কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ৭০ টাকার ইনজেকশনের বিনিময়ে ১৫ গুণ বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছেন এক রোগী।
মেডিক্যাল কলেজের চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ একরাম আহসান জুয়েলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন তার কাছে চিকিৎসা নেয়া পলাশ সরকার। তিনি জানান, ওই চিকিৎসক তার কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা নেয়ার পর তিনি ওষুধের দোকানে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন ইনকেজশনটির দাম ৭০ টাকা।
পরে নিউজবাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে সেই চিকিৎসক দাবি করেন, তিনি একটি প্যাকেজের অংশ হিসেবে এই টাকা নিয়েছেন। ইনজেকশন পুশ করা, গ্লাভসের খরচ ও ভিজিট ধরেছেন। তবে ভিজিট ৫০০ ধরলেও ইনজেকশনের দাম হয় এক হাজার টাকা।
এ বিষয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও অভিযোগ দিয়ে এসেছেন ভুক্তভোগী পলাশ। তবে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
আহসান জুয়েল ওই মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান। তিনি প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে চেম্বার দিয়েছেন অন্য একটি হাসপাতালে।
ওই হাসপাতাল পপুলার মাল্টিকেয়ারে সরকারি হাসপাতালের রোগী পাঠিয়ে কারণে-অকারণে পরীক্ষা করানোর অভিযোগও আছে।
সদর উপজেলার দানাপাটুলী এলাকার বাসিন্দা পলাশ সরকার শরীরে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা নিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। বহির্বিভাগ থেকে ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চর্মরোগ বিভাগের প্রধান আহসান জুয়েলের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
পলাশকে কিছু ওষুধ ও কয়েকটি টেস্ট করিয়ে পরে আবার সাক্ষাৎ করতে বলেন জুয়েল। চেম্বার থেকে বের হয়ে খানিকটা এগোতেই আসেন এক ব্যক্তি। তিনি সেই চিকিৎসকের ব্যক্তিগত লোক পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘জুয়েল স্যারকে দেখাইছেন?’
‘জি’ বলার পর ওই লোক বলেন, ‘স্যার আমাকে পাঠাইছেন, আমি স্যারের লোক। স্যার বলছেন এই টেস্টগুলো পপুলার থেকে করিয়ে স্যারকে দেখানোর জন্য।’
সমস্যার জন্য হাসপাতালে না এসে ‘স্যারের নিজস্ব চেম্বারে গেলে’ গুরুত্ব বেশি পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
তার কথা শুনে ওই দিন বিকেলেই পলাশ চলে যান শহরের শোলাকিয়া এলাকায় পপুলার মাল্টিকেয়ার হাসপাতালে।
সেখানে গেলে মোট তিনটি টেস্টের রিপোর্ট দেখে ডাক্তার জানালেন একটা ভালো ইনজেকশন দিলেই আপনার সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
পলাশ জানান, চিকিৎসক জুয়েল তাকে বলেন, ‘এই ইনজেকশনের জন্য আপনাকে অন্য কোথাও যেতে হবে না, সেটাও রয়েছে আমাদের কাছেই। তবে টাকা লাগবে ১৫০০।’
দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে ভেবে রাজি হন পলাশ। আর চিকিৎসক নিজে গিয়ে পপুলার মাল্টিকেয়ার হাসপাতালের ফার্মেসি থেকে নিয়ে আসেন ইনজেকশনটি। পুশ করেন পলাশের পায়ে।
পরে ট্রিয়ালন নামের ইনজেকশনটি সম্পর্কে কৌতূহল জাগে পলাশের। স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে গিয়ে দাম জানতে চাইলে জানতে পারেন এটার দাম ৭০ টাকা। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেন চিকিৎসকের ভিজিটিং কার্ডে দেয়া নম্বরে।
বারবার ফোন করেও কোনো সাড়া না পেয়ে আসেন চেম্বারে। সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসক একরাম আহসান জুয়েল ইনজেকশনের এত দাম নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি পুরো প্যাকেজ হিসেবে ১৫০০ টাকা নিয়েছি। সেখানে আমার ভিজিট, গ্লাভসসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র রয়েছে।’
ভিজিট কত- এমন প্রশ্নে চিকিৎসক জুয়েল বলেন, ‘৫০০ টাকা।’
ভিজিট নিলে আবার ইনজেকশন পুশের খরচ কেন নেয়া হবে। আর একটি গ্লাভসের দাম ৫ থেকে ৭ টাকা, সেটির জন্য এত টাকা নেয়ার কী যুক্তি, এসব বিষয়ে প্রশ্নে নীরব থাকেন ওই চিকিৎসক।
রোগী পলাশ বলেন, ‘আমি কেন তাকে ভিজিট দেব? হাসপাতালে যাওয়ার পর তিনিই তো এখানে আসতে বলেছেন। আমি তো ভেবেছি, বাড়তি টাকা লাগবে না। আচ্ছা, তাও মানলাম। তাহলে ৭০ টাকার ইনজেকশনের দাম তাও তো এক হাজার টাকা হয়।
আরও যত অভিযোগ
পলাশ বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশ করার পর তার পোস্টের নিচে আরও অনেকেই একইভাবে ঠকার বিষয়টি প্রকাশ করেন।
কর্শাকড়িয়াল এলাকার বাসিন্দা হোসাইন মোহাম্মদ দেলোয়ার বলেন, ‘আমি নিজেও ওনার কাছে চর্মরোগের সমস্যায় গিয়েছিলাম। পরে অনেক টেস্ট শেষে রিপোর্ট দেখে একটি সাবান এবং একটি শ্যাম্পু দিয়েছিলেন। সেগুলোর দাম রেখেছিলেন ৪৫০ এবং ৫০০ টাকা। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম সেগুলোর মূল্য ৯০ থেকে ১২০ টাকা। ফলাফল শূন্য।’
জিয়াউদ্দীন খান নামে একজন তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলাম চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য। সেখানে যাওয়ার পরে আমার স্ত্রীকে দেখে কিছু ওষুধ দিল, টেস্ট দিল। তারপর একটা কাগজে কিছু লিখে পাঠিয়ে দিল আরেক ডাক্তার, তার স্ত্রীর কাছে। তার স্ত্রীও একই হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ। তিনিও কিছু টেস্ট দিয়ে বললেন, মহিলাদের অনেক সমস্যা থাকে। এই টেস্টগুলো করিয়ে নেন। ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে।’
দুজন মিলে ২ হাজার ৭০০ টাকা বিল করেন।
এরপর জিয়াউদ্দীনকে ডাক্তার জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনাদের টিটেনাস দেয়া আছে?’
‘ঠিক মনে নাই’- এই জবাব দেয়ার পর আরও দুটি পরীক্ষা যোগ হলো। বিল বাড়ল ৮০০ টাকা। এরপর তাদের এইচআইভির পরীক্ষা করিয়ে বিলে আরও যোগ হয় ৮০০ টাকা।
জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘এরপর দ্বিতীয়বার এই ডাকাতের কাছে আর যাইনি। তিনি তাবলিগও করেন, ধার্মিকও বটে। কিন্তু লোভী। এর একটা ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।’
মায়ের অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় এমদাদুল হক শরীফ নামে একজন এসেছিলেন এই ডাক্তারের কাছে। তিনিও ঠকেছেন। বলেন, ‘আম্মাকে দেখে CBC, Serum creatine, anti alegric, HBSAg, X ray এই টেস্টগুলো দিয়েছিল। যদিও অ্যালার্জির জন্য অ্যান্টি অ্যালার্জি টেস্টটা করালেই চলত। তারপরেও এই টেস্টগুলো না করে কোনো উপায় ছিল না।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসক জুয়েল বলেন, ‘মানুষ তো একটা সুযোগ পেলেই সত্যতা যাচাই না করেই আজেবাজে মন্তব্য করে থাকে। এগুলো তারা না বুঝে করতেছে।’
একপর্যায়ে তার সঙ্গে দেখা করে বক্তব্য নেয়ার প্রস্তাব দিলে এই চিকিৎসক বলেন, ‘আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, আমি অসুস্থ। আমার করোনা পজিটিভ। গত শনিবারের আগের শনিবার থেকে আমি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি।’
তবে তার এই দাবির সত্যতাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কারণ, তিনি যে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান, সেটির কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা মনিরুজ্জামান রকি জানান, দুই দিন আগেও সেই জুয়েল রোগী দেখেছেন।
তিনি করোনা আক্রান্ত কি না- জানতে চাইলে তিনি হেসে বলেন, ‘এই কথা আপনাকে কে বলছে?’
যা বলছে চিকিৎসা প্রশাসন
চিকিৎসক জুয়েলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অনুপম ভট্টাচার্য বলেন, ‘পলাশ সরকার নামে এক ব্যক্তি আমার কাছে এসেছিলেন। মৌখিকভাবে তিনি আমার কাছে অভিযোগ করে গিয়েছেন । আমি তার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি।’
জুয়েলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উনি তো অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এবং উনি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এবং উপপরিচালক কেউই নেই। নতুন পদায়ন হয়েছে। ওনারা আগামী রোববারে যোগদান করবেন। তখন এই বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করব।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন মুজিবুর রহমান জানান, তিনি ভুক্তভোগী পলাশ সরকারের অভিযোগ ফেসবুকে দেখেছেন এবং পোস্টের লিংকটি চিকিৎসক জুয়েলকে মেসেঞ্জারে পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উনি যদি হাসপাতালে রোগী দেখেন, সেই বিষয়টা হাসপাতালেই রাখবেন। কিন্তু হাসপাতালে কেউ আসলে তাকে প্রাইভেট চেম্বারে পাঠিয়ে থাকলে সেটা তিনি ঠিক করেননি।’
আরও পড়ুন:আন্তর্জাতিক অশ্লীল কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক বাংলাদেশি দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে বান্দরবানে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) এবং এলআইসি শাখার যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়। সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান। তিনি জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের ঢাকায় আনা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
গত ১৭ অক্টোবর 'দ্য ডিসেন্ট' নামের একটি নিউজ পোর্টাল “পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশি যুগল যেভাবে আন্তর্জাতিক পর্ন তারকা” শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, ওই দম্পতি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরি ও বিক্রি করে আসছিলেন। তাদের কনটেন্ট অনলাইনে বিক্রির মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ উপার্জনের তথ্যও সেখানে প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার দম্পতির বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রক্তক্ষয়ী এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মূলহোতা সিফাত ও আবরারসহ ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সংঘর্ষের পর পুলিশ ও র্যাব নগরীর বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
সোমবার বেলা ১২ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ এর কুমিল্লা কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ ও কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসময় আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলে চারজন গুরুতর আহত হন মোস্তাফিজুর রহমান, অনয় দেবনাথ, মাহিন ও রিজভী। তারা কুমিল্লার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে উচ্চ মাধ্যমিকের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী জিসান ও তাহফিদের সঙ্গে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীন সিফাতের কথা কাটাকাটি হয়। পরে সিফাত তার বাহিরের বন্ধুদের নিয়ে কলেজে আসে এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কলেজজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক তরুণ হাতে রামদা নিয়ে দৌড়াচ্ছে এবং আরেকজনের হাতে পিস্তল। তদন্তে জানা গেছে, ভিডিওতে অস্ত্রধারী ওই তরুণ সিফাত।
ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, “ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এতে ৬৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।”
