× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
যুক্তরাজ্যে তরুণরা পাবেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিকল্প টিকা
google_news print-icon

যুক্তরাজ্যে তরুণরা পাবেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিকল্প টিকা

যুক্তরাজ্যে-তরুণরা-পাবেন-অ্যাস্ট্রাজেনেকার-বিকল্প-টিকা
যুক্তরাজ্যে ৪০ বছরের কম বয়সীরা পাবেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিকল্প টিকা। ছবি: সংগৃহীত
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন এদের মধ্যে অন্তত ২৪২ জনের রক্ত জমাট বাঁধার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। এদের বড় অংশই তরুণ যাদের বয়স ৪০ এর নীচে।

যুক্তরাজ্যে চল্লিশ বছরের কম বয়সীদের মাঝে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এদের কারো কারো রক্ত জমাট বাঁধার খবর পাওয়া গেছে।

দেশটির ওষুধ নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থার তথ্য মতে, সেখানে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অন্তত: দুই কোটি ৮৫ লাখ ডোজ দেয়া হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মধ্যে অন্তত ২৪২ জনের রক্ত জমাট বাঁধার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৯ জনের। এদের বড় অংশই তরুণ যাদের বয়স ৪০ এর নীচে।

দেশটির টিকা ও রোগ প্রতিরোধ কমিটির (জেসিবিআই) শীর্ষ কর্মকর্তা অধ্যাপক ওয়ে সেন লিম বলেন, ‘তরুণ যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৯ এর মধ্যে তাদের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা না দেয়া নিরাপদ হবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার বিকল্প না পাওয়া পর্যন্ত তাদের টিকা না নিলেও চলবে। দেশটিতে কোভিড পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।’

তিনি জানান, এই পরিস্থিতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিকল্প হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও মডার্নার টিকা।

দেশটির ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহৃত সামগ্রীর নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এমএইচআরএ) প্রধান নির্বাহী ডা. জুন রেইন জানান, অ্যাস্ট্রাজেনেকের টিকা ব্যবহারের ঝুঁকি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।

অনুর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সীদের জন্য বিকল্প টিকা

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা সম্প্রতি এই টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্ত জমাট বাঁধার বিষয়টি উল্লেখ করে। তবে টিকা থেকে যে সুরক্ষা পাওয়া যাবে তা ঝুঁকির চেয়ে অনেক বেশি। ইউরোপের কিছু দেশ এরই মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ৩০ বছরের কম বয়সীদের জন্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিকল্প টিকার ব্যবস্থা করা হবে বলে গত ৭ এপ্রিল জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে বেশ কিছু দিন থেকেই রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। ইউরোপের বহু দেশ এরই মধ্যে এই টিকার ব্যবহার নিষিদ্ধ করলেও বিষয়টি নিয়ে এত দিন নীরব ছিল যুক্তরাজ্য।

যুক্তরাজ্যের এমএইচআরএর পর্যালোচনায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে মোট দুই কোটি মানুষ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন। মার্চের শেষ পর্যন্ত টিকা নেয়ার পর ৭৯ জনের মধ্যে বিরল রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা দেয়। এদের মধ্যে ১৯ জন মারা গেছে।

সংস্থাটি জানায়, তার মানে এই নয় যে, টিকার কারণেই রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটছে। তবে দুটির মধ্যে সংযোগ ক্রমেই দৃঢ় হচ্ছে।

এমএইচআরএ’র প্রধান নির্বাহী ডা. জুন রেইনে বলেন, এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অত্যন্ত বিরল। টিকার কারণেই রক্ত জমাট বাঁধছে কিনা তা নিয়ে গবেষণা চলছে। ঝুঁকি ও সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য করতে গেলে দেখা যাবে পাল্লা দ্বিতীয়টির দিকে ঝুঁকে আছে।

তবে তিনি আরও বলেন, জনগণের সুরক্ষাই আমাদের কাছে সর্বাধিক অগ্রধিকার পাবে।

এমএইচআরএ’র এই পর্যালোচনার পর যুক্তরাজ্য সরকারের স্বতন্ত্র টিকা বিষয়ক উপদেষ্টা সংস্থা জয়েন্ট কমিটি জেসিভিআইয়ের তথ্য মতে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের জন্য বিকল্প টিকার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেয়।

এমএইচআরএ জানিয়েছে, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন তারা দ্বিতীয় ডোজের টিকাও নির্ভয়ে নিতে পারেন। তবে যাদের রক্ত জমাট বাঁধার উপসর্গ দেখা দিয়েছিল তারা টিকা নেয়া থেকে বিরত থাকবেন।

আরও পড়ুন:
চীনের টিকা আসছে বুধবার
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২ কোটি টিকা চায় বাংলাদেশ
সম্পূরক পুষ্টিতে টিকার কার্যকারিতা বাড়ে না
টিকার দ্বিতীয় ডোজ: নেত্রকোণায় ঘাটতি প্রায় ১৮ হাজার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Thousands of people protest against Trump across the United States

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হাজারও মানুষের বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হাজারও মানুষের বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে হাজারও জনতা। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। মে দিবসে এই দিনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভে অংশ নিতে দেশটির বিভিন্ন শহরে জড়ো হন হাজারও মানুষ। সে সময় তারা ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিমালা ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করার প্রতিবাদ জানান। এদিকে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, ফ্রান্স থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত মে দিবসের র‍্যালিতে ট্রাম্পবিরোধী বার্তা দেখা গেছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের প্রধান আয়োজক ছিল ‘৫০৫০১’ নামের একটি সংগঠন। ‘বামপন্থি’ কিছু গোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত এই সংগঠনের নামের ব্যাখ্যা হলো ৫০ অঙ্গরাজ্যে ৫০টি বিক্ষোভ ও একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। এরা আগেও বেশ কয়েকবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল। সংগঠনটি জানায়, মে দিবসের এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের এক হাজারের বেশি জায়গায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিউইয়র্ক, শিকাগো ও লস অ্যাঞ্জেলেসসহ দেশের বড় বড় শহরে হাজারও মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। ছোট শহরগুলোর রাস্তাতেও বিক্ষোভকারীরা সমবেত হন।

ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শেন রিডল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা মনে করি, অতিধনীরা দেশকে দখল করে নিচ্ছে এবং শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে দমন করছে। ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি শিক্ষা ইউনিয়নে কর্মরত রিডল আরও বলেন, আমাদের নাগরিকরা যদি এই প্রেসিডেন্ট ও তার ধনকুবের মিত্রদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে না পারে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারে পরিণত হতে পারে।

ওয়াশিংটনের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত বিক্ষোভে কয়েকশ মানুষ অংশ নেন। নিউইয়র্কেও একই চিত্র দেখা গেছে। লস অ্যাঞ্জেলেসে কয়েক হাজার মানুষ সমবেত হয়েছিলেন বলে ঘটনাস্থলে থাকা এএফপির আলোকচিত্রীরা জানিয়েছেন। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বার্নার্ড স্যাম্পসন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করে বলেন, এই অভিবাসীরাই তোমার রেস্তোরাঁয় কাজ করে, তোমার ঘরবাড়ি নির্মাণ করে।

এ বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসার পর থেকে ট্রাম্প ও তার বিলিয়নিয়ার মিত্র ইলন মাস্ক দুই লাখের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন। তা ছাড়া প্রশাসন অনেক বিদেশি শিক্ষার্থীকে আটক করেছে এবং জলবায়ু উদ্যোগ ও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফেডারেল তহবিল বন্ধের হুমকি দিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব নীতির নিন্দা জানিয়েছে।

মাইক ওয়াল্টজকে অব্যাহতি দিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে মাইক ওয়াল্টজকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তী সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘মাইক ওয়াল্টজকে জাতিসংঘে তার দেশের পরবর্তী দূত হিসেবে মনোনীত করা হবে। আমাদের জাতির স্বার্থকে সবার ওপরে রাখতে তিনি (ওয়াল্টজ) কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আমি জানি তিনি তার নতুন ভূমিকায়ও (জাতিসংঘে মার্কিন দূত হিসেবে) এভাবেই কাজ করে যাবেন।’

প্রেসিডেন্ট এদিন সকালেই ওয়াল্টজকে এই পরিবর্তন বিষয়ে অবহিত করেন, পরে সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এমনটি জানান হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা। গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনান্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রশাসনে মাইক ওয়াল্টজের এই অপসারণ সবচেয়ে বড়সড়ো রদবদলের ঘটনা।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর নতুন পদে আসীন হওয়ার খবর জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে পররাষ্ট্র দপ্তরেও তিনি (রুবিও) তার শক্তিশালী নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন।’

মার্কো রুবিওর আগে একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার। তিনি রিপাবলিকান সরকারের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।

এদিকে অব্যাহতি পাওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ওয়াল্টজ লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও আমাদের মহান জাতির জন্য আমার কাজ অব্যাহত রাখতে পারব, এ কারণে আমি গভীরভাবে সম্মানিত।’

গত মার্চে সামরিক হামলা সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য তৈরি একটি মেসেজিং গ্রুপে অসাবধানতাবশত একটি মার্কিন ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদককে যুক্ত করার পর থেকে ওয়াল্টজের ওপর চাপ বাড়তে শুরু করে। তথ্য ফাঁস নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে প্রভাব হারাতে থাকেন তিনি। যে গ্রুপটিতে ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছিলেন।

মার্কিন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ‘উদ্বেগজনক অবনতি’

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে মার্কিন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ‘উদ্বেগজনক অবনতি’ ঘটেছে বলে সতর্ক করেছে গণমাধ্যম অধিকার সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডার্স’ (আরএসএফ)। একইসঙ্গে বিশ্বব্যাপী স্বাধীন সাংবাদিকদের জন্য পরিস্থিতিকে ‘অভূতপূর্বরকম’ কঠিন বলে আখ্যা দিয়েছে সংস্থাটি।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, প্যারিসভিত্তিক সংগঠনটি গত ২৩ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণ করে আসছে। তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়, সূচকটি এখন ইতিহাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে। বছরব্যাপী বৈশ্বিক গণমাধ্যম পরিস্থিতির এই পর্যালোচনায় বলা হয়, ‘‘সূচকের ইতিহাসে এই প্রথম বিশ্বের অর্ধেক দেশে সাংবাদিকতা চর্চার পরিস্থিতি ‘খারাপ’ এবং প্রতি চারটির মধ্যে মাত্র একটিতে তা ‘সন্তোষজনক’।’’

আরএসএফের সম্পাদকীয় পরিচালক অ্যান বোকান্দে বলেন, সাংবাদিকতা-নির্ভর সত্যভিত্তিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক চাপে দুর্বল হয়ে পড়েছে। অর্থাভাবে অনেক স্বাধীন সংবাদমাধ্যম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে অনলাইন বিজ্ঞাপনে ব্যয় বেড়ে ২৪৭.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছালেও এর বড় অংশই চলে যাচ্ছে ফেসবুক, গুগল ও অ্যামাজনের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টদের পকেটে- গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কাছে নয়।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Close Aeronoma India Pakistan under pressure

বন্ধ আকাশসীমা : চাপে ভারত-পাকিস্তান

বন্ধ আকাশসীমা : চাপে ভারত-পাকিস্তান ছবি: সংগৃহীত

ভারত-পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করায় এর চাপ পড়বে দুই দেশের ওপরই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এমন সিদ্ধান্তে উভয় দেশের ফ্লাইট পরিচালনায় জ্বালানি ব্যয়, ট্রানজিট খরচ ও অপারেটিং খরচ বহুগুণ বেড়ে যাবে।

ওয়াশিংটন থেকে সিনহুয়া আজ এই খবর জানায়।

গত ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে টানাপোরেন চলছে। ওই হামলায় পাকিস্তানের মদদের অভিযোগ আনে ভারত। আর তা অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যেও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।

পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যেই ভারতের বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোর জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। এই পদক্ষেপের এক সপ্তাহের মাথায় পাকিস্তানের জন্যও একই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত।

সম্প্রতি ভারত সরকারের এক নোটিশে বলা হয়েছে, ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত পাকিস্তানি বিমানের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। কিন্তু পাকিস্তান-ভারতের পাল্টাপাল্টি আকাশসীমা বন্ধে কার কী ক্ষতি হবে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মাঝে।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়ার কারণে শত শত ভারতীয় ফ্লাইট চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে ভারতীয় এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পরিচালনায় জ্বালানি এবং ট্রানজিট খরচ উভয়ই বেড়ে যাবে। সেই সঙ্গে লম্বা পথের ফ্লাইটগুলোকে জ্বালানি নিতে মাঝপথে থামতে হবে, যা ফ্লাইট পরিচালনার খরচ আরো বাড়িয়ে দেবে।

এই অবস্থা চলতে থাকলে, ভারতীয় এয়ারলাইন্সগুলোর প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৭৭ কোটি রুপি বাড়তি খরচ করতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতি মাসে তা ছাড়াতে পারে ৩০৭ কোটি রুপি। আর ফ্লাইট প্রতি অতিরিক্ত খরচ হতে পারে ১ হাজার ৩৫০ থেকে ৩ হাজার ডলার। অবশ্য এমন সিদ্ধান্তে পাকিস্তানের নিজের হাতছাড়া হচ্ছে ওভারফ্লাইট ফি।

একইভাবে ফ্লাইট পরিচালনায় বাড়তি সময় ও অপারেটিং খরচ বাড়ায় ভুগবে পাকিস্তানও। কারণ, একটি এয়ারলাইন্সের মোট খরচের প্রায় ৩০ শতাংশ ব্যয় করতে হয় বিমানের জ্বালানিতে। তবে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ভারতের তুলনায় পাকিস্তানের বিমান শিল্পে কম পড়বে। কারণ, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, পিআইএ শুধুমাত্র কুয়ালালামপুর রুটে ভারতীয় আকাশসীমা ব্যবহার করে। যেখানে প্রতিদিন ২শ’ থেকে ৩শ’ ভারতীয় ফ্লাইট পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
United States interested in negotiating with China Chinese state media

চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম

চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ছবি: সংগৃহীত

চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর শুল্ক নীতির ফলে আন্তর্জাতিক বাজার এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে যে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে, তা প্রশমনে ওয়াশিংটন আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায় বলে জানা গেছে।

বেইজিং থেকে এএফপি জানায়, চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা সিসিটিভির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘ইউয়ুয়ান তানতিয়ান’ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র "বহুমুখী চ্যানেলের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে" চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, 'আলোচনার দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তরাষ্ট্রই এখন বেশি উদ্বিগ্ন পক্ষ। ট্রাম্প প্রশাসন বহুমুখী চাপের মুখে রয়েছে।'

চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে, যার প্রতিক্রিয়ায় বেইজিংও বেশ কিছু মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।

যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, চীন আলোচনার জন্য তার কাছে পৌঁছেছে—চীন এই দাবি জোরালোভাবে অস্বীকার করে আসছে।

তবে এবার চীনা সূত্রভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমে বলা হলো, যুক্তরাষ্ট্র নিজেই উদ্যোগ নিচ্ছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বহুবার যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ন্যায়সঙ্গত, সম্মানজনক ও পারস্পরিক সুবিধাজনক’ আলোচনার আহ্বান জানালেও, এক ভিডিও বার্তায় সম্প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ‘লড়াই দরকার হলে শেষ পর্যন্ত লড়বে, কখনো নতি স্বীকার করব না।’

চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে এই খবর এমন এক সময় এলো, যখন মার্কিন অর্থনীতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে সংকুচিত হয়েছে এবং ওয়াশিংটন থেকে বেইজিং পর্যন্ত উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
The Liberal Party Joy in the Canadian elections

কানাডার নির্বাচনে লিবারেল পার্টির জয়

ট্রাম্পের কাছে নতি স্বীকার না করার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রী কার্নির
কানাডার নির্বাচনে লিবারেল পার্টির জয় ছবি: সংগৃহীত

কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে জয় পেয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি। কানাডার ব্রডকাস্টিং করপোরেশন এমনটিই জানিয়েছে। দেশটির অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির কারণে সোমবারের নির্বাচনের ফলাফলে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে।

গতকাল মঙ্গলবার জয় ঘোষণার পরই কার্নি বলেছেন, তার দেশ ‘কখনো’ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নতি স্বীকার করবে না।

বিজয়ী ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন কার্নি। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প আমাদের (কানাডা) ‘ভাঙার’ চেষ্টা করছেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দখলে নিয়ে নিতে পারে। তবে এমনটি কখনোই হবে না। আমি কয়েক মাস ধরেই এ বিষয়ে সতর্ক করে আসছি যে, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ভূমি, সম্পদ, আমাদের পানি, আমাদের দেশ নিয়ে নিতে চায়। এগুলো কেবল নিষ্ক্রিয় কোনো হুমকি নয়।’

‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার সংহতিসাধনের যে পুরোনো সম্পর্ক ছিল তাও এখন শেষ’, উপস্থিত জনতার উদ্দেশে ভাষণে বলেন তিনি। একে তিনি এক ট্র্যাজেডি বলে বর্ণনা করেন।

বিভক্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিয়ে কার্নি বলেন, যেসব মানুষ কানাডাকে নিজেদের বাড়ি মনে করেন, তাদের সবার নেতা হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসঘাতকতায় কানাডা বিস্মিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন একে অপরের যত্ন নিতে হবে।’

এদিকে নির্বাচনের দিন কানাডার নাগরিকদের নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে উপহাস করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, তিনি নিজেই ব্যালটে আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য হওয়া উচিৎ কানাডাকে। যুক্তরাষ্ট্র ভুলবশত কানাডাকে ভর্তুকি দেয় বলেও দাবি করেন তিনি। পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘কানাডা রাজ্য না হওয়াটার কোনো মানে নেই।’

চলতি বছরের শুরুতে দেশটিতে আবাসন খরচ বৃদ্ধি ও ক্রমবর্ধমান অভিবাসনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের পর লিবারেলদের হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু দেশটির সার্বভৌমত্ব ও অর্থনীতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হুমকিতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে নাগরিকরা। এর ফলে তাদের মাঝে এক ধরনের জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠে। এর ফলেই লিবারেলদের পতনমুখী অবস্থার অবসান হয়—যা দলটিকে চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছে।

নির্বাচনের আগে ভ্যাঙ্কুবারে প্রাণঘাতী গাড়ির ধাক্কায় হতাহতের পর নির্বাচনী প্রচারণা কয়েক ঘণ্টা স্থগিত রাখা হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সম্পৃক্ততাকে উড়িয়ে দিয়ে জড়িত স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। আটক ব্যক্তি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে জানায় পুলিশ।

বেশ কিছুদিন ধরে কানাডা জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্কারোপের হুমকি ও উত্তর আমেরিকার গাড়ি নির্মাতাদের কারখানা কানাডা থেকে সরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা দেশটির অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এতে অর্থনীতি ক্ষতির মুখে পড়ে।

কার্নির দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন কিনা, নাকি তাকে জোট সরকার গঠনের পথে হাঁটতে হবে সেটি এখনও দেখার বাকি।

কানাডায় হাউস অব কমন্সের মোট আসনসংখ্যা ৩৪৩। দেশটির নির্বাচনে কোনও দলকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১৭২ আসনে জিততে হয়। লিবারেল পার্টি ১৬০টির বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। তবে তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

অন্যদিকে, প্রতিপক্ষ কনজারভেটিভ পার্টি পাচ্ছে অন্তত ১৪৭ টি আসন। ইতোমধ্যেই পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েল পয়েলিভার। তিনি বলেন, ‘কার্নি একটি সূক্ষ্ম ব্যবধানের সংখ্যালঘু সরকার গড়ার জন্য যথেষ্ট আসন পেয়েছেন।’

কানাডায় ভোটাররা সরাসরি তাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেন না। ভোটাররা ৩৪৩টি নির্বাচনী জেলায় কেবল হাউস অ কমন্সে তাদের স্থানীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করেন।

হাউস অব কমন্সে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, সেই দলের নেতা সরকর গঠন করবে এবং তিনিই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

তবে যদি কোনো দলই প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসনে জয়লাভ করতে না পারেন, তাহলে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া দল বিরোধী অন্য দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করবে। তবে বিরল ঘটনা হলো— দুই বা ততোধিক দল আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি করে জোট সরকার গঠন করতে পারে।

লিবারেল দলের কার্নি ও কনজারভেটি দলের পোইলিভর উভয়ই বলেছেন, নির্বাচিত হলে তারা কানাডা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয় পুনর্বিবেচনা করবেন—যাতে উভয় দেশের অর্থনীতির অনিশ্চয়তা কেটে যায়।

যুক্তরাজ্যের নাগরিক নন এমন প্রথম ব্যক্তি হিসেবে কার্নির ব্যাংক অব ইংল্যান্ড পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর আগে তিনি কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা করেছেন।

নির্বাচনের দিন কানাডার রেকর্ড ৭৩ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন।

মন্তব্য

ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী

ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান সেনাবাহিনী

কাশ্মীর ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখা(এলওসি) বরাবর আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় ভারতীয় একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ভিম্বর জেলার মানাওয়ারে মনুষ্যবিহীন যানটি ভূপাতিত করা হয়। মূলত, ড্রোনটি ভারতীয় বাহিনীর গোয়েন্দা নজরদারির কাজে নিয়োজিত ছিল।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে মনুষ্যবিহীন ড্রোনটিকে ভূপাতিত করে।

এতে পাকিস্তানের কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরীক্ষার জন্য যানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।

সম্প্রতি পারমানবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের উত্তেজনা চরমে উঠেছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বার বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘণের ঘটনা ঘটে ও আকাশপথে নজরদারি বাড়িয়েছে দুই দেশ।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Pakistans preparing to tackle Indias invasion

ভারতের আক্রমণ মোকাবেলায় পাকিস্তানের প্রস্তুতি

ভারতের আক্রমণ মোকাবেলায় পাকিস্তানের প্রস্তুতি

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর ভয়াবহ হামলার ঘটনার পর পাকিস্তানে ভারতের ‘সামরিক অনুপ্রবেশ’ আসন্ন বলে গতকাল সোমবার মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ।

কাশ্মীরের পহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হন এবং এতে ভারতজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও ওঠে।

ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান ২২ এপ্রিল বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই হামলায় মদদ দিচ্ছে। যদিও কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ইসলামাবাদে তার কার্যালয়ে ‘জিও নিউজ’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমরা আমাদের বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করেছি। কারণ, ভারতের আক্রমণ এখন আসন্ন। এমন পরিস্থিতিতে কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হতো, তাই সেই সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়েছে।

আসিফ বলেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতীয় আক্রমণের আশঙ্কা সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করেছে। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বা বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।

পাকিস্তান সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘অস্তিত্বের জন্য সরাসরি হুমকি’ থাকলেই কেবল পাকিস্তান তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার ব্যবহার করবে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Indo Pakistan tension Pageshkians phone calls with Modi and Sharif

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: মোদী ও শরীফের সাথে পেজেশকিয়ানের ফোনালাপ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: মোদী ও শরীফের সাথে পেজেশকিয়ানের ফোনালাপ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। ছবি: সংগৃহীত

ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভিসা নিয়ে পাকিস্তান ভ্রমণকারী কমপক্ষে ৩৩৫ জন ভারতীয় নাগরিককে বহিষ্কার করেছে ইসলামাবাদ সরকার।

ভারত সরকার এই ঘোষণা দিয়েছে। ‘ইরানা জানায়’ মঙ্গলবার রাতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর শহর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পেহেলগামের পর্যটন এলাকায় বন্দুকধারীরা পর্যটকদের ওপর গুলি চালায়। ওই হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়। ভারতীয় কর্মকর্তারা ঘটনাটিকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ভারত ওই হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার অভিযোগ করলেও ইসলামাবাদ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ হামলার বিস্তারিত তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।

হামলার পর ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা, সীমান্ত বন্ধ করাসহ আরো অনেক কিছু।

অপরদিকে, ভারতের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও একটি কড়া বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন দুই দেশের মধ্যে অভূতপূর্ব উত্তেজনার পরিণতিতে নতুন করে আঞ্চলিক সংঘাতের সূচনা হতে পারে।

উল্লেখ্য, বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনী টানা তৃতীয় রাতে গুলি বিনিময় করেছে। পেহেলগাম সন্ত্রাসী ঘটনার কারণে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে।

এদিকে,শনিবার ভারত থেকে কমপক্ষে ৭৫ জন পাকিস্তানি নাগরিক তাদের দেশে ফিরেছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে শনিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং ভুল বোঝাবুঝি নিরসনে তার প্রস্তুতির কথা ব্যক্ত করেছেন।

ফোনালাপে তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ঘটনাবলি মোকাবেলায় বিশেষ করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর আর্থিক ও অস্ত্র অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য বৃহত্তর আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এ অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’

টেলিফোন সংলাপে শাহবাজ শরীফ যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদের শিকার এবং এই অশুভ ঘটনার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে লড়াই করার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তারা ভালোভাবেই জানে। আমরা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি এবং পাকিস্তানি জাতির কল্যাণকে উন্নত করতে চাই। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের মতো আমরা এ অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং স্থায়ী নিরাপত্তার ওপর জোর দিচ্ছি।

শনিবার সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে টেলিফোনে আলাপকালে ইরানের প্রেসিডেন্ট ভারতের পেহেলগামে সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে ভারত সরকার ও জনগণের প্রতি ওই ঘটনার জন্য দুঃখ ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা এবং এই অভিন্ন হুমকির বিরুদ্ধে সংহতির প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।

নরেন্দ্র মোদীও পেহেলগাম সন্ত্রাসী ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে এবং সন্ত্রাসবাদের সাথে ইরানি জাতির তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে বলেন, তার বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে ইরান অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে ভারতীয় জনগণের অনুভূতি ও কষ্ট ভালোভাবে বুঝতে পারে। মোদি বলেন আপনার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আমরা সম্পূর্ণ একমত যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ব্যাপক ঐক্য এবং সহযোগিতা প্রয়োজন।

মন্তব্য

p
উপরে