহে মৃত্যু ৩

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৩৯৪, চলতি সপ্তাহে মৃত্যু ৩

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে। সোমবার (২৩ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। আর এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৯৪ জন। আর চলতি সপ্তাহের এই কয়েকদিনে রোগটিতে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।

সোমবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের ঘটনা ঘটে। এ সময়ের মধ্যে বিভাগটিতে আক্রান্ত হয় সর্বোচ্চ ১৫৭ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৯৪ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯২ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩০২ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পুরুষ এবং ৫০ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮ হাজার ৫৪৪ জন। এর মধ্যে ৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
In Barisal Dengue the death of a hundred year old woman is 120

বরিশালে ডেঙ্গুতে শতবর্ষী নারীর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১২৬

বরিশালে ডেঙ্গুতে শতবর্ষী নারীর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১২৬

বরিশাল বিভাগের বরগুনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধা রাবেয়া (১০০) মারা গেছেন। গতকাল সোমবার ভোরে তিনি বরগুনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বরগুনার বাসিন্দাই রয়েছে ৬ জন। এদিকে গত রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। একই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১২৯ জন।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সোমবার ভোরে মৃত্যু হওয়া শতবর্ষী রাবেয়া বেগম বরগুনা সদরের বাসিন্দা। তাকে গত রোববার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

স্বাস্থ্য বিভাগে তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ১৩ জন ভর্তি হয়েছে। এছাড়া বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে ৮ জন।

পটুয়াখালী জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ৭ জন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জন, ভোলা সদর হাসপাতালে ৫ জন ভর্তি হয়েছে। পিরোজপুরে ১৬ জন ও বরগুনায় ৭৩। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ঝালকাঠিতে কেউ আক্রান্ত হয়নি।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উদ্বেগ ও আশংকাজনক। এ পরিস্থিতি থেকে বেরুতে হবে। তাই মশার বিস্তার রোধ করতে বাড়ির আশে-পাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।

স্বাস্থ্য
Two more deaths are admitted to the hospital in the ups and more of the dengue victim

ডেঙ্গু আক্রান্তের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯২

ডেঙ্গু আক্রান্তের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৯২

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে ঊর্ধ্বগতির আক্রান্তের হারের মধ্যে দেশে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২২ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যু হয়। আর এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৯২ জন।

সোমবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা সিটি করপোরেশন ও বরিশাল বিভাগে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আর আক্রান্তের হারে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে বিভাগটিতে নতুন করে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৬ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৯২ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৬ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩০৬ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পুরুষ এবং ৫০ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮ হাজার ১৫০ জন। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ শতাংশ নারী।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Corona 3 more deaths across the country are new to identify

করোনা: সারাদেশে আরও ৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩৬

করোনা: সারাদেশে আরও ৫ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩৬

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে ৩৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

রবিবার (২২ জুন) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনায় মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫১৫ জনে এবং মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৭৮ জনে।

২৪ ঘণ্টায় ৬২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, সে অনুযায়ী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষায় সংক্রমণের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্তদের মধ্যে মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Memorandum of EB students demanding promoting health and transport services

স্বাস্থ্য ও পরিবহন সেবা উন্নীতকরণের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

স্বাস্থ্য ও পরিবহন সেবা উন্নীতকরণের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবহন ব্যবস্থা উন্নীতকরণের লক্ষ্যে চার দফা দাবি উপস্থাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ইবি শিক্ষার্থী তানভীর মাহমুদ মন্ডলের প্রতিনিধিত্বে এই দাবিসমূহ জানানো হয়েছে।

২২ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন শিক্ষার্থীরা।

স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘাটতি রয়ে গেছে। একটি উন্নত, মানবিক ও কার্যকর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবহন ও চিকিৎসা ব্যবস্থা অপরিহার্য। উপস্থাপিত চার দফা দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের স্থায়ী সংস্কারের লক্ষ্যে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সভার আয়োজন করা, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসাসেবা উন্নতিকরণ এবং কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট সিট সার্বক্ষণিক সংরক্ষণের ব্যবস্থা, পরিবহন পুল থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন অপসারণ এবং চালক ও সহকারীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা এবং পরিবহন সংকট নিরসনে জরুরিভিত্তিতে নতুন যানবাহন সংযোজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তানভীর মন্ডল জানান, ‘স্মারকলিপি দিয়েছি। উল্লেখ করা দাবি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা আরও নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও মর্যাদাপূর্ণ শিক্ষাজীবন উপভোগ করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবনাগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’

শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ উপস্থাপন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আশ্বস্ত করে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা খুবই যৌক্তিক কিছু দাবি উত্থাপন করেছে৷ কয়েকদিন আগেও আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী বাস-ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। এর আগেও এমন দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Another one who died in dengue is 12

ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৫২

ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৫২

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যু হয়। আর এই সময়ের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৫২ জন।

শনিবার (২১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা সিটিতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আর আক্রান্তের হারে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে বিভাগটিতে নতুন করে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৭ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৫২ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬২ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৯০ জন।

বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ হাজার ৪২৯ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ নারী।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The common man is in danger of 6 months off the supply of drugs

ওষুধ সরবরাহ বন্ধ ৮ মাস বিপাকে সাধারণ মানুষ

ওষুধ সরবরাহ বন্ধ ৮ মাস বিপাকে সাধারণ মানুষ

সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ না থাকায় ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। প্রায় সাত-আট মাস কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় এতে তৃণমুলে বসবাসকারী অবহেলিত মানুষগুলো স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে। এমনটিই আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

জানা গেছে, নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলা ও একটি প্রশাসনিক থানা এলাকায় ৪০টি ইউনিয়ন পরিবারকেন্দ্র এবং মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সিভিল সার্জন কর্তৃক সাতটি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র পরিচালিত হয় । বাকিগুলো পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ অধিদপ্তর থেকে পরিচালিত হয়ে থাকে।

সিভিল সার্জন কর্তৃক পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সদর উপজেলায় তিনটি, লোহাগড়া উপজেলায় তিনটি এবং কালিয়া উপজেলায় একটি। এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসাসেবার ওপর গ্রামাঞ্চলের নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষগুলো সুস্থ ও সবলভাবে বেচে থাকার জন্য অনেকটিই নির্ভর করে। এসব কেন্দ্রগুলোতে সরকারি ওষুধ সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ । কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সংকটের কথা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ।

গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার জেলার কয়েকটি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, চিকিৎসাসেবা নিতে আসা গ্রামের অনেক মহিলা চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসাপত্র নিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তাদের মুখখানা ছিল মলিন । আবার অনেক কেন্দ্র ছিল ফাকা। দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার একটি কক্ষে বসে গল্পে মেতে আছেন বন্ধুদের সঙ্গে। গত মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মো.আলাউদ্দীন কেন্দ্রের একটি কক্ষে চুপচাপ বসে আছেন । জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আমাদের এখানে ২৫ রকমের ওষুধ বরাদ্দ ছিল। তখন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শিশু-নারী ও পুরুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে জড়ো হতেন। গত সাত-আট মাস হলো কোনো ওষুধ সরবরাহ নেই । ফলে কেন্দ্রে রোগীদের তেমন ভিড়ও নেই। শুধু পরিবার পরিকল্পনা কিছু সামগ্রী আছে তাই দিয়ে সেবা চলছে। তিনি বলেন, এখানে যেসব রোগী আসে তার বেশিরভাগ হচ্ছে শিশু ও নারী। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগীকে সেবা দিয়েছি। বর্তমানে ১৫ থেকে ২০ জনের বেশি হয় না।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হলে তৃণমুলে সাধারণ মানুষ বিপদে এবং স্বাস্থ্যসেবা ঝুঁকিতে পড়বে বলে মনে করেন নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.রবিউল ইসলাম।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। না হলে গ্রামের কৃষক শ্রেণির মানুষের জীবনের ছন্দ পতন ঘটবে। গতকাল বুধবার দুপুরে লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কুমড়ি গ্রাম থেকে ছোট শিশুকে কোলে নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিতে এসেছেন সালমা আক্তার । তার কোলের শিশুর সর্দি-কাশি দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগে এহেনে ডাক্তার দেহালি ওষুধ দেতো। এহোনে দেচ্ছে না । কাগজে লেহে দিলি আমাগে বাজারের দুয়ানতে কিনে নিতি হচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ। অত টায়া পয়সা নাই আমাগে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকাররে কচ্ছি আগের মতো আমাগে মাগনা (বিনা টাকায়) ওষুধ দিতি হবে।’

কালিয়া উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের মুলশ্রী গ্রামের দীপ্তি রানী মণ্ডল বুকে ব্যথা অনুভব করলে নিজের ওষুধ নিতে এসেছেন ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে। তিনি বলেন, ‘এহেনের ডাক্তার সাদা কাগজে কী যেন লেহে দেলো। আর কলো এই কাগজ নিয়ে বাজারের দুয়ানেরতে অসুদ কিনতি হবে । কিরাম কতা হলো কওদিন বাপু । আমাগে যদি দুয়ানেরতে অসুদ কিনতি হবে তালি তুমরা এহানে বসে রইছো ক্যান ? আগেতো এমন কতা শুনিনি।’

জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক আলিফ নূর বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রগুলোতে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে প্রায় সাত থেকে আট মাস। যে কারণে সমাজের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তিনি দাবি করেন, ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো বন্ধের মধ্যেও খোলা ছিল । ওষুধ না পেলেও চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিল না । যারা গর্ভবতী মা তারা চেকআপের জন্য কেন্দ্রে আসছেন । তাদের প্রয়োজনীয় সেবাও দেওয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ওষুধ সরবরাহের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সংকট মোচন হবে ।

মন্তব্য

p
উপরে