করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রয়োগ করা হচ্ছে তিনটি কোম্পানির টিকা। ক্লিনিক ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপ শুরু করতে যাচ্ছে আরও একটি টিকা। অনুমোদন হলে সেটি ভাইরাস প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে দাবি করছে উদ্ভাবন সংশ্লিষ্টরা।
টিকাটির বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি শুধু রাসায়নিকের পরিবর্তে তৈরি করা হয়েছে গাছগাছড়া থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডব্লিউআরএএলের প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডাভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেডিকাগো সেই টিকা তৈরির দাবি করেছে। টিকাটির একটি প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র রয়েছে নর্থ ক্যারোলিনার রিসার্চ ট্রায়াঙ্গল এলাকায়ও।
‘ওয়েক রিসার্চ’ নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান গবেষক ডা. ম্যাথু হং নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেই ‘হারবাল’ টিকা তৈরির।
হং বলেন, বাজারে যেসব টিকা আছে তার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় রোগী ও আগ্রহীদের এক ধরনের ‘সুনামি’ দেখা গেছে।
তিনি বলেন, বাজারে থাকা ওই তিন টিকা গত ১২ মাসে পরীক্ষা ও অনুমোদনের জন্য এক ধরনের উত্তেজনা ছিল। এখন ওয়েক রিসার্চ মেডিকাগোর টিকা পরীক্ষা করার জন্য প্রস্তুত।
মেডিক্যাল শিক্ষার্থী হিসেবে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে পড়াশোনা করেছেন হং। এখন তার সেই প্রযুক্তি মানুষের শরীরে প্রবেশ করাবেন তিনি।
হং তার শিক্ষার মধ্যে একটা বিড়ম্বনাও দেখতে পান। তিনি বলেন, ‘অনুভব করতে পারছেন যে, আপনি একটা ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।’
টিকাটি তৈরিতে ভাইরাসের জেনেটিক সিকোয়েন্স নিকোটিয়ানা বেনথামিয়ানা নামে অস্ট্রেলিয়ার এক ধরনের গাঁজায় প্রবেশ করায় মেডিকাগো। এরপর বিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টিকার জন্য এক ধরনের স্পাইক প্রোটিন বের করা হয়। এ প্রোটিন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শরীরকে উদ্দীপ্ত করে।
পরে সে প্রোটিনের সঙ্গে গ্ল্যাসকোস্মিথক্লাইনের এক ধরনের রাসায়নিক বুস্টার যুক্ত করা হয়, যাতে ফল হয় আশা জাগানিয়া।
এটিই সেই বুস্টার যা করোনাভাইরাস মহামারিকে শেষ করতে পারে বলে মনে করচেন হং।
তার মতে, এ টিকা নিলে দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে।
আগামী ছয় মাসের মতো সময় হং ও তার সহকর্মীরা মেডিকাগোর পরীক্ষামূলক টিকাগ্রহীতাদের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবেন।
মানুষকে এই টিকা নেয়ায় আগ্রহী করে তুলতে হং খুব সাদামাটা অথচ কার্যকর একটি বক্তব্যও বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আপনি ভেজিটারিয়ান হলে এই টিকা আপনার জন্য।’
হং ও মেডিকাগোর মূল উদ্বেগ হলো, জাতীয়ভাবে ৩০ হাজার মানুষকে তাদের তৈরি টিকার ট্রায়ালে অংশ নিতে রাজি করানো।
তারা মনে করছে, বাজারে অন্য টিকা সহজলভ্য হওয়ায় তাদেরটা নেয়ার ঝুঁকি হয়তো অনেকে নিতে চাইবে না।
ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে আরও বেশি টিকা তৈরি ও সরবরাহ করতে হবে বলে মনে করেন হং।
সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে হং বলেন, ‘এটিকে খেলার একেবারে শুরু বলা যায়। আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।’
যারা এরই মধ্যে করোনার টিকা নিয়েছেন কিংবা যাদের বিভিন্ন গাছগাছড়ায় অ্যালার্জি আছে তারা অংশ নিতে পারবেন না মেডিকাগোর টিকার ট্রায়ালে ।
স্থানীয়ভাবে আপাতত ৪০০ মানুষকে টিকা নেয়ার জন্য মনোনীত করবে ওয়েক রিসার্চ। তারা বেছে নিচ্ছে ৬৫ বছরের বেশি কিংবা যারা একেবারে স্থিতাবস্থায় আছেন এমন লোকজনকে।
শিশুদেরও টিকাটির ট্রায়াল দেয়া হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, ও সিলেট বিভাগের অনেক অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ মধ্য প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং এটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল (শুক্রবার) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ডিমলায় ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে ২৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উল্লেখ্য, আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে মোংলায় ৯৩ মিলিমিটার বা মিমি।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ।
ঢাকায় বাতাসের গতি দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে পারে।
ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫টা ১৪ মিনিটে।
পারস্পরিক শুল্ক চুক্তি চূড়ান্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অব্যাহত আলোচনায় রয়েছে বাংলাদেশ।
সর্বশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার, যেখানে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চ।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাডের সাবেক বাণিজ্যনীতি প্রধান ড. রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় খুব ভালো অগ্রগতি হয়েছে। উভয় পক্ষ দ্রুততম সময়ে চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’
দেশটির দক্ষিণে শুক্রবার ইসরাইলি হামলায় একজন নারী নিহত ও অপর ২৫ জন আহত হয়েছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহর অস্ত্রকে এই হামলার জন্য দায়ী করেছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বৈরুত থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা শত্রুতার অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে ২৭ নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি পর থেকে ইসরাইল লেবাননের ওপর, বিশেষ করে দক্ষিণে নিয়মিত হামলা চালিয়ে আসছে, যার মধ্যে দুই মাসের সর্বাত্মক যুদ্ধও অন্তর্ভুক্ত। ফলে, হিজবুল্লাহ মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে।
সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘নাবাতিয়েহের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ইসরাইলি শত্রুর হামলায়’ এক নারী নিহত ও অপর ১৪ জন আহত হয়েছে।
এনএনএ জানিয়েছে, একটি ড্রোন অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে ইসরাইলি হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক মুখপাত্র আভিচায় আদ্রাই সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, সেনাবাহিনী ‘কোনও বেসামরিক ভবনকে লক্ষ্যবস্তু করেনি।’
এনএনএ-এর আগে নাবাতিয়েহ অঞ্চলের আরও কয়েকটি এলাকায় ‘একের পর এক ভারী বোম হামলার’ খবর দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব হামলায় সাতজন আহত হয়েছে।
পরে শুক্রবার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণে শাকরাতে ‘ইসরাইলি ড্রোন হামলায়’ আরও চারজন আহত হয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিমানগুলো নাবাতিয়েহ ও ইসরাইলি সীমান্তের কাছে বিউফোর্ট রিজ এলাকায় হিজবুল্লাহ’র অগ্নিনির্বাপণ ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত একটি স্থানে আঘাত করেছে।
বলা হয়েছে যে, স্থানটি ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূগর্ভস্থ প্রকল্পের অংশ যা অভিযানের ফলে সম্পূর্ণরূপে ব্যবহারের বাইরে’ ছিল।
সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ‘হিজবুল্লাহ’র পুনর্বাসন প্রচেষ্টা আগে থেকেই চিহ্নিত করেছে এবং এলাকায় সন্ত্রাসী অবকাঠামোগত স্থানগুলোয় হামলা করেছে’, ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডকে ‘ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে বোঝাপড়ার স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর আদ্রাই বলেছেন, অগ্নি ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সাইটের ভিতরে থাকা বেসামরিক ভবনে ‘একটি রকেট আঘাত হেনেছে।
তিনি বলেন,‘লেবাননের সরকার তার ভূখণ্ডের মধ্যে যা ঘটে তার জন্য দায়ী, কারণ তারা হিজবুল্লাহর ভারী অস্ত্র ও রকেট জব্দ করেনি।’
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে, হিজবুল্লাহকে তার যোদ্ধাদের ইসরাইলি সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে ফিরিয়ে আনার কথা।
ইসরাইলকে দেশ থেকে তার সৈন্যদের সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করতে হয়। কিন্তু লেবাননের দক্ষিণে পাঁচটি স্থানে তাদের রাখা হয়েছে। তারা একে কৌশলগত বলে মনে করে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে এই যুদ্ধবিরতি করা হয়েছিল যেখানে বলা হয়েছে লেবাননের দক্ষিণে লেবাননের সৈন্য ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদেরই একমাত্র অস্ত্র বহন করা উচিত এবং সমস্ত অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীর নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান জানানো হয়।
লেবাননের সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ভেঙে দিচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষ অস্ত্র বহনের ওপর রাষ্ট্রীয় একচেটিয়া অধিকারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন এক বিবৃতিতে এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ইসরাইল ‘আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রস্তাব উপেক্ষা করে চলেছে।’ তিনি ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘জাতীয় সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং ‘শত্রুতা বন্ধের ব্যবস্থা ও স্থিতিশীলতার’ জন্য হুমকি বলে অভিহিত করেছেন।
