× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
সংক্রমণ কমানোর একমাত্র উপায় কঠোর বিধিনিষেধ
google_news print-icon
সাংবাদিকদের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

সংক্রমণ কমানোর একমাত্র উপায় কঠোর বিধিনিষেধ

সংক্রমণ-কমানোর-একমাত্র-উপায়-কঠোর-বিধিনিষেধ
ফরহাদ বলেন, ‘দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি আছে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী এই সংক্রমণ রোধ করার জন্য আরও এক সপ্তাহ বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।’

করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ ঠেকানো সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, এ কারণেই শাটডাউনের মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।

শাটডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন জারির পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

ফরহাদ বলেন, ‘দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি আছে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী এই সংক্রমণ রোধ করার জন্য আরও এক সপ্তাহ বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।’

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করাকেই সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে উচ্চ হারে বেড়ে যাচ্ছিল, সেটা কমানোর এটাই (শাটডাউন) একমাত্র উপায়।’

আর কিছুদিন পরই ঈদুল আজহা। এমন বাস্তবতায় সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় ফরহাদ হোসেনের কাছে।

তিনি বলেন, ‘কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার পরও প্রতিনিয়ত আমরা দেখছি এটা (সংক্রমণ ও মৃত্যু) ওঠানামা করছে আশঙ্কাজনকভাবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১২ অথবা ১৩ জুলাই আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত দিতে পারব।

‘গভীরভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে এটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনা, সেটি আমাদের লক্ষ্য।’

রোজার ঈদে হুড়োহুড়ি করে মানুষের বাড়ি ফেরাকেও সংক্রমণ বাড়ার কারণ হিসেবে দেখছে সরকার।

এ নিয়ে ফরহাদ বলেন, ‘গতবার ঈদে মানুষ যেভাবে বাড়ি গেল, তাদের বোঝানো গেল না। আপনি বলতে পারেন, তার একটা ফল আমরা পাচ্ছি। ফলে এবারও আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

‘সরকার এখনও পরিকল্পনা করছে। সে বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত আসবে।’

সামনের ঈদেও কী মানুষের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে কি না জানতে চাইলে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছে সরকার।

তিনি বলেন, ‘যেভাবে (করোনাভাইরাস) ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, এটা আমাদের কমাতে হবে।’

সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহকে গুরুত্বপূর্ণ মানছে সরকার।

এ নিয়ে ফরহাদ বলেন, ‘সে জন্য আমরা এখান থেকে ১ থেকে ৭, ৭ থেকে ১৪—এ পর্যন্ত এটি আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। আমরা বিষয়গুলো বুঝব, আমাদের জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির অবজারভেশন থাকবে, তখন আমরা পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নিতে পারব।’

যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে সবার জন্য ভালো হবে, সেভাবেই নেয়া হবে বলে জানালেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি জানান, সংক্রমণ যাতে আরও বেড়ে না যায়, সেদিকটায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে সুফলটা পাব সেটা যাতে ব্যাহত না হয় সেই চেষ্টাটা আমাদের করতে হবে। আমাদের খুব নিয়ন্ত্রিত থাকতে হবে। সরকার পরিকল্পনা করছে, ভাবছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। অবস্থা বুঝে আমরা জানাতে পারব।’

১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলতে সবার সহযোগিতাও চাইলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

আরও পড়ুন:
শাটডাউন: চতুর্থ দিনে ৪৩৮ জনকে র‍্যাবের জরিমানা
ঢাকা ছাড়তে গাবতলীতে ব্যক্তিগত গাড়ির সারি
হোটেল বন্ধে খাবার অনিশ্চিয়তায় রোগীর স্বজনরা
করোনা ঠেকাতে ফেরিতে সবজি বিক্রির পরিকল্পনা  
শাটডাউন: জরিমানা ২০ লাখ টাকা, গ্রেপ্তার ৬২১

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Fake freedom fighters will be covered under the law adviser

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আইনের আওতায় আনা হবে: উপদেষ্টা

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আইনের আওতায় আনা হবে: উপদেষ্টা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। ছবি: বাসস
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘জেলা প্রশাসকরা অভিযোগ করেছেন, অনেক জায়গায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চান জেলা প্রশাসকরা।’

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘জেলা প্রশাসকরা অভিযোগ করেছেন, অনেক জায়গায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চান জেলা প্রশাসকরা।

‘জামুকার (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) অধ্যাদেশ পরিবর্তন হচ্ছে। তারপর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘টিআর-কাবিখাতে বরাদ্দ নিবিরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যথাযথভাবে যেন পুনর্বাসন কার্যক্রম চলে। এখন থেকে ইউএনওরা টিনসহ কিছু সামগ্রী স্থানীয়ভাবে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী কিনবেন।’

অভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই অভ্যত্থানের পর সরকারি কর্মকর্তাদের মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে মনে করি। তাই স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

‘এ মাসের মধ্যেই জুলাই অধিদপ্তর গঠন হবে। জুলাই অভ্যুত্থানে মৃত্যুবরণ করা সবাই জুলাই শহীদ। আর আহতরা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে খ্যাত হবেন।’

আরও পড়ুন:
‘ডিসি পদায়নে তিন কোটির’ সেই চেক ভুয়া: জনপ্রশাসন সচিব
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিপ্রাপ্তদের তালিকা হচ্ছে: উপদেষ্টা
বাংলাদেশে হামলার ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে ভারতের উগ্র ডানপন্থীরা
শাস্তি পাবেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা: উপদেষ্টা ফারুক
রেস্টুরেন্টের ‘দখলে’ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Controlling all the people involved in chaos Home Advisor

বিশৃঙ্খলায় জড়িত সব জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিশৃঙ্খলায় জড়িত সব জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সোমবার দুপুরে কোস্ট গার্ড সদরদপ্তরে বাহিনীর ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কোস্ট গার্ড দিবস-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: ইউএনবি
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন জনতা বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলন করছে। এ ক্ষেত্রে শুধু তৌহিদি জনতা নয়, জনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী সব জনতাকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।’

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সব জনতাকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে বলে সোমবার জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জনতা বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলন করছে। এ ক্ষেত্রে শুধু তৌহিদি জনতা নয়, জনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী সব জনতাকেই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।’

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে দুপুরে কোস্ট গার্ড সদরদপ্তরে বাহিনীর ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কোস্ট গার্ড দিবস-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের নদীপথ ও সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব কোস্ট গার্ডের, যা তারা খুব ভালোভাবে সম্পন্ন করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্তে মাঝে মাঝে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। কোস্ট গার্ড সেগুলো সফলতার সঙ্গে সমাধান করছে।

‘বিভিন্ন সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা আমাদের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করে নিয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রেও কোস্ট গার্ড ভালো ভূমিকা রাখছে। কোস্ট গার্ড ও বিজিবির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উপকূল এলাকা আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাসপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পাওয়া সহজ হবে না। কারণ ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া পাসপোর্ট করা যাবে না।

‘রোহিঙ্গারা যেন জাতীয় পরিচয়পত্র না পায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আর যারা ইতোমধ্যে পেয়েছে, তাদের ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করা হবে।’

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের বড় সমস্যা। এটি আমাদের সব ক্ষেত্রকে গ্রাস করে নিয়েছে। গত ছয় মাসে দুর্নীতির পরিমাণ অনেক কমেছে।

‘তবে এটি এখনও সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। দুর্নীতি যদি কমানো যায়, তাহলে সব সেক্টরে উন্নতি হবে।’

ওই সময় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
দুর্নীতি সব শেষ করে দিচ্ছে: ড. ইউনূস
আসুন সবাই মিলে গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের স্বপ্ন সার্থক করি: প্রধান উপদেষ্টা
জাতিসংঘের সুপারিশের বিষয়ে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগ দিতে দুবাইয়ে প্রধান উপদেষ্টা
কোনো শয়তান যেন পালাতে না পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Parents were killed in the hospital in the hospital

পিকআপের ধাক্কায় মা-বাবা নিহত, মেয়ে হাসপাতালে

পিকআপের ধাক্কায় মা-বাবা নিহত, মেয়ে হাসপাতালে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এলাকা। ফাইল ছবি
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ইরফান জানান, সকালে রাস্তা পার হওয়ার সময় বেপরোয়া একটি পিকআপ ভ্যান তিনজনকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রুমা আক্তার। পরে স্থানীয় হাসপাতালে মারা যান আবদুল জব্বার।

রাজধানীর মাতুয়াইলে সোমবার সকালে রাস্তা পার হওয়ার সময় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় আবদুল জব্বার (৫২) ও রুমা খানম (৪০) নামের দুজন নিহত হয়েছেন।

এ দুর্ঘটনায় তাদের ১৪ বছর বয়সী মেয়ে জুঁই আক্তার আহত হয়েছে, যাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন আবদুল জাব্বার ও রুমা খানম। তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে।

আহত জুঁই যাত্রাবাড়ীর ইকরা হাই স্কুলের ছাত্রী।

মাতুয়াইলের সাদ্দাম মার্কেটের বিপরীত পাশে সকাল সাতটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রুমার। অন্যদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্বামী আবদুল জব্বারকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ইরফান জানান, সকালে রাস্তা পার হওয়ার সময় বেপরোয়া একটি পিকআপ ভ্যান তিনজনকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রুমা আক্তার। পরে স্থানীয় হাসপাতালে মারা যান আবদুল জব্বার।

তিনি বলেন, ‌‘মরদেহ দুটি আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে।’

আরও পড়ুন:
১০ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ চালু
অ্যারিজোনায় বিমান দুর্ঘটনায় একজন নিহত, তিনজন আহত
রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট চরমে, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
মেলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রাণ গেল তিন বন্ধুর
সিলেটে প্রাইভেট কারে ট্রাকের ধাক্কায় পাঁচজন নিহত

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
All fishing including hilsa in marine waters is banned for 7 days

সামুদ্রিক জলসীমায় ইলিশসহ সব মাছ ধরা নিষিদ্ধ ৫৮ দিন

সামুদ্রিক জলসীমায় ইলিশসহ সব মাছ ধরা নিষিদ্ধ ৫৮ দিন ইলিশ আহরণে নিয়োজিত জেলেরা। ছবি: নিউজবাংলা
আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন মোট ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকবে।

বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন মোট ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এসব তথ্য জানিয়েছেন।

সচিবালয়ে সোমবার আসন্ন রমজান মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম এবং বিগত ৬ মাসে মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘সামুদ্রিক জলসীমায়ও ইলিশ ও অন্যান্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য আহরণের ওপর প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যেকোনো প্রকার মৎস্য ও চিংড়ি, কাঁকড়া, লবস্টার ইত্যাদি (ক্রাস্টাশিয়ান্স) আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এর ফলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ ১২.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধির রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু এই সময়কাল পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে সমন্বয় না থাকায় বাংলাদেশের মাছ আহরণে পার্শ্ববর্তী দেশের মৎস্যজীবীরা সুযোগ নিচ্ছে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘তাই মৎস্য আহরণকারী সংগঠন এবং মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যানড পিরিয়ড সমন্বয় করার দাবি উত্থাপিত হয়ে আসছে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘তারই পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও অন্যান্য অংশীজন এবং মৎস্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। কারিগরি কমিটি সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের স্থায়িত্বশীল আহরণ ও স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ মাছের ব্রিডিং পিরিয়ড এপ্রিল থেকে জুন মাস হওয়ায় ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

‘অর্থাৎ এখন থেকে সামুদ্রিক জলসীমায় ইলিশ ও অন্যান্য মাছের আহরণের নিষিদ্ধ কাল হচ্ছে ৫৮ দিন (১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন)।’

এ ছাড়া হাওরে দেশীয় মাছ সংরক্ষণে জন্য ১৫ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত হাওরে পানি আসার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ দিন বা সর্বোচ্চ ১ মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধকরণ বিষয়ে মতামত দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের গুলিতে জেলে নিহত, ১৯ জেলেকে অপহরণ
মা ইলিশ সংরক্ষণে পিরোজপুরে অভিযান
মেঘনার ১০০ কিলোমিটারে মাছ ধরা বন্ধ ২২ দিন
বন্যা: শেরপুরে ভেসে গেছে ৭১ কোটি টাকার মাছ
ইনানী সৈকতে ভেসে এলো আরও দুই জেলের মরদেহ

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Corruption is all over Dr Yunus

দুর্নীতি সব শেষ করে দিচ্ছে: ড. ইউনূস

দুর্নীতি সব শেষ করে দিচ্ছে: ড. ইউনূস রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সামনে বিশাল সম্ভাবনাময় জগৎ, শুধু আমাদের সিদ্ধান্ত এবং কর্মসূচিগুলো ঠিক করার অপেক্ষা। তারুণ্য আমাদের আছে, প্রাকৃতিক সুযোগ আমাদের আছে। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি, এই একটা জিনিস সব শেষ করে দিচ্ছে।’

দেশ দুর্নীতির অনেক গভীরে ঢুকে গেছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দুর্নীতি সব শেষ করে দিচ্ছে। এটা থেকে বের হতে না পারলে বাংলাদেশের কোনো গতি নেই।

রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সামনে বিশাল সম্ভাবনাময় জগৎ, শুধু আমাদের সিদ্ধান্ত এবং কর্মসূচিগুলো ঠিক করার অপেক্ষা। তারুণ্য আমাদের আছে, প্রাকৃতিক সুযোগ আমাদের আছে। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি, এই একটা জিনিস সব শেষ করে দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘যেকোনো সমীক্ষায় আপনারা দেখবেন, বাংলাদেশ দুর্নীতির তালিকায় সর্বনিম্নে। সততা বলে আমাদের আর কোনো জিনিস নেই, শৃঙ্খলা বলে আমাদের আর কোনো জিনিস নেই। কাজেই এই দুর্নীতি থেকে বের না হলে আমরা ভালো কিছু করতে পারব না।’

জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা আজকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের সম্মেলনে এসেছি। কাজেই দুর্নীতি কোথায় আছে, কীভাবে আছে।

‘তাদের কাছে এটা অজানা নয়। এটা থেকে উদ্ধার পাওয়া ছাড়া বাংলাদেশের কোনো গতি নাই। এটা থেকে বের হতেই হবে আমাদের।’

তিনি বলেন, ‘এটা (দুর্নীতি) থেকে আমরা কেউ মুক্ত হতে পারছি না। এমন গভীরে ঢুকে গেছি আমরা।

‘আমরা যত বক্তৃতাই করি, এটা অসাড় কথা, যদি আমরা একটা সৎ জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারি।’

দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা অল্প সময়ের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের আছি, কতটুকু সমাধান দিতে পারব জানি না। তবে শুরু থেকে আমরা একটা চেষ্টা করছি। সবাইকে এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

দুর্নীতি থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইন কার্যক্রম বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেসব জায়গাগুলোতে অনলাইন ব্যবস্থা আছে, সেগুলো পুরোপুরি কার্যকর করতে হবে।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও চায় আমরা দুর্নীতিমুক্ত হই। কারণ দুর্নীতিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুই চলছে না। তারাও চায় আমাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য হোক, এটা তাদের গবেষণা।

‘আমরা তাদের সুযোগ দিতে চাই না। আমরা ব্যক্তিগত সুযোগ নিয়ে ব্যস্ত আছি। জাতীয় সুযোগের জন্য আমরা মোটেই চিন্তিত নই। আমাদের সেই চিন্তা বদলে ফেলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যারা সরকারি কার্যক্রমে যুক্ত আছেন, তাদের অনুরোধ জানাই দুর্নীতি থেকে মুক্ত হতে। দুর্নীতি থেকে সরকারকে বের হতে হবে। সরকার যদি দেশের উপকারে আসতে চায়, তাহলে এটা থেকে আমাদের মুক্তি দিতে হবে।’

অনলাইন সেবা চালু করার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনাদের এই আবেদন করব, আমরা থাকা অবস্থায় প্রতিটি ক্ষেত্রে অনলাইন সার্ভিস, যেগুলো তৈরি আছে সেটা শতভাগ যেন আমরা বাস্তবায়ন করে যেতে পারি।’

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘কেউ এটা বাধা দেওয়ার জন্য যেন কোমর বেঁধে না লেগে যায়। কোমর বেঁধে লেগে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। কারণ এটি (দুর্নীতি) দিয়েই তো তারা সব সুযোগ সুবিধা পেত।

‘এটা বন্ধ হয়ে গেলে তাদের হবেটা কী? তারা নানা ব্যাখ্যা দেবে, এটা ব্যাহত করার জন্য। আমরা তাদের (দুর্নীতিবাজদের) মুক্তি দিতে চাই না।’

তিনি বলেন, ‘এটা হলো লোহার ফটক (দুর্নীতি), এটা অতিক্রম না করলে উন্নতি বলেন, কিছুই আসবে না। কিচ্ছু হবে না।

‘সম্মান, উন্নতি যাই বলেন, কিছুই হবে না। এটা ভদ্র লোকের সংসারের মতো হতে হবে, যে আমরা দুর্নীতিমুক্ত জাতি।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের মতো দেশ যদি দুর্নীতি মুক্ত হতে পারে, তাহলে আমরা কেন পারব না। সবাই মিলে চেষ্টা করলে আমরাও পারব।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি থেকে বিভিন্ন দেশ বের হয়ে এসেছে। এটা সম্ভব, অসম্ভব কিছু না। শুধু চেষ্টার দরকার। শুধু আমাদের প্রতিজ্ঞা দরকার, এটা আমরা করব।’

সম্প্রতি আরব আমিরাত সফরের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আরব আমিরাতের লোক আমাদের দুর্নীতি নিয়ে বলছে, আমরা তোমাদের কোনো ডকুমেন্ট বিশ্বাস করতে পারছি না। এত ভুয়া। গৃহকাজের লোক কিন্তু সে সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছে মেডিক্যাল ডক্টর হিসেবে।

‘জলজ্যান্ত আমরা দেখছি এ ডাক্তার হতে পারে না। সে ডাক্তার না, কিন্তু সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছে। ডাক্তারের সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি নিয়ে ওখানে আসছে। আমরা কতটা বাছাই করব? লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায় যে, আমরা এটা কিছুই করতে পারছি না। আমরা কেউ না কেউ তাকে এই সার্টিফিকেট দিচ্ছি। এজেন্টরা জোগাড় করে দেয়। শুধু একটা এজেন্ট না বহু এজেন্ট আছে।’

তিনি বলেন, ‘এভাবে আমাদের বহু মেয়ে মধ্যপ্রাচ্যে হারিয়ে যাচ্ছে। নিয়ে গিয়ে কীসের মধ্যে ফেলে দিয়েছে কেউ জানেও না। মানব পাচারের যে বিষয়, তা অত্যন্ত বীভৎস।

‘আমাদের মেয়েরা যাচ্ছে, কী অবস্থায় ফিরে আসছে, যদি সশরীরে ফিরে আসতে পারে। কত লাশ কোথায় চলে যাচ্ছে, সেটারও কোনো হিসাব নেই। এই কোনো দেশ বানালাম আমরা। আমরা তো দায়ী।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নিজের কাছে, নিজের সন্তানদের কাছে আমরা কী জবাব দেব যে, কাউকে আমরা রক্ষা করতে পারছি না। এই মৃত্যুর জন্য, এই মানব পাচারের জন্য আমরা দায়ী না।’

তিনি বলেন, ‌‘এ ভীষণ রোগ। আমাদের সারা গায়ে ঘা। এটা থেকে মুক্ত হতে না পারলে কোনো দিকে অগ্রসর হওয়ার উপায় নেই। আমরা আজকে প্রতিজ্ঞা করি, আমরা এই ঘা থেকে মুক্ত হব, সুস্থ হব, দুর্নীতির দায়ে আমাদের কেউ অভিযুক্ত করতে পারবে না। এই রকম সরকার চালাব, এ রকম সমাজ চালাব।’

আরও পড়ুন:
পাসপোর্ট পেতে লাগবে না পুলিশ ভেরিফিকেশন: প্রধান উপদেষ্টা
কুয়েত সফরে সেনাপ্রধান
আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ডিসিদের সজাগ থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
আসুন সবাই মিলে গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের স্বপ্ন সার্থক করি: প্রধান উপদেষ্টা
নির্বাচনের তারিখ জুলাই চার্টারের ওপর: প্রেস সচিব

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Ultra Marathon on Coxs Bazar Marine Drive begins on February 26

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে আলট্রা ম্যারাথন শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে আলট্রা ম্যারাথন শুরু ২০ ফেব্রুয়ারি ‘কোস্টাল আলট্রা-২০২৫’-এর পোস্টার। ছবি: কোস্টাল আল্ট্রা বাংলাদেশ
কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দীর্ঘ দূরত্বের দৌড় বা আলট্রা ম্যারাথন আয়োজনের মাধ্যমে দেশে স্পোর্টস ট্যুরিজমের প্রসার, ভ্রমণপিপাসু মানুষকে পরিবেশবান্ধব ভ্রমণে উদ্বুদ্ধকরণ এবং সেই সাথে উপকূলের পরিবেশগত ভারসাম্য ও সমুদ্র তলদেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এই আলট্রা ম্যারাথনের আয়োজন করছে ‘কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশ’। এ ধরনের ইভেন্টের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করাই সংগঠনটির অন্যতম উদ্দেশ্য।”

পর্যটন নগর কক্সবাজারের দৃষ্টিনন্দন মেরিন ড্রাইভ ধরে আগামী ২০ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আলট্রা ম্যারাথন ‘কোস্টাল আলট্রা-২০২৫’।

পরিচ্ছন্ন উপকূলের পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন ও সামুদ্রিক ইকোসিস্টেম সংরক্ষণের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পর্যটন চর্চার বার্তা ছড়াতে এ ম্যারাথনের আয়োজন করা হচ্ছে।

‘সমুদ্র বাঁচাও, পৃথিবী বাঁচাও’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ইভেন্টটি আয়োজন করছে অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কোস্টাল আল্ট্রা বাংলাদেশ’।

আয়োজকদের ভাষ্য, দেশে প্রথমবারের মতো ২০০ কিলোমিটার দূরত্বের আলট্রা ম্যারথন আয়োজন হতে চলেছে।

কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দীর্ঘ দূরত্বের দৌড় বা আলট্রা ম্যারাথন আয়োজনের মাধ্যমে দেশে স্পোর্টস ট্যুরিজমের প্রসার, ভ্রমণপিপাসু মানুষকে পরিবেশবান্ধব ভ্রমণে উদ্বুদ্ধকরণ এবং সেই সাথে উপকূলের পরিবেশগত ভারসাম্য ও সমুদ্র তলদেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এই আলট্রা ম্যারাথনের আয়োজন করছে ‘কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশ’। এ ধরনের ইভেন্টের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করাই সংগঠনটির অন্যতম উদ্দেশ্য।”

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আলট্রা ম্যারাথন বা আলট্রা রান হচ্ছে এক ধরনের দীর্ঘ দূরত্বের দৌড় প্রতিযোগিতা, যেখানে সাধারণত ৪২ দশমিক ১৯৫ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি দৈর্ঘ্যের দৌড়ের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে ছোট দূরত্বের আলট্রা ম্যারাথন হচ্ছে ৫০ কিলোমিটার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এ আলট্রা ম্যারাথনের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে।

আলট্রা ম্যারাথনে আয়োজক সংগঠনের বেঁধে দেওয়া যোগ্যতার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ সাপেক্ষে বাছাইকৃত দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০০ জন দৌড়বিদ অংশ নেবেন। তাদের সহায়তার জন্য ২৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।

অংশগ্রহণকারীরা ৫০ কিলোমিটার, ১০০ কিলোমিটার, ১০০ মাইল ও ২০০ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে দৌড়ে অংশ নেবেন।

ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন ফি লাগবে না। সব সেবা বিনা মূল্যে পাবেন অংশগ্রহণকারীরা।

আরও পড়ুন:
জয়বাংলা ম্যারাথনে মেডেল জিতলেন দৈনিক বাংলার দুই সাংবাদিক
মেরিন ড্রাইভ সড়কে দুর্ঘটনায় পর্যটকসহ নিহত ২
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথন শুক্রবার
দেশের দীর্ঘতম আলট্রা ম্যারাথন ইভেন্ট শুরু কক্সবাজারে
সেনাবাহিনীর আয়োজনে বঙ্গবন্ধু ম্যারাথনের লোগো উন্মোচন

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Take the opportunity to give young people to build a country Fakhrul

দেশ গড়তে তরুণদের দেওয়া সুযোগ যেন গ্রহণ করি: ফখরুল

দেশ গড়তে তরুণদের দেওয়া সুযোগ যেন গ্রহণ করি: ফখরুল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের তরুণেরা, ছাত্ররা যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিল, সে সুযোগ আমাদের শুধু রাজনীতির ক্ষেত্রে নয়, আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, আমাদের জীবন, সামাজিক জীবন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, রাজনীতিসহ সব ক্ষেত্রে গ্রহণ করি।’

অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তরুণরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ করে দিয়েছে, সেটি গ্রহণের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির আয়োজনে বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে রবিবার শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

ফখরুল বলেন, ‘আমাদের তরুণেরা, ছাত্ররা যে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিল, সে সুযোগ আমাদের শুধু রাজনীতির ক্ষেত্রে নয়, আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, আমাদের জীবন, সামাজিক জীবন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, রাজনীতিসহ সব ক্ষেত্রে গ্রহণ করি।’

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দেশে একটা ভয়ংকর সময় আমরা পার করেছি। প্রায় ১৫ বছর একটা পাথর আমাদের বুকের মধ্যে চেপে ছিল। সেই পাথর সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

‘আমাদের তরুণেরা, ছাত্ররা যে একটি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংঘটিত করল, নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের সুযোগ করে দিল, তা যেন আমরা গ্রহণ করি। এ ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই।’

গণতন্ত্রে নির্বাচনের গুরুত্বের কথা বলতে গিয়ে ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনই একমাত্র পথ যার মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্রে পৌঁছাতে পারি। সেটাই আমাদের ক্রীড়াঙ্গনকে বলুন, শিক্ষা ক্ষেত্রে, সাংস্কৃতি ক্ষেত্রে বলুন, সুশাসনের ক্ষেত্রে বলুন, নির্বাচনই একমাত্র পথ, যার মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।’

আরও পড়ুন:
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে মাথাব্যথা নেই, সংস্কার আগে: জামায়াত
ক্ষমতায় যে দলই আসুক, মিলেমিশে কাজ করব: মির্জা আব্বাস
খালেদা জিয়ার ৮ মামলা বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
বালিয়াডাঙ্গীতে ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন স্থগিত, বিক্ষুব্ধদের হরতাল প্রত্যাহার
বাসার কার্নিশে দেশীয় অস্ত্র, পুলিশ ডাকলেন বিএনপি নেত্রী

মন্তব্য

p
উপরে