× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
দাম প্রকাশ সিনোফার্মের টিকা পাওয়া নিয়ে সংশয়
google_news print-icon

দাম প্রকাশ: সিনোফার্মের টিকা পাওয়া নিয়ে সংশয়

দাম-প্রকাশ-সিনোফার্মের-টিকা-পাওয়া-নিয়ে-সংশয়
চীনের সিনোফার্মের টিকা কিনেছে পাকিস্তানও। ছবি; এএফপি
সংবাদমাধ্যম ভয়েস অফ আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমে সিনোফার্মের টিকা প্রতি ডোজ ১০ ডলার করে কেনা হচ্ছে বলে জানান। এর পরই আপত্তি তোলে চীন।

চীনের সিনোফার্মের টিকা পাওয়া নিয়ে নতুন করে সংশয় দেখা দিয়েছে। চুক্তির আগেই দাম প্রকাশ করায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে।

এক সপ্তাহের মধ্যে চীনের তৈরি টিকার দেড় কোটি ডোজ কেনার কথা ছিল বাংলাদেশের। সে লক্ষে চুক্তির বিষয়টিও অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে যায়।

অবশ্য চীন বাংলাদেশের কাছ থেকে টিকার চাহিদাপত্র পাওয়ার পর বাণিজ্যিক স্বার্থে টিকার দাম প্রকাশ যেন কোনোভাবেই না করা হয় সে বিষয়টি বলে দেয়।

সংবাদমাধ্যম ভয়েস অফ আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমে সিনোফার্মের টিকা প্রতি ডোজ ১০ ডলার করে কেনা হচ্ছে বলে জানান। এর পরই আপত্তি তোলে চীন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় কম দামে চীন টিকা দিতে চায়। কিন্তু দাম প্রকাশের পর আপত্তি তোলে শ্রীলঙ্কা। তারা চীনের কাছে জানতে চায়, বাংলাদেশকে ১০ ডলারে দেয়া হলেও তাদের কাছে কেন ১৫ ডলার করা চাওয়া হচ্ছে।

এরপরই চীন বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে কূটনৈতিকভাবে জানতে চায়, কেন দাম প্রকাশ করা হলো?

চিঠিতে চীন বলেছে, তাদের আশঙ্কা সত্যি হয়েছে। অনেক দেশ তাদের কাছে বিষয়টিতে আপত্তি জানিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কূটনৈতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।

গত ২৭ মে সিনোফার্মের টিকা কিনতে মন্ত্রিসভার কমিটি সম্মতি দেয়। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আখতার সংবাদ ব্রিফিং করে টিকা কেনার বিষয়ে বিস্তারিত বলেন। সেখানেই তিনি টিকার দাম জানান।

কেন তিনি গোপনীয়তা ভঙ্গ করে টিকার দাম প্রকাশ করেন সে বিষয়ে শাহিদা আখতারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়, দায়িত্ব থেকেও তাকে সরিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়।

অবশ্য এই ঘটনার পর চীন জানিয়েছে, টিকা এখন নিতে হলে ১৫ ডলারেই কিনতে হবে তাদের কাছ থেকে।

বাংলাদেশ ফেব্রুয়ারিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে।

সিরামের সঙ্গে সরকার তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনার চুক্তি করে। প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে টিকা দেয়ার কথা বলা হয় চুক্তিতে। কিন্তু সিরাম বাংলাদেশকে মাত্র ৭০ লাখ টিকা দেয়।

এর বাইরে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে দেয়া হয় ৩৩ লাখ টিকা। বাকি টিকা পাওয়া নিয়ে সংশয় আছে বাংলাদেশের।

এমন বাস্তবতায় দ্বিতীয় ডোজ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না অনেককে। টিকার এ ঘাটতি মেটাতে চীন, রাশিয়ার টিকা কিনছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২ কোটি ডোজ টিকা চাওয়া হয়েছে।

১২ মে চীন সরকার বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে ৫ লাখ ডোজ টিকা পাঠায়।

