× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

স্বাস্থ্য
করোনা ভারতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখেও তৎপর অসাধু ব্যবসায়ীরা
google_news print-icon

ভারতে ১০ গুণ দামে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি

ভারতে-১০-গুণ-দামে-অক্সিজেন-সিলিন্ডার-বিক্রি
ভারতে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে চড়া দামে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ছবি: এএফপি
স্বাভাবিক সময়ে যে সিলিন্ডার ছয় হাজার রুপিতে মেলে, রোগীর প্রাণ বাঁচাতে সে জায়গায় এখন কমপক্ষে ৫০ হাজার রুপি খরচ করছেন স্বজনরা। নিয়মিত অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহকারীরাও দাম চাইছেন ১০ গুণ বেশি।

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে করোনার টেস্ট কিট, ওষুধ, অক্সিজেনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামের। রোগীর বিপরীতে স্বাস্থ্য খাতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক লোকবল সংকট।

এ সুযোগে তৎপরতা বাড়িয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ প্রায় সব ধরনের জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম আকাশছোঁয়া দামে তারা বিক্রি করছে কালোবাজারে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাভাবিক সময়ে যে সিলিন্ডার ছয় হাজার রুপিতে মেলে, রোগীর প্রাণ বাঁচাতে সে জায়গায় এখন কমপক্ষে ৫০ হাজার রুপি খরচ করছেন স্বজনরা।

নিয়মিত অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহকারীরাও দাম চাইছেন ১০ গুণ বেশি।

করোনার সংক্রমণ দ্রুত বাড়ায় দিল্লিতে খালি নেই কোনো আইসিইউ। সচ্ছল পরিবারগুলো নার্স ভাড়া করে বাড়িতে ডেকে নিচ্ছে। চিকিৎসকদের সহযোগিতা নিচ্ছে অনলাইনে। করোনায় আক্রান্ত স্বজনকে বাড়িতে রেখেই শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা তাদের। বিপরীতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত অনেক মানুষ চিকিৎসা ছাড়াই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন।

সংক্রমণ-মৃত্যুর রেকর্ড

টানা ষষ্ঠ দিনের মতো করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে ভারতে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে রোববার করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ৫৪ হাজারের বেশি মানুষের দেহে। একই সময়ে মারা গেছে দুই হাজার ৮০৬ জন।

গত এক সপ্তাহে ভারতে করোনা শনাক্ত হয়েছে সাড়ে ২২ লাখ মানুষের দেহে। মৃত্যুহার বেড়েছে ৮৯ শতাংশ।

ভারতে ১০ গুণ দামে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি
ভারতে শ্মশান ঘাটগুলোতে মরদেহ পোড়ানোর জন্যও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

করোনায় সংক্রমণের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ ভারত। দেশটিতে এ নিয়ে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৩১ হাজারের বেশি মানুষের দেহে।

প্রাণহানিতেও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও মেক্সিকোর পরের অবস্থান ভারতের। দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার।

মহামারি নিয়ন্ত্রণে একতায় জোর

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩৩ কোটি মানুষের দেশ ভারতে ছোঁয়াচে করোনার ভয়াবহ বিস্তারে হুমকিতে রয়েছে বহির্বিশ্বও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুততম সময়ে জরুরি পণ্য পাঠানোর তাগিদ দেয়া হয়েছে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি।

শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে আসছেন যে, সব পক্ষের সহযোগিতা ও বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া মহামারি আরও দীর্ঘায়িত হবে। বিশেষ করে অল্প সময়ে দ্রুত রূপ পরিবর্তনের মাধ্যমে ভাইরাসের একের পর এক নতুন ও অধিক বিপজ্জনক ধরন শনাক্ত হচ্ছে বলে পরিস্থিতি এর চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে বলে শঙ্কা তাদের।

উদাহরণ হিসেবে রয়েছে আফ্রিকা মহাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের এইডসবিরোধী লড়াই। সে সময় অঞ্চলটিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাঠাতে জরুরি পরিকল্পনা নিয়েছিল তার সরকার।

২০১৪ সালে আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলে ছোঁয়াচে ইবোলা নিয়ন্ত্রণও আন্তর্জাতিকভাবে অগ্রাধিকার পেয়েছিল। প্রাণঘাতী রোগটি ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিয়েছিল ধনী দেশগুলো।

বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি শুরুর সময়ে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ অনেক রাষ্ট্রনেতাই।

একই ভুল করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। গত মাসেই মহামারির বিরুদ্ধে বিজয় ঘোষণার মাধ্যমে দেশটিতে দ্বিতীয় ধাক্কাকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছিল তার সরকার।

ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে স্থানীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে মহামারি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যবিদরা।

টিকার কাঁচামাল সংকট

বিশ্বে টিকা উৎপাদনকারী সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এখন অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে।

ভারতে ১০ গুণ দামে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি
টিকা উৎপাদনকারী ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের দরিদ্র ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে টিকা সুষম বণ্টনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মসূচি কোভ্যাক্সের আওতায় মার্চ-এপ্রিল মাসে বড় চালান রপ্তানির কথা ছিল ভারতের। কিন্তু নিজ দেশেই মহামারি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাওয়া ভারত সরকার চলতি মাসে বিভিন্ন দেশের কাছে বিক্রি করেছে মাত্র ১২ লাখ ডোজ টিকা। তিন মাস আগেও মাসিক এ সংখ্যা ছিল সাড়ে ছয় কোটি।

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় টিকা তৈরির কাঁচামাল বিক্রিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল দেশটির সরকার। রোববার সে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও এখন পর্যন্ত টিকা উৎপাদন থমকে আছে ভারতে।

ভারতের হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সংকট কমাতে বাতাস থেকে অক্সিজেন টেনে নেয়ার জন্য ৪৯৫টি কনসেনট্রেটরসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য। সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জার্মানি, চীনও।

ভারতীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতার লক্ষ্যে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনও।

কিন্তু এই মুহূর্তে রোগ প্রতিরোধে টিকা উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে কাঁচামাল রপ্তানি অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

এ ছাড়া ভাইরাসের নতুন ধরনগুলো দ্রুততম সময়ে শনাক্ত করে সেগুলোর বিস্তার ও রূপ পরিবর্তন ঠেকাতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে সহযোগিতাও দরকার।

আরও পড়ুন:
আরও এক সপ্তাহ লকডাউনে নয়াদিল্লি
করোনায় দ্বিতীয়বার আক্রান্তের কারণ কী
ভারতে দৈনিক মৃত্যু দুই হাজারের উপরে
ভারতে মহামারির ভয়াবহতায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
করোনায় নাকাল ভারতের পাশে পাকিস্তান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

স্বাস্থ্য
Turkeys warships at the port of Pakistan

পাকিস্তানের বন্দরে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ, উদ্বিগ্ন ভারত

পাকিস্তানের বন্দরে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ, উদ্বিগ্ন ভারত

কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহতের ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। রোববার রাতেও ভারত এবং পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে কাশ্মীর সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পরমাণু শক্তিধর দেশ দুটির মধ্যে এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যেই গত শনিবার করাচির বন্দরে ভিড়েছে তুরস্কের নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ। খবর আরব নিউজের।

পাকিস্তানের নৌবাহিনীর পক্ষ রোববার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, দুই দেশের সহযোগিতা জোরদার করতে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ টিসিজি বুয়ুকডা পাকিস্তানে পৌঁছেছে।

এদিকে, এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভারত বড় ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ভারতের প্রত্যাঘাত সামাল দিতে বন্ধু দেশগুলোর সাহায্য চেয়েছে পাকিস্তান। তাদের বন্ধু তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে চীন ও তুরস্ক।

সামরিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অন্যতম বড় সাহায্যকারী দেশ তুরস্ক। আগেও পাকিস্তানকে আগোস্টা ৯০বি ক্লাস সাবমেরিনের আধুনিকীকরণ, ড্রোনসহ অন্য যুদ্ধাস্ত্র দিয়েছে তুরস্ক। এ ছাড়া প্রায়ই যৌথ মহড়ায় অংশ নেয় দুই দেশের সেনা। তবে এবার ভারতে যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজের করাচি আগমন মোটেই সহজভাবে দেখছে না ভারতের বিশেষজ্ঞমহল।

যদিও পাকিস্তানের নৌবাহিনীর দাবি, করাচিতে থাকাকালীন তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ পাকিস্তানের নৌবাহিনীর সঙ্গে সামরিক ক্ষেত্রে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।

এই সফরের লক্ষ্য দুই নৌবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি ও সমুদ্রে সহযোগিতা বাড়ানো। তবে ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে তুরস্কের যুদ্ধ জাহাজের আগমন সাধারণ বিষয় নয়।

পাকিস্তান সফরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাকিস্তানে রাষ্ট্রীয় সফরে গেলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ইসলামাবাদে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পশ্চিম এশিয়া) সৈয়দ আসাদ গিলানি, পাকিস্তানে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত এবং অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। খবর ইরনার।

সফরকালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক কারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন বলে জানানো হয়েছে। এই সফরের সময় দুই দেশের প্রতিনিধিরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও মতবিনিময় করবেন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই উচ্চপর্যায়ের সফর ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতিফলন। পাশাপাশি দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকারও এতে ফুটে উঠেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচির এই সফরের মাধ্যমে পাকিস্তান-ইরান সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নতুন মাত্রা পাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে জানান, আরাঘচির সফরে ইরান-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছাড়াও ইসরায়েলি হুমকি মোকাবিলার সম্ভাব্য কৌশল নিয়েও আলোচনা হবে।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Humanitarian assistance in Gaza should not be politicized ICRC

গাজায় মানবিক সহায়তা 'রাজনীতিকরণ' করা উচিত নয় : আইসিআরসি

গাজায় মানবিক সহায়তা 'রাজনীতিকরণ' করা উচিত নয় : আইসিআরসি

সোমবার আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) জানিয়েছে, গাজার অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের কাছে অবিলম্বে মানবিক সাহায্য পৌঁছাতে হবে এবং এটিকে রাজনীতিকরণ করা উচিত নয়।

জেনেভা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ‘অধিকাংশ জনসংখ্যাকে স্থানান্তর’সহ সামরিক হামলা বৃদ্ধির পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে।

জেনেভায় আইসিআরসির মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান কার্ডন এএফপিকে বলেন, ‘মানবিক সাহায্যের রাজনীতিকরণ করা উচিত নয়। গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে এই মুহূর্তে চাহিদার মাত্রা অপ্রতিরোধ্য, এবং অবিলম্বে সাহায্য পৌঁছানো প্রয়োজন’।

তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে, ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণাধীন বেসামরিক জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করার জন্য উপলব্ধ সমস্ত উপায় ব্যবহার করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ইসরাইল হামাসের বিরুদ্ধে মানবিক সাহায্যের অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছে। হামাস এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য তাদের অবরোধ প্রয়োজন ছিল।

কার্ডন বলেন, আইসিআরসি সরাসরি অথবা আমাদের অংশীদারদের সাথে একসাথে মানবিক সরবরাহ পরিচালনা ও বিতরণ করে। তাই আমরা দেখি সেই জিনিসগুলো কোথায় যায়।

তিনি বলেন, গাজায় আমাদের ত্রাণ সরবরাহ সকল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে।

আমরা নিরাপত্তার উদ্বেগ স্বীকার করি, তবে মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে আমরা জরুরি ভিত্তিতে জোর দিচ্ছি। কর্তৃপক্ষ গাজার মানুষের কাছে জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়াটি দ্রুততর করুক এবং সরবরাহের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করুক।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Gaza occupied Israels Nilnaksha Authorization

গাজা দখলে ইসরায়েলের নীলনকশা অনুমোদন

গাজা দখলে ইসরায়েলের নীলনকশা অনুমোদন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ট্যাঙ্ক। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান সম্প্রসারণ এবং ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল সোমবার আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা সর্বসম্মতভাবে এ পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় রিজার্ভ সেনাদের ডাক দেওয়া হবে এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সরাসরি ২৩ লাখ জনসংখ্যার গাজা অঞ্চলে খাদ্য ও জরুরি ত্রাণ সরবরাহ পরিচালনা করবে। এই জনগণ ইসরায়েলের অবরোধের কারণে দীর্ঘদিন ধরে মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন পরিকল্পনার আওতায় ইসরায়েল গাজা পুরোপুরি দখলে নিতে পারে। এএফপির এক সূত্র বলেছে, পরিকল্পনায় গাজা দখল, সেখানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং বাসিন্দাদের দক্ষিণে স্থানান্তরের বিষয় রয়েছে, যাতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

ওই সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই পরিকল্পনাকেই এগিয়ে নিচ্ছেন, যেখানে গাজার ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের প্রস্তাব রয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজায় আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানিগুলো ত্রাণ বিতরণে নিয়োজিত থাকবে। এসব সংস্থাকে বাইরের নিরাপত্তা দেবে ইসরায়েলি সেনারা, যাতে ত্রাণ বিতরণ নিরাপদভাবে পরিচালিত হয়।

এর আগে মানবিক সংস্থাগুলো সতর্ক করেছিল, গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘনিয়ে আসছে। তবে ইসরায়েল সে দাবি অস্বীকার করে এবং মার্চের ২ তারিখ থেকে ১৬ দিন পর্যন্ত সব ধরনের ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ রাখে।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সম্ভাব্য পূর্ণ দখল এবং ত্রাণ ব্যবস্থার সামরিকীকরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এটি শুধু মানবিক সংকটকেই বাড়াবে না, বরং যুদ্ধাপরাধের আশঙ্কাও উসকে দিচ্ছে। বর্তমানে গাজার অবস্থা চরম মানবিক বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে। খাদ্য, পানি, ওষুধের অভাবে প্রতিদিন মৃত্যুবরণ করছেন সাধারণ মানুষ, যার অধিকাংশই শিশু ও নারী।

কোথায় আশ্রয় নেবে ফিলিস্তিনিরা?

গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালায়নি। পুরো গাজাকে এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে দখলদার বাহিনী। ফিলিস্তিনিরা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে দিন পার করছেন। তাদের আশ্রয় নেওয়ার মতো নিরাপদ কোনো জায়গা নেই। এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালাচ্ছে না বা এমন কোনো মানবিক অঞ্চল নেই যেখানে তারা আশ্রয় নিতে পারে। ভয়াবহ দুর্বিষহ জীবন পার করছে ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ এবং শিশুরা।

গাজার বেশিরভাগ জনগোষ্ঠীই মানবেতর জীবন-যাপন করছে। ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহ দখল করার পর গাজার বিভিন্ন এলাকায় লোকজন আটকা পড়েছে। তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানেও যেতে পারছেন না। উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণ গাজায় যাওয়ার স্বাধীনতাও পাচ্ছেন না তারা।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান আরও জোরদার ও বিস্তারের লক্ষ্যে হাজার হাজার রিজার্ভ সৈন্য ডাকতে শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত চাপ সৃষ্টি এবং বন্দিদের ফিরিয়ে আনাই তাদের লক্ষ্য।

ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে। প্রায় ৪৭০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা বাড়ি-ঘর, প্রিয়জন সবকিছু হারিয়েছেন। তাদের মাথার ওপর আশ্রয় নেওয়ার মতো শেষ অবলম্বনটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বোমা হামলায় চোখের সামনে বাবা-ভাই বা সন্তানের মৃত্যু দেখছেন তারা।

এরই মধ্যে নতুন পরিকল্পনার আওতায়, গাজায় ভূগর্ভস্থ ও ভূপৃষ্ঠের সব ধরনের অবকাঠামো ধ্বংস করার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে সমালোচকরা বলছেন, দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবারও শুরু হওয়া এই অভিযান বন্দিমুক্তির নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় অভিযান ফের সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান শুরু হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বর্তমানে হামাসের হাতে ৫৯ জন জিম্মি রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৪ জনের জীবিত বলে বিশ্বাস করা হয়। গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে নতুন করে হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে আর কোনো ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পায়নি।

এই সময়ের মধ্যে গাজার বিশাল এলাকা দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আবারও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। একই সঙ্গে গাজায় প্রায় দুই মাস ধরে চলছে মানবিক সহায়তার ওপর কঠোর অবরোধ।

গাজায় নিহত আরও ৪০ ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামাস উৎখাত আর তাদের কবল থেকে জিম্মি উদ্ধারের নামে ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যা চলছেই। প্রতিদিনই তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা; দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে লাশের মিছিল। নিরাপদ বলে কোনো স্থান বাকি নেই গাজাবাসীর জন্য। একদিকে আকাশ ও স্থল অভিযান, অন্যদিকে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ; গাজা যেন সাক্ষাৎ নরক হয়ে উঠেছে তার বাসিন্দাদের জন্য। এরই মধ্যে গাজায় সামরিক অভিযানের মাত্রা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।

এদিকে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় আরও অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এতে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫২ হাজার ৫৪০ ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ২৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Trumps instruction to turn the notorious that cargie

কুখ্যাত সেই কারাগারটি ফের চালু করার নির্দেশ ট্রাম্পের

কুখ্যাত সেই কারাগারটি ফের চালু করার নির্দেশ ট্রাম্পের ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিসকোর দুর্গম দ্বীপে অবস্থিতআলকাট্রাজ কারাগার। ছবি: এপি

ষাট বছরেরও বেশি সময় আগে বন্ধ হওয়া একটি কুখ্যাত কারাগার নতুন করে চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রান্সিসকোর দুর্গম দ্বীপ আলকাট্রাজে ১৯৩৪ সালে এই কারাগারটি স্থাপন করা হয়েছিল। পরে ১৯৬৩ সালে সেটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এবার কারাগারটি কেবল চালু করাই না, এটিকে আরও বড় করে পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রবিবার (৪ মে) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এক সময় আমেরিকার জনগণকে রক্ষায় দেশটির বিপজ্জনক অপরাধীদের আলকাট্রাজ কারাগারে আটকে রাখা হতো। সেই কারাগারটিই আবার চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ট্রাম্পের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকা হিংস্র ও সহিংস অপরাধীদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। এমনকি কিছু কিছু অপরাধী বারবারই সহিংস কার্যকলাপ করে দেশটির ক্ষতি করে আসছেন। আমি বিচার বিভাগ, ফেডারেল ব্যুরো অব আমেরিকা (এফবিআই) ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সঙ্গে কারাগার ব্যুরোকে একীভূত করে আলকাট্রাজ কারাগারটি ফের চালু ও সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছি। সেখানে আমেরিকার সবচেয়ে নিষ্ঠুর ও সহিংস অপরাধীদের রাখা হবে।’

এ বিষয়ে ফ্লোরিডা থেকে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘কারাগারটির একটি দীর্ঘ ইতিহাস আছে। এটি আইন ও শৃঙ্খলার প্রতীক।’

প্রসঙ্গত, সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরে অবস্থিত আলকাট্রাজ কারাগারটি ৬৩ বছর ধরে বন্ধ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ প্রিজনসের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, ভঙ্গুর অবকাঠামো ও উচ্চব্যয়ের কারণে ১৯৬৩ সালে কারাগারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। দ্বীপে অবস্থিত হওয়ার কারণে এটি পরিচালনার খরচ ছিল অন্য যেকোনও ফেডারেল কারাগারের তুলনায় প্রায় তিনগুণ।

এছাড়া দ্বীপের অবস্থান, তীব্র স্রোত এবং বরফ শীতল পানির কারণে আলকাট্রাজকে আমেরিকার সবচেয়ে নিরাপদ কারাগার হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে এ কারাগার থেকে কোনো বন্দির পালানোর রেকর্ডও নেই। এফবিআইয়ের তথ্যমতে, কারাগারটি চালু থাকাকালীন ৩৬ জন আসামি অন্তত ১৪ বার পালানোর চেষ্টা করেও সফল হননি। সবাই কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়েছেন। এটি বর্তমানে সান ফ্রান্সিসকোর অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ।

এদিকে, ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকেই নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেছেন সাবেক হাউস স্পিকার ও ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা ন্যান্সি পেলোসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে তিনি বলেন, ‘ষাট বছরেরও বেশি সময় আগে আলকাট্রাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এটি এখন অত্যন্ত জনপ্রিয় জাতীয় উদ্যান এবং প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। ট্রাম্পের প্রস্তাবটি যথোচিত নয়।’

শুরুতে আলকাট্রাজ একটি নৌ প্রতিরক্ষা দুর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ২০ শতকের প্রথম দিকে এটিকে একটি সামরিক কারাগারে রূপান্তর করা হয়। ১৯৩০-এর দশকে বিচার বিভাগের অধীনে নেওয়া হয় এই কারাগারটি। এরপর থেকে ফেডারেল বন্দিদের এ কারাগারে পাঠানো শুরু করা হয়।

এখানে রাখা কয়েদিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কুখ্যাত গ্যাংস্টার আল কাপোন, মিকি কোহেন এবং জর্জ মেশিন গান কেলি।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ১৯৬২ সালে বার্ট ল্যাঙ্কাস্টার অভিনিত ‘বার্ডম্যান অফ আলকাট্রাজ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমেও বিখ্যাত হয়েছিল কারাগারটি। এছাড়াও ১৯৯৬ সালের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘দ্যা রকে’র শুটিংও হয় এই দ্বীপে। ওই মুভিতে বিখ্যাত অভিনেতা শন কনারি ও নিকোলাস কেজ অভিনয় করেন।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
PAP again in Singapores power to win elections

নির্বাচনে জিতে সিঙ্গাপুরের ক্ষমতায় আবারও পিএপি

নির্বাচনে জিতে সিঙ্গাপুরের ক্ষমতায় আবারও পিএপি ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গাপুরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে আবারও জয় পেয়েছে পিপলস অ্যাকশন পার্টি (পিএপি)। এর মধ্য দিয়ে টানা ৬৬ বছরের মতো দেশটির ক্ষমতায় টিকে থাকল দলটি। এই জয়কে প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওয়াংয়ের একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। এক বছর আগে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

শনিবার (৩ মে) অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, দেশটির পার্লামেন্টের ৯৭টি আসনের মধ্যে ৮৭টি পেয়েছে পিএপি। এছাড়া ৩৩টি নির্বাচনি এলাকার বেশিরভাগেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে দলটি।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে পিএপি। এর আগে ২০২০ সালের নির্বাচনে ৬১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তারা। ফলাফল ঘোষণার পরপরই পতাকা নেড়ে ও আনন্দ করে বিজয় উদযাপন করেন পিএপির সমর্থকরা।

১৯৫৯ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের শাসনক্ষমতায় রয়েছে এই দলটি।

নির্বাচনে জয় পেয়ে সিঙ্গাপুরের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওয়াং। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন অর্থনীতিবিদ।

দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফিরে একের পর এক শুল্কারোপের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার ওই তালিকা থেকে বাদ যায়নি সিঙ্গাপুরও। এ কারণে নির্বাচনি প্রচারের সময় এই অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে বাণিজ্যনির্ভর দেশটি পরিচালনার জন্য জনগণের সমর্থন চেয়েছিলেন লরেন্স।

এবার নির্বাচন জিতে তিনি বলেন, ‘এই ফলাফল সিঙ্গাপুরকে বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে আরও ভালো অবস্থানে রাখবে।’

সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটির আইন অধ্যাপক ইউজিন তান বলেন, ২০২০ সালের পর বিরোধীদের কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়াটা বিস্ময়কর। তবে দীর্ঘদিন ধরে যারা সেবা দিয়ে আসছে, জনগণ তাদের প্রতিই আস্থা রেখেছেন বলেন মন্তব্য করেন তিনি।

গত বছর সিঙ্গাপুরের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন লরেন্স ওয়াং। এর আগে দুই দশক ধরে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী ছিলে লি হসিং লুং। তিনি আধুনিক সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা লি কুয়ান ইয়েওয়ের ছেলে। লিয়ের পদত্যাগের মাধ্যমে লি কুয়ান ইউয়ের শুরু করা পারিবারিক রাজনীতির অবসান ঘটে।

গতকালের ফলাফল অনুযায়ী, নির্বাচনে মূল বিরোধী দল ওয়ার্কার্স পার্টি ১০টি আসনে জয় পেয়েছে। গত নির্বাচনেও তারা ১০টি আসন পেয়েছিল। সিঙ্গাপুরে কোনো বিরোধী দলের এটি সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়ার ঘটনা।

বিশ্লেষকদের ধারণা, কঠোর সরকারি নিয়ন্ত্রণ, জীবিকার উচ্চ ব্যয়, আয় বৈষম্য, নাগালের বাইরে চলে যাওয়া আবাসন ব্যবস্থা ও মত প্রকাশের সীমাবদ্ধতা—এসব বিষয় বিশেষত তরুণদের মধ্যে পিএপির জনপ্রিয়তায় প্রভাব ফেলেছে।

বিরোধীদলগুলো জানিয়েছে, পার্লামেন্টে তাদের শক্তিশালী উপস্থিতি একটি আরও ভারসাম্যপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। তবে অনেক সময় সম্পদের অভাব, বিভক্ত সমর্থন ও দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের ঘাটতির কারণে তাদের পিছিয়ে থাকতে হয় বলে মন্তব্য করেন তারা। তাছাড়া, নির্বাচনি এলাকার সীমার পুনর্বিন্যাস পিএপিকে বাড়তি সুবিধা দেয় বলেও অভিযোগ করেন অনেকে।

ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা প্রীতম সিং জানান, তারা আরও ভারসাম্যপূর্ণ পার্লামেন্টের জন্য লড়াই অব্যাহত রাখবেন। তিনি বলেন, ‘ফলাফল যা হয়েছে তা ভুলে আমরা আগামীকাল থেকেই আবার কাজ শুরু করব।’

ওয়ার্কার্স পার্টি তাদের সংসদীয় উপস্থিতি বাড়াতে না পারলেও কিছু এলাকায় শেয়ার ভোট বাড়িয়ে নিজেদের সমর্থন আরও সুসংহত করেছে বলে করেন মন্তব্য করেন দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় রাজনীতি বিশ্লেষক ব্রিজেট ওয়েলশ। তবে অন্য ছোট বিরোধী দলগুলো উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি বলে মনে করেন তিনি।

ওয়েলশের মতে, ‘বৈশ্বিক অস্থিরতা ও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সিঙ্গাপুরের ভোটাররা স্থিতিশীলতাকে বেছে নিয়েছেন। তরুণদের সঙ্গে ওয়াংয়ের সহজ-সরল বোঝাপড়া এবং পিএপিতে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নতুন মুখ নিয়ে আসাও ভোটে প্রভাব ফেলেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি এই ফলাফলকে বলি, লরেন্স ও ট্রাম্পের প্রভাব। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ লরেন্সের ম্যান্ডেটকে আরও শক্তিশালী করেছে।’

এদিকে, সিঙ্গাপুর ও লরেন্স ওয়াংকে এই বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুর প্রায় ৬০ বছর ধরে একটি শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী কৌশলগত অংশীদারত্বের সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

নবনির্বাচিত সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ওয়াংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
Trump gave himself a picture of the Popes dress

পোপের পোশাকে নিজের ছবি দিলেন ট্রাম্প

পোপের পোশাকে নিজের ছবি দিলেন ট্রাম্প ছবি: সংগৃহীত

রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় গুরু পোপ হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের কয়েকদিন পর, পোপের পোশাক পরিহিত একটি ছবি শেয়ার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি ছবিটি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

গতকাল শনিবার মাকিন সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন টাইমস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাইরাল হওয়া ছবিটি পরে হোয়াইট হাউসের এক্স অ্যাকাউন্টেও শেয়ার করা হয়েছে।

পোপের বেশে প্রকাশ করা ছবিটিতে দেখা যায়, পোপের পোশাকে গম্ভীর মুখে চেয়ারে বসে আছেন ট্রাম্প। উঁচিয়ে আছেন ডান হাতের তর্জনী।

ট্রাম্পের এই ছবিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চটেছেন অনেকে। অনেকে ট্রাম্পকে পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু নিয়ে উপহাস করার অভিযোগ করেছেন।

গত ২১ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে মারা যান পোপ ফ্রান্সিস। এরপর গত ২৬ এপ্রিল সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পর তাকে রোমের ব্যাসিলিকা ডি সান্তা মারিয়া ম্যাগিওরে সমাহিত করা হয়। পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও।

ভ্যাটিকানে কার্ডিনালরা সমবেত হয়ে নির্ধারণ কররেন ক্যাথলিক চার্চের ২৬৭তম ধর্মগুরু। এক প্রতিবেদন মতে, ২৯ এপ্রিল ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়, পরবর্তী পোপ হিসেবে তিনি কাকে দেখতে চান? এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্পের মজার উত্তর, আমি নিজেই পরবর্তী পোপ হতে চাই। এটা এখন আমার এক নম্বর পছন্দ।

রসিকতা করার পরপরই অবশ্য কে আসলে এই দায়িত্ব পেতে পারেন, সে বিষয়ে নিজের মতামত জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি কে হওয়া উচিত, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার কোনো পছন্দ নেই। তবে আমাকে বলতেই হচ্ছে, আমাদের একজন কার্ডিনাল আছেন যিনি নিউইয়র্কের একটি এলাকা থেকে এসেছেন। তিনি খুবই ভালো। দেখা যাক কী হয়।’

মন্তব্য

স্বাস্থ্য
In the midst of excitement Pakistan conducted a horrible missile test

উত্তেজনার মধ্যেই ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান

উত্তেজনার মধ্যেই ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান ছবি: সংগৃহীত

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। সম্প্রতি পেহেলগাম হামলাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে টানাপড়েন আরও বেড়েছে। দেশ দুটি একে অপরের বিরুদ্ধে বেসামরিক নানা বিধিনিষেধের ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে, চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ভয়ংকর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান।

ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ৪৫০ কিলোমিটার। পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ দপ্তরের (আইএসপিআর) বরাতে এ কথা জানা গেছে। জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, এই এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের লক্ষ্য ছিল সেনাদের অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করা। পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম এবং উন্নত ম্যানুভারেবিলিটি বৈশিষ্ট্যসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত সক্ষমতা যাচাই করা।

আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, উৎক্ষেপণটি সেনাবাহিনীর কৌশলগত বাহিনী কমান্ডের কমান্ডার, কৌশলগত পরিকল্পনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পাকিস্তানের কৌশলগত সংস্থাগুলোর বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা প্রত্যক্ষ করেছেন।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেনা, বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সম্প্রতি অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা এখন চরমে। পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুটি দেশই সীমিত পরিসরে সামরিক হামলার আভাস দিচ্ছে। এতে ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধাবস্থার মধ্যে এশিয়ায়ও একই পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে কোনোমতেই আরেকটি যুদ্ধ চাইছে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশির ভাগই ভারতীয় পর্যটক ছিলেন। এ ঘটনায় পাকিস্তান জড়িত বলে অভিযোগ করেছে চিরবৈরী ভারত। যদিও হামলার সঙ্গে কোনোরকম সংশ্লিষ্টতার দায় অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।

এ হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিয়ন্ত্রণরেখা (লাইন অব কন্ট্রোল) বরাবর সপ্তম দিনের মতো দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিবেশী এই দুটি দেশই সীমিত পরিসরে হামলার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে উভয় পক্ষ। তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।

মন্তব্য

p
উপরে