× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
৭ জনের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট গ্রাম মহল্লায় লকডাউন
google_news print-icon

৭ জনে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট, গ্রাম মহল্লায় বিশেষ লকডাউন

কোস্টগার্ড
মোংলায় করোনার সংক্রমণ রোধে জনগণকে কঠোর বিধি নিষেধ মানাতে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তায় মাঠে নেমেছেন কোস্টগার্ড সদস্যরা। ছবি: নিউজবাংলা
নোয়াখালী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় সংক্রমণ বাড়ায় নতুন নতুন গ্রাম, পাড়া, মহল্লায় কঠোর লকডাউন দেয়া হচ্ছে। গোপালগঞ্জ সদরে সাতজনের শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত উখিয়া ও টেকনাফের কিছু এলাকায় সংক্রমণ বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে।

গোপালগঞ্জে সাতজনের শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। তাদের বাড়িঘর ঘিরে পুরো এলাকায় বিশেষ লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলায় সংক্রমণ বাড়ায় নতুন নতুন পাড়া-মহল্লায় কঠোর লকডাউন দেয়া হচ্ছে।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত উখিয়া ও টেকনাফের কিছু এলাকায় সংক্রমণ বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। মোংলায় করোনার সংক্রমণ রোধে জনগণকে কঠোর বিধিনিষেধ মানাতে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তায় মাঠে নেমেছেন কোস্টগার্ড সদস্যরা। নিউজবাংলা প্রতিনিধিদের বিস্তারিত খবর-

৭ জনের শরীরের ভারতীয় ভেরিয়েন্ট

গোপালগঞ্জ সদরে করোনায় আক্রান্ত সাতজনের শরীরের ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে।

সদর উপজেলার সাতপাড় ইউনিয়নের তেলিভিটা গ্রামে আরও সাত দিন লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে কালিভিটা গ্রামকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।

গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তেলিভিটা গ্রামের ২৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫০ জনের করোনা পজিটিভ আসে। এর মধ্য থেকে ১১ জনের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষার জন্য ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। রিপোর্টে সাতজনের নমুনায় ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। তাদের বাড়ি সাতপাড়ের তেলিভিটা ও কালিভিটা গ্রামে।

তেলিভিটা গ্রামে লকডাউন বাড়ানোর পাশাপাশি কালিভিটা গ্রামকে নতুন করে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে।

এর আগে ২৭ মে তেলিভিটা গ্রামসহ সাতপাড়, সাহাপুর ও বৌলতলী ইউনয়নে সাত দিনের লকডাউন দেয়া হয়।

সিভিল সার্জন জানান, করোনা আক্রান্তদের দেখভালের জন্য ওই এলাকায় ১০ জন চিকিৎসক নিযুক্ত করা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জে নতুন করে ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৪৩ জন। মারা গেছেন ৪০ জন।

আরও চার গ্রামে লকডাউন

চুয়াডাঙ্গায় গত কয়েক দিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। আক্রান্তদের অধিকাংশের বাড়ি সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গা এলাকায়।

সংক্রমণ বাড়ায় দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী আরও চার গ্রামে লকডাউন দেয়া হয়েছে।

শনিবার দুপুরে উপজেলা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

নতুন লকডাউন করা গ্রামগুলো হলো কুড়ালগাছি ইউনিয়নের ঠাকুরপুর, চাকুলিয়া, ফুলবাড়ি ও পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের বড় বলদিয়া।

এ নিয়ে দামুড়হুদা উপজেলায় ১১টি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। এর আগে ২ জুন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের সাত গ্রাম ও নাটুদহ ইউনিয়নের দুটি এলাকা লকডাউন করে উপজেলা প্রশাসন।

৭ জনে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট, গ্রাম মহল্লায় বিশেষ লকডাউন
নওগাঁয় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যানবাহন বের করলে জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কমিটির সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল দামুড়হুদার সবশেষ করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি জানান, উপজেলায় বর্তমানে ৯৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬২ জন বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সভায় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর বলেন, ভারত থেকে কেউ যেন অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

মোংলায় মাঠে নেমেছে কোস্টগার্ড

মোংলায় করোনার সংক্রমণ বাড়ায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তায় মাঠে নেমেছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা।

করোনার কঠোর বিধিনিষেধের সপ্তম দিনে শনিবার মোংলায় সব ধরনের যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বাগেরহাটে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও গত ২৪ ঘণ্টায় মোংলায় আরও ৩৪ জন, মোরেলগঞ্জে পাঁচ, শরণখোলায় দুই, ফকিরহাটে এক ও রামপালে চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জীবিতেষ বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার জানান, মোংলায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কোস্টগার্ড, পুলিশের পাশাপাশি দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। অপ্রয়োজনে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন নিয়ে শহরে প্রবেশ ও অহেতুক ঘোরাফেরা করলেই জরিমানা করা হচ্ছে।

বাগেরহাট জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৬৮ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের।

শরণার্থী শিবিরে বাড়ছে সংক্রমণ

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত উখিয়া ও টেকনাফের কিছু এলাকায় ৬ জুন পর্যন্ত রেড জোন ও লকডাউন বাড়ানো হয়েছে।

প্রশাসনে কঠোর নজরদারির মধ্যেও উখিয়া-টেকনাফে লকডাউনের নির্দেশনা মানছে না অধিকাংশ মানুষ।

করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে। দিন দিন লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

গত ২৪ ঘণ্টায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, উখিয়ায় ২০ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ৬ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়।

একই সঙ্গে রাজাপালং ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ডে রেড জোন কার্যকর করা হয়েছে। রেড জোন ও লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন মাঠে কাজ করছে।

৭ জনে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট, গ্রাম মহল্লায় বিশেষ লকডাউন
মোংলায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তায় মাঠে নেমেছে কোস্টগার্ড

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান জানান, ঘনবসতি হওয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লকডাউন কার্যকর করা অনেকটা কঠিন।

৩ জুন পর্যন্ত জেলায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৫৭৮ জনের শরীরে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ১২৭৭ জন।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া জানান, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলায় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। কাজের জন্য রোহিঙ্গারা নিয়মিত ভোরে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে সন্ধ্যায় ফেরে। এনজিও কর্মীরা প্রতিদিন ক্যাম্পে যাওয়া-আসা করছেন।

দুই ওয়ার্ডে সীমিত লকডাউন

যশোরে করোনা সংক্রমণ রোধে দুই ওয়ার্ডে সীমিত লকডাউন দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। এ ছাড়া যশোর পৌরসভার দুটি ওয়ার্ডে চলাচল সীমাবদ্ধ করা হচ্ছে।

শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনার শনাক্ত হয়েছে ১৮ জনের। এর মধ্যে কোয়ারেন্টিনে থাকা ভারতফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রী রয়েছেন ২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে যশোর।

করোনায় এক দিনে ২ জনের মৃত্যু

নওগাঁ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক দিনে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজনের বাড়ি সদরে আর অপরজন রানীনগর উপজেলার।

সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার আশীষ কুমার সরকার জানান, আরও দুজনসহ নওগাঁয় করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ জনে।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শনিবার সকাল ৮টার দিকে একজনের মৃত্যু হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধামইরহাট উপজেলা সদরে বাসায় মারা যান আরেকজন।

জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, নওগাঁয় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা সংক্রমণের হার না কমলে সাত দিনের বিশেষ লকডাউন আরও বাড়তে পারে।

পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় সাত দিনের বিশেষ লকডাউন চলছে। শনিবার সকাল থেকে নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুরে মোট ৪৫টি স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যানবাহন বের করা হলে জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে অন্য সব দোকান।

সিভিল সার্জন অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে ১০৫ জনকে। এ নিয়ে কোয়ারেন্টিনে আছেন ১ হাজার ১২০ জন।

মাইজদীতে ঢিলেঢালা লকডাউন

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভাসহ সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে শনিবার ভোর ৬টা থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, জেলা শহর মাইজদী থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন না ছাড়লেও দুপুরের দিকে অভ্যন্তরীণ সড়কে সিএনজি, অটোরিকশা, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করেছে। গণপরিবহনে ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে বেশি।

শহরের দোকানপাট ও শপিংমলগুলো বন্ধ রয়েছে। সদর উপজেলার ছয় ইউনিয়নে লকডাউনে দোকানপাট খোলা ছিল। গণপরিবহনও চলাচল করেছে অন্য সময়ের মতো।

