× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
সবকিছু বানাইছে কিন্তু ডাক্টার নাই অসুদ নাই
google_news print-icon

‘সবকিছু বানাইছে, কিন্তু ডাক্টার নাই, অসুদ নাই’

সবকিছু-বানাইছে-কিন্তু-ডাক্টার-নাই-অসুদ-নাই
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে তারাবুনিয়া ২০ শয্যা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ১০ বছরেও চালু হয়নি কার্যক্রম। ছবি: নিউজবাংলা
খালাসিকান্দি গ্রামের ষাটোর্ধ্ব সেকান্দার হাওলাদার বলেন, ‘বড় হাসপাতাল বানাইছে। সবকিছু বানাইছে। কিন্তু ডাক্টার নাই, লোক নাই, অসুদ নাই। সবকিছু পইড়া পইড়া নষ্ট অইতাছে। আমাগো কোনো উফুকারে আইতাছে না। তয় কিল্লিগ্যা এইড্যা বানাইল আর আমাগো ধোঁকা দিল?

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে সখিপুর থানার তারাবুনিয়া ২০ শয্যা হাসপাতালে রয়েছে বিশাল অবকাঠামো, আধুনিক সব যন্ত্রপাতি, ল্যাব আর অপারেশন থিয়েটার। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ১০ বছরেও চালু হয়নি কার্যক্রম।

চরাঞ্চলের দুই লাখ মানুষের চিকিৎসার আশ্রয়স্থল পড়ে আছে অলস। করোনাকালে সারা দেশে চিকিৎসা কার্যক্রম যখন জোরদার করা হচ্ছে, তখনও অবহেলিত হাসপাতালটি। এতে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন, যার ৯টিই পদ্মা নদীর চরাঞ্চল। চরাঞ্চলের এসব ইউনিয়ন নিয়ে ১৯৯৮ সালে সখিপুর থানা গঠন করা হয়।

সখিপুর থানা সদরে কোনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না থাকায় চরসেনসাস ইউনিয়নের মাগন ব্যাপারীকান্দি গ্রামে একটি হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এলাকার তৎকালীন সংসদ সদস্য ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলীর উদ্যোগে তারাবুনিয়া ২০ শয্যা হাসপাতালের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১০ সালে হাসপাতালটির যাত্রা শুরু হয়।

চারজন জুনিয়র কনসালট্যান্ট, একজন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও), একজন সহকারী সার্জন, ছয়জন সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ ২৫ জনের দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও বর্তমানে একজনও কর্মরত নেই।

‘সবকিছু বানাইছে, কিন্তু ডাক্টার নাই, অসুদ নাই’

প্রথম দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে হাসপাতালে কোনো জনবল নিয়োগ না দেয়ায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা সীমিত পরিসরে বহির্বিভাগ চালু করেন। ২০১৫ সালে একজন চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়। তিনি কিছুদিন পর বদলি হয়ে যান।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর আরএমও পদে পদায়ন করা হয় অ্যানড্রিলা মনিষা চ্যাটার্জি নামে এক চিকিৎসককে। তিনি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যোগদান করে ওই দিনই প্রেষণে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফিজিওলজি বিভাগে চলে যান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যানড্রিলা মনিষা চ্যাটার্জি মুঠোফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি প্রেষণে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কাজ করব- এমন শর্তেই আমাকে তারাবুনিয়া ২০ শয্যা হাসপাতালে পদায়ন করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দুটি আদেশ নিয়েই আমি শরীয়তপুর যাই। আবার ওই দিনই ঢাকা মেডিক্যালে ফিরে আসি।’

সহকারী সার্জন হিসেবে ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর তাসনীম জাহান যূথিকাকে তারাবুনিয়া ২০ শয্যা হাসপাতালে পদায়ন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তিনি মাঝে মাঝে ওই হাসপাতালে যেতেন। বর্তমানে প্রেষণে ঢাকার কুর্মিটোলা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে কর্মরত।

এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালটির দরজা যাতে একেবারে বন্ধ না হয়ে যায়, সে জন্য শরীয়তপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ একজন মেডিক্যাল অফিসার ও উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার প্রেষণে দিয়েছে। কিন্তু তাদেরও দেখা মেলে কালেভদ্রে।

ভেদরগঞ্জের চরকুমারিয়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (স্যাকমো) বিপুল কুমার গাইন বর্তমানে ওই হাসপাতালে প্রেষণে দায়িত্ব পালন করছেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বহির্বিভাগে কিছু রোগী আসেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করি।’

‘সবকিছু বানাইছে, কিন্তু ডাক্টার নাই, অসুদ নাই’

গত বুধবার হাসপাতালটি ঘুরে দেখা যায়, দোতলা ভবনের পুরো দায়িত্ব রয়েছে একজন কেয়ারটেকারের ওপর। নেই কোনো চিকিৎসক। কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা বলছেন কেয়ারটেকার আক্কাস আলী। তার কাছে গিয়ে জানা যায়, কোনো চিকিৎসক নেই, সে বিষয়টিই রোগীদের জানাচ্ছেন তিনি। কয়েকজন রোগী ওষুধ চাইলে ওষুধও নেই বলে খালি প্যাকেট দেখাচ্ছিলেন আক্কাস।

হাসপাতালটির দোতলা ভবন ঘুরে আরও দেখা যায়, কী নেই এই হাসপতালে। আছে অপারেশন থিয়েটার, এক্স-রে, ইসিজি, ল্যাবসুবিধা। নারী ও পুরুষ দুটি আলাদা ওয়ার্ড। নার্সদের জন্য পৃথক কক্ষ। রয়েছে বিশাল জরুরি বিভাগ, অভ্যর্থনাকেন্দ্রও। কিন্তু সবকিছুইতে ধুলোর আস্তরণ। বাসা বেঁধেছে মাকড়সাও।

ভবনের বিভিন্ন অংশের দরজা-জানালার কাচ ভাঙা। আসবাব নষ্ট হয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। যন্ত্রাংশগুলো প্যাকেটবন্দি। ক্যাম্পাসে আরেকটি পাঁচতলা ভবন হচ্ছে। তবে পুরো ক্যাম্পাস যেন হয়ে গেছে গরু-ছাগলের বিচরণভূমি।

হাসপাতাল থেকে ছোট্ট শিশুকে কোলে নিয়ে মলিন মুখে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন শাহিনা আক্তার। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমার মাইয়্যার এক সপ্তা ধইরা জ্বর। কিছুতেই কমতাছে না। অনেক দূর থিকা চিকিসার নিগ্যা আইছিলাম। অনেকক্ষণ বইয়া রইছি। ডাক্তার নাই। অহন ফিরা যাইতাছিগা। মাইয়ারে কই নইয়া যাইমু আল্লাহ জানে।’

খালাসিকান্দি গ্রামের ষাটোর্ধ্ব সেকান্দার হাওলাদার গত তিন দিন হাসপাতালে আসছেন চিকিৎসা নিতে। কিন্তু চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে আজও ফিরে যাচ্ছিলেন।

ক্ষোভের সঙ্গে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘যন্ত্রপাতি সরকার সব দিছে। দিলেও অহন তো কোনো চিকিৎসাব্যবস্থা কিছু অইতাছে না। কাজে আইলে কোনো উফুকার অয় না। বড় হাসপাতাল বানাইছে। সবকিছু বানাইছে। কিন্তু ডাক্টার নাই, লোক নাই, অসুদ নাই। সবকিছু পইড়া পইড়া নষ্ট অইতাছে। আমাগো কোনো উফুকারে আইতাছে না। তয় কিল্লিগ্যা এইড্যা বানাইল আর আমাগো ধোঁকা দিল?’

‘সবকিছু বানাইছে, কিন্তু ডাক্টার নাই, অসুদ নাই’

হাসপাতালটি নির্মাণ করতে জমি দান করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন ও তার স্বজনরা। তাদেরই একজন খোকা ব্যাপারী।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘জমি দিয়েছি চরাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের জন্যই। সরকার সুন্দর হাসপাতালও বানাইছে। বলা যায়, আধুনিক সব সুযোগসুবিধাই আছে। কিন্তু যাদের জন্য নির্মাণ করা হলো, শুরু থেকেই তারা সেবাবঞ্চিত হচ্ছে শুধু জনবলসংকটের কারণে।

‘এই অঞ্চলের ৯টি ইউনিয়নের প্রায় দুই লাখ মানুষ এই হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য অপেক্ষায়। কিন্তু করোনার এই সময়েও সবাইকে যেতে হচ্ছে চাঁদপুর, নয়তো ঢাকায়। কী আফসোস!’

শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন আব্দুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, ‘হাসপাতালটি পরিচালনার জন্য ২৫ জনের জনবলকাঠামো রয়েছে। কিন্তু একজনকেও পদায়ন করা হচ্ছে না। যে দুজন চিকিৎসককে পদায়ন করা হয়েছিল, তারাও প্রেষণে ঢাকা চলে গেছেন।

‘বদলি ও পদায়ন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করা হয়। আমরা অনেকবার চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছি জনবলের জন্য। কিন্তু কোনো সাড়া পাচ্ছি না।’

আরও পড়ুন:
ঢাকা মেডিক্যালে র‍্যাবের অভিযানে ২৪ দালাল আটক
ডাক্তার সেজে অপারেশন: মালিক কারাগারে
বেদখল জমিতে বিপাকে হাসপাতাল
বাণিজ্যমন্ত্রীর ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণ শুরু
হাসপাতাল পালানো সেই ৭ করোনা রোগী সুস্থ হয়ে গ্রেপ্তার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
The main accused arrested in the murder of UP member

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মন্তব্য

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধের সব জলকপাট

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বিপদসীমা অতিক্রম করায় নির্ধারিত সময়ের আগেই খোলা হয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব জলকপাট। সোমবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা ২ মিনিটে হঠাৎ পানি বাড়তে থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়।

কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, রাতে লেকের পানির উচ্চতা ১০৮.০৫ ফুট ছুঁয়ে গেলে বিপদসীমা অতিক্রম করে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, “প্রথমে সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জলকপাট খোলার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই সোমবার রাতেই জলকপাট খুলে দিতে হয়। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি লেক থেকে কর্ণফুলিতে গিয়ে পড়ছে। সবমিলিয়ে পানি নিঃসরণের হার এখন প্রতি সেকেন্ডে ৪১ হাজার কিউসেক।

ভাটি এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পানি প্রবাহ বাড়লেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে, এবং প্রয়োজনে আমরা আগেভাগেই ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এ বিষয়ে আগেই অবহিত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তৃপক্ষ।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
July in Kaliganj People from all walks of life took oath with millions of voices

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

কালীগঞ্জে জুলাই পুনর্জাগরণ: লাখো কণ্ঠের সঙ্গে শপথ নিলেন সর্বস্তরের মানুষ

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শপথ গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী আয়োজিত ‘লাখো কণ্ঠে শপথ পাঠ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই মাসে নিহত শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তনিমা আফ্রাদ। তিনি উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখা, দুর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার করেন অংশগ্রহণকারীরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও তনিমা আফ্রাদ বলেন, "জুলাই পুনর্জাগরণ কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আমাদের চেতনার বাতিঘর। সেই শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। আজকের এই সম্মিলিত শপথ হোক দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার একটি নতুন অঙ্গীকার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক পর্যন্ত সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারে।"

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিম উর্মি, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।

বক্তারা জুলাইয়ের শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে হবে। উপজেলা প্রশাসনের এই সফল আয়োজনে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে এক নতুন মাত্রা দেয়। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি কালীগঞ্জের মানুষের মধ্যে দেশ ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Snake panic in Feni after flood

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The creation of waterlogging at Benapole ports

পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে খালাশ প্রক্রিয়া
পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।

তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Chakrias escaped accused Sajjad was detained in Coxs Bazar DB

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।

এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Panchagarh has fined Tk 2 lakh in a joint operation at night 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।

দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

p
উপরে