× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
স্বাস্থ্য খাতে গুণগত ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে
google_news print-icon

‘স্বাস্থ্য খাতে গুণগত ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে’

স্বাস্থ্য-খাতে-গুণগত-ব্যয়-নিশ্চিত-করতে-হবে
 ‘স্বাস্থ্য খাতে যে বাজেট দেয়া হয়, সেই বাজেট যদি গুণগত বা সঠিকভাবে খরচ করতে পারতাম, স্বাস্থ্য খাতে অনেক উন্নয়ন করা সম্ভব হতো। এখানে যে খরচটা হচ্ছে সেটা রেভিনিউ বা উন্নয়ন বাজেটে ব্যয় থেকে জনগণ সুফল পাচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের জন্য গুণগত বাজেটে গুরুত্ব দিতে হবে।  

চিকিৎসা নিতে বিদেশমুখিতা কমাতে দেশে সরকারি হাসপাতাল অত্যাধুনিক করে নতুন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগসহ টিকা কেনার জন্য থাকছে আলাদা বরাদ্দ। চলতি অর্থবছরে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ হয়েছিল, যা প্রস্তাবিত বাজেটেও রয়েছে।

অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকে ঢেলে সাজানোর এখনই উপযুক্ত সময়। প্রস্তাবিত বাজেটে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, তার গুণগত ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে স্বাস্থ্য খাতের দৈন্যদশা কাটবে না।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, স্বাস্থ্য খাতে বাজেটে যে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে, তার চূড়ান্ত সুফল পাচ্ছে না জনগণ। তাদের প্রত্যাশা, প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ জনগণের সেবা নিশ্চিতে ব্যয় করতে পারলে স্বাস্থ্য খাতকে অনেক এগিয়ে নেয়া সম্ভব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে যে বাজেট দেয়া হয়, সেই বাজেট যদি গুণগত বা সঠিকভাবে খরচ করতে পারতাম, স্বাস্থ্য খাতে অনেক উন্নয়ন করা সম্ভব হতো। এখানে যে খরচটা হচ্ছে সেটা রেভিনিউ বা উন্নয়ন বাজেটে ব্যয় থেকে জনগণ সুফল পাচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের জন্য গুণগত বাজেটে গুরুত্ব দিতে হবে।

‘প্রতিবছর বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হয়। এর বড় একটা অংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতনে চলে যায়। কারণ প্রতিবছর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ৫ শতাংশ করে বাড়ানো হয়। তাই আমাদের জোর মনোযোগ থাকতে হবে, যে বাজেট দেয়া হচ্ছে, এটার গুণগত ব্যয় নিশ্চিত করা।’

তিনি বলেন, ‘গুণগত ব্যয় হলো বাজেটের অর্থ দুইভাবে ব্যয় হয়। একটি পরিচালনা। অন্যটি উন্নয়ন ব্যয়। পরিচালনা ব্যয় মূলত বেতন-ভাতা, ওষুধসহ চিকিৎসাসামগ্রী ক্রয়ে ব্যয় হচ্ছে। তবে বেতন নেয়ার পর যদি সঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে তাদের পেছনে ব্যয় গুণগত ব্যয় হবে না। যেমন: হাসপাতালে রোগী সেবা দেয়ার জন্য চিকিৎসককে বেতন দেয়া হয়। ‘যদি চিকিৎসক হাসপাতালে না গিয়ে বেতন নেন, তাদের পেছনে বাজেটের ব্যয় গুণগত ব্যয় হবে না। স্বাস্থ্য খাত উন্নয়নের এই বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।’

মহামারির বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে অর্থনীতির ক্ষত সারানোর পাশাপাশি মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে নতুন অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। আর মূল বাজেটের চেয়ে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি।

বিদায়ী অর্থবছরে মুস্তফা কামালের দেয়া মূল বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সবার প্রাথমিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোস্তাক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, করোনা মোকাবিলা ও টিকা ক্রয়ের জন্য যে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, এ্রর সব টাকা হাসপাতাল তৈরির পেছনে খরচ না করে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে যা করণীয় সে কাজে গুরুত্ব দিতে হবে।

করোনা রোগীদের সঠিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে টিকা কেনার জন্য ও বরাদ্দ সঠিকভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গ্রাম-শহরের মানুষের প্রাথমিক সেবা নিশ্চিতে ব্যয় বাড়াতে হবে। এই বাজেটে চিকিৎসা ব্যয় কমানোর কোনো অগ্রগতি রক্ষা করা যায়নি। চিকিৎসা ব্যয় কমানোর উদ্যোগ না নিলে দেশের বড় একটি জনগোষ্ঠী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আরও বেশি বরাদ্দ বাড়ানো উচিত বলেও মনে করেন এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।

বাজেটের মূল্য লক্ষ্য ঠিক নেই: জাফরুল্লাহ চৌধুরী

প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে তিন চার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হলেও এই বাজেটের মূল লক্ষ্য ঠিক নেই বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। প্রস্তাবিত বাজেট প্রস্তাব শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘দুই-তিন হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে স্বাস্থ্য খাত উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। আমার যেখানে প্রয়োজন সাড়ে তিন গজ কাপড়, সেখানে এক হাত কাপড় দিলে কি কাজ হবে? এই কাপড় দিয়ে মৌলভি সাহেবের টুপিও হবে না। যেখানে বরাদ্দ প্রয়োজন, সেখানে ব্যয় বাড়ানো হয়নি।

সরকার এটা বোঝে না তাদের মূল্য লক্ষ্য ঠিক নেই। বাজেট প্রকাশের আগে অবশ্যই আগামী ১০ বছর স্বাস্থ্যে কী ধরনের পরিবর্তন করা দরকার এই বিষয়ে একটি পরিকল্পনা থাকা দরকার। একটা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের তেমন কোনো প্রস্তুতি লক্ষ করা যায়নি। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন করতে হবে। গ্রামের মানুষের সুস্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ দেশের জনগণের ৭০ শতাংশ গ্রামে বাস করে।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছিল। এতে বলা হয়েছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় কমিয়ে ৩২ শতাংশ করা হবে এটা কি সম্ভব। বর্তমানে ব্যক্তির নিজস্ব চিকিৎসা ব্যয় ৭০ শতাংশ রয়েছে।

এটা কমানো সম্ভব কী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার এই বাজেটের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে মজা করেছে। সরকার না বুঝে, চিন্তা না করে বাজেট দিয়েছে। এই বাজেট নিশ্চিয়ই স্বাস্থ্যমন্ত্রী করেছে, অর্থমন্ত্রী এটা পড়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মিনিমাম জ্ঞান থাকলে এমন বাজেট দিত না।’

স্বাস্থ্য বাজেটে কোন বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, বাজেটে বরাদ্দ ব্যয় বাড়ালেই চলবে না। কোথায় ব্যয় হবে সেটা আগে নিশ্চিত করতে হবে। মেডিক্যাল শিক্ষা বরাদ্দ বাড়াতে হবে। চিকিৎসক, নার্স স্বাস্থ্যকর্মী বৃদ্ধি করতে হবে। তারা যাতে গ্রামে নিয়ে কাজ করতে পারে, এটাও নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় তাদের গ্রামে কিছু সময় থাকার নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবছর ১০ হাজার শিক্ষার্থীদের এক মাস গ্রামে রাখতে যে খরচ হবে সেটাও সরকাকে বহন করতে হবে।

আরও পড়ুন:
স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে আরও গবেষণা জরুরি: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
করোনাকালেও ঢিমেতেতালা স্বাস্থ্য খাত
স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে লাভ কী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Another name for misery is Shyamnagar Burigawalini Khayaghat

দুর্ভোগের আরেক নাম শ্যামনগর বুড়িগোয়ালিনী খেয়াঘাট

দুর্ভোগের আরেক নাম শ্যামনগর বুড়িগোয়ালিনী খেয়াঘাট

দুর্ভোগের আরেক নাম সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী গাবুরা খেয়াঘাটটি। দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ ঝুকি নিয়ে খোলপেটুয়া নদীটি পার হচ্ছে। সংস্কারের অভাবে শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী-গাবুরা খেয়াঘাটের বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। এতে স্থানীয়দের দুর্ভোগ দিনে দিনে চরম আকার ধারণ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটকে পারে, এমন টি জানিয়েছে ভুক্তভোগী মহল।

খোলপেটুয়া নদীর এই ঘাট দুটি বুড়িগোয়ালিনী ও গাবুরা ইউনিয়নে পারাপারের একমাত্র মাধ্যম।

স্থানীয়রা জানান, খেয়াঘাটের খুব খারাপ অবস্থা। প্রবীণ নারী-পুরুষ, গর্ভবতী নারী বা অসুস্থ রোগী ও শিক্ষার্থীদের পারাপারে খুব দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। বর্ষাকালে তাদের দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

বোট মাঝি আলামিন বলেন, এই ঘাটে আমাদের বোট ধরতে (ঘাটে ভিড়াতে) বেশ সমস্যায় মধ্যে পড়তে হয়। ধরার জন্য ভালো কোন জায়গা নেই। বিশেষ করে ঝড় আর তুফানের সময় বেশ বেগ পেতে হয়। মোটরসাইকেল তোলা খুব কষ্টকর হয়ে যায়। ভুক্তভোগী আনোয়ারা বেগম বলেন, নারীদের নৌকায় উঠতে বেশ সমস্যা হয়। কারো সাহায্য ছাড়া ওঠা সম্ভব নয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, বুড়িগোয়ালিনী পাড়ের খেয়াঘাটটি সম্পুর্ন ভাবে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এঘাট দিয়ে ওঠা নামা করার সময় প্রায় সাধারন মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ওই এলাকার শতশত ভুক্তভোগী মহল বুড়িগোয়ালিনী-গাবুরা খেয়াঘাট সংস্কারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Recovered domestic weapons in the army operation in Kushtia

কুষ্টিয়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

কুষ্টিয়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার উদ্ধারকৃত অবৈধ দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয় অস্ত্রের বিচ্ছিন্ন অংশ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয় অস্ত্রের বিচ্ছিন্ন অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১৬ জুন) ভোর রাতে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানাগেছে। দৌলতপুর থানার ডিউটি অফিসার এস আই পলাশ প্রতিবেদককে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

আস আই আরও বলেন, উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি গ্রামে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই মিন্টু চৌধুরীর বাড়ির এরিয়ায় রবিবার দিবাগত ভোর ৪ টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন।

পরিচালিত এ অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় এক নলয়ালা বন্দুকের ১টি বাট ও ১টি পাইপ, ৪০টি গুলির ঠোশ, ৬টি ফালা (বল্লভ), ৬টি রামদা, ১টি চাকু ও ১টি বন্দুকের পাইপ পরিষ্কার করার ব্রাশ উদ্ধার করা হয়। পরিচালিত অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকৃত অবৈধ দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয় অস্ত্রের বিচ্ছিন্ন অংশ দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় দৌলতপুর থানার ডিউটি অফিসার এস আই পলাশ বলেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধারকৃত অবৈধ দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয় অস্ত্রের বিচ্ছিন্ন অংশ দৌলতপুর থানায় জব্দ আছে এবং আইনি প্রক্রিয়ায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Israel again missile attacks Iran killed

ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের, নিহত ৫

ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের, নিহত ৫

ইসরায়েলে আরও এক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান, এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এ হামলার মধ্য দিয়ে ইসরায়েল-ইরানের চলমান উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (১৬ জুন) ভোরে এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি সেবার কর্মকর্তা মাগেন দাভিদ আদোম এই হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছেন।

এ ছাড়া, এই হামলায় তেল আবিবের মার্কিন দূতাবাসের অবকাঠামোগত সামান্য ক্ষতি হলেও সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে সামাজিকমাধ্যম এক্সে নিশ্চিত করেছেন মার্কিন দূত মাইক হাকাবি।

এদিকে, ইসরায়েলে প্রায় ১০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার দাবি করেছে তেহরান। ইসরায়েলের চালানো হামলায় ইরানে এ পর্যন্ত ২২৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এর জবাবেই ইসরায়েলে হামলার কথা জানিয়েছে তেহরান।

এদিকে, সোমবারের হতাহতের পর ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এই হামলার জবাবে ইরানের কুদস বাহিনীর ১০টি কমান্ড সেন্টার জীবাণুমুক্ত করার জন্য আক্রমণ চালানোর দাবি করেছে তেল আবিব।

কুদস বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিট, যা বিদেশি অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত।

এদিকে, ইরানের হামলায় তেল আবিবের নিকটবর্তী পেতাহ তিকভা শহরে স্থানীয়রা জানান, সেখানে একটি আবাসিক ভবনে সরাসরি আঘাতে কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্ট ও জানালা ভেঙে গেছে।

মাগেন দাভিদ জানান, নিহতদের মধ্যে দুইজন পুরুষ এবং দুইজন বুদ্ধ নারী, সঙ্গে আরও এক ব্যক্তি। এছাড়া আরও ৮৭ জন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে একজন নারী গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন।

এর আগে, ইসরায়েল হামলা অব্যাহত রাখলে কোনো যুদ্ধবিরতির কথা বিবেচনা করবে না বলে আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারী কাতার ও ওমানকে স্পষ্ট জানিয়েছে ইরান। তবে অভিযান আরও কঠিন হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় ইসরায়েল। এর জবাবে ইরানও কঠোর প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তেহরান বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তারা ‘নরকের দরজা খুলে দেবে’।

এদিকে, ইরানের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে দেশটিতে ইসরায়েলের হামলায় দুই শতাধিক নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ২০০ মানুষ।

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে রানের রাজধানী তেহরানসহ একাধিক স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েল। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে রাইজিং লায়ন। এর পর পরই পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করে ইসরায়েল। ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির শেষ ধাপ পর্যন্ত না পৌঁছাতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই এই হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে তেল আবিব।

তবে এ অভিযানকে সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক বলে আখ্যা দিয়েছে ইরান। এ ছাড়া, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করছে না বলে দাবি করেছে তারা।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
3 MW of electricity exports from Nepal to Bangladesh

নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু

নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু

বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে নেপাল। গত বছরের ৩ অক্টোবর নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী এই বিদ্যুৎ আসছে। গতকাল রোববার থেকে ভারতীয় ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে নেপাল বাংলাদেশে এই বিদ্যুৎ রপ্তানি করছে।

চুক্তি অনুযায়ী, ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। ভারতীয় ট্রান্সমিশন চার্জসহ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে প্রায় ৭ টাকা।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, নেপাল থেকে বিদ্যুৎ গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ শীতকালে নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানির সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে। কারণ, শীতের সময় নেপালের নদীতে ভারী তুষারপাতের কারণে নেপালের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়।

শীতকালে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবহার কমে যাওয়ায় নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, বাংলাদেশ একই পরিমাণ বিদ্যুৎ নেপালে রপ্তানি করতে পারে। এতে দুই দেশের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ জ্বালানি বাণিজ্য গড়ে উঠবে।

ফাওজুল কবির খান বলেন, আমরা শীতকালে বাংলাদেশ থেকে নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানির প্রস্তাব পাঠাব।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য আমরা নেপালের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠাব, যাতে সম্ভাব্য বিদ্যুৎ রপ্তানি নিয়ে আলোচনা শুরু করা যায়।

এর আগে ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর নেপাল থেকে ভারত হয়ে বিদ্যুৎ আমদানি চূড়ান্ত করতে কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি ও ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম লিমিটেড একটি ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Investigation report
আবু সাঈদ হত্যা

১ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

১ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

গতকাল রোববার প্রসিকিউশনের আবেদনে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৪ জুলাই এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

সেই সঙ্গে এই মামলার আসামি পুলিশের সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন ও সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে আগামী ১৮ জুন এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে ১৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

গতকাল রোববার প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিকালে প্রসিকিউটর এস এম মঈনুল করিম ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন প্রসিডিওরাল কিছু বিষয় শুধু বাকি।’

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউট মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ অপর প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও রাশেদুল হক খোকন।

এর আগে, এদিন সকালে এই মামলার চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ওই চার আসামি হলেন- রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী (আকাশ)।

গত ২ মার্চ প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই চার জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী চার আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার পর প্রসিকিউশনের আবেদনে তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ।

২৫ বছর বয়সি আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
In three months defaulted loans increased to Tk

তিন মাসে খেলাপি ঋণ বাড়ল ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা

তিন মাসে খেলাপি ঋণ বাড়ল ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা

তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বাড়ল ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এখন ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ সময় মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। এ হিসাব চলতি বছরের ৩১ মার্চের।

তিন মাস আগে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর খেলাপি ঋণের হার ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। সে সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। আর মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।

গতকাল রোববার এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের পতন পরবর্তী নতুন গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, বিগত সরকার খেলাপি ঋণ নানাভাবে লুকিয়ে রেখেছিল। এসব খেলাপি ঋণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এটা বেড়ে ৩০ শতাংশ হতে পারে। সেই হিসেবে প্রতি তিন মাসে খেলাপি ঋণ পরিস্থিতির চিত্র তুলে আনার সময় এর পরিমাণ বাড়ছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Sonargaon municipal employee complained of stealing car parts

