× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
৭০ টাকার ইনজেকশন চিকিৎসক নিলেন হাজার
google_news print-icon

৭০ টাকার ইনজেকশন, চিকিৎসক নিলেন হাজার

৭০-টাকার-ইনজেকশন-চিকিৎসক-নিলেন-হাজার
একরাম আহসান জুয়েল ৭০ টাকার এই ইনজেকশনের দাম নিয়েছেন ১ হাজার টাকা। ছবি: নিউজবাংলা
অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগছিলেন কিশোরগঞ্জের পলাশ সরকার। সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে চর্মরোগ বিভাগের প্রধান তার ‘একান্ত ব্যক্তিগত’ লোক দিয়ে তাকে ব্যক্তিগত চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে ৭০ টাকার ইনকেজশন পুশ করে তার কাছ থেকে আদায় করা হয় ২০ গুণ টাকা।

কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ৭০ টাকার ইনজেকশনের বিনিময়ে ১৫ গুণ বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ করেছেন এক রোগী।

মেডিক্যাল কলেজের চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ একরাম আহসান জুয়েলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন তার কাছে চিকিৎসা নেয়া পলাশ সরকার। তিনি জানান, ওই চিকিৎসক তার কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা নেয়ার পর তিনি ওষুধের দোকানে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন ইনকেজশনটির দাম ৭০ টাকা।

পরে নিউজবাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে সেই চিকিৎসক দাবি করেন, তিনি একটি প্যাকেজের অংশ হিসেবে এই টাকা নিয়েছেন। ইনজেকশন পুশ করা, গ্লাভসের খরচ ও ভিজিট ধরেছেন। তবে ভিজিট ৫০০ ধরলেও ইনজেকশনের দাম হয় এক হাজার টাকা।

এ বিষয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও অভিযোগ দিয়ে এসেছেন ভুক্তভোগী পলাশ। তবে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

আহসান জুয়েল ওই মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান। তিনি প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে চেম্বার দিয়েছেন অন্য একটি হাসপাতালে।

ওই হাসপাতাল পপুলার মাল্টিকেয়ারে সরকারি হাসপাতালের রোগী পাঠিয়ে কারণে-অকারণে পরীক্ষা করানোর অভিযোগও আছে।

সদর উপজেলার দানাপাটুলী এলাকার বাসিন্দা পলাশ সরকার শরীরে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা নিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। বহির্বিভাগ থেকে ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে চর্মরোগ বিভাগের প্রধান আহসান জুয়েলের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

পলাশকে কিছু ওষুধ ও কয়েকটি টেস্ট করিয়ে পরে আবার সাক্ষাৎ করতে বলেন জুয়েল। চেম্বার থেকে বের হয়ে খানিকটা এগোতেই আসেন এক ব্যক্তি। তিনি সেই চিকিৎসকের ব্যক্তিগত লোক পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘জুয়েল স্যারকে দেখাইছেন?’

‘জি’ বলার পর ওই লোক বলেন, ‘স্যার আমাকে পাঠাইছেন, আমি স্যারের লোক। স্যার বলছেন এই টেস্টগুলো পপুলার থেকে করিয়ে স্যারকে দেখানোর জন্য।’

সমস্যার জন্য হাসপাতালে না এসে ‘স্যারের নিজস্ব চেম্বারে গেলে’ গুরুত্ব বেশি পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

তার কথা শুনে ওই দিন বিকেলেই পলাশ চলে যান শহরের শোলাকিয়া এলাকায় পপুলার মাল্টিকেয়ার হাসপাতালে।

সেখানে গেলে মোট তিনটি টেস্টের রিপোর্ট দেখে ডাক্তার জানালেন একটা ভালো ইনজেকশন দিলেই আপনার সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

৭০ টাকার ইনজেকশন, চিকিৎসক নিলেন হাজার
একরাম আহসান সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ

পলাশ জানান, চিকিৎসক জুয়েল তাকে বলেন, ‘এই ইনজেকশনের জন্য আপনাকে অন্য কোথাও যেতে হবে না, সেটাও রয়েছে আমাদের কাছেই। তবে টাকা লাগবে ১৫০০।’

দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে ভেবে রাজি হন পলাশ। আর চিকিৎসক নিজে গিয়ে পপুলার মাল্টিকেয়ার হাসপাতালের ফার্মেসি থেকে নিয়ে আসেন ইনজেকশনটি। পুশ করেন পলাশের পায়ে।

