× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
আইসিইউ আছে সেবা নেই
google_news print-icon

আইসিইউ আছে, সেবা নেই

আইসিইউ-আছে-সেবা-নেই
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইউনিট পাঠিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে। সেগুলো পরিচালনার বিষয়ে স্থানীয় পর্যায় থেকে যে চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে, সেগুলো পূরণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে। কোথাও কোথাও নেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা। আর প্রশিক্ষিত নার্স ও চিৎকৎসক তো একেবারেই নেই। এই অবস্থায় আইসিইউ ইউনিটগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

দেশে কতগুলো আইসিইউ ইউনিট আছে, তার মধ্যে কতগুলোতে রোগী আছে আর কতগুলো ফাঁকা আছে, তার হিসাব নিয়মিতভাবে দেয়া হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। কিন্তু কতগুলো ইউনিট আসলে সেবা দেয়ার অবস্থায় নেই সে কথা জানানো হয় না কখনও।

নিউজবাংলা সারা দেশের বিভিন্ন জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো আইসিইউ ইউনিটের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেছে, সেগুলোতে আসলে রোগীর সেবা দেয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইউনিট পাঠিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে। সেগুলো পরিচালনার বিষয়ে স্থানীয় পর্যায় থেকে যে চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে, সেগুলো পূরণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে।

পরিস্থিতিটি কাজীর গরুর মতো হয়েছে। আইসিইউ কেতাবে থাকবে, কিন্তু গোয়ালে নয়।

এর আগেও এমন চিত্র দেখা গেছে হাসপাতালগুলোতে। লোকবল ছাড়া মূল্যবান বহু যন্ত্রাংশ পড়ে পড়ে নষ্ট হয়েছে। এগুলো কিনে আনতে জনগণের করের টাকার অপচয় ছাড়া আর কিছুই হয়নি।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ফরিদ হোসেন মিয়াও বিষয়টি স্বীকার করেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে আইসিইউ স্থাপনের জন্য যে জনবল প্রয়োজন তার অনেক অভাব রয়েছে। আমরা অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জনবল নিয়োগ জন্য একটা চিঠি দিয়েছি। এটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, আইসিইউ স্থাপনের জন্য হাসাপাতালগুলোতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন অবশ্যই থাকতে হবে। অধিকাংশ হাসপাতাল পুরনো হওয়ার কারণে আইসিইউ বসানো যায় না। এটা কীভাবে সমাধান করা যায় সে বিষয় কাজ করা হচ্ছে।’

অবকাঠামোগত সংকট থাকার পরেও কেন আইসিইউ ইউনিট পাঠানো হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সারাদেশে আইসিইউ স্থাপনের জন্য যে

জনবল প্রয়োজন তার অনেক অভাব রয়েছে।

‘জনবল সংকট বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপন করা যাচ্ছে না জানিয়ে চিঠিও আসছে। আমরা অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জনবল নিয়োগ জন্য একটা চিঠি দিয়েছি। এটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

তিনি জানান, আইসিইউ স্থাপনের জন্য হাসাপাতালগুলোতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন অবশ্যই থাকতে হবে। অধিকাংশ হাসপাতাল পুরানো হওয়ার কারণে আইসিইউ বসানো যায় না। এটা কীভাবে সমাধান করা যায় সে বিষয় কাজ করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জেলায় সাত বছর ধরে তালাবদ্ধ ইউনিট

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জেলা মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিটের বসেছে ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর। কিন্তু টাকা খরচ ছাড়া রোগীর কোনো লাভ হয়নি।

এই ইউনিট স্থাপনের সময় জাহিদ মালেক স্বপন ছিলেন প্রতিমন্ত্রী। পরে পদোন্নতি হয়ে হয়েছেন পূর্ণ মন্ত্রী। কিন্তু তার জেলায় আইসিইউ ইউনিট চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল নিশ্চিত করা যায়নি।

আইসিইউ আছে, সেবা নেই

জটিল রোগীর আইসিইউ সাপোর্ট লাগলে হাসপাতাল থেকে এখনও পাঠানো হয় রাজধানীতে।

গত বছর দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লে মে মাসে আইসিইউ স্বল্পতার বিষয়টি সামনে আসার পর দরজা খোলা হয়। নষ্ট হয়ে যাওয়া কিছু সরঞ্জাম পাল্টে নতুন সরঞ্জামও সংযোজন করা হয়। কিন্তু চিকিৎসা হয়নি একজন রোগীরও। আবার সেই ইউনিটে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে তালা।

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশাদ উল্লাহ বলেন, ‘উদ্বোধনের পর জনবলের অভাবের কারণে এখন পর্যন্ত আইসিইউয়ের কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় চিকিৎসা সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে যায়। পরে গত বছরের মে মাসে কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে পুনরায় আইসিইউটি ঠিক করা হয়।

‘তা ছাড়া সদর হাসপাতালে তেমন কোনো মুমূর্ষু রোগী আসে না। যেসব রোগী আসে, তাদের সাধারণ বেডে চিকিৎসা দেয়া হয়। আর যদি অবস্থা ক্রিটিক্যাল হয় তাহলে ঢাকায় পাঠানো হয়।’

সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানান, দুই শয্যার আইসিইউ ইউনিট চালাতে প্রতি শিফটে একজন করে অ্যানেসথেসিয়ার চিকিৎসক, দুইজন সিনিয়র নার্স ও দুইজন সাপোর্টিং নার্স থাকতে হবে। অর্থাৎ প্রতি ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসকসহ কমপক্ষে ১২ জন দক্ষ জনবল থাকতে হবে।

এই লোকবলই যখন নিশ্চিত করা যাচ্ছে না, তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের জন্য চাহিদাপত্র দিয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর আইসিইউ নিয়ে অনেক কথাবার্তার মধ্যে বিভিন্ন জেলা শহরে পাঠানো হচ্ছে আইসিইউ শয্যা। কোথাও কোথাও ঘটা করে উদ্বোধন করছে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু এই পর্যন্তই। এতে রোগীদের আদৌ কোনো লাভ হবে কি না, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।

কোথাও নেই আইসিইউ চালানোর মতো প্রশিক্ষিত জনবল। নেই সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা, এমনকি নেই আইসিইউ বসানোর মতো দক্ষ টেকনিশিয়ান।

শয্যা পেয়ে যেসব হাসপাতাল সেগুলো চালানোর জন্য জনবল চেয়ে চিঠি দিয়েছে, সেই হাসপাতালগুলোতে না করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই অবস্থায় সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হয়ে যাচ্ছে হতোদ্যম।

ইউনিট স্থাপনের জায়গাই নেই লক্ষ্মীপুর হাসপাতালে

লক্ষ্মীপুর জেলা হাসপাতালে গত ২২ এপ্রিল করোনা ওয়ার্ডে তিন শয্যার আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ।

এরপর আরও ১০টি শয্যা পাঠানো হয়। কিন্তু সেগুলো স্থাপনই করা যায়নি। হাসপাতালে স্থান সংকুলান না হওয়াই এর কারণ বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন আবদুল গফফার।

স্থাপনের জায়গা না থাকার পরেও শয্যা পাঠানো পরিকল্পনাহীনতার প্রমাণ হিসেবেই দেখছেন চিকিৎসকরা।

আইসিইউ স্থাপনের পর এখন পর্যন্ত আট জন করোনা রোগী এই সেবা নিয়েছেন বলেও জানান সিভিল সার্জন। আইসিইউএর জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান না থাকায় সাময়িকভাবে প্রশিক্ষণহীন ডাক্তাররা এই সেবা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

দুই সপ্তাহ বাক্সবন্দি পটুয়াখালীরগুলো

লক্ষ্মীপুর যেদিন তিনটি আইসিইউ শয্যা স্থাপন করা হয়, একই দিন পটুয়াখালীতে পাঠানো হয় পাঁচটি। কিন্তু যেভাবে প্যাকেট করে পাঠানো হয়েছে, সেভাবেই পড়ে আছে সেগুলো।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সেগুলো বসার কথা। এই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মতিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা ছেলের হাতের মোয়া না, বেড পাইলাম অর্ধেকটা লাইছা দিলাম ঘুমাইয়া দিই। আপনারা দূর থেকে মনে করেন সবকিছু রেডি। আসলে তা না।’

তিনি বলেন, ‘এটা বসাইতে দুই মাস সময় লাগবে। আইসিইউ বসাইলে সেন্টাল অক্সিজেন লাগবে না? সেন্টাল অক্সিজেন বসাতে দুই মাস লাগবে। আইসিইউ বেড বসানো বড় কথা না। সেন্টাল অক্সিজেন না থাকলে আমি বেড দিয়ে কী করব?’

বেড বসানোর মত জনবল বা দক্ষ কারিগর আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই চিকিৎসক বলেন, ‘জনবল গভর্নমেন্ট দেবে।’

আগামী দুই মাসের মধ্যে জনবল পাবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাই তো মনে হইতাছে।’

হাসপাতালে ভর্তি সোহরাব হোসেন নামে এক আইনজীবী বলেন, ‘আইসিইউ এর কথা বাদ দেন। এখানে চিকিৎসক নার্স সংকট প্রকট। হাসপাতালের মধ্যে পরিবেশ খুবই বাজে। এসব দেখবার করার দায়িত্বে যারা তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন।’

হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে ৩৬৮টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ২০১ জন। ১৬৭টি পদ খালি দীর্ঘদিন ধরে।

চিকিৎসকের ৫৮টি পদের মধ্যে কর্মরত মাত্র ১১ জন। ১৭৪ জন নার্সর মধ্যে কর্মরত ১৪৪ জন।

হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আবদুল মতিন ২৬ এপ্রিল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার মতো কোনো রোগী আমরা এখনও পাই নাই। তারপরেও হাসপাতালে সেন্টাল অক্সিজেন সিস্টেম চালুর জন্য জায়গা সিলেকশন হয়ে গেছে। দ্রুতই সেখানে কাজ শুরু হবে।’

তিনি সেদিন বলেন, ‘একে জনবল সংকট, আবার ঢাকা থেকে দক্ষ কারিগর আসার পর করোনা ইউনিট থেকে রোগীদের স্থানান্তর করতে বেশ কিছু সময় দরকার।’

দক্ষ কারিগর বা প্রয়োজনীয় জনবল না থাকার পরেও কেন এসব সরঞ্জাম চাহিদা পাঠানো হলো- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আগে তো মালামাল আনতে হয়। তারপর না হয় মিস্ত্রি। আমরা প্রয়োজনীয় জনবল চেয়েছি। আশা করি আইসিইউ এবং সেন্টাল অক্সিজেন সিস্টেমের মতো জনবলও পেয়ে যাব।’

সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম শিপন জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য।’

ভোলাকে বলা হয়েছে বরিশালের সহায়তা নিতে, কিন্তু বরিশালেরই নাই

গত ১৮ এপ্রিল ভোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় তিনটি আইসিইউ শয্যা, তিনটি ভেন্টিলেটর ও তিনটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা।

এই হাসপাতালের কর্মীরা জানতেনই না এই শয্যা ও ভেন্টিলেটর কীভাবে চালু করতে হয়। পরে ফোনে শুনে সেগুলো বসানো হয়েছে। কিন্তু এই পর্যন্তই।

আইসিইউ আছে, সেবা নেই

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘এগুলো চালানোর জন্য সার্বক্ষণিক কমপক্ষে তিন জন ডাক্তার ও তিন জন নার্স দরকার। কিন্তু আমাদের কাছে অভিজ্ঞত নার্স ও ডাক্তার না থাকায় এগুলো চালানো যাচ্ছে না।’

‘এগুলো আসার পর আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এগুলো স্থাপন ও পরিচালনার জন্য ডাক্তার, নার্স ও টেকনিশিয়ানসহ অন্যান্য জনবলের চাহিদা পাঠিয়েছি। তারা আমাদেরকে বলেছে সারা দেশেই জনবল সংকট। তাই কোনো ডাক্তার নার্স ও টেকনিশিয়ান দেয়া সম্ভব না। এগুলো স্থানীয়ভাবে স্থাপন করতে হবে’-আইসিইউ ইউনিট কীভাবে নতুন সংকট তৈরি করেছে, সেটি জানালেন এই চিকিৎসা কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এক জন এনেসথেসিওলজিস্টের জন্য বললে মন্ত্রণালয় আমাদেরকে এক জন এনেসথেসিওলজিস্ট দেয়ার কথা বলেছে। তারও কোনো খবর নেই।’

লোকবল না পেলে কীভাবে চলবে- এমন প্রশ্ন যখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করেছে, তখন তাদেরকে বলা হয় বরিশালের সহযোগিতা নিতে।

সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বরিশাল খবর নিয়েছি। সেখানেও আইসিইউ চালানোর লোক নেই। তারা হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা দিয়ে গুরুতর রোগীদের সেবা দেয়। যেটি আমরা আরও আগ থেকেই পাঁচটি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা দিয়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছি।’

আইসিইউ বসেছে, নেই অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর

বাগেরহাট শেখ রাজিয়া নাসের ২৫০ শয্যা হাসপাতালে তিন শয্যার একটি আইসিইউ ইউনিট উদ্বোধন করা হয় গত ২৩ এপ্রিল। বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় এর ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেয়া এ শয্যা তিনটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়।

তবে প্রশিক্ষিত জনবল ও টেকনিশিয়ানের অভাবে গত ১০ দিনেও আইসিইউ শয্যা গুলো চালু করা যায়নি।

হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেমসহ অক্সিজেন ট্যাংক স্থাপন করা হলেও অক্সিজেনের অভাবে সেটি ফাঁকা পরে রয়েছে।

তবে বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে জরুরি প্রয়োজনে আইসিইউতে রোগীদের সেবার জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, এখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন আছে, হাইফ্লো নেজাল ক্যানুলাসহ চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন সবই আছে।

বর্তমানে আমাদের সব চেয়ে বেশি যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটি হচ্ছে প্রশিক্ষিত জনবল এটা প্ররিচালনা করার জন্য। এ জন্য আমরা দুই জন চিকিৎসক ও পাঁচ জন নার্সকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আগামী ৫ মে লকডাউন উঠে গেলে তাদেরকে প্রশিক্ষনের জন্য খুলনা পাঠানো হবে।

তবে বর্তমানে আমাদের যে এনেশথেশিয়া ডাক্তার রয়েছে তিনি এটি পরিচালনা করতে সক্ষম। প্রয়োজন হলে আমরা এখনই আইসিইউ বেডে রোগীদের চিৎসিকা দিতে পারব।

আইসিইউতে একজন রোগী চিৎকিসা নেয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই আছে। তবে আমাদের ভেনটিলেটর নেই, সেটা চেয়েছি।

এর আগে আমরা মন্ত্রণালয় থেকে ১০টি ভেন্টিলেটর পেয়েছি, যেগুলো মূলত আইসিইউতে ব্যবহার উপযোগী না। এটা অ্যাম্বুলেন্সে ব্যবহার উপযোগী ভেনটিলেটর। আশা করছি ভেন্টিলেটর পেয়ে গেলে আইসিইউ ইউনিটে আর কোন সমস্য থাকবে না।

রাজবাড়ীতে সম্বল আত্মবিশ্বাস

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের দোতলায় ২০ শয্যা করোনা ইউনিটর জন্য তিন শয্যার আইসিইউ ইউনিট বসানো হয়েছে গত ১৯ এপ্রিল। কিন্তু কাউকে সেবা দেয়ার মতো অবকাঠামো নেই।

আইসিইউ আছে, সেবা নেই

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দীপক কুমার বলেন, আমাদের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন এর কাজ চলছে। এটা আগামী মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। তবে আমাদের আইসিইউ বেড চালানোর মতো সম্পূর্ণ দক্ষ নার্স নেই। এটার জন্য আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে চাহিদা হিসেবে চিঠি দিয়েছি।’

হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রেয়েছে ৪১টি। এর মধ্যে শূন্য ২৬টি। এর মধ্যে নতুন ইউনিট সেখানে তৈরি করেছে বাড়তি চাপ।

তার পরেও সিভিল সার্জন ইব্রাহিম টিটোন দাবি করছেন, তারা রোগীদের সেবা দিতে পারবেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের আলাদা কোন জনবল নার্স বা ডাক্তার নেই, তবে যা আছে এইগুলো দিয়ে আমি আইসিইউ চালাতে পারব, এরা আইসিইউ চালাতে পারবে।’

আরও পড়ুন:
ভারতে আইসিইউতে ৫ লাখ, অক্সিজেন সাপোর্টে ৯ লাখ রোগী
আইসিইউর এখন চাহিদা নেই
টাঙ্গাইলে ১০ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন
সারা দেশে ৪৫৯ আইসিইউ শয্যা খালি
দেশে আইসিইউ বেড ফাঁকা ৩২২টি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Khaleda Zia is returning home to say goodbye to the crowd of leaders in Heathrow

দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, বিদায় জানাতে হিথ্রোতে নেতাকর্মীদের ভিড়

দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, বিদায় জানাতে হিথ্রোতে নেতাকর্মীদের ভিড় লন্ডনে চার মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনে চার মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাকে বিদায় জানাতে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দলটির প্রবাসী নেতাকর্মীদের ভিড় করতে দেখা গেছে।

সোমবার (৭ মে) স্থানীয় সময় ২টা ১০ মিনিটে লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসা থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই গাড়ি চালিয়ে তার মাকে বিমানবন্দরে নিয়ে গেছেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিসকর অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘গাড়িতে সামনের আসনে ছেলের পাশে বসেছেন খালেদা জিয়া। দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান, সৈয়দা শার্মিলা রহমান এবং তারেকের মেয়ে জাইমা রহমানও রয়েছেন গাড়িতে। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আমরা রওনা হব। বিকাল ৪টায় আমাদের রওনা হওয়ার কথা।

দোহায় যাত্রাবিরতি করে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের।

এদিকে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’ সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। নেতাকর্মীদের হাজারো ভিড়ের মধ্য দিয়ে তাকে বিমানবন্দর থেকে বাসায় পৌঁছানোর সময় অভ্যর্থনা জানানো হবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইউএনবিকে জানান, ‘তিনি মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করছি।’

খালেদা জিয়ার গাড়িবহর কাকলী রুট ধরে ফিরোজায় পৌঁছাবে। ফখরুল বলেন, ‘নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে তারা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে তাকে শুভেচ্ছা জানাবে।’

তিনি জনগণকে অনুরোধ করেন বিমানবন্দর থেকে কাকলী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে, যাতে রাস্তায় যানজট না হয়। মঙ্গলবার সকালে বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিব, অন্যান্য নেতা ও খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

বিএনপির পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান পর্যন্ত অবস্থান নেবে ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট, এরপর ছাত্রদল লে মেরিডিয়ান থেকে খিলখেত পর্যন্ত, যুবদল খিলখেত থেকে রেডিসন পর্যন্ত।

রেডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত থাকবে দক্ষিণ সিটি ইউনিট, এরপর স্বেচ্ছাসেবক দল স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত, কৃষক দল কবরস্থান থেকে কাকলী পর্যন্ত, শ্রমিক দল কাকলী থেকে বনানী শেরাটন পর্যন্ত অবস্থান নেবে।

বনানী শেরাটন থেকে কিচেন মার্কেট পর্যন্ত থাকবে ওলামা দল, তাঁতি দল, জাসাস ও মৎস্যজীবী দল। মুক্তিযোদ্ধা দল ও অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠন থাকবেন কিচেন মার্কেট থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত, আর মহিলা দল ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা থাকবেন গুলশান অ্যাভিনিউ পর্যন্ত।

বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদেরও রুটের সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিমানবন্দর বা ফিরোজা বাসভবনে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না এবং খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সঙ্গে পায়ে হেঁটে বা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ থাকবে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Italy is interested in taking more staff from Bangladesh to legitimate way Home Advisor

বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে আরও কর্মী নিতে আগ্রহী ইতালি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে আরও কর্মী নিতে আগ্রহী ইতালি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে আরও বেশি হারে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী নিতে আগ্রহী ইতালি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সোমবার (৫ মে) বিকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইতালি ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।

বৈঠকে ইতালির পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে সফররত দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ম্যাথু পিয়ান্তেডোসি।

উপদেষ্টা বলেন, ইতালির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের শ্রমিকরা খুব পরিশ্রমী ও দেশটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। দেশটি নতুন করে বৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিতে আগ্রহী। তবে অন্য দেশের ভিসা নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যাওয়ার প্রবণতাকে তারা সম্পূর্ণরূপে নিরুৎসাহিত করেছে।

তিনি বলেন, ইতালি অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছে ও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি তারা নিরাপত্তা খাতেও সহায়তা বৃদ্ধি করার কথা জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যে যেসকল বাংলাদেশি অবৈধভাবে ইতালিতে গিয়েছেন, তাদের যেন উপযুক্ত প্রক্রিয়ায় বৈধতা দেওয়া হয়- সে বিষয়েও ইতালিকে অনুরোধ করা হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ইতালির পুলিশ মাফিয়া চক্রসহ সংগঠিত ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে পারদর্শী। সেজন্য তারা এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে চায়। তিনি বলেন, বৈঠকে আমরা পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও কোস্টগার্ডের দক্ষতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতে ইতালির সহায়তা কামনা করেছি।

সম্প্রতি এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ ঘটনায় ৫৪ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটানোর চেষ্টা করবে, তাদের কাউকেই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

বৈঠকে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ, অভিবাসন সংক্রান্ত অপরাধ নেটওয়ার্ক দমনে বাংলাদেশের গৃহীত নীতি ও কর্মপন্থা, অপরাধ দমন ও বিচার প্রক্রিয়ায় দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার এবং নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে ইতালির পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো, দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিপ্লোমেটিক অ্যাডভাইজার ম্যাক্রো ভিলানি ও ডেপুটি হেড অভ কেবিনেট সাবিনা মাদারো, ইমিগ্রেশন ও বর্ডার পুলিশের সেন্ট্রাল ডিরেক্টর ক্লডিও গালজেরানো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সচিবালয়ে পৌঁছালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Welcome to Khaleda Zia DMP instruction in the movement of citizens

খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা: নাগরিকদের চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা

খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা: নাগরিকদের চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী ঢাকায় এলে তাকে পথে পথে অভ্যর্থনা দেবেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। এ ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের চলাচলে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, সে জন্য কিছু বিষয় মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সোমবার (৫ মে) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। আগামীকাল মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।

ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জনসাধারণকে গুলশান/বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান না করে ফুটপাতে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আগত জনসাধারণকে রাস্তা থেকে সরিয়ে ফুটপাতে অবস্থান করানোর জন্য প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামীকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গুলশান-বনানী থেকে উত্তরা পর্যন্ত সড়ক যথাসম্ভব পরিহার করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে। বিকল্প রাস্তার মধ্যে রয়েছে:

• আব্দুল্লাপুর কামারপাড়া ধউর ব্রীজ-পঞ্চবটী-মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে গাবতলী হয়ে চলাচল।

• ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার।

• উত্তরা ও মিরপুরে বসবাসকারীদের এয়ারপোর্ট সড়ক ব্যবহার না করে বিকল্প হিসেবে হাউস বিল্ডিং- জমজম টাওয়ার-১২নং সেক্টর খালপাড়-মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর স্টেশন- উত্তরা সেন্টার স্টেশন-মিরপুর ডিওএইচএস হয়ে চলাচল এবং উত্তরা সেন্টার স্টেশন হতে ১৮ নং সেক্টর-পঞ্চবটী হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করতে পারেন।

• গুলশান, বাড্ডা এবং প্রগতি সরণি এলাকার যাত্রীরা কাকলী, গুলশান-২, কামাল আতাতুর্ক সড়কের পরিবর্তে গুলশান-১/পুলিশ প্লাজা-আমতলী-মহাখালী হয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন র‍্যাম্প ব্যবহার করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে এয়ারপোর্ট/উত্তরা যেতে পারবে।

• মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইলগামী যানবাহন মিরপুর-গাবতলী রোড হয়ে চলাচল করতে পারবে।

• এয়ারপোর্ট/৩০০ ফিট রাস্তা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনকে বনানী/কাকলী র‍্যাম্পের পরিবর্তে মহাখালী র‍্যাম্প/এফডিসি র‍্যাম্প ব্যবহার করতে পারবে।

এছাড়া ডিএমপির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ ঢাকা সেনানিবাসের রাস্তা (জিয়া কলোনী/জাহাঙ্গীর গেইট /সৈনিক ক্লাব/স্টাফ রোড) সকাল ৮ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শুধু হালকা যানবাহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। সুতরাং সেনানিবাসের রাস্তা ব্যবহার করতে পারেন।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ সিএনজিচালিত অটোরিক্শা ও মোটরসাইকেল নির্ধারিত টোল পরিশোধপূর্বক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিমি গতিসীমা মেনে ও এক্সপ্রেসওয়ের বাঁ পাশের সেইফ লেন ব্যবহার করে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ওভারস্পিড ও লেন পরিবর্তন করলে আইন প্রয়োগের জন্য পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

বিকল্প হিসেবে ঢাকা-জয়দেবপুর চলাচলকারী ট্রেন ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। রেলওয়ের সব আন্তঃনগর ট্রেন আগামীকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টঙ্গী, এয়ারপোর্ট এবং তেজগাঁও স্টেশনে দুই মিনিটের জন্য থেমে যাত্রী বহনের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামীকাল সকাল থেকৈ দুপুর পর্যন্ত কমলাপুর-টঙ্গী রুটে অতিরিক্ত একটি শাটল ট্রেন পরিচালনা করবে।

হজযাত্রীসহ বিদেশগামীদের এয়ারপোর্টে গমানগমনের ক্ষেত্রে এবং ওই এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদেরকে যথেষ্ট সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। মিরপুর ও উত্তরাবাসীকে বিকল্প হিসেবে মেট্রোরেল ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

কোনো ব্যাগ, লাঠি ইত্যাদি বহন না করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনাকারীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। অভ্যর্থনাকারীরা কোনো যানবাহন নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে যুক্ত হতে পারবেন না।

অভ্যর্থনাকারী ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল নিয়ে কোনোক্রমেই গুলশান/বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান করতে পারবেন না বা মোটরসাইকেলযোগে জনতার মধ্য দিয়ে চলতে পারবেন না। তবে এ রাস্তা দিয়ে (জনসমাগম না হলে) সাধারণ যানের সাথে মোটরসাইকেল চলতে পারবে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The chief adviser to implement the recommendations of the Health Reform Commission

স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দেশের স্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘ দিন থেকে যেসব সমস্যা রয়েছে তা নিরসনে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য তা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট তাদের প্রতিবেদন পেশ করার পর তিনি এই নির্দেশ প্রদান করেন।

স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের এই প্রতিবেদনকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের সমস্যাগুলো বহুদিনের সমস্যা, এর মাধ্যমে আমরা যদি এসব সমস্যার সমাধান করতে পারি তা হবে যুগান্তকারী ঘটনা।’

তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসব সুপারিশ আশু বাস্তবায়নযোগ্য তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের এখনি মনোযোগী হতে হবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ডাক্তারের সংকট, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডাক্তার থাকলেও যেখানে দরকার সেখানে ডাক্তার নেই। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।’

চিকিৎসা ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা ছাড়া সমস্যা নিরসন সম্ভব নয়। চিকিৎসকদের যেখানে পোস্টিং সেখানে থাকাটা নিশ্চিত করতে হবে।’

কমিশন প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে এই কমিশনের সদস্যরা তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার নিকট হস্তান্তর করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অধ্যাপক লিয়াকত আলী, ডা. সায়েবা আক্তার, সাবেক সচিব এম এম রেজা, ডা. আজহারুল ইসলাম, ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি উমায়ের আফিফ।

স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের অন্য দুই সদস্য হলেন ডা: নায়লা জামান খান, ডা: মোজাহেরুল হক।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Chinmay arrested in Chittagong lawyer murder case

চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার

চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার

চট্টগ্রামে আলোচিত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় ইসকনের সাবেক সংগঠক ও বর্তমানে কারাবন্দি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালতের বিচারক এস এম আলাউদ্দীন এই আদেশ দেন। শুনানিকালে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নিরাপত্তা জনিত কারণে আদালতে হাজির না করে কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত করা হয়।

একইসঙ্গে আরো তিনটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেছে পুলিশ। পুলিশের ওপর আক্রমণ, কর্তব্যকাজে বাধা, আদালত প্রাঙ্গনে ত্রাস সৃষ্টি, হামলার অভিযোগের বাকি তিনটি মামলার শুনানি ভার্চুয়ালি আগামীকাল মঙ্গলবার হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এরআগে, গতকাল রোববার চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চিন্ময় দাসকে আলিফ হত্যাসহ চারটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি মামলা আজকে ভার্চুয়াল শুনানি হয়। অন্য তিনটি মঙ্গলবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোট নামে একটি সংগঠনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানোর নির্দেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে ত্রাস সৃষ্টি করে চিন্ময়ের অনুসারীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আদালত এলাকায় আটকে রাখে তারা। একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।

এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে আলিফ হত্যা মামলায় ২১ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার তিন আসামি-চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা আইনজীবী সাইফুলকে তারা নির্মমভাবে হত্যা করেন।

চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে আরো একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাও রয়েছে, যা গত বছরের ৩১ অক্টোবর চান্দগাঁও থানায় বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পতাকা অবমাননা করে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন চিন্ময় ও তার অনুসারীরা। ওই মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেফতার করা হয় তাকে।

এর মধ্যে, গত ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। তবে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার জজ আদালতে জামিনের বিরুদ্ধে আপীল করেছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Bangladesh Judicial Employees Association Association in Feni

ফেনীতে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন কর্মবিরতি পালন

ফেনীতে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন কর্মবিরতি পালন

সারাদেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীগণ নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ০৫ মে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুই ঘণ্টা সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণভাবে কর্মবিরতি পালন করেছেন।

ফেনীতেও বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন, ফেনী শাখার সদস্যগণ দুই দফা দাবিতে আদালতে আঙ্গিনায় সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি পালন করেছেন ।

বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রীম কোর্টের অধীন পৃথক সচিবালয় করণ, অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীগণকে বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদানসহ বিদ্যমান জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের ১ম-৬ষ্ঠ গ্রেডের পরবর্তী ৭ম-১২তম গ্রেডভুক্ত করা এবং বিদ্যমান ব্লকপদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃজনপূর্বক যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দাবিতে তারা এই কর্মবিরতি পালন করেছেন।

সোমবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ৯ টায় ফেনীতে আদালতের নিচ তলায় আয়োজিত দুই ঘণ্টাব্যাপি কর্মবিরতিতে সভাপতিত্ব করেন যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতের সিনিয়র স্ট্রোনোগ্রাফার ও অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ মহসিন।

বেঞ্চ সহকারি মোঃ জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন যুগ্ম জেলা জজ প্রথম কোর্টের সেরেসতাদার ও অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আলতাফ হোসেন, জেলা ও দায়রা জজ ফেনী এর নাজির শাহনাজ বেগম,

স্টোনোগ্রাফার মো: দিদারুল ইসলাম, রেকর্ড কিপার সামছুল কিবরিয়া, স্টোনোগ্রাফার মো: শামছু উদ্দীন,

বেঞ্চ সহকারী আশিকুর রহমান ভূঁইয়া, তুলনা সরকারি মোঃ ইকবাল হোসেন, খোরশেদ আলম ভূঁইয়া, ইসমাইল ভূঁইয়া, আনোয়ারুল আজিম, ইউনুস শরীফ, মোঃ: জহির উদ্দিন মজুমদার, হারিস মাহমুদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন, ফেনী শাখা কর্মকর্তারা জানায়, এসব দাবী উপস্থাপন করে গত ০৪ মে তারিখের মধ্যে উক্ত দাবী বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে আনা সত্বেও এসোসিয়েশনের ন্যায্য দাবী বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী হিসেবে এই কর্মবিরতি পালন করছেন।

বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন ফেনী শাখার কর্মকর্তারা আরো বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক হয়। বিচার বিভাগ পৃথক হওয়ার পর শুধুমাত্র মাননীয় বিচারকগণের জন্য ৬টি গ্রেড রেখে পৃথক পে-স্কেলসহ নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন করা হলেও সহায়ক কর্মচারীগণকে উক্ত পে-স্কেলের আওতাভুক্ত করা হয়নি। মাননীয় বিচারকগণের সাথে আদালতের সহায়ক কর্মচারীগণ একই দপ্তরে কাজ করা সত্বেও জুডিসিয়াল সার্ভিস পে-স্কেলের আলোকে মাননীয় বিচারকগণের বেতন-ভাতাদি প্রদেয় হলেও সহায়ক কর্মচারীগণ জনপ্রশাসনের আলোকে বেতন-ভাতাদি পেয়ে থাকেন। মাননীয় বিচারকগণের জন্য বিচারিক ভাতা, চৌকি ভাতা, ডিসেম্বর মাসে দেওয়ানি আদালতের অবকাশকালীন (ডিসেম্বর মাস) দায়িত্ব ভাতা'সহ ফৌজদারি আদালতে দায়িত্ব পালনের জন্য এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অবকাশ ভাতা প্রদানের বিধান থাকলেও বিচার সহায়ক কর্মচারীগণকে অনুরূপ কোনো ভাতা প্রদান করা হয়না। এক কথায় বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের পর মাননীয় বিচারকগণের জন্য কিছু সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হলেও সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত করা হয়েছে সহায়ক কর্মচারীগণকে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Election time scheduling is internal subject of Bangladesh EU Ambassador

নির্বাচনের সময় নির্ধারণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: ইইউ রাষ্ট্রদূত

নির্বাচনের সময় নির্ধারণ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: ইইউ রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে সংস্কারমূলক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন, ‘নির্বাচন কবে হবে—সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া বাংলাদেশের নিজস্ব বিষয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের চাপ নেই কোনো নির্দিষ্ট তারিখে নির্বাচন আয়োজনের।’

সোমবার (৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘নির্বাচনের সময় নির্ধারণ বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত। আমরা এই রাজনৈতিক রূপান্তরকে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পথে অগ্রগতি হিসেবে দেখি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো নির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে মতামত নেই।‘

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে ডিক্যাব সভাপতি একেএম মঈনউদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুনও বক্তব্য রাখেন।

মিলার বলেন, ‘আমরা অপেক্ষা করছি, রাজনৈতিক দলগুলো এবং অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুস্পষ্ট ও অগ্রাধিকারভিত্তিক সংস্কার তালিকায় একমত হবে। আমাদের কাছে সেই অভিজ্ঞতা আছে, আর্থিক সহায়তা আছে, এবং আছে রাজনৈতিক সদিচ্ছা।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস সম্প্রতি বলেছেন, ‘মানুষ এখনো মনে করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই সঠিক উত্তর। তবে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে দেশের ইতিহাসে সর্বোত্তম নির্বাচন আয়োজন করতেই হবে।’

রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘এই সরকারকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া উচিত যেন তারা প্রতিশ্রুত সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে।’

জুলাই-আগস্টের সহিংসতা প্রসঙ্গে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রায় এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন এবং হাজার হাজার আহত হয়েছেন।

এসব বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের কাজকে আমরা সমর্থন করি। এসব ভয়াবহ অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার যেন যথাযথভাবে প্রক্রিয়ায় সুরক্ষিত হয় - সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

নারীর অধিকার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘পুরুষ ও নারীর সমতা ইউরোপের মৌলিক মূল্যবোধ। নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে পর্যালোচনা করা উচিত। আমরা চাই, রাজনৈতিক দলগুলো এই সুপারিশগুলো বাস্তবে রূপ দিক।’

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এক প্রশ্নে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশ অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু সীমান্তের ওপারে এখনো সহিংসতা চলছে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি সংকট।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছেছি—রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া অবশ্যই নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছামূলক হতে হবে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ২০২৫ সালে ৩২ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ইইউ এবং এর সদস্য দেশগুলো মিলে প্রায় ১ বিলিয়ন ইউরো সহায়তা দিয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে