করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় চিকিৎসা সেবায় গতি আনতে হাজারেরও বেশি চিকিৎসককে একসঙ্গে বদলি করেছে সরকার।
রোববার ও সোমবার মোট ৪৬টি প্রজ্ঞাপনে এক হাজার ২৫১ চিকিৎসকের এই বদলির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
উপসচিব সারমিন সুলতানা ও জাকিয়া পারভিনের সই করা এসব আদেশে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলা এবং জনসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নতুন কর্মস্থলে করোনা চিকিৎসায় কাজ করবেন বদলি করা চিকিৎসকরা।
বদলি করা চিকিৎসকদের তালিকায় দেখা যায় তাদের অধিকাংশ দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষকতা করছিলেন। তাদেরকে নতুন কর্মস্থলে বুধবারের মধ্যে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
দেখা গেছে, বর্তমানে কর্মরত মেডিক্যাল কলেজ থেকে ওই মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালে, কিংবা ওই জেলার জেনারেল হাসপাতাল বা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিংবা পাশের কোনো জেলায় তাদের পাঠানো হয়েছে।
বদলি হওয়া চিকিৎসকদের লকডাউনের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে সময় দেওয়া হয়েছে দুই দিন। অনেক চিকিৎসককে মেডিকেল কলেজে লাগোয়া হাসপাতালে বদলি করা হলেও এক জেলা থেকে আরেক জেলায়, উপজেলায় বদলি করা হয়েছে এমন চিকিৎসকের সংখ্যাও কম নয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, বুধবারের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিলে, বৃহস্পতিবার তাদের ‘তাৎক্ষণিক অবমুক্ত’ ঘোষণা করা হবে। আর বেতন ভাতাদি আগের কর্মস্থল থেকে উত্তোলনেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
যেখানে বদলি করা হয়েছে:
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬৫ জন।
দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ থেকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ২৯ জন এবং দিনাজপুর জেলা হাসপাতালে ১৭ জন।
যশোর মেডিক্যাল কলেজ থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা হাসপাতালে ১৪ জন।
বরিশালের শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ঝালকাঠি জেলা হাসপাতালে ২০ জন।
বরিশালের শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ২০ জন।
বরিশালের শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ থেকে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩২জন এবং বরিশাল জেলা হাসপাতালে ১৯ জন।
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ থেকে বরগুনা জেলা হাসপাতালে ১২ জন।
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ থেকে ভোলা জেলা হাসপাতালে ১২ জন।
যশোর মেডিক্যাল কলজে থেকে নড়াইল জেলা হাসপাতালে ১২ জন।
নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা হাসপাতালে ১৯ জন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফেনী জেলা হাসপাতাল ও দাগন ভূঁইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জন।
রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ১৮ জন।
নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ থেকে নোয়াখালী জেলা হাসপাতালে ২৮ জন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশন ডিসিজেজ এবং ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১৪ জন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ১০২ জন।
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ এবং সিরাজগঞ্জ মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্স ট্রেনিং স্কুল থেকে দুইজন মিলিয়ে সিরাজগঞ্জ ২৫০ বেড বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ২০ জন।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ ও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে জয়পুরহাট জেলা হাসপাতাল ও জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে বগুড়া ২৫০ বেড মোহাম্মদ আলী জেলা হাসপাতালে ৪৩ জন।
পাবনা মেডিক্যাল কলেজ ও সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ থেকে নাটোর জেলা হাসপাতালে ১৫ জন।
ঝিনাইদহ ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এবং কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ থেকে ঝিনাইদহ জেলা হাসপাতালে ১৫ জন।
কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ থেকে মেহেরপুর জেলা হাসপাতালে ১৫ জন।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ থেকে খুলনা জেলা হাসপাতাল ও খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ২৮ জন।
নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজ থেকে নওগাঁ জেলা হাসপাতালে ১৪ জন।
রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি এবং রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ বেড আধুনিক সদর হাসপাতালে ২২ জন।
পাবনা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাবনা ২৫০ বেড জেনারেল হাসপাতালে ১৮ জন।
দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ থেকে ঠাকুরগাঁও জেলা হাসপাতালে ১৮ জন।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ১৭ জন।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে কুড়িগ্রাম জেলা হাসপাতালে ২৪ জন।
নীলফামারী মেডিক্যাল কলেজ থেকে নীলফামারী জেলা হাসপাতালে ১১ জন।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে লালমনিরহাট জেলা হাসপাতালে ২০ জন।
দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ থেকে পঞ্চগড় জেলা হাসপাতালে ১৮ জন।
যশোর মেডিক্যাল কলেজ ও সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ থেকে যশোর জেলা হাসপাতালে ২৪ জন।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ থেকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ১৪ জন।
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ থেকে পটুয়াখালী জেলা হাসপাতালে ১৩ জন।
রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে বান্দরবান জেলা হাসপাতালে ১৬ জন।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে শরিয়তপুর জেলা হাসপাতালে ২৭ জন।
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ ও ফরিদপুর জেলা হাসপাতালে ৩৬ জন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ থেকে খাগড়াছড়ি জেলা হাসপাতালে ১৮ জন।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসপাতালে ২২ জন।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ থেকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ২১ জন।
নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ ও চাঁদপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে চাঁদপুর জেলা হাসপাতালে ২২ জন।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ থেকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬১ জন।
কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ থেকে কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল ও কক্সবাজারের রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৮ জন।
যশোর মেডিক্যাল কলেজ থেকে মাগুরা জেলা হাসপাতালে ১৪ জন।
সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ থেকে সাতক্ষীরা জেলা হাসপাতালে ১৬ জন।
কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ এবং কুষ্টিয়া মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্স ট্রেনিং স্কুল থেকে কুষ্টিয়া জেলা হাসপাতালে ২৩ জন।
আরও পড়ুন:আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।
বৃহষ্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। বিএনপি নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে এই বিবৃতি দেয়া হয়। খবর বাসসের
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। তাই বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং বাংলার জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
‘বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেয়া হচ্ছে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (মির্জা ফখরুল) সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল, নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামাতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারা দেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ-পরিক্রমায় বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সশস্ত্র লড়াইয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে জাতিকে সংবিধান উপহার দেন। ধর্মের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করে। স্বৈরাচার জিয়া রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধী দল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।
মানিকগঞ্জ শহরের প্রবেশপথে যানজট নিরসনে ও পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও পৌর সুপার মার্কেটের সামনের সড়ক ও ফুটপাত থেকে শতাধিক হকার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করা হয়।
প্যানেল মেয়র তসলিম মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্থায়ী কিছু ব্যবসায়ীরা ফুটপাত ও সড়কের একাংশ দখল করে ব্যবসা করে আসছেন। এতে করে শহরে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পথচারীদের সুবিধার্থে যানজট দূর করতেই এই উচ্ছেদ অভিযান।
উচ্ছেদ অভিযানে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মো. তসলিম মিয়া ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানাসহ থানা পুলিশ ও পৌরসভার কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠির রাজাপুরে নদীর তীর থেকে এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
প্রাণ হারানো যুবকের মামুন হোসেন, যার বয়স ২৫ বছর। তিনি রাজাপুরের পশ্চিম সাতুরিয়া গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে।
ভ্যানচালক মামুন দুই দিন আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন জানিয়ে রাজাপুর থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে সাতুরিয়া গ্রামের ইদুরবাড়ি এলাকায় কচা নদীর তীর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। লাশের ময়নাতদন্তসহ পরবর্তী সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, তবে এটি হত্যা নাকি দুর্ঘটনা, সেটি তদন্তে বের হবে।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পূর্ব পূয়ালী গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের একমাত্র ছেলে রাব্বি হাওলাদার।
২৫ বছর বয়সী রাব্বির দুটি কিডনিই নষ্ট। ডাক্তারের পরামর্শ তার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে। বর্তমানে তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রাব্বির কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য এতো টাকা লাগবে শোনার পর থেকেই তার কৃষক বাবা সাহায্যের জন্য ছুটছেন চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ স্থানীয় বিত্তবানদের কাছে। কেন না তার সবকিছুই বিক্রি করে দিলেও এক থেকে দেড় লাখ টাকার বেশি জোগাড় করার সামর্থ্য হচ্ছে না।
রাব্বি বর্তমানে ঢাকার মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এমন অবস্থায় কৃষক বাবা তার সন্তানকে বাঁচাতে দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। দেশের বিত্তবানরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেই হয়ত বেঁচে যাবে তার সন্তান।
রাব্বির পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাব্বি হাওলাদার কয়েক মাস আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (সেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যান তার পরিবার। সেখানে চিকিৎসক তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন রাব্বির দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল রাব্বির, কিন্তু কিছুদিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরই মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ওপরে শুধু হাসপাতাল ও ওষুধের বিল দিতে হয়েছে। দরিদ্র এই পরিবারটি আত্মীয়স্বজনসহ সবার সহায়তায় ওই বিল দেয়া সম্ভব হয়।
রাব্বির মা রেভা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এভাবে আর কয়দিন চিকিৎসা করাতে পারব জানি না। কারণ আমাদের সামর্থ্য শেষ হয়ে এসেছে। শুধু টাকার অভাবে তাকে ভালো কোনো হাসপাতালেও নিতে পারছি না, কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য অপারেশনের ধকল সহ্য করার মতো সুস্থ অবস্থায় আনা খুব জরুরি।’
রাব্বির বাবা আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে আপনাদের ভালোবাসা ও সাহায্য আমাদের খুব প্রয়োজন। কারণ শুধু টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় আমার একমাত্র ছেলে অকালে ঝরে যাবে তা আমার জীবন থাকতে মানতে পারছি না।’
তাকে কেউ সাহায্য করতে চাইলে ০১৯৯৭-২২৮৯৭৫ ও ০১৯৮৭-৩৬৬৫৬৮ (বিকাশ-পার্সোনাল) নাম্বারে পাঠাতে পারেন ও যোগাযোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপজেলার উজানপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, বেলা ১১টার দিকে মাদানী সিএনজি পাম্প সংলগ্ন উজানপাড়ায় একটি বাস ইউটার্ন নেয়ার সময় অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বছর বয়সী এক মেয়ের মৃত্যু হয়। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ৩৩ বছর বয়সী অটোরিকশার চালক শরিফুল ইসলাম ও অন্য একজনের মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, এ দুর্ঘটনায় আহত চারজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে, যারা হলেন ত্রিশালের রুদ্র গ্রামের জালাল উদ্দিনের ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী মনি আক্তার ও একই গ্রামের শামীম আহমেদের ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী সাহিদা আক্তার।
আগামী মাসে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির বাংলাদেশ সফরে কিছু বিষয়ে গুরুত্ব পাবে বলে ইউএনবিকে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
ওই সূত্র বার্তা সংস্থাটিকে জানায়, শেখ তামিমের সফরে জনশক্তি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় উভয় দেশ।
কাতারের আমিরের সফরে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে সূত্রটি বলেছে, সফরকালে এসব এমওইউ ও চুক্তি সই করা হবে।
ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের আমিরের দুই দিনের সফরটি হতে পারে আগামী ২১ থেকে ২২ এপ্রিল।
বার্তা সংস্থাটি জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমিরের বৈঠকের পর যেসব এমওইউ ও চুক্তি সই হবে, সেগুলো নিয়ে দুই পক্ষ এখন কাজ করছে। সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে আন্তমন্ত্রণালয় সভা করেছে।
গত বছরের মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বিষয়ে জাতিসংঘের সম্মেলন এলডিসি-৫-এর পার্শ্ববৈঠকে কাতারের আমির শেখ তামিমের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওই বৈঠকে কাতারের কাছে বিশেষ করে এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের পর একই বছরের ৪ মার্চ বাংলাদেশকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় কাতার।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দোহায় বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক মিশন চালু করে। ১৯৮২ সালে ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলে কাতার।
আরও পড়ুন:ফরিদপুর সদরে যৌনপল্লি থেকে দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই পল্লির এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার রাতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত পারুল বেগম ওরফে পারু (৪৮) জেলার রথখোলা যৌনপল্লির বাসিন্দা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন আপন (৩০), জহির (৩০) ও ববি (৩৮)।
গ্রেপ্তার না হওয়া এ তিনজনের মধ্যে ববি যৌনপল্লির সর্দারনি হিসেবে পরিচিত। আপন ও জহিরের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পার্লারে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদপুরের কচুয়া থানা এলাকা থেকে এক তরুণীকে গত ১০ মার্চ ঢাকায় নিয়ে আসেন আপন। দুই দিন সেখানে রেখে তাকে (তরুণী) তিন ব্যক্তির হাতে তুলে দেন তিনি। ওই তিন ব্যক্তি ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় তরুণীকে রথখোলা যৌনপল্লিতে এনে পারুর কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। পরের দিন একটি সাদা কাগজে তরুণীর স্বাক্ষর নিয়ে জানানো হয়, এখন থেকে তিনি যৌনপল্লির লাইসেন্সধারী সদস্য।
এতে আরও বলা হয়, মেয়েটিকে পারুর বাসায় রেখে ববি ও অন্যদের মাধ্যমে জোর করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। এর মাঝে মেয়েটি বাড়িতে যোগাযোগের জন্য একজন খদ্দেরকে তার ছোট বোনের মোবাইল নম্বর দেন। পরে ওই খদ্দেরের মোবাইল কলের মাধ্যমে মেয়েটির সন্ধান পায় তার পরিবার। এরপর তার মা ও ফুফা রথখোলায় এসে তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় থানা পুলিশকে জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পুলিশ যৌনপল্লিতে অভিযান চালানোর পর ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়ার আরেক তরুণীও তাকে উদ্ধারে পুলিশের সাহায্য চান। ওই তরুণী জানান, তাকেও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ঢাকার মিরপুরের একটি বাসায় এক রাত রেখে রথখোলা যৌনপল্লিতে এনে পারুর কাছে বিক্রি করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি হাসানুজ্জামান জানান, যৌনপল্লিতে তরুণীকে নেয়ার ঘটনায় তার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে অভিযান চালিয়ে পারুল বেগম ওরফে পারুকে গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য