× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
আইসিইউ আছে সেবা নেই
google_news print-icon

আইসিইউ আছে, সেবা নেই

আইসিইউ-আছে-সেবা-নেই
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইউনিট পাঠিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে। সেগুলো পরিচালনার বিষয়ে স্থানীয় পর্যায় থেকে যে চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে, সেগুলো পূরণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে। কোথাও কোথাও নেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা। আর প্রশিক্ষিত নার্স ও চিৎকৎসক তো একেবারেই নেই। এই অবস্থায় আইসিইউ ইউনিটগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

দেশে কতগুলো আইসিইউ ইউনিট আছে, তার মধ্যে কতগুলোতে রোগী আছে আর কতগুলো ফাঁকা আছে, তার হিসাব নিয়মিতভাবে দেয়া হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। কিন্তু কতগুলো ইউনিট আসলে সেবা দেয়ার অবস্থায় নেই সে কথা জানানো হয় না কখনও।

নিউজবাংলা সারা দেশের বিভিন্ন জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো আইসিইউ ইউনিটের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেছে, সেগুলোতে আসলে রোগীর সেবা দেয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইউনিট পাঠিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে। সেগুলো পরিচালনার বিষয়ে স্থানীয় পর্যায় থেকে যে চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে, সেগুলো পূরণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে।

পরিস্থিতিটি কাজীর গরুর মতো হয়েছে। আইসিইউ কেতাবে থাকবে, কিন্তু গোয়ালে নয়।

এর আগেও এমন চিত্র দেখা গেছে হাসপাতালগুলোতে। লোকবল ছাড়া মূল্যবান বহু যন্ত্রাংশ পড়ে পড়ে নষ্ট হয়েছে। এগুলো কিনে আনতে জনগণের করের টাকার অপচয় ছাড়া আর কিছুই হয়নি।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ফরিদ হোসেন মিয়াও বিষয়টি স্বীকার করেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে আইসিইউ স্থাপনের জন্য যে জনবল প্রয়োজন তার অনেক অভাব রয়েছে। আমরা অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জনবল নিয়োগ জন্য একটা চিঠি দিয়েছি। এটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, আইসিইউ স্থাপনের জন্য হাসাপাতালগুলোতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন অবশ্যই থাকতে হবে। অধিকাংশ হাসপাতাল পুরনো হওয়ার কারণে আইসিইউ বসানো যায় না। এটা কীভাবে সমাধান করা যায় সে বিষয় কাজ করা হচ্ছে।’

অবকাঠামোগত সংকট থাকার পরেও কেন আইসিইউ ইউনিট পাঠানো হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সারাদেশে আইসিইউ স্থাপনের জন্য যে

জনবল প্রয়োজন তার অনেক অভাব রয়েছে।

‘জনবল সংকট বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপন করা যাচ্ছে না জানিয়ে চিঠিও আসছে। আমরা অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জনবল নিয়োগ জন্য একটা চিঠি দিয়েছি। এটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

তিনি জানান, আইসিইউ স্থাপনের জন্য হাসাপাতালগুলোতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন অবশ্যই থাকতে হবে। অধিকাংশ হাসপাতাল পুরানো হওয়ার কারণে আইসিইউ বসানো যায় না। এটা কীভাবে সমাধান করা যায় সে বিষয় কাজ করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জেলায় সাত বছর ধরে তালাবদ্ধ ইউনিট

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জেলা মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিটের বসেছে ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর। কিন্তু টাকা খরচ ছাড়া রোগীর কোনো লাভ হয়নি।

এই ইউনিট স্থাপনের সময় জাহিদ মালেক স্বপন ছিলেন প্রতিমন্ত্রী। পরে পদোন্নতি হয়ে হয়েছেন পূর্ণ মন্ত্রী। কিন্তু তার জেলায় আইসিইউ ইউনিট চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল নিশ্চিত করা যায়নি।

আইসিইউ আছে, সেবা নেই

জটিল রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট লাগলে হাসপাতাল থেকে এখনও পাঠানো হয় রাজধানীতে।

গত বছর দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লে মে মাসে আইসিইউ স্বল্পতার বিষয়টি সামনে আসার পর দরজা খোলা হয়। নষ্ট হয়ে যাওয়া কিছু সরঞ্জাম পাল্টে নতুন সরঞ্জামও সংযোজন করা হয়। কিন্তু চিকিৎসা হয়নি একজন রোগীরও। আবার সেই ইউনিটে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে তালা।

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশাদ উল্লাহ বলেন, ‘উদ্বোধনের পর জনবলের অভাবের কারণে এখন পর্যন্ত আইসিইউয়ের কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় চিকিৎসা সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যায়। পরে গত বছরের মে মাসে কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে পুনরায় আইসিইউটি ঠিক করা হয়।

‘তা ছাড়া সদর হাসপাতালে তেমন কোনো মুমূর্ষু রোগী আসে না। যেসব রোগী আসে, তাদের সাধারণ বেডে চিকিৎসা দেয়া হয়। আর যদি অবস্থা ক্রিটিক্যাল হয় তাহলে ঢাকায় পাঠানো হয়।’

সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানান, দুই শয্যার আইসিইউ ইউনিট চালাতে প্রতি শিফটে একজন করে অ্যানেসথেসিয়ার চিকিৎসক, দুইজন সিনিয়র নার্স ও দুইজন সাপোর্টিং নার্স থাকতে হবে। অর্থাৎ প্রতি ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসকসহ কমপক্ষে ১২ জন দক্ষ জনবল থাকতে হবে।

এই লোকবলই যখন নিশ্চিত করা যাচ্ছে না, তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের জন্য চাহিদাপত্র দিয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর আইসিইউ নিয়ে অনেক কথাবার্তার মধ্যে বিভিন্ন জেলা শহরে পাঠানো হচ্ছে আইসিইউ শয্যা। কোথাও কোথাও ঘটা করে উদ্বোধন করছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু এই পর্যন্তই। এতে রোগীদের আদৌ কোনো লাভ হবে কি না, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।

কোথাও নেই আইসিইউ চালানোর মতো প্রশিক্ষিত জনবল। নেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা, এমনকি নেই আইসিইউ বসানোর মতো দক্ষ টেকনিশিয়ান।

শয্যা পেয়ে যেসব হাসপাতাল সেগুলো চালানোর জন্য জনবল চেয়ে চিঠি দিয়েছে, সেই হাসপাতালগুলোতে না করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই অবস্থায় সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হয়ে যাচ্ছে হতোদ্যম।

ইউনিট স্থাপনের জায়গাই নেই লক্ষ্মীপুর হাসপাতালে

লক্ষ্মীপুর জেলা হাসপাতালে গত ২২ এপ্রিল করোনা ওয়ার্ডে তিন শয্যার আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ।

এরপর আরও ১০টি শয্যা পাঠানো হয়। কিন্তু সেগুলো স্থাপনই করা যায়নি। হাসপাতালে স্থান সংকুলান না হওয়াই এর কারণ বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন আবদুল গফফার।

স্থাপনের জায়গা না থাকার পরেও শয্যা পাঠানো পরিকল্পনাহীনতার প্রমাণ হিসেবেই দেখছেন চিকিৎসকরা।

আইসিইউ স্থাপনের পর এখন পর্যন্ত আট জন করোনা রোগী এই সেবা নিয়েছেন বলেও জানান সিভিল সার্জন। আইসিইউএর জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান না থাকায় সাময়িকভাবে প্রশিক্ষণহীন ডাক্তাররা এই সেবা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

দুই সপ্তাহ বাক্সবন্দি পটুয়াখালীরগুলো

লক্ষ্মীপুর যেদিন তিনটি আইসিইউ শয্যা স্থাপন করা হয়, একই দিন পটুয়াখালীতে পাঠানো হয় পাঁচটি। কিন্তু যেভাবে প্যাকেট করে পাঠানো হয়েছে, সেভাবেই পড়ে আছে সেগুলো।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সেগুলো বসার কথা। এই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মতিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা ছেলের হাতের মোয়া না, বেড পাইলাম অর্ধেকটা লাইছা দিলাম ঘুমাইয়া দিই। আপনারা দূর থেকে মনে করেন সবকিছু রেডি। আসলে তা না।’

তিনি বলেন, ‘এটা বসাইতে দুই মাস সময় লাগবে। আইসিইউ বসাইলে সেন্টাল অক্সিজেন লাগবে না? সেন্টাল অক্সিজেন বসাতে দুই মাস লাগবে। আইসিইউ বেড বসানো বড় কথা না। সেন্টাল অক্সিজেন না থাকলে আমি বেড দিয়ে কী করব?’

বেড বসানোর মত জনবল বা দক্ষ কারিগর আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক বলেন, ‘জনবল গভর্নমেন্ট দেবে।’

আগামী দুই মাসের মধ্যে জনবল পাবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাই তো মনে হইতাছে।’

হাসপাতালে ভর্তি সোহরাব হোসেন নামে এক আইনজীবী বলেন, ‘আইসিইউ এর কথা বাদ দেন। এখানে চিকিৎসক নার্স সংকট প্রকট। হাসপাতালের মধ্যে পরিবেশ খুবই বাজে। এসব দেখবার করার দায়িত্বে যারা তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন।’

হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে ৩৬৮টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ২০১ জন। ১৬৭টি পদ খালি দীর্ঘদিন ধরে।

চিকিৎসকের ৫৮টি পদের মধ্যে কর্মরত মাত্র ১১ জন। ১৭৪ জন নার্সর মধ্যে কর্মরত ১৪৪ জন।

হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আবদুল মতিন ২৬ এপ্রিল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার মতো কোনো রোগী আমরা এখনও পাই নাই। তারপরেও হাসপাতালে সেন্টাল অক্সিজেন সিস্টেম চালুর জন্য জায়গা সিলেকশন হয়ে গেছে। দ্রুতই সেখানে কাজ শুরু হবে।’

তিনি সেদিন বলেন, ‘একে জনবল সংকট, আবার ঢাকা থেকে দক্ষ কারিগর আসার পর করোনা ইউনিট থেকে রোগীদের স্থানান্তর করতে বেশ কিছু সময় দরকার।’

দক্ষ কারিগর বা প্রয়োজনীয় জনবল না থাকার পরেও কেন এসব সরঞ্জাম চাহিদা পাঠানো হলো- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আগে তো মালামাল আনতে হয়। তারপর না হয় মিস্ত্রি। আমরা প্রয়োজনীয় জনবল চেয়েছি। আশা করি আইসিইউ এবং সেন্টাল অক্সিজেন সিস্টেমের মতো জনবলও পেয়ে যাব।’

সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম শিপন জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য।’

ভোলাকে বলা হয়েছে বরিশালের সহায়তা নিতে, কিন্তু বরিশালেরই নাই

গত ১৮ এপ্রিল ভোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় তিনটি আইসিইউ শয্যা, তিনটি ভেন্টিলেটর ও তিনটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা।

এই হাসপাতালের কর্মীরা জানতেনই না এই শয্যা ও ভেন্টিলেটর কীভাবে চালু করতে হয়। পরে ফোনে শুনে সেগুলো বসানো হয়েছে। কিন্তু এই পর্যন্তই।

আইসিইউ আছে, সেবা নেই

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘এগুলো চালানোর জন্য সার্বক্ষণিক কমপক্ষে তিন জন ডাক্তার ও তিন জন নার্স দরকার। কিন্তু আমাদের কাছে অভিজ্ঞত নার্স ও ডাক্তার না থাকায় এগুলো চালানো যাচ্ছে না।’

‘এগুলো আসার পর আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এগুলো স্থাপন ও পরিচালনার জন্য ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ানসহ অন্যান্য জনবলের চাহিদা পাঠিয়েছি। তারা আমাদেরকে বলেছে সারা দেশেই জনবল সংকট। তাই কোনো ডাক্তার নার্স ও টেকনিশিয়ান দেয়া সম্ভব না। এগুলো স্থানীয়ভাবে স্থাপন করতে হবে’-আইসিইউ ইউনিট কীভাবে নতুন সংকট তৈরি করেছে, সেটি জানালেন এই চিকিৎসা কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এক জন এনেসথেসিওলজিস্টের জন্য বললে মন্ত্রণালয় আমাদেরকে এক জন এনেসথেসিওলজিস্ট দেয়ার কথা বলেছে। তারও কোনো খবর নেই।’

লোকবল না পেলে কীভাবে চলবে- এমন প্রশ্ন যখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করেছে, তখন তাদেরকে বলা হয় বরিশালের সহযোগিতা নিতে।

সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বরিশাল খবর নিয়েছি। সেখানেও আইসিইউ চালানোর লোক নেই। তারা হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা দিয়ে গুরুতর রোগীদের সেবা দেয়। যেটি আমরা আরও আগ থেকেই পাঁচটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা দিয়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছি।’

আইসিইউ বসেছে, নেই অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর

বাগেরহাট শেখ রাজিয়া নাসের ২৫০ শয্যা হাসপাতালে তিন শয্যার একটি আইসিইউ ইউনিট উদ্বোধন করা হয় গত ২৩ এপ্রিল। বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় এর ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেয়া এ শয্যা তিনটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়।

তবে প্রশিক্ষিত জনবল ও টেকনিশিয়ানের অভাবে গত ১০ দিনেও আইসিইউ শয্যা গুলো চালু করা যায়নি।

হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেমসহ অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন করা হলেও অক্সিজেনের অভাবে সেটি ফাঁকা পরে রয়েছে।

তবে বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে জরুরি প্রয়োজনে আইসিইউতে রোগীদের সেবার জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, এখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন আছে, হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলাসহ চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন সবই আছে।

বর্তমানে আমাদের সব চেয়ে বেশি যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে প্রশিক্ষিত জনবল এটা প্ররিচালনা করার জন্য। এ জন্য আমরা দুই জন চিকিৎসক ও পাঁচ জন নার্সকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আগামী ৫ মে লকডাউন উঠে গেলে তাদেরকে প্রশিক্ষনের জন্য খুলনা পাঠানো হবে।

তবে বর্তমানে আমাদের যে এনেশথেশিয়া ডাক্তার রয়েছে তিনি এটি পরিচালনা করতে সক্ষম। প্রয়োজন হলে আমরা এখনই আইসিইউ বেডে রোগীদের চিৎসিকা দিতে পারব।

আইসিইউতে একজন রোগী চিৎকিসা নেয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই আছে। তবে আমাদের ভেনটিলেটর নেই, সেটা চেয়েছি।

এর আগে আমরা মন্ত্রণালয় থেকে ১০টি ভেন্টিলেটর পেয়েছি, যেগুলো মূলত আইসিইউতে ব্যবহার উপযোগী না। এটা অ্যাম্বুলেন্সে ব্যবহার উপযোগী ভেনটিলেটর। আশা করছি ভেন্টিলেটর পেয়ে গেলে আইসিইউ ইউনিটে আর কোন সমস্য থাকবে না।

রাজবাড়ীতে সম্বল আত্মবিশ্বাস

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের দোতলায় ২০ শয্যা করোনা ইউনিটর জন্য তিন শয্যার আইসিইউ ইউনিট বসানো হয়েছে গত ১৯ এপ্রিল। কিন্তু কাউকে সেবা দেয়ার মতো অবকাঠামো নেই।

আইসিইউ আছে, সেবা নেই

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দীপক কুমার বলেন, আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন এর কাজ চলছে। এটা আগামী মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তবে আমাদের আইসিইউ বেড চালানোর মতো সম্পূর্ণ দক্ষ নার্স নেই। এটার জন্য আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে চাহিদা হিসেবে চিঠি দিয়েছি।’

হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রেয়েছে ৪১টি। এর মধ্যে শূন্য ২৬টি। এর মধ্যে নতুন ইউনিট সেখানে তৈরি করেছে বাড়তি চাপ।

তার পরেও সিভিল সার্জন ইব্রাহিম টিটোন দাবি করছেন, তারা রোগীদের সেবা দিতে পারবেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের আলাদা কোন জনবল নার্স বা ডাক্তার নেই, তবে যা আছে এইগুলো দিয়ে আমি আইসিইউ চালাতে পারব, এরা আইসিইউ চালাতে পারবে।’

আরও পড়ুন:
ভারতে আইসিইউতে ৫ লাখ, অক্সিজেন সাপোর্টে ৯ লাখ রোগী
আইসিইউর এখন চাহিদা নেই
টাঙ্গাইলে ১০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন
সারা দেশে ৪৫৯ আইসিইউ শয্যা খালি
দেশে আইসিইউ বেড ফাঁকা ৩২২টি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Engineers must be involved with the progress of technology knowledge Chief Advisor

প্রযুক্তি জ্ঞানের অগ্রগতির সাথে প্রকৌশলীদের সম্পৃক্ত থাকতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রযুক্তি জ্ঞানের অগ্রগতির সাথে প্রকৌশলীদের সম্পৃক্ত থাকতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি জ্ঞানের সর্বশেষ অগ্রগতির সাথে প্রকৌশলীদের সম্পৃক্ত থাকতে হবে।

আগামীকাল ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। ‘উন্নত জগৎ গঠন করুন’ এই আদর্শকে সামনে রেখে ১৯৪৮ সালের ৭ মে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) প্রতিষ্ঠিত হয়।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা প্রকৌশলী সমাজের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি কর্তৃত্ববাদী দু:শাসনের অবসান হয়েছে। বর্তমান অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার একটি বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রযুক্তি ও প্রকৌশলগত উন্নয়ন একটি জাতির উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করে। তথ্যপ্রযুক্তিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন জ্ঞান ও আবিষ্কার। প্রকৌশলীগণ যার মুখ্য কারিগর।

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বিশ্বায়নের এ যুগে প্রযুক্তি ও প্রকৌশল জ্ঞানের বিকাশ ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত এবং উন্নত আধুনিক বাংলাদেশ গঠনেও প্রকৌশলীদের কার্যকর ভূমিকা অত্যাবশ্যক বলে আমি মনে করি। প্রকৌশলীগণ দেশপ্রেমের অনির্বাণ চেতনাকে ধারণ করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করছি।’

প্রধান উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Chinmay the leader of the ISKCON arrested in three more cases

আরও ৪ মামলায় গ্রেপ্তার ইসকন নেতা চিন্ময়

আরও ৪ মামলায় গ্রেপ্তার ইসকন নেতা চিন্ময়

চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা পুলিশের কাজে বাধাসহ চার মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দীনের আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রায়হানুল ওয়াজেদ বলেন, কোতোয়ালী থানার পুলিশের কাজে বাধা, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলাসহ চার মামলায় চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা। আদালতে শুনানি হয় ও আসামি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস কারাগার থেকে ভার্চুয়াল শুনানিতে যুক্ত ছিলেন। আদালত শুনানি শেষে চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন।

এদিকে চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার দেখানোর ভার্চুয়াল শুনানিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

গত ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করার পর কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়।

এসময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিচার্জ এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে এদিন বিকেলে রঙ্গম কমিউনিটি হল সংলগ্ন এলাকায় আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Jarridona canal in Kamlnagar

কমলনগরে ৮০ প্রভাবশালীদের দখলে জারিরদোনা খাল

উচ্ছেদের আদেশ হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নেই প্রশাসনের
কমলনগরে ৮০ প্রভাবশালীদের দখলে জারিরদোনা খাল

ময়লা-আবর্জনা আর অবৈধ দখলের কারণে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ জারিরদোনা শাখা খালটি। এ জন্য যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব ও প্রশাসনের উদাসীনতাকে দুষছেন এলাকাবাসী।

উপজেলা সদর হাজিরহাট বাজার অংশে জারিরদোনা খাল দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ছোট-বড় বহু দোকানপাট ও বহুতল ভবন। কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই খালের পানি বাধাগ্রস্ত করে ইচ্ছামতো সরু পুল, কালভার্ট নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালীরা। সেই সঙ্গে গড়ে তুলেছেন অবৈধ দোকানপাট। এ ছাড়া এলাকার কিছু প্রভাবশালী বাজারের আবর্জনা দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে খালটি ভর্তি করে ফেলেছেন। যাতে করে পরে সময় সুযোগ বুঝে ওই স্থান দখলে নেওয়া যায়।

এলাকাবাসী জানান, চরফলকন, চরলরেন্স, হাজিরহাট ও সাহেবেরহাট ইউনিয়নসহ উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কৃষিকাজ এ খালের পানি প্রবাহের ওপর নির্ভরশীল। পানির স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে যেমন পানি সংকটে কৃষিকাজ ব্যাহত হয়, তেমনি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনজনিত সমস্যায় সয়াবিন, ধান, মরিচ, বাদাম ও সবজীসহ বিভিন্ন ফসল ও বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বর্তমান এ অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা চলছে। খালটি দখলের কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় জীবনযাত্রা চরম দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে মানুষের। বন্যার পানি না নামার কারণ হিসেবে খাল দখলকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

হাজিরহাট এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নূর সেলিম বলেন, জারিরদোনা শাখা খালটির সংযোগ সরাসরি মেঘনা নদীর সঙ্গে। আশির দশক পর্যন্ত এ খালটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ হিসেবেই বিবেচিত ছিল। এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যেও এর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। ওই সময়ে কাঁচা রাস্তা দিয়ে বাস-ট্রাক যাতায়াত করা ছিল দুর্সাধ্য। এমনকি ৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এ অঞ্চলের সড়ক পথই ছিল না।

এদিকে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ৮০ দখলবাজের কবজা থেকে খালটি উদ্ধার করতে উচ্ছেদের আদেশ হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। তারা খাল উদ্ধারে গড়িমসি করে সময় পার করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

উপজেলা ভূমি অফিসের তথ্যমতে, পিএস জরিপে হাজিরহাট বাজার অংশে খালের প্রশস্ততা ছিল গড়ে প্রায় ৩২ ফুট। বর্তমান আরএস জরিপে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র ২০ ফুটে। কিন্তু কিছু ইমারত (ভবন) এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে ওই সব অংশে খালের প্রশস্ততা বর্তমানে ২ থেকে ৩ ফুটের বেশি নেই।

হাজিরহাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল হাছান বলেন, ‘এলাকার বৃহত্তর স্বার্থে খালটি সংস্কার করে পানির প্রবাহ ঠিক রাখা একান্ত জরুরি। পুরো খাল দখল করে যারা ইমারত তৈরি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে খালটি দখলমুক্ত করা এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাত হুসাইন বলেন, ‘জারিরদোনা খাল দখলমুক্ত করতে ইতোমধ্যে আদেশ হয়েছে। আমরা দ্রুত কাজ শুরু করব।’

এ বিষয়ে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহাত-উজ জামান বলেন, খালটি সংস্কার ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ করতে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Eid ul Azha 7 Day leave Press Secretary

ঈদুল আজহায় ১০ দিন ছুটি: প্রেস সচিব

ঈদুল আজহায় ১০ দিন ছুটি: প্রেস সচিব

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিন ছুটি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

মঙ্গলবার (৬ মে) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান।

পাশাপাশি ১৭ ও ২৪ মে দুটি শনিবার অফিস খোলা থাকবে বলে ওই পোস্টে জানানো হয়েছে। তবে কবে থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে কবে শেষ হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

গত ঈদুল ফিতরে ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি ছিল। ঈদে টানা পাঁচদিন ছুটি আগেই ঘোষণা করে সরকার। তার সঙ্গে নির্বাহী আদেশে আরও এক দিন ছুটি বাড়ানো হয়। ওই ছুটি শুরুর দুদিন আগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ছুটি ছিল। মাঝে ২৭ মার্চ একদিন খোলা ছিল অফিস।

চলতি মে মাসে এরইমধ্যে টানা তিন দিন ছুটি উপভোগ করছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। দ্বিতীয় দফায় আরও একবার তিন দিনের ছুটি পেতে চলেছেন তারা। আগামী ১১ মে (রবিবার) বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি। এরআগে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি আছে তাদের। অর্থাৎ এই মাসে দুদফায় তিন দিন করে ছুটি উপভোগ করবেন তারা।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Up Bangladesh political party is not a platform Junaid

‘আপ বাংলাদেশ’ রাজনৈতিক দল নয়, প্ল্যাটফরম : জুনায়েদ

‘আপ বাংলাদেশ’ রাজনৈতিক দল নয়, প্ল্যাটফরম : জুনায়েদ আলী আহসান জুনায়েদ

আগামী ৯ মে (শুক্রবার) আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ। যার সংক্ষিপ্ত রূপ ইউপিবি বা আপ বাংলাদেশ। তবে এটি রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম বলে জানিয়েছেন প্ল্যাটফরমের উদ্যোক্তা আলী আহসান জুনায়েদ।

গতকাল সোমবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানান তিনি।

তবে এর আগে জানা গিয়েছিল, রাজনৈতিক দল হিসেবে ঘোষণা হচ্ছে আপ বাংলাদেশ।

ওই পোস্টে জুনায়েদ বলেন, আগামী ৯ মে (শুক্রবার) বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (ইউপিবি/আপ বাংলাদেশ)। এটি মূলত একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম, দল নয়।

জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করাই হবে এই প্ল্যাটফরমের প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা বলে জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের মধ্যে আলী আহসান জুনায়েদ অন্যতম। গত ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা হওয়া নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ পদগুলোর মধ্যে একটি পদ পাওয়ার গুঞ্জন ছিল। পরে এক পোস্টে তিনি ওই দলে যাচ্ছেন না বলে জানান।

আজকের পোস্টে জুনায়েদ আরও বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে আমরা বাংলাদেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করে যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্বের বিকাশ, সুবিচার ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করতে চাই। ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের আলোকে সামাজিক চুক্তির পুনর্বহাল করে সাম্প্রদায়িক বন্ধন ও পারষ্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ সমাজ গড়ায় কাজ করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ, ধর্মবিদ্বেষ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে এই প্ল্যাটফরম কাজ করবে ইনশাআল্লাহ। আপনাদের সবার পরামর্শ, দোয়া ও সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। ৯ মে শহীদ মিনারে আপনাদের আমন্ত্রণ রইল।’

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
There will be more than five hundred in the country in the country NID DG

দেশে দ্বৈত এনআইডিধারী পাঁচ শতাধিক বহাল থাকবে প্রথমটি: এনআইডি ডিজি

দেশে দ্বৈত এনআইডিধারী পাঁচ শতাধিক বহাল থাকবে প্রথমটি: এনআইডি ডিজি

দেশে দ্বৈত এনআইডিধারীর সংখ্যা পাঁচ শতাধিক বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, দ্বৈত এনআইডি যাদের রয়েছে, তাদের ব্যাপারে পরিষ্কার সিদ্ধান্ত—প্রথমটি রেখে দ্বিতীয়টি বাদ যাবে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন এ এস এম হুমায়ুন কবীর।

তিনি বলেন, ‘মানুষের সেবা নিশ্চিত করা জন্য যৌক্তিক আবেদন কমিশন অতি দ্রুত অনুমোদন দিচ্ছে। কমিশন ও সচিবালয় আমরা সবাই মিলে মানুষকে দ্রুত সেবা দিতে চাই।’

ডিজি হুমায়ুন বলেন, ‘আমাদের এনআইডি অনুবিভাগে প্রচুর আবেদন আছে। এগুলো যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে পারি সে জন্য দায়িত্ব বণ্টন করে দিচ্ছি। ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যেও একটু ক্ষমতা পরিবর্তন করছি, যাতে সহজ হয়। আমাদের আঞ্চলিক পর্যায়ে ক্যাটাগরি করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। আমরা মনিটর করছি।’

তিনি আরও বলেন, দ্বৈত এনআইডি যাদের রয়েছে, তাদের ব্যাপারে পরিষ্কার সিদ্ধান্ত—প্রথমটি রেখে দ্বিতীয়টি বাদ যাবে। এ পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি দ্বৈত এনআইডি পাঁচ শতাধিক।

হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘প্রায় ১৩ কোটির বেশি তথ্য একটা একটা করে খোঁজা সম্ভব নয়। কেউ যদি তথ্য দেয় আর আমরা যদি দেখতে পাই তবে ব্যবস্থা নিই।’

এদিকে রোহিঙ্গাদের ডেটাবেজ সংরক্ষণ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অন্য একটি মন্ত্রণালয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে তাদের ডাটাবেজ যেখানেই থাকুক না কেন তার ব্যবহারের সুযোগ চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ বিষয়ে এনআইডি মহাপরিচালক হুমায়ুন বলেন, প্রথম সিদ্ধান্ত ছিল রোহিঙ্গাবিষয়ক ডেটাবেইসটা এপিআইয়ের মাধ্যমে ইসিকে দেওয়া। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য দপ্তর মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই তথ্য তাদের কাছে থাকবে। যদিও রোহিঙ্গাদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য কোন মন্ত্রণালয়ে সার্ভার থাকবে, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সরকার বিকল্প কোনো সিদ্ধান্ত নিলে এনআইডি কর্তৃপক্ষ সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরও জানান, ‘রোহিঙ্গা এবং বিদেশিদের আমরা আমাদের ডেটাবেইসে প্রবেশ করতে দেব না।’

এদিকে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের ভোটের আওতায় আনতে অস্ট্রেলিয়াসহ আট দেশে ভোটার রেজিস্ট্রেশন কাজ শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ এই কার্যক্রম কানাডায় চালু হবে। এখন থেকে সুনির্দিষ্ট কারণ দর্শানো ব্যতীত এনআইডি সংশোধন আবেদন বাতিল করা যাবে না বলে জানিয়েছেন এনআইডির ডিজি।

মহাপরিচালক জানান, ৪০ দেশে এনআইডি সেবা চালুর বিষয়ে আগামী সপ্তাহে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হতে যাচ্ছে।

এনআইডি সেবার দুর্ভোগ কমাতে নানা পদক্ষেপের কথা জানিয়ে ডিজি হুমায়ুন বলেন, দ্বৈত এনআইডিধারীদের প্রথমটি রেখে দ্বিতীয়টি বাতিল ও রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার প্রবণতা ঠেকাতে আঙুলের ছাপ যাচাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি রোহিঙ্গাদের আঙুলের ছাপ যাচাই করতে পারি তাহলেই হবে। কাজেই তাদের ভোটার তালিকায় ঢুকে যাওয়া সহজ হবে না। ভোটার হতে যিনি আসবেন, আমরা যত রকমভাবে সম্ভব চেক করে নেব।’

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Khaleda Zia on the way to emotional leaders and staff

পথে পথে আবেগাপ্লুত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত খালেদা জিয়া

পথে পথে আবেগাপ্লুত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত খালেদা জিয়া

পথে পথে আবেগাপ্লুত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন দেশনেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

পথে পথে কেউ হাতে ফুল, কেউ ব্যানার-প্ল্যাকার্ড, কেউ বেগম খালেদা জিয়ার ছবিসংবলিত টি-শার্ট পরে, হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নেড়ে, শ্লোগানে শ্লোগানে প্রিয় নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

‘খালেদা জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘খালেদা, জিয়া’, ‘তারেক, রহমান’, ‘খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ পথে পথে নানা শ্লোগান দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা।

চিকিৎসা শেষে দীর্ঘ চারমাস পর যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে আজ ঢাকায় ফেরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে অবতরণ করে তাঁকে বহনকারী কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স)। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। পথে পথে আবেগাপ্লুত উচ্ছ্বসিত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি।

দলীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে যেভাবে নেতা-কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমেছেন, তা দলের প্রতি তাদের আস্থার প্রমাণ।’

বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কে কোথায় অবস্থান নিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাবেন, তা আগেই বলে দেওয়া হয়েছিল। তাদের সড়কে ভিড় না করে ফুটপাতে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। যাতে যানজট বা বিশৃঙ্খলা না হয়, সে জন্য পুরো পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। যদিও অগণিত মানুষকে সামাল দিতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। বহরের সামনে পিছনে এবং বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িকে ঘিরে মিছিল শ্লোগানে প্রকম্পিত করে রাখছে অগণিত নেতা-কর্মী।

বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে এসেছেন তার দুই পুত্রবধূ-তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শার্মিলা রহমান।

সকাল থেকেই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়ক থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত জড়ো হন বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। তারা বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানায়।

মন্তব্য

p
উপরে