× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
করোনায় আরও মৃত্যু ৩৪ শনাক্ত ১৪৪৪
google_news print-icon

করোনায় আরও ৩৪ মৃত্যু, শনাক্ত ১৪৪৪

করোনায়-আরও-৩৪-মৃত্যু-শনাক্ত-১৪৪৪
দেশে এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩০ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৫৮৩ জনের। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ১১ শতাংশ।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১ হাজার ৪৪৪ জনের শরীরে।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩০ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৫৮৩ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৫০২টি ল্যাবে ১৪ হাজার ২৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। সার্বিক শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

করোনা থেকে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৩৯৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৫ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ, ১১ জন নারী । এদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব এক ত্রিশোর্ধ্ব দুই চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচ, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচ ও ষাটোর্ধ্ব ২১ জন।

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এরপরই রয়েছে ঢাকা বিভাগ, আট জন। এ ছাড়া, রাজশাহী বিভাগে তিন, খুলনা বিভাগে ছয়, সিলেট বিভাগে দুই, বরিশাল বিভাগে এক এবং রংপুর বিভাগে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।

আরও পড়ুন:
রাজশাহী মেডিক্যালে করোনায় এক দিনে ১২ মৃত্যু 
দেশে ২৩ জনের দেহে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট
মোংলায় ৮ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ
ভারতে আরও কমেছে সংক্রমণ, মৃত্যু ৩৪৬০
রাজশাহী মেডিক্যালে করোনায় ৫ দিনে ৩৯ মৃত্যু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
More than 73 bodies have been found in the river after the murder in 22 months

হত্যার পর মরদেহ ফেলা হচ্ছে নদীতে, ২২ মাসে মিলেছে ৭৩টিরও বেশি

হত্যার পর মরদেহ ফেলা হচ্ছে নদীতে, ২২ মাসে মিলেছে ৭৩টিরও বেশি

খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের চার জেলায় হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দেওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে মরদেহ উদ্ধারের সংখ্যা। যার এক তৃতীয়াংশ অশনাক্ত। মিলছে দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা ও হত্যাকাণ্ড—এই তিন ধরনের মৃতদেহ। এরমধ্যে অধিকাংশ ঘটনায়ই হত্যাকাণ্ড। বেশিরভাগই স্থলভাগে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে নৌপুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

খুলনা নৌপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গেল ২২ মাসে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন নদ-নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭৩টিরও বেশি মরদেহ। তার মধ্যে ২৭ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ২০২৪ সালে ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেখানে গেল ১০ মাসে মধ্যে অক্টোবর পর্যন্ত নদ-নদী থেকে ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

নৌপুলিশের তথ্য মতে, ২০২৪ সাল থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুধু খুলনায় মধ্য অক্টোবর পর্যন্ত আরও অন্তত ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে গত ১৭ অক্টোবর নিখোঁজের তিন দিন পর দাকোপের বাজুয়ার চুনকুড়ি নদী থেকে আশিষ সরকারের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই দিনে পাইকগাছা উপজেলার সোনাদানা ইউনিয়নের শিবসা নদীর চর থেকে ইকরাম হোসেন নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। এর আগের দিন ১৬ অক্টোবর পাইকগাছার জিরবুনিয়া খাল থেকে অজ্ঞাত (৪০) যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, খুলনাসহ আশপাশের জেলার নদ-নদীগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই মানুষের মরদেহ ভেসে উঠছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে ৫ আগস্টের পর পুলিশের ভূমিকাটা যেভাবে হওয়া উচিত ছিল, সেভাবে নেই। পুলিশের নজরদারি সেইভাবে নেই এবং খুলনাসহ আশপাশের জেলায় র‌্যাবের একটা বড় ভূমিকা থাকতো, কিন্তু সেইভাবে ভূমিকা পালন করতে পারছে না। যেভাবে বুক ফুলিয়ে দেশের জন্য পুলিশ কাজ করতো, সেভাবে করতে পারছে না। পুলিশকে ঢেলে সাজাতে হবে। এ জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা অবনতিতে চলে গেছে। এই সুযোগে বিভিন্ন স্থানে যেসব সন্ত্রাসী আত্মগোপনে ছিল, তারা এলাকায় ফিরে আসছে। তারাই এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছে। এ ছাড়া, বিচার প্রক্রিয়া যদি দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়, দ্রুত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা যায় তাহলে অন্যান্য অপরাধীরা ভয় পাবে।

তিনি বলেন, হত্যার পর যেসব মরদেহ ফেলে দেওয়া হচ্ছে তার অধিকাংশই অজ্ঞাত থাকছে। এসব মরদেহ শনাক্তের জন্য আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োজন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে মরদেহগুলো শনাক্ত করা হলে অধরাধীদের সহজেই খুঁজে বের করা সম্ভব হতো।

খুলনা নৌপুলিশ সুপার ড. মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, নদীতে যে মৃতদেহগুলো পাই সেগুলো নিয়ে কাজ করি। আমরা তিন ধরনের মৃতদেহ পাচ্ছি। এরমধ্যে একটি দুর্ঘটনাজনিত। গোসল করতে গিয়ে, নৌকা থেকে পড়ে, পরস্পর নৌকা-ফেরিতে ধাক্কা লেগে পড়ে যাচ্ছে এমন। দ্বিতীয়ত কিছু আত্মহত্যার ঘটনায় পাওয়া যায়। আর তৃতীয়ত আমরা কিছু পাচ্ছি হত্যাজনিত। হত্যার মধ্যেও আবার দুই ক্যাটাগরি রয়েছে। একটি নবজাতক। এক-দুই দিন বয়সী নবজাতককে তার বাবা-মা ফেলে দিয়ে যাচ্ছে। আর পাচ্ছি বয়স্ক হত্যাজনিত। এসব ঘটনায় মামলা নিয়ে তদন্ত করছি। তিন ধরনের মধ্যে হত্যাকাণ্ড-সংক্রান্ত মৃতদেহ বেশি পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, নদ-নদী থেকে গত বছরের তুলনায় মৃতদেহ উদ্ধার চলতি বছরে বেড়েছে। গত বছর যে পরিমাণ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত সেই পরিমাণ উদ্ধার করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরে সেটি বেড়েছে।

নৌপুলিশ সুপার বলেন, নবজাতক বাদ দিয়ে পূর্ণ বয়স্ক মৃতদেহ যেগুলো পাই তার মধ্যে অর্ধগলিত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন কাজ। আর যেগুলোর ফিঙ্গার প্রিন্ট পাই এবং নিখোঁজ জিডি আছে কিনা খোঁজ করে পরিচয় পাওয়া গেলে তদন্তের অগ্রগতি ভালোভাবে সম্পন্ন করা যায়। যতোগুলো হত্যাকাণ্ডজনিত মামলা রয়েছে এর কোনোটিই আসলে নদীর ওপরে নয়। স্থলভাগে যেই সমস্ত ঘটনায় হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকে, সেটা পারস্পারিক দন্দ্ব বা সম্পত্তির বিষয়ে থাকতে পারে, মাদক-সংক্রান্ত হতে পারে। যেগুলো স্বাভাবিক ঘটনা, সেগুলো ওখানে (স্থলভাগে) ঘটে কিন্তু মৃতদেহটি নদীতে ফেলে দেয় তথ্যপ্রমাণ লুকানোর জন্য। আমাদের নদীকেন্দ্রীক চলাফেরাই বেশি। এই ঘটনাগুলোতে আমরা বেশি মনোযোগ দিই। স্থলভাগের ঘটনাগুলোতে আমাদের পদচারণা কম। নদীকেন্দ্রীক ঘটনাগুলোতে আমাদের গোয়েন্দারা থাকে।

তিনি বলেন, স্থলভাগের হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত, কোনো র‌্যাকেট আছে কিনা? কোনো চক্র আছে কিনা? সেটার তথ্য নতুন করে নিতে অনেক সময় আমাদের বিলম্ব হয়ে যায়। তার পরও দুই জায়গাতেই মনোযোগ দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি। তবে লোকবলের কিছুটা সংকট রয়েছে। সবমিলিয়ে যদি আমাদের সাপোর্ট বেশি থাকতো তাহলে আরও কম সময় নিয়ে হয়ত ব্যাপারটা সমাধান করতাম বা তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে পারতাম।”

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Demonstration program of Dinajpur education board employees on various demands

বিভিন্ন দাবিতে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের কর্মচারীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন

বিভিন্ন দাবিতে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের কর্মচারীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন

শতভাগ পদোন্নতি যোগ্য দ্বিতীয় শ্রেণির পদে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাকে প্রেষণে নিয়োগের প্রতিবাদে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের স্থায়ী কর্মচারীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান কার্যালয়ে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিক্ষোভকালে কর্মচারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের মূল দাবি হলো, অবিলম্বে প্রেষণে দেওয়া ওই কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করে শতভাগ পদোন্নতি যোগ্য এই পদে যোগ্য দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ দিতে হবে। বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়ন-এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মো. মওদুদুল করিম (বাবু), মুজাহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মচারীরা। তারা বলেন, যে পদটি সম্পূর্ণভাবে বোর্ডের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত, সেখানে প্রেষণে প্রথম শ্রেণির একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, এটি দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার ক্ষুণ্ন করছে এবং পদোন্নতির সুযোগকে সীমিত করে দিচ্ছে।

অন্যদিকে, বিক্ষোভ চলাকালীন মো. আহসান হাবিবের সমর্থকেরা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে মব সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ নিয়ে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মহা. তৌহিদুল ইসলাম জানান, মো. আহসান হাবীব তিনি আজ সহকারী কলেজ পরিদর্শক পদে যোগদান করতে এসেছিলেন, সেটি ১০ম গ্রেডের পদ, তিনি ৯ম গ্রেডে চাকরি করেন। তিনি স্পষ্ট করেন যে পদটি প্রথম শ্রেণির পদ নয়। তিনি বলেন, এই ইস্যুতে আমাদের কর্মচারীরা বাঁধা সৃষ্টি করে। আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।

চেয়ারম্যান আরও জানান, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। ঘটনার জেরে শিক্ষাবোর্ডে সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Diwali festival in Jhalkathi gathers thousands of people

ঝালকাঠিতে দীপালি উৎসব হাজারো মানুষের সমাগম

ঝালকাঠিতে দীপালি উৎসব হাজারো মানুষের সমাগম

ঝালকাঠির পৌর শ্মশানঘাটে রোববার সন্ধ্যায় সনাতন ধর্মালম্বীদের মৃত স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায় মোমবাতি ও প্রদীপ প্রজ্বালন করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ সময় মৃত স্বজনদের পছন্দের খাবার তাদের সমাধিতে উৎসর্গ করা হয়।

ঝালকাঠি পৌর শ্মশান কমিটির সভাপতি নির্মল চন্দ্র দে তরনী জানান, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের তিথিকে ভূতচতুর্দশী তিথি বলা হয়ে থাকে। রোববার সন্ধ্যায় তিথি শুরু হয়েছে এবং আজ সোমবার বিকেল পর্যন্ত চলবে।

তিনি আরো বলেন, ‘বিকেল থেকেই সনাতনসহ অন্য ধর্মাবলম্বীরাও শ্মশানঘাট প্রাঙ্গণে জমায়েত হতে থাকে। দিপাবলী উপলক্ষে প্রতি বছর এই দিনে হাজারো মানুষের পদচারণ থাকে এখানে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অলোক সাহা জানিয়েছেন, ‘দীপালি উৎসবকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার সমাধির এই শ্মশানে নিরাপত্তা নিশ্চিতে এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সদর থানা পুলিশ, র‍্যাবসহ সাদাপোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করেছে। পাশাপাশি আছেন শ্মশান রক্ষা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা।'

বিধান রায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘বাবার সমাধিতে মোমবাতি, আগরবাতি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে তাকে স্মরণ করতে এসেছি। তিনি মিষ্টি খুব পছন্দ করতেন, তার সমাধিতে নানা ধরনের মিষ্টি সাজিয়ে উৎসর্গ করেছি।’

শ্মশান এলাকায় অনেককে কীর্তন করতে দেখা গেছে। কেউবা অশ্রুসজল চোখে স্মরণ করেন হারানো প্রিয় মানুষটিকে।

বিকেলে অল্প সংখ্যাক লোকজন থাকলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুগন্ধা নদীর তীরে পৌর শ্মশানঘাটে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সমাগম বাড়তে থাকে।

রাতে দিপালী উৎসব পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান এবং পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়। উৎসব চলাকালে নিরাপত্তা ব্যবস্থার খোঁজ নেন পুলিশ সুপার।

এছাড়াও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন, সদস্য সচীব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিনসহ তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জেলা বিএনপিরএকটি প্রতিনিধি দল দীপালি উৎসবে এসে উপস্থিত সকলের সাথে কুশল বিনিময় করেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Courtesy call at BGB BSF level at Atwari