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ বলেন, “সংঘর্ষের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই অভিযান শুরু হয়। রাতভর অভিযান চালিয়ে মূলহোতাসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, “ঘটনার ভিডিও প্রকাশের পর দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। র্যাব তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ার রায়ের বাগ এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মো. রাসেল মিয়া (৩১) নামে সিআইডির একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আজ (সোমবার) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
আহত রাসেল মিয়া যাত্রাবাড়ীর রইস নগর এলাকায় ভাড়া থাকেন এবং বর্তমানে ঢাকা সিআইডি হেডকোয়ার্টারে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা নুরুল ইসলাম জানান, আমি ওই পুলিশ সদস্যের পাশের বাড়িতে ভাড়া থাকি। আজ ভোরের দিকে মোটরসাইকেল যোগে শনির আখড়া থেকে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত ৩/৪ জন ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে এবং ছুরি দিয়ে বাহুতে আঘাত করে মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে যায়। পরে আমরা খবর পেয়ে চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, আজ সকালের দিকে সিআইডির পুলিশ সদস্যকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে পারুল বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে হাতুড়িপেটা করে হত্যা করেছে তার পুত্রবধূ ৩ সন্তানের জননী মাকসুদা আক্তার লিলি (২৮)।
প্রথমে পুলিশ ও স্থানীয়দের মাঝে লিলি শাশুড়িকে কে বা কারা হত্যা করে লাশ বাড়ির উঠানে ফেলে যায় বলে মিথ্যা নাটক সাজায়। কিন্তু পরবর্তীতে রাত ১১ টার দিকে পুলিশের ব্যাপক জেরারমুখে নিজেই হত্যার কথা স্বীকার করে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের আসাদনগর মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারুল বেগম ওই এলাকার আব্দুল ওয়াহিদের স্ত্রী। এ ঘটনায় পুত্রবধূ লিলি আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জামিল খান জানান, পারুল আক্তার ও আব্দুল ওয়াহিদ মিয়া দম্পতির একমাত্র ছেলে বিল্লাল প্রবাসে থাকেন। বাড়িতে তারা দুজন ছাড়াও পুত্রবধূ লিলি আক্তারও থাকেন। লিলির তিন সন্তান রয়েছে। শাশুড়ির সঙ্গে তার পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। প্রায় সময়ই বাকবিতণ্ডা হতো।
প্রতিবেশীরা জানান, রোববার সকালে আব্দুল ওয়াহিদ মিয়া কুমিল্লায় চিকিৎসার জন্য যান। সন্ধ্যায় শাশুড়ির সঙ্গে লিলির ঝগড়া বাঁধে। একপর্যায়ে ঘরে থাকা হাতুড়ি দিয়ে শাশুড়ির মাথায় আঘাত করে এবং মাথা ও মুখে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এতে ঘটনাস্থলেই পারুল বেগম মারা যান।
এর আগেও পুত্রবধূ লিলি নিহত শাশুড়ি পারুল বেগমকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওসি হাসান জামিল খান জানান, হত্যার পর বাড়ির উঠানে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ভেবে পাচ্ছিলেন না কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তৎক্ষণিক তদন্ত শুরু করে। ঘরের পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে লিলিকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পুত্রবধূ কর্তৃক বৃদ্ধা শাশুড়িকে হত্যার ঘটনাটি পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নে সবচেয়ে বৃহত্তম শিমুল গাছটি ঘিরে রয়েছে নানা কল্পকাহিনী। বহন করছে নানা ঐতিহ্য। ঐতিহাসিক বিভিন্ন ঘটনার স্বাক্ষী এই শিমুল গাছটি।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, গাছটির বয়স পাঁচ থেকে ছয়শ বছর। এর ছায়ায় প্রশান্তি পান ক্লান্ত পথিক। তবে বৃহদাকৃতির এ গাছটি ধীরে ধীরে অস্তিত্ব হারাচ্ছে। তাই এটি বৈজ্ঞানিক উপায়ে রক্ষণাবেক্ষণের দাবি স্থানীয়দের। গাছটি ঘিরে পর্যটনেরও বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মত এলাকাবাসীর।
বানারীপাড়া উপজেলা শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণবাড়িয়া নামক স্থানে গাছটির অবস্থান। এই গাছটির নিচে অনেকেই মনের বাসনা পূরণের জন্য মানত হিসাবে গরু খাসি, মোরগ, জবাই করে রান্নাবান্না করে। গাছ দেখার জন্য আগত ভক্তদের উদ্দেশ্য একটাই যেন তাদের মনের বাসনা পূর্ণ হয়। অনেকে মনের বাসনা পূরণের জন্য মোমবাতি, আগরবাতি জ্বালিয়ে পূজা-অর্চনা করেন। আবার অনেকে দেখার জন্য এসে গাছটিতে প্রিয়জনের নামও লিখে যায়। আগত ভক্তদের একটাই উদ্দেশ্য যেনো সৃষ্টিকর্তা তাদের মনের বাসনা পূর্ণ করে।
প্রায় ৫০ শতাংশ জমির ওপর দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় ১৫০ ফুট লম্বা শিমুল গাছটির গোড়ার পরিধি প্রায় ৫৫ গজ। গাছটির গোড়ায় দাঁড়িয়ে কখনো মনে হয় পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে থাকার অনুভূতি। এর বিশালতায় ভরে যায় মন। এখানে এলে মুগ্ধতার আবেশে জড়িয়ে যায় দর্শনার্থীর হৃদয়। আলোচিত এই গাছটি দেখতে তাই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেক দর্শনার্থী।
স্থানীয় বাড়ির বাসিন্দা ও গাছের মালিক উত্তম সরকার বলেন, আমি বাপ-দাদার কাছ থেকে শুনে আসছি এই শিমুল গাছটির বয়স কমপক্ষে পাঁচশ বছর হবে। আবার গ্রামের অনেকেই বলেছে, গাছটির বয়স ছয়শ বছর বা তারও বেশি হবে।
প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো গাছটি বেড়ে উঠেছেও প্রাকৃতিকভাবেই। একসময় বৃহৎ আকৃতির এই শিমুল গাছটি পত্র-পল্লবে এতটাই ঘন ছিল যে এর নীচে রোদ, বৃষ্টি, কুয়াশাও পড়ত না। প্রচন্ড গরমের সময়ও গাছের নীচে পাওয়া যেত হিমেল শান্তির পরশ। পথিক, কৃষক থেকে শুরু করে নানা পেশা ও শ্রেণির লোকজন গাছের তলায় শুয়ে-বসে বিশ্রাম নিত। দুপুর ও বিকালে দেখা যেত ডালে ডালে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন অনেকে।
গাছটি যার জমিতে আছে তিনি (উত্তম সরকার) তার বাবার পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে পেয়েছেন, তিনি আবার তার বাবার কাছ থেকে এভাবেই চলে আসছে শতাব্দী থেকে শতাব্দী ধরে। কিন্তু কেউ বলতে পারে না এর জন্মলগ্নের সঠিক ইতিহাস।
গাছটিকে ঘিরে প্রচলিত রয়েছে নানান কল্পকাহিনী। স্থানীয়রা অনেকেই জানান, প্রায় সময় এখানে বিভিন্ন এলাকার লোকজন গাছটি একনজর দেখার জন্য এসে ভিড় করে থাকে। তারা মানত করে স্থানীয়দের মাঝে মোরগ-পোলাও মিষ্টি বিতরণ করেন। তারা মনে করে এ গাছে অলৌকিক কোন কিছু আছে। তাই মনের বাসনা পুরন করার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দা অসীম সরকার জানান, এই পুরাতন শিমুল গাছটি কাটার জন্য অনেকেই চেষ্টা করেছে কিন্তু কোন অবস্থাতেই কাটা যায় না। যে গাছটি কাটতে যায় সে অসুস্থ হয়ে যায়। শুনেছি অনেক আগে এ গাছ কাটতে এসে নাক, মুখ দিয়ে রক্ত এসেও মারা গিয়েছে। এটি আমাদের এলাকার পুরাতন একটি গাছ। এটি আমাদের ঐতিহ্য।
এলাকাবাসী মহানন্দ মন্ডল দোকানদার বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ও নানামুখী অত্যাচারের কারণে ঐতিহ্যবাহী শিমুল গাছটি অস্তিত্ব হুমকিতে পড়েছে। ভেঙে পড়ছে বড় বড় ডালগুলো। সকলের সহযোগিতায় আমরা এই গাছটিকে সংরক্ষণের চেষ্টা করছি। দর্শনার্থী টানতে এলাকাবাসী বিশালাকৃতির দৃষ্টিনন্দন এ গাছটি সম্পর্কে প্রচারণা ও মূল রাস্তা থেকে গাছের গোড়া পর্যন্ত পাকা সংযোগ সড়ক তৈরিসহ বৈজ্ঞানিক উপায়ে রক্ষণাবেক্ষণের দাবি জানিয়েছেন।
টিউশন ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষার প্রেমের বলি হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ছাত্রী বার্জিস শাবনাম বর্ষার সঙ্গে তার সাবেক প্রেমিক মাহির রহমানের ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াকে কেন্দ্র করেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, বর্ষার সঙ্গে জোবায়েদের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। তবে বর্ষার মুখে জোবায়েদকে পছন্দ করার কথা শুনে সাবেক প্রেমিক মাহির ক্ষুব্ধ হয়ে বন্ধুকে নিয়ে জোবায়েদকে খুন করে।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ষার মধ্যে কোনো অনুশোচনা বা ভয় পাওয়া যায়নি; বরং পুরো সময় শান্ত ছিলেন তিনি।
গত রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় এক ছাত্রীকে টিউশন পড়াতে গিয়ে খুন হন জোবায়েদ। নিহত জোবায়েদ জবির পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন।
ঘটনার পর জবির শিক্ষার্থীরা বংশাল থানার সামনে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে দ্রুত খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানান। তবে ১৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনও মামলা হয়নি বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মাহির রহমান ও তার বন্ধুকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, দেড় হাজার টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে সোমবার শহীদ মিনারে আমরণ অনশন ও শিক্ষক সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। সকাল ১০ টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকরা আসতে শুরু করেছেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই অনশন চলবে। দেশের কোনো শিক্ষক শ্রেণিকক্ষের পাঠদান বা প্রশাসনিক কাজ করবেন না। পরীক্ষার ডিউটি, অফিস ফাইল, সবকিছুই বন্ধ থাকবে।
দেলাওয়ার হোসেন আজিজী আরও বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, কিন্তু আমরা তা প্রত্যাখ্যান করেছি। তার প্রতি আমাদের কোনো আস্থা নেই। আন্দোলন চলবে, প্রয়োজনে জাতীয়করণের এক দফা আন্দোলনে রূপ নেবে।
অন্যদিকে, এরইমধ্যে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধিতে সম্মতি দিয়েছে সরকারের অর্থ বিভাগ। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া ভাতা দেয়া হবে। আর এ সুবিধা আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
রোববার সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের উপসচিব মরিয়ম মিতুর সই করা প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, সরকারের বিদ্যমান বাজেট সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানির নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধিদল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের আন্দোলনে শামিল হবেন।
গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবি পূরণ করা হবে বলে বিএনপি মহাসচিব শিক্ষকদের আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, বিএনপি মহাসচিব আমাদের বলেছেন বিএনপির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল আমাদের আন্দোলনস্থল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেবেন।
এর আগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত ১২ অক্টোবর শিক্ষকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তিন দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এই কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এর প্রতিবাদ এবং দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত সোমবার থেকে শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।
মন্তব্য