× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
কুষ্টিয়াসহ তিন জেলায় ৩৫ মৃত্যু
google_news print-icon

কুষ্টিয়াসহ তিন জেলায় ৩৫ মৃত্যু

কুষ্টিয়াসহ-তিন-জেলায়-৩৫-মৃত্যু
ফাইল ছবি
কুষ্টিয়ায় করোনায় ১১ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনা পজিটিভদের মধ্যে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ১০ জন, কুমারখালীতে বাড়িতে ১ জনের মৃত্যু হয়।

করোনা ও উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়ায় ১৭ জন, ঝিনাইদহে ১১ ও ময়মনসিংহে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।

কুষ্টিয়া

জেলায় করোনায় ১১ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনা পজিটিভদের মধ্যে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ১০ জন, কুমারখালীতে বাড়িতে ১ জনের মৃত্যু হয়।

৮০১টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে এ জেলায় ২৩৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ।

জুলাই মাসের প্রথম ৭ দিনে এখানে ১ হাজার ৭০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই ৭ দিনে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

কোভিড ডেডিকেটেড কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এখন করোনা পজিটিভ ১৮৭ ও উপসর্গ নিয়ে ৮৭ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঝিনাইদহ

করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ১৫৬ জন। এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ২৯ জন।

সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম জানান, এক দিনে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে করোনা পজেটিভ নিয়ে ৫ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে শৈলকুপায় ১ ও হরিণাকুন্ডুতে ১ জন মারা গেছেন।

ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া ল্যাবে ৪৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এখানে শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ১৩ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত ৫ হাজার ১৭৬ জন।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ জানান, সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বর্তমানে ১১৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এক দিনে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন করোনা শনাক্ত হয়ে ও বাকিদের মৃত্যু হয় উপসর্গ নিয়ে।

হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন মহিউদ্দিন খান মুন জানান, বর্তমানে করোনা ইউনিটে ৩৪১ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫১ জন। আইসিইউতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৯ জন।

এ ছাড়া এক দিনে ৩০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জন টেলিমেডিসিন সেবা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ২৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, ৫ জন টিকাবিষয়ক পরামর্শ নিয়েছেন ও ১ জন করোনা টেস্টবিষয়ক পরামর্শ নিয়েছেন।

ওয়ান স্টপ ফ্লু কর্নারে মোট রোগী ২৭৩ জন। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ছিলেন ১৭ জন। এখান থেকে ৪ জনকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ১৩ জনকে হোম কেয়ার চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় আক্রান্তের হার ২৭ দশমিক ৩২ শতাংশ।

আরও পড়ুন:
খুলনা বিভাগে ১ দিনে ৬০ মৃত্যু
খুলনার ৪ হাসপাতালে ২২ মৃত্যু
রাজশাহীতে উপসর্গ নিয়েই ৭ দিনে ৮৭ মৃত্যু
‘ডেল্টার চেয়েও প্রাণঘাতী ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে ৩০ দেশে’
গাজীপুরে করোনায় আরও ৩ মৃত্যু 

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Palestinians are risking medical care from the roof

ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা, ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা

কুমিল্লার দাউদকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা, ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা

চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই কুমিল্লার দাউদকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ১৯৭২ সালে ২০ শয্যা দিয়ে চালু হয় হাসপাতালটি। বর্তমানে এটি ৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে হওয়ায় এর গুরুত্ব অপরিসীম। দাউদকান্দি ছাড়াও আশেপাশের উপজেলা থেকে রোগীরা আসে এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে। পরিত্যক্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে এখানকার চিকিৎসক নার্স ও অন্যান্য স্টাফদের। জীবন বাঁচাতে আসা রোগীদের চিকিৎসা নিতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।

হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখা যায়, রোগীর মাথার ওপর পলেস্তারা খসে পড়ছে। পিলার ফেটে বেরিয়ে পড়েছে রট। আতঙ্ক কাজ করে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মাঝে।

প্রতিদিন এ হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে ১শত ৩০ থেকে ১শত ৫০ জন, ইনডোরে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। নরমাল ডেলিভারি হয় ৪ থেকে ৫ জনের, সিজার হয় ৩ থেকে ৪ জনের। আউটডোরে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ শত রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