আটোয়ারীতে বিজিবি-বিএসএফের অধিনায়ক পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ

আটোয়ারীতে বিজিবি-বিএসএফের অধিনায়ক পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী সীমান্তে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিজিবির আহ্বানে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির নিয়ন্ত্রণাধীন গিরাগাঁও বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ৪০৯/২ এস সীমান্ত পিলার সংলগ্ন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রমজানপাড়া এলাকার শুন্যরেখায় এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সৌজন্য সাক্ষাতে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মনিরুল ইসলাম ও বিজিবি, এমএস, পিএসসি, এসি ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানজির আহমেদ।

তার সঙ্গে ছিলেন স্টাফ অফিসারসহ মোট ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। অপরদিকে বিএসএফ-এর পক্ষে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএসএফ ১৭ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট শ্রী অজয় কুমার শুকলা ও বিএসএফ ১৩২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট রাজেশ বোহরা।

সৌজন্য সাক্ষাতে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা, সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি রক্ষা, সীমান্ত হত্যা প্রতিরোধ, মানব পাচার, গরু পাচার রোধ এবং মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ, পুশইনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।

এছাড়াও শীত মৌসুমে ঘন কুয়াশার কারণে চোরাকারবারীরা সুযোগ নিতে পারে। সাক্ষাতে সীমান্ত সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও চোরাচালান রোধে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

সৌজন্য সাক্ষাতের শুরুতে বিজিবি- বিএসএফ কমান্ডার পর্যায়ে কুশলাদি বিনিময় করেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
No legal bar to give Shapla symbol to NCP Sarjis Alam

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই: সারজিস আলম

এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) শাপলা প্রতীক দিতে কোনো আইনগত বাঁধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির (উত্তরাঞ্চল) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচন কমিশন কাউকে খুশি করার জন্য এ সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের দেখাক কোন আইনে শাপলা প্রতীক এনসিপিকে দেওয়া যাবে না। রোববার দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সমন্বয় সভা শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, যে নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের প্রাপ্য মার্কা দেয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারে না, আমরা মনে করি সেই কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এই বাংলাদেশে হতে পারে না। এনসিপি আমাদের জায়গা থেকে অবশ্যই প্রত্যাশা করি, যে আমরা শাপলা প্রতীক পেয়েই আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো। এটা যদি তারা আমাদের সাথে অন্যায় করে, তাহলে আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পূর্বে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলো রাস্তাঘাটে নেমে হাহাকার করতো। কর্মসূচী দিয়ে হাহাকার করতো। আমরা অনেক অফিস দেখেছি যে, অফিসের সামনে ১০ জন লোক দাড়ানোর মতো ছিল না, বড় বড় রাজনৈতিক দলের অফিস। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে জনগণ তখনই রাস্তায় নেমেছে, যাদের ওপর জনগণ আস্থা রেখেছে। এখন যদি জনগণের ওই আস্থার প্রতিদান কেউ কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দল না দেয়, জনগণ তাদের মতো করে আগামীতে যখন সুযোগ হবে জনগণ তার সুফল দেখাবে। আমরা স্পষ্ট করে বলি, আপনারা ইতিহাস থেকে দয়া করে শিক্ষা নেন। জুলাই সনদ আপনারাও চান, আমরাও চাই। আপনারা যদি জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণা পত্রের মতো নাম কাওয়াস্তে একটি পেপার চান, ওই সনদ আমরা চাই না।

এর আগে তিনি জেলা এনপিসির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। জেলা এনপির প্রধান সমন্বয়কারী ফয়সনাল করিম সোয়েবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতিক মুজাহিদ ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ডা. মো. আব্দুল আহাদসহ প্রমুখ নেতারা।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Price of fish and vegetables in Khulna market

খুলনার বাজারে চড়া মাছ-সবজির দাম

খুলনার বাজারে চড়া মাছ-সবজির দাম

খুলনার বাজারে কমছে না সবজির দাম। মাছের দামও কমেনি। সবজি ও মাছের চড়া মূল্যের কারণে ক্রেতাদের অভিযোগেরও শেষ নেই। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি সরবরাহ না থাকায় সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে, শীতকালীন সবজি বাজারে উঠতে শুরু করলে দাম কমে যাবে। রোববার খুলনার নতুন বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, খালিশপুর বাজার ও নিউমার্কেট বাজার ঘুরে এমনটা জানা যায়।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, টমেটো ১২০, পটল ৬০, চিচিঙ্গা ৬০ ও কচুমুখী ৪০ টাকা কেজি, চায়না গাজর ১৪০, মোটা গোল বেগুন ১২০ ও শসা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০, শিম ১২০-১৪০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ ৮০ টাকা, ঝিঙে ৬০-৭০, চিকন বেগুন ৬০-৭০ টাকা, ঢেড়স ৭০-৮০, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ২৮০-৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজারে, ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকা কেজি দরে, সোনালি ২৭০-২৮০ টাকা কেজি দরে ও লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে ও খাসির মাংস ১,১৫০ টাকা থেকে ১,২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে, রুই মাছ আকারভেদে ৩৫০-৪০০ টাকা, ভেটকি মাছ আকারভেদে ৬০০-৮০০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা দরে, ছোট মাছ ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, পাঙাশ মাছ ১৬০-২০০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সবজি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির হওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে। নতুন সবজি বাজারে উঠলেই দাম অনেকটা কমে যাবে। মাঝে সবজির দাম ১০-১৫ টাকা কেজিতে কমলেও বৃষ্টি হওয়ায় ফের দাম বেড়েছিল। তবে বাজারে সবজির সরবরাহ কম; কিন্তু চাহিদা অনেক বেশি।

মিস্ত্রিপাড়া বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী সবুজ মোল্যা বলেন, ‘শীতকালীন কিছু সবজি উঠলেও এখন চড়া দাম। পাইকার বাজারেও দাম অনেক বেশি। এ জন্য অল্প-স্বল্প সবজি উঠাচ্ছি। দাম বেশি হওয়ায় অনেকে কম কম সবজি ক্রয় করছেন।’

নিউমার্কেট বাজারে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সবজি কিনতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর মাছের দামে তো আগুন। সামুদ্রিক মাছের দামও হুহু করে বেড়েছে। এমন চড়া দামে মাছ-সবজি কেনা অনেক কষ্টকর। কোনো সবজি ৫০ টাকার নিচে নেই।’

পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী কামাল মিয়া বলেন, ‘সবজির আমদানি কম থাকলে দাম একটু বেশি থাকে। আর গত কয়েক মাস ধরে তো বৃষ্টির কারণে সবজি নেই বললেই চলে বাজারে। শীতকালে একটু বাজারের পরিবেশ ঠাণ্ডা হতে পারে। তবে আমাদের সবজির দাম বেশি রাখার কোনো সুযোগ নেই।’

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The era of two story building is disappearing due to the touch of technology

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে দোন-সেঁউতির যুগ

প্রযুক্তির ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে দোন-সেঁউতির যুগ মাগুরার শালিখা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে একসময় দোন-সেঁউতি দিয়ে এভাবেই সেচ দেওয়ার কাজ করত কৃষক। সংগৃহীত

বাংলার গ্রামীণ কৃষিজীবনে একসময় ছিল দোন আর সেঁউতির রাজত্ব। বাঁশ, কাঠ, দড়ি ও মাটির কলস বা টিনের পাত্র দিয়ে তৈরি এই সেচযন্ত্রগুলো ছিল কৃষকের অমূল্য সম্পদ। খাল, পুকুর কিংবা নদী থেকে পানি তুলে উঁচু জমিতে ফসল ফলাতে দোন ও সেঁউতির বিকল্প ছিল না। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন সেই ঐতিহ্যবাহী সেচব্যবস্থা হারিয়ে গেছে সময়ের স্রোতে।

মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া, বুনাগাতী, গঙ্গারামপুরসহ মাগুরার বিভিন্ন অঞ্চলে একসময় দোন-সেঁউতি ছাড়া সেচ দেওয়ার কথা ভাবাই যেত না। ভোর কিংবা বিকেলে দল বেঁধে কৃষকরা যেতেন খাল বা নদীর ধারে। কেউ টানতেন সেঁউতি, কেউ চালাতেন দোন। দোলনার মতো দোন নড়াচড়া করত একদিক থেকে অন্যদিকে, আর তার সঙ্গে উঠত স্বচ্ছ পানি- যা ঢালা হতো ফসলি জমিতে।

দোনকল সাধারণত একটি লম্বা বাঁশ বা কাঠের সঙ্গে তৈরি হতো। এক প্রান্তে থাকত মাটির পাত্র বা টিনের কলস, অন্য প্রান্তে ভারসাম্য রাখার জন্য ভারী বস্তু। একজন মানুষ সহজেই এটি চালাতে পারতেন। অন্যদিকে সেঁউতি ছিল কিছুটা বড়, দোলনার মতো কাঠামো, যা দুই বা ততোধিক ব্যক্তি পা দিয়ে চালাতেন।

এখন আর গ্রামের মাঠে এই দৃশ্য দেখা যায় না। বিদ্যুৎচালিত পাম্প আর ডিজেল ইঞ্জিনের আগমনে দোন-সেঁউতি হারিয়েছে জীবনের বাস্তবতা, টিকে আছে শুধু স্মৃতিতে।

শালিখার আড়পাড়া ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের প্রবীণ কৃষক শুকুর বিশ্বাস সেই দিনের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আগেকার দিনে মেশিন তো ছিল না। আমরা দোনে পানি তুলে জমি ভরতাম। সেই সময়ের পরিশ্রম, মিলেমিশে কাজ করার আনন্দ- সব হারিয়ে গেছে। এখন মেশিনে সব হয়, কিন্তু মানুষের মধ্যে সেই একতা নেই।’

বুনাগাতীর দেশমুখপাড়া গ্রামের কৃষক লুৎফর বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের সময়ে খাল থেকে দোনে পানি তুলে পাতোর ভুঁইতে দিতাম। একজনের কাজ শেষ হলে অন্যজনের জমিতে যেতাম। কাজটা কঠিন ছিল, কিন্তু সবাই মিলেমিশে করতাম বলে ক্লান্তি লাগত না। এখন এসব দেখে না নতুন প্রজন্ম।’

শ্রীপুর উপজেলার প্রবীণ কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগে যখন মোটর বা ডিজেল পাম্প ছিল না, তখন দোন আর সেঁউতি দিয়েই আমরা জমিতে পানি দিতাম। দুজন মিলে দিনভর সেঁউতি টানলে জমি ভিজে যেত, ক্লান্তি থাকত কিন্তু তৃপ্তিও ছিল।

দোন ও সেঁউতি কেবল সেচযন্ত্র নয়- এগুলো ছিল গ্রামীণ জীবনের এক অনন্য ঐতিহ্য, যা মানুষের পরিশ্রম, সহযোগিতা আর আনন্দের প্রতীক হয়ে বেঁচে ছিল প্রজন্মের পর প্রজন্ম। আজকের তরুণ কৃষকরা হয়তো জানেনই না। তাদের পূর্বপুরুষরা কীভাবে নিখুঁত দক্ষতায় জমিতে পানি দিতেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মাগুরা খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ আলমগীর হোসেন বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন কৃষিযন্ত্র দোন-সেঁউতি। একসময় এগুলোর ব্যাপক ব্যবহার ছিল; কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির কারণে তা এখন বিলুপ্তপ্রায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি।

এখন দোন-সেঁউতির শব্দ আর শোনা যায় না, দেখা যায় না খালের পাড়ে দোলায় দুলতে থাকা বাঁশের দণ্ড। তবু মাটির গন্ধে, পুরোনো কৃষকের কপালের ঘামে, আর তাদের স্মৃতিচারণে এখনো বেঁচে আছে সেই সোনালি দিনের কৃষি ঐতিহ্য।

মাগুরার মাটিতে তাই এখনো লুকিয়ে আছে এক চিরচেনা গল্প- যেখানে প্রযুক্তি জয় করেছে সময়কে; কিন্তু হারিয়ে গেছে গ্রামীণ জীবনের সোনালি এক অধ্যায়।

দোন-সেঁউতির ইতিহাস: দোন-সেঁউতির ইতিহাস মূলত বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী কৃষি সেচ পদ্ধতির ইতিহাস। অতীতে, যখন আধুনিক যন্ত্র ছিল না, তখন কৃষক এই হাতে তৈরি পদ্ধতি ব্যবহার করে নদী, খাল বা জলাশয় থেকে জমিতে জলসেচ দিত। এটি একটি সরল; কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি ছিল যেখানে ‘দোন’ নামক বড় আকারের পাত্র ও ‘সেঁউতি’ নামক বিশেষ ধরনের নলের মাধ্যমে জল উত্তোলন করা হতো। প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে এখন এটি প্রায় বিলুপ্ত; কিন্তু গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে এটি এখনো কিছু স্মৃতিতে বেঁচে আছে।

মন্তব্য

p
উপরে