শহরে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখা গেছে। বিভিন্ন চেকপোস্টে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা ও যাত্রীকে জরিমানা করা হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, ঈদের পর জেলায় করোনা সংক্রমণ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। নোয়াখালী পৌরসভাসহ সদর উপজেলায় আক্রান্তের হার বেশি।

তিনি জানান, লকডাউন কার্যকর করতে ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৬টি মোবাইল টিম ও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ৪টি টিম মাঠে কাজ করছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় শুরু ৭ দিনের লকডাউন
নোয়াখালী সদরে ৭ দিনের লকডাউন   
ঝিনাইদহে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১৫
করোনা: শ্রীমঙ্গলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লকডাউন
সাতক্ষীরায় শনিবার থেকে সাত দিনের লকডাউন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Snake panic in Feni after flood

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

বন্যার পর ফেনীতে সাপ আতঙ্ক, গৃহবধূর মৃত্যু

ফেনীতে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নতুন এক আতঙ্ক। বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে মানুষের বাড়িঘরে আশ্রয় নিয়েছিল নানা প্রজাতির সাপ। এখন ঘরে ফিরলেও সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। এরই মধ্যে পরশুরামে বিষধর সাপের কামড়ে রোকেয়া আক্তার রিনা (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে ফেনীর পরশুরামের পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিনা পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম শহীদের স্ত্রী। তার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে রান্না করার জন্য রান্নাঘরে গেলে সেখানে একটি অজ্ঞাত বিষধর সাপ রিনাকে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্বামী শফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে রিনা রান্না ঘরে যায়। এ সময় রান্নাঘরের একটি গর্ত থেকে বিষধর একটি সাপ বের হয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। তার চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার কোনো চিকিৎসা না হওয়ায় ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার রেদোয়ান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছিল।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The creation of waterlogging at Benapole ports

পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে খালাশ প্রক্রিয়া
পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।

তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Chakrias escaped accused Sajjad was detained in Coxs Bazar DB

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।

এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Panchagarh has fined Tk 2 lakh in a joint operation at night 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।

দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Two maternity deaths at the same clinic in Kushtia Attack on the home of the clinic owner

কুষ্টিয়ায় একই ক্লিনিকে এক মাসে দুই প্রসূতির মৃত্যু: ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা

কুষ্টিয়ায় একই ক্লিনিকে এক মাসে দুই প্রসূতির মৃত্যু: ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় মাত্র এক মাসের ব্যবধানে একই ক্লিনিকে সিজারিয়ান ডেলিভারির সময় দুই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (৭ জুলাই) রাতে মুন্নি খাতুন (২৫) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী সিজারিয়ান অপারেশনের সময় মারা যান। এর আগে ৮ জুন ওই ক্লিনিকেই আখি খাতুন (২২) নামের আরেক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরপর এমন দু’টি মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্লিনিক মালিকের ছেলে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করছে বলে জানাগেছে।

সোমবার রাতে মুন্নির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ক্লিনিক মালিক আবুল হোসেনের ব্রাকপাড়া এলাকার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। পরে তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত মুন্নি খাতুন উপজেলার তারাগুনিয়া ব্রাকপাড়া এলাকার মঞ্জু হোসেনের মেয়ে। আর নিহত আখি খাতুন পূর্ব কবিরাজপাড়া গ্রামের ইমনের স্ত্রী।

মুন্নির পরিবারের সদস্যরা জানান, গর্ভাবস্থায় জটিলতা দেখা দিলে সোমবার তাকে উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা ঝুঁকির কথা বলে কুষ্টিয়া বা রাজশাহীতে রেফার করার পরামর্শ দেন। সন্ধ্যায় তাকে তারাগুনিয়া থানার মোড় বাজারের আবুল হোসেনের মালিকানাধীন তারাগুনিয়া ক্লিনিক নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তৃপক্ষ সিজারিয়ানে সম্মত হয়। কিন্তু রাত ৯টার দিকে অপারেশনের সময়ই মুন্নির মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে তারাগুনিয়া ক্লিনিকের মালিক আবুল হোসেন বলেন, “রোগী কীভাবে মারা গেছে সেটা ডাক্তাররাই ভালো বলতে পারবেন। আমি নিজে অপারেশনে ছিলাম না, তাই কিছু জানি না। টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”