উপজেলার থৈরখোলার বাসিন্দা মতিন ভূইয়া তার চিকিৎসারত স্ত্রীকে নিয়ে আছেন হাসপাতালে। কিছুক্ষণ পর পর ছাদ থেকে খসে পড়ছে সিমেন্ট। চোখে-মুখে ঢুকে বালি। তিনি বলেন জানিনা কখন পুরো ছাদটাই ভেঙে পড়বে। সারাক্ষণ ভয়ে থাকি।

গজারিয়া থেকে চিকিৎসা নিতে আসা স্বপ্না বেগম বলেন, এটা হাসপাতাল না যেন মৃত্যুপুরি। ওপর থেকে ভিম ভেঙে পড়েছিল শরীরে। চিকিৎসা নিতে এসে উল্টো আহত হতে হয়েছে।

ওয়ার্ড ইনচার্জ আকলিমা আক্তার বলেন, কিছুদিন আগে ৫ নম্বর বেডের নতুন ফ্যান ছাদসহ ভেঙে এক রোগীর মাথায় পড়ে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। আমরা আতঙ্কে কাজ করি। প্রতিদিন মনে হয় কখন ভবনটা ভেঙে পড়ে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, পরিত্যক্ত ঘোষণার পর এখনও কোনো সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। এত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চিকিৎসা দেওয়া সত্যিই কঠিন। এই হাসপাতালটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে হওয়ায় আশপাশের অনেক এলাকা থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন। আমরা জীবনের ঝুঁকি হলেও চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন বর্ষায় হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ড্রেন না থাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ কুমিল্লার সহকারী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, আমরা ভবনটি পরিদর্শন করে দেখেছি। এটি সম্পূর্ণ ব্যবহার অনুপযোগী। তাই পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছি। কাজটি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে হবে তাই কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। সরকারের প্রশাসনিক পরিবর্তনের কারণে আপাতত টেন্ডার প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে। কাজ শুরু হলে কুমিল্লার মধ্যে প্রথমেই দাউদকান্দি হাসপাতালের সংস্কারকাজ শুরু করা হবে। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালের যেসব অংশ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলো সাময়িকভাবে মেরামতের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি এ হাসপাতালে রোগীর চাপ তুলনামূলক বেশি থাকায় এটিকে ১ শত থেকে দেড়শ শয্যার করার প্রস্তাব ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Cancer Treatment should be created by a specialist physician Health Advisor

ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

দেশে ক্যান্সার চিকিৎসায় অধিক সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। ক্যান্সার রোগী বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।
গতকাল সোমবার রাজধানীর ন্যাশনাল বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, শুধু স্তন ক্যান্সার নয়, আমাদের দেশে এখন ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ক্যান্সার প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে আমাদের আরও বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।
পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির আহ্বান জানান তিনি।
নূরজাহান বেগম আরও বলেন, আমাদেরকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে হবে, যাতে করে আমরা ৬৪ জেলায় ক্যান্সার সচেতনতার বিষয়টি পৌঁছে দিতে পারি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিটি বিভাগীয় হাসপাতালে ক্যান্সার, কিডনি ও ডায়ালাইসিস চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য লিনাগ মেশিন খুবই প্রয়োজনীয়। বর্তমান সরকার ৩৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ছয়টি লিনাগ মেশিন ক্রয়ের ব্যবস্থা নিয়েছে।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে মেশিন গুলো দেশে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
স্তন ক্যান্সার চিকিৎসায় যুগোপযোগী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ন্যাশনাল বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা সরকার অব্যাহত রাখবে।
দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে দায়ী করে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানলে অবাক হবেন যে একটি ফাইল একজনের কাছেই ছিল এক মাস দশ দিন। তাহলে বলুন, উন্নয়ন কাজ কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায়?
তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
নূরজাহান বেগম আরো বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের পর হয়তো আমরা কেউ থাকব না। তবে আমাদের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ও গ্রামীণ এনজিও আপনাদের পাশে থাকবে সব সময়।
তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে আমরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকব এবং আপনারা আমাদেরকে যখনই ডাকবেন, আমরা তখনই আপনাদের ডাকে সাড়া দেব।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের টাকার অভাব রয়েছে। তাই আমরা হয়তো পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সব সময় বিদেশে যেতে পারি না। কিন্তু বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেশে এনে তো আমরা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারি। এক্ষেত্রে তো কোন বাধা নাই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সকলকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মহা-পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মো. আবু জাফর বলেন, স্তন ক্যান্সার ধরা পড়লে শতভাগ নিরাময় সম্ভব। এজন্য আমাদের লজ্জা বা ভয় না পেয়ে যথাসময়ে স্ক্যানিং করতে হবে।

