গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৩৫৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রোববার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৫৯ জনের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়ায় দেশে মোট আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৩।
এর মধ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৫৭৯ জনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৪২০টি ল্যাবে ১৪ হাজার ১৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। সার্বিক শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৬৫৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৮ জন। সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ২১ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৪৪ জন, নারী ২৫ জন। মৃতদের মধ্যে দুই জন শিশুও রয়েছে। বাকিদের বয়স বিশোর্ধ্ব দুই, ত্রিশোর্ধ্ব তিন, চল্লিশোর্ধ্ব সাত, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১১ ও ষাটোর্ধ্ব ৪৪ জন।
বিভাগ অনুযায়ী, ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের; রাজশাহী, সিলেট ও ময়মনসিংহে একজন করে, খুলনায় পাঁচ, বরিশালে সাত ও রংপুরে দুইজন মারা গেছেন।
দেশে করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি প্রাদুর্ভাব ঘটে গত এপ্রিলে। মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে ভয়াবহ মাস ছিল এপ্রিল।
এই মাসে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ২ হাজার ৪০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিনে মারা গেছেন ৮০ জন। এই মাসে ১ লাখ ৪৭ হাজার জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে।
আগে এক মাসে সর্বাধিক রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের জুন মাসে ৯৮ হাজার ৩০৩ জন। এর আগে এক মাসে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছিল গত বছরের জুলাই মাসে, সেই সংখ্যাটি এপ্রিলের সংখ্যার প্রায় অর্ধেক।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।
আরও পড়ুন:জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হাকিমপুর কৈজুরি বেগম নুরজাহান রিয়াজ (বিএনআর) উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) গোলাম রসুল দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও ইএফটি’র মাধ্যমে নিয়মিত সরকারী প্রদত্ত বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন।
অথচ গোলাম রসুল একটি হত্যা মামলার আসামি থাকায় গত ৮ মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানা গেছে। বিনা ছুটিতে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় কর্তৃপক্ষ এই শিক্ষককে বার বার নোটিশ দিলেও কোন সাড়া মেলেনি তার। একারণে তার অনুপস্থিতিতে বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষা বিষয়ে পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে সহকারী শিক্ষক গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে গোলাম রসুলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রুবাইয়াত আফরিন বলে, কৃষি শিক্ষক ৮ মাস থেকে বিদ্যালয়ে আসে না। মাঝে মধ্যে প্রধান শিক্ষক ক্লাস নিলেও অনেক ক্লাশ হয় না। এ কারণে আমাদের কৃষি শিক্ষা বিষয়ে পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে।
হাকিমপুর কৈজুরি বেগম নুরজাহান রিয়াজ (বিএনআর) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি) গোলাম রসুল দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে আমরা বিভিন্ন ভাবে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাইনি। সে কারণে বিধি মোতাবেক তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়। সেখানে জবাব না পাওয়াই আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে অবহিত করলে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটি তদন্ত পূর্বক তাহার বেতন ভাতা বন্ধের সুপারিশ করেন। পরবর্তীতে তদন্তের আলোকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করলে বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করে তিনিও তার বেতন বন্ধের সুপারিশ করেন। বর্তমানে ইএফটি'র মাধ্যমে তাকে প্রদত্ত বেতন ভাতা বন্ধের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন পাঠানো হয়েছে।
বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নারী ও শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। শনিবার (২৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৭টার দিকে নদীর পৃথক স্থান থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সদরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহাগ রানা জানান, উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩ বছরের এক শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ। তাদের পরিচয় এখনও শনাক্ত হয়নি। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি সোহাগ রানা আরও বলেন, প্রথমে কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ কোল্ড স্টোরেজের কাছ থেকে ভাসমান অবস্থায় ৩০ বছরের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় কালো রঙের বোরকা পেঁচানো ছিল এবং পরনে ছিল গোলাপি রঙের সেলোয়ার-কামিজ। কিছুক্ষণ পর একই স্থান থেকে ওড়না দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় ৩ বছরের এক ছেলে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে, কেরানীগঞ্জের বরিশুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর মো. মোক্তার হোসেন জানান, রাত সাড়ে ৭টার দিকে জিনজিরা ইউনিয়নের মাদারীপুর জামে মসজিদের কাছ থেকে আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে একজন পুরুষ (৪০) ও একজন নারী (৩০)। পুরুষের পরনে ছিল কালো প্যান্ট ও চেক ফুল শার্ট এবং নারীর পরনে ছিল ছাই রঙের গেঞ্জি ও লাল সেলোয়ার। তাদের শরীরে আঘাতের সামান্য চিহ্ন পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আকতার হোসেন জানান, মীরেরবাগ এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ দুটি মা-ছেলের বলে ধারণা করা হচ্ছে। অপরদিকে জিনজিরা এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহ দুটি একজন নারী ও একজন পুরুষের।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মরদেহগুলোর পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে এবং মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
শেরপুর জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেলা ১২ টায় জুলাই মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতেই পূর্ববর্তী মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সভায় ক্রমান্বয়ে জেলার বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং কার্যক্রম জোরদার, জেলার মুলতবি মামলা, গ্রেফতারি পরোয়ানা নিষ্পত্তি, স্পর্শকাতর মামলা সমূহের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়।
সভায় পুলিশ সুপার তাঁর বক্তব্যে জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সামগ্রিক বিষয়াদি নিয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি,সন্ত্রাস দমন, মাদক উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিট পুলিশিং কার্যক্রম, গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল, স্পর্শকাতর মামলা সমূহের অগ্রগতি, জেলার গোয়েন্দা কার্যক্রম ও নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন এবং জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও সততার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় পুলিশ সুপার জুলাই মাসে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন এবং চৌকস কার্য সম্পাদনের জন্য জেলা পুলিশের ০৬ জন বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুরষ্কার প্রদান করেন।
সভায় শেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হন নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোহেল রানা, শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে নির্বাচিত হন শেরপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খান, শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে নির্বাচিত হন নালিতাবাড়ী থানার এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ নুরুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসেবে নির্বাচিত হন নকলা থানার এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ হারুন অর রশিদ, শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক অফিসার নির্বাচিত হন টিএসআই মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোবাইল উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হন নালিতাবাড়ী থানার এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ উমর ফারুক।
সভায় শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শাহ শিবলী সাদিক, সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) আফসান-আল-আলম, জেলার সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, ইন্সপেক্টর (তদন্ত)'গণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলে ডেভিলহন্টের অভিযানে নাশকতার মামলায় আলম শেখ (৩৫) নামে এক আসামি ধরতে গিয়ে ধস্তাধস্তিতে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। সোমবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত রবিবার ২৩ আগস্ট রাতে উপজেলার গাবসার ইউনিয়নে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলম শেখ (৩৫) কে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। এ সময় তাকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ধস্তাধস্তিতে ভূঞাপুর থানার ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আলম শেখ উপজেলার মেঘারপটল গ্রামের ফজলুল শেখের ছেলে।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, টাঙ্গাইল সদর থানার নাশকতা মামলার আসামি আলম শেখকে গ্রেফতার করতে শনিবার রাতে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় তিনি পুলিশের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। রবিবার সকালে গ্রেফতারকৃত আলম শেখকে টাঙ্গাইল সদর থানায় প্রেরণ করা হয়।
যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা রূপগঞ্জ। যাত্রীসেবা একেবারেই নিম্মপর্যায়ে। ভ্যাবসা গরমে আর যানজটে নাকাল মানুষ। দেখার কেউ নেই বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
সকাল থেকেই ঢাকা সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশে তীব্র যানজট। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়াতে কর্মজীবী মানুষের ছুটে চলার চাপ বেড়েছে। ফলে দীর্ঘ যানজটে ও যানবাহনের ধীরগতিতে বিপাকে পড়েছেন কর্মমুখী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
রোববার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে থেমে থেমে যানজট শুরু হয়ে ধীরে ধীরে কাচপুর থেকে মৈকুলি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারে বিস্তৃত হয়।
যাত্রী ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মহাসড়ক উন্নীতকরণ কাজের জন্য সড়ক সরু হয়ে যাওয়া ও ভারী বর্ষণে সড়কে তৈরি হওয়া খানাখন্দ দিয়ে যানবাহন পর্যাপ্ত গতিতে চলাচল করতে না পারা, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা, নিয়ম ভঙ্গ করে রুটে গাড়ির একাধিক লাইন করাসহ বিভিন্ন কারণেই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।এর উপর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়াতে কর্মজীবীদের ঘিরে সড়কে চাপ বেড়েছে মানুষের চলাচলে। এতে সকাল থেকেই সড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। ফলে যানজটেরও দীর্ঘ হতে থাকে। এতে করে কাচপুর থেকে মৈকুলি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারে যানজট ছড়িয়ে পড়ে।
যাত্রী সিয়াম আহমেদ বলেন, তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সকাল ৯ টায় কাজে যোগদান করার কথা। সকাল সাড়ে ৭টায় ভুলতা গাউছিয়া থেকে রওনা দিয়ে কাচপুর আসতেই বেজেছে সাড়ে ৮টা।
সিএনজি চালক বুলবুল বলেন, বরপা থেকে বরাব আসতেই ৪০ মিনিট লেগেছে। যানজট না থাকলে আসতে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৭ মিনিট লাগতো। সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়াতে যাত্রীর চাপ ছিল। যানজট না থাকলে আয় রোজগার ভালো হতো।
মেঘালয় পরিবহনের চালক আজগর আলী বলেন, যাত্রামুড়া থেকে জ্যামে পড়েছি বরপা আসতেই ১ ঘন্টা লেগেছে। প্রতিদিনই এই এলাকায় যানজট থাকে। তবে সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়াতে আজকে যাত্রীর চাপ বেশি হয়েছে। তাই সকাল থেকেই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে কাচপুর হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে সড়কে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। এতে গাড়ি ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে। অন্যদিকে সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়াতে যাত্রী চাপ ও কিছুটা বেড়েছে। এতেও যানজট দীর্ঘ হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশের জনবলেরও কমতি রয়েছে। তাই সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমার এরিয়া আমি নজরদারিতে রাখি। অন্য সাইটে যানজট সৃষ্টি হয়ে এখানে অব্দি বিস্তৃত হয়। যানজট নিরসনে আমরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
চুয়াডাঙ্গায় মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির অপরাধে একটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দদবাড়িয়া এলাকায় ওই অভিযান চালানো হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মামুনুল হাসান জানান, দুপুরে সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির অপরাধে মেসার্স কামরুল ট্রেডার্সকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ৮ বস্তা বাংলা টিএসপি সার নকল সন্দেহে জব্দ করে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সদর উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুমিল্লার পদুয়ার বাজার ইউটার্নে সড়ক দুর্ঘটনায় চার জন নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত হানিফ পরিবহনের বাসটিকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। রোববার দুপুরে ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে বাসটির চালককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, নূরজাহান হোটেল থেকে উল্টো পথে আসা ঘাতক বাস হানিফ এন্টারপ্রাইজ বাস নং- ঢাকা মেট্টো-ব-১২-২১৯৭ বাসটি দেবিদ্বার উপজেলার খাদ ঘর থেকে আটক করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় পদুয়ার বাজার ইউটার্নে লরির নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় হানিফ পরিবহনের বাস ও লরির অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে নিহতের ভাই আবুল কালাম। এছাড়া সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বিত মতামতের ভিত্তিতে বাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত সদর দক্ষিণ উপজেলার দয়াপুর ইউটার্ন থেকে সকল যানবাহন ঘুরে আসতে হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান বিন হাসান।
তিনি জানান, পদুয়ার বাজার ইউটার্ন এলাকাটি সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হাইওয়ে পুলিশ ও ভারতের জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রবিবার সড়ক ও যোগাযোগ বিষয়ক একটি সমন্বিত সভা রয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। সেখান থেকে সমন্বিত ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপাতত এই ইউটার্নটি বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বাজারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্নে সিমেন্ট বাহি লরির নিচে প্রাইভেট কার ছাপা পরে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়। এছাড়াও একই সময়ে ওই লরির সামনের অংশের নিচে চাপা পড়ে সিএনজির তিন যাত্রী আহত হয়। নিহতারা হলেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী(৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম(৬৫), তার৷ বড় ছেলে আবুল হাশেম (৫০)ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম(৪৫)। প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন আবুল হাশেম।
মন্তব্য