পরে ট্রিয়ালন নামের ইনজেকশনটি সম্পর্কে কৌতূহল জাগে পলাশের। স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে গিয়ে দাম জানতে চাইলে জানতে পারেন এটার দাম ৭০ টাকা। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেন চিকিৎসকের ভিজিটিং কার্ডে দেয়া নম্বরে।

বারবার ফোন করেও কোনো সাড়া না পেয়ে আসেন চেম্বারে। সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসক একরাম আহসান জুয়েল ইনজেকশনের এত দাম নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি পুরো প্যাকেজ হিসেবে ১৫০০ টাকা নিয়েছি। সেখানে আমার ভিজিট, গ্লাভসসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র রয়েছে।’

ভিজিট কত- এমন প্রশ্নে চিকিৎসক জুয়েল বলেন, ‘৫০০ টাকা।’

ভিজিট নিলে আবার ইনজেকশন পুশের খরচ কেন নেয়া হবে। আর একটি গ্লাভসের দাম ৫ থেকে ৭ টাকা, সেটির জন্য এত টাকা নেয়ার কী যুক্তি, এসব বিষয়ে প্রশ্নে নীরব থাকেন ওই চিকিৎসক।

রোগী পলাশ বলেন, ‘আমি কেন তাকে ভিজিট দেব? হাসপাতালে যাওয়ার পর তিনিই তো এখানে আসতে বলেছেন। আমি তো ভেবেছি, বাড়তি টাকা লাগবে না। আচ্ছা, তাও মানলাম। তাহলে ৭০ টাকার ইনজেকশনের দাম তাও তো এক হাজার টাকা হয়।

আরও যত অভিযোগ

পলাশ বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশ করার পর তার পোস্টের নিচে আরও অনেকেই একইভাবে ঠকার বিষয়টি প্রকাশ করেন।

কর্শাকড়িয়াল এলাকার বাসিন্দা হোসাইন মোহাম্মদ দেলোয়ার বলেন, ‘আমি নিজেও ওনার কাছে চর্মরোগের সমস্যায় গিয়েছিলাম। পরে অনেক টেস্ট শেষে রিপোর্ট দেখে একটি সাবান এবং একটি শ্যাম্পু দিয়েছিলেন। সেগুলোর দাম রেখেছিলেন ৪৫০ এবং ৫০০ টাকা। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম সেগুলোর মূল্য ৯০ থেকে ১২০ টাকা। ফলাফল শূন্য।’

৭০ টাকার ইনজেকশন, চিকিৎসক নিলেন হাজার
এই হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন একরাম আহসান

জিয়াউদ্দীন খান নামে একজন তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলাম চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য। সেখানে যাওয়ার পরে আমার স্ত্রীকে দেখে কিছু ওষুধ দিল, টেস্ট দিল। তারপর একটা কাগজে কিছু লিখে পাঠিয়ে দিল আরেক ডাক্তার, তার স্ত্রীর কাছে। তার স্ত্রীও একই হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ। তিনিও কিছু টেস্ট দিয়ে বললেন, মহিলাদের অনেক সমস্যা থাকে। এই টেস্টগুলো করিয়ে নেন। ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে।’

দুজন মিলে ২ হাজার ৭০০ টাকা বিল করেন।

এরপর জিয়াউদ্দীনকে ডাক্তার জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনাদের টিটেনাস দেয়া আছে?’

‘ঠিক মনে নাই’- এই জবাব দেয়ার পর আরও দুটি পরীক্ষা যোগ হলো। বিল বাড়ল ৮০০ টাকা। এরপর তাদের এইচআইভির পরীক্ষা করিয়ে বিলে আরও যোগ হয় ৮০০ টাকা।

জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘এরপর দ্বিতীয়বার এই ডাকাতের কাছে আর যাইনি। তিনি তাবলিগও করেন, ধার্মিকও বটে। কিন্তু লোভী। এর একটা ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।’