মন্তব্য

শসার সঙ্গে যে খাবারগুলো খেলে বেশি পুষ্টি পাবেন

শসার সঙ্গে যে খাবারগুলো খেলে বেশি পুষ্টি পাবেন

শসা হলো কম ক্যালোরি সমৃদ্ধ সবজি। এই সবজির প্রায় পুরোটাই পানি (প্রায় ৯৬%)। সকালের নাস্তা থেকে রাতের খাবার পর্যন্ত, বিভিন্ন উপায়ে স্বাস্থ্যকর এবং হাইড্রেটিং খাবার তৈরি করতে শসা ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবারের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, যা হাইড্রেশন ও সুস্থতায় সাহায্য করে। এর উচ্চ ফাইবার এবং জলীয় উপাদান হজমশক্তি উন্নত করে এবং পেট ফাঁপা রোধ করতে সাহায্য করে।

শসায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে কিউকারবিটাসিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড, প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। শসা ভিটামিন কে সরবরাহ করে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, যা ক্যালসিয়াম শোষণ এবং হাড় মেরামতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো শসার সঙ্গে খেলে শসার পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

টমেটো

গবেষণা অনুসারে, টমেটো লাইকোপিন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে এবং সামগ্রিক ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে বলে জানা গেছে। শসা এবং টমেটো অলিভ অয়েল এবং বিভিন্ন ভেষজের সঙ্গে মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর সালাদ তৈরি করে খেতে পারেন। যা ডিটক্সিফিকেশন এবং হাইড্রেশনের জন্য উপযুক্ত। চাইলে এই সংমিশ্রণ স্যান্ডউইচ স্টাফিং হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন।

দই

দই প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং প্রোবায়োটিক যোগ করে এবং শসা থেকে প্রাপ্ত পানির সঙ্গে মিশে এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য সহায়তা করে। শসার রায়তা বা স্মুদি তৈরি করতে পারেন। যা শীতল, ক্রিমি এবং হজম-বান্ধবও।

ছোলা

ছোলা উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, আয়রন এবং ফাইবার সরবরাহ করে বলে জানা গেছে, যা শসার সঙ্গে মিলে আরও বেশি পুষ্টিকর হয়ে ওঠে। এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে এবং সুষম খাবারের বিকল্প হতে পারে। সেদ্ধ ছোলা, শসা, অলিভ অয়েল, কাঁচা মরিচ এবং পুদিনা পাতা একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।

পুদিনা বা তুলসী

এই ভেষজগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং হজমে সহায়তা করে। সেইসঙ্গে এগুলো শসার শীতল প্রকৃতির পরিপূরক। সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো শসা-পুদিনা মিশ্রিত পানি বা তুলসী-শসার সালাদ যা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং আপনাকে সতেজ বোধ করায়।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Dab water or saline which one is more effective in reducing insight?

ডাবের পানি নাকি স্যালাইন—পানিশূন্যতা কমাতে কোনটি বেশি কার্যকর?

ডাবের পানি নাকি স্যালাইন—পানিশূন্যতা কমাতে কোনটি বেশি কার্যকর?

ভরা শরতে হঠাৎ বৃষ্টি আর রোদের পালা বদলে ঘরে ঘরে বাড়ছে জ্বর, সর্দি-কাশি, পেটের সমস্যা। এর সঙ্গে দেখা দিচ্ছে পানিশূন্যতা, যা হতে পারে রোদের তাপে ঘাম, শরীরচর্চা বা পরিশ্রমের পর পর্যাপ্ত পানি না খেলে। গুরুতর ক্ষেত্রে এটি প্রাণঘাতীও হতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়। শরীর থেকে শুধু পানি নয়, হারিয়ে যায় প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ক্লোরাইড। এর ফলেই দেখা দেয় ক্লান্তি, মাথা ধরা, দুর্বলতা— এমনকি শারীরবৃত্তীয় কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

ডাবের পানি: প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়
পুষ্টিবিদরা বলেন, ডাবের পানি হলো একেবারে প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়। এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়াম, যা অল্প পানিশূন্যতা দূর করতে কার্যকর। রোদে দীর্ঘক্ষণ হাঁটা, শরীরচর্চা বা উপবাসের পর এক গ্লাস ডাবের পানি শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরিয়ে আনে। এতে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরকে চাঙ্গা রাখে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়।

স্যালাইন: গুরুতর অবস্থার নির্ভরযোগ্য সমাধান
তবে বমি, ডায়রিয়া বা আন্ত্রিকের কারণে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ও লবণ বের হয়ে গেলে তখন প্রয়োজন হয় স্যালাইন। এতে নির্দিষ্ট মাত্রায় সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও গ্লুকোজ থাকে, যা দ্রুত শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য ফিরিয়ে আনে।

কতটা খাওয়া উচিত?

  • সাধারণভাবে দিনে এক গ্লাস ডাবের পানি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো।
  • বেশি পরিশ্রম বা রোদে থাকার পর দুই গ্লাস খাওয়া যেতে পারে, তবে একসঙ্গে নয়।
  • বমি বা আন্ত্রিকের ক্ষেত্রে দিনে ২০০–৪০০ মিলিলিটার স্যালাইন অল্প অল্প করে খেতে হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে চামচে করে দেওয়া যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
হালকা পানিশূন্যতায় ডাবের পানি যথেষ্ট কার্যকর। কিন্তু শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ও লবণ বের হতে থাকলে স্যালাইনই সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প। এছাড়া লবণ–চিনি–দইয়ের পাতলা ঘোল বা পাতিলেবুর শরবতও শরীরের পানির ঘাটতি পূরণে সহায়ক।

পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বেছে নিলেই পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

মন্তব্য

যেসব খাবার খেলে ফুসফুস ভালো থাকে

যেসব খাবার খেলে ফুসফুস ভালো থাকে

প্রকৃতিতে হেমন্তের বাতাস বইতে শুরু করেছে। এর হাত ধরেই আসবে শুষ্কতার দিন। কারণ দরজার ওপারে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে শীতকাল। আবহাওয়ার পরিবর্তনে এমন সময় বাড়তে থাকে দূষণের মাত্রাও। বিশেষ করে কমতে থাকে বাতাসের মান। যে কারণে তা আমাদের শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ফুসফুসের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার ও খাদ্যাভ্যাস ফুসফুসের পরিশ্রম কমিয়ে আপনাকে সহজে শ্বাস নিতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. হাইড্রেশন বজায় রাখুন

সুস্থ ফুসফুস বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অভ্যাস শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মা পাতলা রাখতে সাহায্য করে, যা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়া সহজ করে তোলে। ভেষজ চা, মধু দিয়ে গরম পানি এবং গ্রিন টি এক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। আমেরিকান জার্নাল অফ রেসপিরেটরি অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, গ্রিন টি ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ করুন

ভিটামিন সি এবং ই-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল এবং শাক-সবজি দূষণের কারণে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে আপনার ফুসফুসকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। কমলা, বেরি, পালং শাক এবং বাদাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চমৎকার উৎস। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ বৃদ্ধি করলে তা ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করে।

৩. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই স্বাস্থ্যকর চর্বিতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি প্রদাহ কমিয়ে ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। পুষ্টিবিদরা স্যামন, ম্যাকেরেল, তিসি এবং আখরোটের মতো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন।

৪. প্রতিরক্ষার জন্য মসলা

হলুদ, মৌরি, হলুদ এবং আদার মতো মসলা শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যে ভরপুর। এগুলো শ্বাসনালীতে দূষণকারী পদার্থের প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। আদার মতো মসলা শ্লেষ্মা ভেঙে দেয়, যা আমাদের শ্বাস নেওয়া সহজ করে তোলে। মসলা ফুসফুসে রক্ত ​​সঞ্চালনও উন্নত করে এবং প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত আদা, রসুন এবং হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেন।

