× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
চীন থেকে কেনা টিকার প্রথম চালান ঢাকায়
google_news print-icon

চীন থেকে কেনা টিকার প্রথম চালান ঢাকায়

চীন-থেকে-কেনা-টিকার-প্রথম-চালান-ঢাকায়
চীন থেকে কেনা টিকার প্রথম চালান এসেছে দেশে। ছবি: নিউজবাংলা
বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই টিকা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। শনিবার সকালে বাকি ১০ লাখ টিকা আসার কথা রয়েছে।

কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া মডার্নার ১২ লাখ টিকা আসার দেড় ঘণ্টা পর দেশে এসে পৌঁছেছে চীন থেকে কেনা সিনোফার্ম উৎপাদিত বিবিআইবিপি-করভি টিকার ১০ লাখ ডোজ।

একটি বিশেষ ফ্লাইটে সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এই টিকা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক।

তিনি বলেন, ‘এই টিকা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ ফ্রিজার ভ্যানে করে নিয়ে রাখা হবে তেজগাঁওয়ের ইপিআই স্টোরেজে।’

২০ লাখ টিকা রাতেই আসার কথা থাকলেও বাকি ১০ লাখ টিকা শনিবার সকালে আসবে বলেও জানান তিনি।

কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশে আরও ১৩ লাখ টিকা আসার কথা রয়েছে শনিবার। সবমিলিয়ে শুক্রবার ও শনিবার এই দুই দিনেই মোট ৪৫ লাখ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।

চীন থেকে কেনা টিকার প্রথম চালান ঢাকায়

এর আগে উপহার হিসেবে দুই দফায় বাংলাদেশকে ১১ লাখ টিকা দিয়েছে চীন।

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ প্রথম আনে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকার চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। তবে ৭০ লাখ পাঠানোর পর সিরাম আর টিকা দিতে পারেনি ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায়।

এর পাশাপাশি ভারত সরকার বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছে মোট ৩৩ লাখ টিকা।

টিকার সংকট কাটাতে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের মধ্যে চলতি সপ্তাহ থেকেই অগ্রগতি দেখা দিচ্ছে। শুক্রবার ও শনিবারের মধ্যেই টিকার চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪৫ লাখ ডোজ টিকা পাচ্ছে দেশ।

এ ছাড়া সরকারের হাতে বর্তমানে ফাইজার, কোভিশিল্ড, বিবিআইবিপি-করভি মিলিয়ে ১৪ লাখ টিকা। এই টিকা দিয়ে আগামী এক মাস টিকা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া যাবে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়া প্রায় সাড়ে ১৫ লাখ মানুষের সংকটও দূর হচ্ছে। জুলাইয়ের মধ্যে এই টিকাও হাতে পাচ্ছে সরকার। সিরাম ইনস্টিটিউট টিকা দিতে না পারলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে চালান আসছে। ফলে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ যারা নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যাবে।

আগামী মাসের মধ্যেই রাশিয়ার তৈরি করোনা টিকা স্পুৎনিক-ভির ৪০ লাখ ডোজ দেশে আসবে বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা করছে।

গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। আর গণটিকা শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। প্রতি মাসে ভারত থেকে আসার কথা ছিল ৫০ লাখ করে। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে ওঠা জোট কোভ্যাক্স থেকে পাওয়ার কথা ছিল সাত কোটির বেশি টিকা।

তবে ভারতে করোনার নতুন ধরনের ব্যাপক বিস্তারে সব পরিকল্পনা ভণ্ডুল হয়ে যায়। নিজ দেশে টিকার চাহিদা মেটাতে সে দেশের সরকার বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী কোম্পানি সিরাম ইন্টারন্যাশনালকে করোনার টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এর ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করা টিকা যেমন দেয়া যায়নি, তাই কোভ্যাক্সের টিকা পায়নি বাংলাদেশ। এই বৈশ্বিক উদ্যোগও সিরাম থেকেই টিকা নেয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছিল।

এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২৬ এপ্রিল টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ রাখে। আর সিরামের দ্বিতীয় ডোজও কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে ঈদের পর।

তবে সিরাম থেকে টিকা প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তার পর সরকার চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করার চেষ্টা করছে। চীন থেকে সরকার তিন থেকে চার কোটি টিকা কেনার কথা বলছে। এর মধ্যে কত টিকার চুক্তি হয়েছে, সেটি এখনও প্রকাশ হয়নি।

হাতে টিকা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে আবার গণটিকা শুরু করেছে সরকার। ঢাকায় ৪০টি আর বাইরে প্রায় এক হাজার কেন্দ্রে চলছে এই কার্যক্রম।

আরও পড়ুন:
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ পেল মডার্নার টিকা
দুই দিনে টিকা আসছে ৪৫ লাখ, চলতি মাসে কোটি
টিকার রেজিস্ট্রেশনে ভোগান্তিতে সিলেটের প্রবাসীরা
ভারতে করোনা প্রতিরোধী বিশ্বের প্রথম প্লাজমিড ডিএনএ টিকা
গবেষণা: টিকা নিলে করোনা কাবু করতে পারে না

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Reovirus in the body of five people in the country

দেশে পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত

দেশে পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত রিওভাইরাস। গ্রাফিক্স: ইউএনবি
পাঁচজনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হলেও কারও অবস্থাই গুরুতর ছিল না। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, রিওভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।

দেশে প্রথমবারের মতো রিওভাইরাস শনাক্ত করেছে ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)।

পাঁচজনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হলেও কারও অবস্থাই গুরুতর ছিল না।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, রিওভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।

এ ছাড়া ২০২৪ সালে নিপা ভাইরাস লক্ষ্মণ নিয়ে আসা রোগীদের পরীক্ষা করে পাঁচজনের শরীরে এটি পাওয়া যায়।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন ইউএনবিকে বলেন, ‘এটা আমরা ২০২৪ সালে পেয়েছি। আক্রান্তদের মধ্যে কেউই গুরুতর অসুস্থ হননি। চিকিৎসার পর সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।’

শীতে খেজুরের কাঁচা রস পান করার পর প্রতি বছর অনেকেই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসেন। যে ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস পাওয়া গেছে, তারা সবাই নিপা ভাইরাস নেগেটিভ ছিল।

তাদের শনাক্ত করা হয় ২০২৪ সালে। সে সময় রোগটি তেমন বিস্তার লাভ করেনি। দেশে ওই পাঁচজনই প্রথম।

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় আইইডিসিআরের নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
করোনা: ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত আরও ১৪
করোনায় ১ মৃত্যু, শনাক্ত ৩২
করোনায় ১ মৃত্যু, শনাক্ত ১১
মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ২১২
প্রাণ হারানো ফায়ার সার্ভিসের আরও একজনের পরিচয় শনাক্ত

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The trainee doctors did not accept the proposal to increase the allowance to 35 thousand rupees from July

জুলাই থেকে ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব মানেননি ট্রেইনি চিকিৎসকরা

জুলাই থেকে ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব মানেননি ট্রেইনি চিকিৎসকরা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ট্রেইনি চিকিৎসকদের অবরোধ। ছবি: নিউজবাংলা
আন্দোলনরত ট্রেইনি চিকিৎসকরা বলেন, জানুয়ারি মাস থেকেই ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করলে তারা অবরোধ ছেড়ে দেবেন। যতক্ষণ এটি করা না হবে ততক্ষণ অবরোধ না ছাড়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনরতরা।

বিএসএমএমইউ ও বিসিপিএসের অধিভুক্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা পঞ্চাশ হাজার টাকা করার দাবিতে সোমবার দুপুর ১২টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখেন চিকিৎসকরা।

বর্তমানে অর্থাৎ জানুয়ারি মাস থেকে ট্রেইনি চিকিৎসকদের ৩০ হাজার টাকা করে ভাতা পাওয়ার কথা রয়েছে। তবে সোমবার সরকারের তরফ থেকে জুলাই মাস থেকে ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা মানেননি আন্দোলনরত ট্রেইনি চিকিৎসকরা।

ভাতা ৫০ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়ে শাহবাগ অবরোধ করার আগে বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ডক্টর মুভমেন্ট ফর জাস্টিস-এর সভাপতি ডাক্তার জাবির হোসেন। সেই বৈঠকে প্রস্তাব করা হয় আপাতত ৩০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা করার যে সিদ্ধান্ত সেটি মেনে নিতে। জুলাই মাস থেকে তাদের এই ভাতা ৩৫ হাজার করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।

প্রতিনিধিরা আন্দোলনস্থলে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানান।

এরপর বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগ মোড়ে এসে আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিনিধি দল। এ সময় সবাই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। চিকিৎসকরা বলেন, জানুয়ারি মাস থেকেই ভাতা ৩৫ হাজার টাকা করলে তারা অবরোধ ছেড়ে দেবেন। যতক্ষণ এটি করা না হবে ততক্ষণ অবরোধ না ছাড়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনরতরা।

ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ সিলেটের পোস্টগ্রাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তার আশানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এই দাবি শুনে সরকারের পক্ষ থেকে এখন‌ও কিছু জানানো হয়নি। তবে আমাদের বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আমাদের আন্দোলনস্থলে আসছেন। আমরা ওনার জন্য অপেক্ষা করে আছি।’

আরও পড়ুন:
ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ট্রেইনি চিকিৎসকদের শাহবাগ অবরোধ

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Two more died of dengue in hospital 148

ডেঙ্গুতে আরও দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৪৮

ডেঙ্গুতে আরও দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৪৮ ফাইল ছবি।
চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ২ শতাংশ নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ এক হাজার ১৬ জন, যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৯ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী।

চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ২ শতাংশ নারী।

আর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক লাখ এক হাজার ১৬ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে নতুন করে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ৫৩
ডেঙ্গুতে আরও দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৬৫
ডেঙ্গুতে দেশে একদিনে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৪১
ডেঙ্গুতে দেশে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৭৪
ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিন

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
No one is taking responsibility for the construction of Sylhet District Hospital

সিলেট জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ, দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ

সিলেট জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ, দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর ঐতিহ্যবাহী আবু সিনা ছাত্রাবাস ভেঙে নির্মাণ করা হয় সিলেট জেলা হাসপাতাল। ছবি: নিউজবাংলা
নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর ঐতিহ্যবাহী আবু সিনা ছাত্রাবাস ভেঙে নির্মাণ করা হয় ২৫০ শয্যার সিলেট জেলা হাসপাতাল। নাগরিক সমাজের আপত্তি উপেক্ষা করে তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ দায়িত্বশীলরা অনেকটা জোর করে নগরের চৌহাট্টা এলাকায় প্রায় ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেন এই হাসপাতাল। নির্মাণকাজ ২০২৩ সালে শেষ হলেও এখন এটির দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ।

নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর ঐতিহ্যবাহী আবু সিনা ছাত্রাবাস ভেঙে নির্মাণ করা হয় সিলেট জেলা হাসপাতাল। নাগরিক সমাজের আপত্তি উপেক্ষা করে তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ দায়িত্বশীলরা অনেকটা জোর করে নগরের চৌহাট্টা এলাকায় প্রায় ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেন এই হাসপাতাল।

২৫০ শয্যার এই হাসপাতালের নির্মাণকাজ ২০২৩ সালে শেষ হলেও এখন এটির দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ।

স্বাস্থ্য-সংশ্লিষ্টদের মতামত না নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করায় এই হাসপাতাল ভবনের দায়িত্ব নিতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা। ফলে হাসপাতাল কমপ্লেক্স বুঝিয়ে দেয়ার মতো কর্তৃপক্ষ পাচ্ছে না গণপূর্ত বিভাগ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সিভিল সার্জন অফিসসহ কেউই এর দায়িত্ব নিতে রাজি হচ্ছে না। ফলে হাসপাতাল চালু করা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। যদিও নির্মাণ কাজের শুরুতে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিলেন, এটি চালু হলে ওসমানী হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে। সিলেট অঞ্চলের রোগীরা এখান থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে সেবা নিতে পারবেন।

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ৬ দশমিক ৯৮ একর জায়গার ওপর এই জেলা হাসপাতাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণপূর্ত অধিদপ্তর হাসপাতালটির অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্ব দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পদ্মা অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ভবন নির্মাণসহ রংকরণের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভবনে হাসপাতালের কোনো যন্ত্রপাতি আনা হয়নি। এর চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনীও দেয়া হয়নি।

নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক মওদুদ আহমদ জানান, তাদের কাজ শেষ। তারা ভবনটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাছে তুলে দিতে প্রস্তুত।

জানা গেছে, হাসপাতাল ভবন নির্মাণ শেষ হলেও ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সিভিল সার্জন কার্যালয় নাকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তা পরিচালনা করবে, সেটি এখনও নির্ধারণ হয়নি। হাসপাতাল হস্তান্তরের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ না পাওয়ায় গণপূর্ত বিভাগ এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দিয়েছে।

গণপূর্ত বিভাগ জানায়, ১৫ তলা হাসপাতাল ভবনে আটতলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রঙের কাজ, ইলেক্ট্রিক, টাইলস, গ্লাস, দরজা, জানালা লাগানোও সম্পন্ন। হাসপাতাল ভবনের বেসমেন্টে রয়েছে কার পার্কিং; প্রথম তলায় টিকিট কাউন্টার, ওয়েটিং রুম; দ্বিতীয় তলায় আউটডোর, রিপোর্ট ডেলিভারি ও কনসালট্যান্ট চেম্বার; তৃতীয় তলায় ডায়াগনস্টিক; চতুর্থ তলায় কার্ডিয়াক ও জেনারেল ওটি, আইসিসিইউ, সিসিইউ; পঞ্চম তলায় গাইনি বিভাগ, অপথালমোলজি, অর্থোপেডিক্স ও ইএনটি বিভাগ এবং ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম তলায় ওয়ার্ড ও কেবিন। এর মধ্যে আইসিইউ বেড ১৯টি, সিসিইউ বেড ৯টি এবং ৪০টি কেবিন রয়েছে।

জেলা গণপূর্ত অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু জাফর বলেন, ‘আমরা এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করে দেব। বাই মিসটেক এখানে যেহেতু লোকাল অথরিটি পাওয়া যায়নি। সেহেতু আমরা অথরিটি নির্ধারণের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘টেন্ডার সিডিউল, নকশাসহ কাগজপত্র সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগকে দেয়া হয়েছে। প্রতি তলায় ছাদ ঢালাইয়ের সময় তারা এসেছিল। এই হাসপাতালের জমি, ভবন, টাকা- সব দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়; আমরা শুধু কাজ করে দিচ্ছি।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করে হাসপাতালটি পরিচালনা বা তদারকির কথা ছিল। আমরা মন্ত্রণালয়কে সেভাবেই চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল নির্মাণের প্রস্তাব যখন মন্ত্রণালয়ে যায়, তখন গণপূর্ত বিভাগ আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করেনি। শুনেছি, হাসপাতালের কাজ শেষ। এখন তারা আমাদের গছাতে চাচ্ছে। অথচ এখানে কী আছে না আছে- সেটি আমাদের জানা নেই। তাই এ অবস্থায় আমরা হাসপাতালের দায়িত্ব নিতে পারি না।

‘কারণ, আমাদের আগের পরিচালক (ডা. হিমাংশু লাল) এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে গেছেন মন্ত্রণালয়ে। তাতে তিনি লিখে যান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অগোচরেই সিলেটে অনেক স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। তারা যেন না বুঝে এসব স্থাপনার দায়িত্ব কোনোভাবেই না নেন।’

সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত বলেন, ‘হাসপাতালের স্থাপত্য নকশা, কর্মপরিকল্পনা, সেবা প্রদানের জন্য সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় কক্ষের সুবিন্যাসকরণ ইত্যাদির কাগজপত্র সিভিল সার্জন, বিভাগীয় পরিচালক অথবা ওসমানী হাসপাতালের পরিচালকের কাছে দাখিল করা হয়নি। বিষয়টি আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। এটি বাসাবাড়ি নয়; আমাকে দায়িত্ব দিয়ে দিল আর নিয়ে নিলাম। এটি একটি হাসপাতাল। এটি নির্মাণে আমাদের সঙ্গে কোনো সমন্বয় করা হয়নি।’

হাসপাতালটি নির্মাণের আগে কোনো মতামত নেয়া হয়নি জানিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, ‘এভাবে হুট করে আমরা কোনো হাসপাতালেল দায়িত্ব নিতে পারি না। এই ভভনের অবকাঠামো হাসপাতালের উপযোগী কী না তাও আমাদের জানা নেই।

‘তাছাড়া ওসমানী হাসপাতালের অধীনে আরও কয়েকটি হাসপাতাল রয়েছে। সীমিত জনবল ও যন্ত্রপাতি নিয়ে এগুলো পরিচলানা করতেই আমরা হিমশিম খাচ্ছি। নতুন করে কোনো হাসপাতালের দায়িত্ব নেয়া এখন সম্ভব নয়।’

এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সিলেট জেলা সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘এমন ঠেলাঠেলি বন্ধ হোক। এখানে কারও স্বার্থ বা কোনো কুচক্রী মহল আছে কিনা, সেটি খুঁজে দেখা দরকার। এ প্রকল্প যখন পাস হয়, তখনই বলে দেয়া হয়েছে কারা পরিচালনা করবে। নির্মাণের পর কেউ দায় নিতে না চাওয়া অন্য অর্থ বহন করে।’

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
No new deaths due to dengue 53 hospitalized

ডেঙ্গুতে নতুন করে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ৫৩

ডেঙ্গুতে নতুন করে মৃত্যু নেই, হাসপাতালে ভর্তি ৫৩
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৭৬৪ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কারও মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৩ জন।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ২০ জন রোগী।

চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৭৬৪ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে আরও দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৬৫
ডেঙ্গুতে দেশে একদিনে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৪১
ডেঙ্গুতে দেশে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৭৪
ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিন
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Two more died in hospital due to dengue 165

ডেঙ্গুতে আরও দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৬৫

ডেঙ্গুতে আরও দু’জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৬৫ ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার প্রতীকী ছবি।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬৫ জন।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৬ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ৮৯ জন রোগী।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট এক লাখ ১৯৪ জন। তাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে দেশে একদিনে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৪১
ডেঙ্গুতে দেশে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৭৪
ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিন
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও পাঁচজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় দেশে চারজনের মৃত্যু

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
After five hours the trainee doctors left the Shahbag intersection and the strike will continue

পাঁচ ঘণ্টা পর শাহবাগ মোড় ছাড়লেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা, কর্মবিরতি চলবে

পাঁচ ঘণ্টা পর শাহবাগ মোড় ছাড়লেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা, কর্মবিরতি চলবে আন্দোলনরত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা শাহবাগ মোড় থেকে সরে যাওয়ার পর যান চলাচল শুরু হয়। ছবি: নিউজবাংলা
বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য বলেন, ‘চিকিৎসকদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যের একটি বিষয় হলো সেবা ছেড়ে রাজপথে এসে আন্দোলন করা। আমরা চাই আর কখনোই যেন চিকিৎসকদের দাবি-দাওয়া আদায়ে এভাবে রাজপথে নামতে না হয়। আমরা চাই আজকের মতো আপনারা ঘরে ফিরে যান।’ 

দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা অবরোধের পর শাহবাগ মোড় ছেড়েছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। তবে অবরোধ তুলে নিলেও কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

রোববার বিকেল সোয়া ৫টায় চিকিৎসকরা শাহবাগ মোড় ছাড়েন। এতে স্থবির হয়ে পড়া আশপাশের সড়কের যান চলাচল শুরু হয়।

শাহবাগ মোড় ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন বলেন, ‘জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা আজ শাহবাগ মোডের অবরোধ ছেড়ে দিচ্ছি। তবে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। এই সময়ের মধ্যে ভাতা বৃদ্ধির দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। আর বৃহস্পতিবারের আগে যখনই প্রজ্ঞাপন প্রকাশ হবে তখনই আমরা কাজে যোগ দেবো।’

এর আগে আজ রোববার দুপুর ১টায় ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতিতে গিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন দেশের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের বক্তব্য, তাদেরকে বর্তমানে ভাতা দেয়া হয় ২৫ হাজার টাকা। তাদের অন্য কোথাও চেম্বার করারও সুযোগ দেয়া হয় না। তাই তারা চান এই ভাতা ৫০ হাজার টাকা করা হোক।

অবরোধের আগে সকাল ৮টা থেকে এই দাবিতে ‘ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটি’ ব্যানারে ট্রেইনি চিকিৎসকরা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় জমায়েত হন।

সেখান থেকে দাবি মেনে নিতে কয়েক ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। কিন্তু সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় দুপুর ১টায় তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।

এদিকে অবরোধ চলাকালীন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অবরোধস্থলে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম।

তিনি আন্দোলনরত চিকিৎসকদের রাস্তা অবরোধ ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন।

উপাচার্য বলেন, ‘চিকিৎসকদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যের একটি বিষয় হলো সেবা ছেড়ে রাজপথে এসে আন্দোলন করা। আমরা চাই আর কখনোই যেন চিকিৎসকদের দাবি-দাওয়া আদায়ে এভাবে রাজপথে নামতে না হয়। আমরা চাই আজকের মতো আপনারা ঘরে ফিরে যান।’

তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক এবং উপাচার্য হিসেবে দাবি আদায়ে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এমনকি ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়েই রয়েছে, যা এই সপ্তাহের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন আকারে চলে আসবে বলে আশা করছি।’

আরও পড়ুন:
ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ট্রেইনি চিকিৎসকদের শাহবাগ অবরোধ
রেললাইন ছেড়েছেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা, ট্রেন চলাচল শুরু
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ পোশাকশ্রমিকদের
জুরাইনে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের রেলপথ অবরোধ
ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের অবরোধ, রাজধানীজুড়ে যানজট

মন্তব্য

p
উপরে