অপারেশনকারী চিকিৎসক ডা. সফর আলী বলেন, “রোগীকে ওটিতে আনার আগে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ওষুধ প্রয়োগ করেন। আমরা ওটিতে ঢুকেই দেখি রোগী স্ট্রোক করেছে। এরপর দ্রুত নবজাতকের প্রাণ রক্ষায় সিজারিয়ান সম্পন্ন করি।”

এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, “একই প্রতিষ্ঠানে পরপর দুই প্রসূতির মৃত্যু অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। আজই ক্লিনিকটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, “গতকাল রাতে তারাগুনিয়া এলাকার একটি ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় ক্লিনিক এলাকায় উত্তেজনা ও হট্টগোলের আশঙ্কায় আমি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠাই। পরে জানতে পারি, নিহত নারীর এলাকা থেকে কিছু লোকজন ক্লিনিক মালিকের বাড়িতে হামলা চালায়। আমরা দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। শুনেছি দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে নিয়েছে।”

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন, এক মাসের মধ্যে দুইজন রোগীর মৃত্যু অত্যান্ত দুঃখজনক। ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে বলবো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

একই ক্লিনিকে এক মাসের ব্যবধানে দুই প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The allegation of BNP leader Hafiz Ibrahim to the home adviser is false and fabricated

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিমের নামে অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিমের নামে অভিযোগটি মিথ্যা ও বানোয়াট

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখানের) সাবেক সংসদ সদস্য মো: হাফিজ ইব্রাহিমের নামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে সেলিম নামে এক ব্যক্তির দেওয়া অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করা হয়েছে।

রোববার বিকেলে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকায় শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের আয়োজনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে গণমাধ্যমকর্মীদের দেয়া স্বাক্ষাতকারে এ দাবি করেন হাফিজ ইব্রাহিম।

এর আগে দৈনিক ইত্তেফাক, সমকাল, যায়যায়দিন সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকার ডিজিটাল প্লাট ফরমে একটি সংবাদে দেখা যায়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ তুলে সেলিম নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, সংবাদটি ডিজিটাল প্লাট ফরমে প্রকাশ হওয়ার পর আমার নজরে আসে। আমি মনোযোগ দিয়ে তার অভিযোগ শুনি। যে ব্যক্তি আমার নামে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি আমার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা না। আমি খবর নিয়ে জেনেছি, তিনি ভোলা-১ সদর আসনের বাসিন্দা ভোলা সদর আসনের সাবেক এমপি ও মন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাহজাহানের বাড়ির পাশে তার বাড়ি। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সেলিম নামে ওই ব্যক্তির সাথে তার আপন ভাতিজি জামাইয়ের দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে তার ভাতিজি জামাই তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকতে পারে এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। এমনকি ওই বিষয়ে ভোলা সদর থানায় মামলা রয়েছে।

হাফিজ ইব্রাহিম আরও বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। পতিত সরকারের পলাতক একটি কুচক্রী মহল বিএনপির নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে ও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা এই ঘটনার পেছনে যে আসল সত্য রয়েছে তা উদঘাটন করুন।

মন্তব্য

রাজশাহীতে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

রাজশাহীতে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজশাহী মহানগরীর একটি থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৫।

রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর টিকাপাড়া এলাকার একটি বালুর স্তূপের আনুমানিক ২ ফুট গভীর থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

সোমবার সকালে র‌্যাব-৫ এর মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

অভিযানে একটি ৭.৬২ মি.মি. বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫; সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল জানতে পারে, ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন লুট হওয়া অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ম্যাগাজিন ও গুলি দুষ্কৃতকারীরা বোয়ালিয়া থানাধীন টিকাপাড়া এলাকায় লুকিয়ে রেখেছে। পরে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে বালুর স্তূপের ভেতর থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাসস’কে জানান, এটি পুলিশের ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। তবে কোন থানার অস্ত্র সেটি নিশ্চিত করা যায়নি। কারণ পিস্তলের গায়ে বাট নম্বর ঘষা-মাজার চিহ্ন স্পষ্ট। উদ্ধারকৃত বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি বোয়ালিয়া থানায় জিডির পর হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে