রাশিয়ার ‘স্পুতনিক-৫’ টিকা কেনা এবং বাংলাদেশে উৎপাদনের বিষয় নিয়ে রুশ সরকারের সঙ্গে শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ।
করোনা মহামারির কারণে বৈঠকটি অনলাইনে হবে। বৈঠকে টিকার চাহিদা ও দাম নিয়ে আলোচনা করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বৈঠকে রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলমসহ অনেকে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় রুশ সরকারের সঙ্গে জুমে মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে। রাশিয়া আমাদের শুক্রবার সন্ধ্যায় সময় দিয়েছে। জুম মিটিংয়ে রাশিয়ার টিকার চুক্তির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আমাদের কিছু প্রস্তাব দিয়েছিল, সেই বিষয়ে আলোচনা হবে। এই বৈঠকে রাশিয়ার টিকা কেনা ও তাদের প্রযুক্তি নিয়ে বাংলাদেশেই কীভাবে এই টিকা উৎপাদন করা যায়, এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। কী পরিমাণ টিকা কেনা হবে, কত টাকা দাম পড়বে এসব বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।’
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাশিয়ার টিকা বিষয় বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও রাশিয়ার সরকারের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। মিটিংটি ওয়েবিনারে হয়েছে। তারা বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় আরও একটি বৈঠক রয়েছে, যেখানে টিকা উৎপাদন ও কেনা বিষয় আলোচনা হতে পারে। রাশিয়ার অ্যাম্বাসেডর ও আমার স্বাস্থ্য মন্ত্রণায় এই মিটিং করবে। সরকার ইতিমধ্যে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এখন কবে কখন এই টিকা কীভাবে আনা হবে, এ বিষয়ে নিয়ে হয়তো আলোচনা হতে পারে।’
২৩ এপ্রিল ফর্মুলা গোপন রাখার শর্তে রাশিয়ার স্পুতনিক টিকা বাংলাদেশে উৎপাদনের জন্য সমঝোতা চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ও রুশ ফেডারেশন। এই সমঝোতা সই রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হয়েছে।
এর পাঁচ দিন ২৭ এপ্রিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানায়, মে মাসের মধ্যেই ৪০ লাখ ডোজ স্পুতনিক-৫ টিকা পৌঁছাচ্ছে দেশে। সরকার টু সরকার (জি টু জি) চুক্তির মাধ্যমে এই টিকা আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।
রাশিয়াসহ পৃথিবীর সাতটি দেশে এই টিকার ব্যবহার চলছে জানিয়ে মাহবুবুর বলেন, ‘বিশ্ব সংস্থা অনুমোদন না দিলেও, এটি মানুষের দেহে প্রয়োগ করতে পারব। জরুরি প্রয়োগে আমরা অনুমোদন দিয়েছি।’
রাশিয়ার টিকা দেশে উৎপাদনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কথাবার্তা চলছে। টিকা তৈরির সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। তিনটি ওষুধ প্রস্তুতকরণ কোম্পানির টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। এগুলো হলো ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও পুপলার ফার্মাসিউটিক্যালস।
বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারত নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে সিরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার রপ্তানি গত ২৪ মার্চ স্থগিত করে। ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত টিকা রপ্তানিতে বিলম্ব হতে পারে।
কোভ্যাক্সের আওতায় ১৮০টি দেশও সিরাম উৎপাদিত টিকা পাবে। কিন্তু রপ্তানি স্থগিত হওয়ায় এ সব দেশও টিকা পাচ্ছে না। ফলে সিরামের কাছ থেকে টিকার নতুন চালান পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এই সংকট কাটাতে টিকার বিকল্প উৎস খুঁজছে বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে রাশিয়ার পাশাপাশি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করছে সরকার।
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিদ্যুৎপৃষ্ঠে গোপাল দাশ নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে জেটি সড়ক এলাকায় ফিসারীতে কাজ করার সময় বিদ্যুতের তারে লেগে তার মৃত্যু হয়। গোপাল দাশ শ্রীমঙ্গল শহরের ইকোনমিক ফার্মেসীর মালিক ছিলেন, পাশাপাশি জেটি সড়কে একটি ফিসারীও ছিলো তার৷
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎপৃষ্ঠে মারা যাওয়া গোপাল দাশের লাশ উদ্বার করা হয়েছে। পরিবারের লোকজন ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। জেলা প্রশাসকের অনুমতি পেলে সেটা হবে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।
এদিকে গোপাল দাশের মর্মান্তিক মৃত্যুতে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
হবিগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা অভিযান চালিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ৫৫ বিজিবি গত ৫ দিনে ১৫টি পৃথক বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৭ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালানি পণ্য, মাদকদ্রব্য ও যানবাহন জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
৫৫ বিজিবি’র সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি’র বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় এবং জেলার চুনারুঘাটের গুইবিল বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে এক কোটি উনসত্তর লক্ষ ছয় হাজার টাকা মূলের ভারত হতে চোরাইপথে আনা মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে, বাই-সাইকেল এবং ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়।
চুনারুঘাটের দুধপাতিল, তেলিয়াপাড়া ও সাতছড়ি বিওপি এবং মাধবপুর উপজেলার মনতলা ও হরিণখোলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকাগুলোতে বিজিবি কর্তৃক পরিচালিত নিয়মিত অভিযান চলাকালে চোরাকারবারিরা বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে মালামাল ফেলে পালিয়ে গেলে, বিজিবি বিভিন্ন প্রকার চোরাচালানী মালামাল জব্দ করেন। এ সকল মালামালের মধ্যে রয়েছে ০৭ বোতল বিদেশী মদ, ২৫.৮ কেজি ভারতীয় গাঁজা, ৪৩ বোতল ফেনসিডিল, ১৬ ক্যান বিয়ার, ১৩ বোতল ইস্কফ সিরাপ, চা-পাতা এবং বাংলাদেশী মশার কয়েল। আটককৃত মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য ২ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭০০ টাকা।
এছাড়াও, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলাধীন ৫৫ বিজিবি’র অধীনস্থ সিন্দুরখান ও কাকমারাছড়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান বিরোধী পৃথক অভিযানে ৯৫ হাজার ৪০০ টাকা মূল্যের ২৪ বোতল ভারতীয় মদ, ফুচকা, চিনি এবং বাংলাদেশী মশার কয়েল আটক করা হয়।
আটককৃত দেশী/বিদেশী মালামাল, মাদকদ্রব্য এবং যানবাহন আইনানুগ প্রক্রিয়ায় শ্রীমঙ্গল, চুনারুঘাট ও মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ তানজিলুর রহমান বলেন, “উর্ধ্বতন দপ্তরের দিক-নির্দেশনায় আমরা সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে অভিযান পরিচালনা করছি। সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং চোরাচালান ও মাদকদ্রব্যের ভয়াবহতা থেকে দেশ ও সমাজকে রক্ষা করাই আমাদের অঙ্গীকার। সাম্প্রতিক অভিযানগুলো ৫৫ বিজিবি’র চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সফল প্রতিফলন।”
উল্লেখ্য, চলতি জুন মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত ৫৫ বিজিবি পরিচালিত অভিযানে মোট ৩ কোটি ৩০ লাখ ৭২ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন ভারতীয় চোরাচালানি পণ্য, মাদকদ্রব্য ও যানবাহন জব্দ করেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অপরাধী যত বড়ই হোক, ‘মব জাস্টিস’ বা জনতার উচ্ছৃঙ্খল বিচার সমর্থনযোগ্য নয়।
তিনি বলেছেন, ‘গত তিনটি নির্বাচন ছিল শেখ হাসিনার একক নাটকীয় নির্বাচন। এসব নির্বাচনের সময়কার সকল নির্বাচন কমিশনারই ফ্যাসিবাদের অংশ। তবে তারা যত বড় অপরাধীই হোক, বিচার হতে হবে আইনের মাধ্যমেই, মব জাস্টিসের মাধ্যমে নয়। মব জাস্টিস সমর্থনযোগ্য নয়।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা এবং মব জাস্টিসের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।
মব জাস্টিসের সাথে দলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি প্রশ্ন রাখেন, আদালতে পুলিশের উপস্থিতিতে কীভাবে আসামিরা হেনস্তা হন?
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের জন্য সাবেক তিন সিইসি দায়ী থাকলেও আইনসম্মতভাবেই তাদের অপরাধের বিচার চায় বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অভিযোগ করেন, দেশে আবারও করোনার ভয়াবহতা বাড়ছে, কিন্তু সরকার কোনে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। একইভাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতিও অবনতির দিকে যাচ্ছে। তিনি দ্রুত স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া,নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ মাহমুদ হোসেন শ্যামল,সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ,সহ-সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, যুগ্ম-সাধারণ বেলাল উদ্দীন সরকার তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী আদেশে নিয়োগ বিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক/সমমনা করে চাকরিতে ১৪তম গ্রেড, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা সহ বেতন স্কেল ১১ তম গ্রেডে উন্নীতকরণ সহ ছয় দফা দাবিতে পাবনায় অবস্থান-ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ৩ ঘন্টাব্যাপী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েনের ব্যানারে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন পাবনা জেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সংগঠনের সমন্বয়ক মোঃ ফজলুল হক, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি কে এম মাহফুজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রইচ উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সহ অর্থ সম্পাদক মাহবুব আলম। এছাড়াও বক্তব্য দেন, মামুন, রশিদ মনসুর আলী, রুহুল আমিন, হেনা খাতুন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলার অন্যান্য স্বাস্থ্য সহকারীগণ।
অবস্থান কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য সহকারী বলেন, অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধা ও সীমিত জনবল নিয়েও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেলেও ভাগ্যের কোন উন্নতি হয়নি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়াও রোগ থেকে মুক্তির উপায়, নতুন রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো এবং পরামর্শ দিয়ে থাকি।
কিন্তু বেতন কাঠামোয় রয়েছে চরম বৈষম্য শিকার। যারা পশুকে চিকিৎসা দেয় তাদের বেতন ১১ তম হলেও আমাদের এখনো ১৬ তম গ্রেডই আছে। আমরা ঝড় বৃষ্টির মধ্যে সাপে কাটা রোগীদেরও চিকিৎসা দিয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের সেসব উপকরণ দেওয়া হয় না। তাই স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি মেনে নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
তারা আরও বলেন, এই ৬ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা আরও শক্তিশালী ও টেকসই হবে। দীর্ঘদিন ধরে চলমান বৈষম্যের নিরসনের লক্ষে অধিদপ্তর থেকে প্রস্তাবিত সুপারিশ সমূহের বাস্তবায়ন ও প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞাপন জারি এখন স্বাস্থ্য সহকারীদের সময়ের দাবি প্রস্তাবিত দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল কর্মসূচী চলমান থাকবে। যদি দাবি মানা না হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
পাবনা সদর উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীরা যেভাবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের দৌড় ঘোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে সে অনুযায়ী তারা বেতন পাচ্ছেন না। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া দরকার। এখনো তারা অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
৬ দফা দাবির সমূহের মধ্যে রয়েছে- নির্বাহী অদেশে নিয়োগ বিধি সংশোধন শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক/সমাধান করে ১৪তম গ্রোভ প্রদান, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা সহ বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে 'উন্নীতকরণ, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিত করা, পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিয়োগ পেলেও কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী সকল স্বাস্থ্য পরিদর্শক স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের অভিজ্ঞতার আলোকে স্নাতক পাস স্কেলে আত্মীকরণ করতে হবে, বেতন স্কেলে উন্নীতকরনের পূর্বে স্বাস্থ্য সহকারী সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক গন যত সংখ্যক টাইম স্কেল অথবা উচ্চতর গ্রেট প্রাপ্ত বা প্রাপ্য হয়েছেন তা পরবর্তী পুনঃনির্ধারিত বেতন স্কেলের সাথে যোগ করতে হবে, পূর্বে ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা এসআইটি কোর্স সম্পূর্ণ কারী স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্যপরিদর্শকস্বাস্থ্য পরিদর্শকদেরকে ডিপ্লোমাধারী সম্পন্ন হিসেবে গণ্য করে সরাসরি ১১ তম দিতে হবে।
নওগাঁয় দিনব্যাপী সার্বজনীন পেনশন মেলা এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ মেলা এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ। পরে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে দুপুর ১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ হলরুমে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় অর্থ মন্ত্রণলায়ের উপসচিব মর্জিনা আক্তার, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ফারজানা হোসনসহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন,' সরকার ই একমাত্র আস্হার জায়গা, সরকারি ব্যাংকে টাকা রাখলে সেটি নিরাপদ থাকবে। সেইসঙ্গে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে সার্বজনীন পেনশনে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ বলেন, সমবায় সমিতিতে টাকা রাখলে সেটির কোন নিশ্চয়তা থাকেনা। সরকারি পেনশন স্কিমে টাকা রাখলে সেটির নিশ্চয়তা আছে এবং সরকার ই একমাত্র আস্থার জায়গা। যার কারনে মানুষ সরকারি ব্যাংকে টাকা রাখে। পেনশন স্কিম টাকা রাখলে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ উপকৃত হবে।
এক সহপাঠিকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত দুই ছাত্র হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী স্বাগত দাস পার্থ ও শান্ত তারা আদনান।
মঙ্গলবার(২৪জুন) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেটের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী।
আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি থেকে দুই ছাত্রের আজীবনের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ এসেছে। সিন্ডিকেটে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া আজকের সভায় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীকে মেসে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে একই বিভাগের বিভাগের ওই দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে। পরে ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এরপর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ওই দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরদিন ওই ছাত্রী মামলা দায়ের করলে গতকাল আদালত তাঁদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিদ্যুৎচালিত মেশিনে ধান মাড়াইয়ের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রমজান আলী (৪২) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মেধাকচ্ছপিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহত রমজান আলী ওই গ্রামে নুর মোহাম্মদের ছেলে।
স্থানীয় জিয়াউল হক জিয়া পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, মঙ্গলবার সকালে বাড়ির আঙিনায় রমজান আলী বিদ্যুৎচালিত মেশিনে ধান মাড়াই করছিলেন। এ সময় সংযোগ তারের লিকেজ অংশে হঠাৎ করে পা পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে আহত অবস্থায় রমজান আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মওলানা আব্দুর রহমান জানান, ধান মাড়াইয়ের সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কৃষক রমজান আলীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি থানা-পুলিশকে অবগত করা হয়েছে
মন্তব্য