জাতিসংঘকে লেখা এক চিঠিতে লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনীর ম্যান্ডেট এক বছরের জন্য নবায়নের অনুরোধ জানিয়ে, যা আগস্টে শেষ হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘ইসরাইলের দখলকৃত সমস্ত লেবাননের ভূখণ্ড থেকে প্রত্যাহার ও চলমান লঙ্ঘন বন্ধ করার’ দাবি করেছে।
এই মাসের শুরুতে, ইসরাইল সতর্ক করে দিয়েছে যে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র না করা পর্যন্ত তারা লেবাননে হামলা চালিয়ে যাবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি একটি ভিডিওর মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে শনাক্ত করেছে ফ্যাক্টওয়াচ।
বাংলাদেশে গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনসাধারণকে সঠিক তথ্য জানাতে কাজ করা স্বাধীন অনুসন্ধানী সংস্থা ফ্যাক্টওয়াচ এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত এবং পরিচালিত হয় সেন্টার ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড কোয়ালিটেটিভ স্টাডিজ (সিকিউএস)’র মাধ্যমে।
ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, সম্প্রতি ফেসবুক ও টিকটকে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি অনেক ভিডিও ছড়ানো হয়েছে, যেগুলোর লক্ষ্য আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে পক্ষে-বিপক্ষে উপস্থাপন করা। এসব ভিডিওর মাধ্যমে জনমত প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান দলের বরাতে বলা হয়, গত ২১ জুন ‘পলিটিক্যাল মিম’ নামের একটি ফেসবুক পেইজে ‘কেন টেম্পোস্ট্যান্ড ও চাঁদাবাজদের ভোট দেব না’ শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ওই ভিডিওতে হিজাব পরা এক নারীকে বলতে শোনা যায়, ‘টেম্পোস্ট্যান্ড বা কোনো চাঁদাবাজকে ভোট দিলে তাদের অপকর্মের দায় আপনাকেও নিতে হবে।’
ফ্যাক্টওয়াচ নিশ্চিত করেছে, ভিডিওটি আসল নয়, এটি সম্পূর্ণভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
ইরান ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহে ব্যাপক গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছে তেহরান। এর পাশাপাশি একাধিক অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করেছে ইরান সরকার।
ইরানের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ইসরায়েলি এজেন্টদের অনুপ্রবেশের পর এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা।
ইরান সরকারের অভিযোগ, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) শীর্ষ কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের টার্গেট করে হত্যাসহ যুদ্ধ চলাকালীন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলের কাছে সরবরাহ করা তথ্যই ভূমিকা রেখেছে।
এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে দায়ী করেছে তেহরান। তারা ইরানের ভেতর থেকেই এসব পরিচালনা করেছে বলে দাবি দেশটির।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডগুলোর ব্যাপকতা ও নিখুঁত বাস্তবায়নে হতবাক ইরানি কর্তৃপক্ষ। এ কারণে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এখন যেকোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে ইরান।
তবে এসব পদক্ষেপ প্রকৃতপক্ষে ভিন্নমত দমন ও জনগণের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
এদিকে, ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনব্যাপী সংঘাতের সময় তাদের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান সরকার। যুদ্ধবিরতির পরদিন ২৫ জুন এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এরপর থেকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে—এমন শত শত সন্দেহভাজনের গ্রেপ্তারের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি আটক কয়েকজনের বক্তব্যও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়েছে। সেখানে তাদের ইসরায়েলি গোয়েন্দাদের সঙ্গে কাজ করার কথা স্বীকার করতে দেখা যায়।
এদিকে, চলমান এই অভিযানে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠনগুলো।
তারা বলেন, ইরানের বিচারব্যবস্থায় জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি গ্রহণ ও অন্যায্য বিচারের ইতিহাস রয়েছে। তাছাড়া, আরও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