আরও পড়ুন:
টিকা দিতে ১০ জুনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে জবি
অব্যবহৃত আড়াই কোটি ডোজ করোনা টিকা দান করছে যুক্তরাষ্ট্র
দরিদ্রদের টিকার জন্য আরও ২৪০ কোটি ডলার সহায়তা
ছয় মাসে বিশ্বকে ১০০ কোটি টিকা দেবে সিনোফার্ম
আগামী সপ্তাহে শুরু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকাদান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
The highly educated drug cycle from the UK to the dreaded MDMA

যুক্তরাজ্য থেকে ভয়ংকর এমডিএমএ আনত উচ্চশিক্ষিত মাদক চক্র

বিক্রি করত ডিজে পার্টিতে
যুক্তরাজ্য থেকে ভয়ংকর এমডিএমএ আনত উচ্চশিক্ষিত মাদক চক্র

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) মাদক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা যুক্তরাজ্য থেকে ‘খ’ শ্রেণির ভয়ংকর মাদক এমডিএমএসহ বিভিন্ন মাদক সরবরাহ করছিল।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. জুবায়ের (২৮), জি এম প্রথিত সামস (২৫), আসিফ মাহবুব চৌধুরী (২৭), সৈয়দ শায়ান আহমেদ (২৪) ও অপূর্ব রায় (২৫)। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. হাসান মারুফ।

মো. হাসান মারুফ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষিত ও প্রযুক্তি দক্ষ এক উচ্চবিত্ত মাদক চক্র এই অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিল। তারা গাঁজা, কুশ, এমডিএমএ এবং কেটামিন মাদকগুলো যুক্তরাজ্য থেকে পার্সেল মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে আসত এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন মহানগরের অভিজাত ডিজে পার্টি ও সোসাইটিতে সরবরাহ করত।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএনসি গত রোববার পল্টনের পুরাতন ডাক ভবন থেকে যুক্তরাজ্য থেকে আসা একটি এয়ার পার্সেল তল্লাশি করে। সেখানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চকলেটের নিচে লুকানো অবস্থায় লালচে এমডিএমএ ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট তথ্য ও প্রযুক্তির সাহায্যে মাদক চক্রের হোতা মো. জুবায়েরকে ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে জুবায়ের জানায়, পার্সেলটি যুক্তরাজ্য থেকে তার পূর্বপরিচিত অরণ্য ডাকযোগে অরণ্যের বন্ধু অপূর্ব রায়ের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে পাঠিয়েছে। যা তাকে রিসিভ করে তার আরেক বন্ধু জি এম প্রথিত সামসের নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। এর বিনিময়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা দেবে বলে জানায়। কাজটি করার জন্য অরণ্যের কথায় প্রথিত তাকে বিকাশের মাধ্যমে তিন বারে ১৫-১৬ হাজার টাকা অগ্রিম প্রদান করে। তারা মোবাইল ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামসহ এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ব্যবহার করে যোগাযোগ করত।

পরে জি এম প্রথিত সামস, আসিফ মাহবুব চৌধুরী, অপূর্বর ও সৈয়দ শায়ান আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে এমডিএমএ ট্যাবলেট ৩১৭ পিস, কুশ ১ দশমিক ৬৭৬ কেজি, গাঁজা ২৫০ গ্রাম এবং কেটামিন ৫০ মিলিলিটারসহ বিপুল মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৬টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ এবং নগদ ৭ লাখ ১১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।

মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা এই ধরনের মাদক চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছি। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের মাদক ব্যবসাকে রুখতে কাজ করছি।’

ডিএনসি গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The Supreme Court of India suspends several sections of the controversial Waqf Act

বিতর্কিত ওয়াকফ আইনের কয়েকটি ধারা স্থগিত করলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

বিতর্কিত ওয়াকফ আইনের কয়েকটি ধারা স্থগিত করলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের শীর্ষ আদালত মুসলিমদের সম্পত্তি নিয়ে একটি বিতর্কিত আইনের মূল ধারাগুলো স্থগিত করেছে। তবে আইনটিকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।

গত এপ্রিল মাসে ভারতের পার্লামেন্ট প্রণীত ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনটিতে মুসলিমদের দান করা এবং কোটি কোটি ডলার মূল্যের সম্পত্তি পরিচালনার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হয়। এর বিরুদ্ধে মুসলিম সংগঠন এবং বিরোধী দলগুলোর আনা আবেদনের শুনানি করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

আবেদনকারীরা বলছেন, আইনটি মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার লঙ্ঘন করে। কিন্তু সরকারের যুক্তি হলো, এর লক্ষ্য মুসলিমদের সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছ করা। ইসলামী ঐতিহ্যে ওয়াকফ হলো সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য মুসলমানদের প্রদত্ত একটি দাতব্য বা ধর্মীয় দান। এই ধরনের সম্পত্তি বিক্রি বা অন্য কোনো উদ্দেশে ব্যবহার করা যাবে না।

মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান এবং এতিমখানার জন্য এগুলো ব্যবহার করা হয় বলে ভারতের ২০ কোটি মুসলমানের কাছে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।

ঐতিহাসিকভাবে এই সম্পত্তিগুলো ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে এসেছে। এগুলো পরিচালনার জন্য রাজ্য-স্তরের ওয়াকফ বোর্ড গঠন বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।

কিন্তু এই বছরের শুরুর দিকে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার আইনটি সংশোধন করে এতে নতুন বিধান যুক্ত করে। ওয়াকফ সম্পত্তি কীভাবে নির্ধারণ এবং পরিচালনা করা হবে, তাতে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। ভারতে মুসলিমদের দান করা জমি নিয়ে অবিরাম আইনি লড়াই।

গতকাল সোমবার ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি এজি মাসিহের একটি বেঞ্চ পুরো আইনটি বাতিল করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে তারা একটি বিতর্কিত বিধান স্থগিত করেছে, যে বিধান সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে দেয় যে, বিতর্কিত সম্পত্তি ওয়াকফ কিনা।

ঐতিহাসিকভাবে মৌখিক ঘোষণা বা সম্প্রদায়ের রীতিনীতির মাধ্যমে দান করা অনেক সম্পত্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্রমাগত ব্যবহারের কারণে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসাবে বৈধতা পেয়েছে।

সরকারি তথ্য থেকে জানা যায়, ভারতে (কাগজে) ৮৭২৮৫২টি ওয়াকফ সম্পত্তির মধ্যে কমপক্ষে ১৩২০০টি আইনি লড়াইয়ে জড়িয়ে আছে। ৫৮ হাজার ৮৮৯টি দখল করা হয়েছে এবং ৪৩৬০০০টিরও বেশি সম্পত্তির অবস্থা অস্পষ্ট।

নতুন আইনের অধীনে, ওয়াকফ বোর্ডগুলোকে কোনো সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে দাবি করার জন্য বৈধ নথি সরবরাহ করতে হবে। বিরোধের ক্ষেত্রে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর নির্ভর করবে।

আদালত বলেছে, সরকারকে নাগরিকের অধিকার নির্ধারণের অনুমতি দেওয়া ভারতীয় সংবিধানের অধীনে নির্বাহী ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা পৃথকীকরণের পরিপন্থি।

আরেকটি বিতর্কিত ধারা বাতিল করা হয়েছে, যেটির অধীনে ওয়াকফ দাতাকে কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে একজন ‘ধর্মপ্রাণ মুসলিম’ হতে হবে।

বর্তমানে ওয়াকফ সম্পত্তিগুলো রাজ্য-স্তরের বোর্ড এবং একটি কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যেখানে রাজ্য সরকারের মনোনীত সদস্য, মুসলিম আইনপ্রণেতা, রাজ্য বার কাউন্সিলের সদস্য ও ইসলামী পণ্ডিতরা এই সম্পত্তিগুলোর ব্যবস্থাপকরা থাকেন।

বিচারকরা ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমদের যুক্ত করার বিধান স্থগিত রাখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে তারা ২২ সদস্যের ফেডারেল বোর্ডে অমুসলিম সদস্যের সংখ্যা চার জন এবং ১১ সদস্যের রাজ্য বোর্ডে তিন জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছেন।

আদালত আরও বলেছে, ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের চেষ্টা করা উচিত।’

মুসলিম গোষ্ঠী এবং বিরোধী দলগুলোর ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পার্লামেন্টে আইনটি পাস হওয়ার পরপরই এপ্রিলের গোড়ার দিকে মামলাটি শীর্ষ আদালতে গড়ায়।

তথ্য: বিবিসি

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
In August 3 road accidents were killed in 120
রোড সেফটির প্রতিবেদন

আগস্টে ৪৫১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২৮

আগস্টে ৪৫১ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২৮

গত আগস্ট মাসে সারাদেশে মোট ৪৫১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪২৮ জন নিহত ও ৭৯১ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলকে ঘিরে।

গতকাল সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের মাসিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ৬৮ জন নারী এবং শিশু ৩৪ জন।

আগস্ট মাসে ১৪৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩২ জন চালক ও আরোহী। এটি মোট দুর্ঘটনার ৩১ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং মোট নিহতের ৩০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। পথচারী নিহত হয়েছেন ৮৩ জন (১৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ) এবং যানবাহনের চালক-সহকারী নিহত হয়েছেন ৫২ জন (১২ দশমিক ১৪ শতাংশ)।

এ সময় ১৯টি নৌদুর্ঘটনায় ২৩ জন নিহত, ১৭ জন আহত ও নয় জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৩৭টি রেল দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩০ যাত্রী; ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ, ট্রলি ও লরিতে ২৭ জন; প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্সে ২১ জন; তিন চাকার যানে ৯৭ জন; নসিমন, ভটভটি, টমটম ও মাহিন্দ্রার মতো শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহনে ৩৩ জন এবং বাইসাইকেলের পাঁচ জন আরোহী নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২১৪টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৩৫টি আঞ্চলিক সড়কে, ৪২টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৬০টি শহরের সড়কে ঘটেছে। দুর্ঘটনার ধরন অনুযায়ী ৯০টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২০৭টি নিয়ন্ত্রণ হারানো, ৮৫টি পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা, ৬২টি পেছন থেকে আঘাত করা এবং সাতটি অন্যান্য কারণে সংঘটিত হয়েছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১১৯টি দুর্ঘটনায় ১১৭ জন নিহত হয়েছেন। বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে কম ১৮টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। একক জেলা হিসেবে ঢাকায় ৩৬টি দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত হয়েছেন এবং সবচেয়ে কম চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছয়টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন একজন। রাজধানী ঢাকায় ৩৭টি দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও সড়ক, বেপরোয়া গতি, অদক্ষ চালক, শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল, তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, ট্রাফিক আইন না জানা বা না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

সংস্থাটি সুপারিশ করেছে- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্টকরণ, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ ও সার্ভিস রোড তৈরি করা, সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করা, গণপরিবহন থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, রেল ও নৌপথ সংস্কারের মাধ্যমে সড়ক পরিবহনের চাপ কমানো, টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
ACC search in search of tender irregularities with recruitment trade
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র

নিয়োগ বাণিজ্যসহ টেন্ডার অনিয়মের খোঁজে দুদকের অনুসন্ধান

নিয়োগ বাণিজ্যসহ টেন্ডার অনিয়মের খোঁজে দুদকের অনুসন্ধান

বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগ ও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল অবৈধভাবে বিক্রয় করে অর্থ আত্মসাতের একটি অভিযোগ অনুসন্ধান শুরুর তথ্য দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল সোমবার দুদকের রাজধানীর সেগুন বাগিচায় সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘এনফোর্সমেন্ট দল অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

দুদকের এক সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অগাস্ট অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

এনফোর্সমেন্ট দলের অভিযানের প্রতিবেদনের বরাতে আরও জানা যায়, স্টাফ প্যাটার্ন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের রামপাল অফিস (মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট) ও ঢাকা অফিসে মোট ৫২৪ জন কর্মকর্তা কর্মরত আছেন। এর মধ্যে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এনটিপিসি কর্তৃক নিয়োজিত কর্মকর্তা রামপাল অফিসে ৩০ জন এবং ঢাকা অফিসে ৬ জন মোট ৩৬ জন।

নিয়ম অনুযায়ী একজন বিদেশি কর্মকর্তার বিপরীতে ২০ জন দেশি কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও সক্ষমতার অজুহাতে এ নিয়ম মানা হয়নি বলে জানা গেছে।

এদিকে গত ২৭ জুন যন্ত্রপাতি লুটপাট, বাংলাদেশি ও ভারতীয় কর্মচারীদের মধ্যে বেতন বৈষম্যসহ আরও কয়েকটি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাগেরহাটে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।

বাগেরহাট জেলা দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, দুই দেশের নাগরিকদের বেতন বৈষম্য, কর মওকুফে অনিয়ম, কয়লা ক্রয়ে নয়-ছয়সহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অনিয়ম সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে, যা প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে।

প্রসঙ্গত, ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে ২০১০ সালে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

বিআইএফপিসিএল ও বিপিডিবির মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সই হয় ২০১৩ সালে। ওই বছরই জমি অধিগ্রহণ, ভরাট ও সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Teesta Project Chinas Technical Expert team is coming soon

তিস্তা প্রকল্প: শিগগিরই আসছে চীনের কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল

তিস্তা প্রকল্প: শিগগিরই আসছে চীনের কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল

চীনের সহায়তায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায় বাংলাদেশ। এ জন্য দেশটির কাছে ঋণও চেয়েছে ঢাকা। এ প্রকল্পে বেইজিংয়েরও আগ্রহ আছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সরেজমিনে তিস্তা প্রকল্প যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশে আসছে চীনের একটি কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল। গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে আলোচনায় এ তথ্য জানান ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

জানা গেছে, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের কাছে প্রায় ৫৫ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। আর এ ঋণের বিষয়ে ইতিবাচক দেশটি। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রকল্পের বিষয়ে চীন যে তীব্র আগ্রহী, তা আসাদ আলম সিয়ামকে জানিয়েছেন ইয়াও ওয়েন। বাংলাদেশও বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছে।

চীনের রাস্ট্রদূত জানান, তিস্তা প্রকল্পের বিষয়টিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে তারা কাজ করছেন।

এছাড়া বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশে হাসপাতাল নির্মাণসহ অন্যান্য প্রকল্পের বিষয়েও আলোচনা হয়।

এছাড়া চীনের প্রেসিডেন্ট শী চিন পিংয়ের নেওয়া বৈশ্বিক সুশাসন উদ্যোগে (জিজিআই) যোগ দিতে বাংলাদেশকে আগেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল চীন। পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে জিজিআইয়ের বিস্তারিত এবং এ উদ্যোগ নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্টের আগ্রহের কথা জানানো হয়। আর জুলাই গণঅভুত্থ্যানের পর বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ প্রায় ৮০ কোটি ডলারের ওপর এসেছে, যা সবচেয়ে বেশি বলেও জানিয়েছেন ইয়াও ওয়েন।

গত মার্চে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের পর তিস্তা প্রকল্প এগিয়ে নিতে কাজ শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা কমিশনে মে মাসে একটি চিঠি দেয়। তাতে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের ঋণ নেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। পরে গত জুলাইয়ে চীনা দূতাবাসে চিঠি পাঠায় ইআরডি। চিঠিতে ‘কম্প্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন অব তিস্তা রিভার প্রজেক্ট’ বাস্তবায়নে চীনের কাছে ৫৫ কোটি ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকা চলতি বছরের মধ্যেই এ প্রকল্পের আর্থিক চুক্তি সই করতে চায়। এ লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে।

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অতীতে আগ্রহ দেখিয়েছিল চীন ও ভারত। ২০২৪ সালের মে মাসের শুরুতে বাংলাদেশ সফরে এসে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়েত্রা তিস্তা প্রকল্পে ভারতের বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারও চেয়েছিল, প্রকল্পটিতে যেন ভারত অর্থায়ন করে।

তিস্তা প্রকল্পের প্রথম পর্যায় বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৭৫ কোটি ডলার। এর মধ্যে চীন থেকে ঋণ চাওয়া হয়েছে ৫৫ কোটি ডলার। বাকিটা করা হবে সরকারি অর্থায়নে। ২০২৬ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করে ২০২৯ সালে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Jaksu had all the attention to win one team Teacher Network

জাকসুতে এক দলকে জিতিয়ে আনতে সব মনোযোগ ছিল: শিক্ষক নেটওয়ার্ক

জাকসুতে এক দলকে জিতিয়ে আনতে সব মনোযোগ ছিল: শিক্ষক নেটওয়ার্ক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন পক্ষপাতদুষ্ট হয়েছে এবং গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপরই বর্তায় উল্লেখ করে তারা বলেছে, ‘জাকসু নির্বাচনে যেকোনো প্রকারে একটি দলকে জিতিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সব মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করি এবং মনে করি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এসব কারসাজি উন্মোচন হওয়া জরুরি।’

গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকদের একটি অংশের সংগঠন শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়েছে। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর জাকসুর নির্বাচন হয়। দুই দিন ধরে ভোট গণনার পর গত শনিবার বিকেলে ফল ঘোষণা করা হয়। ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত জাকসু নির্বাচনে ২৫টি পদের মধ্যে জিএস ও দুটি এজিএসসহ ২০টি পদে জিতেছে ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেল সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট।

জাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পর এই নির্বাচন ভীষণ আগ্রহ ও উদ্দীপনা তৈরি করেছিল। কিন্তু বাস্তবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনটি একদিকে যেমন ছিল ত্রুটিপূর্ণ, তেমনি বিতর্কিত। অব্যবস্থাপনায় ভরা নির্বাচনটির এই প্রক্রিয়ায় মাশুল গুনতে হয়েছে আমাদের একজন তরুণ শিক্ষককে তার জীবন দিয়ে। নির্বাচন কমিশন গঠনের শুরু থেকেই এর অদক্ষতা, লোকবল বাড়াতে অনীহা, সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনার অভাব, প্রার্থীবিশেষের প্রতি বিরূপতা ইত্যাদি বিবেচনা করলে সহকর্মী জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর পটভূমিতে মারাত্মক অদক্ষতার একটা পরিবেশ আমরা দেখতে পাই। মরহুম জান্নাতুল ফেরদৌসের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই। একই সঙ্গে অদূরদর্শী কর্মপরিকল্পনারহিত নির্বাচন কমিশনের নিন্দা করি।’

জাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ১৬টি গুরুতর সমস্যা চিহ্নিত করেছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। তাদের বিবৃতিতে এই সমস্যাগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এর প্রথমটি হলো ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা ও ত্রুটিপূর্ণ ব্যালট। দ্বিতীয় সমস্যা হিসেবে বলা হয়, ‘ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়কে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর ও নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর অনিয়মিত ছাত্র হিসেবে দেখিয়ে নির্বাচনের চার দিন আগে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। অমর্ত্যর বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত উচ্চতর আদালত স্থগিত করলেও চেম্বার আদালতে আপিল করে বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যালট পেপার ছাপা হয়ে যাওয়ার যুক্তিতে ৯ সেপ্টেম্বর উচ্চতর আদালতের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়। প্রশাসন উচ্চতর আদালতের রায় মেনে নিয়ে অমর্ত্যর প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে পারত, কিন্তু তারা সেটা করেনি। প্রশাসনের এই আচরণ এবং একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের পুরো প্রক্রিয়াটিকে আমাদের কাছে প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ট দুরভিসন্ধি বলে মনে হয়েছে।’

জাকসু নির্বাচনের তৃতীয় সমস্যা হিসেবে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, ৯ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্টের দিন ধার্য করা হয়। ব্যালট পেপার ছাপানো হয়ে যাওয়ার পর ডোপ টেস্টের প্রাসঙ্গিকতা জানতে চাইলে বলা হয়, ব্যালট পেপার ছাপানো হয়নি। এ ধরনের পরস্পরবিরোধী কথা নির্বাচন কমিশনকে খেলো করে তোলে। চতুর্থ সমস্যা, নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স হলে হলে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে, অথচ এই ক্যাম্পাসে ব্যালট বাক্স নির্বাচনের দিন সকালে পাঠানোয় কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

প্রথমে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট রাখতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ মুহূর্তে জাকসু নির্বাচনের আগের রাত আড়াইটার দিকে পোলিং এজেন্ট রাখা যাবে বলে ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। এটি প্রার্থীদের মধ্যে বড় ধরনের বৈষম্যের সৃষ্টি করে। পাশাপাশি পোলিং এজেন্টদের পরিচয়পত্র দিতে গড়িমসি করা এবং সকালে কয়েক ঘণ্টা ধরে ভোট চললেও কোনো কোনো প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট না থাকা নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বিষয়টিকে নির্বাচনের পঞ্চম সমস্যা বলেছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। তাদের দৃষ্টিতে জাকসু নির্বাচনে ষষ্ঠ সমস্যা ছিল, ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া এবং ছাত্রীদের হল পরিদর্শনে প্রার্থী ও সাংবাদিকদের বাধা দেওয়া।

নির্ধারিত ভোটারের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ করার ঘটনা বড় রকমের সংশয় তৈরি করে বলে উল্লেখ করেছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। তারা বলেছে, কোনো কোনো হলে মাটিতে ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখা যায়। বিষয়টিকে শিক্ষক নেটওয়ার্ক জাকসু নির্বাচনের সপ্তম সমস্যা বলেছে। অষ্টম সমস্যা ছিল, অমোচনীয় কালির দাগ উঠে যাওয়ার ঘটনা, যা ভোট কারচুপির সুযোগ সৃষ্টি করে।

ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় বৈধ শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও অনেকে ভোট দিতে পারেননি ও জাল ভোটের প্রমাণ পাওয়া গেছে—শিক্ষক নেটওয়ার্কের দৃষ্টিতে এটি জাকসু নির্বাচনের নবম সমস্যা। দশম সমস্যা ছিল কোনো কোনো হলের একাধিক প্রার্থীর নাম ছাপা না হওয়া বা কয়েকজন সদস্যকে ভোট দিতে হবে সেই নির্দেশনায় ভুল অঙ্ক লেখা থাকা। নির্ধারিত সময়ে সব হলে ভোট দেওয়া শেষ না হওয়া ও নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা পরও ভোট গ্রহণ চলতে থাকাকে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে একাদশ সমস্যা।

জাকসু নির্বাচনের দ্বাদশ সমস্যা হিসেবে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, ওএমআর পদ্ধতিতে ভোট গণনায় প্রশ্ন ওঠায় হাতে ভোট গণনার সিদ্ধান্তের পর বাস্তব পদ্ধতি অনুসরণ না করা। এ ব্যাপারে তাদের পর্যবেক্ষণ হলো এতে ধীরগতিতে ভোট গণনা চলে এবং ৪৮ ঘণ্টা পর নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এত দীর্ঘ সময় ব্যালট বাক্সগুলো নিশ্ছিদ্র থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নির্বাচনে নানা দায়িত্বে থাকা তিনজন সহকর্মী (শিক্ষক) নির্বাচনের অতিরিক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ ও অমোচনীয় কালির দাগ উঠে যাওয়ার অভিযোগ তুলে দায়িত্ব থেকে সরে যান—বিষয়টিকে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে নির্বাচনের ত্রয়োদশ সমস্যা। চতুর্দশ সমস্যা হিসেবে তারা নানা অভিযোগ তুলে নির্বাচনের দিন দুপুরের পর অংশগ্রহণকারী ৮টি প্যানেলের মধ্যে ৫টি প্যানেলের নির্বাচন বর্জনের কথা উল্লেখ করেছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব খাবারের দোকান ও চায়ের দোকান বন্ধ রেখে জাকসু নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশকে দমবদ্ধ দশায় পরিণত করা হয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনের দিন দুপুরের পর থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফটকে জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষার্থী, নির্বাচন কমিশন, তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বাসিন্দার ওপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করতে দেখা যায়। বিষয়টিকে তারা বলছে জাকসু নির্বাচনের পঞ্চদশ সমস্যা। শিক্ষক নেটওয়ার্কের দৃষ্টিতে এই নির্বাচনের ষোড়শ ও শেষ সমস্যাটি হলো পাঁচজন নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে দুজনের নির্বাচনে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ সত্ত্বেও তিনজন কমিশনারের স্বাক্ষরে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা।

১৬টি সমস্যার কথা উল্লেখ করার পর শিক্ষক নেটওয়ার্ক তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘এসব থেকে প্রতীয়মান হয় যে যেকোনো প্রকারে একটি দলকে জিতিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে সব মনোযোগ দেওয়া হয়েছে এবং প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনারদের বর্জন, পদত্যাগ ও সব অভিযোগকে উপেক্ষা করা হয়েছে। দুজন কমিশন সদস্যের পদত্যাগকে আমরা নির্বাচন পরিচালনায় প্রশাসনের সর্বাত্মক ব্যর্থতা হিসেবে দেখি।’

নেটওয়ার্ক বলেছে, নির্বাচনের প্রাক্কালে ওএমআর যন্ত্রের দরপত্রবিষয়ক অভিযোগ ওঠে। একাধিক দল পরস্পরকে দোষারোপ করে। প্রশাসন সমস্যা সমাধানের রাস্তা হিসেবে ওএমআর ব্যবহার না করে সনাতনী ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে গণনা শুরু করে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড নেহাত প্রশাসনের দুর্বলতাকেই তুলে ধরে। এই বিপুল টাকা লগ্নির পর যন্ত্র ব্যবহার করতে না পারা নিছকই লজ্জাজনক। উপরন্তু সহকর্মীদের (শিক্ষক) ওপর অকথ্য পরিশ্রম চাপানোর কারণ তৈরি করেছে এটা। তখনই প্রশাসনের তাৎক্ষণিক জনবলবৃদ্ধি আবশ্যক ছিল।

বিবৃতির শেষাংশে শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এটা স্পষ্টত প্রতীয়মান হয় যে নির্বাচনটি পক্ষপাতদুষ্ট হয়েছে এবং গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপরই বর্তায়। একই কারণে আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করি এবং মনে করি, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এসব কারসাজি উন্মোচন হওয়া জরুরি।’

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
EU waiting to work with elected government in Bangladesh Miller

বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় ইইউ: মিলার

বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় ইইউ: মিলার

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি। আগামী বছর নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। আর নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

গতকাল সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মাইকেল মিলার এ কথা বলেন। বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ফরমার অ্যাম্বাসেডরস (এওএফএ) বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর সম্পর্ক নিয়ে ওই মতবিনিময়ের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এওএফএর সভাপতি আবদুল্লাহ আল হাসান।

ইইউ রাষ্ট্রদূত তার বক্তৃতায় বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরেছি। সেখানে তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা এবং আকাঙ্ক্ষা লক্ষ্য করেছি। বাংলাদেশের সামনে এখন তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণের সময় এসেছে। তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, উন্নয়ন সহযোগীসহ সব পক্ষের এক সঙ্গে কাজ করা উচিত।’

আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক উত্তরণের দিকে এগোচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বদ্ধপরিকর। গণতন্ত্রে উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে অবশ্যই রাজনৈতিক ঐকমত্য দরকার।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের স্বার্থে স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। যেকোনো বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগের সুরক্ষার পাশাপাশি একটি স্থিতিশীল পরিবেশ চায়।

বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের বিষয়ে মাইকেল মিলার বলেন, ‘আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূল ভিত্তি মানবাধিকার, উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও বাক্‌স্বাধীনতা। ভবিষ্যতেও আমরা এই বিষয়গুলোতে আরও জোরালোভাবে কাজ করে যাব।’

ইইউ সব সময় বাংলাদেশ থেকে বৈধ অভিবাসন প্রত্যাশা করে উল্লেখ করে মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। বিশেষ করে কোস্ট গার্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইইউ বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছে। বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যে সামরিক ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতা প্রয়োজন।’

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইইউ তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে উল্লেখ করে মাইকেল মিলার বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসন। তবে এই প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে।

p
উপরে