খুলনার ৪ হাসপাতালে এক দিনে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১০, জেনারেল হাসপাতালে ৫, গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫ ও আবু নাসের হাসপাতালে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পারসন সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, এ হাসপাতালে করোনা নিয়ে ৯ ও উপসর্গ নিয়ে ১ জন মারা গেছেন। শনাক্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে খুলনার ৩, যশোরের ৩, বাগেরহাটের ২ ও নড়াইলের ১ জন রয়েছেন।
এ ছাড়া এ হাসপাতালে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৮৯ রোগী ভর্তি ছিলেন।
এর মধ্যে রেড জোনে ১১৬, ইয়েলো জোনে ৩৪, এইচডিইউতে ২০ ও আইসিইউতে ১৯ জন রয়েছেন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ৪১ রোগী। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩২ জন।
গাজী মেডিক্যালের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, এই হাসপাতালে মৃত ৫ জনের মধ্যে খুলনার ৪ ও নড়াইলের ১ জন রয়েছেন। বুধবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ১৩১ রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে ৮ ও এইচডিইউতে ৯ জন।
এক দিনে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন।
জেলা জেনারেল হাসপাতালের মুখপাত্র আবু রাশেদ জানান, মৃত ৫ জনের মধ্যে খুলনার ২, বাগেরহাটের ২ ও যশোরের ১ জন রয়েছেন।
এ হাসপাতালে মোট রোগী ৬৫ জন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন; বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন।
আবু নাসের হাসপাতালের মুখপাত্র প্রকাশ দেবনাথ জানান, এ হাসপাতালে মৃত দুইজনের মধ্যে খুলনার ১ ও সাতক্ষীরার ১ জন রয়েছেন।
এখানে ৪৩ রোগী ভর্তি যার মধ্যে আইসিইউতে ৯ জন। এখানে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৪ জন; সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ জন।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর পাশাপাশি ডেঙ্গ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২২৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রোববার দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়কালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২২৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।
চলতি বছরে এ নিয়ে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৬ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৯০ জন।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে দুজন ঢাকার। এছাড়া একজন রাজশাহী ও একজন খুলনা বিভাগের।
এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুহীন একটি দিন পার করার পরদিনই এই রোগে মারা গেলেন আরও পাঁচজন। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এই মৃত্যুর পাশাপাশি হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৯২৭ ডেঙ্গু রোগী।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৯২৭ জন রোগী।
মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন নারী। এই সময়ে ৭১৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
সবশেষ মৃত্যু নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮২ জনের। তাদের মধ্যে ৮৯ জন পুরুষ ও ৯৩ জন নারী।
এ ছাড়া একই সময়কালে দেশে ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ২৬৫ জন।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর পাশাপাশ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে বুধবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৭৬, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫০, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১৬, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২২৫, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৬৬ ও খুলনা বিভাগে ৯২ জন রয়েছেন।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৩৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৪, রংপুর বিভাগে ৩১ ও সিলেট বিভাগে ৪ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বুধবার পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৩৩ হাজার ৯৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১৭৪ জনের।
প্রসঙ্গত, গত ২০২৩ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান এক হাজার ৭০৫ জন।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যুর পাশাপাশি এই সময়কালে হাসপাতালে ১ হাজার ১৪৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ১৬৬ জনের মৃত্যু হলো। আর সারা দেশে মোট ৩২ হাজার ৮২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ হাজার ১১৩ জন ঢাকার বাইরে। বাকিরা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে তিন হাজার ৪৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন, যাদের মধ্যে এক হাজার ৭৩৬ জন ঢাকার বাইরের।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমণে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই সময়কালে নতুন করে চারজনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
মোট করোনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যু হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন একজন।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ১৫২ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ডেঙ্গুতে নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৫৮ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৯৪ জন রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩০ হাজার ৯৩৮ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ শতাংশ নারী।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের মো. মোস্তফা ও গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নাসিমা।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ফোকাল পারসন মহিউদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মোস্তফা। রোববার রাত ২টার দিকে মারা যান তিনি। অপরদিকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার ভর্তি হয়েছিলেন নাসিমা। তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে মারা যান।’
মহিউদ্দিন খান জানান, ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৫ জন ভর্তি হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট ভর্তি রয়েছেন ৩২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৬ জন, মহিলা পাঁচজন ও একটি শিশু রয়েছে।
মন্তব্য