অন্যদিকে, ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিআইএ, মোসাদ ও এমআই৬-এর মতো পশ্চিমা ও ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে ‘নিরলস লড়াই’ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
আইআরজিসি সঙ্গে সম্পৃক্ত ফার্স নিউজ এজেন্সির তথ্য অনুসারে, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে হামলা শুরু করার পর থেকে ইসরায়েলি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক ইরানেরর ভেতরে অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সংঘাতের ১২ দিনে এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত সাত শতাধিক ব্যক্তিকে ইরানি গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে বলেও দাবি করেছে তারা।
বিবিসি ফারসিকে ইরানের কয়েকজন নাগরিক জানিয়েছেন, তারা ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় থেকে হুঁশিয়ারিমূলক বার্তা পেয়েছেন। সেখানে তাদের ফোন নম্বর ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া পেজে পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের এসব পেজ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি ফারসি, লন্ডনভিত্তিক ইরান ইন্টারন্যাশনাল ও মানোতো টিভিসহ দেশের বাইরের ফারসি ভাষার গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের ওপরও ইরান সরকার চাপ বাড়িয়েছে বলে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ইরান ইন্টারন্যাশনালের অভিযোগ, সম্প্রতি তাদের একজন নারী উপস্থাপিকার মা, বাবা ও ভাইকে তেহরানে আটক করেছে আইআরজিসি। চ্যানেল থেকে ওই উপস্থাপিকাকে পদত্যাগ করার জন্য তার বাবাকে দিয়ে ফোন করিয়ে আহ্বান জানানো হয়। এমনকি পদত্যাগ না করলে আরও কঠোর পরিণতির হুমকি দেওয়া হয়।
যুদ্ধ শুরুর পর বিবিসি ফারসির সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের প্রতি হুমকি আরও বেড়ে গেছে বলে দাবি করেছে সংবাদ মাধ্যমটি।
ইরানি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধাবস্থায় পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করাও ন্যায্য—এমন হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন সাংবাদিক।
এসব সাংবাদিককে ‘মোহারেব’ বা ‘আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে’ এমন ব্যক্তি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে যা ইরানি আইনে মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ।
সাংবাদিকদের পরিবারের প্রতি হুমকি এবং চ্যানেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করার প্রচেষ্টার মতো ঘটনার কথা জানিয়েছে মানোতো টিভিও।
এসব পদক্ষেপ মূলত ভিন্নমত দমন ও নির্বাসিত সংবাদকর্মীদের ভয় দেখানোর একটি বৃহৎ কৌশলের অংশ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বহু অধিকারকর্মী, লেখক ও শিল্পীকেও আটক করেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। অনেক ক্ষেত্রে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়াই তাদের করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমনকি ২০২২ সালের ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ আন্দোলনের সময় নিহতদের পরিবারের সদস্যদেরও আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কেবল বর্তমান আন্দোলন নয়, আগের আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দেয় এসব পদক্ষেপ।
যুদ্ধ চলাকালে সরকার ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকারে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। যুদ্ধবিরতির পরও পূর্ণ প্রবেশাধিকার এখনো ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি।
দেশজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ এখন ইরানের একটি সাধারণ কৌশলে পরিণত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইরানে ইনস্টাগ্রাম, টেলিগ্রাম, এক্স ও ইউটিউবসহ অধিকাংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এবং বিবিসি ফারসিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। সেগুলো কেবল ভিপিএন বা প্রক্সি সার্ভিস ব্যবহার করেই দেখা যায়।
এসব ঘটনায় আশির দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সঙ্গে বর্তমানের এসব পদক্ষেপের মিল খুঁজে পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার-কর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সে সময় রাজনৈতিক বিরোধীদের নির্মমভাবে দমন করেছিল ইরান সরকার।
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পর আন্তর্জাতিক পরিসরে দুর্বল হয়ে পড়া ইরান হয়তো আবার দেশের অভ্যন্তরেই ব্যাপক গ্রেপ্তার, মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে কঠোর দমন-পীড়নের পথে হাঁটছে—এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেকে।
ইরানের এসব কর্মকাণ্ডের সমালোচকরা ১৯৮৮ সালের ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, সে সময় সংক্ষিপ্ত ও গোপন বিচার শেষে হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যাদের অধিকাংশই ছিল আগেই সাজাপ্রাপ্ত। ওই সময়ে অধিকাংশকে পরিচয়হীন গণকবরে দাফন করা হয়েছিল। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছিল।
গলে প্রথম টেস্ট অবিশ্বাস্যভাবে ড্র হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে অবিশ্বাস্য কিছু না হলে যে হারতে চলেছে বাংলাদেশ, তা একপ্রকার নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল গতকালই। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে পারে কি না—শুধু তা-ই দেখার অপেক্ষা ছিল। তবে সেই আশা পূরণেও ব্যর্থ হয়েছে টাইগাররা।
কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিন ১১৫ রান তুলতে গিয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। এরপর চতুর্থ দিন শুরুর পর মাত্র ৩৪ বলেই গুটিয়ে গিয়েছে টাইগারদের ইনিংস।
দ্বিতীয় ইনিংসে স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে কেবল লিটন দাসই আউট হতে বাকি ছিলেন। তবে চতুর্থ দিনের খেলা শুরুর পর পঞ্চম বলেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।
লিটনের আউটে বাংলাদেশ ১১৭ রানে সাত উইকেট হারানোর পর স্কোরবোর্ডে আর ১৬ রান যোগ করতে পারেন লেজের দিকের ব্যাটাররা। ফলে ৭৮ রান ও এক ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবতে হয় নাজমুল হোসেন শান্ত অ্যান্ড কোং-কে।
প্রথম ইনিংসে কেউ অর্ধশত ছুঁতে না পারলেও বেশ কয়েকটি ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসে ২৪৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রবাথ জয়সুরিয়ার বোলিং তাণ্ডবে ১৩৩ রানেই শেষ হয় টাইগারদের ইনিংস। এই ইনিংসে একাই পাঁচ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন জয়সুরিয়া।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৮০ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ, যা শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের ৪৫৮ রান টপকে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ১৫৮, দীনেশ চান্দিমালের ৯৩ ও কুশল মেন্ডিসের ৮৪ রানের ইনিংসে ভর করে ওই রান করে স্বাগতিকরা।
বল হাতে তাইজুল ইসলামও পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন, যা ছিল বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টেস্টে সর্বোচ্চ পাঁচবার পাঁচ উইকেট করে নেওয়ার রেকর্ড। তবে লজ্জাজনক হারে সেই রেকর্ড ম্লান হয়েছে।
টেস্ট ইতিসাসে এটি বাংলাদেশের ৪৭তম ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়। আর সর্বোচ্চ ৯ বার টাইগারদের এই তেতো অভিজ্ঞতা দিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে একই সংখ্যক টেস্ট ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে জেতার রেকর্ড আছে দক্ষিণ আফ্রিকারও। এই রেকর্ডে শ্রীলঙ্কা আজ প্রোটিয়াদের পাশে বসল।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জের হাসাড়ায় ট্রাকের পেছনে একটি বাসের ধাক্কায় চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৮ জুন) ভোরে এক্সপ্রেসওয়ের সিংপাড়া-নওয়াপাড়া ও হাসাড়া ব্রিজ-২-এর মধ্যবর্তী স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— যশোরের মধুগ্রাম থানার বজলুর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমান (৬৫), পাগলাদাহ থানার ইনসান আলির ছেলে ডা. জালাল (৬৫), ডা. আব্দুল হালিম (৫৫) এবং হেলপার পাগলাদাহ থানার মো. বাপ্পির ছেলে হাসিব (৩২)। তারা সবাই যশোরের বাসিন্দা।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, যশোর থেকে ঢাকাগামী একটি নাইট কোচ হামদান এক্সপ্রেস চলন্ত একটি ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। সংঘর্ষের পর উভয় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের মাঝখানের সড়ক দ্বীপে রেলিংয়ের সঙ্গে আলাদাভাবে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান।
খবর পেয়ে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজন মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় চারজনে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর হাইওয়ে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধারকারী বাহিনী যৌথভাবে কাজ করে দুর্ঘটনাকবলিত যান দুটি সরিয়ে নেয়। সাময়িক বিঘ্নের পর এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য