৫. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার শরীরকে পরিষ্কার করতে এবং টক্সিন অপসারণে সাহায্য করতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ফুসফুসের কার্যকারিতা বজায় রাখে। আমেরিকান থোরাসিক সোসাইটির একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার প্রাপ্তবয়স্কদের ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
To keep the liver good to keep

লিভার ভালো রাখতে যা খাবেন

লিভার ভালো রাখতে যা খাবেন

লিভার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ অঙ্গের মধ্যে একটি। এর কাজ হলো ডিটক্সিফাই করা, চর্বি ভেঙে ফেলা, পুষ্টি প্রক্রিয়াজাত করা এবং সিস্টেমকে সচল রাখা। আমাদের খাদ্যাভ্যাস, পরিবেশগত কারণ ইত্যাদি অনেক সময় লিভারকে অতিরিক্ত চাপে ফেলে। তবে লিভার সঠিকভাবে পরিষ্কার করার জন্য খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন হয় না। প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিয়ে সাধারণ কিছু খাবার প্রতিদিন খাওয়া হলে তা লিভারকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, লিভার ভালো রাখতে কোন ৫ খাবার প্রতিদিন খেতে হবে-

১. পেঁয়াজ

পেঁয়াজ সালফার যৌগ দিয়ে পূর্ণ যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে এনজাইমগুলোকে সক্রিয় করে, বিশেষ করে যখন লিভারের কথা আসে। এতে কোয়ারসেটিন নামে একটি উপকারী যৌগ রয়েছে, যা একটি উদ্ভিদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের কোষকে যেকোনো ধরনের অক্সিডেটিভ ক্ষতি এবং যেকোনো অঙ্গের প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। প্রতিদিন পেঁয়াজ খেলে তা লিভারকে বর্জ্য বিপাকে সাহায্য করে এবং ডিটক্সিফিকেশন উন্নত করে।

২. বাঁধাকপি

বাঁধাকপির উপকারিতা জেনে আপনি অবাক হবেন। এটি লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য সেরা সবজির মধ্যে একটি। বাঁধাকপি একটি ক্রুসিফেরাস সবজি যা ডিটক্সিফাইং এনজাইম বৃদ্ধি করে। এতে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা হজম এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে। এতে গ্লুকোসিনোলেট রয়েছে, যা হজম প্রক্রিয়া এবং লিভারকে পরিশোধনকারী এনজাইম নিঃসরণে সহায়তা করে। যদি প্রতিদিন এক বা অন্য আকারে খাওয়া হয় তবে এটি ফ্যাটি লিভার তৈরিতে বাধা দেবে এবং প্রদাহ কমাবে।

৩. বিটেরুটের রস

লিভারের জন্য শক্তিশালী অস্ত্র বিটরুট পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এবং লিভারকে ডিটক্সিফাইং করতে সহায়তা করে। বিটের রসে উপস্থিত বিটালাইন এবং নাইট্রেট রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে এবং লিভারের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এই যৌগগুলো লিভার দ্বারা বিষাক্ত পদার্থ নির্মূল করতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষ নিরাময়ে সহায়তা করে। প্রতিদিন বিটের রস খেলে পিত্ত উৎপাদনও ভালো হয়, যা হজম এবং চর্বি বিপাকের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৪. গ্রিন টি

আমরা সবাই গ্রিন টি-এর ওজন কমানোর উপকারিতা সম্পর্কে জানি, কিন্তু আমরা হয়তো যা জানি না তা হলো, এর মৃদু কিন্তু শক্তিশালী লিভারের স্বাস্থ্য উপকারিতা। এতে ক্যাটেচিন রয়েছে, এই্ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারে চর্বি জমা কমায় এবং লিভারের এনজাইমের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, যারা নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন তাদের নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। গ্রিন টি শক্তিও বাড়ায় এবং বিপাকক্রিয়ায় লিভারের কার্যকারিতা বজায় রাখে।

৫. কুমড়া

​কুমড়া বিটা-ক্যারোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ যা লিভারের টিস্যুকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এর কোমল পুষ্টি উপাদান খাবার হজমে সাহায্য করে যার ফলে শরীর সহজেই বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে পারে। কুমড়ায় থাকা ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায় এবং লিভারে চর্বি জমা কমায়। কুমড়া পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফোলেটের একটি ভালো উৎস, এগুলো সবই লিভার-বান্ধব পুষ্টি, যা লিভারের কার্যকারিতায় সহায়তা করে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Due to heavy rains the incidence of dengue is increasing

অতিবৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে

এবারের ভয়াবহতা ২০১৯ সালের মতো হওয়ার আশঙ্কা
অতিবৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে

বিগত বছরগুলোর চেয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। গত তিন মাসের তুলনায় এ মাসের ৯ দিনে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রন্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ‘এই রোদ, এই বৃষ্টি’- এমন অস্থিতিশীল আবহাওয়া এডিস মশার বিস্তারে খুবই সহায়ক। এ কারণে ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বেড়েছে। রোগী বাড়লে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ে।
এবারের ভয়াবহতা ২০১৯ সালের মতো হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
চলতি বছরে ডেঙ্গুরোগী বাড়তে শুরু করে মে থেকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জুন মাসে ৫হাজার ৯৫১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। মৃত্যু হয় ১৯ জনের। জুলাই মাসে ১০ হাজার ৬৮৪ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। মৃত্যু হয় ৪১ জনের। আগস্ট মাসে ভর্তি হয়েছেন ১০ হাজার ৪৯৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। সেপ্টেম্বর মাসে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এ মাসে মৃত্যু হয় ৭৬ জনের। অক্টোবর মাসে মাত্র ৯ দিনে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ৫৪৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩০৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সময়ে নতুন করে কারও মৃত্যু হয়নি। ফলে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ২২৪ জনে অপরিবর্তিত রইল।
গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩০৮ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৪০ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২১ জন ভর্তি হয়েছেন।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৫৩ হাজার ১৯৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থেমে থেমে বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে যায়। রাস্তায় কিংবা বাসাবাড়ির আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা পলিথিন, বিভিন্ন খাবারের প্যাকেট, ডাবের খোসাসহ বিভিন্ন আধারে পানি জমে যায়। এখন সেখান থেকেই এডিস মশার বিস্তার হচ্ছে।
জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, মাঝে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছু কম ছিল। বৃষ্টির কারণে এখন বাড়ছে। অক্টোবরেও বাড়বে।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের মতো পরিস্থিতি না হলেও ২০১৯ সালের মতো হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৭৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়। চলতি বছরের এখন (৯ অক্টেবার) পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫২ হাজার ৮৮৫ জন।
মৃত্যু হয়েছে ২২৪ জনের। এবার ১৯ সালের মতো আক্রান্ত না হলেও বছরের ৯ মাসে মৃত্যু প্রায় তখনকার সমান।
২০২১ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২ জন আক্রান্ত হন। মৃত্যু হয় ২৮১ জনের। ২০২৩ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সে বছর আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। ২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ৫৭৫ জনের মৃত্যু হয়। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত আক্রন্ত হয়েছে ৫২ হাজার ৮৮৫ জন আক্রন্ত ও ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এই বছর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা।
এ সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার ৫০০। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বয়সসীমার মানুষ কর্মজীবী ও চলাফেরায় বেশি সক্রিয় হওয়ায় তারা বেশি মশার সংস্পর্শে আসছেন।
ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, সারাদেশে যদি ছাত্রদের অংশগ্রহণে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা যেত, তাহলে হয়তো একটা দৃশ্যমান পরিবর্তন আসত। সে ধরনের কিছু হচ্ছে না। বাসাবাড়িতে ফুলের টবে যাতে পানি জমে না থাকে, সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মঈনুল আহসান জ্বর হওয়ার সাথে সাথে সবাইকে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সকল জ্বরের রোগীকে জ্বর হওয়ার সাথে সাথে নিকটস্থ হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো এবং ডেঙ্গুরোগ শনাক্ত হলে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

মন্তব্য

p
উপরে