মায়ের অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় এমদাদুল হক শরীফ নামে একজন এসেছিলেন এই ডাক্তারের কাছে। তিনিও ঠকেছেন। বলেন, ‘আম্মাকে দেখে CBC, Serum creatine, anti alegric, HBSAg, X ray এই টেস্টগুলো দিয়েছিল। যদিও অ্যালার্জির জন্য অ্যান্টি অ্যালার্জি টেস্টটা করালেই চলত। তারপরেও এই টেস্টগুলো না করে কোনো উপায় ছিল না।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসক জুয়েল বলেন, ‘মানুষ তো একটা সুযোগ পেলেই সত্যতা যাচাই না করেই আজেবাজে মন্তব্য করে থাকে। এগুলো তারা না বুঝে করতেছে।’

একপর্যায়ে তার সঙ্গে দেখা করে বক্তব্য নেয়ার প্রস্তাব দিলে এই চিকিৎসক বলেন, ‘আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, আমি অসুস্থ। আমার করোনা পজিটিভ। গত শনিবারের আগের শনিবার থেকে আমি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি।’

তবে তার এই দাবির সত্যতাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কারণ, তিনি যে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান, সেটির কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা মনিরুজ্জামান রকি জানান, দুই দিন আগেও সেই জুয়েল রোগী দেখেছেন।

তিনি করোনা আক্রান্ত কি না- জানতে চাইলে তিনি হেসে বলেন, ‘এই কথা আপনাকে কে বলছে?’

যা বলছে চিকিৎসা প্রশাসন

চিকিৎসক জুয়েলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অনুপম ভট্টাচার্য বলেন, ‘পলাশ সরকার নামে এক ব্যক্তি আমার কাছে এসেছিলেন। মৌখিকভাবে তিনি আমার কাছে অভিযোগ করে গিয়েছেন । আমি তার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি।’

জুয়েলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উনি তো অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এবং উনি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এবং উপপরিচালক কেউই নেই। নতুন পদায়ন হয়েছে। ওনারা আগামী রোববারে যোগদান করবেন। তখন এই বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করব।’

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন মুজিবুর রহমান জানান, তিনি ভুক্তভোগী পলাশ সরকারের অভিযোগ ফেসবুকে দেখেছেন এবং পোস্টের লিংকটি চিকিৎসক জুয়েলকে মেসেঞ্জারে পাঠিয়েছেন।

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উনি যদি হাসপাতালে রোগী দেখেন, সেই বিষয়টা হাসপাতালেই রাখবেন। কিন্তু হাসপাতালে কেউ আসলে তাকে প্রাইভেট চেম্বারে পাঠিয়ে থাকলে সেটা তিনি ঠিক করেননি।’

আরও পড়ুন:
লকডাউন: ভুল-বোঝাবুঝি এড়াতে সতর্ক ডাক্তার-পুলিশ
ইনজেকশন দেয়ার পর ঢলে পড়লেন তিনি
করোনায় আরেক ডাক্তারের মৃত্যু
উপসচিবের গাড়িতে ধাক্কায় চিকিৎসক ‘হেনস্তা’
ভুয়া চিকিৎসকের তিন মাসের কারাদণ্ড

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Will deliver international games to each region Advisor Asif

প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব : উপদেষ্টা আসিফ

প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব : উপদেষ্টা আসিফ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব। এটিকে ঘিরে গড়ে উঠবে স্পোর্টস ইকোসিস্টেম।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, 'কথা দিয়েছিলাম প্রতিটি অঞ্চলে আন্তর্জাতিক খেলা পৌঁছে দিব। তাকে ঘিরে গড়ে উঠবে স্পোর্টস ইকোসিস্টেম। এই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে রাজশাহীতে হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর নীলফামারিতে আন্তর্জাতিক ফুটবল। এছাড়াও পরিকল্পনায় আছে খুলনাও।'

পোস্টে আরো বলা হয়েছে, 'প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুতই মাঠে বল গড়াবে ইনশাআল্লাহ।'

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Meeting with BNP

বিএনপির সঙ্গে বৈঠক গণতন্ত্র মঞ্চের

বিএনপির সঙ্গে বৈঠক গণতন্ত্র মঞ্চের

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ চৌধুরী টুকু।

গণতন্ত্র মঞ্চ লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের ফেইসবুক পেইজে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Error on Rampura Grid Sunpin Many areas of the capital without electricity

রামপুরা গ্রিড উপকেন্দ্রে ত্রুটি : বিদ্যুৎবিহীন রাজধানীর অনেক এলাকা

রামপুরা গ্রিড উপকেন্দ্রে ত্রুটি : বিদ্যুৎবিহীন রাজধানীর অনেক এলাকা

রামপুরা ২৩০/১৩২ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রে ত্রুটির কারণে রাজধানীর বিভিন্নস্থানে বিদ্যুৎ নেই বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি (পিজিসিবি)। এর ফলে ঢাকার একটি বড় অংশ এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। ত্রুটি মেরামত করে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পিজিসিবি জানিয়েছে।

আজ রোববার রাত ১০টার দিকে এই ত্রুটি দেখা দেয়। এতে বসুন্ধরা, গুলশান, আফতাবনগর, রামপুরা, মগবাজার, মধুবাগ, ফার্মগেট, রাজাবাজার, কাওরান বাজার, বনানী, হাতিরঝিল, মহাখালী, সেগুনবাগিচা, মগবাজার, তেজগাঁও, ফার্মগেট, বনশ্রীসহ অনেক এলাকা এখন বিদ্যুৎবিহীন।

পিজিসিবির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) এ বি এম বদরুদ্দোজা খান সুমন বলেন, রামপুরা ২৩০/১৩২ কেভি গ্রিড সাবস্টেশনে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আকস্মিক কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। এতে ঢাকার একাংশে বিদ্যুৎ সরবরাহে অনাকাঙ্ক্ষিত বিচ্যুতি হয়েছে। পাওয়ার গ্রিডের প্রকৌশলীরা দ্রুত সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন বলে তিনি জানান।

সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে বলে আশা তিনি জানান, রামপুরা গ্রিডের ২৩০ কেভি অংশে সমস্যা হওয়ায় কারণে ডেসকো'র বসুন্ধরা ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিডের (আংশিক), পূর্বাচল গ্রিড, বনানী গ্রিড, আফতাবনগর গ্রিড, গুলশান গ্রিড বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। এনএলডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে সঠিক কারণ উদ্ঘাটন এবং দ্রুত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা চলছে। তবে সব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Every day two hundred to three hundred gems of hilsa are coming
ইলিশে সরগরম বরিশালের মোকাম

প্রতিদিন আসছে দুইশ থেকে সাড়ে তিনশ মণ ইলিশ

প্রতিদিন আসছে দুইশ থেকে সাড়ে তিনশ মণ ইলিশ

বরিশালের নদ-নদী এবং সাগরে হঠাৎ করে ধরা পড়ছে ঝাকে ঝাকে ইলিশ। সেই সঙ্গে ঝিমিয়ে যাওয়া বরিশালের সর্ববৃহৎ পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি-গত তিনদিন ধরে দৈনিক দুইশ থেকে সাড়ে তিনশ মণ পর্যন্ত ইলিশ আসছে এই পাইকারি মৎস্য আড়তে। তবে সরবরাহের অর্ধেকের বেশি ইলিশ আকারে ছোট দাবি বলে আড়তদারদের।

ইলিশের সরবরাহ বাড়তে শুরু করলেও দাম এখনো নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এক কেজি জাটকা কিনতে এখনো গুণতে হচ্ছে সর্বনিম্ন পাঁচশ টাকা। তবে সরবরাহ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ঠিক থাকলে চলতি মাসেই ইলিশে দাম আরও কমে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।

সরজমিনে বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড ইলিশ মোকামে দেখা যায়, ভোর পাঁচটা বাজার আগে থেকেই আড়তে আসছে একের পর এক ইলিশের ট্রলার। সাগর এবং নদীর মাঝ পোর্ট রোডে নামিয়ে দিয়ে ট্রলার নিয়ে জেলেরা আবার ছুটছেন সাগর এবং নদীতে। তবে বর্তমানে বরিশাল মোকামে আসা অর্ধেক ইলিশ স্থানীয় নদ-নদীর বলে দাবি জানিয়েছেন আড়াতদাররা।

পোর্টরোড আক্তার মৎস্য আড়তের আড়তদার আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, গত দুই-তিন দিনের তুলনায় রোববার ইলিশের দাম কিছুটা কম ছিল। কারণ এ কয়দিনে আড়তে ইলিশের সরবরাহ কিছু বেশি হয়েছে। এর পরও এলসি সাইজ অর্থাৎ ৭০০-৯৯৯ গ্রাম ওজনের প্রতিমণ ইলিশ ৭৫-৭৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া এক কেজি সাইজের ইলিশ প্রতিমণ ৮৮ হাজার, এক কেজির ওপরে ১২শ গ্রাম পর্যন্ত ইলিশ প্রতিমণ ৯২ হাজার, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ প্রতিমণ ৯৮ হাজার টাকা, ভেলকা সাইজ অর্থাৎ ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম প্রতিমণ ৫৮-৬০ হাজার টাকা, ৩০০ থেকে ৫শ গ্রাম ইলিশ প্রতিমণ ৩২ হাজার টাকা এবং জাটকা ইলিশ প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার টাকা দরে।

মৎস্য আড়তদার ইয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে বরিশালের আড়তে প্রতিদিন ৩-৪ হাজার মণ ইলিশও এসেছে। কিন্তু পদ্মা সেতু চালুর পর সেই পরিমাণ কমে গেছে। তবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মৎস্য আড়তে কিছুটা ঝামেলা হয়েছে বিধায় গত তিন দিন ধরে নদী এবং সাগরের মাছের ট্রলার বরিশালে আসছে। এ কারণে বরিশালের আড়তে সরবরাহও বেড়েছে।

বরিশাল শহীদ জিয়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জহির সিকদার বলেন, রোববার বরিশালের আড়তে তিনশ মনের বেশি ইলিশ এসেছে। যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ। তবে সরবরাহ হওয়া ইলিশের মধ্যে প্রায় আড়াইশ মণই জাটকা। তাছাড়া নদীর থেকে সাগরের ইলিশটাই বেশি আসছে।

তিনি জানান, গত শনিবার বরিশাল পোর্ট রোড মোকামে ২০০ মণ এবং তার আগের দিন শুক্রবার প্রায় দুইশ মণ ইলিশ এসেছে পোর্ট রোডের ইলিশ মোকামে। ফলে গত তিন দিনের ব্যবধানে ইলিশের দাম মণপ্রতি ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে। আগামী ২৫ জুন পূর্ণিমার জোঁ রয়েছে। ওইদিন থেকে আরও বেশি মাছ ধরা পড়বে বলে আশাবাদী এই ব্যবসায়ী।

খুঁচরা বাজারে দেখা যায়, আড়তে মাছের সরবরাহ বাড়লেও খুচরা বাজারে তার প্রভাব পড়েনি। সংকটের অজুহাতে এখনো বাড়তি দামেই ইলিশ বিক্রি করছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা। ৭০০-৯৯৯ গ্রামের ইলিশ পাইকারী হিসেবে প্রতি কেজির দাম ১৮শ থেকে ১৯শ টাকা হলেও তা বিক্রি করা হচ্ছে ২২শ থেকে আড়াই হাজার টাকায়। একইভাবে কেজি সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ২২শ টাকার পরিবর্তে বিক্রি করা হচ্ছে ২৫শ থেকে ২৮শ টাকায়। আর জাটকা ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। বাড়তি দামে ইলিশ বিক্রি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা।

বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপণ কান্তি ঘোষ বলেন, একসময় বরিশালের পোর্ট রোড মৎস্য আড়ত জমজমাট ছিল। তখন দক্ষিণাঞ্চলের নদী এবং সাগরের ইলিশ এখানো আসত। তবে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির কারণে ইলিশ যাচ্ছে পটুয়াখালীর মহিপুর, আলিপুর এবং পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। তাছাড়া বরিশালের হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ এলাকার ইলিশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চাঁদপুরে। বরিশালের আড়তে যা মাছ আসছে তা স্থানীয় নদনদীর মাছ।

তিনি বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান অনেকটা সফল হয়েছে। এ সময় প্রচুর ইলিশের পোনা ছেড়েছে। এর সুফল সামনে পাওয়া যাবে। তবে এখনই গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করেই নদনদীতে বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। এটা ভালো লক্ষ্যন। বৃষ্টি এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে ইলিশ ধরা পড়ছে বেশি। ভবিষ্যতে আরও বেশি ইলিশ ধরা পড়লে দামও কমে আসবে বলেন এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The monsoon is actually in the village of Nayamati Pirulia

বর্ষা আসলেই নৌকা তৈরির ধুম পড়ে নয়ামাটি-পিরুলিয়া গ্রামে

বর্ষা আসলেই নৌকা তৈরির ধুম পড়ে নয়ামাটি-পিরুলিয়া গ্রামে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার অজোপাড়াগায়ে গড়ে ওঠেছে নৌকার গ্রাম। আর এ নৌকার গ্রামকে ঘিরে বালু নদীর তীর ঘেষে জমে ওঠেছে ব্যতিক্রমী নৌকার হাট। কাঠের খুটখাট আর নদীর পানির ছলাৎ-ছলাৎ শব্দ যে-কারো মনকে আবেগে ভরিয়ে দেবে। হয়তো ক্ষণিকের জন্য কেউ কবি বনে যেতে পারে। নৌকা তৈরির এ গ্রাম দু’টির অদূরেই গড়ে ওঠা ঐতিহ্যবাহী নৌকার হাটটি বর্ষা আসলেই জমে উঠে। আর বর্ষা ঘিরে নয়ামাটি ও পিরুলিয়া এলাকায় নৌকা তৈরির ধুম পড়ে যায়। কারিগরেরা হয়ে পড়ে মহাব্যস্ত। কায়েতপাড়া নৌকার হাটটিতে তখন চলে নৌকা বেচাকেনার রমরমা ব্যবসা। এছাড়া গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের গোলাকন্দাইল বাজারে প্রতি বৃহস্পতিবার বসে নৌকার হাট। ইছাখালী-নগরপাড়া সড়কের অদূরেই নৌকার গ্রাম। আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাত্র তিন মাসের মৌসুমি ব্যবসা। চাহিদা যথেষ্ট, তাই কারিগরদের ব্যবস্থাও বেশি।

শুরুর ইতিহাস : রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের পিরুলিয়া ও নয়ামাটি এলাকার কারিগরেরা স্বাধীনতারও আগে থেকে নৌকা তৈরি করে আসছে। কারো-কারো মতে, এ এলাকার নৌকা তৈরির ইতিহাস প্রায় শতাব্দী প্রাচীন। পিরুলিয়া এলাকার অতশীপরবৃদ্ধ অঞ্জনকুমার দাস বলেন, আমার জন্মের আগে থেইক্যা বাপ-দাদারা গয়না (নৌকা) বানাইয়া আইতাছে হুনছি। নয়ামাটি ও পিরুলিয়া ছাড়া গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের গোলাকান্দাইল, সাওঘাট এলাকার কারিগরেরা নৌকা তৈরি করে আসছে।
কারিগর কারা : নৌকা তৈরির গ্রাম পিরুলিয়া ও নয়ামাটি বললেই সবাই চেনে। তবে এ এলাকা দুটি গ্রামের ৯০ ভাগই মানুষ হিন্দু সম্প্রদায়ের। হিন্দুরাই দীর্ঘদিন ধরে নৌকা তৈরি করে আসছে। আশির দশকের পর নৌকা ব্যবসায়ী কমে যায়। অনেকে ভারত চলে যাওয়ায় এখনো দেড়শ পরিবার টিকে রয়েছে কোনোমতে। সাওঘাট এলাকার কারিগর প্রদ্যুত কুমার সরকার বলেন, আগে ব্যবসা ভালাই আছিলো। অহন কাটের দাম আর লোয়া (লোহা ) পেরেকের দাম বাইড়া যাওনে লাভ কম অয়।

কারিগরা যা বলছেন: পিরুলিয়া ও নয়ামাটি এলাকার নৌকা তৈরির কারিগরেরা এখন ভালোই আছেন। নৌকা বিক্রি করে তারা সংসার চালাচ্ছেন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাচ্ছেন। বছর শেষে মোটামুটি লাভের মুখ ও দেখছেন। কথাগুলো একবাক্যে বললেন পিরুলিয়া এলাকার সত্যেন দাস। তার ছেলে লেখাপড়া করছে। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। নয়ামাটি এলাকার রমেশ দাস বলেন, কই খারাপতো নাইগো দাদা। মোডা ভাত- আর মোডা কাপড় পরবার পারি। এইডাই সুখ।

বর্তমান অবস্থা : নৌকা তৈরির কারিগরদের অবস্থা এখন কিছুটা ভাটা পড়েছে। ৯০ দশকের পর যান্ত্রিক সভ্যতা ফিরে আসায় নৌকার কদর কিছুটা কমে যায়। প্রতি বছর বর্ষায় নৌকা তৈরির ধুম চলে। তবে বন্যা হলে ব্যবসা ভালো হয় বলে জানালেন সুনীল দাস। তিনি বলেন, ৮৮’ আর ৯৮’ সালের বন্যায় অনেক টেহা লাব অইছিলো। নয়ামাটি এলাকার নৌকার কারিগর রবি দাস বলেন, কাডের দাম বাইড়া যাওনে লাভটা কম হয়। নাইলে ব্যবসা খারাপ না। আর স্টিলের নৌকার কারণে কিছুডা লছ অইতাছে। তারপরেও খারাপ নাই। ডাইল-ভাত খাইবার পারি।

খরচ কত : এক-একটি নৌকা তৈরি করতে খরচ পড়ে ১৫/২০ হাজার টাকা। আর মোটামুটি কাঠের নৌকা তৈরিতে খরচ পড়ে ৮/১০ হাজার টাকা। কথাগুলো বললেন নৌকার কারিগর তাপস দাস।
নৌকার হাটের কথা : বালু নদীর তীর ঘেঁষেই কায়েতপাড়া বাজারে নৌকার হাট। বর্ষা মাসজুড়েই এ হাট জমে। ঢাকার নিম্নাঞ্চলসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা নৌকা কিনতে আসেন। দামে সস্তা হওয়ায় এখানকার নৌকার কদরও বেশি। গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের গোলাকান্দাইল বাজারের সামনে বিলে জমে ব্যতিক্রমি নৌকার হাট। এ হাটে প্রতি বৃহস্পতিবারে প্রায় কয়েক হাজার নৌকা ওঠে। নৌকার হাট শুরু হয় নৌকা তৈরির গ্রামগুলোর কারিগরদের ঘিরেই। প্রতি বৃহস্পতিবার এ হাট জমে ওঠে। বৃহস্পতিবার এ হাটে কয়েক হাজার নৌকা ওঠে। ওঠে নৌকার বৈঠাও। গজারি কাঠের এক-একটি নৌকার দাম পড়ে ১৫/২০ হাজার টাকা। আর কোষা ৭/৮ হাজার টাকায়। বৈঠাগুলো ৪শ থেকে ৫শ টাকায় বিক্রি হয়। নৌকা বিক্রেতা সুবল চন্দ্র দাস বলেন, দাদু ব্যবসা ভালোই, তয় পানি বেশি অইলে লাভ অয়। ঢাকার ত্রিমহোনী থেকে নৌকা কিনতে আসা ওমরআলী বলেন, এ হাটে তুলনামূলক সস্তায় নৌকা পাওয়া যায়। আড়াইহাজার থেকে নৌকা কিনতে আসা সামছুল হক বলেন, এ হাটে নৌকার দাম কম। তাই এহান থেইক্যা কিনবার আইছি।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Interim government committed to build an independent and efficient judiciary Chief Advisor

স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লব নতুন সভ্যতা গড়ে তোলার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।

রোববার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও দক্ষতা’ বিষয়ক এক জাতীয় সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Election Preparation EC and civil society working with the EU

নির্বাচনের প্রস্তুতি: ইসি ও সুশীল সমাজের সঙ্গে কাজ করছে ইইউ

নির্বাচনের প্রস্তুতি: ইসি ও সুশীল সমাজের সঙ্গে কাজ করছে ইইউ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও সুশীল সমাজের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

রবিবার (২২ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকায় ইউরোপীয় দূতাবাস এমন তথ্য জানিয়েছে।

ইইউ দূতাবাস বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশের জন্য আরও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে সুশীল সমাজকে ক্ষমতায়নে কাজ করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি ও এর অংশীদাররা।

ইউরোপীয় পার্টনারশিপ ফর ডেমোক্রেসির (ইপিডি) সহায়তায় এর অংশীদার সংগঠন আনফারেল ১৮ থেকে ২০ জুন ঢাকায় তিনদিনব্যাপী একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করে। এর বিষয়বস্তু ছিল নাগরিক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ।

ইইউ দূতাবাস জানায়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সক্রিয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে সব অংশগ্রহণকারী একমত পোষণ করেছেন।

নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জন্য সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রণয়নে সহযোগিতা এবং এতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনের কথা স্বীকার করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন।

মন্তব্য

p
উপরে