সোনারগাঁ পৌরসভার কর্মচারীর বিরুদ্ধে গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ

সোনারগাঁ পৌরসভার কর্মচারীর বিরুদ্ধে গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রাতের আঁধারে সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ ওঠেছে পৌরসভার এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। পৌরসভার খণ্ডকালীন কর্মচারী (গাড়ি চালক) শ্যামল মিয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। গত শুক্রবার রাতের আঁধারে নৈশ প্রহরী আবুল হোসেনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি ময়লা টানার গার্ডেজ পিকআপ ভ্যানের চাকা খুলে নিয়ে যায়। গাড়ির চাকা খুলে নেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। পরে গত শনিবার বিকালে খুলে নেওয়া চাকা ফেরত দিয়ে যায় গাড়িচালক শ্যামল মিয়া।

বিভিন্ন সময়ে পৌরসভার বিভিন্ন গাড়ির যন্ত্রাংশ উধাও হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন পৌর কর্মচারীরা। এছাড়া পৌর এলাকার নয়টি ওয়ার্ডে ময়লা আর্বজনা ফেলার ৯টি লোহার তৈরি ডাস্টবিনের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। সেই ডাস্টবিনের রক্ষণাবেক্ষণ গাড়িচালক শ্যামল মিয়া করে থাকেন বলে পৌরসভার একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাশরেকুল আলম।

জানা যায়, সোনারগাঁ পৌরসভার খাস নগর দিঘিরপাড় গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো. শ্যামল মিয়া দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সোনারগাঁ পৌরসভার ময়লার গাড়ি, পানির গাড়ি, ভেকু, রোড রুলারসহ বিভিন্ন গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। সেই গাড়িগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তিনিই করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে পৌরসভার গাড়িগুলোর যন্ত্রাংশ উধাও হয়ে যায়। গত শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে পৌরসভার নৈশ প্রহরী আবুল হোসেনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ময়লার গাড়ি পিকআপ ভ্যানের একটি চাকা খুলে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে পরদিন গত শনিবার বিকালে ফেরত দিয়ে যায়।

সোনারগাঁ পৌর এলাকার লাহাপাড়া গ্রামের আমির হোসেন বলেন, পৌরসভার কর্মকর্তাদের যোগসাজসে গাড়িগুলোর যন্ত্রাংশ চুরি হয়। দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি হলেও এ বিষয়ে তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এছাড়া পৌর এলাকার ময়লা ফেলার ডাস্টবিনগুলো কোথায় গেল? কে নিয়ে গেল? কারও কোনো মাথাব্যথা নেই।

আদমপুর গ্রামের ইমরান খাঁন জানান , তার বাড়ির সামনে একটি লোহার ডাস্টবিন ছিল। সেখানে আশপাশের বাড়ির লোকজন ময়লা ফেলত। এখন সেই লোহার ডাস্টবিন নেই। ডাস্টবিন না থাকায় ময়লাগুলো মাটিতে ফেলে পরিবেশ দূষণ করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে গাড়ির যন্ত্রাংশগুলো চুরি হয়ে গেলেও কেউ এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়নি। সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে নৈশ প্রহরীর সামনে গাড়ির চাকা খুলে নিয়ে যায়। বিষয়টিও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে লোহার ডাস্টবিনগুলো কারও যোগসাজসে সে চুরি করতে পারে। সোনারগাঁ পৌরসভার নৈশ প্রহরী আবুল হোসেন বলেন, রাত পৌনে ১১টার দিকে গাড়িচালক শ্যামল গাড়ির চাকা খুলে নিয়ে যায়। পরদিন শনিবার বিকালে এলাকার লোকজনের সামনে ফেরত দিয়েছে।

অভিযুক্ত গাড়িচালক শ্যামল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গাড়ির চাকা ঠিক করার জন্য খুলে নেওয়া হয়েছে। তবে খারাপ কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিসিটিভি বন্ধ করার বিষয়ে কোনো উত্তর দেননি তিনি।

সোনারগাঁ পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশরেকুল আলম বলেন, অফিসে এসে চুরির বিয়য়টি জানতে পেরেছি। গাড়িচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে